আমি বিশ্বাস করি কোনো ধর্মই অশান্তি সহিংসতা হত্যা এসবকে সমর্থন করেনা বা মদত দেয়না। এটা সুদূর অতীতের সেই যুগও না যে বল প্রয়োগ করে ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে হবে বা ধর্মালম্বীকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর তা না করতে পারলে ধর্ম কিংবা ধর্মালম্বী বিপন্ন হবে।
এই যে গুটিকয় সন্ত্রাসী জেহাদি সাফল্যের আকাক্সক্ষায় ক্রুসেডার হত্যার মিশন নিয়ে প্রাণঘাতী অপকর্মটি ঘটালো। তাতে ইসলামের কি কি প্রাপ্তিযোগ ঘটলো? তাদের নিজেদেরইবা আদতে কি অর্জন জুটলো? ক্রুসেডারদের কতটা বিপর্যয় আদপে ঘটলো? রক্তপাত, প্রাণনাশ, শোক-শঙ্কার উন্মীলন, দেশ-জাতির জন্য কলঙ্ক – এমন অজস্র নেতিবাচক তকমা জাতির ললাটে জোটানো ছাড়া আর কিছু কি আদৌ তারা অর্জন করতে পেরেছে?
আমরা সবাই লক্ষ কোটি বার এই কথাগুলো বললেও কোন লাভ আছে কি! যারা অস্ত্র ও বোমা হাতে এই হামলা ঘটিয়েছে তারা কেউই চিন্তা-চেতনায় ন্যূনতম সুস্থ্যতায় ছিল না। খুব স্বাভাবিক ভাবেই কিছু প্রশ্ন তাই উচ্চকিত হয়ে ওঠে। কি সেই মন্ত্র যা তাদের এমন অন্ধ করে তুলতে পেরেছিল যে, নির্মমভাবে গলায় ছুরি-তরবারি চালিয়ে অনায়াসে মানুষ খুন করতে তারা এক বিন্দু পিছপা হলো না। বরং বদ্ধপরিকর হয়ে নিজের প্রাণটাও দিল! কিইবা তাদের বয়স! পৃথিবীর কতোটুকুই বা তারা দেখেছে, জেনেছে, বুঝেছে! ভাল মন্দের সত্য চেহারাটিকে চেনবার মতোন কতোটুকুন সামর্থ তারা অর্জন করতে পেরেছিল!
আমি নিশ্চিত এই নিহত তরুণদের যারা কাছে থেকে দেখেছে বা মিশেছে তারা সবাই এদেরকে সাধারণের চেয়ে বেশী অমায়িক ও শিষ্ট বলেই জেনেছে এবং দেখেছে। অনেকটা অভাবনীয় ভাবে নিজ নিজ পরিবারের মানুষগুলোর অজান্তে এরা গিয়ে ভিড়েছে অকল্পনীয় এক বৈপরীত্যের মঞ্চে। এই ভিড়ে যাওয়াটা কিছুমাত্র অকারণ বা আকস্মিক নয়। মগজ ধোলাই করে সুকৌশলে এদের ভেতর এই পরিবর্তনটি ঘটানো হয়েছে। যা তার বাবা মা বা পরিবারের অন্য সদস্যরা কেউই কিছুমাত্র টের পেয়ে উঠতে সক্ষম হয়নি। আমি নিশ্চিত এদের কোনো পরিবারেই সহিংসতার শিক্ষা দেয়া হয়নি। ধর্মান্ধতার মন্ত্র পড়ানো হয়নি। তাদের কেউই ভাগ্যান্বেষণে দেশ ছাড়ার মতোন যুক্তিতে কোন এক সকালে অকস্মাৎ জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদের দীক্ষা নেবার জন্য ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েনি। মানুষ খুন করবার উন্মাদনায় গৃহত্যাগী হয়নি।
প্রশ্ন হলো, তাহলে তাদের এমন পথে যাবার মন্ত্রণা যোগালো কে? এসব শেখালো কে? কে তাদের ডেকে নিলো এই মানবতা বিধ্বংসী মন্ত্রে দীক্ষা দেবার জন্য? কিভাবে নিলো? কেন নিলো? নিয়ে এমন মগজ ধোলাই দেবার সাফল্য কেমন করেইবা অর্জন করলো? কতো তাড়াতাড়ি (বা আসলে কতোটা সময়ে) তারা এটা করে উঠতে পারলো? এমন সব অস্ত্র চালনা ও ঠা-া মাথায় মানুষ খুন করবার মতোন শিক্ষা (ট্রেনিং) কারা কিভাবে দিতে সক্ষম হলো? কোথায় বসে এসব করতে পারলো? এমন প্রশিক্ষক তাহলে কে বা কারা? অস্ত্রগুলোও তাদের হাত পর্যন্ত কি করে অনায়াসে পৌঁছায়? এসব বর্বর হত্যাকা- ও সন্ত্রাস ঘটিয়ে কার কি কি লাভ হলো? যে ইসলামের নামে তারা ঘটালো এমন অমানবিক ঘটনা, তাতে আসলে ইসলামের কি উত্তরায়ণ ঘটলো? ইসলামের না হোক, অন্য কার কি ফায়দা অর্জিত হলো?
একটু গভীর ভাবে ভাবলে আমরা যাঁরা কিছুমাত্র সচেতন ও বিচার-বুদ্ধি-বিবেচনা সম্পন্ন বিবেক ধারণ করি, তারা প্রত্যেকেই প্রশ্নগুলোর সঠিক কিংবা প্রায় সঠিক উত্তর খুঁজে বের করতে পারবো অনধিক কসরতে।
এখানে চিন্তিত হবার মতোন বিষয়গুলো যা – তা হলো এরা অভাবগ্রস্ত পরিবারের সন্তান নয়; এরা খারাপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে বিপথগামী হবার শিক্ষা পায়নি; এবং এরা একটা (আপাত) উজ্জ্বল ভবিষ্যৎমুখী জীবন নির্মাণের প্রক্রিয়াধীন ছিল। অকস্মাৎ কোথা থেকে কিভাবে তাহলে এমনটা ঘটলো এই তরুণদের মাঝে, যে তাদের ভেতর এরকম এক অভাবনীয় ও আমূল পরিবর্তন ঘটে গেল? আর ওরা জীবনমুখী যাপনের ভেতরে থেকে জীবন বিদ্বেষী অন্তিমের কাছে এরকম নির্মম আত্মসমর্পণ করলো!
খোঁজ করলে দেখা যাবে এরা কোনো না কোনো কারণে এক রকম পরিবারের বন্ধন সুদৃঢ়তার অভাবের ভেতর ছিল। এরা কোমল, আবেগী, স্বল্পভাষী, সরল, অমায়িক ছিল। এদেরকে মনস্তাত্বিক ব্ল্যাকমেইলিং করাটা তাই অন্যদের চেয়ে সহজতর ছিল। সেই সাথে এটাও তাহলে নিশ্চিত যে এমন ধরণের ছেলেদের (হয়তো মেয়েদেরও – সামাজিক বিধির কারণে একই মাত্রায় না হলেও) চিহ্নিত করবার জন্য একটা শক্তিশালী চক্র এদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা চলা-ফেরার গ-ীর ভেতর জোরালো ভাবে কাজ করছে। চিহ্নিত করবার পাশাপাশি এদের মগজ ধোলাই করবার জন্য ঘনিষ্ঠতম সম্পর্কের লেবাসে পরিবারের মানুষগুলোর চেয়ে অধিক আস্থায় অধিকতর নৈকট্যে অবস্থান গড়ে নিতে সক্ষম হবার পেছনে তাহলে কাজ করছে কতো পরিমাণ মানুষ? এইসব চেষ্টার পেছনে মদত জোগাচ্ছে কারা? তা সেই বুদ্ধি, কর্মপন্থা, সাফল্যশৈলী, অর্থায়ন, অস্ত্র যোগান, প্রশিক্ষক জোগাড়, প্রশিক্ষণের স্থান ব্যবস্থা করা – এসবের পেছনে যে বৃহৎ মানবশক্তির প্রয়োজন তার উৎস আর চালিকাশক্তির শেকড়টি কোথায়?
এগুলোর উত্তর দেবার চেয়ে আমার কাছে অনেকাংশে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হলো এই যে, কেন এবং কিভাবে এই অপশক্তি আমাদের সমাজে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাবার আনুকূল্য পেলো, সেই সত্য উদঘাটন করা।
আমার খুব মনে হয়েছে যে, ছাত্র ও যুব সমাজের সামনে থেকে সুস্থ্য রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রটি নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার ভেতর দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো আজকের পরিস্থিতির ভিত রচনা করেছে গত তিন-চার দশক ধরে। সেই সাথে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দলীয়করণ ও শঠতার প্রশ্রয়ে ঠেলে দিয়ে মানুষ গড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতাকে খর্ব করা হয়েছে। অবৈজ্ঞানিক ও অনাধুনিক শিক্ষা কার্যক্রমের আবর্তে কারিকুলামের দৈন্যতায় ভুল পথে ফলাফল ভিত্তিক শিক্ষার্জনের যে প্রক্রিয়াকে আমাদের অস্থি মজ্জায় প্রোথিত করা হচ্ছে দিনের পর দিন তাতে নৈতিক শিক্ষার প্রসঙ্গটি আমূল চাপা পড়েছে।
আজকে যদি সুস্থ্য রাজনৈতিক চর্চার মঞ্চটি ছাত্র-তারুণ্যের জন্য উন্মুক্ত থাকতো তাহলে বিবিধ “পলিটিক্যাল স্কুল অব থটসের” তর্ক-বিতর্কের চর্চা ও প্রতিযোগিতার অবকাশ থাকতো। মৌলবাদের সুগার কোটেড হিপটোনাইজিং এফার্টের খালি গোলপোস্ট হয়ে থাকতো না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ও আজ যেভাবে ব্রাকেটবন্দী হয়ে পড়েছে, তাতে রাজনীতির মতোন এখানেও সুস্থ্য চর্চা ও বিকাশের ধারা আড়াল হয়ে পড়ছে পরিবারতন্ত্র আর দলতন্ত্রের করাল থাবার কাছে।
চেয়ার টেবিল দালান কোঠা গড়বার কারিগরদের তবু দাম আছে আজকের সমাজে, আর তা বাড়েও দিনে দিনে। কিন্তু মানুষ গড়বার কারিগরদের নিয়ে মাথা ঘামাবার বা মূল্যায়ন করবার চিন্তা যখন লোপাট হয়ে যায়; তখন শিক্ষকতা সেই মহান মানবতার সোপান নির্মাণের পেশা না হয়ে অন্য আর দশটা আয় রোজগারের পেশার মতোই সাধারণ একটা কিছুই হয়ে ওঠে। আর সেটা তখন পেশা তালিকায় পছন্দের কর্মসংস্থানের নামগুলোর মাঝে তলানীতেই পড়ে থাকে।
এসবের ভেতর দিয়ে আমাদের সন্তানেরা পাঠ্য পুস্তকের জ্ঞানটুকু কোনোভাবে হয়তো অর্জন করে উঠতে পারে, কিন্তু জীবন বোঝার বা জীবন সাজাবার মতোন সত্যিকারের শিক্ষালাভটি আর করে উঠতে পারে না। (এখানে রেসের ঘোড়া হবার মরণপণ চেষ্টাকে শিক্ষার দৌড় বলে বিভ্রান্ত হলে আপনার মতটি আমার সঙ্গে নাও মিলতে পারে)।
জানি এমন হাজারো সতর্কতা বা সচেতনতার কথা আমি বলতে থাকলেও আপনারা মনে মনে বলতেই থাকবেন – এসব অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, বা মানব হত্যার মতোন ঘৃণ্য কাজের সক্ষমতা কি একটি তরুণ তার শিক্ষাক্রমের দুর্বলতা-ব্যার্থতা বা পরিবারের সম্পর্কসূতোর দৌর্বল্যের কারণে চট করে হাতের মুঠোয় পেয়ে যাবে? তা নিশ্চয়ই নয়। কেউ নিশ্চিত ভাবে তা পৌঁছে দিচ্ছে তার হাতের কাছে, নিতান্ত এক সহজলভ্যতায়।
সৃষ্টির আদি থেকে হানাহানি মারামারিতে সাধারণের কিছু লাভালাভ না থাকুক, দেবতাদের প্রাধান্য বিস্তারের হিসাবের নড়াচড়া খুব হয়। ওরা তাই চাইতেই পারে – এসব চলুক, আরো বেশী বেশী চলুক, লাখে লাখে কি কাতারে কাতারে মানুষ মরুক ; সেই সুযোগে অস্ত্রের জোগানস্্েরাত জোরদার হতেই থাকুক। হানাহানি বাড়ুক তবু তার রাজ্যসীমানা (আজকের দিনে এই রাজ্যসীমাটি ভৌগলিক নয়; প্রভাব-প্রতিপত্তি ও মোড়লীপনার, অর্থনৈতিক ফায়দার;) অটুট থাকুক কিংবা কিছুটা অন্তত বাড়ুক।
সবশেষ কথা হলো এই যে, পৃথিবী থেকে রোগজীবাণু সব নির্মূল করা সম্ভব যেমন নয়, তেমনি নব্য ঔপনেশিকতাবাদের নতুন নতুন ধারার উত্থান আমরা থামাতে হয়তো পারবো না। কিন্তু এর প্রতিরোধক বা প্রতিশেধকের বিষয়টাতে মনযোগী হলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাটিকে লাগামহীন হবার বিপরীতে অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো। সেজন্যে প্রয়োজন জীবনমুখী শিক্ষাব্যবস্থার। যা দলীয় ও স্বার্থগত প্রভাব বিস্তারের থাবামুক্ত এবং সত্যিকারের মুক্তচিন্তার চর্চাপীঠ বৈ অন্য কিছু হবে না। দরকার সুস্থ্য রাজনৈতিক চর্চা ও বিকাশের দরোজাটি আমাদের তারুণ্যের সামনে মেলে ধরা। সমাজের স্তরে স্তরে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ধারাটিকে শক্তিমত্তায় বেগবান করা; যাতে সে আপন কৃষ্টি-ঐতিহ্যের ধারক বাহক হয়ে সুস্থ্য শারীরিক ও মানসিক বিকাশে মানবিক হয়ে বেড়ে উঠতে পারে। দরকার শৈশব-তারুণ্যের প্রতিটি প্রাণকে ঘিরে পরিবারের সকল সদস্যের আন্তরিক সম্পর্কের বুননকে জোরালো রাখা, যাতে আপন পরিবারের চেয়ে অন্য কাউকে ঘনিষ্ঠ ভাবার মতোন বিভ্রম তাকে গ্রাস করবার সুযোগ কিছুমাত্র না পায়।
এ তো গেলো সর্ব সাধারণের করণীয়। সেই সাথে সরকারের উচিৎ অনতিবিলম্বে একটি স্যেকুলার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা তারুণ্যের গ-ীর বিস্তার জুড়ে বিদ্যমান অপশক্তিকে চিহ্নিত করা, নির্মূল করা। কেমোফ্লেজের ভেতরে থেকে এ অপশক্তির পেছনে শ্রম, মদত, বুদ্ধি-পরামর্শ, অর্থের যোগান দেয়ার শক্তিকে চিহ্নিত করে তাদের সেই পথটিকে রুদ্ধ করা। সাধারণ মানুষের মাঝে সত্য চেনবার মতোন সামর্থের বীজ বপন করা। সর্বোপরি সুস্থ্য পারিবারিক-সামাজিক-রাজনৈতিক চিন্তা চেতনার কথা মননে ও চর্চায় জনগণের মাঝে, বিশেষ করে ছাত্র-তরুণ-যুব সমাজের মাঝে ছড়িয়ে (আসলে বলা যায় ফিরিয়ে) দেয়া।
০৩ জুলাই ২০১৬
সুস্থ্ রাজনৈতিক চর্চা - মাত্র তিনটে শব্দ, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে হিমালয়সম প্রতিবন্ধক!
হয়তো গোড়া থেকেই শুরু করতে হবে। আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র এ যাবত কতটা সফল হয়েছে, পর্যালোচনা করা যায় কি? রাজনীতির মাঠ থেকে আজ মেধা উধাও হলো কেন? সে যায়গায় আজ শঠ, মাস্তান, অসাধু ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী, চাটুকার আর দলকানাদের দৌ্রাত্ম্য কেন? ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসককে ঝেটিয়ে বিদায় করার পর জাতি যে আশায় বুক বেঁধেছিলো, তা ধূলিস্মাৎ হলো কেন?
অন্যদিকে ত্বরিত যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়ঃ
আগেকার মত পাড়ায় পাড়ায় ব্যায়ামাগার, পাঠাগার, ছোট ছোট খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা হোক।
ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বন্ধ করে প্রচুর ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হোক, যেখান থেকে কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ জনশক্তি বেড়িয়ে আসবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাল্লার শিল্পায়নে আরো বেশী করে অর্থ বিনিয়োগ করা হোক।
মানুষ গড়ার কারিগর, অর্থাৎ শিক্ষক নির্বাচনে নিরপেক্ষভাবে মেধার মূল্যায়ন করা হোক এবং শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা, মান মর্যাদা বৃ্দ্ধি করা হোক। শিক্ষকদের অনৈ্তিকতার প্রতি শুন্য সহনশীলতা প্রদর্শন করা হোক।
দেশের রাজনীতির ভবিষ্যত রূপরেখা নিয়ে সকল পেশাজীবিদের সাথে মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করা হোক।
ওহ ! প্রতিমন্তব্যটা আলাদা হয়ে নীচে পোস্ট হলো দেখছি।
ভাই, দীর্ঘদিন ধরে বিষয়গুলো পীড়া দিচ্ছিল খুব। অনেক লেখার মাঝে তার ছাপ থেকেছে তাই স্বাভাবিক ভাবেই। কিন্তু শেষমেষ যে এমন একটা পরিস্থিতিতে এসে ঠেকবে তা ঘুনাক্ষরেও বুঝিনি।
কথা হলো এই যে আর কতোটা ভয়াবহ হলে পরে দেশের কর্তাব্যক্তি বা রাষ্ট্রযন্ত্রের বোধোদয় হবে তা কিছুমাত্রও বুঝে উঠতে পারছি না।
এর দায় বোঝার আর প্রতিকারে সচেষ্ট হবার মতোন কেউ আছে কিনা তা স্বচ্ছ্বতার আড়ালেই থাকছে। অথচ সময় পেরিয়ে গেছে রাষ্ট্রযন্ত্রের পক্ষ থেকে সামাজিক আন্দোলনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির পদক্ষেপ নেবার। "বেটার লেট দেন নেভার" সত্য মেনে এখনও যদি সামাজিক আন্দোলনের সূচনা না করতে পারি তবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনবার পথটি হয়তো চিরতরে রুদ্ধই হয়ে পড়বে।
সত্য চেনার মত সামর্থের বীজ কোথায় পাই?
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল