রাতে খেয়ে আমি সুমন আর মিলু যে যার মত পড়ছিলাম।সারাদিন প্রচুর খাটুনি ছিলো।ল্যাব আর ক্লাস।ঘুম ঘুম ভাব সবারই চোখে।তারপরেও কেন যেন ঘুম আসছিল না।তিন জন গল্প শুরু করলাম।যদি ঘুম আসে এই ইচ্ছায়।মিলু বোতল নিয়ে পানি আনতে গেল।আমি আর সুমন প্লান করলাম মিলু ফিরে আসার সময় ওকে দরজার পাশ থেকে ভয় দেখাব।তাড়াতাড়ি লুকিয়ে পড়লাম আমরা ।মিলূ দরজা খুলতেই আমরা হো হো করে হেসে উঠি।কিন্তু মিলুর কোন ভাবান্তর হল না।
[প্রাককথাঃ
যারা জানেন না,তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে,আরসিসি বাংলাদেশের সীমানা ঘেষে রাজশাহী শহর থেকে ২৬ কি.মি. দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত।গ্রামটার নাম মোক্তারপুর।ক্যাডেট কলেজটাকে সবাই চিনেন।তাই গ্রামটাকে পরিচিত করার জন্য আমি টপিকে গ্রামের নাম দিলাম।আরেকটা কথা আমাদের অরকা’র অর্থায়নে এই গ্রামে ”অরকাপল্লী” স্থাপিত হয়েছে,যেখানে দুঃস্থ অনেকেই ঠাঁই পেয়েছে।এই সুযোগে জানিয়ে রাখলাম।।……..
অত্যন্ত পরিতাপের সহিৎ অবলোকন করিলাম যে, ডায়লগস ফ্রম জেসিসি,এমজিসিসি,এসসিসি,সিসিসি এমনকি পিসিসি পাবলিশ হইয়া গেলেও শাহী ক্যাডেট কলেজের ডজার ক্যাডুগুলা ব্লগে প্রবল প্রতাপের সহিৎ ডজ মারিতেছে।আমি এতকাল অপেক্ষা করিতেছিলাম,কোন দায়িত্ববান শাহী ক্যাডেট কলেজের অসংখ্য বাণীচিরন্তনী প্রকাশ করিবেন।কিন্তু আমার আর তর সহিতেছে না।তাই স্মৃতির গলি ঘুপচিতে পলান্টিস খেলতে থাকা ডায়লগগুলো ধরিয়া আনিয়া সিসিবি পরিবারে পেশ করিলাম।আর দেরি করিলে হয়ত,অন্য কেউ কহিয়া দিবেন,এর থেকে ক্রেডিটটা আগে আমিই লইয়া ফেলি,মাঠ ফাঁকা মনে হইতেছে………
(কলেজে আপারা যখন গণহারে ওয়াল ম্যাগাজিন এর জন্য লিখা জমা দিতে বলত আমার ১ ক্লাসমেট একবার advanced learners থেকে ‘ম্যাংগো’ paragraph কপি করে জমা দিসিল, =)) আমি এতটা নিচে না নামলে ও এর চেয়ে বেশি ভাল লিখা জীবন এও লিখি নাই। তাই পাঠক কে অনুরোধ একটু কষ্ট করে পড়ে নিবেন)
কিছুদিন আগে বুয়েট ‘বিদ্রোহী’ ছাত্রদের তীব্র আন্দোলনের মুখে পরীক্ষা পিছাইলো,কি আর করা ভাবলাম ভালোই হল বাংলাদেশ ইংল্যান্ড এর ODI series টা বাসায় যেয়ে আরামসে দেখে আসি।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামী পণ্ডিত জাকির নায়েকের বিবর্তন তত্ত্ব নিয়ে সাত মিনিটের লেকচারটি আমার খুবই প্রিয় 1। সাত মিনিটে প্রায় ২৮ টি মিথ্যা বা ভুল কথার মাধ্যমে জাকির নায়েক ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব ভুল প্রমান করতে না পারলেও সৃষ্টিবাদীরা কতটা অজ্ঞ তা ঠিকই প্রমান করেছেন 2। এই সাতমিনিটের মধ্যে মাত্র পাঁচ সেকেণ্ড সময় জাকির নায়েক বিবর্তন ঘটার “সম্ভাবনা” নিয়ে আলোচনা করেছেন হাসতে হাসতে,
১। আমি তখন ছোট।সাত বছর বয়স।আমার খালামনি U.S.A থেকে দেশে বেড়াতে আসছে।তাই নানুবাড়ি গেলাম।নানু বাসার সামনের মাঠে একদিন আমি আমার ২ বছরের খালাতো ভাইকে কোলে নিয়ে ঘুরতেসি।ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ দেখি সামনে এক গরু 😮 ।আমার খালাতো ভাইতো গরু দেখে ভয় পেয়ে শক্ত করে আমার গলা জড়ায়ে ধরসে।সমস্যা হলো,আমিও গরু দেখে ভয় পাইসি কারণ আমার গায়ে গরুদের প্রিয় লাল রং এর জামা ~x( ।অন্য সময় হলে না হয় একটা দৌড় দিতাম।ভাই কোলে থাকায় দৌড়ও দিতে পারতেসি না।হঠাৎ মাথায় একটা চমৎকার আইডিয়া আসল :grr: ।মিস্টি করে ভাইকে বললাম,’ভাইয়া,একটু কোল থেকে নামো।আমি গরুটা তাড়ায়ে দিয়ে আসি।লক্ষী ভাইযা একটু নামো’।সেতো নামবেই না কোল থেকে।যাইহোক,একসময় তার হাতের বাধন একটু ঢিলা হলো আর আমিও ওকে নামায়ে রেখে দিলাম একটা দৌড়।আর বেচারা মাঠের মাঝখানে দাঁড়ায়ে ভ্যা ভ্যা করে কান্না।কিন্তু ওর কান্নায় তখন আমার কিছুই যায়-আসে না।
বছর তিন চার আগের বইমেলার কথা। সেবা প্রকাশনীর স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। প্রচন্ড ভীড়, বেশিরভাগই স্কুল কলেজের ছেলেমেয়ে। সামনে এগুতে না পেরে এক কোনায় দাড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ কানে ভেসে এল এক তরুণীর মন্তব্য – “ভাবতে অবাক লাগে একসময় এই বই গুলো কিভাবে যে পড়েছি! এখন বুঝি এগুলো আসলে কোনো লেখাই না।“ তারপর কয়েকজন ভারতীয় লেখকের প্রশংসা করে তিনি বললেন যে এগুলোই আসল সাহিত্য। তাকিয়ে দেখলাম আমাদের সমবয়সী এক তরুণী তার বান্ধবীর সাথে কথা বলছে।
হাত নিশপিশ করছিলো লেখার জন্য। কিন্তু গত কিছুদিন ঝড় গেছে মোটামুটি। ক্রিযেটিভ হেড নেই। বেশ কয়েকটা ক্যাম্পেইনের কাজ। অনেক চাপ। আজ থেকে একটু ফ্রী হলাম। তাই এটাকে কামব্যাক পোস্ট বলা যেতে পারে। কয়েকটা গল্প ভেবে রেখেছি। আগামী কিছুদিনে লিখে ফেলব আশা করি। আপাতত অনুকাব্য…আগে দেখেছি অনুকাব্যের সবাই খালি ভুল অর্থ চিন্তা করে তাই এবার বোঝার সুবিধার্থে সঠিক ও নির্ভুল অর্থ সহ 😕 । অনুকাব্যগুলো কিছু নিজের কিছু অন্যের।
অক্ষরের প্রতি আমার আকর্ষণ অনিবার্য। দেশে থাকতে ঘুম থেকে উঠে দাঁত না মেজে পত্রিকা পড়তাম, নাস্তার সাথে গল্পের বই। রিকশা না পেয়ে বিরক্ত হয়ে হাঁটা ধরতাম দোকানের নাম, দেয়ালের বিজ্ঞাপণ পড়তে পড়তে। অফিসের গাড়ি অথবা বুয়েট বাস থেকে চোখ বুলাতাম “মায়ের দোয়া”, “থামলে ভালো লাগে”, ”মদিনা আবাসিক হোটেল” এর উপর। দুপুরের বিশ্রাম মানে আগে পড়া একটা বই হাতে বিছানায় আধশোয়া হয়ে তেঁতুল খাওয়া, রাতে গল্পের বই পড়তে পড়তে টিভি দেখা।
ক্লাস টেনে থাকতে কলেজে ফিজিক্স এর এক স্যার আসলেন রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে। তিনি ক্লাস নিলে পুরা কলেজ থেকে সে আওয়াজ শোনা যাবে এমন অবস্থা। তার একটা নাম হয়ে গেল অমায়িক স্যার। মানে যার কথা বলতে মাইক লাগেনা।
ক্লাস ইলেভেন এ থাকতে আসলেন আরেক স্যার, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে। ইনিও ফিজিক্স এর। তিনি ক্লাস নেয়া শুরুর পর প্রথম স্যার ক্লাসে এসে হেসে বলতে লাগলেন –
সিসিবিতে আমার সিরিজ আছে দুইটা। পরবাসীর রোজনামচা আর আচার। নতুন প্রোগ্রামের ঠেলায় পড়ে এই দুই সিরিজেরই নতুন কোন পর্ব লেখার ম্যাটেরিয়াল পাচ্ছি না। স্মৃতিচারণ করা যায়, কিন্তু ক্যাডেট কলেজ বিষয়ক স্মৃতি আমার কাছে কেমন যেন ধোঁয়াশা লাগে। পোলাপাইনের সাথে আড্ডায় বসলে মনের গভীর থেকে সেইগুলা উগলে আসে, জাবর কাটি। আড্ডা শেষে আবার ধোঁয়া।
নতুন একটা সিরিজ শুরু করুম ভাবতেছি। এইটা তার প্রথম কিস্তি।
আমরা ক্লাস সেভেনে যখন আসলাম তখন একজন স্যারকে দেখতাম ডাইনিং এর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে। পরে জানলাম উনি মেস ওআইসি। আরও জানলাম আমাদের ভাসানী হাউসেরই এক ব্যাচমেটের দূরসম্পর্কের নানা। ছোটখাট একজন লোক। খুব আন্তরিকতার সাথে বায়োলজী পড়াতেন। শান্তশিষ্ট ভদ্রলোক হঠাত্ একদিন ক্ষেপে উঠলেন যখন ডাইনিং এর এককোনা থেকে কেউ পোকা বলে চেচিয়ে উঠল। একটু পর পর একেক জায়গা থেকে পোকা শব্দটি ভেসে আসছে আর স্যার ক্রমাগত ক্ষেপে যাচ্ছেন।
[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ “দলীয় অন্ধ সমর্থন রাজনৈতিক সুস্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর”। উপদেশটি দল-মত নির্বিশেষে সকল সুনাগরিকের জন্যে যদিও সমানভাবে প্রযোজ্য, তথাপি নিজের জান-মালের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বিএনপি বা আওয়ামীলীগ নেতৃত্বের প্রতি অন্ধ, এমন পাঠকদেরকে ছড়াটি না পড়ার জন্যে সবিনয় অনুরোধ করা যাচ্ছে]
একদেশে দুই রাণী, নেই কোনো রাজা।
প্রজাকূল রাতদিন হচ্ছে যে ভাজা-
বালি ভাজা মুড়ি আর ভাজা চিড়ে, খই
তেলে ভাজা মাছ যেমন- পুটি আর কৈ।
বেড়ে ওঠার দিনগুলোয় আমাদের মফস্বল শহর টাঙ্গাইলে বেশকিছু সহিংস ঘটনা ঘটেছিল, যা প্রত্যক্ষ করার দুর্ভাগ্য হয়েছে আমার……..অনেকসময় আড্ডায় বসে অনেকের সাথে শেয়ার করেছি…………..
এক.
একসময় ভি.সি.আর./ভি.সি.পি.-র যুগে ক্যাসেট ভাড়া এনে সিনেমা দেখার খুব চল ছিল…….তো ক্যাডেট কলেজের ছুটিতে বাসায় আসার কদিন পরেই মুক্তি পেল শাহরুখ-মাধুরীর ‘কয়লা’ ছবিটি…….আমার ছোটমামার বন্ধুর যে দোকান থেকে সাধারনত ক্যাসেট আনতাম (১টা ১০টাকা, ২টা ১৫ টাকা আর ৩টা আনলে ২০টাকা…….আমি অবশ্য ২টাকা/৫টাকা দিতাম সকালের ‘বউনি’-হিসাবে,