আমরা ক্লাস সেভেনে যখন আসলাম তখন একজন স্যারকে দেখতাম ডাইনিং এর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে। পরে জানলাম উনি মেস ওআইসি। আরও জানলাম আমাদের ভাসানী হাউসেরই এক ব্যাচমেটের দূরসম্পর্কের নানা। ছোটখাট একজন লোক। খুব আন্তরিকতার সাথে বায়োলজী পড়াতেন। শান্তশিষ্ট ভদ্রলোক হঠাত্ একদিন ক্ষেপে উঠলেন যখন ডাইনিং এর এককোনা থেকে কেউ পোকা বলে চেচিয়ে উঠল। একটু পর পর একেক জায়গা থেকে পোকা শব্দটি ভেসে আসছে আর স্যার ক্রমাগত ক্ষেপে যাচ্ছেন। একসময় মনে হল পুরো ডাইনিং ভেঙ্গে পড়বে পোকা শব্দটিতে। আমি ভয়ে ভয়ে পাশে বসা গাইডকে জিজ্ঞেস করলাম সবাই এমন করছে কেন? উনি মিটিমিটি হাসি দিয়ে বললেন পোকাকে বীট দেওয়া হচ্ছে। আমার তো আক্কেল গুড়ুম পোকাটাইবা কে আর বীটই বা কি।
আরও কিছুদিন পর অনেক কিছুর মানে শিখে ফেলেছি। পোকা কার নাম, বোতল কার নাম, ফেকু কার নাম তা মুখস্ত হয়ে গেছে। স্যারদেরকে হরদম সেইসব নামেই ডাকা হত। মাঝে মাঝে আসল নামটাই ভুল হয়ে যেত। এর মাঝে একদিন বায়োলজীর স্যারটা আমাদের হাউসের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমাদের ৩টা হাউস একই বিল্ডিং এ। উপরে সিরাজী, দোতলায় তিতুমীর, নিচে ভাসানী। এর ভেতরে শুধু ভাসানী হাউসে গ্রীল দেয়া। ৩তলার তারিকরা স্যারকে দেখে চেচিয়ে উঠল পোকা পোকা। বলেই হাওয়া। স্যার থমকে দাঁড়ালেন। এদিক ওদিক খুঁজলেন। কাওকে না পেয়ে আরও ক্ষেপে উঠলেন। স্যারের গলায় একটা ক্যারেকটারিস্টিক টোন ছিল, সেই টোনে চেঁচাতে লাগলেন, কোন শুওরের বাচ্চা বললিরে সাহস থাকলে সামনে এসে বলে যা বেয়াদবের দল। আর তারিকরা তখন উপরে বসে দাঁত কেলিয়ে হাসছে।
একদিন ঘটল সবচেয়ে রোমহর্ষক ঘটনা। আমরা ক্লাস নাইনে উঠেছি। সবারই দুটো করে পাখা গজিয়েছে। কারও কারও আরও কয়েকটা বেশি। সেরকম একজন আমাদের আসিফ। ওরও একটা পেটেন্ট নাম আছে বোগদা। এক বর্ষাকালের নাইট প্রেপে গেল কারেন্ট চলে আর আমরা হৈ হুল্লোড়ে মেতে উঠলাম। আসিফের আতিশয্য মনে হয় একটু বেশিই ছিল। সে আরেকজন ক্লাসমেটের হাতে টান মেরে বলল চল দোস্ত পোকাকে বীট দিয়ে আসি। সেই ক্লাসমেট তার হাতটা ধরেই থাকল। একটুর জন্যও আলগা হলনা চাপটা। এর মাঝে কারেন্ট চলে এল আর আমরা ভূত দেখার মত উঠলাম। স্যার আসিফের হাত ধরে আছে আর আসিফের অন্য হাতটা স্যারের ঘাড়ে। এরপর বগলের তলা থেকে ছাতাটা বের করে স্যার আসিফকে এমন পেদানোই পেদালেন তা আমাদের আজও মনে আছে। স্যারের এই নামকরনের কারণ অবশ্য আমরা খুঁজে পাইনি তবে টীজ করার জন্য স্যার ছিলেন সবার পছন্দের তালিকার শীর্ষে। এমনকি আমাদের ফিফটীন ব্যাচের আসিফ কবির ভাইতো পত্রিকাতে গল্পই লিখে ফেললেন ‘পোকা’ নামে। আমরা আমাদের সেই হাউসমেটের নাম দিলাম পোকার নাতি। জুনিয়র একটা ব্যাচের নভিসেস প্যারেড ছাউনিতে বসে দেখছি। আমাদের মাঝে হঠাত্ সুন্দর একটা ফুটফুটে বাচ্চার আবির্ভাব হল। জানতে পারলাম পোকার ছেলে। বদমাশ ক্যাডেটগুলো তাকেও রেহাই দিল না। নাম দিল মাকড়। পোকার ছেলে মাকড়।
দেখি পারি কিনা...?? 😀
ওয়ে ওয়ে :awesome: প্রথম হয়েছি
পেছনে ফিরে দেখলাম, সবই আজ স্মৃতি।
😀 😀
হাহহাহাহা,বেচারা মাকড়
:)) :))
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
=)) =)) =))
মজা পাইলাম ভাই, তবে মাকড়ের জন্য খারাপ লাগলো, বেচারা। =)) =)) =))
আমাদের কলেজেও একজন বায়োলোজি শিক্ষক মেস ওআইসি'র দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন, যাঁকে আড়ালে সবাই জেমস (বন্ড) বলে ডাকতো।
:-/
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
চিনে ফেলেছি মনে হয়।
পরবর্তীতে হাউস মাস্টার হিসেবে পেয়েছিলাম মাস ছয়েক। 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমার অন্যতম ফেভারিট :boss:
ফখরুল ভাই,জটিল হইছ।... =)) =))
পোকা আর মাকড়... :)) :)) :))
:pira: :pira:
ভাই আপনাদের লেখা এমনিতেই কম তার উপর জদি ট্যাগ না মারেন!!!!!!!
R@fee
:khekz: :khekz: =))
ভাই, ছেলে দেখলেই সুন্দর মনে হয় :grr: :duel:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
ভাই কলেজ tag করেন, আশহাব তুই *নডি পইরা PCC ড্রমের সামনে ফলিন, তোরে বুঝাই ছেলে দেখলেই কি মনে হয়
মোবাইল দিয়ে ট্যাগ করতে পারছি নারে ভাই। পরে পিসি থেকে করে দেব।
ভাই, মাফ চাই, আর পিসিসি নিয়া কথা কমু না ~x( তাও ডর্মের সামনে ফলিন হইতে বইলেন না 😀
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
মিজা পেলাম ফখরুল :)) :))
আরো লিখ, আরো লিখ 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
পোকার ছেলে মাকড়...।। =)) =)) =))
থ্যাঙ্কস 😀
😕 মোবাইল দিয়ে তো দেখি জবাব দেওয়া যাচ্ছে না আর। ~x(
মিজা পেলাম ফখরুল =)) =))
আরো লিখ, আরো লিখ :thumbup: :thumbup:
উপরের কোন একটা কমেন্টের সাথে ব্যাপক মিল পাচ্ছি x-(
কপি পেস্টের ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত 😡 :gulli:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
৭টা শব্দ একই রকম, কিন্তু ৪টা ইমো ভিন্ন! কপি পেস্টের ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত এটা হতেই পারে না! 😀
এটাকে বলা যায়, " ছায়া অবলম্বনে " লেখা 😛
মিজা পেলাম ফখরুল :clap: :clap: :clap:
আরো লিখ, আরো লিখ :grr: :grr: :grr:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
মিজা পেলাম ফখরুল =))
আরো লিখ, আরো লিখ :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
=)) =)) =))
:khekz: :khekz: :khekz:
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
পোকা মাকড়ের ঘর বসতি :))
আহারে পোকা, বেচারা আমাকে খুব পছন্দ করত. পুরা নাম ছিল মাজরা পোকা.. =))
মাজরা পোকা !!!!! =)) =))
পোকার কথা বলার টোন এখনো কানে বাজে..... =)) =)) =)) =)) =))
মেস ওআইসি নিয়ে আমাদের যে কত কাহিনী... খুব মজা পেলাম ভাইয়া
ওইগুলা তাড়াতাড়ি নজরানা রূপে পেশ কর 😡
কেমুন পছন্দ করত? :khekz: পিসিসির পাখির মত? :duel:
ব্যাপক মজা পেলাম... আরো লিখ, লিখতে থাক 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পোকার ছেলে মাকড়
ভাই জট্টিল মজা পাইলাম।ছুটিতে আইসা দেখা করতে পারি নাই।মাফ কইরা দিয়েন।
পোকার ছেলে মাকড়
:khekz: :khekz:
আমরা কেলাস সেভেনে থাকতে স্ট্যাটিস্টিক্সের এক স্যার ছিলেন মেস ওয়াইসি,উনার ডাক নাম ছিল গরু- প্যারেড গ্রাউন্ডের সামনে দিয়ে উনি আর উনার ছেলে যাওয়ার সময় যথারিতি জনৈক ক্যাডেটের মন্তব্য- ওই দেখ গরু আর তার বাছুর যায়... 😮 😮
জেসিসির ক্যাডেটদের জন্য হিন্টস-উনার বিশেষ ডায়ালগ ছিল"ইমুন কষানি দিমু"...আর বিশেষ প্রিয় শাস্তি ছিল বলপেন দিয়ে ক্যাডেটের নাক/কান জবাই দেওয়ার চেষ্টা করা...
:)) :)) :))
ব্যাপক হইসে :))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
😀 😀 :)) :))
Life is Mad.
মজার ব্যাপার হল-আমার বায়োলজি ছিল না।তো একবার স্যার আমার নামে কাকে জানি বলছে আমি নাকি খুব বাজে।খালি শয়তানিতে পাকা আর বায়োলজি পরীক্ষায় নাকি ফেল করি।হা হা =)) হা
স্যার খুব ভাল ছিলেন। কিন্তু পোকা শুনলে আর ওনার মাথা কাজ করতো না। আমাদের সময় মাকড় ছিল না।
আমার বন্ধুয়া বিহনে