ভাইয়ার সাথে বাসায় আসার পর খুব ভালো লাগলো। একটা অন্য ধরণের পরিবেশ। ভাইয়া আছে, ভাবি আছে এবং একটা ছোট্ট মেয়ে আছে। গোসল করে খাওয়া দাওয়া করলাম।
ভাই-ভাবি কিছু নিয়ম কানুন বললো, যেমন- কালোদের নিগ্র বলা যাবেনা ব্ল্যাক বলতে এধরণের কিছু কথাবার্তা। তারপর সন্ধায় বের হলাম এলাকা ঘুরে দেখার জন্য ভাইয়ার সাথে।
গিয়ে আমার মাথা নষ্ট।
গত সপ্তাহে মুরতজা ভাইয়ের লেখা একটা পোস্টে বাচ্চাদের নিয়ে একটা কমেন্টে ওনার মেজাজ বিলা করে দেয়ায় উনি ঠাডায়া …… যাই হোক, দুঃখের কথা
আর চিন্তা না করি। মনে হলো বিলা হয়ে যাওয়া মেজাজ ঠান্ডা করার জন্যে বাচ্চাদের নিয়ে আমিও একটা পোস্ট দেই।
প্রথম ঘটনাটা আমার এক কাজিনের। তার তখন ৩-৪ বছর বয়েস আর আমি তখন বুয়েটে ২য় লেভেলে। চাহিবামাত্র চকলেটের সাপ্লাই করতে রাজি থাকায় এবং কার্টুন আর কম্পিউটার গেমস সম্পর্কে ভালো আগ্রহ থাকায় বাচ্চা মহলে তখন বেশ জনপ্রিয় ছিলাম।
ছোট্ট একটা মফস্বল শহর।১৯৬৫ সাল।পূর্ব পাকিস্তানের নরসিংদী এলাকার শ্রীনগর।এলাকার মাঝামাঝি স্থানে পাশাপাশি দুটি বাড়ী।তার একটা জলিল সাহেবের অন্যটা রনজিত সাহার।ধর্মে ভিন্ন হলেও তাদের অন্যান্য কিছুতে তারা ভিন্ন নয়।দুজন একই অফিসে চাকরী করেন।গত আট বছর ধরে তারা পাশাপাশি বসবাস করে আসছেন।দু’ পরিবারে বেশ ভাব।যে কোন অনুষ্ঠান কিংবা পারিবারিক কাজে সবাই যেন পরস্পরের জন্য নিবেদিত প্রান।জলিল সাহেবের পরিবারে আছে তার স্ত্রী সহ দুই ছেলে।জলিল সাহেবের দুই ছেলের মাঝে একজন আমার বড় ভাই ফারুক অন্যজন আমি।রনজিত সাহার দুই মেয়ে,জয়িতা আর সুনন্দা।জয়িতার বিয়ে হয়েছে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর সাথে।সুনন্দা আমার সাথে কলেজে পড়ে।সুনন্দাকে আমি সুনু বলেই ডাকি।অন্যান্য মেয়েদের চাইতে সুনু একটু আলাদা।তার মাঝে একটা অন্যরকম ভাব আছে যা অন্যদের মাঝে নেই।সুনুর সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হল সে হাসলে গালে টোল পড়ে।ওর মায়াভরা মুখটা আমার সবচেয়ে আপন লাগে।হাসির মধ্যে একটা শিশুসুলভ ভাব রয়েছে।যদিও ছোটবেলায় ও বেশ মোটা ছিল কিন্তু ও যেন দিনদিন আমার কাছে আলাদা রকম আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে।জানিনা আমার আকর্ষন বোধটা অন্য মেয়েদের চেয়ে ওর প্রতি এতটা বেশী কেন।হয়তোবা ওর সেই অন্যরকম বৈশিষ্ট্যের জন্যই।আমরা আলাদা ধর্মের হলেও কখনও সুনু কিংবা আমি পরস্পরকে আলাদা ভাবিনি।মোটকথা সুনন্দাকে আমার বেশ ভাল লাগে।তবে ওকে নিয়ে আমি কখনও সেরকম ভাবনা ভাবিনা।সেরকম ভাবনা বলতে আমি ভালবাসা কিংবা প্রেম-টেম বোঝাচ্ছিনা,আমি বলতে চাইছি আকর্ষনের ব্যাপারটা।
আমি শুধু এই কারণে ক্যাডেট কলেজের কাছে কৃতজ্ঞ নই যে এই প্রতিষ্ঠান আমাকে জীবন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে। বরং, আমি এই কারণে কৃতজ্ঞ যে এই প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ আমার বন্ধুদেরকে পেয়েছি। মূলত আমার বন্ধুরাই আমাকে জীবনের নতুন দর্শন শিখিয়েছে, আমার দুঃসময়ে আমার পাশে এসে দাড়িয়েছে, আমার ভুল হাসিমুখে শুধরে দিয়েছে, সবচেয়ে বড় কথা- আমাকে সব সময় স্বার্থহীনভাবে ভালবেসেছে।
চা নিয়ে মজার মজার দুটি ওয়ান-লাইনার পড়লাম ইন্টারনেটে।ইংরেজি থেকে অনুবাদ করলে মজা অনেকটাই হারিয়ে যাবে বলে মডুদের ভ্রুকুটি এড়িয়ে ইংরেজিতেই পোস্ট করে দিচ্ছিঃ
1.Why did the teapot get in trouble?
–Because he was naughtea.
2.What did the teapot wear to bed?
–A nightea
চা নিয়ে অতিশয় বোরিং দুটো ওয়ান লাইনার বললাম-এবার আজ থেকে ৮ বছর পেছনে চলে যাই।নিচের ছবিটি দেখুনঃ
ছবিটি ২০০২ সালে জেসিসির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার।সবার সামনে ভাব নিয়ে মার্চ পাস্ট করে যাচ্ছে যে সেই তালগাছের সমান লম্বা মাস্ফ্যুকে তো আপনারা সবাই মনে হয় চিনতে পারছেন।আমার ঠিক পেছনেই রয়েছে রুবাইয়াত,তার পেছনে মিজান।বলুন দেখি মিজানের ঠিক পেছনে বদর হাউসের পতাকা হাতে রোদে পোড়া মুখ নিয়ে কোন মাসুম বাচ্চা মার্চ করছে???
নদী বয়ে যায়,তরঙ্গ জানেনা সমুদ্র কোথায়?মানুষ তার ভবিষ্যত সম্পর্কে ধোঁয়াশার মত আবছা ধারনা নিয়ে যাত্রা শুরু করে।এই জীবনে পথ চলতে চলতে কোন অজানা ঘাটের সন্ধান পায়।আর তারপরইতো অসীম শূন্যতায় পা বাড়ানো,অজানায় সম্পূর্নরূপে অবগাহন করা।মাঝে মাঝে মনের ক্যানভাসে ভেসে উঠে সেই কথাগুলো-
“ছুটতে ছুটতে বহুদূরে চলে গেছি আমি,
অজানা এক নীরবতার সুরে………,
দূরে পাখি বহুদূরে উড়ে ঊড়ে আসে আর চলে যায়।”
অন্তর আত্মার সন্ধানে ছুটে চলছে মন মাঝি।অন্তহীন এ পথ চলার শেষ সীমা আবিস্কার করতেই আমরা অজানার পানে ছুটে বেড়াই।ক্ষেত্রবিশেষে মনে হয় আমাদের এ পথ চলা অর্থহীন।কী দরকার ঐ অজানার রহস্য জেনে?মানব মনের সুক্ষাতিসুক্ষ ভাবকে প্রকাশ করার কীই বা দরকার?বাস্তবতাকে মেনে নেয়াই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়?মহান কিহু বাণী মন কে আলোরিত করে,অন্তরে সুরের ঝঙ্কার সৃষ্টি করে।তবে তা ক্ষনিকের জন্যই।হয়তবা আমরা আমাদের এই পথ চলার সমাপ্তি নিজের চোখেই দেখব।স্রস্টার ইচ্ছা যদি তাই হয় তবে তা ঠেকাবে কে?ঐ নিষ্ঠুর সত্তাকে থামানোর মত কিছুই যে আমাদের হাতে নেই।সময় বয়ে যায় খরস্রতা নদীর মত।কুল কুল করে বয়ে যাওয়া সময়কে অতিক্রম করে সাফল্য অর্জন করাই মন মাঝির আকাঙ্খা।তবে তা যে কতখানি সম্ভব তা বোধ করি ঐ স্রস্টাই ভাল জানেন।তবে হতাশার মাঝে পৃথিবী আলোকিত করে করে যেমন সূর্য আসে সম্ভাবনা নিয়ে তেমনি আশার কথাও আছে।ঐ স্রস্টা কখনো হতাশ হতে শেখাননি।এ নিরন্তর ছুটে চলায় হতাশার কোনো স্থান নেই।পথের শেষ প্রান্তে পৌছানোর জন্য দরকার দৃঢ় সঙ্কল্প,সংযম আর আত্মিবিশ্বাস।অন্তর আত্মাকে খুঁজে পাওয়ার যে আকাঙ্খা তা কখনো বৃথা হবার নয়।যে তীব্র যন্ত্রনাকর অনুভূতি মনকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে কি ক্ষতি যদি তাকে নদীর স্রোতের সাথে ভাসিয়ে দেয়া হয়?সেটি হয়তবা পৌঁছে যাবে অজানা কোনো দ্বীপে,হয়তবা হারিয়ে যাবে সময়ের অতল গহ্বরে।মন মাঝিকে এই অন্তহীন সংগ্রামী চলায় টিকে থাকতে হবে।তার সঙ্গী এক চিলতে সুখ,এক টুকরো আশা আর কিছু মহৎ স্বপ্ন পুরনের বাসনা নিয়ে।স্বপ্নহীন মন মৃত।তার মাঝে প্রানের কোনো স্পন্দন নেই।নিজেকে দূর্দশার আস্তাকূঁরে ফেলে রাখলে কখনো সুখ নামের সোনার হরিনটি হাতের কাছে ধরা দেবেনা।কি দরকার মনমাঝির নৌকায় দুঃখ-কষ্ট নামের কতগুলো অপ্রয়োজনীয় মালামাল বয়ে নেয়ার?এতে শুধু এ মহান যাত্রা বিলম্বিত আর বাধাগ্রস্ত হবে।দুঃখের দেয়াল দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে ছুড়ে ফেলে দেয়ার মাঝেই স্বর্গীয় সুখ নিহিত।আর আজন্ন মনের গাঁথুনি শক্ত করতে হবে।
(Excessive Religious Zeal and Conservatism May Lead to Extremism)
[ভূমিকাঃ ধর্মের ব্যাপারটা নিয়ে সিসিবি’র মাঠ ইদানীং বেশ গরম। একবার ভাবলাম, এমতাবস্থায় এমন সেন্সিটিভ একটা লেখা দেয়া কি ঠিক হচ্ছে? পরে অবশ্য চিন্তা করে দেখলাম, “আমরা আমরাই তো”। নিজের পরিবারের সাথে শেয়ার করতে না পারলে যাবোটা কোথায়?]
এস.এম. আমার খুব ঘনিষ্ট বন্ধু। টেলিফোনে প্রায় কথা হয়। এস.এম.ই ফোন করে। আমার অনেকগুলো দোষের মধ্যে একটা হলো কাউকে ফোন না করা।
আমরা কলেজে ঢুকি ২০০২ সালে ৭ই মে। সেইদিনের সব কথা আজও মনে আছে। গাইড হিসেবে মেহেদী ভাই এর আমাকে হাউজে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হাউজ মাষ্টারের সাথে দেখা করা আমাকে রেখে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে আম্মুর কান্নাকাটি আরো কত কিছু। রাতে প্রথম বারের মত কাটা চামুচ দিয়ে খাওয়া, ম্যানু টাও এখনো মনে আছে ডিম ছিল। :dreamy:।
রাতে রুমমেট মুস্তো আর রেজার শহীদ কোচিং নিয়ে গল্প।
কিছুকাল আগে লোকে রাজনীতির ময়দানে জলিলের ট্রাম্পকার্ডের খেলা দেখেছে, এবার বাংলা সিনেমার জগতে ট্রাম্পকার্ডের খেলা দেখা গেছে। আর এই ট্রাম্পকার্ডের ও মূল চরিত্র সে একই নাম- আবদুল জলিল। তবে এই জলিল সাহেব ব্যাঙ্ক ব্যবসায় মন দেননি তিনি মূলতঃ মন দিয়েছেন কাপড় ব্যবসায়, যার আজকাল কেতাবী নাম হয়েছে তৈরী পোষাক শিল্প। আর বস্ত্রবালিকাদের শ্রম নিংড়ানো এই ফটকাবাজিতে কিছুলোক দেশে বেশ টাকাওয়ালা হয়ে উঠেছে। এমনই একজন ব্যক্তিত্ব-এম,এ,জলিল ওরফে অনন্ত।
কলেজে ক্লাশ টেন এ থাকা কালীন এটা লিখা শেষ করছিলাম।ইচ্ছা ছিল কোন একদিন সুযোগ হলে কারও কাছে সাবমিট করবো চলমান ছবি হিসেবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।সেই স্বপ্নটা সত্যি হতে চলেছে শীঘ্রই ইনশাল্লাহ :-)যা হোক সিসিবি তে সবার সাথে ধারাবাহিক হিসেবে শেয়ার করার চেষ্টা করছি…( এটা একটা সত্য ঘটনা,চরিত্র গুলোর নাম অনেক গুলোই বাস্তব,ঘটনার কিছু কিছু অংশ শুধু লেখার জন্য একটু আলাদা করে ফুটিয়ে তোলা)
****************************
আমি এই মুহুর্তে কোথায় আছি সেটা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি,বোধ হয় হাসপাতালে।আশেপাশের সবাই সম্ভবত আমাকে নিয়ে দারুন ব্যস্ত আর উৎকন্ঠিত।জানিনা কেন তাদের এত ব্যস্ততা আমার জন্য।হয়তো আমার প্রতি এ মুহুর্তে তাদের প্রচন্ড ভালবাসা জন্মে গেছে,সে ভালবাসা ভিন্ন সময়ে ভিন্ন রকম,যা রঙ বদলায়।ভালবাসার কি আদৌ কোন নির্দিষ্ট রঙ আছে?ঠিক জানিনা।তবে আমি এটুকু বলতে পারি,প্রত্যেকের মাঝেই ভিন্ন ধরনের ভালবাসা আছে।আমি এমন কেউ নই যে এরা আমাকে নিয়ে এতটা উৎকন্ঠিত হবে,আমি আমার নিজের কাছে খুব সাধারন,হয়তোবা অন্যদের কাছে আলাদা।আমি এ মুহুর্তে আমার বুকের সব জায়গা জুড়ে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছি,এক ধরনের তীব্র যন্ত্রনায় আমার সর্বাঙ্গ ভরে যাচ্ছে।আমার মুখে অক্সিজেন মাস্ক দেয়া হয়েছে।আমি শুধু চেয়ে চেয়ে সবার কাজ দেখছি।কেবল চেয়েই আছি,চোখ বুজতে ইচ্ছা করছেনা,কেমন যেন একটা অদৃশ্য ভয় আমাকে ছেয়ে আছে।সে ভয়ের জন্য আমি চোখ বুজতে পারছিনা,বুঝতে পারছিনা কি সে ভয়।সেটা কি মৃত্যু?আমার আশেপাশে যারা আছে তারা বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছে তবে তাদের কথার বিষয়টা বুঝতে পারছিনা,হয়তোবা আমাকে নিয়েই কথা হচ্ছে এদের মাঝে।আমায় এখানে নিয়ে আসার আগে কি ঘটেছে আমার খেয়াল নেই।তবে,এটা মনে আছে যে কেউ একজন আমার হাতটা চেপে ধরে কেঁদেছিলো,কিন্তু কে কেঁদেছিলো?না,মনে পরছেনা।অনুভব করতে পারছি যে তার হৃদয়ে আমার জন্য ভালবাসার এতটুকু কমতি নেই।কিন্তু কে সে?আমি প্রচন্ড চেষ্টা করছি মনে করার;না মনে পরছেনা।আচ্ছা সবারই কি এমন হয়?যে মানুষটা তাকে ভালবাসে,প্রচন্ড রকম ভালবাসে অথচ তাকেই সে অনুভব করতে পারেনা কিংবা তার অস্তিত্বকে সহজে আবিষ্কার করতে পারেনা।কি জানি,তবে আমার মনে হচ্ছে আমি আবিষ্কার করতে পারবো।
আমরা ৩ রুমমেট। আমি, সাব্বির আর রকিব। মাশাল্লাহ ৩জন ই পিস। তারমধ্যে রকিব হইলো পুরা মেডিকেল ইতিহাসের অংশ (কেন ও কিভাবে তা বলব, আস্তে আস্তে, ঘটনা তো আর ১টা ২টা না)।
এটা ২০০৫ বা ২০০৬ এর ঘটনা হবে। শবে বরাত এর রাতের কাহিনী। নেক্সড দিন কলেজ বন্ধ। পুরা মৌজ মৌজ ভাব এ আছি ।
আমি বাস্কেটবলের একজন ভক্ত। প্রমীলা বাস্কেটবলের কয়েকটা ভিডিও নিয়া একটা আজাইরা পোস্ট দিছিলাম এর আগে, কিন্তু সিরিয়াস পোস্ট দেয়া হয় নাই। সর্বকালের সেরাদের নিয়ে আমার এই পোস্ট। মোটমাট ৬ জন প্লেয়ার নির্বাচন করব, পাঁচজন স্টার্টার, একজন সুপার সাব। কাজটা মোটেও সহজ না, ইচ্ছা করলে গড়গড় করে ছয়টা নাম বলে দিতে পারতাম। কিন্তু একজন চিন্তাশীল “কোচ” এই কাজ কখনোই করবে না। বাস্কেটবল টিমকে সফল বানাইতে হলে তাদের হতে হবে ব্যলেন্সড।