একটু পেছনের কথা বলে নেই। কবে থেকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছে, খুব বেশি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে সম্ভবত: জন প্লেয়ার গোল্ডলীফ ট্রফিতেই (এশিয়া কাপ) প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ তাদের ওয়ানডে ক্রিকেটীয় ইনিংসের যাত্রা শুরু করে (ভুল হলে শুধরে দেবার জন্য অনুরোধ রইলো, আমি এতথ্যটুকুর ব্যাপারে সুনিশ্চিত নই )। ৩১ মার্চ, ১৯৮৬; ম্যাচটা ছিল পাকিস্তানের সাথে। ৪৫ ওভারের এই ম্যাচে মাত্র ৯৪ রানেই নবীন বাংলাদেশ দলের ইনিংস-সমাপ্তি ঘটে।
বিস্তারিত»ব্লগরোল ০৩
১।
সিসিবির জন্মদিন গেল, কিছুই লিখি নাই। একটা কমেন্ট পর্যন্ত না। শান্তাপা গ্রেড দিলেন, আমি সেইখানে ঢুকতে পারলাম না। সামিয়া “অতিপ্রিয় তৌফিক কই গেলেন” বলে চিল্লায়ে ব্লগ মাথায় তুলে ফেলল (ঠিক আছে, মানছি, অতটা করে নাই হয়তো, কিছুটা তো করছে B-) ), আমার কিবোর্ড তবু চালু হইল না। আমার দেশী মানুষ শীর্ষেন্দুর সাক্ষাৎকার একটা পড়েছিলাম অনেক আগে। প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, বাংলা সাহিত্যে নতুন লেখক আসছে না কেন।
বিস্তারিত»বৃক্ষ থেকে বাঘ হয়ে ওঠা এক ঠোলা-কাহিনী
ছেলে আমাদের বড়ই বিদ্যান, জ্ঞানী, সামাজিক, দেশপ্রেমিক। ঠোলাগিরির মত বিশাল এক চাকুরীও তার বগলদাবা। ছোট বড় সবারই বড় আদর আর আব্দারের আমাদের এই ছেলে। কখনও লুঙ্গী পড়ে সিনিয়রদের দৌড়ানি খেয়ে, কখনও ক্ষোভে রাগে ফেটে পড়ে পাকি হানাদার আর রাজাকারদের সুশীল গালি দিয়ে চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে, কখনও আবার খেলার ময়দানে বাংলাদেশের বিজয়োল্লাসে শিশুর মতন ব্লগে লাফিয়ে উঠে সে তার অবস্থানের কথা জানান দেয়। ছেলে আমাদের বিশাল উঁচা-লম্বা,
বিস্তারিত»উপরেই থেকে গেলি?
আশরাফের সংগে আমার শেষ দেখা হওয়ার দিনটা আমার মনে আছে । ১২ নভেম্বর ২০১০ । ওর ছোট ভাই আফজালের সলো ফটোগ্রাফি এক্সিবিশনের ওপেনিং এর দিন । আমি সাভার থেকে ঢাকায় গিয়ে এক্সিবিশনে গিয়েছি শুনে খুব খুশি হলো । ওর ছোট ভাই লুমিক্স ক্লিক টু ফেম বিজয়ী আফজালের সংগে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আর টুকিটাকি ফটোগ্রাফির কারনেই আমার সংগে ওঠাবসাটা খুব কম ব্যবধানেই ইদানিং হচ্ছিল । আমাকে দেখে সেই চেনা হাসি –
বিস্তারিত»শোক সংবাদ
আজ দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের একটি পিটি-৬ বিমান বরিশাল বিমানবন্দর এলাকায় ক্রাশ করেছে। বিমানের দুজন আরোহী স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফ এবং মাহমুদ ওই দূর্ঘটনায় শাহাদাত বরন করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তাদেরকে বেহেস্ত নসিব করুক।
স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফ ছিলেন পাবনা ক্যাডেট কলেজের ১৬ তম ব্যাচের একজন ক্যাডেট এবং এমজিসিসির আমাদের ব্যাচমেট(এবং কোর্সমেট) শাহনাজ জাহান পুষনের স্বামী। আল্লাহ পুষনকে এই শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি প্রদান করুক।
বিস্তারিত»ডাস্টবিনের পৌরুষ
শান্ত সুবোধ লক্ষী ছেলে আমি
আমার যাপিত জীবনে কম্পন নেই, বড্ড সরল।
রোজ ভোরে ঘড়ি ধরে ঘুম ভাঙ্গে,
রাতের জমানো নোংরা ধুয়ে ফিটফাট কর্তার বেশ,
আয়নায় টাইয়ের নট বাঁধতে বাঁধতে,
ভুলে যাই, অন্ধকারে বড্ড পুরুষ ছিলাম।
খিচুড়ি-২
ক।
ডিসেম্বর, মার্চ এই মাসগুলো আমাদের জাতির জীবনে আলাদা স্থান দখল করে আছে। এ মাসগুলোকে ঘিরে সকল মাধ্যমেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়, উদযাপন করা হয় বিভিন্ন ভাবে। মার্চের ক্ষেত্রে প্রায় পুরো মাস জুড়ে এ আয়োজন চললেও ডিসেম্বরে বিজয় দিবস অর্থাৎ ১৬ তারিখের পরে অধিকাংশ আয়োজনের সমাপ্তি হয়। এবারো হয়ত এর মধ্যে হয়ে গিয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর পরবর্তী দিনগুলো নিয়ে আমার কৌতহল বেশ আগে থেকেই।
সাকা চৌ (পুরো নামটা নিতে মুখে বাঁধে, আমি দুঃখিত না)
(ডিস্ক্লেইমারঃ প্রচন্ড ঘৃনা থেকে লেখাটা লিখছি। মডারেশন প্যানেল চাইলে এই লেখাটা ডিলিট করে দিবেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা নিজ দায়িত্বে পড়বেন।)
কলেজে থাকতে একটা হিন্দি সিনেমা দেখানো হয়েছিল নাম “সোলজার”। সেখানে এক দেশদ্রোহী ভারতীয় থাকে যার কন্যা সিনেমার শেষে গিয়ে তার পিতাকে চরম ঘৃনায় নিজ হাতে খুন করে। আমির খান অভিনিত
“রাঙ্গ দে বাসান্তী” ছবিটা অনেকেই দেখে থাকবেন যেখানে নিজের পাপী, দোষী মন্ত্রী পিতাকে খুন করে খুনের সব দায় স্বীকার করে নেয় গনমাধ্যমের সামনে।
আবেশ
এ আবেশ, এ পতন মিথ্যে কোন প্রবঞ্ছনার,
এ আমি আপন মনে মুছে চলি-
যা কিছু আপনার।
কত প্রেম কত ব্যাথা গেল ছুঁয়ে ছুঁয়ে;
ক্ষয়ে গেল অন্তঃপুর অন্তঃজ আগুনে পুড়ে।
নিভে যাওয়া আগুনের কত ছল,
গুমোট ধোঁয়ায় মুছি আঁখিজল।
নেই তবু আছে ভেবে বিভ্রান্ত
স্মৃতির ধূলিঝড়ে খুঁজে ফিরে নীড়;
হলাম স্বর্বশান্ত।।
৩
বরষা হবে ভেবে মেঘ ভাসিয়েছি
জ্যোৎস্নাস্নাত হব বলে দিনটা ডুবিয়েছি
স্বপ্ন দেখব বলে স্নৃতির পানে ছুটেছি;
পদ্মাপাড়ের মেয়ে (Sands of Dee এর অনুবাদ)
পদ্মাপাড়ের একটু দূরে থাকতো যে রহিমা
‘গরুগুলি তুই ঘরে নিয়ে আয়’ – বলিলেন তার মা।
রহিমার ছিল টানাটানা চোখ- ঘন কালো তার চুল
ভুল করে সে তো আসিয়াছে হেথা – সেতো স্বর্গের ফুল।
পদ্মাপাড়ে রওয়ানা দিল সেই যে রূপসী কন্যা
প্রকৃতির কোন খেয়ালে আসিল ভরা পদ্মায় বন্যা।
কোন সে খেয়ালে দখিনা বাতাস ভাঙলো যে আড়মোড়া
ভয়ে শঙ্কিত হয়ে ওঠে তার সুন্দর চোখ জোড়া।
একটা উজার করে দেওয়া গাছের গল্প
সে অনেকদিন আগের কথা। এক বনে এক গাছ ছিল। গাছটির কাছে রোজ একটা ছোট্ট ছেলে খেলা করতে আসত। প্রতিদিন সেই ছেলেটি গাছের সব পাতা একত্র করত আর তা দিয়ে সে তার মাথার মুকুট বানাত। গাছটাকে ঘিরে সে প্রতিদিন মনের আনন্দে দৌড়ে দৌড়ে খেলা করে বেড়াত। গাছটির ডাল বেয়ে বেয়ে উঠে আপেল পেড়ে খেত। ডালগূলোতে ঝুলে দোল খেত। গাছের গুড়ি জড়িয়ে ধরে কানে কানে কি কি সব যেন কথাও বলত।
বিস্তারিত»ব্যাড লুজার?
ফুটবল নিয়ে আমার মাতামাতি একদম ছোটবেলা থেকেই, বলা যায় বুঝতে পারার পর থেকেই। অবশ্যই এর পিছনের প্রধান কারন আমার আশেপাশের মানুষগুলোর ফুটবল উন্মাদনা। একদম প্রথম দিকে কবে আবাহনীর ম্যাচ আছে সেটা পত্রিকা দেখে বোঝা লাগত না, বাসা থেকে বের হলেই আশেপাশের ছাদের পতাকার দিকে তাকালেই হতো। তারপর খোঁজ নেয়া কার সাথে খেলা আর সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা ফলাফলের জন্য। ফলাফল পাওয়া যেত স্টেডিয়াম ফেরত মুরুব্বী আর পাড়ার বড়ভাইদের কাছ থেকে।
বিস্তারিত»সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই
আমি একজন নারী। নিজেকে মাঝে মাঝে খুব অসহায় মনে হয়েছে, আবার কখনও কখনও দূর্গার মত শক্তিধর মনে হয়েছে। যখন নাটক নভেল গুলোতে নানা রঙ্গে ঢঙ্গে নায়িকার শৈল্পিক উপস্থাপন পড়েছি তখন নিজের অজান্তেই অনেক মজা লাগতো, হিরোইনের জায়গায় নিজেকেই কল্পনা করে ফেলতেও সামান্য দ্বিধা হয়নি কখনোই। জোরে শব্দ করে হাসার কারণে খুব টিপিকাল আমার মা যখন বলতো “মেয়েদের এভাবে হাসতে হয়না” মায়ের উপর রাগের পাশাপাশি নিজের উপরও মেয়ে হয়ে জন্মানোর জন্য যে সামান্যও অনুশোচনা হয়নি তা বোধহয় বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো না।
বিস্তারিত»মাগনা বিদেশ যাওয়ার সহজ উপায়…
জিতুকে ধন্যবাদ। বেচারী শীতের দুপুরে লেপের আরাম বাদ দিয়ে অনেকটা সময় কানে ফোন রেখে আমাকে ব্লগ লেখার কৌশল শিখিয়েছে। ভালো টিচাররা এমনই হয় :thumbup:
(এটা ওর স্কুলের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা কমিশন হিসেবে আমার রেফারেন্সে ২ জন ফুল ফ্রীইইইইই)
এবার ব্লগ শুরু করি…
আস্ট্রেলীয় সরকার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কিছু বৃত্তি দিয়ে আসছে বেশ অনেক বছর ধরে। বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য ৪টি হলোঃ
1.
প্রথম রাত…সারদাতে…
আজ ১২ তারিখ,এখন রাত ২টা ৩০ বাজে কাঁটায় কাঁটায়।গতকাল বেলা ১১ টার সময় ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গন্তব্যে পৌঁছেছি।সব জিনিসপত্র গুছানো শেষে এইমাত্র ল্যাপটপ খুলে বসলাম।সকাল থেকে থেকে(পরবর্তী নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত) মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের মডেম “আউট-অফ-বাউন্ড” হতে যাচ্ছে-জানিনা কতদিন পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে।তাই ঝটপট কিছু অনুভূতি শেয়ার করিঃ
১) ৬ বছর ক্যাডেট কলেজ এবং তারপর বিএমএ তে থাকার অভিজ্ঞতা-এর পরেও আমার মা একটুও বদলাননি।বিশেষ করে একাডেমিতে আসার শেষ কয়েক দিন আগে এমন কান্নাকাটি করছিলেন যে আমার পক্ষে অশ্রু সংবরণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিলো।মা-রা বোধহয় এমনই হন,সময়ের সাথে সাথে সব কিছু পাল্টালেও সন্তানের প্রতি তাঁদের মমতার বিন্দুমাত্র হেরফের হয়না…
বিস্তারিত»