একটু পেছনের কথা বলে নেই। কবে থেকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছে, খুব বেশি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে সম্ভবত: জন প্লেয়ার গোল্ডলীফ ট্রফিতেই (এশিয়া কাপ) প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ তাদের ওয়ানডে ক্রিকেটীয় ইনিংসের যাত্রা শুরু করে (ভুল হলে শুধরে দেবার জন্য অনুরোধ রইলো, আমি এতথ্যটুকুর ব্যাপারে সুনিশ্চিত নই )। ৩১ মার্চ, ১৯৮৬; ম্যাচটা ছিল পাকিস্তানের সাথে। ৪৫ ওভারের এই ম্যাচে মাত্র ৯৪ রানেই নবীন বাংলাদেশ দলের ইনিংস-সমাপ্তি ঘটে। পাকিস্তান দল তিন উইকেটেই ম্যাচ বের করে নিয়েছিল সেদিন। এরপর প্রায় ২৪ বছর চলে গিয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে সেই নবীন বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের ঝুলিতে এখন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার, মারকুটে ওপেনার, প্রথম সারির কিছু স্পিনার রয়েছে; জয়ের ধারাবাহিকতাটা জরুরী, ওটাও ধীরে ধীরে বাংলাদেশ দল রপ্ত করে নেবে বলেই আশা রাখি। বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন তারকা সমৃদ্ধ দলগুলোও আজকাল বেশ সমীহের চোখে দেখে আমাদের তরুণ-দুর্বার এই দলটাকে; ভালোই লাগে।
মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। প্রায় ৩৯ বছর আগে শুরু হওয়া একদিনের ম্যাচগুলো বেশ দাপটের সাথেই ক্রীড়ামোদীদের মাতিয়ে রেখেছে। সম্প্রতি ক্রিকেটের রাজ-দরবার আইসিসি একটা বেশ চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ’যাবত কালের সকল ওডিআই ম্যাচগুলোর মধ্য থেকে সেরা দশ বেঁছে নেয়া হয়েছে। আইসিসির ভাষ্যনুযায়ী, ওডিআই-এর ইতিহাস থেকে কেবল মাত্র দশটি সেরা ম্যাচ নির্বাচন করা অত্যন্ত দুঃসাধ্য ব্যাপার। তারপরও তারা চেষ্টা করছে এমন একটা তালিকা তৈরি করতে যেখানে স্থান পাবে ওডিআই ক্রিকেট ইতিহাসের অপেক্ষাকৃত শ্বাসরুদ্ধর, রোমন্থন যোগ্য এবং অবিস্মরণীয় মুহূর্তগুলো।
সেরা দশ ম্যাচের মধ্যে রয়েছেঃ
১) অস্ট্রেলিয়া vs. ওয়েস্ট-ইন্ডিজ (২১ জুন, ১৯৭৫)
২) ভারত vs. ওয়েস্ট-ইন্ডিজ (২৫ জুন, ১৯৮৩)
৩) পাকিস্তান vs. ভারত (১৮ এপ্রিল, ১৯৮৬)
৪) ইংল্যান্ড vs. অস্ট্রেলিয়া (২২ জানুয়ারি, ১৯৮৭)
৫) অস্ট্রেলিয়া vs. ওয়েস্ট-ইন্ডিজ (১২ জানুয়ারি, ১৯৯৬)
৬) অস্ট্রেলিয়া vs. দক্ষিণ-আফ্রিকা (১৭ জানুয়ারি, ১৯৯৯)
৭) পাকিস্তান vs. শ্রীলংকা (১৫ অক্টোবর, ১৯৯৯)
৮) পাকিস্তান vs. ভারত (১৩ মার্চ, ২০০৪)
৯) অস্ট্রেলিয়া vs. বাংলাদেশ (১৮ জুন, ২০০৫)
১০) অস্ট্রেলিয়া vs. দক্ষিণ-আফ্রিকা (১২ মার্চ, ২০০৬)
(একটু খেয়াল করলেই ধরে ফেলবেন, পুরো তালিকাটা টাইম লাইনের ভিত্তিতে সাজানো। তাই আগে ভাগেই ১,২,৩… র্যাঙ্কিং ভেবে নেবেন না যেন।)
উপরের তালিকায়, ২০০৫ এ কার্ডিফের সেই দুর্দান্ত বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটিও স্থান পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ২৪৯ রানের জবাবে সেদিন পাঁচ উইকেটে জয় ছিনিয়ে এনেছিল বাংলাদেশ। আশরাফুলের সেঞ্চুরির বদৌলতে বাংলাদেশ দল বেশ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। শেষ ওভারে আফতাবের সেই দানবীয় ছক্কাটা এখনো মনে আছে। পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই সেদিন জিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
যাই হোক, আইসিসি উপরের তালিকা থেকে আপনাদের পছন্দের ম্যাচটি বেঁছে নেবার সুযোগ দিয়েছে। ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে ইতিহাসের সবচেয়ে শ্বাসরুদ্ধর একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটির ভাগ্য।
চাইলে আপনারা ফেসবুক কিংবা টুইটার মেসেজের মাধ্যমেও আপনাদের মতামত জানাতে পারেন।
আপনার মূল্যবান ভোট দিন, অবশ্যই বাংলাদেশের সেই কার্ডিফ কাব্যের পক্ষে। খুব বেশি সময় লাগবে না, মাত্র মিনিট দুয়েক, কিংবা আরো কম। কী হবে না এতটুকু সময়? চলুন না, একটু নড়েচড়ে বসে চারপাশে জোরেশোরে জানান দেই; নিজেদের আরেকবার উল্লাসে মেতে উঠবার আরো একটা সুযোগ দাঁড় করিয়ে ফেলি এই অভাব-অভিযোগের প্রহরেও।
—————————————————————————————————————–
ভুলবেন না যেন— ভোট দেবার সুযোগ জারি থাকবে ২ জানুয়ারি, ২০১১ পর্যন্ত। অতএব, ঝটপট ভোটটি দিয়ে ফেলুন দেখি।
—————————————————————————————————————–
অস্ট্রেলিয়া vs. বাংলাদেশ (১৮ জুন, ২০০৫) হাইলাইটসঃ
—————————————————————————————————————–
—————————————————————————————————————–
অদ্ভুত বেপার ভাইয়া। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আমরা কলেজে ছিলাম। নাইট প্রেপ থেকে দৌড়ে টিভি রুম এ আসলাম। তারপর সে কী নাচানাচি আর চিল্লাপাল্লা!!!!!!!! কোন স্যার কিচ্ছু বলেননি সে দিন। কি জানি এটা অন্য কোনও ম্যাচ এর স্মৃতি কিনা! যাই হোক, ভোট টা দিয়ে আসি। আর খবরটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
সম্ভবত তুমিই ঠিক আছো। আমি বোধকরি জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ সিরিজের সাথে মিশিয়ে ফেলেছি। উপরে ঠিক করে দিচ্ছি। থ্যাঙ্কস ভাইডি 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বিরাট দামী একটা পোষ্ট দিছোস রে ভাই । ২ পিস ভোট দিয়া দিছি ।
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
ঐদিন আমাদের এইচ.এস.সি. এর ই.ডি. পরীক্ষার আগের দিন ছিল। বেশ আরামেই খেলা দেখেছিলাম, মনে আছে।
অস্ট্রেলিয়ার সাথে জেতার পর পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার রুমমেট স্বাগত বলেছিলো - কে জানে, আমরা কালকে রাতে ঘুমানোর সময় সবাই মিলে হয়তো একই স্বপ্ন দেখেছি।
এই খেলার স্মৃতি আজীবন মনে থাকবে।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কতবার যে এই খেলার ক্লিপ গুলা দেখেছি তার কোন হিসাব নাই। প্রথমবার ইন্ডিয়া কে হারানো আর অস্ট্রেলিয়াকে হারানো এখনো আমার স্বপ্ন স্বপ্ন লাগে।
খেলাটা দেখেছিলাম।ভোট দিলাম।জাল ভোট দেয়ার কি সিস্টেম আছে নাকি :grr: তাইলে আরো দিতাম :goragori:
অন্য কোন ম্যাচকে যদি দিতে হয় তাহলে ৯৯ বিশ্বকাপের আস্ট্রেলিয়া আফ্রিকা টাই(দেখেছিলাম)/ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ার ৪৩৪ চেজ করা।
কথা সত্য।
ইমরান ভাই, জাল ভোট দিতে মনে হয় জাল ই-মেইল আই ডি লাগবে. 🙂
টেকনিক্যালি বাংলাদেশের ভাল একটা সুযোগ আছে, কারন আমাদেরই একটা মাত্র ম্যাচ আছে। বাকি সব দেশেরই ভোট ভাগ হয়ে যাবে একাধিক ম্যাচের মধ্যে। এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারিদের ঠিকমত ভোট দেয়াতে পারলেই হয়।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ওহ... চা ওয়ালারে ধন্যবাদ দিতে ভুলে গেছি, ধন্যবাদ চাওয়ালা জিনিষটা সামনে নিয়ে আসার জন্য :clap:
৮টা ছিল দিয়ে আসলাম 😀
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ চাওয়ালা। মাত্র ৫টা ভোট দিলাম!! 😀
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আহা .. মনে পরে গেলো 😀 থার্ড প্রেপ এর পরে দৌড়িয়ে ফ.হা এ গিয়ে খেলার শেষ অংশ।আফতাব গিলেস্পির ক্যারিয়ার ধ্বংশ করে দিছে এর পরে =))
এই মাত্র ৪ টা ভোট দিলাম । আরো দিবো অচিরেই নতুন ইমেল আই ডি খুলে ।
মাত্র ৭ টা :grr:
দুর্ভাগ্যক্রমে মেচটা দেখা হয় নি। শরীর খারাফ ছিল,
ভোট-টা দিয়ে আসলাম। 🙂