ক্যাডেট কলেজীয় কৌতুক – ১

ক্যাডেট কলেজীয় কৌতুক – ১

হাবিলদার আমিন নামে, আমাদের একজন এন, সি, ও স্টাফ ছিলেন। শ্মশ্রুমন্ডিত তাঁর চেহারার সাথে অনেকটা আব্রাহাম লিংকনের মিল ছিল। বিকালে ক্রিকেট ফিল্ডে দাঁড়িয়ে একদিন আমাদের বললেন, “তোমরা খারাপ হইয়া গেছ”। আমি বললাম, “কি হল আবার?” উনি বললেন, “তোমাদের একজন গাঁন্জার কল্কি সহ ধরা পরছে”। আমি মানে মনে ভাবছি, বলে কি! ক্যাডেটদের উপস্হিত বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয়। আমার পাশে দাঁড়ানো ফজলু ভাই সাথে সাথে উত্তর দিলেন,

বিস্তারিত»

শেলী

[শুরুর কথা : এই লেখাটা আসলে ওয়াহিদা আপার ‘স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা – ৩’ এ মন্তব্য হিসেবে লিখেছিলাম। আপা বললেন লেখাটা পোস্ট হিসেবে দিতে। বুঝতে পারছিলাম না কি করব। একটু আগে দেখলাম, মইনুল ও একই কথা বলল। শেষমেশ ভাবলাম, পোস্ট করেই ফেলি। আসলে লেখার প্রতি (এমনকি ক্লাস রিপোর্ট অথবা প্রেজেন্টেশন এর ক্ষেত্রেও) আমার এতটাই অনীহা যে, নিজেকে লেখক হিসেবে কখনও কল্পনাই করতে পারিনা। শেষ পর্যন্ত সিসিবিতে আসার ২ বছর পর প্রথম পোস্ট দিলাম (যাই,

বিস্তারিত»

সুন্দর সুন্দর ব্যানার আহ্বান

সিসিবির অফিসিয়াল ব্যানার ডিজাইনার কোটিপতি কাইয়ূম ভাই ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমাদের ব্লগটাকে কেমন জানি গরীব গরীব দেখা যায়। ভাইসব, আপনারা যে যেভাবে পারেন ব্যানার দিয়ে আমাদের সিসিবিকে সাজিয়ে তুলুন। জাতির এই ক্রান্তিকালে আপনাদের কাছে আমাদের এটি একটি করুণ আবেদন।
সুন্দর সুন্দর ব্যানার দিয়ে চলুন আমরা আমাদের সিসিবিকে ঝলমল করে তুলি।

ব্যানার সাইজ: ৯৮০ X ১৬০
ব্যানারে ক্যাডেট কলেজ ব্লগ লেখাটি থাকতে হবে

ব্যানার পাঠানোর ঠিকানা: contact[at]cadetcollegeblog.com

বিস্তারিত»

যতই দু:খ তুমি দাওনা মোরে, আমি তোমাকেই ভালোবেসে যাব

যতই দু:খ তুমি দাওনা মোরে

—————ড: রমিত আজাদ

 

আজ হাতে কিছু জরুরী কাজ ছিল,

তাও কবিতা লিখতে বসলাম।

ভালোবাসা দিবস কি কবিতাহীন হতে পারে?

 

আমার জানালার সামনে একটি নারকেল গাছ আছে,

সেখানে এক জোড়া পাখী কিচির-মিচির করে,

ঠোটে ঠোট ঘষে কিছু বলল।

আমি পাখীর ভাষা বুঝতে পারলাম,

বিস্তারিত»

বেকার ভালোবাসার গল্প, ১৪ ই ফেব্রুয়ারী , ২০১১।

সখী ভালোবেসে সুখ নাহি পাই
তাই প্রতি রাতে ঝালমুড়ি খাই।
শুনেছ! ঝালের দামটাও গিয়েছে বেড়ে!
যাওয়ার সময় বলেছিল প্রিয়তমা হাত নেড়ে
“মিসকল দিওনা আর, ফোনে কল-ব্লক অপশন আছে”।

দুঃসময় কি আর গুনে গুনে পার করা যায়?
ঘড়ির ব্যাটারিটাও নষ্ট হয়ে গেছে সখী
বারোটা বাজতে আর কত বাকি আছে????
মাথার ভেতরে অজস্র স্বপ্নের নড়াচড়া তাই
আগুনকে আজকাল খুব বেশী ভয় পাই।

বিস্তারিত»

ব্যবধান


আমি ধরেই নিয়েছিলাম হবেনা। মাত্র এক, দেড় মাস সময়ে একেবারে ‘স্ক্র্যাচ’ থেকে শুরু করে একটা বই পাবলিশ করা কি মুখের কথা? কিন্তু সেই অসম্ভব কাজটাই সম্ভব করলো ‘বিদ্যাপ্রকাশ’ প্রকাশনী। গত বছরের একুশে বইমেলায় আমার লিখিত প্রথম বই, ‘আমেরিকার গল্পঃ রঙ দিয়ে যায় চেনা’ প্রকাশ করে ‘অনুপম’ প্রকাশনী। বইটা মূলত ‘মুক্তধারা’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুক্তধারা কোনো কারনে আমার সাথে যোগাযোগ করতে যথেষ্ট দেরী করে এবং অনুপম প্রকাশনী ইতিমধ্যে বইটা প্রকাশে আগ্রহ দেখালে স্বভাবতই আমি তাদের সাথে বই প্রকাশে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পড়ি।

বিস্তারিত»

ভালোবাসা দিবসে মনে পড়ে তোমাকে

আজ বার বার তোমাকে মনে পড়ে –

যেমন করে বাসতে ভালো
বুকে জড়িয়ে ধরে।

অথবা হরিনী চোখের ইশারায়
ডাকতে আমায় আপন করে।

যেমন করে রাখতে বেঁধে
অদ্ভুত এক মায়ার ডোরে।

কিংবা আমার উপর অভিমানে
দুচোখ আসত জলে ভরে।

ক্ষনে ক্ষনে মনে পড়ে –

যেমন করে করতে শাসন
অজানা কোন অধিকারে।

বিস্তারিত»

একটি ব্লগর ব্লগর

আর সবার মত শুরু করব নাকি বুঝতে পারছি না। আমার লিখতে ইচ্ছা করছে- ” অনেক দিন ধরেই ভাবছি লিখব, কিন্তু সাহস আর সময়ের অভাবে লেখা হয়ে ওঠে না”। অনুভূতির ব্যাপারগুলো মনে হয় ক্যাডেট প্রজাতি (বিভিন্ন সময় আর জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে বুঝতে পেরেছি যে, ক্যাডেটদের একটি আলাদা প্রজাতি বলা সম্ভব)-র প্রায় একরকম। তাই আমিও জানি আমার লেখা যতই বস্তাপচা হোক, সিসিবি ভাইরা এই পচা-গন্ধই বরাবর নেওয়ার জন্য আমাকে আবার ব্লগ লেখার জন্য “খুব ভাল হইছে,

বিস্তারিত»

আরেকটি কৌতুক

 

বাঘ ও ইদুর

বনের রাজা বাঘ একবার ঠিক করল যে, বিয়ে করবে। রাজার আশেপাশে সারাক্ষন নানা রকম মোসাহেব জন্তু-জানোয়ার ঘোরাঘুরি করে । রাজা একদিন তাদের বললেন, “এই শোন আমি বিয়ে করব ঠিক করেছি, আমার জন্য মেয়ে দেখিশ।” এই কথা শোনার পর আর কেউ বাঘের কাছেই ভিড়ে না। সবাই মনে মনে ভাবে, কোন মেয়ে দেখে রাজার রোষের শিকার হয়ে আবার তার পেটে চালান হয়ে যাই,

বিস্তারিত»

একটি কৌতুক

অল্পবয়সী একটি ছেলে একদিন নির্জন একটি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। যেতে যেতে পথের ধারে একটি খালি বোতল পরে থাকতে দেখল। তারপর যা করে অল্পবয়সীরা, বোতলে মারলো এক লাথি। ‘হু হু হা হা হা, বিকাটাকৃতি এক জ্বীন বেরিয়ে এসে বলল, “আমি জ্বীন ৫০০ বছর ধরে এই বোতলের মধ্যে আছি, বল তোর কি চাই?” ছেলেটি প্রথমে ঘাবরে গেলেও, জ্বীনের কথা শুনে তো ভীষণ খুশী। ভাবলো, এইতো আমার কপাল খুলে গেল।

বিস্তারিত»

খিচুড়ি-৪

ক।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের অফিসিয়াল ট্যুর শুরু হয়ে গিয়েছে। সব দেশের স্কোয়াড এখন আইসিসির অধীনে চলে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বকাপ নিয়ে উত্তেজনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এর মাঝে ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় খবর একটু আড়ালেই চলে গিয়েছে, অবশ্য খবরটা এক রকম রুটিন হয়ে যাওয়াও সেটার একটা কারন হতে পারে। সেটা হলো আবাহনী আবারো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এবার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে। জানি অনেকেই বলবেন, ধূর, এটা কোন খবর হইলো,

বিস্তারিত»

স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা ৩


সেপারেশন এংজাইটি বলে একটা কথা আছে যার সহজীকরণ বাংলা দাড়ায় ছেড়ে যাবার ভয়। পাঁচ ছয় মাসের বাচ্চারা যখন বুঝতে পারে তার মা আর সে আসলে ভিন্ন সত্তা তখন মা তার থেকে দূরে সরে গেলে সে ভীত হয়ে পড়ে। অথচ সেই বাচ্চাই একসময় মায়ের কোল ছেড়ে প্রেয়সীর হাত ধরার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে। বয়োসন্ধির আগ-পিছু হঠাত সে আবিষ্কার করে তার ‘আমিময়’ সত্ত্বাকে। সে আসলে পৃথিবীতে একা।

বিস্তারিত»

মনোবল থাকলে আমরাও পারি

মনোবল থাকলে আমরাও পারি

ড: রমিত আজাদ

আজ থেকে বহু বছর আগে ঘটে যাওয়া, আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি আপনাদের সাথে ভাগ করতে চাই। ১৯৮৯ সাল। আমি তখন জর্জিয়ার রাজধানী তিবিলিসি শহরের, তিবিলিসি রাস্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। শহরটিতে নানা দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করত। আমি সবেমাত্র ল্যাংগুয়েজ কোর্সের ছাত্র। বিদেশের মাটিতেও পা রেখেছি প্রথম। বাংলাদেশের মত দরিদ্র পশ্চাদপদ একটি রাস্ট্র থেকে এসেছি বলে কিছুটা হীনমন্যতাও ছিল।

বিস্তারিত»

৪০ বছরের অভিজ্ঞতা

[সবাইকে অনুরোধ – এই লেখাটাকে কেউ যেন খুব একটা সিরিয়াস লেখা মনে করে নিও না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের অভিজ্ঞতা খুব কম সময় একই হয়। ফলে সবার নিজের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে। আমাকে যেন কেউ আবার কখনও দায়ী করে ক্ষতিপূরণের মামলা ঠুকে দিও না।]

৪০ বছর আগে আজকের এই দিনে (৮ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৭১) মমতাজকে বিয়ে করেছিলাম আমি। এতগুলি বছর পার হয়ে গেছে –

বিস্তারিত»

আ মরি বাংলা ভাষা

বেশ কিছুদিন ধরে দাঁতের ব্যথায় ভুগছি। এদেশে ডাক্তারের এপয়েনমেন্ট পেতে রীতিমত গলদঘর্ম হতে হয় আর সেখানে যদি হয় আমার মতো মেডিক্যাল ইন্সুরেন্সহীন হতভাগি তাহলে তো আর কথায় নেই। বহু চেষ্টা তদবির এর পর অবশেষে একজন ডেন্টিষ্ট এর এপয়নমেন্ট পাওয়া গেলো। কিন্তু সমস্যা বাঁধলো ডাক্তারকে নিয়ে। ডাক্তার বাবাজি সাক্ষাৎ আমেরিকান। তিনি বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর আমার সমস্যাটি তাকে খুলে বলতে বললেন।

বিস্তারিত»