ইংরেজিতে একটি শব্দ আছে – এর বাংলা অনুবাদ ’ কাকতালীয়’। অর্থাৎ কাক এসে তাল গাছের উপর বসল, আর সাথে সাথে একটি তাল পরে গেল। এর মানে কি এই যে কাক এসে গাছের উপর বসল বলেই তালটা পরে গেল? নাকি তালটা পরবে জেনেই কাকটা এসে বসেছিল? আসলে দুটোর কোনটাই না।
“সুন্দরবনের জন্য ভোট দিন” সত্যি কথা বলতে কি এখনও ভোট দেয়া হয়নাই। কিন্তু গত তিন দিনের লম্বা ছুটি পেয়ে সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুলিনাই। কয়েকজন বন্ধু নিয়ে দে ছুট। সাথে ভাবীরাও আছেন। ১৭ই ফেব্রুয়ারি- ঢাকা থেকে শ্যামলী বাসে করে খুলনা যাত্রা। তারপর ঘাট থেকে নৌকা করে লঞ্চে উঠা- দ্যা রয়েল ম্যাগপাই। লঞ্চের মালিক ও নেতা “ফারুক ভাই”। সে এক জিনিস ভাই…মাইক্রোফোন হাতে পেলে কোন R.J এর ক্ষমতা নেই যে তার কথা কেড়ে নেয়।
ওয়াহিদা নূর আফজা (শান্তা) আপুর ব্লগ মনে হচ্ছে সিসিবি’র সাময়িক ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলে। ব্লগের বিষয়টা হচ্ছে ডঃ ইউনূসকে গ্রামীন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদত্যাগ করার জন্য সরকারী নির্দেশ। সরকারের ভাষ্যমতে, মূল গ্রামীন অধ্যাদেশ’ (১৯৮৩/৮৪ সালে জেনারেল এরশাদের সামরিক সরকারের অর্থমন্ত্রী ডঃ আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সময় জারিকৃত) অনুযায়ী গ্রামীন ব্যাংকের ব্যবস্থাপণা পরিচালকের সর্বোচ্চ বয়স সীমা ৬০ বছর যা’ ডঃ ইউনূস ১৯৯৯ সালে অতিক্রম করে গেছেন।
সিসিবি বড়ই নিস্তরংগ। সহজে কেউ পোস্ট দেয় না। পোস্ট দিলেও সিসিবিয়ানরা কমেন্ট করে না। আমিও এই দোষে দুষ্ট। তারপরও মনের ভেতর প্রশ্ন জাগলে সিসিবি ছাড়া আমার আর কোথাও জিজ্ঞেস করার জায়গা নেই যেখানে নানা মতের উত্তর পাওয়া যাবে। প্রশ্নটা আবার দেশ নিয়ে। গত কয়েকদিন ধরে মাথার মধ্যে খালি ঘুরছে তো ঘুরছেই। সাহস করে জিজ্ঞেসই করে ফেলিঃ
গ্রীক দার্শনিক হেরাক্লিটাস বলেছিলেন, “একই নদীতে দু’বার অবগাহন করা যায়না”। একই জাতীয় চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যায় আমাদের অঞ্চলের একটি গ্রন্থে।
যা হয়েছে তা ভালোই হয়েছে,
যা হচ্ছে তা ভালোই হচ্ছে,
যা হবে তা ভালোই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে – যে তুমি কাঁদছো?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে – যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ – যা নষ্ট হয়ে গেছে?
আমি, পাবন।
সিরিয়াসনেস শব্দটা আমার অভিধানে মোটামুটি অনুপস্থিত ছিল, আছে এবং থাকবে এই ব্যাপারে সবাই ৯০% এর বেশী নিশ্চিত।
তা হঠাৎ আজকের এই “EMOTIONAL ATTYACHAR” এর রহস্য কি ?
Wall Paper বা সোজা বাংলায় দেয়াল পত্রিকা।
আমার জন্মদিন ২০ফেব্রুয়ারি এবং [আমার কোন পাপের ফল আল্লাহ জানেন] দেয়াল পত্রিকা প্রতিযোগিতা চিরকাল ২১ফেব্রুয়ারি।
আমি “ক্রিয়েটিভ রাইটার” না এবং কপাল পুড়ল ওইখানেই !
বাজারে ভাংতি টাকার সমস্যা অনেক দিন যাবত। যতদূর মনে পরে, কমপক্ষে বছর দশেক হবে। এখন সমস্যাটি হয়েছে প্রকট। গতকাল এই ভাংতি টাকার অভাবে আমার ছোট ছেলেটি যেমন, তেমনি আমিও মনে খুব কষ্ট পেয়েছি। গতকাল ছিল মহান একুশে। ছেলেটিকে নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে, গেলাম বই মেলায়। এর আগেও দু’দিন গিয়েছি। বই যা কেনার ইতিমধ্যেই কিনে ফেলেছি। ছোট ছেলেটির চোখ এবার ছিল খেলনার দোকানগুলোতে। তার আবদার মত খেলনা কিনে দিয়েছি।
ইটালির এক সাগর তীরে, একবার এক ইটালিয়ান তার স্যান্ডেল হারিয়ে ফেলেছে। সে ভাবল কেউ হয়তো নিয়েছে। কাছে-পিঠে দেখল এক বাংলাদেশী তরুণ বসা। ইটালিয়ানটি ভাবলো এই বাংলাদেশীই হয়তো তার স্যান্ডেল নিয়েছে। কিন্তু কথা বলে বোঝা গেল যে বাংলাদেশী তরুণটি ইটালিয়ান ভাষা বোঝেনা। মহা সমস্যা! এবার অপর এক ইটালিয়ান এগিয়ে এল তার সাহায্যে। বলল আমি অনুবাদকের কাজ করি, সামান্য বাংলাও জানি। আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করতে পারি।
আর মাত্র তিন ঘণ্টা বাদেই শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচ:
বাংলাদেশ vs. ভারত।
বাংলাদেশের পুরনো জার্সি পড়েই পতাকা একটা কাঁধে জড়িয়ে নিয়ে বসে পড়েছি খেলা দেখতে। সম্ভবত এ’বিশ্বকাপের সবচেয়ে সেরা ব্যাটিং শক্তির দলগুলোর একটি ভারত। তাই এদের বিরুদ্ধে জেতাটা হয়তো বেশ দুঃসাধ্য; তবে অসম্ভব নয়। অন্তত আশা আর বিশ্বাসের ককটেল নিয়েই বসেছি। হারলে পরের ম্যাচে ভালো করবার জন্য আশাবাদী হবো,
১) সিসিবিতে প্রায় দু-মাস কিচ্ছু লেখা হয়নি।একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে, পাঠক-পাঠিকারা এই দুমাস ফাঁকিবাজি পোস্টের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।আক্ষরিক অর্থেই বেশ দৌড়ের উপরে রয়েছি-মোটামুটি একটি লেখা দিতেও যে সময় লাগে তাও পাবার আশা নেই।এ কারণেই, অনেকটা স্বার্থপরভাবে নিজের “প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি” হয়ে এই সিরিজ চালু করছি।এখানের টুকরো মন্তব্যগুলো একান্তই আমার নিজস্ব,আর আম জনতার দৃষ্টিতে দেখা এবং লেখা বলে কোন কোন উপমা/শব্দে কেউ কেউ হয়তো মাইন্ড করে বসতে পারেন।সেরকম কিছুর জন্যে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
ধরেই নিয়েছিলাম এবারো হবে না। এই ফেব্রুয়ারীও কাটাতে হবে ‘এই বইমেলাতেও একটা বই বের করতে পারলাম না’ এমন আক্ষেপ নিয়ে। আমার বই যিনি প্রকাশ করতে আগ্রহী ছিলেন, অসংখ্য সমস্যায় তিনি ডিসেম্বর এর শেষদিক আর জানুয়ারীর মাঝামাঝি পর্যন্ত ছিলেন জর্জরিত। ভেবেছিলাম উনার সমস্যাগুলোর সমাধান হবে, কিন্তু উনার দিনকাল এতই খারাপ যাচ্চ্ছিল যে একটা সময় বুঝতে পারলাম এইবার মনে হয় উনি আর সাহায্য করতে পারবেন না। জানুয়ারীর প্রথমভাগ তখন অলরেডী শেষ,
[ ডিসক্লেইমারঃ প্রায় এক বছর আগে লেখা, নিজের ব্লগের কোনায় ফেলে রেখেছিলাম। একটু ঝেড়ে মুছে ঢাললাম আজ।
বানান এবং লেখা সংক্রান্ত যে কোন পরামর্শ আমন্ত্রিত। ]
অ.
জন্মের সাথে সাথেই নাকি আমি কাঁদিনি, সবাই খানিকটা আশঙ্কিত ছিলো- বাক-প্রতিবন্ধী নয় তো! ডাক্তার সাহেব কষে দু’ঘা লাগাবার পরই চিৎকার করে অস্তিত্বের জানান দিলাম। তবে কথা বলতে খুব একটা দেরি করিনি; বছর পেরুবার আগেই বেশ ভালো বুলি ফুটেছিল।