আজ দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের একটি পিটি-৬ বিমান বরিশাল বিমানবন্দর এলাকায় ক্রাশ করেছে। বিমানের দুজন আরোহী স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফ এবং মাহমুদ ওই দূর্ঘটনায় শাহাদাত বরন করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তাদেরকে বেহেস্ত নসিব করুক।
স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফ ছিলেন পাবনা ক্যাডেট কলেজের ১৬ তম ব্যাচের একজন ক্যাডেট এবং এমজিসিসির আমাদের ব্যাচমেট(এবং কোর্সমেট) শাহনাজ জাহান পুষনের স্বামী। আল্লাহ পুষনকে এই শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি প্রদান করুক।
ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। এমন একটা পোষ্টে প্রথম হয়ে মন খারাপ হয়ে গেল। আল্লাহ তাদের জান্নাত নসিব করুন।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
আজ সকালেই এফবি তে পুষনের হাসিমুখের নতুন প্রফাইল ছবি দেখলাম। খুব কষ্ট হচ্ছে ওর জন্য।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তাদের জান্নাত নসিব করুন।
আশরাফ থাকতো তিতুমীর হাউসে। আমার এক ব্যাচ জুনিয়র। চমৎকার একটা ছেলে। খেলাধূলায় খুব ভাল ছিল, সম্ভবত পড়াশুনাতে। খুব ভালভাবে চিনি। কেমন যেন বিশ্বাস হচ্ছে না আশরাফ নেই।
গভীর সমবেদনা। ভাল থাকুক আশরাফ না ফেরার দেশে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আশরাফ ভাইয়ের সাথে দেখা হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। আল্লাহ তাদেরকে ভালো রাখুন। পুষন ইজ এন ওয়ারিয়র, শি উইল গেট থ্রু দিস।
ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।গভীর সমবেদনা।পুষন ইজ এন ওয়ারিয়র, শি উইল গেট থ্রু দিস।
খুবই মন খারাপ হলো খবরটা জেনে। বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থণা। আল্লাহ তার পরিবারকে শোক সহ্যের ক্ষমতা দিন।
ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহে রাজিউন।
হিন্দী মুভি রঙ দে বাসন্তীর কথা মনে পড়ছে।
আমাদের দেশে এই প্রশিক্ষণ বিমান দূর্ঘটনা কি থুব বেশি হচ্ছে না?
প্রশিক্ষণ বিমানগুলোতে কোনও ধরনের কারিগরি ত্রুটি ছিলো না তো?
সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি এবিষয়ে যথাযথ দৃষ্টি দিচ্ছে?
http://www.priyo.com/story/2010/sep/24/7134-14-military-planes-choppers-crash-17-years (সম্পাদিত)
২০০৬ এ আমি যদি BAF এ যোগ দিতাম হয়তবা আমারও ভাগ্যে এরকম কোনো পরিনতি থাকত, যে কারনেই বাসা থেকে অনুমতি মেলে নি...... কিন্তু আমি নিজে বেচে লাভ কি? পাইলটদের মরন তো আর থেমে থাকছে না!!!! রঙ দে বাসন্তি - ছবিটার কথা মনে পড়ছে। আর কত মৃত্যু হলে সবার টনক নড়বে?? সময় এসেছে... আসুন সকলে মিলে এর প্রতিবাদ জানাই।
সহমত, আমরা জবাব চাই, কোন ধরনের দায়সারা গোছের তদন্ত নয়, আমরা চাই , ভবিষ্যতে যেন আর কোন মেধাবী পাইলটকে না হারাতে হয়, ভবিষ্যতে যেন আর কোন পুষন আপুকে ভাষাহীন সান্ত্বনা জানাবার মত অসম্ভব কাজ না করতে হয়।
মন খারাপ হয়ে গেলো খুব।
গভীর সমবেদনা।
আসলে এইটা ভাগ্য যদিও ভাগ্য থেকে আমাদের পুরানো প্রশিক্ষণ বিমানগুলো বেশি দায়ী.আমার ভাই ভাগ্যবান{আহসান,৭৯২,সি.ক.ক.৯১-৯৭}২০০৫,৭ ই জুনে তার ফাইটার F7 উত্তরার কাছে বিকল হয়ে যায় ও কন্ট্রোল রুম তাকে তখনই প্যারাসুটে নিরাপদ অবতরণ এর জন্য বলে কিন্তু সে চেষ্টা করে বিমানকে জনবহুল এলাকা থেকে দুরে নিয়া যেতে,ক্রাশ করলে কম ক্ষতি হয়.আল্লাহ তাকে হায়াত দিয়া ছিলেন বলেই হয়তবা একদম শেষ মুহর্তে সব কিছু (উচ্চতা,বিমান এর অবস্থান)তার প্রতিকুলে থাকার পরো,ফায়দাবাদ এলাকায় তার বিমান বিধস্ত হলেও সে নিরাপদএ অবতরণ করে.Lets pray for Ashraf bhi's departed soul.
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
গভীর সমবেদনা।
মেধার এমন অপচয়ের দৃষ্টান্ত আর কি হতে পারে আমার জানা নেই।আমার ব্যাচমেট মেহেদী, যে ক্যাডেট কলেজে যে কোন অংক ৫/৭ রকমভাবে সমাধান না করতে পারলে শান্তি পেতোনা সে কি না গেলো এয়ারফোর্সে। পতেঙ্গায় তার ঘাঁটিতে গিয়ে ওর একজন কোর্সমেট (জেসিসির) এর সংগে পরিচয় হলো। কি যে সুন্দর পেইন্টিং করে ছেলেটি! ছবি আঁকাকে ক্যারিয়ার হিসেবে না নিয়ে সে যে ওখানে কি করছিলো তা নিয়ে আমি এখনো ভাবি।ওদের অ্যালবামে গ্রুপফটোগুলোতে প্রায় ৫০% অফিসার তখন শুধুই ছবি।সব প্ল্যান ক্র্যাশের শিকার।ফাইটার বিমান দিয়ে বাংলাদেশ কার সাথে কি যুদ্ধ করবে কে জানে। তবু এসব তুখোড় মেধাবী ছেলেগুলো টুপটাপ মারা যাচ্ছে।
মেহেদীর জন্য খুব টেনশন হতো, তার উপর রাগও হতো ওখানে যাবার জন্যে। ওর ভাগ্যে নিদারুণ কিছু ঘটেনি।সবার ভাগ্য তো তেমন না। যেসব মৃত্যু পরিহার করা সম্ভব সেই পথটির কথা জেনেও আমাদের শুধু ভাগ্যের পথ চেয়ে থাকতে হয়।
আমার একটাই প্রশ্ন : এমন কি যুদ্ধপরিস্থিতি হয়েছে বাংলাদেশের যে এসব খেলা আমাদের খেলে যেতেই হবে?
যাঁরা আরো জানেন তাঁরা হয়তো ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারবেন, আমাদের অজ্ঞতা দূর করতে পারবেন। (সম্পাদিত)
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আল্লাহ তাদের জান্নাত নসীব করুন
---------------------------------------------------------------------------------------- 🙁
কাল ডক্টরস ক্লাবে এক সিনিয়র ভাইয়ার কাছে শুনলাম একটা প্লেন ক্রাশ করেছে। ঊনি আশংকায় ছিলেন তার ফ্রেন্ড মারা গেছেন কিনা। পরে খবর দেখে আশ্বস্ত হয়ে আমাকে বললেন ব্যাপারটা। আমারও মনে শংকা জাগল তাদের কেউ আমার পরিচিত নন তো। আশরাফ ভাইএর খবরটা পেলাম সন্ধ্যায়। তার জন্য দোয়া করি। ইশ আর কয়দিন পরেই আমাদের রিইউনিইয়ন। দেখা হউয়ার সব সুযোগ হারিয়ে গেল।
শুধু ইন্নালিল্লাহ পড়লেই চলবে না। এর একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। এটা বিচ্ছিন্ন কোন দুর্ঘটনা নয়, এ বছরই কমপক্ষে ৪/৫ টা প্লেন ক্রাশের ঘটনা ঘটেছে। ভাগ্যজোরে কয়েকজন বেঁচে গেছেন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পাইলট হলে ক্রাশই যেন আমোঘ নিয়তি, অথচ তিনবাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে সেরা ছেলেগুলো যায় বিমানবাহিনীতে। বন্ড সাইন নিয়ে মুখ বন্ধ করার দিন শেষ, আমরা অত্যন্ত মেধাবী কিছু মানুষকে আর ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। তাঁরা দেশের জন্য ফাইট করতে গিয়ে মারা গেলে না হয় মানা যেতো কিন্তু তাঁদের মরতে হচ্ছে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। প্রত্যেকবার সেই একই চক্র ক্রাশ--তদন্ত--যান্ত্রিক ত্রুটি। যদি আমাদের উন্নত বিমান কেনার সামর্থ না থাকে তবে আপাতত বিমানে লোক নেয়া বন্ধ থাক। আমি আশা করবো ক্যাডেট কলেজ ব্লগ থেকে এ ব্যাপারে (মানসম্পন্ন বিমান ক্রয় ও মুড়ির টিনা মার্কা বিমান বাদ দেয়া) আন্দোলন শুরু করার এখনই সময়। তা না হলে আমাদের এই ডাবল ক্ষতি(মূল্যবান জীবন ধ্বংস+বিমান ধ্বংস) চলতেই থাকবে। এ ব্যাপারে গঠনমূলক পোস্ট আশা করছি।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন........
ইনালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউওন।
আশরাফ ভাই ছিলেন আমার হউসে।প্রথমে শুনে বিশ্বাস হয় নাই।এই ভাবে আর কতদিন বিমান ত্রুটির কারনে আমরা দেশের সেরা সন্তান দের হারব।