দিন শেষের আলো

অবশেষে ফিরে এলাম।
গত চার মাস ধরে সিলেট শহর থেকে দূরে বটেশ্বরের কোলে আছি।
জানে পানি নাই, সব রস শুকায় গেছে,…………।
(অবশ্য এইটা বোধহয় আমার জন্য প্রযোজ্য নয়, রস না থাকলে কি আর ব্লগ লিখতে বসি?)
যা হোক, কোর্স শেষ। এখন ঘরের ছেলে ভালয় ভালয় ঘরে(অথবা ইউনিটে) ফিরলেই বাঁচি।

এখানে একটা ডিস্ক্লেইমার দিয়ে রাখি, এই লেখাটা পুরোটাই একটা মনোলোগ,

বিস্তারিত»

অটোয়ার জার্নাল – চার

হারিয়ে যাবার নিয়ম নেই এখানে
আমি বুঝতে চাই এই অনুভূতিগুলো আমার মতো অন্যদের হয় কিনা। আমরা যখন সাংঘাতিক ভঙ্গুর অবস্থায় থাকি। ওলটপালট জীবনকে একদম নতুন করে সাজাতে চেষ্টা করি। কিংবা বার বার পিছলে যাই শূন্য থেকে পূর্ণ হবার চেষ্টায়, তখন হয়তো একবারে ছন্নছাড়া অবস্থা থেকেই শুরু করি। ব্যাপারটা কখনোই এমন হয় না যে হঠাৎ একদিন তুমি একখণ্ড লাল ইট দিয়ে নতুন ঘর বাধার মতো করে তোমার জীবন নতুন করে শুরু করলে।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক এবং ছেঁড়া কথন ০৪; আপাতত শেষ

এক ছোটভাই মুঘলদের কিছু ঘটনাকে মিথ আখ্যা দিলো।
সমস্যা?
কোনও সমস্যা নাই।
তারপরও মনে হলো আরও খানদুয়েক অ্যাড করি।

আকবর যে দিল্লিশ্বর বা বিরাট মাপের বাদশাহ ছিলেন এটা অনেকেই জানেন।
আরও জানেন যে আকবর নতুন এক ধর্মের প্রবর্তন করেছিলেন, দ্বীন-ই-ইলাহি। অনেকটা আজকের শিখ ধর্মের মতন; সকল ধর্মের জগাখিচুড়ি।
তবে এও শোনা যায়, মৃত্যুর পূর্বে তার নবরত্নদের একজন; খুব সম্ভবত আবুল ফজলের কাছে মুসলমান হয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

ইচ্ছে ছিল

আমার রক্ত-মাংসে প্রতিনিয়ত মেশে নীল বিষ
তবু আমি কী নির্বিকার,অচঞ্চল!
আমার গহীন কোণে জমে বিধ্বংসী আধার
তবু আমার চারপাশে অসংখ্য ঝাড়বাতি,উজ্জ্বল!
কী ভীষণ প্রিয় ছিল বন্ধুর মুখ,ফেলে এসেছিলাম-
এতদিন পরে আজ ভুলেও গেছি
প্রতি রাতে হিসেব কষে কষে, কবে কী পেয়েছি!
কী ভীষণ প্রিয় আমার কন্যার মুখ,স্নেহেমোড়া
তবু আমি কামান্ধ ধর্ষক,
নিভৃত গৃহকোণে বা উজ্জ্বল দিবালোকে!

বিস্তারিত»

প্রসঙ্গ ফেক আইডি

কিছুদিন আগে সিসিবিতে একটি লেখা আসে ‘সুদ’ নামক বস্তুটির ভয়াবহ তান্ডবলীলা- ১, ২ এই নামে। লেখার ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত লেখা যতক্ষণ পর্যন্ত সিসিবির রেডবুক এর সাথে সাংঘর্ষিক না হয় ততক্ষণ লেখা প্রকাশ করা হয়। এই লেখাও সেরকম ভাবেই সিসিবির প্রথম পাতায় প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সিসিবির মডারেটর প্যানেলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে যে সেই লেখার লেখক তার প্রোফাইলে ভুল তথ্য ব্যবহার করেছেন।

প্রোফাইলের তথ্য অনুসারে,

বিস্তারিত»

জ্ঞান পাপীদের কে বলছি…!!

মাধ্যমিক পরিক্ষার ফল প্রকাশিত হল। ছোট ভাইটা ছিল এবারের পরীক্ষার্থী। যাই হোক,কোন ভাবে উতরে গেছে তিন বিষয়য়ে এ প্লাস মিস করে। গোল্ডেন/ সিলভার বিষয়ক মাথা ব্যাথা আমার কোন কালেই ছিল না। স্বভাবতই খুবই খুশি ছিলাম ওর ফলাফলে। অল্প বিস্তর চিন্তিতও ছিলাম,গিফট ব্যাপার টা নিয়ে। বদটার আবার আকাশ ছোঁয়া আবদার।।

গত কাল খুব ভোর বেলা বদটার ফোনে ঘুম ভাঙল।”ভাইয়া আজকের প্রথম আলোটা এক বার খুলে দেখিস,

বিস্তারিত»

অস্পষ্ট, ধোঁয়াশা, কিংবা স্পষ্ট কথা

আমরা অনেকেই মুক্তবুদ্ধির বা মুক্তবুদ্ধি চর্চার কথা বলি। বাস্তবে তা হয়তো হয়ে ওঠে না।
আমার এক ছোট ভাই একবার প্লান করেছিল তার অফিসের রুমের পাশে নামাজের একটা রুম রাখবে; নামাজের সময় হলে ড্রয়ার খুলে টুপি পড়ে সামনে যে থাকবে তাকে নামাজের দাওয়াত দিয়ে নিজে ঐ রুমে নামাজ পড়তে যাবে। এবং সে স্বীকার করেছে যে পুরাটাই ভাওতাবাজি; কারণ সে নামাজই পড়তে জানেনা।

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই যারা এই ব্লগটা যারা তৈরি করলো বা যারা সম্পাদনা কমিটিতে আছে।

বিস্তারিত»

জন্মদিন জন্মদিন

ফেইসবুক নাই, তাই কার কার জন্মদিন নোটিফিকেশন পাওয়া যায় না। মাথায় ঘিলু কম, তাই মনেও থাকে না। আজকে তাই জন্মদিনের বাহক নিজেই যখন জানালো যে গত দশই মে তার জন্মদিন ছিল, তখন আমি একটু খুশি হলাম এই ভেবে যে, নিজেই যদি নিজের জন্মদিন ভুলে যায়, তাহলে অন্যে ভুললে খুব তো ক্ষতি নাই। তার কাছে থেকেই আরও জানা গেল, যে আমাদের আরও একজনেরও নাকি তার একদিন বাদেই জন্মদিন ছিল…

বিস্তারিত»

ট্যালেন্ট শো

ট্যালেন্ট শো ………… ক্যাডট কলেজ জীবনে একটি অনন্য সাধারন ঘটনা।প্রতিভার সূর্য কিরনের উপযুক্ত লগ্ন………………সবার জন্য কি আসলেই তাই????!!!!

আমার মা এর খুব শখ ছিল তার ছেলে গান শিখবে………হলও তাই।খুব একটা মন্দ ও গাইতাম না।ক্যাডেট কলেজ আসার পর শুনলাম ট্যালেণ্ট শো এর কথা।নিজের প্রতিভা উপস্থাপনা করার জন্য এর থেকে ভাল সুযোগ আর নেই।আমার গাইডের কাছে শুনলাম তার ট্যালেন্ট শো এর গল্প।সেই শো তে তার ছিল সরব উপস্থিতি।তার গল্প শুনে ভাবলাম আমি ও কিছু করব……………গাইড বংশের একটা মান-ইজ্জতের বেপার আছেনা(ক্লাশ ৭ এর সেন্টীমেণ্ট)!!!!!যেই ভাবা সেই কাজ-গেলাম আমাদের বিখ্যাত ফর্মমাস্টার নানি(আনিস হাসিনা)এর কাছে।বল্লাম,ম্যাডাম আমি একটা প্যারোডি গান করব(কে জানত যে আমি আমার নিজের ই বিশাল প্যারোডি মঞ্চায়ণ করতে যাচ্ছি)।নানি বলল কি ধরনের প্যারোডি গান???আমি বললাম স্টাফরা ড্রিল করানোর জন্য যে প্যাঁদানি দেয় তা একটা ইংলিশ প্যারডী গানের মাধ্যমে উপস্থাপনা করব,

বিস্তারিত»

ইতিহাস কতটুকু মুক্ত?

গ্রীক শব্দ ‘হিস্টরিয়া’ থেকে ইংরেজি ‘হিস্ট্রি’ শব্দটি উদ্ভূত। যার অর্থ ‘খোঁজা’। অন্য অর্থে ক্রমাগত গবেষণার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান। বর্তমান কালের– ‘উইকিপিডিয়া’ একটি সংজ্ঞা দিয়েছে ইতিহাসের। উইকি-র মতে ইতিহাস গবেষণার একটি শাখা, যা ঘটনার ক্রমবিকাশকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, বিশ্লেষণ করে ‘ন্যারেটিভ’ বা আখ্যানের সাহায্য নিয়ে। শুরুতেই এত গুরুগম্ভীর সংজ্ঞা দেবার কারণ এটাই যে, ইতিহাস ভৌতবিজ্ঞানের মত বা গণিতের মত নৈর্ব্যক্তিক নয়; যে অংকটি যে নিয়মেই করা হোক না কেন উত্তর একই হবে কিংবা আলোর গতি যে নিয়মেই বের করা হোক না কেন তা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা হবে।

বিস্তারিত»

এলোমেলো পোস্টঃ ৩০ তম ইনটেক

আসির চেয়ে যে মসি শক্তিশালী এর দৃষ্টান্ত আমরা ক্লাস ৭ এই পেয়েছিলাম। শবে-বরাত এর রাতে মাগরিবের নামাজ শেষ করে সবেমাত্র রুমে ঢুকেছি। হথাত একটা আর্তচিৎকার শুনে হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসলাম। ঘটনা কী বুঝে ওঠার আগেই দেখি ২০৫ নম্বর রুমের রহমান ও মোকতাদির মিলে একজন কে ধরাধরি করে হাসপাতাল এ নিয়ে যাচ্ছে। ঘটনা কি হল বুঝতে না পেরে আমরা সবাই উৎকণ্ঠিত হয়ে ব্লক এ দাড়িয়ে আছি।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক এবং ছেঁড়া কথন ০৩

লেখাগুলো লাফাচ্ছে এডাল থেকে ওডালে।
পড়তে গিয়ে কেউ বিরক্ত, কেউ হতাশ, আবার কেউ নতুন করে ভাবার অবকাশ পাচ্ছে।
গেলো সপ্তাহ কেটেছে প্রচণ্ড ব্যাস্ততায়। ইস্টার সানডে, প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখানকার ট্যাবলয়েডগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই রাজপরিবারের কোনও না কোনও খবর থাকে। ট্যাবলয়েডগুলো এসব সংবাদ বেশ রসালো করে প্রকাশ করে।
রাজা জর্জের যে বংশধারা আজ রাজসিংহাসনে তার পেছনে মূল কারণ কিন্তু প্রেম।

আমরা প্রায় সবাই রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের সিংহাসন ত্যাগ করার কাহিনী জানি।

বিস্তারিত»

অটোয়ার জার্নাল – তিন

এমনি
এক একটি দিন কখনো কখনো যায় শুধুই নষ্টালজিয়ায়। আমি বোধহয় এই সময়টায় সাংঘাতিক অতীতচারিতায় ভুগছি। হয়তো এটাই হোমসিকনেস। আমি হোমসিক! কয়েকটি শহরে নিজেকে খুঁজে ফিরছি। আমার জন্ম যশোরে, সেইখানে আমার নাড়ি পোঁতা আছে। গেঁদা শৈশব সাতক্ষীরায়, সেই স্মৃতি খুব অস্পষ্ট যদিও। খুলনা এবং যশোর, শৈশব এবং কৈশোরের রঙীন দিনগুলো। মাঝে রাজশাহীতে কিছুদিন – সাহেব বাজার, টি-বাঁধ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, টেনিস ক্লাব, চিড়িয়াখানা, উপশহর,

বিস্তারিত»

একজন বড়আপা অথবা আমাদের মা নয়তো কোন স্নেহময়ী নানু

আমার নানার তখন ১০ জনের সংসার।শাহীনবাগের আধপাকা তিন রুমের নিজ বাড়ী আর নানার সরকারী চাকরীটা তখন এই পরিবারের সম্বল।বাসার বড় বোন হিসাবে আম্মুকে তখন একহাতেই সব সামলাতে হতো।ছোট ভাই বোনদের খাবার,গোসলের পানিটা কল থেকে তোলা,পড়াশোনা আম্মা বেশ ভাল ভাবেই সামলাতেন।এক ভাইকে কোলে নিয়ে আরেক বোনকে পড়াটা দেখিয়ে দিতে দিতেই রান্নাও করতেন।আমার মামা,খালারা এখনও মাঝে মাঝে ই গল্প গুলো বলেন।বড় আপার প্রতি সম্মান এর চাইতে ভালবাসাটি তাদের বেশী।তাইতো দেখি তাদের অতি ছোটখাটো কোন আয়োজনেও আমার মা কে তাদের চাই।সুদূর কানাডা বা অস্ট্রেলিয়া থেকেও তারা তাদের বোনটিকে ভুলে যায় না একবারও।সেই কষ্টের দিনগুলোতেও আমার মা একবারও পথ হারাননি।আমার নানা তার শেষ দিনগুলোতে অনেক কথা বলতেন আমার সাথে।আম্মার জন্য নানা যত দোয়া করে গেছেন তাতে অন্য ভাই বোনের হিংসা করতে ই পারে ।

বিস্তারিত»

একটি সাময়িক পোস্টঃ ভোট চাই, সময় নাই…

বুয়েট এবং বুয়েটমুগ্ধ এবং বুয়েট বিরুদ্ধ সকল ভাই ও বোনেরা…

আমাদের বুয়েটের এক আলোকচি্ত্রী বন্ধু সম্প্রতি কিউবি আয়োজিত একটি অনলাইন আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় প্রথম ২৫ জনের মধ্যে এসেছে।।

ছবিটি ফেসবুকে সবার লাইক দেবার জন্য কাল রাত [৫ তারিখ] ১২ টা পর্যন্ত উন্মুক্ত আছে।মোট লাইকের উপর পুরষ্কার।অতএব এই স্বল্প সময়ে কেডু কেরামতির অপেক্ষায় আছি

প্রথমে qubee এর FB পেইজে লাইক দিতে হবে।

বিস্তারিত»