ছোট গলিটা পেরিয়ে মেইন রোডে উঠে আসে নান্নু মিস্ত্রী।বামের মোড়টাতে পৌরসভার বড় ডাস্টবিনটা,কত কাক যে উড়ছে তার ইয়ত্তা নেই।এই সাতসকালে কা কা শুনে নান্নু মিয়ার মেজাজটা যতোটা না বিগড়ে যায় তার চেয়ে বেশি বিগড়ে যায় এই ছন্নছাড়া কাকের দলকে দেখে।সামান্য কাক হয়েও ওদের খাবারের অভাব নেই,যার যেমন ইচ্ছা উড়ছে আর খাচ্ছে।ইশ্,কাক হয়ে জন্মালেও জনমটা সার্থক ছিল-আনমনেই ভাবে সে।
সকাল আটটা বেজে ত্রিশ মিনিট।সেই ভোর ছ’টা থেকে নান্নু মিয়া তার যন্ত্রপাতি নিয়ে রাস্তার ধারে বসে আছে।আরো অনেকেই আছে তার সাথে।যারা পরিশ্রম সস্তায় বিকিয়ে দিতে রাজি হয়েছে তারা ইতোমধ্যেই কাজ পেয়েছে।একটা স্কুল ভ্যান যাচ্ছে।ঢাকার নামকরা পুরনো সব স্কুলভবনগুলো নান্নু মিয়ার বাপ-দাদার হাতেই গড়া।অথচ তাকে আজ বেকার বসে থাকতে হয়।সব দোষ ঐ দানবাকৃতির যন্ত্রগুলোর-নান্নু মিয়া বসে বসে ভাবে।তার রাজমিস্ত্রির পেশাতে আজ এগুলো ভাগ বসাচ্ছে।ইট ভাঙার আর ঢালাই এর মেশিনগুলোর উপর তার আক্রোশটা তাই প্রতিনিয়ত বেড়েই চলে।
নাহ আর না।দুপুর হয়ে এলো বলে,নান্নু মিয়া এবার উঠে।আজ আর কাজ পাবার আশা নেই।খিদেয় পেটটা চোঁ চোঁ করছে।বাসার পথে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত পা দুটো আর চলতে চায় না।ঐ তো,কাছেই একটা নারকেল গাছ।খানিকক্ষণ জিরোবে বলে গাছের গোঁড়ায় হেলান দিয়ে বসে পড়ে।দক্ষিণা বাতাসে কখন যে তার চোখ জড়িয়ে আসে তা সে টে রই পায় না।
কা কা কা।কিসের চিৎকারে যেন ঘুম ভেঙে যায় নান্নু মিয়ার।উপরে তাকাতেই দেখতে পায় গাছের চূড়ায় কতোগুলো কাক।আরামের ঘুম হারাম করে দেয়ায় আরেকবার তার বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াল এই গোবেচারা কাকগুলো।ওহহো,বিকেল তো শেষ হয়ে এলো।বাসায় যেতে হবে বলে বিরক্তি ঝেড়ে উঠে দাড়ায় সে।আজ তার আয়ের অংক শূন্য,তাই দুশ্চিন্তায় বাসার পথ ধরে নান্নু মিয়া।
ভাসানটেকের বস্তিতে তার ভাড়া বাসা।বাসার কাছাকাছি আসতেই শুনতে পায় স্ত্রীর চিৎকার আর ছেলেমেয়েদের কান্নার চিরচেনা সুর।এখন এসব শুনে অভ্যস্ত সে।চার বছরের একটি মেয়ে আর তিন বছরের দুটি যমজ ছেলে,দু’দিন ধরে উপোষ থাকলেতো এরা কাঁদবেই।আর সারাদিন এদের কান্না শুনলে ওদের মায়ের মেজাজ খারাপ হবেই।এ যেন তার কাছে পৃথিবীর সরলতম সমীকরণ।
এভাবে ঘুম ভেঙে গেল!ব্যাপারটা ঠাহর করতেই বুকটা মোচড় দিয়ে উঠে নান্নু মিয়ার।এ কী দেখলো সে! মধ্যরাতের এই স্বপ্নটা তবুও যেন সব সমস্যার ইতি টেনে দেয়।আবার শুয়ে পড়ে সে,কিন্তু ঘুম আর আসে না।কী করবে সে?নিয়তিকেই মেনে নিবে?নাকি স্বপ্নের ঐ সমাধানকেই কাজে লাগাবে?অনেক ভেবে সে স্বপ্নটাকেই বেছে নেয়।এপাশ-ওপাশ করতে করতেই রাতটা কেটে যায়।
ভোরবেলা ছেলেমেয়েদের ঘুম থেকে তুলে সাথে নিয়ে বের হয় সে।আজ তার সেই দুরূহ স্বপ্ন বাস্তব হতে চললো।
ভোর ছয়টা।নান্নু মিয়া মেইন রোডের বাম কোণায় একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে।তার চোখে পানি।এ অশ্রু আনন্দের নাকি বুক ভরা ব্যথার তা সে জানে না।
পৌরসভার বড় ডাস্টবিনটাতে অজস্র কাক কা কা রবে উড়ছে।আর তাদের সামনে অফুরন্ত খাবার।খুব ভালো করে খেয়াল না করলেও চলে,এক নজর তাকালেই দেখা যায় শত শত কাকের মাঝে তিনটি অদ্ভুত কাক নীরবে খাবার খেয়ে যাচ্ছে।ওরা কা কা রবে ডাকতে পারে না।
ওয়ান অ্যান্ড অনলি লেখা গল্প ।ভুল হইলে ক্ষমার চোখে দেখবেন । ক্লাস এর লেখা ।জাগতিক ব্যস্ততার দরুন আর লেখা হয়ে উঠে নি । আপনারা উৎসাহ এবং নির্দেশনা দিলে লেখা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে ।
পরথম।।। ভাল হইসে। চালায়ে যাও। তবে শুরু করার রুলস জানতো??
না ভাইয়া, কিছুই জানিনা । আপানারা না জানাইলে অকুল পাথারে পইরা থাকবো ......।। 🙁
ভাইয়া,ধন্যবাদ 🙂 । আমি কিছুই জানিনা ভাইয়া 😕 । জানাইলে উপকার হইত 🙂 ।
ভাইয়া,ধন্যবাদ 🙂 । আমি কিছুই জানিনা ভাইয়া 😕 । জানাইলে উপকার হইত 🙂 ।
তোমার ব্লগর ব্লগর বা গল্পটা '৭৪ কে মনে করিয়ে দেয়।
(সিসিবি থেইক্কা কি নিয়ম-কানুন সব উইঠ্যা গেল নাকি??) ~x( ~x( ~x(
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
বড় ভাই.........আগে সেলুট টা নেন ::salute:: .........৭৪ এ তো আমি আল্লাহ্র কাছে ছিলাম .........ভাইয়া কি হইসিল তখন...... 😕
ভাইয়া,
তোমার লেখা সুন্দর হইছে। ফেসবুকে শেয়ার দিয়া দিলাম।
সাইনের মধ্যে গিয়া দেখো ডিগবাজির একটা ব্যাপার আছে। প্রথম লেখা হইলে ১০ তা দিতে হয়।
তুমি যেহেতু এখনো দেও নাই; তুমি দিবা ২০ টা।
আর দিগনির্দেশনা কি রে ব্যাটা; তোর যদি কোনও লেখা লিখার পর মনে হয় এইটা ব্লগে দেয়ার মতন তাইলেই হাতে তালি বাজাইয়া দিয়া দিবি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ক্যাডেট! ফন্টল ইস্টাট বলচি!
(দারুণ লেখা) :thumbup:
থেঙ্ক ইউ ভাই......... স্টার্ট কইরা দিসি......... :frontroll: ......
লেখা ভালু পাইছি।
তয় পোলা তো দেখি নমুনা টাইপ, এতজনে কইতাসে, তারপরেও ফ্রন্টরোল দেয়ার নাম নাই !!
ভাইয়া...না বুইজ্জা নমুনা মারছি......মাফ কইরা দেন.........নিচে যে ফ্রন্ট রোল লাগান স্টার্ট মারছি ব্রেক করতে পারতাসিনা......... :frontroll: :frontroll: :frontroll:
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
রাজিব ভাইয়ের কথা মতন বিশটার জায়গায় ত্রিশ টা লাগাইলাম.........তেরামির দিন ত শেষ ............ বড়ই উৎসাহ পাইলাম, সকলের কাছ থেকেইইইইইই......... ::salute::
লেখা তো মশাই ভালোই লিখছ। কিন্তু শেষের মেটাফোরটা বুঝি নাই। আর নিয়ম একটাই, লিখতে থাকবা বা মন্তব্য করতে থাকবা। কখনোই মনের কথা মনে নিয়া বইসা থাকবা না।
মোগলের হাতে যখন পড়ছ মোঘলাই খাওয়ার নিয়ম এমনেই শিখা যাবা। তবে তাড়াতাড়ি ফ্রন্ট্রোল গুলা দিয়া ফালাও............।। :grr:
ভাইয়া, লাস্টের কাক তিনটা হইল নান্নু মিয়ার তিন ছেলে-মেয়ে...........।আর ফ্রন্ট রোল তো দেয়া যে ভাই স্টার্ট করছি আর থামতে ইচ্ছা করতেসে না...... :frontroll: :frontroll: :frontroll: ..................... :frontroll: .........
ভাই দ্বিতীয়বার পড়ে বুঝলাম। সাংঘাতিক হইছে গল্পটা। চমৎকার,চমৎকার...। :gulli2: :gulli2:
ধন্যবাদ ভাইয়া......... ::salute::
স্বাগতম ... 😡
ধন্যবাদ ভাইজান...... 🙂 🙂 🙂 🙂
লেখা ভাল লেগেছে, ব্লগে স্বাগতম। এখন নিয়মিত লিখতে থাক ( তার আগে ১০টা লাগাও x-( )
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাইয়া...আগেই ত্রিশ টা লাগাইসি......তারপরও আপনার খাতিরে............আর ও দশটা :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: ...............সিনিয়র এর অর্ডার মানা তো ফরজে আইন... ::salute::
খুব ভাল লিখেছ ভাইয়া...এই আনন্দে আরও দশটা ইস্যু করা হোক।
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: .....লাগাইয়া দিলাম ভাইজান...... 🙂
ebar tham... x-( :pira: