সেপ্টেম্বর/২০১৭ থেকে রোহিঙ্গা সমস্যা আমার মগজের বেশ কিছুটা দখল করে নিয়েছে।রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ঢল, তাদের দুর্দশা টিভি আর দৈনিক সমূহে দেখে মনে হল বিষয়টি বার্মা কি ভাবে দেখছে জানা দরকার।আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোই বা কেন বার্মাকে সমর্থন করছে? তখন থেকে মাঝে মাঝে বার্মা এবং রোহিঙ্গা বিষয়ে জানার জন্য অন্তর্জালে ঘোরা শুরু করি।টুইটারে কিছু বার্মিজের প্রোপাগান্ডা দেখলাম। একটি স্ক্রীন শট-
মায়ানমারের সরকারি ওয়েবসাইট বলছে বাঙ্গালিরা তাদের নিজেদের ঘরবাড়িতে নিজেরাই আগুন দিয়েছে যাতে মনে হয় রাখাইনরা আগুন দিয়েছে।একজন মন্ত্রী কফি আনান জাতিসংঘ মহাসচিব থাকাকালে আফগানিস্তান সমস্যার সমাধান করতে পারেনি তা উল্লেখ করে বলেছে আনান কমিশনের রিপোর্ট এর সুপারিশ তারা মানবে না।অংসান সুচির আপত্তিতে কফি আনান তার কমিশনের রিপোর্টে রোহিঙ্গা শব্দ ব্যবহার করতে পারেন নি তা তো সবাই জানে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মায়ানমার সফর শেষে দেশে ফিরে এলে মনে হলো এবার মায়ানমারের অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে কি না তা দেখা দরকার। মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে সুচির সাক্ষাত বিষয়ে তাদের তথ্য মন্ত্রণালয় কি বলে? বলবে কি ?! ক্যাপচা দেখায়!!! কত যে ক্যাপচা! অথচ মায়ানমারের সরকারি ওয়েব সাইটের দাবি তারা আছে জানাতে, শেখাতে, বিনোদিতে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ? স্ক্রিনশটের নিচের দিকে দেখুন।
অনেক ঝামেলার পর ঢোকা গেলো অন্তর্জালের মগরাজ্যে। স্টেট কাউন্সিলর নিউজে খবরটির অস্তিত্ত্বই নাই। স্ক্রিন শট দেখুন। তার মানে ওদের অবস্থান পাল্টায়নি। মায়ানমারের ওয়েবসাইটে এর পরও মাঝে মাঝে ঢুকেছি। রাখাইন বিষয়ে ওদের মনোভাব তেমন পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না। তার কিছু নমুনা পেশ করলাম।
ক্যাডেট কলেজ ব্লগে এ নিয়ে বেশ ভাল কিছু লেখা আশা করেছিলাম। আপনারা কি ভাবছেন জানতে পারলে ভাল লাগবে।আরও কিছু ক্যাপচা…
এ লেখাটিতে মন্তব্য না পাওয়ায় ধরে নিচ্ছি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আমরা তেমন কিছু ভাবছি না। যারা পড়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল