আমার দেখা স্বর্গপুরি – ২

আমার দেখা স্বর্গপুরি – ১

খুব ভোরে প্যারিসে পৌঁছালাম। সকাল ৮ টা। ইন্টারন্যাশনাল বাস টার্মিনালের অপেক্ষাগারে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত হয়ে বসে বসে ঠিক করে নিচ্ছি আজকের দিনের পরিকল্পনা। কোথায় আস্তানা গাড়বো সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে আর এর মাঝেই এক আগন্তুকের আবির্ভাব। আগন্তুক আমাদেরকে তার বাসায় পেইং গেষ্ট হিসাবে থাকার প্রস্তাব করলো। প্রতিদিন ২০ ইউরো দিতে হবে বিনিময়ে থাকা এবং খাওয়া। ফ্রড হতে পারে এইকথা মাথায় থাকার পরও কেমন করে যেন আমরা রাজি হয়ে গেলাম।

বিস্তারিত»

পিকনিক পিকনিক

১. রবিনের আইটেম

সকাল সাড়ে আটটায় পান্থপথ থেকে বাসে উঠলাম। সঙ্গে সঙ্গে রবিনের ফোন। ও অপেক্ষা করছে মহাখালী ফ্লাই ওভারের নিচে। সেখান থেকেই বাসে উঠবে। ভাবলাম বাস কতদূর এলো জানতে ফোন করেছে। কিন্তু রিসিভ করার পর শুনি অন্য কথা……দোস্ত একটা আইটেম পাইয়া গেলাম মহাখালী, পিকনিকে নিয়া যামু ওইটারে।
সর্বনাশের কথা- আমি মনে মনে ভাবলাম। শালার ভাই কি পিকনিকে দুই নম্বর কিছু নিয়া যাইতে চাইতেছে নাকি!

বিস্তারিত»

লুভর মিউজিয়ামের এক ঝলক !!

(সিসিবির বাচ্চাদের জন্য সতর্কবানী: একটা ছবি ১৮+ হতে পারে। কোন আপত্তি থাকলে আমাকে জানালে আমি সরিয়ে ফেলব। )

প্রতি মাসের প্রথম রবিবার প্যারিসের মিউজিয়ামগুলো দর্শনার্থীদের জন্য ফ্রি। ফ্রি পেলে শুধু যে বাঙ্গালীই ঝাপিয়ে পড়ে তা নয়, বরং সারাবিশ্বই হুমড়ি খেয়ে পরে প্যারিসের জাদুঘরগুলোতে। তার মধ্যে লুভর মিউজিয়ামের লাইনটাই সবচেয়ে বড় নিঃসন্দেহে। এমন ফ্রি ডে তে নিরানন্দ বাসায় বসে কাটানোর কোন মানে হয় না।

বিস্তারিত»

৩৬ দিনের দেশ- ০১

ইয়ে, যেহেতু সবাই ভুলে গেসে সামিয়া হোসেন কে ছিল, তাই আগের ব্লগটার লিঙ্ক দিয়ে দিলাম।
৩৬ দিনের দেশ

যশোর রোড ধরে আগাতে আগাতে আগাতে আগাতে একসময় আমরা কলিকাতায় পৌছে গেলাম। কলিকাতা, …আমার অঞ্জনের চোখ দিয়ে দেখা কলিকাতা। আপনি যদি কখনো অঞ্জনের ‘নিয়ে যা’ গানটা না শুনে না থাকেন, তবে অতি অবশ্যই শুনে ফেলবেন।

তিনশ বছরের পুরনো শহর এই কলকাতা।

বিস্তারিত»

ঘুরে এলাম মেঘের দেশে

না পাঠকবৃন্দ, আমি অন্য কোন দেশের কথা বলছি না এখানে। আমি এখানে এমন এক দেশের কথা বলছি যা কিনা আমাদের বাংলাদেশের ভিতরেই অবস্থিত, অথচ প্রচার এবং প্রসারের ধীর গতির কারনে আমরা অনেকেই এই মেঘের দেশের ঠিকানা এবং যাবার উপায়টা ঠিকমতো এখনো জানিনা। আর ভনিতা না করে এবার বলেই ফেলি নামটা। আমি কিছুদিন আগে “নীলগিরি” ঘুরে এলাম। তারই কিছু বর্ণনা এবং ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করব এখন।

বিস্তারিত»

আমার দেখা আমেরিকা (২য় পর্ব)

আমার দেখা আমেরিকা (প্রথম পর্ব)

দুবাই টু লন্ডন

রাত ২টায় দুবাই বিমান বন্দরে প্লেন নামলো। সবার আগে বের হতে চাইলালাম, কারন আমার হাতে সময় মাত্র ১ ঘন্টা; পরবর্তী প্লেন ধরার জন্য। টাইট শিডিউল। রেল গাড়ীর মত আজব দর্শন বাসে উঠতে হলো, প্রায় মিনিট ১৫ চলার পর আমরা টার্মিনালের কাছে পৌছলাম। এখানে আরেক সমস্যা, লম্বা লাইন সিকিউরিটি চেকের জন্য। শত শত মানুষ,

বিস্তারিত»

৩৬ দিনের দেশ

সাত দিনের এক্সকারশনের নতুন রূপ পেলাম ভার্সিটিতে উঠে। ঢুকেই শুনলাম এখানে নাকি ইন্ডিয়া ট্যুর হয়। মন বলল, ভালই তো।
ট্যুরের টাকা জমাচ্ছিলাম বহু আগে থেকেই, তীরে এসে হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিতে হলো, যাবো না। তরী ডুবার ঠিক আগ মোমেন্টে আবার সিদ্ধান্তের পরিবর্তন।
তাই একসময় বোচকা বুচকি নিয়ে রওনাও হয়ে গেলাম।

৩৬ দিনের চিরুনী অভিযানের প্রতিটা দিনে আমি নিজের দেশকে আবিষ্কার করেছি নিত্য নতুন ভাবে,

বিস্তারিত»

আমার দেখা আমেরিকা (প্রথম পর্ব)

ভুমিকা পর্ব

সরকারী কাজে প্রায় ৭ মাস সময়ের জন্য আমাকে আমেরিকা থাকতে হয়েছিল। দেশ ছাড়ার সময়টা ছিলাম খুব দোটানার মধ্যে। এক দিকে স্ত্রীর গর্ভে ৮ মাসের সন্তান, তাও আবার আমার প্রথম সন্তান। একবার ঠিক করে ফেললাম যাবনা, চুলায় যাক এই চাকরী। এবার বউ বেকে বসলো, সে বলল তাকেও নিতে হবে আমার সাথে। আত্মীয়রা সবাই আমাদের বিপক্ষে, প্রথম বাচ্চা ঝুকি নেয়া ঠিক হবেনা। অবশেষে সিদ্ধান্ত আমি যাব বেবীটা ২/৩ মাস হলে আমার বউ তাকে নিয়ে পরে আসবে।

বিস্তারিত»

আমার দেখা স্বর্গপুরি – ১

ফার্স্ট টার্ম এন্ডের ছুটি শেষ হতে মাত্র ৮ দিন বাকী। এর মাঝে হঠাৎ করেই মাথায় ইউরোপ ট্যুরের ভূত চেপে বসলো। ভেবেছিলাম ভিসা পেতে অনেক ঝামেলা হবে কিন্তু তেমন কোন ঝামেলা হলো না। দুই মাসের স্যাঞ্জন ভিসা নিয়ে ফ্রান্স এম্বাসি থেকে সোজা রওনা হলাম ভিক্টোরিয়া বাস স্টেশনের দিকে। অনেকগুলো প্যাকেজ অপশনের মধ্য থেকে আমি আর তৌহিদ “লন্ডন-আমস্টারডাম-প্যারিস-লন্ডন” রুটের দুইটি ওপেন টিকিট কাটলাম। ঐদিনই রাত দশটায় ইউরো লাইনস এর বাসে উঠে পড়লাম।

বিস্তারিত»

মাধবকুন্ড, শ্রীমঙ্গল এবং নীলকন্ঠ টি কেবিন !!! (ছবি ব্লগ)

রমজান মাস চলছে…সবাই এখন কাজের চাপ থেকে একটু হলেও হালকা থাকে, কিন্তু আমাদের কপাল বড়ই খারাপ। এই রোজার মধ্যেও এক্সারসাইজ করে এক্কেবারে জান প্রান শেষ। ৪ দিনের পাঙ্গা শেষ করে গত শুক্রবার ফিরে এলাম। আর তারপর শুক্রবার সারাদিন শুধু ঘুম আর ঘুম। শনিবার সকাল থেকেই প্ল্যান করছিলাম যে কি করা যায়…… :dreamy:

হঠাৎ মাথায় এল যে একটা জায়গায় যাওয়া এখনো বাকি আছে, তাই যেই ভাবা সেই কাজ।

বিস্তারিত»

ঘুরে বেড়ানো……সিলেট (ছবি ব্লগ)

সিলেট এসেছি প্রায় ৩ মাসের কাছাকাছি, কিন্তু কোথাও যাবার সুযোগ করে উঠতে পারছি না । কোর্সের কঠিন সিডিউলে মাথা খারাপ হয়ে যাবার মত অবস্থা, তারপরও ছুটির দিনগুলোতে এদিক সেদিক চলে যাই…অনেক জায়গাতেই এখনও যাওয়া হয় নি, আশা করছি যে কোর্স শেষে সেগুলোও ঘুরে আসব। আসলেই চমৎকার জায়গা এই সিলেট, অনেক চমৎকার চমৎকার জায়গা আছে ঘুরে বেড়ানোর জন্য, যারা এখনও সিলেট আসেন নি একবার ঘুরে যেতে পারেন……

বিস্তারিত»

সিসিবি কে ঘুরিয়ে আনি নাইজেরিয়ান বিবাহ অনুষ্ঠানে …

আমার এই কামলাগিরির সবচেয়ে বড় পাওনা হল দেশবিদেশের বিভিন্ন জাতের মানুষ ও সংস্ক্বৃতি দেখা । সেই সুযোগ পারত:পক্ষে আমি হাতছাড়া করতে চাই না। আজ আমার এক কলিগের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। তাই সেজেগুজে রওনা হলাম ট্রেডিশনাল নাইজেরিয়ান বিয়ের আসরে। নাইজেরিয়ানরা স্বভাবতই খুব প্রানোচ্ছল ও হাসিখুশি। বিয়ের আয়োজনও নাইজেরিয়ানদের মতই বর্নময় ও আনন্দমুখর। আমি নিজে খুব উপভোগ করেছি , এমনকি নাইজেরিয়ান দের মতো অংশগ্রহনও করেছি। তার কিছু কিছু মুহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

বিস্তারিত»

ভ্রমন ব্লগঃ এইবার কক্সবাজার

গত কিছুদিন আগে আমাদের কলেজের ওয়াহিদ ভাই (৯০-৯৬) একদিন ক্লাবে বল্লেনঃ “ওই কিছুদিন পর একক থেকে আনফিসিয়ালী ট্যুর দিমু। যাবি নাকি?” ট্যুর আবার কখনো মিস করি নাকি? রাজি হইয়া গেলাম সাথে সাথে। মাঝখানে গত সপ্তাহে রাঙ্গামাটি থাকতে আমাদের জিন্নাত ফোন দিয়া কইলো ট্যুর কনফার্ম হইছে। ৩০ তারিখ রাতে যাবো কক্সবাজার। ১ তারিখ রাতে ব্যাক করবো।

ঢাকাতে ব্যাক করে ভুলে গেসিলাম কনফার্ম করতে যে আমি যাবো।

বিস্তারিত»

এ জার্নি টু দা ক্যাপিটাল অফ ম্যাংগো

গত এপ্রিলে আমার বন্ধূ মাহবুবের শশুড় বাড়ী রাজশাহী গিয়েছিলাম। তখনি বললো জ়ুনে ‘আম খেতে চাপাই নবাবগঞ্জের ভোলাহাট যাওয়ার প্ল্যান আছে। ব্যাপারটা মাথায় রাখিস। সময়মতো ডেট জানানো হবে’। ভোলাহাট ওর মামা শশুড়ের বাড়ী।

প্ল্যান মাফিক বৃহস্পতিবার ছূটি ম্যানেজ করলাম। এখন যে ল্যাংড়া আমের সিজন। আগামী সপ্তাহে ফজলী। ১৭ জ়ুন বুধবার অফিস করে বাসায় গিয়ে কল্যাণপূর যাওয়ার জন্য বের হই এবং অবধারিত ভাবে ৪০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর সি এন জ়ি পাই।

বিস্তারিত»

ভ্রমন কাহিনীঃ বৃষ্টির দেশে -১

২০০৭ এর ফেব্রুয়ারী মাস। আমরা ৩ বন্ধু গ্রামীনফোন এর বোরিং (???!!!!) চাকরি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য নিয়্যত করলাম। শেষ পর্যন্ত ঠিক হলো শিলং এবং চেরাপুঞ্জি ঘুরে আসার। ২৮ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে সোহাগ পরিবহন এ চেপে রওনা দিলাম সিলেট এর উদ্দেশ্যে। ভোরে সিলেটে ঘন্টা দুয়েক যাত্রা বিরতি দিয়ে তামাবিল এবং ইমিগ্রেশন, কাস্টমস পার হয়ে ওপারে ডাউকী চেকপোস্ট। একটা ট্যাক্সি নিয়ে শিলং পথে রওনা।

বিস্তারিত»