ভ্রমণ কাহিনীর আমি গোগ্রাসে গিলি। তাতে মজা একটাই। অদেখা, অজানা সব জায়গায় নিজে যেতে না পারলেও অন্যের চোখ দিয়ে দেখে নিই। এই যে আমাদের শান্তা, এমন সব দারুণ লেখে। পড়েও অতৃপ্তিটা থেকে যায়। যদি আরো কিছু পাওয়া যেত। কিন্তু ভ্রমণ তো এক জায়গায় শেষ হতেই হবে। শান্তা দেশ দেখে, স্থান দেখে, মানুষ দেখে, সেসব নিয়ে ভাবে- তারপর দারুণভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরে। সাইফ ভাই মানুষ দেখেন।
বিস্তারিত»বগা লেক (ফটোব্লগ)
বগা লেক
আয়তন : ১৫ একর।
সমুদ্র প্বষ্ট হতে উচ্চতা : প্রায় ২৭০০ ফুট ।
উপজেলা সদর হতে দুরত্ব : প্রায় ১৫ কিলোমিটার ।
রাঙ্গামাটির রঙ্গে চোখ জুড়ালো……এবং আমাদের হিরোহিতোর বিয়ে…
হিরোহিতোর বিয়ে…হিরোহিতো চাকমা…..চাকমাদের বিয়ে দেখার লোভ সামলাতে পারলামনা।..এমনিতে পোলাপাইনকে ঠেলতে লাগে দশদিন।কিন্তু যেই মাত্র তানভীর বলল, “দোস্ত, চাকমা বিয়ে দেখাও হবে, সেই সাথে চান্সে রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই ট্যুর। ব্যাস আর পায় কে?যেই ভাবা, সেই কাজ। তাড়াতাড়ি টিকিট ম্যানেজ করো। এই গরমে এ.সি বাস ছাড়া কাজ হবেনা, হাসনাতের আবদার। করপোরেট মানুষ।আমাদের মতন ছা পোষা না। ওর কথা তো ভাবতেই হয়।তো দায়িত্ব পড়ল ফরিদের ঘাড়ে। না করতে পারেনাই। কিন্ত এই গরমে আমাকে ধরছে যে টিকিট কিনতে ওর সাথে যেতে হবে।
বিস্তারিত»অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (জীবনের টুকরো দেশে-বিদেশে)
১
মাঝে মধ্যে রাতের খাবারের সময়টাতে আমরা পরিবারের সদস্যরা মিলে গল্প গল্প খেলি। খেলাটা হচ্ছে কোন একটা বিষয়বস্তু নিয়ে পালাক্রমে সবাই একটা করে গল্প বলবে। যেমন কোন একদিনের বিষয়বস্তু ছিল এম্বুলেন্স। রাইসা গল্প বললো এইভাবে যে ফেইরী গড মাদারের দেরি দেখে সিন্ডারেলা ৯১১ (আমেরিকার জরুরী বিভাগের নাম্বার) নাম্বারে ফোন করে এম্বুলেন্স ডেকে এনে তাড়াতাড়ি রাজপুত্রের নাচের অনুষ্ঠানে চলে গেল। রাসীনের গল্পটা হলো এম্বুলেন্স আর ফায়ার ট্রাক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।
নিজ গৃহে পরবাসী
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক
কে বলে তা বহুদূর
১০০ কিমির মাঝে স্বর্গ নরক
টাঙ্গাইল ঢাকাতাই সুরাসুর।
ঢাকার অতি মাত্রায় যান্ত্রিক এবং ব্যস্ততম জীবনে প্রায়ই হাপিয়ে উঠি।ঢাকা আমার কাছে একটা সিক সিটি এবং মাঝে মাঝেই আমার মন বিদ্রোহ করে বসে।তখন কিচ্ছু ভাল লাগেনা।শুধুই মনে হয় আই নীড এ ব্রেক।তখন আর কোথাও না হলেও আমার টাঙ্গাইল যাওয়ার কথাই মনে হয়।তার মানে আমাকে হোমসিক ভাবার কোন কারন নেই।শহীদ কোচিং দিয়ে শুরু তারপর ৯৩-৯৯ ফৌজদারহাট কেন্দ্রীয় কারাগারে কাটানোর পর বিগত ১১ বছর ঢাকার দূষিত বায়ু সেবন আর ভেজাল খাবার খেয়েই কেটে যাচ্ছে।সব মিলে প্রায় ১৯ বছরের হোস্টেল/মেস লাইফ।আমার জীবনের বেশির ভাগ সময়ই বন্ধুময়।সবার মাঝে থেকেও একা থাকা যায় যা ফ্যামিলি লাইফে সম্ভব না।সিংগেল লাইফে এতই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে বিয়ে করতে ইচ্ছে করেনা।আর টাঙ্গাইল গিয়ে বেশিদিন ফ্যামিলির সাথে থাকলেও কেমন যেন আবদ্ধ লাগে!যদিও উত্তরা থেকে টাঙ্গাইল যেতে উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে যে সময় লাগে তার চেয়েও কম সময় লাগে তারপরও স্টুডেন্ট লাইফ থেকে আজ পর্যন্ত আমার মাসে একবার যাওয়ার অভ্যাস।উইক এন্ডে দু একদিন থেকে চলে আসি অতিথির মত।সারাজীবন বাড়ির বাইরে থাকার কারনে আমার নিজেকে নিজ গৃহে পরবাসী মনে হয়।কিন্তু সবকিছুর পরও টাঙ্গাইলেই মুক্তি।আমার সোজা হিসেব-ঢাকা নরক আর টাঙ্গাইল স্বর্গ।ঢাকায় আছি স্রেফ পেটের দায়ে।বিদেশে থাকলে বাংলাদেশের প্রতি যেমন ভালবাসা অনেকগুনে বেড়ে যায়,
বিস্তারিত»সুন্দরবন ট্যুরঃ ২০০৯
(সেই ঊননিশ’ তিপ্পান সালে টাইটেলটা লিখে রাখছিলাম , আজকে চেষ্টা
করব পুরোটা শেষ করে উঠতে )
বিয়ের ঠিক একমাস দশদিন পর জামাই উড়াল দিবে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের দিকে এমনটাই ঠিক হয়েছিল । দূর্ভাগ্য আমাদের , এই সময়টুকুতেই আমার ডিপার্টমেন্টের স্যারদের মাঝে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল পরীক্ষা নেয়ার । ফলাফল আমি ঢাকা আর সে ময়মনসিংহ । দুই বছর পর যাও বা সে ফিরল ,
বিস্তারিত»ক্ষুধার রাজ্যে ঝলসানো রুটি
মিঃ ফক্স (Ffolks) সহ আমরা ছয় জন ছিলাম আমাদের গ্রুপে। মিঃ ফক্স ছিলেন এক জন ব্রিটিশ ওভারসিজ ভলান্টিয়ার যিনি ক্যাডেট কলেজে এসেছিলেন আমাদেরকে ইংরাজী শিখাতে। গ্রুপের অন্যরা হচ্ছে মুশফিক (ডঃ মুশফিকুর রহমান – এখন অস্ট্রেলিয়ায়), শফি (ডঃ শফিউল্লাহ – বর্তমান ভিসি, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়), আনিস (বারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ – বিগত ফরেন মিনিস্টার ও জাতীয় পার্টি নেতা), মান্নান (মঞ্জুর মান্নান – বর্তমান ওফা সিজিবি চেয়ারম্যান ও কমিশনার,
বিস্তারিত»বিশ্বকাপ ডায়রি-০১
ম্যান্ডেলার শেষ ম্যাজিকটা এবার দুনিয়া দেখবে।
যিনি বলছেন, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কাস্টমস পুলিশের চাকুরে। নিজের পুলিশ পরিচয়টা অহঙ্কারের সঙ্গে একমাত্র বাংলাদেশি পুলিশই দিয়ে থাকে বলে ধারণা ছিল। পরশু জোহানেসবার্গের ওলিভার টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধারণাটা বদলে বাংলাদেশি পুলিশের চেহারায় দাঁড়াল ওই তরুণ। ব্যাগপত্র সব নাকি চেক করবে। যতই বুঝিয়ে বলা হলো, ইতিমধ্যে একাধিকবার চেক করা হয়েছে এবং তাতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি এবং যাবেও না,
গন্তব্য বেইজিং-২
১৭ মে ২০১০(সকাল)-১৭ মে ২০১০(রাত)
আমাদের পুরা ট্যুর প্রাইভেট ট্যুর এজেন্সি প্লান করেছিল। তারাই আমাদেরকে রেলওয়ে স্টেশন থেকে নিতে এসেছে। বাসে যাওয়ার পথে আমাদের আজকের ট্যুর এর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানো হলো। আজকের ভেন্যু ঠিক করা হয়েছে তিয়েন-আন-মেন স্কয়ার। বেইজিং এর নান্দনিক সব বহুতল ভবন দেখতে দেখতে আমাদের হোটেল ‘হেজেল ইন্টারন্যাশনাল’ এ পৌছালাম। হোটেল এ চেক ইন করে রুম এর কার্ড নিয়ে রুমে প্রবেশ করেই দেখি দরজার কাছে ৩ টা বিজনেস কার্ড পড়ে আছে।
গন্তব্য বেইজিং
“জ্ঞান অর্জনের জন্য সূদুর চীন দেশেও যাও।” এই কথা মেনে চীন এ সরকারী একটা কোর্সে এসেছি ৫ মাসের জন্য। এই কোর্সের সময়ের ঘটনা নিয়ে লেখার ইচ্ছা অনেকদিন ধরে থাকলেও লিখব লিখব করে লেখা হয় নাই। যদিও আমার লেখা সুখপাঠ্য তো নয়ই এমনকি পাঠযোগ্য ও নয়। তারপরও আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
কবীরকে যখন ফোন এবং মেইল এ চায়না আসার পর আমার অনুভূতি জানালাম; তখন ও বলল,
বিস্তারিত»একজন পর্বতারোহী ও কিছু কথা ৫
(২৯-১১-০৯ এর বাকি অংশ)
পারভেজের জ্বরটা আমাদের দুজনের বেইস ক্যাম্প আসার পথের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়, এর মধ্যে আরো কিছু ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় এক স্যার ফল ইন করিয়ে সবাইকে বলে দেন যে পরের দিন(আজ) একটা টিম কে আবার বাক্ষিমের দিকে পাঠিয়ে দেয়া হবে যখন বাকি সবাই রওনা দিবে বেইস ক্যাম্পের উদ্দ্যেশে। স্যারের কথা বলার ধরনটাও ঠান্ডা, কারণ খুব সম্ভবত এটাই যে এ পর্যায়ে এসে বেইস ক্যাম্পের পথে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে,
বিস্তারিত»প-এ র-ফলা আর ত-এ হ্রস্ব-ই-কার, এর পরের অংশে প্রাধান্য কার?
একটা বিষয় নিয়ে আমি কদিন ধরেই লিখব লিখব করছিলাম কিন্তু পহেলা বৈশাখের নানা প্রোগ্রাম আর প্রোগ্রাম পরবর্তী পরীক্ষা সমূহের জন্য হয়ে উঠছিল না। পরীক্ষা এখনো চলছে যদিও, তাও ভাবলাম লিখি। আর সহ্য হচ্ছে না।
১৫ তারিখে সার্টিফিকেট তোলার জন্য গিয়েছিলাম JCC তে। ভালই লেগেছিল এতদিন পর আবার সেই চেনা জায়গা-তে ঢুকে। আমার সাথে ছিল আমার বন্ধু নাঈম। ওর প্রায় ৭ বছর পর কলেজে ঢোকা হলো কারণ ২০০৭ এর রি-ইউনিয়ন ও মিস করেছিল।
বিস্তারিত»ভারত রাজনীতি : বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্ক ও সাম্প্রদায়িকতা
ছোট অযোধ্যা শহরে এসে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের প্রধান সাধু নিত্যগোপাল দাসের ‘নির্মোহী আখড়া’য় ঢুকে শুনলাম তিনি উজ্জয়িনীতে কুম্ভমেলায় গেছেন। ভোট দিতেও অযোধ্যায় ফেরেননি। ফেরেননি আরো কয়েক শ সাধু-সন্ন্যাসী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নেতারা বারবার অনুরোধ জানালেও নিত্যগোপাল দাস ফেরেননি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এবার ভোট দেবেন না।
আখড়ারই একজন জানালেন, কথা বলতে হলে ফৈজাবাদ ‘নাকা হনুমান গড়ি মন্দিরে’ যেতে হবে।
বিস্তারিত»মিশরের দীনা, রানধা কামেল ও আরও কিছু গল্প
দীনার গল্প
মিশরে আমাদের গাইড ছিল দীনা। মিশরের মেয়ে। সে নিজেই জানালো তার বয়স ২৭, বিয়ে করেনি, কারণ একজন পারফেক্ট পুরুষ সে খুঁজে পায়নি। তবে এটা বুঝলাম তার পারফেক্ট পুরুষের খবর আছে। এক সেকেন্ডও কথা না বলে থাকতে পারে না। হয় আমাদের সাথে কথা বলছে, না হয় ড্রাইভারের সাথে, আর তা না হলে ফোনে।
দীনা বেশির ভাগ মিশরীয় মেয়েদের মতো হিজাব পড়ে না।
ভারত রাজনীতি : গুজরাটে নিরাপত্তাহীন মুসলিম, ভোটেও গুরুত্বহীন
নয়াদিল্লি ছেড়ে আসা ট্রেন ‘আশ্রম এক্সপ্রেস’ গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদের সীমান্তে হাঁটু পানির একটি নদী অতিক্রম করল। সহযাত্রী গুজরাটের এক সরকারি কর্মীকে প্রশ্ন করে জানলাম, নদীর নাম ‘সবরমতি’। স্মৃতিতে ভেসে উঠল এরকমই আরেক ট্রেনের নাম ‘সবরমতি এক্সপ্রেস’, যাতে করে ২০০২ সালের মার্চে গুজরাট ফিরছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একদল করসেবক। গোধরায় স্টেশনের অদূরে ট্রেনে আগুন ধরে ওই করসেবকদের অনেকেই মারা গিয়েছিলেন। আর তার প্রতিক্রিয়ায় সে সময় ভারতের এই গুজরাট প্রদেশের কোনায় কোনায় জ্বলে উঠেছিল প্রতিহিংসার আগুন।
বিস্তারিত»