না পাঠকবৃন্দ, আমি অন্য কোন দেশের কথা বলছি না এখানে। আমি এখানে এমন এক দেশের কথা বলছি যা কিনা আমাদের বাংলাদেশের ভিতরেই অবস্থিত, অথচ প্রচার এবং প্রসারের ধীর গতির কারনে আমরা অনেকেই এই মেঘের দেশের ঠিকানা এবং যাবার উপায়টা ঠিকমতো এখনো জানিনা। আর ভনিতা না করে এবার বলেই ফেলি নামটা। আমি কিছুদিন আগে “নীলগিরি” ঘুরে এলাম। তারই কিছু বর্ণনা এবং ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করব এখন।
আমি এবং আমার সহধর্মিনী যখন নীলগিরি পৌছলাম তখন ছিল শরতের শুরু। আমরা সকালে রাঙ্গামাটি থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম হয়ে তারপর বান্দরবানে গেলাম। বান্দরবান সেনানিবাসে পৌছাতে বিকেল হয়ে গিয়েছিল। মেসে লেট লাঞ্চ করে নীলগিরি পৌছাতে পোছাতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত ৮ টা। গাড়ী থেকে নেমে প্রচন্ড হিমশীতল বাতাস আর ঝিরঝির কুয়াশার মতো বৃষ্টির মধ্যে কোনরকমে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলাম। আমাদের রিসোর্টের নাম ছিল “মারমা রেইসা”। সিঙ্গেল দম্পতির জন্য তৈরী এটা। ভিতরে ঢুকে তো আমরা বাশের তৈরী আসবাব আর রুমের সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বাথরুমে গিয়ে তো আমি আরো অবাক। বাথরুমের একপাশের উপরটা খোলা যেখান দিয়ে আকাশ দেখা যায়। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে প্রকৃতিকে দেখার এমন কনসেপ্ট দেখে বেশ মজা পেলাম।
যাহোক, রুমে ঢুকে ভেজা কাপড় পাল্টালাম। এরপর দুজনে মিলে গরম চা খেলাম এবং মুগ্ধ হয়ে কিছুক্ষণ রুমের সৌন্দর্য্য উপভোগ করলাম। আরো ঘন্টাখানেক পর ডিনারের জন্য আবারো ঐ কনকনে আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে হেটে গিয়ে ১০০ গজ দূরে যেতে হলো ক্যাফেটেরিয়ায়। রাতে আর তেমন কিছু দেখা গেলনা। মনে হলো চারদিক থেকে ঘন কুয়াশায় ক্যাফেটেরিয়াটাকে ঘিরে আছে। ডিনার করে রুমে ফিরলাম। ঘুমানোর আগেই সকালে সূর্যোদয় দেখার প্ল্যানটা করে ফেললাম এবং ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে ঘুমালাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বারান্দার দিকের পর্দা সরাতেই আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম। কোথায় এলাম? এটা কি বাংলাদেশ নাকি নেপাল? আমার সত্যি সত্যি মনে হলো বাহিরের কোন দেশে ঘুরতে এসেছি। কারন এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য এর আগে শুধু টিভি পর্দাতেই দেখেছি, বাস্তবে নয়। দেখলাম মেঘগুলো আমাদের রিসোর্ট ঘেষে পাহাড়ের নিচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আমরা মেঘের উপরে অবস্থান করছি। বারান্দার যাবার স্লাইডিং ডোরটি টেনে সরালাম। মাঝে মাঝে মেঘ এসে বারান্দা দিয়ে রুমে ঢুকছে। কি অদ্ভুত সেই দৃশ্য! আমার স্ত্রী তা দেখে লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠল। দুজনে মিলে বারান্দায় গেলাম, মেঘ ছুলাম। মনে হলো ঠান্ডা কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলাম। তখন বুঝতে পারলাম যে, আগের রাতে যে ঝিরঝির বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে হেটে রুমে ঢুকেছিলাম, তা আসলে ছিল ঘন মেঘ। আমরা দুজনে মেঘের ভিতর দিয়ে হেটে রুমে ঢুকেছিলাম যার কারনে ভিজে গিয়েছিলাম। যাহোক, সকালে দেখি আমাদের বারান্দার সবকিছু ভিজে ছিল। দূরের পাহাড়ের সারি আর তার নিচ দিয়ে প্রবাহমান খালটি কি অদ্ভুত সুন্দরই না দেখাচ্ছিল। আমার স্ত্রীর অভিযোগ, আরো আগে কেন এখানে নিয়ে আসলাম না…
নিচে মাত্র দুটি ছবি দিয়ে কিছুটা বোঝানোর চেষ্টা করছিঃ
বিশ্বাস করুন, বাস্তবে খালি চোখে দেখা নীলগিরি এই ছবির চেয়ে শতগুনে সুন্দর।
তারপর অনেক্ষন ধরে বারান্দায় ছিলাম, ছবি তুললাম আর মেঘের ভেসে যাওয়া দেখতে থাকলাম। তুলার মতো মেঘগুলো পাখির পালকের মতো ভেসে ভেসে চলে যাচ্ছিল পাহাড়ের গা ঘেষে, আমাদের নিচ দিয়ে। বর্ণনা দিয়ে আসলে ঐ সৌন্দর্য্য বোঝানো যাবেনা। সূর্যোদয় দেখার আশায় আরো ঘন্টা খানেক বারান্দায় থেকে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম সূর্য অনেক আগেই উঠে গিয়েছে এবং অনেক উপরেও উঠে গিয়েছে। আসলে মেঘের কারনেই সূর্য ঢাকা পড়ে ছিল। আমাদের কিছুটা মন খারাপ হলো। যাহোক এরপর ফ্রেশ হয়ে গেলাম ব্রেকফাষ্টে। ক্যাফেটেরিয়ার চারদিকে গ্লাসের ওয়াল হওয়াতে ভিতর থেকেই সবদিক দেখা যাচ্ছিল এবং চমৎকার লাগছিল মেঘগুলো। আবারো হলো ফটো সেশন। ব্রেকফাষ্টের পর অনেকগুলো স্পটে ছবি তুললাম। আমাদের রিসোর্ট ছাড়াও আরো তিনটা রিসোর্ট বা কটেজ আছে আশেপাশে। ওগুলো হলো ডাবল বা বড় ফ্যামিলীর জন্য তৈরী। কেউ যদি বড় ফ্যামিলী নিয়ে কম্বাইন্ড ট্যুরের প্ল্যান করে, তাহলেও থাকা খাওয়ার কোন সমস্যা নেই ওখানে। ক্যাফেটেরিয়ার বাহিরের কোনায় একটা কৃত্রিম ঝর্ণা রয়েছে। সুইচ অন করে সেটি চালু করা হয়। সেখানেও অনেক ছবি তুললাম। অল্প কিছু ছবি দিলাম এখানেঃ
দুটি কটেজের ছবি। এগুলোতে বড় ফ্যামিলী নিয়ে থাকার সুব্যবস্থা আছে।
নীলগিরির বাধাই করা ছবি।
রাংখিয়াং পুকুর এর বাধাই করা ছবি। এটিও বান্দরবানের কোন এক স্থানে অবস্থিত।
বগা লেক (নামে নয়, কামে পরিচয়!) পানির কালারটা দেখেছেন?
উপরের ছবিগুলো যে কেউ কিনতে পারবে। যে কোনটির মূল্য ১০০০ টাকা মাত্র 😛
বাথরুমের ভিতরের ছবি দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ ফুট উপরে ঠান্ডা-গরম পানির এই সুব্যবস্থাও তো অকল্পনীয়!
ক্যাফেটেরিয়ার বয় এবং আমাদের জীপের ড্রাইভার অনেক ছবি তুলে দিল। অনেক ছবি ছিল যেগুলো ছিল দেখার মতো, কিন্তু সঙ্গত কারনবশতঃ ঐ ছবিগুলো এখানে দিলাম না। কেউ আমার এখানে বেরাতে আসলে দেখাব। 😀 এভাবে অনেক সময় চলে গেল। কিভাবে সময় কেটে গেল টেরই পেলাম না। দেখতে দেখতে বারোটা বেজে গেল। আমরা ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। লাঞ্চটা সেরে নিয়ে সামান্য সময় পরেই ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। ফেরার পথে থামলাম পিক-৬৯ এ, যেটি কিনা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাস্তা।
এখানে না নেমে কি পারা যায়? তারপর পথিমধ্যে চিম্বুকে গাড়ি থামিয়ে আবারো কিছু ফটো সেশন। পুরো রাস্তা জুড়ে ছিল অনেকগুলো ট্যুরিষ্ট ষ্পট এবং স্যুটিং ষ্পট। বৃষ্টি না থাকলে আরো কিছু জায়গায় নামতে পারতাম। অবশ্য বৃষ্টির মধ্যেও শৈলপ্রপাতের পাশে নেমেছিলাম যেখানে তিনটি প্রপাত বা ঝর্ণা এসে মিলেছে এবং যার তলদেশে রয়েছে শিলা। সে থেকেই নাম শৈলপ্রপাত। ঐ সময় অতিবৃষ্টির কারনে ক্যামেরা বের করতে পারিনি এবং ঐ সুন্দর ছবিগুলো তুলতে পারিনি বলে এখনো আফসোস হয়। অবশেষে ফিরে এলাম আমাদের বান্দরবান সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে। সেখানে ফ্রেশ হয়ে সোজা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। পেছনে ফেলে এলাম সেই মেঘের দেশ… নীলগিরি । ইচ্ছা আছে আবারো যাওয়ার।
এবারে এই নীলগিরির লোকেশন এবং যাবার উপায়টা বলে দেই। নীলগিরি অবস্থানগত ভাবে বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। কক্সবাজার যাবার পথে বিডিআর এর ট্রেনিং সেন্টার যাবার পথে যে তিন রাস্তার মোড় আছে (নামটা এই মূহুর্তে মনে আসছে না :bash: ) সেখান থেকে বামে টার্ণ নিতে হবে এবং আর প্রায় ১০-১৫ কিঃমিঃ গেলে বান্দরবান জেলা ও বান্দরবান সেনানিবাস। কেউ যদি পরিচিত কারো মাধ্যমে সেনানিবাসে কিছুক্ষন অবস্থান করে বিশ্রাম নিতে চান তাহলে আরো ভাল হবে। এরপর সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের জীপ এবং পাজেরো যোগে সরাসরি নীলগিরি যাবার ব্যবস্থা রয়েছে। জীপের ভাড়া ২৬০০ টাকা থেকে নিয়ে শুরু করে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। পাজেরো জীপের ভাড়া একটু বেশি আর আর্মির জীপ (টয়োটা ল্যান্ড ক্রুইজার) এর মতো দেখতে জীপগুলোর ভাড়া ২৬০০-৩০০০ টাকা। এসব জীপ রিজার্ভ করে সরাসরি যাওয়া যায়, সময় লাগে দুই ঘন্টার কিছুটা কম।
এবারে আসি থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে। নীলগিরিতে যাওয়ার আগেই রুম অথবা রিসোর্ট বুকিং দিয়ে যেতে হয়। সাধারনত এই বুকিংটা বান্দরবান রিজিয়ন সদরের ডিকিউ (DQ) মেইন্টেইন করে থাকেন। এই বুকিং পাওয়ার জন্য অনেক সময় লম্বা সিরিয়াল দিতে হয়। ডিফেন্সের কারো মাধ্যমে বুকিং দেয়াটা বেটার। নীলগিরি রিসোর্ট গুলোর মেইন্টেনেন্স বা সার্বিক তত্ত্বাবধানে বর্তমানে রয়েছে ৩০ ইষ্ট বেঙ্গল। রিসোর্টগুলো থেকে মাত্র ১৫০-২০০ গজ দূরে রয়েছে ৩০ বেঙ্গলের একটি ক্যাম্প এবং রিসোর্টের চতুর্দিকে রয়েছে কয়েকটি ডিউটি পোষ্ট, যার ফলে জায়গাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। রুমের বর্ণনা দিতে গেলে নিচের কিছু ছবি থেকে কিছুটা আইডিয়া পাওয়া যেতে পারেঃ
বাথরুমের একপাশের ছাদ খোলা আর পেপে গাছ দেখে অবাক হবেন না। আপনার প্রাকৃতিক কর্মটি সারার সময় প্রকৃতিকে নিবিড় ভাবে দেখার এমন সুযোগ সবখানে কিন্তু পাবেন না।
না, ছবিটা ঘোলা আসেনি, এটা আসলে বাথরুমের ভিতরে মেঘ আসার দৃশ্য
রুমের কিছু আসবাব
ও ভাল কথা, রিসোর্ট বা কটেজের ফেয়ারটা বলা হয়নি। আমি যে রিসোর্টে উঠেছিলাম তার ফেয়ার ছিল মাত্র ৮০০ টাকা (ডিফেন্স অফিসার ও তাদের রিলেটভদের জন্য রিডিউস রেট) যা কিনা নন ডিফেন্স পারসোনালদের জন্য ৫৫০০ টাকা। আর ডাবল রুম বা ফুল রিসোর্টের ভাড়া ৬০০০-৬৫০০ টাকা। ভয় নেই, পরিচিত কোন ডিফেন্স অফিসারের মাধ্যমে রুম বুকিং দিলেও অনেকটা রিডিউস রেটে থাকা যায়, আর খাবারের খরচ সবার জন্য একই। সাধারন মেন্যুতে ড্রাইভার সহ তিন জনের তিনবেলায় ১০০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। চা বাদে সব খাবার ক্যাফেটেরিয়ায় গিয়ে খাবার নিয়ম। ক্যাফেটেরিয়ার বয় এবং অন্যান্য ষ্টাফরা খুবই আন্তরিক এবং হেল্পফুল।
খাবার ব্যাপারে আগে কিছুটা সমস্যা থাকলেও ক্যাফেটেৈরী হবার পর থেকে আর কোন সমস্যাই নেই। ক্যাফেটেরিয়াতে তিনবেলা খাবার ছাড়াও মনের খুশি মতো খাবার ব্যবস্থা আছে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০০ ফুট উপরে হওয়ার কারনে আগে পানির কিছুটা স্বল্পতা থাকলেও এখন সেখানে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং বিশুদ্ধিকরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দিনের বেলার সোলার পাওয়ার থেকে রাতে আলো জ্বালাবার ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে জেনারেটরের সুবিধা।
সবকিছু মিলে এই নীলগিরি ট্যুরটা আমার কাছে অসাধারণ মনে হলো। কক্সবাজার তো যেকোন সময় এবং সহজেই যাওয়া যায়, তাই আমি কক্সবাজারকে আলাদা করে রাখছি। নীলগিরিতে যেহেতু কটেজ বা রিসোর্টের সংখ্যা কম তাই এক্ষেত্রে সময় ও সুযোগ করাটাও অনেক কঠিন ব্যাপার। নীলগিরির সৌন্দর্য্যটা অন্যরকম এবং অতুলনীয়। আমার মতে বাংলাদেশের ভিতরে “ইট ইজ দ্য পারফেক্ট হানিমুন প্লেস”। অন্তত সকল দম্পতির সেখানে একবার যাওয়া উচিৎ। আমাদের দেশের ভিতরেই এত সুন্দর একটা জায়গা আছে যেটা আমাদের অনেকেই জানেনা। অথচ এসব জায়গা না দেখেই আমরা বিদেশে যাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কবিতার ঐ লাইনগুলো মনে পড়ে যাচ্ছেঃ
“দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দু পা ফেলিয়া
একটি ঘাসের শীষের উপর
একটি শিশির বিন্দু”
(কবিতার লাইনগুলো ভুল হলে কেউ ঠিক করে দিবেন প্লিজ, অনেক আগে পড়েছিলাম এই কবিতাটা) আসলেই তো, আমরা কতজন এই শিশির বিন্দুর সৌন্দর্য্য বাস্তবে উপভোগ করেছি, একটু ভাবুন তো।
আমার মতে নীলগিরির মতো আমাদের দেশের এসব স্থান সরকারের উপযুক্ত সহযোগিতা পেলে অনেক বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হবে, যারফলে বিদেশীরা আমাদের দেশ দেখতে এসে ভীড় করবে এবং আমরা ট্যুরিজমে আরো অনেক এগিয়ে যেতে পারব আর আমরাও আমাদের দেশটাকে আরো অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব ইনশাল্লাহ্। সবাই ভাল থাকবেন। 🙂
………………….।..।…………।..।..।..।।.।।.।।.।।.।।.।।.।।…।।…
(এই লেখাটা প্রায় দেড়মাস আগে লিখেছিলাম, নেটের কানেকশনের অভাবে এবং পরবর্তীতে স্লো নেট কানেকশনের কারনে জমা দিতে পারিনি। ছুটিতে পেন-ড্রাইভে করে নিয়ে আসলাম। একটু আগে মা-বাবাকে হজ্জ্ব ক্যাম্পে বিদায় দিয়ে আসলাম। আরো প্রায় এক ঘন্টা পরে (রাত ২ টা ৪৫ মিনিটে) ফ্লাইট। শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত কথা বলতে চাই। তাই মাঝখানের এই সময়টুকু জেগে থাকার জন্য সিসিবিকেই বেছে নিলাম।)
লেখা কই গেল? 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
🙁
আজিব সমস্যা তো 😕 😕
স্যরি 🙁 । ছবি আপলোড নিচ্ছিলনা ঠিকমতো। নেটের প্রবলেমের কারনে লেখাটা এতক্ষন সম্পূর্ণ আসেনি। এখন ঠিক করে দিয়েছি। 🙂
যাই, এইবার নিশ্চিন্তে ঘুমাইতে যাই। :grr:
পড়লাম এবং চোখের সামনে নীলগিরি দেখলাম যেন।
অসাধারণ বর্ননা, অবশ্যি যাব ইনশাল্লাহ।
🙂
:hatsoff:
এখনই নীলগিরিতে যেতে ইচ্ছে করছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ব্যবস্থা করব আপু?
২০০৮ সালে বান্দরবনের লামাতে গিয়েছিলাম। ইশ তখন নীলগিরি মিস হয়ে গেছে। তোমার লেখা পড়ে আমার মাথায় একটা গল্পের প্লট খেলছিলো। আশা হয়তো কোন একদিন যাব।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ইশ... 🙁
দেশে থেকেও এখনো একবার নীলগিরি গেলাম না... :((
এই দুঃখ কই রাখি...
ঠিক করছি, এই দুঃখে আগামী কয়েকদিন লাগাতার সুইসাইড করুম...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
তোর বড় ভাইরে বল ব্যবস্থা করতে...
গতকালকেই এক অফিসার কইতেছিল.....বাংলাদেশ এ নাকি ২ ধরনের লোক....১ ভাগ নীলগিরী দেখছে আর একভাগ নীলগিরী দেখে নাই.....এইটা নাকি এমনি জিনিস যা দিয়া দেশের মানুষ ২ ভাগ কইরা ফালান যায়.....
আফসুস :(( :(( :(( :(( :((
কবে যে হিল এ পোস্টিং যাবো :dreamy: :dreamy: :dreamy:
তখন অবশ্য আমি রহমান ভাই এর মত ফটু ব্লগ আর কাহিনী না শোনাইয়া সিসিবি'র বেবাক লোকদের দাওয়াত দিবো... :grr: :hug:
😀
তোমার এই ইচ্ছা পূরণ হোক :boss:
আমিন :boss: :grr:
নীলগিরি দেখতে হলে কি হিল এ যেতেই হবে স্যার ??? 🙁 🙁 🙁
কবে যে রেজওয়ান ভাই হিলে পোস্টিং পাবে? :grr: তখনই নীলগিরী দেখতে যামু 😀
রহমান ভাই, এক কথায় অসাধারণ বর্ণনা :boss: মনে হচ্ছে এখনই দৌড় দেই :((
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
ধন্যবাদ। দৌড়াইয়া উঠতে পারবা না এত উপরে, জীপ/গাড়ী লাগবে 😛
যাহ বাচ্চু....সবার আগে তোর দাওয়াত রইল :hug:
আচ্ছা নীলগিরি না।
আর্মির ধরতে হইবো কইতেছো। আইচ্ছা।
শালার দুনিয়াতে ইনসাফ নাই, খালি ধরাধরি 🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ক্যাডেট হইয়া আর্মি ধরা কোন ব্যাপার? একবার :just: ইচ্ছা করেন আর ২/৩ দিন সময় বাহির করেন। দেখবেন সব ম্যানেজ হয়ে যাবে। অবশ্য রুম/কটেজ বুকিং টা একটু আগে দিয়ে রাখাই ভাল।
২০০৫ সালে গেছিলাম।বান্দরবানের াওনেক খানিই ঘুরা হয়েছিলো। তারপরে যাওয়া হয়নি। শুনছি এখন অনেক ডেভেলাপ হয়ে গেছে। যামু ভাবতাসি আর্মি পার্টি কেউ একটু জোর না দিলে কেমুন যেন ডর ডর লাগে।
পোস্ট সেরুম হইছে।
ডরের কিছু নাই। ওখানকার টোটাল প্রটেকশন ঐ আর্মি ই দেয়।
পোষ্ট সেরুম লাগার জন্য :hatsoff:
আমি যখন বান্দরবান ছিলাম(১৯৯০-১৯৯৪) তখন চিম্বুক থাকলেও নীলগিরি ছিলনা 🙁
ইয়ে রহমান মামা, আপনের এই ভাগিনা একদিন আপনেকে ধইরা নীলগিরি যাপে,পাকা কথা দিলুম :shy:
ভাগিনা, তোমার সেই দিনের অপেক্ষায় রইলুম 🙂
এরপরে কে যে তোর শিকড় উৎপাটন করলো!
আমিও যাবার প্ল্যান করে ফেললাম । আসিতেছি রহমান ভাই 😀
আমি থাকি রাঙ্গামাটির শেষ মাথায়, খাগড়াছড়ি ব্রিগেডের আন্ডারে। নীলগিরি গিয়েছিলাম আন-অফিসিয়ালি, :just: লাইক এ ভিজিটর। যাও বেরিয়ে আস। আমি শিউর তোমাদের সবার খুব ভাল লাগবে।
আরো কয়দিন পরে যামু।
বাথরুমের ভিতরের পেপে গাছটাতে যখন পেপে ধরবে তখন। :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:khekz: :khekz: :khekz:
শালার দুনিয়াতে ইনসাফ নাই, খালি ধরাধরি 🙁
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:khekz:
কামতাজ, মন্তব্য ভাল ছিল :thumbup:
ছাদ তো খোলাই আছে। গুগল আর্থ দিয়ে মনিটর করতে থাক। আশা করি অচিরেই ঐ পেপে সার্চ ইঞ্জিনে ধরা পরবে। ওহ, আবার ধরাধরির ব্যাপার চলে আসল। 😛
:goragori: :pira: :khekz:
;)) ;)) 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
হাসেন ক্যান? রিডিউস রেটে খাইতেঅ চান নাকি? এইটাতো আমরাও পারিনা। মাসে মেসবিল দেই ৪০০০-৫০০০ টাকা 🙁
* খাইতেও চান নাকি?
ডিসেম্বরে ২২ তারিখ যামু। ফকক'র ২১তম ব্যাচ নিয়া। ৬০-৭০ জনের জায়গা হইবো? বুকিংটা এখনই দিয়া ফালাইতে হইবো মনে হইতাছে। ~x( ~x( ~x( কারে যে ধরি!!
ধন্যবাদ রহমান। দারুণ ভ্রমন কাহিনীর জন্য। আর তোমার পোস্টটা আমাদের ব্যাচের ইয়াহু গ্রুপে দিয়ে দিচ্ছি। পোলাপাইনরে আগে থেকে উত্তেজেত করার জন্য........ 😀 😀 😀
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
কবে যাব পাহাড়ে...আহারে আহারে... :dreamy:
(এটার কপিরাইট ছিলো নাকি কারো? মনে পড়তেছেনা.. :-/ )
পারমানেন্টলি থাকার কোন সিস্টেম করা যায় রিডিউসড রেটে 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
একলাই যাইবেন নাকি কাউরে নিয়া যাইবেন?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
উইথ ফুল গুষ্ঠি
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
দারুন তো...
গুষ্ঠিতে আসে কে কে শুনি? ;))
রহমান ভাই, খুন ভালো লাগলো আপনার ভ্রমন কাহিনিটা পরে। এখুনি ছলে যেতে ইচ্ছে করছে চলে যেতে।
বাপ্রে 😕
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:))
ইনশাল্লাহ শীঘ্রই যাব...
যাওয়া হলোনা এখনো....... :bash:
গত বছর গেসিলাম। অসাধারন জায়গা। সবার মনে হয় একবার যাওয়া উচিত বাংলাদেশ কতো সুন্দর দেখার জন্য।
আমি নীলগিরি ঘুরে আসলাম কিসুদিন হলো. এখনো ঘোর লেগে আসে. কি যে অদ্ভুত সুন্দর....মেঘ দেখে মনেহস্সিলো স্বর্গে গেলে হয়তো আবার এত সুন্দর দেখা যাবে.সবার
দেখা দরকার.
অসাধারন পোস্ট হইছে বস :hatsoff: :hatsoff:
নীলগিরির এতো কাছ দিয়ে ঘুরে এসেও যেতে পারলাম না। তবে অনেকদিনের প্লান আছে ঘুরে আসার।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
গররররররর... 😡
বউটারে যে কে কইছিলো এই সময়ে কোর্স করার লাইগা... মমমমমমম...... :bash:
শালার পোড়া কপাল :duel: আগামী মার্চ পর্যন্ত কোন উপায় নাই... :chup:
আমার এই দুঃসময়ে আমাকে লোভ দেখানোর জন্য রহমানের ব্যান চাই...
আমিও গেছিলাম গতবছর 😀 😀 😀 😀
Life is Mad.
খুব সুন্দর পোষ্ট হয়েছে ভাইয়া 🙂
যদিও যাওয়া হয়নায়, উইথ গুষ্ঠি যাওয়ার ইচ্ছা আছে ইনশাল্লাহ ;))
খুব ভালো লাগলো
আমি এই পোষ্টটা দেয়ার পর অনেকদিন লগইন করতে পারিনি। সবাই দেখি অনেক মন্তব্য করে ফেলেছে। মন্তব্যকারী এবং মন্তব্যবিহীন পাঠক সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সম্ভব হলে একবার নীলগিরি ঘুরে আসুন। সবারই খুব ভাল লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
একবার নীলগিরি যাব ই!