ইয়ে, যেহেতু সবাই ভুলে গেসে সামিয়া হোসেন কে ছিল, তাই আগের ব্লগটার লিঙ্ক দিয়ে দিলাম।
৩৬ দিনের দেশ
যশোর রোড ধরে আগাতে আগাতে আগাতে আগাতে একসময় আমরা কলিকাতায় পৌছে গেলাম। কলিকাতা, …আমার অঞ্জনের চোখ দিয়ে দেখা কলিকাতা। আপনি যদি কখনো অঞ্জনের ‘নিয়ে যা’ গানটা না শুনে না থাকেন, তবে অতি অবশ্যই শুনে ফেলবেন।
তিনশ বছরের পুরনো শহর এই কলকাতা। জোব চার্ণক এসে ভিড়েছিলেন হুগলীর পাড়ে, সম্ভবত ১৬৯০ সালে। পাশাপাশি তিনটে গ্রাম; সুতানটী, গোবিন্দপুর আর কোলকাতা। সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবারের কাছ থেকে গ্রাম তিনটি ইজারা নিল কোম্পানী, শুরু হল কলকাতা মহানগরীর ইতিহাস। ১৯১১ সাল থেকে পুরো ভারতের, আর ভারতভাগের পর থেকে পশ্চিম বঙ্গের রাজধানী ছিলেন ইনি। কলকাতায় পৌছলাম দুপুরেই, কিন্তু হোটেল পেতে পেতে বিকাল হয়ে গেল। যাওয়ার যায়গা নেই কোথাও, শ্যামলী বাস কাউন্টারই শেষ ভরসা। শ্যামলীর কাউন্টারের ওরা প্রথমে কিছু বলেনি, তবে পরের দিকে কিঞ্চিৎ খ্যাচখ্যাচ শুরু করল, এবং আমরা বাধ্য হলাম ব্যাগব্যাগেজ নিয়ে বের হয়ে যেতে। পুরোপুরি অচেনা একটা দেশে, অচেনা একটা শহরে ব্যাগ ব্যাগেজ নিয়ে আমরা এতগুলা মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি, নিজেদের খুব অসহায় লাগছিল।
যাই হোক, শেষমেশ পাওয়া গেল। যেহেতু আমরা স্টুডেন্ট মানুষ, তাই কমদামের হোটেল। আমাদের হোটেল হল মীর্জা গালিব স্ট্রীট এ, জায়াগাটা খুবই সিরাম, কারণ কাছেই, মানে হাঁটা দূরত্বে নিউমার্কেট, চৌরঙ্গী, এসপ্লানেড, ময়দান, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল…এইসব।
কলকাতা শহরের মজা হলো, আমি যেই জায়গায়তেই যাই, সেখানের নামই আমার চেনা। হোটেলে উঠেই সন্ধ্যায় বের হয়ে গেলাম নিউমার্কেট। এত জীবন্ত জায়গা খুব কম ভারতের বাকি শহরগুলোয়। মানুষ হাটছে, আড্ডা দিচ্ছে, কেনাকাটা করছে, খাচ্ছে। নিউমার্কেটের এক ধার দিয়ে হাটা শুরু করলাম আমরা, অপারেশন স্ট্রীট ফুড। পাঁপড়িচাট, ফালুদা, আইস্ক্রীম, গোলে-গাপ্পা…বাকিগুলার নাম মনে পড়ছে না, কিন্তু অনেক জিনিসপাতি সেদিন পেটের মধ্যে গেছে এইটা মনে আছে। নিউমার্কেটটা মজার, সামনে একটা প্লাজা আছে, যেখানে মানুষজন আড্ডা দিতে পারে। সেদিন পূর্ণিমা ছিল না, কিন্তু নীল আকাশে একটা সবজেটে চাঁদ ছিল, অনেক্ষণ ধরে সেই প্লাজায় বসে আড্ডা দিলাম আমরা। বেশ খানিকটা রাত করে হোটেলে ফিরলাম।
এবারে কোলকাতা শহরটা আমাদের ট্রানজিট, তাই হাতে ছিল কেবল একদিন। সকালে উঠেই দৌড় দিলাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের দিকে। চৌরঙ্গী ধরে হাটতে হাটতে বহুদুর চলে গেলাম, শংকর পড়ে আমার ধারণা হয়ে গেছিল হোটেল শাজাহান সত্যি সত্যি আছে। অনেক খুঁজেও যখন পেলাম না, আমার আসলেই খুব দুঃখ লেগেছিল। তবে হ্যা, শাহজাহানের সাবস্টিটিউট পেলাম গ্র্যান্ড। গ্র্যান্ড আসলেই সেইরকম গ্র্যান্ড একটা হোটেল, পুরো এসপ্লানেড জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে।
হাঁটতে হাঁটতে একসময় ময়দান পার হলাম, তারপর হঠাৎ সামনে পড়ল বিড়লা প্লানেটোরিয়াম। বৌদ্ধ তীর্থস্থান স্তুপার আদলে করা এই প্লানেটোরিয়ামের পৃথিবীজোড়া অনেক নামডাক থাকলেও আদতে আমাদের প্লানেটোরিয়ামের কাছে সে কিছুই না, না সাইজে, না শোএর কোয়ালিটিতে। এমুন পচা শো আমি খুব কম দেখসি…যাই হোক, পরের বার যখন কোলকাতায় আসব, তখন একে নিয়ে কথা বলা যাবে, এইবার আমরা একে পাশ কাটায় ভিক্টোরিয়ার দিকে রওনা দিলাম।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ১৯০১ সালে রানী ভিক্টোরিয়ার স্মরণে বানিয়েছিলেন লর্ড কার্জন, ইটালিয়ান রেনেঁসা স্থাপত্যশৈলীর এই বিল্ডিং বানাতে নাকি বিশ বছর লেগেছিল। এখন এটাকে যাদুঘর করে ফেলছে। এই মেমোরিয়ালের চারিদিকে একতা সিরাম ল্যান্ডস্কেপিং এর বাগান আছে, রাত্রের আধো আলোতে যেটাকে দেখলে চোখ ট্যারা হয়ে যায়। আমরা এইখানে ঢুকতে পারিনাই। ভারতীয়দের জন্য ১০ রূপী আর বাকিদের জন্য ১৫০, যারা গেসিলো আমাদের টিকেট কাটতে, লাস্ট মোমেন্টে মহিলা ধরে ফেললো আমরা আসলে বাংলাদেশী। ছাত্র মানুষ, তাই দেড়শ রূপী খরচ না করে বাইরে থেকে ছবিটবি তুলে চলে আসলাম। জিনিসটা সুন্দর আছে, সাদা মার্বেলের তৈরী, মাঝের গম্বুজের একদম চূড়ায় একটা পরী।
ভিক্টোরিয়ার চূড়া
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল
যেকোন শহরে ঘুরতে হলেই সবচেয়ে প্রথম যে কাজটা করা উচিৎ তা হল একটা ম্যাপ কিনে ফেলা। আর এ জন্য কোলকাতার সবচেয়ে ভাল জায়গা কলেজ স্ট্রীট। কলেজ স্ট্রীট হল কোলকাতার নীলক্ষেত। যাবতীয় বই, নতুন এবং সেকেন্ড হ্যান্ড, এখানে পাওয়া যায়। সুতরাং কারও যদি বই কেনার উদ্দেশ্য থাকে, অবশ্যই এখানে একটা ঢূঁ দেবেন। ভিক্টোরিয়া থেকে একটা ট্যাক্সিতে চেপে বসলাম আমরা পাঁচজন। কোলকাতার বেশিরভাগ ট্যাক্সি ড্রাইভার, মুড়িওলা-এনারা কেন জানি অবাঙ্গালী। আর ট্যাক্সির নিয়ম আমাদের মত এত সোজা না যে যা উঠবে আপনি তাই দিবেন। যে সংখ্যাটা উঠবে, তাকে একটা গুণিতক দিয়ে গুণ দিয়ে যেই ভাড়া আসবে, আপনাকে সেইটাই পে করতে হবে। এই গুণিতক আবার এলাকা ভেদে ভিন্ন। সুতরাং কোন এলাকায় বিশ টাকা ট্যাক্সি ভাড়া উঠলেই খুশি হয়ে যাওয়ার বিশেষ কারণ নাই।
কলেজ স্ট্রীট যাওয়ার পথে একটা জিনিস খুব চোখে পড়ল, তা হল কলকাতা শহরটা বেশ গুছানো, এবং এই গুছানো অংশটির বেশিরভাগ কৃতিত্ব আসলে বৃটিশদের। একটূ পর পরই ঔপনিবেশিক স্থাপত্য চোখে পড়বে আপনার, এবং মনে মনে একটু তুলনা করলেই আপনি বুঝতে পারবেন, ১৯০৫ সালে ঢাকাবাসী কেন নিজেদের বঞ্চিত মনে করেছিল। মনে করার যথার্থই কারণ ছিল, কারণ তিনশ বছরের পুরোনো এ শহরটির পরতে পরতে এখনো অতীত ঐতিহ্যের নিদর্শন রয়ে গেছে। দুপা হাঁটতে গেলেই একটি করে পুরাতন স্থাপত্যের বিশাল দালান দেখা যায়, ঢাকাতে তো সবই আমরা নূতন করে তৈরী করেছি গেল বছরগুলোতে। যাই হোক…সঠিক শব্দটা মনে পড়ছে না, দুই কথায় বলতে গেলে সেইরকম ড্যাশিং আর স্মার্ট শহর কলকাতা। আই লাভ ইট।
সবচেয়ে যে জিনিসটা সুন্দর, তা হল এ শহরের ল্যান্ডস্কেপ। রাস্তার আইল্যান্ডগুলোতে ছোট ছোট গাছ, আবার এখানে ওখানে দু-একটা গাছ গাছালী। ভাল লাগে। আর একটা শহরে যে পরিমাণ গাছ গাছালী থাকা দরকার, তা এ শহরে আছে। ময়দান, গড়ের মাঠ আর বিভিন্ন পার্ক দিয়ে সবুজের অভাব পুরণ করে ফেলেছে ওরা, আমরা কিন্তু অভাব ক্রমশও বাড়াচ্ছি।
বিখ্যাত কলেজ স্ট্রীট
কলেজ স্ট্রীটে যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম গড়ের মাঠ। কলেজ স্ট্রীটে পৌছে ট্যাক্সি ছেড়ে হাঁটতে শুরু করলাম, এবং হঠাৎ সামনে আসল প্রেসিডেন্সী কলেজ!! এবং একটু পর, তার চেয়েও বড় চমক, কফি হাউজ! আমাদের স্বপ্নের কফি হাউজ।
কফি হাউজ
কফি হাউজ
কফি হাউজটা দোতলা আর তিনতলা মিলিয়ে। ঢোকার মুখে বিভিন্ন পোস্টার দেখে বোঝা গেল, এটা আসলে আমাদের আজীজ (সাহিত্যিকদের আখড়া আরকি)। ভেতরটা অত্যন্ত সুন্দর, একটা সিরাম সুন্দর ডাবল হাইট স্পেস আছে, যেটা খদ্দেরদের কথাবার্তায় সারাক্ষণই গমগম করে। ঢুকতেই আপনি হারিয়ে যাবেন অসংখ্য মানুষের রাজত্বে, কোথাও কোথাও চরম উত্তেজনা নিয়ে চলছে রাজনীতি, একটা টেবিলে দুটো লোক তাদের ব্যবসা নিয়ে খুবই চিন্তিত, দূরে আরেক টেবিলে মুখোমুখি বসে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অনিমেষ মাধবীলতা। আর একটা টেবিলে হাসতে হাসতে আরেকটু হলে পরেই যাচ্ছিল সুজাতা, নিখিলেশ, রমা রায়। আমরা নিচতলাটা দেখে টেখে উপরে গিয়ে বসলাম। এজায়গাটা সুন্দর, এখান থেকে নীচটা পুরো দেখা যায়। একদম পেছনের হলুদ দেয়ালে বাল্মীকি নাটকের যুবা রবীন্দ্রনাথ সটান দাঁড়িয়ে কি যেন ভাবছেন, উপরতলাটায় সার সার পেইন্টিং ঝুলানো। কফি হাউজে এসে কফি খাব না তা হয়না, তাই আমরা কফির অর্ডার দিলাম। তবে আমি অত্যন্ত দুঃখিত কারণ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজে কফিটা এখানে খেলাম আমি, এমনকি ব্রিটিশ কাউন্সিলের গরম পানির চেয়েও (ব্রিটিশ কাউন্সিলের কফিটাও এক্কেবারে যা-তা, বাংলাদেশের অবশ্য)। আমরা বসেছিলাম একদম কোনার একটা টেবিলে, জানালাটা দেখতে পাচ্ছিলাম, বাইরের গাছ, কফি হাউজের বেয়ারা…কতশত বছর ধরে ঠিক এভাবেই জানালা দিয়ে বাইরের গাছটা চোখে পরে, ঠিক এভাবেই বেয়ারাকে ডাকে মানুষ! সব মিলিয়ে জায়গাটা আমার এত্ত পছন্দ হলো…বলার না, কেবল কফি আর মানুষগুলো ছাড়া। ওনাদের ব্যবহার কেমন যেন, খুব একটা আন্তরিক না, কেমন তাচ্ছিল্য ফুটে ওঠে চোখে মুখে। এই ব্যাপারটা তেমন ভাল লাগেনি।
যাই হোক, খারাপ লাগাটাকে পাশ কাটিয়ে চলুন আবার আমরা চলে যাই কলেজ স্ট্রীট, কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করি, আর ছোট্ট একটা দোকান থেকে দিল্লী আর রাজস্থানের ম্যাপ কিনে নিয়ে ট্রামে চেপে আবার হোটেলের দিকে ছুটি। চারটার সময় বেরিয়ে যেতে হবে আমাদের আবার, গন্তব্য হাওড়া রেলস্টেশন। ট্রামের লোকটার চামড়ার পয়সার ব্যাগটা খুব পছন্দ হয়ে যাবে আমার, সারাটা রাস্তা ওটার দিকে চেয়ে থাকব, আর ভাবব, বড় হয়ে নিশ্চুই আমি ট্রামের টিকেটওয়ালা হব। হবই হব।
ট্রাম থেকে নেমেই দৌড়াতে দৌড়াতে ব্যাগ ব্যাগেজ নিয়ে আবার ট্যাক্সি, হাওড়াতে যেতে যেতে দেখলাম রাইটার্স বিল্ডিং, আর হাওড়া ব্রীজ- বিশাল ব্যাপার। তবে হাওড়া ব্রীজ যে কেন এমন, সেইটা কোন ভাবেই বের করতে পারিনি আমরা কেউ, ব্রীজের ওপরের অংশে বিশাল বিশাল সমস্ত ট্রাস (truss), খুবই সুন্দর লাইটিং নিঃসন্দেহে, কিন্তু লোড ট্রান্সফার তো নিচের অংশেই হয়ে যাচ্ছে, তাহলে উপরের এত কারসাজি কেন? ওরা কি কাজে লাগছে? আগেই ইন্সট্রাকশন দেয়া ছিল, স্টেশনে গিয়েই সবাই খুবই ডিসিপ্লিন্ড ভাবে লাগেজগুলো মাঝে রেখে চারপাশে সার হয়ে দাঁড়ালাম। দেখতে কি যে অদ্ভুত লাগছিল, পঞ্চাশটা ছেলেমেয়ে জড়ো হয়ে দাঁড়ায়ে আছে, সবার মুখে মাস্ক, সোয়াইন ফ্লুর ভয়ে আমরা একটু পর পর হাত ধুচ্ছি, আর নাকের ডগায় মাস্ক পরে আছি। কয়েকটা পুলিশ এসে খানিক্ষন উঁকিঝুকি মেরে চলে গেল, আমাদের চারপাশের ভিড় একটু কমে গেল।
হাওড়া স্টেশন, ফটোক্রেডিট, আজরিন
ইন্ডিয়াতে ট্রেনে চড়ার সময় দুটো জিনিস খেয়াল রাখতে হয়। এক, এখানে সিস্টেমটা হলো এরকম যে রিজার্ভেশন করা যায় এমন কিছু সীট আছে, আর নন রিজার্ভেশনে জেনারেল সীট আছে। রিজার্ভ করে উঠলে নিজের একটা সীট পাওয়া যাবে, (যদিও একটু খেচাখেচি করতে হয় অন্য কেউ বসে গেলে), আর যদি জেনারেল টিকেট হয়, তাহলে সীট পাওয়া যাবে কিনা শিওর না, দাঁড়ায়েও যেতে হইতে পারে। কারণ ট্রেনে যে নির্দিষ্ট সংখ্যক সীট আছে, এরা তার চেয়েও বেশি টিকেট বেচে। প্রতি স্টেশনেই টিকেট বেচতেই থাকে, ট্রেন উপচে পড়বে মানুষ, তার পরেও এরা টিকেট বেচেই যাবে। আর দুই নম্বর ব্যাপারটা হলো, এখানে লাগেজ হারায় প্রচন্ড, তাই সাথে শিকল আর তালা রাখতে হবে, সীটের নিচে আংটা আছে, লাগেজ তার সাথে শিকল আর তালা দিয়ে বেঁধে ফেললে আর কোন চিন্তা নেই। যাই হোক, ট্রেন তো আসল, আমরাও লাফঝাঁপ দিয়ে তাতে উঠলাম, অনেক কিছু পেছনে ফেলে রেখে যাওয়া হল, আবার আসবো আমরা এই কোলকাতায়। আপাতত গন্তব্য দিল্লী।
পরথম হইছি 😀 😀
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
খাওয়া
দারুন হইছে... পুরা জোস, তবে এইট্রেন দিল্লি পৌছাইতে কতদিন লাগায় সেটা নিয়াই চিন্তা।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পৌছাবে ইনশাআল্লাহ :shy:
ভ্রমণ কাহিনীতে আমি ব্যাপক মজা পাই আর এইটাও ব্যতিক্রম না তবে কথা হইল ম্যাডামের কি আগামী একবছর ধরে এই সিরিজ চালানোর ইচ্ছে আছে নাকি 😛
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
:shy:
যাউক সামিয়াপ্পু বাঁইচা আছে-তোমার রান্নাবান্না নিয়া সামী কিন্তু কুন পোস্টে জানি কি সব কইছিলো,আশা করি দেখ নাই-দেখলে সামীর মিরিত্তু নিশ্চিৎ ছিল।
ইয়ে মানে,এই একটা জায়গায় একটু দ্বিমত করি,মাইন্ড খাইয়োনা ভইন্ডি-দুই কথায় বলতে গেলে সেইরকম ড্যাশিং আর স্মার্ট শহর কলকাতা
ঐতিহ্যে আর সাহিত্যে হইতে পারে কিন্তু স্মার্টনেসের দিক দিয়ে ঢাকার ধারেকাছেও মনে হয়নাই আমার কলকাতাকে।বরং ওইখানের স্বভাবসুলভ কিপটেমী দেখে আমার খালাতো ভাই এর নাম দিছিল "খ্যাতনগরী"(প্রায় এক সপ্তাহ ছিলাম কলকাতায় সেইবার-২০০৫ এ)।
অফ টপিক-ইয়ে আকাশদা পিলিজ মাইন্ড খাইয়েন না,টুরিস্ট হিসেবে আমার যা মনে হইছে সেইটাই বললাম।আমাদের ঢাকারও ত অনেক দোষ আছে,সেইটা অস্বীকার করতেছিনা।
তোর শহর নিয়া তুই বলব তাতে আমার মাইন্ড খাবার কি আছে, কোলকাতার ব্যাপারে তোর থেকে বেশি জ্ঞানী আমি এখন পর্যন্ত দেখি নাউ। তা তোর সেই :just: সাংবাদিক ফ্রেন্ডের খবর কি?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কে,নূপুর? :shy: :shy: :shy:
বাহ্! নূপুর নামে তোমার একটা সাংবাদিক বন্ধুও আছে দেখা যায়...
লজ্জা পাইলা কেন? কেইস কি?
শহরটা আসলেই সুন্দর লাগসে আমার কাছে, গোছানো...টিপটপ। যতটুকু একটা শহরের দরকার, তা তাদের আছে। তবে লোকজনের ব্যাপারে বলতে গেলে, আমাদের আসলে বেশি মানুষের সাথে সেইভাবে কমিউনিকেশন হয় নাই। দূর্ঘটনাবশত যতজনের সাথে দেখা হইসে, তাঁদের বেশিরভাগ খুব একটা ফ্রেন্ডলী বা হেল্পফুল ছিলেন না। এই অবস্থা বেয়ারা থেকে শুরু করে বাস কাউন্টার, সরকারী অফিসার...মোটামুটি সবার। বিশেষ করে বর্ডারে (এটাকে অবশ্য কোলকাতার মাঝে ফেলা যায় না, পশ্চিমবঙ্গ স্টেট আরকি) কাস্টমসের যেই বেহাল অবস্থা, ওরা কেমনে চালায় আল্লাহ পাক জানে। ঢোকার জায়গাটা অন্তত একটু বড় করে রাস্তাটা যদি একটু পাকা করত! আর লোকজনের ব্যাবহার... তার তুলনায় বর্ডারের ঠিক অন্য পারে আমাদের কাস্টমস অফিস তো রীতিমত স্বর্গ!
এর উল্টোটাও আছে। আসার পথে ট্রেনে এক ফ্যামিলি বসার জায়গা দিয়েছিল, অনেক হেল্পফুল ছিলেন ওনারা।
ওয়াও!
লেখা খুব সুন্দর হইসে। আমিও তো ভাবতাম যে হোটেল শাহজাহান সত্যি সত্যি আছে। আর সাহিত্যের মানুষগুলাকে যেভাবে তুলে আনসো কেমন নস্টালজিক হয়ে গেলাম :bash:
এখন শুধু প্রার্থনা মরে যাবার আগে এই সিরিজের শেষ যেন দেখে যেতে পারি :dreamy:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
শাজাহান নাই 🙁 আমি অনেক খুজছি।
থেঙ্কু জিহাদ সাহেব, লিজ্জা পাইলাম।
ইশ...
একটুর জন্য এই পর্বটা ৩৬ দিন পর হয় নাই... 😛
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:gulti:
ইন্টারন্যাশনাল বর্ডার জীবনে অতিক্রম করা হল না 🙁
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
🙂
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিলাম ১০ রুপি টিকেট দিয়ে। আমাদের সুব্রত খুব ভালো হিন্দী জানে, ইন্ডিয়া ট্যুরে সেটা কাজে দিয়েছিল। সব জায়গায় আমরা ওকে পাঠিয়ে দিতাম।
প্রথমবার কলকাতা গিয়ে আমিও '৩৬ চৌরংগি লেন' খুঁজে বের করেছিলাম। অপর্না সেনের সিনেমার সেই বাড়ি এখন একটা দোকান হয়ে গেছে। তবে এলাকাটা সিনেমায় যেমন দেখেছিলাম তেমনই আছে, এখনো কিছু এংলো ইন্ডিয়ান থাকে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উল্টোদিকে রেসকোর্সের ফুটপাতে পৃথিবীর সবচেয়ে মজার পানিপুরী বিক্রি হয়। আমি আর সনেট কম্পিটিশন করে খেয়েছিলাম। আর নিজামের কাবাব। উফফ! এখনো জিবে লেগে আছে।
পরের পর্বটা কি এই বছর আসবে? রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্লী যেতে কিন্তু একদিনের বেশি লাগে না 😛
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
পানিপুরী খেয়ে আমি খুবই বিরক্ত, এইটা কিছু হইল?? ফুচকাকে ধুম করে তেতুল গোলা পানির মধ্যে ডুবায় খাইতে দিয়ে দিলো! পুর নাই কিছু নাই...শাল পাতার বাটিটাই যা মজার, খুবই ইনোভেটিভ :thumbup:
অফ টপিক- আপুর মন খ্রাপ ভাল হইছে?নাকি বড় কইরা একটা লেকচার দিবো? 😀
আপনে!!! আপনে ওইটা দেখলেন কেমনে??? আমি তো লিখা মাত্র মুছে দিসি 😮 😮
যাই হোক। মন ভাল হইসে।
কেমন আছ আপু? আমার লেখায় তোমার কমেন্টটায় কেন যেন জবাব দিতে পারলাম না।
কফি হাউসে যাওয়ার আমার বড়ই শখ।
ভাল আছি ভাইয়া 🙂
খেলুম না......... x-(
পোস্ট দেইখা গতকাল রাত্রে ঢুকছি......
দেখি কয় যে ৪০৪ বিভ্রাট.. ~x(
এরপর প্রথম পাতায় আইসা দেখি এইটা বেমালুম হাওয়া... 😮
নাইলে আমিই ফাস্টো হইতাম :awesome:
যাউগগা......কলকাত্তায় পৌছাইলাম অবশেষে.. :awesome:
:grr:
তোর ওই ভাবয ছবিটা পেস্ট করে দিব নাকি?? ;;)
x-( x-( x-( x-( 😡 😡 😡
:no: :no: :no: :no: :no: :no:
কুন ছবি?ঝাতি দেখতে ছায় :grr: সামিয়াপ্পু এক্ষনি পোস্ট করে দাও রেজুরে আমি দেখতেশি x-(
খুবই ভালো লাগলো | তবে দিল্লি পৌছাতে বেশি দেরী করো না | :clap: :clap: :clap:
থেঙ্কু ভাইয়া 🙂
দারুন হইছে। :clap:
কিন্তু একটা জায়গায় একটু খুটকা লাগল-
শুনছিলাম, পাঠ্যবইয়ে পড়া কলিকাতার এই ইতিহাসটা ইংরেজদের বানানো গপ্পো, কলিকাতার হাইকোর্টে এটা নিয়ে মামলাও হইছে, রায়ও গেছে ইংরেজদের দাবীর বিপক্ষে। সেই থেকে কলিকাতার ইংরেজী নামের বানানও বদলানো হয়েছে (Calcatta>Kolkata)।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
জ্বি, ভাইয়া.......আপনার তথ্য ঠিক......
যদিও এই ১৬৯৮ সাল নিয়ে আমার একটু সন্দেহ আছে, তবে উইকি তো এই কথাই বলল। জোব চার্ণক এর প্রতিষ্ঠাতা নয়, তবে জোব চার্ণক ইজারা নেয়ার পর থেকেই বর্ধিষ্ণু এই গ্রামটি মহানগরে রূপ নিতে শুরু করে। 'মহা' কথাটা মিস করে গেছিলাম, ঠিক করে দিলাম।
সামিয়া, খুব সুন্দর করে লিখছো। আফসোস, আমি এতো সুন্দর করে ভ্রমন কাহিনি লিখতে পারি না।
থেঙ্কু ভাইয়া। আপনি আরও সুন্দর লিখতে পারেন 🙂
ঘুরাঘুরি'র কাহিনী পড়তে সবসময় ভালবাসি আমি । দিল্লীতে পৌঁছানোর অপেক্ষায় রইলাম । অ.ট : তোমার প্রোফাইল পিকটা জোশ হইছে :gulti:
থেঙ্কু ভাবী :shy: ওইটা জয়সলমীরে, সব্বাই মিলে পাগরী পিন্দসিলাম
আমার এই একটা দুঃখ.......এখনো কলকাতা যাওয়া হইলোনা.......আমার কাছে এটাকে কেমন স্বপ্নের শহর মনে হয়.......
শহরটা সুন্দর, তবে শহরের মানুষগুলা আরকি...ভালই।
কলকাতায় ট্যাক্সি ভাড়ার হিসাবটা আসলেই ভেজালের। আমরা একজায়গায় যাওয়ার পথে ট্যাক্সিওয়ালা ভাড়া চাইল ৯০ রুপী। মিটারে না গিয়ে ঐ ৯০ রুপীতেই গিয়েছিলাম। আর ফেরার পথে মিটারে ট্যাক্সিতে উঠলাম, কিছুক্ষণ পরপর মিটার দেখি আর কেন আগে মিটারে না গিয়ে ভাড়ায় গেলাম তা নিয়ে নিজেদের শাপ-শাপান্ত করি। পৌঁছে দেখলাম মিটারে ৫৬ রুপী উঠেছে, তা-ই দিতে গেলাম, তখন ট্যাক্সিওয়ালা বুঝিয়ে দিল যে মিটারে যা উঠেছে তার দ্বিগুণ দিতে হবে!! x-(
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল আমার খুব ভালো লেগেছে। ভারতের ইতিহাসের একটা বড়সড় অংশ এখানেই জানা যায়। কলেজ স্ট্রিটে সেন্ট জেভিয়ার কলেজের ভেতর থেকে ঘুরে এসেছিলাম। 🙂 ফুটপাতে চা খাওয়ার ব্যবস্থাটাও আজব লেগেছে। একটা মাটির কাপে চা দেয়, খাওয়ার পর আবার ওটা ভেংগে ফেলতে হয়!
যাক, অনেকদিন পর সিরিজটায় হাত দিলা। রাজধানী এক্সপ্রেসের কিছুক্ষণ পর পর নাস্তার ফাঁকে ফাঁকে দিল্লী পৌঁছানোর কাহিনীটাও লিখে ফেলবা তাড়াতাড়ি আশা করি। 🙂
রাজধানী এক্সপ্রেসে যাই নাই ভাইয়া...স্টুডেন্ট মানুষ, পয়সা কম তাই কালকা মেইল 🙁
ভিক্টোরিয়ার ভেতরটা না ঢুকে খুব বড় মিস হইছে আসলে। আরও একটা মিস ছিল পরে, মিউজিয়ামে ঢুকতে পারি নাই
অনেকটা লম্বা হয়ে যায় বলে লাউ বা সীম জাতীয় গাছ কিন্তু তার পুরো লোড কান্ডের উপরে দিয়ে রাখতে পারে না, কিছু একটা "গেটিস" দিতে হয়। ব্যাপারটা অনেকটা সেই রকম, পিলার কম থাকে এই ডিজাইনের সেতুতে। বাকীটা টেনে ধরে রাখে সেই পিলারের উপরে। চিটাগাং এ একটা হচ্ছে, অনেকটাই এই রকম।
হালকা জ্ঞান দিলাম, আমি যদিও সিভিলের নই, মোস্তফা হয়ত আরও ভালো বলতে পারবে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
🙂 থেঙ্কু ভাইয়া
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল-এ আমরা দশ রুপি দিয়েই ঢুকেছিলাম। যতদুর মনে পড়ে ওই ব্যাটা বুঝে গিয়েছিল যে আমরা ওপার বাংলার। তারপরও বাঙালি বলেই বোধহয় খাতির করলো।
কফি হাউসটা কিভাবে যেনো মিস হয়ে গেল। 🙁
শহরটাকে ছিমছাম মনে হয়নি আমারও। তবে কেমন জানি একটা মাদকতা আছে। যতক্ষণ ছিলাম পুরোটা সময় একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। তবে মানুষগুলোর ব্যাপারে কামরুলের মুল্যায়নটাই বোধহয় ঠিক। "কলকাতার মেয়েগুলা সব ইন্ডিয়ান নায়িকাদের মতো আর ছেলেগুলা সব বাংলাদেশের বাসের কন্ডাক্টারদের মতো।"
লেখা বরাবরের মতই অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে কফি হাউসের অংশটুকু অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। এত সুন্দর করে লিখতে পারো তাও লিখনা কেন? সিরিজটার কথাতো প্রায় ভুলতে বসেছিলাম। আমরা সিনিয়ররা এত কষ্ট করে পড়তে পারি আর তুমি একটু কষ্ট করে লিখতে পারো না? খুব খ্রাপ। মেয়ে মানুষ পাঙ্গাইতেও পারি না। কি আর করা। এই সিরিজের নেক্সট পর্ব আসার আগ পর্যন্ত ৯৯-এর সব male cadet এই পোস্টে আইসা লঙ্গাপ হয়া থাক।
:)) :)) পারফেক্ট।
মেয়েদের না পাঙ্গানোর কি আছে, পাঙ্গায় ফেলেন। নতুন যুগের সূচনা করেন 😛 বলেন তো এক্ষুনি গ্রিলে ঝুলি
লিখা দাওনা ক্যান বুঝলাম না,
অনেকদিন পর কোলকাতায় ফিরে গেলাম যেন, কফি হাইজে আমারো যাওয়া হইনাই। তবে তোমার লিখায় যেন ঘুরে আসলাম।
কোথায় ফুচকা আর কোথায় পানিপুরী, ঠিক বলেছো 🙂 তবে ভেলপুরী ভালো লেগেছিলো। 😀
অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের 🙂
আপনার সাথে কথা নাই। খাওয়ান। 😀
দারুন লিখেছ আপু । পরের পর্বে বেশি দেরি কোরনা 😀
থেঙ্কু ভাইয়া। দেরী করব না ইনশাআল্লাহ।
ভ্রমণ কাহিনী পড়তে সবসময় ভাল লাগে । দিল্লীতে পৌঁছানোর অপেক্ষায় রইলাম । 😛
😛
দুই বছর হয়ে গেলো কলকাতা যাইনি। তোমার লেখায় সেটা পূরণ হলো। চমৎকার ভ্রমণ কাহিনী লিখেছো সামিয়া। নিউমার্কেট আমার প্রিয় জায়গা। শপিং, উইন্ডো শপিং, মানুষ দেখা- সব এখানেই চলে। গেলে থাকিও এর আশেপাশেই। আর সিনেমা দেখা অবশ্যই। ২০০৭ সালে দেখেছিলাম মাধুরীর শেষ ছবি "আ জা নাচলে"। আহ্, আমি এখনও মাধুরীর পাঙ্খা!! বিশেষ করে ওর নাচ, ওর প্রকাশভঙ্গী- অসাধারণ।
তবে কলকাতাটা আমার কাছে আরেকটা কারণে অন্যরকম মজার। মানুষের ভিড়েও একাকিত্বের সুখ পাওয়া যায়! একেবারে ঢাকার পরিবেশ, আবার ঢাকা না। দু'চারজন পরিচিত পরে যাওয়া ছাড়া ওখানে আমাকে কেউ চেনে না।
সামিয়া, অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বগুলোর জন্য। আর আইসক্রিম খেতে আসছো কবে? আর তোমার লেজটাকে বলো ঈদের দিন বেলা সাড়ে তিনটা থেকে এবিসি শুনতে। ওর পছন্দের "রোকযানা"র শিল্পী সাহেদের লাইভ শো আছে। তুমিও চাইলে শুনতে পারো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এই সুযোগে এবিসির প্রচারটা কইরা নিই। ঈদে যা যা হচ্ছে :
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ঈদে এবিসির সাথেই থাকব... গত ঈদেও ছিলাম, ফাটাফাটি ছিল অনুষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে লাইভ কনসার্ট। আশা করি এবার আরো ভাল হবে 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
লাবলু ভাই আপনার কমেন্টের অপেক্ষা করতেসিলাম :shy:
আপনার কাছে যাওয়া দরকার, খুব জরুরী 🙁 ৫ তারিখের পর একটা টাইম দেন।
ঈদের দিন এবিসি কানে করেই ঘুরবো ইনশাআল্লাহ, আর কোন কাজ নাই তো এইবার। লেজটারে বার্তা পাঠাইতেছি। 🙂
৬ বা ৭ তারিখ বিকেলে চলে আসো। আর ২৮ নভেম্বর-০২ ডিসেম্বরের মধ্যে আসলে ঈগলু দুধমালাই ফ্রি!! :grr: :grr: :grr:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:grr: মনে রাখলাম
:shy: ইয়ে সানা ভাই আমিও আসি?
তা লাবলু ভাই এই ২৭ বা ২৮ এর জন্য ও কি ইহা প্রযজ্য?
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
ব্লগে স্বাগতম আপু, বেশি বেশি লিখুন। 😀
খাইছে, এইটা সামিয়া আপ্পু নাকি, আমি তো ভাবছিলাম নতুন কেউ জয়েন করছে। 😛 😛
কইলকাইত্যা বড় সোন্দর্য বোধ হইতেছে। আকাশদার বাড়ি গিয়েচিলেন নাকি??
অফটপিকঃ আমার জন্য কি আনছেন ঐখান থেকে?? 😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
-হালার পো রকিব্বা তোর কান টেনে লম্বা করে সেইটা দিয়ে ঈদের দিন গরুর লেজ বাঁধবো... x-(
এক থোকা ক্যাডবেরী আনছিলাম, তারপর নিজেই খায় ফেলছি :shy:
হুম্মম্ম দারুণ মজা করসেন মনে হইতেসে 😕
হু
চমৎকার হয়েছে সামিয়া। আমিও অপেক্ষাকারীদের সাথে নাম লিখালাম।
কলকাতার পাবলিক যে কেইসা কিপটা রে বাপ....একটা মিষ্টি ২ ভাগ কইরে দুইজন কে খাইতে দেয়.....কত্তো বড় বেয়াদ্দপ!!!!
সময় পাইলেই পুরাতন লেখাগুলা পড়ি.(নতুন সদস্য)...কমেন্ট করতে ইচ্ছে করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত করি না...আজকে আর পারলাম না.একটা বড়সড়ো কমেন্ট করতে যাচ্ছি. সাবধান!....লেখার জন্য আপুকে :salute:
কোলকাতার সাথে আমার প্রথম পরিচয় ক্লাস সিক্স এ...অর্কের হাত ধরে..(উত্তরাধিকার,কালবেলার আগেই আমি কালপুরুষ পরছিলাম...)পরে অনিমেষ-মাধবীলতা,দীপাবলী...শীর্ষেন্দু,সুনীল...কিংবা অঞ্জন,নচিকেতা,চন্দ্রবিন্দু,মহিনের ঘোড়াগুলি,...এদের সাথে অনেক জায়গা চষে বেড়িয়েছি.....উত্তম কুমার আর সত্যজিত এর সাথে ঘুরে ঘুরে দেখেছি এই শহরের আনাচে-কানাচে.......তাই লেখা পড়ে কেমন যেন অদ্ভুত অনুভুতি হচ্ছে.!!...যদিও জানি আমার দেখা আর বাস্তবতায় হয়ত অনেক ফারাক.....তবু একবার দেখতে ইচ্ছে হয়..
ঢাকা শহরটা ও কিন্তু আমি চিনেছি হিমুর সাথে হেটে হেটে.....আর নাটক দেখে....আমি প্রথম ঢাকা দর্শন করি এসএসসির পর....আর থাকি এইচএসসির পর...প্রায় ১ বছর....এই সময়ের মধ্যে ঢাকাকে চিনেছি নতুনভাবে...মায়া পড়ে গেছিল..(যদিও বলা হচ্ছে বসবাসের অযোগ্য )....এখন অনেক মিস করি......দেশ ছাড়লে বোঝা যায় দেশ আমাদের কতখানি জুড়ে আছে.....প্রতিদিন,প্রতিমুহুর্তে হারে হারে টের পাচ্ছি....
যাই হোক,শেষ কথা...পরবর্তী লেখা আসার কোনো সম্ভাবনা আছে কি.??.....ট্রেন চলছে তো চলছেই.............
পরের পর্বের জন্য আর কতদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে যদি বইল্ল্যা দিতেনগো আফামনি :dreamy:
😮 😮 😮
এইটা কি আসলেই নভেম্বর ২৬, ২০০৯ জমা হইছিলো?? খাইছে..
কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো.. পরের পর্বতো আজও ... .. ..
বুঝা যাইতাছে.. ক্যাডেট কলেজগুলো থিকা পানিশমেন্ট সিস্টেম সব ভ্যানিশ হয়া গ্যাছে ..
এর পরের পর্ব লেখার দায়িত্ব আসলে অন্য কাউকে নিতে হবে মনে হচ্ছে.... 😀
স্যামঝ্যাং, মাস্ত ছিল লেখাটা কিন্তু। তা দিল্লী আর কদ্দুর?
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
কলকাতার ছেলেরা বাসের কন্ডাকটারের মতো??????