সেন্টমার্টিন থেকে চলে আসার পর মনটা কেমন অবসাদগ্রস্ত হয়ে ছিলো। এতো আনন্দ ফুর্তির হঠাৎ পরিসমাপ্তি খুবই বেদনাদায়ক। তাই চলে আসার পর থেকেই মনে মনে ফন্দি আঁটতে শুরু করি যে আবার কোথায় যাওয়া যায়। ভাবলাম সমুদ্রতো দেখা হলো, বাকি রইলো পর্বতশৃংগ। বাকি রইলো হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্গা। নামটা মনে হতেই এক অজানা রোমাঞ্চ অনুভব করলাম। যে করেই হউক হিমালয়কে কাছ থেকে একবার দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। অন্তত পশ্চিমে আসার আগে হিমালয় আমাক দেখতেই হবে।
বিস্তারিত»সুইস আল্পস (হিমায়িত ঝর্না)
ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ২
ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ১
হেনরী ওয়ালেস ভিসিটর’স সেন্টারের লবি যেখান থেকে আমাদের গাইডেড ট্যূরের সূচনা সেখানে মেঝের মোজাইকে আঁকা Pictorial Map এ পুরো স্প্রিংউড এস্টেটটিকে এক পলকে দেখা যায়। এস্টেটের পশ্চিম সীমানা ঘেঁষে অবিরাম বয়ে চলেছে হাডসন নদী। তবে শীতকালে প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই বরফ জমে থির হয়ে থাকে। হাডসনস্নাত এই এবং তদ্সংলগ্ন এলাকাটি হাডসন ভ্যালী নামেই সমধিক পরিচিত। পূর্বমুখী মিউসিয়াম,লাইব্রেরী আর বাড়ির অবস্হান পশ্চিম তীরের বেশ কাছাকাছিতে।
বিস্তারিত»সিক্স ডেজ সেভেন নাইটস – শেষ পর্ব
সিক্স ডেজ সেভেন নাইটস – ০১ – ০২
খাওয়ার পরে সিগারেট ধরিয়ে সবাই একসঙ্গে বের হলাম সমুদ্রের পারে হাঁটতে । খোলা গলায় এবং হেড়ে গলায় গান চললো কিছুক্ষণ। অনেক্ষণ পর ফিরে এসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম, কিন্তু রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে দেখি এই গরমে রুমে ঘুমানো সম্ভব না। বালিশ তোশক নিয়ে একজন বারান্দায় এসে শুয়ে পড়লো, তার দেখাদেখি বাকি সবাই।
বিস্তারিত»ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ১
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে ধ্বস আর ব্যাংকিং সিস্টেমের ব্যর্থতা জন্ম দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দার এবং এর প্রভাব এখন সারা বিশ্বজুড়ে। এ পরিস্থিতির সাথে পুঁজিবাদী মার্কিনীদের পরিচয় নতুন নয়, বিগত শতাব্দীতে সীমিত ও বড় পরিসরে অনেকবারই এর মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৩০ সালের গোড়া থেকে প্রায় এক দশক স্হায়ী হওয়া গ্রেট ডিপ্রেসন (The Great Depression). বর্তমান সময়ের এই অর্থনৈতিক মন্দাকে মিডিয়া এবং প্রশাসন গ্রেট ডিপ্রেসনের সাথে তুলনা করছে মাঝে মধ্যেই।
বিস্তারিত»সিক্স ডেজ সেভেন নাইটস – ০২
সেন্টমার্টিন গিয়ে যখন নামলাম ততোক্ষণে অসম্ভব ক্লান্তি পেয়ে বসেছে। একজন একজন করে যখন এই সাগরদ্বীপে পা রাখছি তখন দুপুর প্রায় একটা। নেমেই প্রথমে যেটা চোখে পড়লো তা হলো অফ-সিজনে ট্যুরিস্ট দেখে দ্বীপবাসী মানুষের কৌতুহলী দৃষ্টি। সবাই মিলে এমন ভাবে আমাদের দেখছে যেন আমরা ‘নাগস হেড’ এ ক্যাবারে ড্যান্স করতে এসেছি। 😮
যাই হউক, ক্ষুধা, ক্লান্তি এবং জুন মাসের স্থলবায়ুর অসম্ভব গরম যখন আমাদের চামড়া ভেদ করে ঢুকছে তখন সমুদ্রের কোল ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা হোটেল প্রিন্স-হেভেনকে নিরাপদ আশ্রয় মনে হলো।
বিস্তারিত»সিক্স ডেজ সেভেন নাইটস
দেশ থেকে ঘুরে আসার পর অর্থাভাবে পরেছিলাম। আসার সময় বউ ল্যাপটপটা রেখে দিলো। তাই এখানে এসে আবার একটা কম্পিউটার কিনতে সময় লাগলো । ব্লগ লেখার নেশাটা ভাল জাকিয়ে বসেছে মনের মাঝে। প্রথম লেখাগুলো ক্যাডেট কলেজের স্মৃতি থেকে সংগ্রহিত হলেও এবার তার পরবর্তী অধ্যায়। অর্থাৎ ইউনিভার্সিটি লাইফ।
বুয়েটে আমাদের একসঙ্গে থাকা, রাতভর ঘুরে বেড়ানো, হোটেলে গিয়ে খাওয়া দাওয়া এবং মাঝে মাঝে দেশে-বিদেশে ভ্রমন করাটা আমাদের মজ্জাগত হয়ে গিয়েছিলো।
বিস্তারিত»ব্যাচ পিকনিক ২০০৯
গত দুবছর ধরেই আমরা ব্যাচ পিকনিক চালু করেছি।আমাদের এক ফ্রেন্ডের বাবা আমাদেরকে একটা বাস দেন আর আমরা নিজেরা খাবারটা ম্যানেজ করে পিকনিকটা করে আসি।খুবই মজা হয়।সারাদিন ক্রিকেট,ফুটবল,আর একে অন্যকে পঁচানি।কি করে যে দিনটা চলে যায় টের পাওয়া যায় না।এইবার আমাদের সেই পিকনিকের দায়িত্ব পরে গেলো আমার আর সোহেলের উপর।এবং টের পেলাম ব্যাপারগুলা যতটা সহজ মনে হয় অতটা সহজ নয়।আমার কাঁধে দায়িত্ব তার জন্যেই কিনা জানি না আংকেলের দেওয়া বাসটা এবার আর পাওয়া গেলো না।বাজেট বেশি হয়ে গেলে পোলাপাইন যেতে রাজি হয়না তাই আমি একটু চিন্তায় পরে গেলাম।পরে নাহিদ জানালো বাস না দিলেও আঙ্কেল তার নিজের জীপটা দিচ্ছেন।আমিও একটু শান্তি পেলাম।২০তারিখ সকালে একটা মাইক্রো,নাহিদের প্রাডো,স্টার থেকে নেওয়া লাঞ্চ আর সাথে ৪ জন ভাবী নিয়েআমরা রওনা দিলাম গাজিপুর ন্যাশনাল পার্কের উদ্দেশ্যে।
বিস্তারিত»কাকঁড়া দ্বীপে আরেকবার
গত চাইনিজ নিউইয়ার ছুটিতে গিয়েছিলাম কাকঁড়া দ্বীপ, কিন্তু ছিলাম মাত্র কয়েক ঘন্টা, তখনি প্লান ছিল, আবার আসব এখানে, রাতে থাকতে হবে, এবারের থিম্পুসানের ছুটিতে আবার আমাদের সমুদ্র যাত্রা।
সকাল ১১ টাঃ ছুটির দিনের প্রাথমিক আলস্য কাটিয়ে যাত্রাহল শুরু, কে-এল সেন্টাল হয়ে ক্লাঙ্গ বন্দরের জেটিতে আসতে আসতে ১টা বেজে গেল। বেশি মজা করার জন্য ফেরি বাদ দিয়ে উঠলাম কাঠের মাছধরা ট্রলারে, প্রায় ১.৩০ ঘন্টা লাগল দ্বীপে আসতে,
বিস্তারিত»মালেয়শিয়ার চিঠি – ৪
৯ দিনের ছুটির আজ শেষ দিন। আবার কবে লিখতে পারব জানি না। গতকাল সানা ভাই মালেয়শিয়া – থাইল্যান্ড – সিঙ্গাপুর রোড় ট্রিপ এর ব্যপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তানভীর ভাই এবং
ওবায়দুল্লাহ ভাই ও মালেশিয়ার আসাবেন। সে কারনে এই ইনফরমেটিভ লেখাটা দিলাম। যাতে সিসিবির কোন ভাই এই দিকে আসলে খুব সহজে এই তিনটা দেশ ঘুরে দেখতে পারেন। মালেয়শিয়া – থাইল্যান্ড – সিঙ্গাপুর রোড় ট্রিপ বিদেশীদের কাছে খুব লো্ভনীয় একটা রুট।
কাঁকড়া দ্বীপে কয়েক ঘন্টা …
কুয়ালালুমপুর থেকে মাত্র ২ ঘন্টার রাস্তা কাঁকড়া দ্বীপ । ক্রাব আইলান্ড, মাল্লাকা উপ সাগরের একটা দ্বীপ। এই দ্বীপ এ মাত্র ৮০০০ লোক বাস করে, এবং সবাই চাইনিজ। মূলত জেলেদের আবাস স্থল। একনকার কাঁকড়া খুব বিখ্যাত, এক কেজি কাঁকড়ার দাম ৪০ রিংগিত (৮০০ টাকা )।
বিস্তারিত»মালয়েশিয়া ভ্রমন (পর্ব-২)
মালয়েশিয়া ভ্রমন (পর্ব-১)
অবশেষে ঢাকায় প্রায় ৮ দিন কাটানোর পর ঠিক করতে পারলাম যে, ২৪ তারিখ রাতে যেতে পারবো। ২৩ তারিখ গেলাম বেস্ট এয়ারের অফিসে টিকেট এর তারিখ চেঞ্জ করতে। ওরা বল্লো, ৩১ তারিখের আগে কোনো ফ্লাইট খালি নাই। মেজাজ টা একেবারে গরম হয়ে গেলো।
কি করবো, চলে আসলাম। এম্নিতেই টুর এর এতগুলো দিন নস্ট হলো। পারলে বিমান কিনে চলে যাই।
ঘানা ভ্রমন -৩ কাকুম ন্যাশনাল পার্ক (দ্বিতীয় পর্ব)
‘কাকুম ন্যাশনাল পার্ক’এ একটি বিকেল থেকে সন্ধ্যা – ২
আমরা ক্যানোপী ওয়াকের কাছে গেলাম।
প্রথমে দেখে সত্যি অভিভূত হয়ে গেলাম। গহীন জঙ্গলের মাঝে উঁচু উঁচু গাছে ক্যানোপী সংযোগ করে ঝুলন্ত সেতু বানিয়েছে বেশ কায়দা করে। গাছে গাছে অ্যাংকরেজ গুলো বেশ মজবুত করে করা হয়েছে। আর তাই আমরা সবাই প্রায় একসঙ্গেই হেঁটে আসলাম পুরা পথ টুকু। মাঝে মাঝে গাছের সাথে অ্যাংকরেজ এর প্ল্যাটফর্মগুলোতে একটু অপেক্ষা।
ঘানা ভ্রমন -২ কাকুম ন্যাশনাল পার্ক (প্রথম পর্ব)
‘কাকুম ন্যাশনাল পার্ক’এ একটি বিকেল থেকে সন্ধ্যা -১
কেপ কোস্ট ক্যাসেল নিয়ে লেখার সময় ভাবছিলাম; ঘানার অপর পর্যটক কেন্দ্র -কাকুম এ অবস্থিত ‘ন্যাশনাল পার্ক’ সম্পর্কে দুচারটে কথা না লিখলে ঘানা ভ্রমন এর স্মৃতি রোমন্থনটা অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। তাই এটাকে প্রচলিত ভ্রমন কাহিনীর রূপ দেয়া আমার পক্ষে একটু কঠিনই ঠেকছে। তাই সে চেষ্ঠা না করে আমি বরং লিখে যাই-আমার মত করে।
বিজ্ঞ পাঠকের প্রতি তাই অনুরোধ রাখছি এই বলে যে –
বিস্তারিত»ফটো ব্লগ : বোমি লেক
ফটো ব্লগ : মনরোভিয়া
ফটো ব্লগ : মনরোভিয়ার পথে
ফটো ব্লগ : লাইবেরিয়া
ফটো ব্লগ : স্থির সময়
“স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট” করতে আমাদের লোকজন মনরোভিয়া আসে। আমি আপাতত মনরোভিয়ার বাসিন্দা। আমি তাহলে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করতে কই যাই? কলিগদের মুখে মুখে শুনে এবং ছবি দেখে অনেকদিন আগে থেকেই মনের মধ্যে “বোমি লেক”
বিস্তারিত»