মিলেনিয়াম: সময়ের সেলাই

আমরা বেঁচে আছি সময়ের এপার ওপার ফোঁড়ে, গ্রাসের ঝড়ো তান্ডবে !
ভাঙ্গনের ঝনকার কানে যায় না। আমাদের মনের কানে তালা পড়েছে !
আমরা আর চোখেও দেখি না প্রায় ! আমাদের জ্বিভ লকলক করে বড় হচ্ছে!
চাবুক খাওয়া ঘোড়ার মতো তাই সব দৌড়ের উপরে !

মেয়েটাকে একসময় চিঠি লিখত ছেলেটি কালেভাদ্রে, কৈশোরের আটানব্বইয়ে ।
কথার পরে কথা সাজিয়ে, তাতে মনের ছোঁয়া মিশিয়ে
হোমিওপ‌্যাথির গুড়ার মতো আদর করে খামে পুরে,

বিস্তারিত»

কেন বিধি

কেন বিধি কেন বানালেনা মোরে,

হিমালয় চুড়া পাহাড়ের করে?

দিনের বেলায় বরফ সাগরে

রাতের বেলায় ছবি!

বুকে নিয়ে তবে শত শত ব্যথা,

অবলা থাকত না বলা যা কথা,

বলতাম না’ক কথা সব যথা,

হয়ে কোন এক কবি।

 

কেন বিধি মোরে নদী করলে না?

নিজ আঁখিজলে ভিজে আনমনা,

বিস্তারিত»

মনে করো আমি

মনে করো আমি পাথর সমান, বুকেতে বিঁধে না কিছু,

ঝরনার পানি বয়ে যায় শুধু, ফেলে মোরে একা পিছু,

ঝরনারে আমি বলিনি কখনো, “একটু দাঁড়াও বন্ধু”,

কারণ তার যে মহৎ লক্ষ্য, গড়তে হবে যে সিন্ধু।

 

মনে করো আমি শত বছরের অশোক কিম্বা বট,

শতবছরেতে মাথায় হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত জট,

বলিনি তবুও পথের পাশ-কে,

বিস্তারিত»

জনৈক ক্যাডেট কথা…

শোন শোন ভাইসব, শোন দিয়া মন,

জনৈক ক্যাডেট কথা শোন সর্বজন,

সকালে উঠিয়া সে যে মনে মনে কয়-

সারাদিন যেন সে গা বাঁচিয়েই রয়,

আরে – প্যারেড গ্রাউণ্ডে যখন ড্রেস চেকিং হয়,

শেভ-পালিশ নাই বলে পেছনে লুকায়,

প্যারেড ব্রেডের মত গজবের শেষে,

ফর্মক্লাসে এসে সে ঘুমায় নিমেষে ।

 

বিস্তারিত»

অনাহুত এক অনুভুতি

নিশুতি রাতে বসে আছি। আমার নিশুতি শব্দ টা একদম ই ভাল লাগেনা। কেমন যেন লাগে। আসলে প্রতিটা মানুষের ই কিছু কিছু ব্যাপার থাকে যা সে সহ্য করতে পারে না। আমরা বন্ধুরা যাকে বলি গা গুলানো। আহ আসল কথায় আসি, আমি তো এমনিতে এই নিশুতি রাতে মশাদের সাথে অনাহুত রক্তদান কর্মসূচি করতে বসিনি।

একটা ভাঙ্গা ঘরে বসে আছি। চারপাশে জঙ্গল আর ঝি ঝি পোকার ডাক।

বিস্তারিত»

আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস

আজ ১৪ই জুন – বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। আমার ছোট্ট বিশ্বে অবশ্য রক্তদান দিবসটি হচ্ছে ১লা জুন। ৩৭ বছর আগে এই দিনটিতে প্রথম শুরু করি রক্ত দেওয়া। ঢাকার মহাখালীর কলেরা হাসপাতালে আমার মেয়ে তখন তার প্রানের জন্যে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। ছোট্ট মেয়ে আমার – মাত্র এক মাস হয়েছে তখন তার বয়েস। এই এক মাসের মধ্যে প্রায় অর্ধেক সময় কেটেছে হাসপাতালের বিছানায়। প্রথমে তার ছোট্ট হাতে সূচ ঢুকিয়ে সালাইন দেওয়া হচ্ছিল।

বিস্তারিত»

সুখ ও শান্তি

কেমন চাও জীবনটা?
দুমুঠো ভাত আর একটু কাপড়
আরেকটু মাথা গুঁজার স্থান,
ভালোবাসা আর সম্মান।
ঠুনকো, ভনিতাময় বা মিথ্যা নয়।
এতটুকুই দেবো,
কী???? নিতে রাজি?
সাথে পাবে শান্তি, একদম ফ্রি।

অথবা প্রাসাদ, গাড়ি, নারী
আর খাবার রকমারি,
পোশাক বাহারি ঢঙের,
মনকাড়া রঙের, নতুন প্রতিক্ষন।
কুর্নিশে কুর্নিশে ক্লান্ত সবে,
মহামতির তরে জান যতক্ষন রবে।

বিস্তারিত»

দুর্বল-সঙ্গীত

কি লিখবো?
উত্তাল হৃদয় ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ
কার তরে লিখবো? কে আছে মন দিয়ে শুনবে?
কে আছে আফ্রিকায় কাতরানো-
সেই শিশুটির মুখে তুলে দিবে এতটুকু খাবার,
ওষুধ আর
এতটুকু বস্ত্র?
কিংবা কার মনোযোগে আরশীনগরবাসী
অজ্ঞাত অসহায় অভুক্ত সেই প্রতিবেশী।
আমিই কি আছি?
নিজের অধিকার নিয়েই তো তটস্থ,
অস্থির আমি-
যোগাতে অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, ভালোবাসা-
লুটেরা, দুর্বৃত্ত আর প্রতারকের ভিড়ে
হয়তো নিজেও তাদের একজন,

বিস্তারিত»

মাত্রতো একটা যুগের একটু বেশী….

বন্ধূ চয়নকে ফোন দিয়েছিলাম বহুদিন পর- চিনতেই পারেনি।
নাম বললাম- ভালো নামটা, যে নামে স্কুলে প্রতিদিন উপস্থিতি ডাকত রেবেকা আপা
সেই নামটাই বললাম, ডাক নাম অবশ্য ইচ্ছে করেই বলিনি
নাহ! বন্ধু আমাকে চিনতেই পারেনি।
সময়ও অবশ্য কম গড়ায়নি, এক যুগেরও একটু বেশী।
আমার আবেগ এখনো কাঁচা কিন্তু বন্ধুরা কেউ মনে রাখেনি।

যাই হোক, চয়নের কথা বলছিলাম।
ফাল্গুনের নতুন বাতাসে আজিজের দুই তলায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে চয়নকে একবার ফোন দিলাম-
স্নাতক শেষ,

বিস্তারিত»

জীবনের ওপারে আকাশগঙ্গা…..

মৃত্যু- যখন আসার কথা তখনই আসবে। সময়মতোই এসে হাজির হবে-
উদার কপাটে-
থামানো যাবে না তাকে কোনমতে।

ক্ষয়রোগ বাসা বেঁধেছে- চলে যেতে কীটস এর পথে। শরীরটা শেষ ঝাকুনি দিয়ে
থেমে যাবে অবশেষে- চির দুখী বিদায়ে।
ভাবতেই পারি না কোনভাবে- নাহ! মানতেই পারি না যে!

এই আলোর মতো জীবনটা, এই চৈত্রের হলকা হলকা হাওয়ার মতো জীবনটা
আমার- নাই হয়ে যাবে একেবারে!

বিস্তারিত»

আমি কেন ব্লগে লেখালেখি কমালাম?

[প্রাককথনঃ ‘সদালাপ’ নামে একটা ব্লগের উদ্দেশ্যে মূলত এই প্রবন্ধটা লেখা। তবে বিনে পয়সায় উপদেশ বিতরণের মজ্জাগত খাসলতের ওপরে কোনোক্রমেই উঠতে সক্ষম না হওয়ায় শেষমেশ সিসিবিতেও লেখাটা পাঠালাম। লেখাটা সিসিবির অধিকাংশ লেখার বা আলাপচারিতার ধারার সাথে খুব একটা সংগতিপূর্ণ না হলেও লেখার সার্বিক মেসেজটা হয়ত কারো কারো কিঞ্চিত উপকারে লাগতেও পারে, বিশেষ করে সিসিবির যেসব সদস্যরা ধর্ম নিয়ে অন্যান্য ব্লগে লেখালেখি করেন, তাদের।

আরেকটা কথা।

বিস্তারিত»

যখন তুমি হঠাৎ করেই এতোটা একা হয়ে যাও

কতটা একা হয়ে গেলে নিজেকেও অনেক একা মনে হয়!
ঢোক গিলে গিলে কাঠ হয়ে যাওয়া গলাকে ভেজাতে হয়
মীরাক্কেল দেখেও হাসি পায় না- কতটা একা হয়ে গেলে মানুষ হাসির কথাও ভূলে যায়!

কতটা একা হয়ে গেলে নিজেকেও অনেক একা মনে হয়!
এদিকে ওদিকে তাকাতে তাকাতে বেলা গড়ায়, বিছানায় গড়িয়ে গড়িয়ে প্রণব ভৌমিক আবার উঠে দাড়ায়-
কানের পাশে মাথার রগগুলো তিড়তিড় তড়পায়
হাতের নখগুলো দাঁতের আদুরে চিমটিতে ছোট থেকে ছোট হয়ে যায়
কতটা একা হয়ে গেলে মানুষ হতাশার কথা ভূলে যায়!

বিস্তারিত»

দুঃস্বপ্নের শ্লোগান

(৭১’এর পিশাচদের বিচারের দাবীতে)

এসলাম এজলাস করে করে দ্বীন গেল অজুহাতে
চলমান কালো তাবু বানাতে চাস রূপবতী বাঙালি নারীকে
পর্দার আবরণে ঢেকে দিতে চাইছিস বঙ্গকণ্যাকে মাথা থেকে পায়ে
তবে তোর মায়ের নেকাব খুলেছিলি কেন ৭১ এ !!

ভাবীর ব্লাউজ-শাড়ি, বোনের সালোয়ার-কামিজ
ছিড়েছিলি কেন ছিন্নভিন্ন করে ! একেই বুঝি দ্বীন রক্ষা বলে!
জলপাই রঙের গাড়িতে করে একদল পাক-জানোয়ার ডেকে
কেন লেলিয়ে দিয়েছিলি তোর গর্ভবতী মায়ের দিকে!

বিস্তারিত»

সাথে থাকুন

ভালোবাসা মানে কি? আমাদের মত জ্ঞানী গুনী মানুষেরা এর উত্তরে তাদের জ্ঞানের ঝাপি খুলে দিবেন, আমি নিশ্চিত। তবে ভালোবাসা জিনিসটা আমার কাছে সবসময়ই খুব ঘোলাটে, খুব অস্পষ্ট। নিজেকে মাঝে মাঝে খুব আবেগহীন মানুষ বলে মনে হয়। ভালোবাসা ধরে রাখতে পারি না, ভালোবাসা একটানা দিয়েও যেতে পারিনা কেন জানি। বিশেষ করে আজকাল্কার এই প্রযুক্তি নির্ভার দিনে যাখানে সবাই হাপিয়ে উঠার সময়ও পাচ্ছে না যুগের সাথে তাল মিলাতে মিলাতে- কোন কিছুই ঠিক চিরন্তন না,

বিস্তারিত»

ধর্মানুভূতির বয়ান

সকল সমাজেই ধর্মানুভুতির সংক্রান্ত সামাজিক ট্যাবু অথবা ক্ষেত্রে বিশেষে আইনি বন্দবস্ত থাকে। প্রায়ই আমরা দেখতে পাই কোন একজন মানুষকে মুরতাদ অথবা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হচ্ছে। কারও কারো মাথার দাম ঘোষণা করা হয়। যদিও মাথার দাম ঘোষণা করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে সেলফ হিপোক্র্যাসি মনে হয়। ধরা যাক সালমান রুশদীর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে(ইরান সত্যিই সালমান রুশদীর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল, আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে আয়াতুল্লাহ খোমেনী করেছিলেন।

বিস্তারিত»