হেলাল হাফিজ অতিসাম্প্রতিক কালে আবার কবিতা লিখছেন। কবির পয়ষট্টিতম জন্মদিন উপলক্ষে যুগান্তরের সাহিত্য পাতায় তিনটি কবিতা ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে একটি কবিতার নাম ওড়না। বলাবাহুল্য কবির সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা এর আগে বহু লেখায় উল্লেখ করেছি। সেই সূত্রে এই কবিতাটির প্রসব বেদনায় যখন কবি ছটফট করছেন তখন আমি কবির সাথে ছিলাম। প্রায়ই তিনি অনুভূতিহীন অন্যমনস্ক হয়ে যেতেন। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে কবিরা একটু অন্যমনস্ক,অগোছালো থাকবে এটাই নিয়ম হলেও কবি হেলাল হাফিজ অত্যন্ত গোছানো একজন মানুষ।
বিস্তারিত»শিরোনামহীন শব্দচয়ন…!!!
সুখ দুঃখ নিয়ে এই ছোট্ট জীবনে অনেক ভাবতে হয়েছে আমাকে। সেটা যে কারনেই হোক আমার চিন্তাধারা খুলে যায় ২০০৪ সালে শহীদ ক্যাডেট কোচিং এ থাকাকালীন ভবন-১ এ থাকতে। ৪ তালার হাবিব স্যার এর ফ্ল্যাট এ শুয়ে এক বিকালে বেডমেটের সাথে কথা বলতেসিলাম। রাজীব নাম ছিল ছেলেটার। খুব গরীব পরিবারের ছেলে, শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা শিখেনি বলে কারও সাথে তেমন কথা বলত না, আর আমার ডুয়েল পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার ছিল আই মীন খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তনশীল ছিলাম বলে আলাদা থাকতাম,তাই আমার বেডমেট হিসাবে স্যার ওকে ঠিক করে দিয়েছিলেন এই ভেবে যে আমিও বেশি কথা বলিনা আর রাজীব ও বলেনা,
বিস্তারিত»লেসন ফ্রম ক্যাডেট কলেজ
১) মোজা না ধুয়ে এক সপ্তাহ পরলে বাজে গন্ধ ছড়ায়। না ধুয়ে এক মাস পরলে গন্ধ থাকে না। প্রায় প্লাস্টিক হয়ে যাওয়া সেই মোজা ব্যবহার করে খুব আরাম। এতে পোলাও এর হালকা সুবাস থাকে।
২) সাদা কাপড় থেকে সব ধরণের ময়লা দাগ দূর করা সম্ভব, শুধু সবুজ ঘাসের ঘষটে যাওয়া দাগ তুলে ফেলা সম্ভব না।
৩) ব্যাচেলর জীবনে সবচেয়ে অনাদরের জিনিসের নাম হ্যাঙ্গার।
বিস্তারিত»তুর্কী জাতিকে নিয়ে কিছু কথা…
শুনেছি স্বপ্ন নিয়ে মানুষ নাকি বেঁচে থাকে। জীবনের চলার পথে স্বপ্ন নাকি মানুষের এক অপরিহার্য সহযোগী।যুগে যুগে মানুষ স্বপ্নের রকমফের করেছে। পরিবর্তন করেছে স্বপ্নের সংজ্ঞাকে। শুনেছি কেউ কেউ নাকি স্বপ্নকে আশা বলে ব্যক্ত করতেই পছন্দ করেন। তো সেই রকম কত স্বপ্নই না আমরা দেখে থাকি জীবনে। বিশেষত একজন বাঙ্গালীর স্বপ্ন দেখার সংজ্ঞাটা এবং পরিধিটা বেশ বড়। কথায় বলে বাঙ্গালী নাকি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। আর ১৮ বছর বয়সের এক যুবক তরুণের ক্ষেত্রে সেই স্বপ্নটা অনেকটাই অতিমাত্রায় রঙ্গিন।
বিস্তারিত»রেট্রো টু রামাদান – ১
ক) “নামায পারলো, সাহরী খালো। ভাইয়ো – নামায পারলো, সাহরী খালো।”
আমার কানে এখনো বেজে ওঠে সেই ভাঙ্গাচোরা বিহারী দারোয়ানটার কন্ঠ। সারা লালখানবাজার এলাকায় হয়ত একাই ডেকে ডেকে সবাইকে ওঠাতো। আমি তাকে কখনও দেখিনি। আমি শুধু তাকে শুনেছি। শুনেছি তার হাতের ঝুনঝুন লাঠির আওয়াজ – দুমদাম করে গেইটে বারি দিত। আর সবাইকে চেঁচিয়ে বলত –
“নামায পারলো, সাহরী খালো।
বিস্তারিত»পূর্ণতা…!!!
আচ্ছা খুব সুখের সময় গুলো সত্যিই অসাধারণ হয়,তাই না?ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ গুলো কখনো কখনো খুব পাশবিক হয়? পাশবিক কি পশুর সাথে যুক্ত কিছু? খুব খারাপ না?
সুখ নামের ছোট্ট শব্দ টির খুব করুন সময় যাচ্ছে না?কেউ কি আমাকে বলে যেতে পারবে যে ভালোবাসা বা প্রেম কি?আচ্ছা শারীরিক আকর্ষণ কে কি ভালোবাসার রোমান্টিক রূপ বলি আমরা?কে জানে।কেউ কি জানে যে ছোট বেলা থেকে যে মানসিক সমস্যা নিয়ে বেড়ে উঠেছি সেটা একটা সময় খুব জটিল ছিল।দেখতাম চারপাশ টা রঙ,আমি ছুঁতে গেলেই মিলিয়ে যায়।
বিস্তারিত»প্রিয় সিসিবি, আমি ভালো নেই!
১
অনেকদিন পর সিসিবি’তে লিখছি। কিন্তু এরমানে এই না যে, সিসিবি ছেড়ে গেছিলাম- প্রতিদিন নিয়ম করে একবার সিসিবি’তে ঢু না মারলে মনে হয় দিনটাই অপূর্ণ রয়ে গেল!
কয়েকদিন ধরে সিসিবিও বেশ জমজমাট হয়ে উঠছে। ফেসবুকে ফয়েজভাই একটা ষ্ট্যাটাস দিলেন, অনেকেই কমেন্টও করলো সেখানে। তারপর দিবসও একটা ষ্ট্যাটসে নতুন নতুন ব্লগগুলোতে কমেন্ট করার মাধ্যমে সিসিবিকে জমিয়ে তোলার জন্য বলেছিল। সব মিলিয়ে, বেশ একটা আবহ তৈরী হয়েছে মনে হল।
বিস্তারিত»no
অধর্মের ধর্মানুভূতি
অধর্মের ধর্মানুভূতি
আমাদের সমাজের প্রায় সবাই বেড়ে ওঠে নিবিড় ধর্মাবিষ্ট এবং ধর্মভীরু এক ধরনের পারিবারিক পরিবেশে। পরিবারে বাবা-মার হাতেই সবার ধর্মে হাতেখড়ি। ঈশ্বরের অস্তিত্ব, ধর্মের আচার-অনুষ্ঠানসহ ধর্মের প্রাথমিক বিষয়গুলো পরিবারেরই শিখে সবাই। বাবা-মা ধর্ম নিয়ে যা কিছু জানে তার সবই প্রবাহিত করে দেয় পরবর্তী প্রজন্মে। যে আচার-অনুষ্ঠান পালন করে সেগুলোও শিখিয়ে দেয়, পালন করতে বাধ্য করে। যে বাবা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সে তার ছেলেমেয়েকেও তাড়া দেয় নিয়মিত নামাজ পড়তে।
বিস্তারিত»দেখলাম সে কাঁদছে
দেখলাম সে কাঁদছে। তার কান্নাটা ছিল নীরব কান্না। আমার শত ব্যস্ততার কারণে আমি আজ এতদিন খেয়াল করিনি। আসলে এটা আমার দোষ যে, আমি খেয়াল করতে পারিনি। আর সে তো আমারই সন্তান। আমার কাছ থেকে সে আর কতদিন নিজেকে লুকিয়ে রাখবে? তাকে তো আমার সামনে আসতেই হবে। আমি তো তার নাড়ি-নক্ষত্র সবই জানি। সে কী করে? কেন করে? পথ চলতে গিয়ে তার কোথায়-কোথায় বেধে যায়? সে কী ভুল বলে?
বিস্তারিত»রাষ্ট্র এবং দাউদ হায়দার
কবি কিংবা লেখক- যাই বলো না কেন, তুখোড় হাত ছিল লোকটার
পদ্য কিংবা গদ্য কবিতা- প্রেম কিংবা ধিক্কার- কিছুতেই কমতি ছিল না তাঁর।
তব কেন সে দেখা পায় না এইসব কুসুমমঞ্জরী
পাবনা কিংবা ঢাকার।
মার্কিন মুলকে- য়ূরোপ উপবাসে দিনকাটে বাঙাল স্বাধীনতার।
কই- কেউতো সম্পাদকীয় লেখে না!
পত্রিকা-চ্যানেল এরা সব আড়াই নম্বর চরিত্রের কর্পোরেট পামর-দালাল।
চিন্তা করা যায়,
একটু কঠিন ধর্ম বটে
পেয়ে হারানোর বেদনা কি একটু বেশী !
না পাওয়ার চাইতে !
হয়তোবা।
আবার নাও হতে পারে!
মনে মনে চেয়েছ অনেক
কিন্তু
পাওয়ার কোন চেষ্টাই করোনি হয়তো
তাই
হারানোর পর আজ এমন মনে হচ্ছে !
অথবা
এমনোতো হতে পারে
পাওয়ার পরে পায়ে ঠেলে ফেলে দিলে !
দূরে ঠেলে দিয়ে তুমি পালিয়ে বাঁচলে !
আজ-
চলে গিয়ে সে তোমাকে পীড়া দিচ্ছে!
প্রচলিত লোকাচার
আমি নষ্ট
তুমি নষ্ট
সে নষ্ট
তারা নষ্ট
এরা নষ্ট
ওরা নষ্ট
দেবী নষ্ট
কবি নষ্ট
দিকভ্রষ্ট
পদভ্রষ্ট
অনষ্ট,
তাও নষ্ট
যে পষ্ট
সেও নষ্ট
দিকভ্রষ্ট
পদভ্রষ্ট
নষ্টে অর্থ
নষ্টে সামন্ত
নষ্টে রতি
নষ্টে আনন্দ
নষ্টে ভক্তি
নষ্টে পূণ্য
নষ্টে পূজা
নষ্টে স্বর্গ
নষ্ট জগত
জগত নষ্ট
আমরা নষ্ট
তোমরা নষ্ট
সবাই নষ্ট
সব নষ্ট
হা
হা
হা
হা
নষ্টের দুনিয়া
দুনিয়ার নষ্টামি
নষ্ট বিধাতারা
করেছে নষ্ট নিয়ম !
রক্ত-ইতিহাসের পূর্ব ইতিহাস: দায়ের শিকার তরুণ নবাব স্রাজউদ্দৌলা (ইতিহাস পাঠশালা:বাংলার নবাবী আমল)
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ছিল বাংলার ক্ষমতার ইতিহাসের এক জঘন্য কালো অধ্যায়। পলাশীর আম বাগানে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব স্রাজউদ্দৌলা’র করুণ পরাজয় নিয়তি অবধারিত। ব্যক্তিজীবনে উচ্ছৃঙ্খল, স্বধীণচেতা, কিছুটা অপরিণামদর্শী ও একগুয়ে স্বভাবের হলেও উচ্চাভিলাসি এ দেশপ্রেমিক তরুণ ইংরেজ আগ্রাসনের কড়াল গ্রাস থেকে বাংলাকে মুক্ত করে স্বাধীনভাবেই শাসন করতে চেয়েছিলেন এই বঙ্গদেশকে। কিন্তু ইতিহাসের রক্তের দায় শোধ করতে গিয়েই বড় অসময়ে নিজের জীবন বিপন্ন করতে হয়েছে এই নবাবকে।
বিস্তারিত»মিলেনিয়াম: সময়ের সেলাই
আমরা বেঁচে আছি সময়ের এপার ওপার ফোঁড়ে, গ্রাসের ঝড়ো তান্ডবে !
ভাঙ্গনের ঝনকার কানে যায় না। আমাদের মনের কানে তালা পড়েছে !
আমরা আর চোখেও দেখি না প্রায় ! আমাদের জ্বিভ লকলক করে বড় হচ্ছে!
চাবুক খাওয়া ঘোড়ার মতো তাই সব দৌড়ের উপরে !
মেয়েটাকে একসময় চিঠি লিখত ছেলেটি কালেভাদ্রে, কৈশোরের আটানব্বইয়ে ।
কথার পরে কথা সাজিয়ে, তাতে মনের ছোঁয়া মিশিয়ে
হোমিওপ্যাথির গুড়ার মতো আদর করে খামে পুরে,