মানুষের জীবনটা এমন কেন? কেন এমন তার চাওয়া-পাওয়া, তার ভালোলাগা-খারাপ লাগা, হাসি-কান্না, বেদনা-সুখগুলো, কেন তারা কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ছুটে চলে লাগামহীন ঘোড়ার মত, আপন খেয়ালে, অর্থহীনভাবে। কেন চেনা মানুষগুলো হঠাৎ করে অচেনা হয়ে যায়, কাছের মানুষগুলো পথ হারিয়ে দূরের অচিন পথিকে পরিণত হয়! কিছুকাল আগের সুখস্মৃতিগুলো ব্যথার তীর হয়ে হৃদয় খুঁড়ে অশ্রু জাগায়। একি মানুষের যে কথাগুলো, স্পর্শগুলো, ভাবের আদান প্রদানের তরঙ্গগুলো খুবই আকাঙ্ক্ষিত,
বিস্তারিত»গলা কাটার ‘সৌদি’ তরিকা
১৫০০ বছর আগে মানুষ ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঢাল-তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করত, তখন তলোয়ারের কোপে মৃত্যুদণ্ড ই ছিল স্বাভাবিক, কারণ মানুষ এতে অভ্যস্ত ছিল । এখন কি সেই ঢাল- তলোয়ারের যুগ আছে নাকি ?? সময়ের সাথে সাথে মানুষ আরো উন্নত মন-মানসিকতার সাথে পরিচিত হইতেছে, ১৫০০ বছর আগের জীবন যাত্রা চিন্তা চেতনার সাথে এখনকার মানুষের চিন্তা চেতনার আকাশ-পাতাল তফাত।
”মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ না ”
বিস্তারিত»অ্যাবস্ট্রাকশান ঝামেলা
“অ্যাবস্ট্রাক্ট” কথাটি শুনলে আমার বেশ কয়েকটি অ্যাবস্ট্রাক্ট-এর কথা মাথায় আসে। এর মধ্যে প্রথমটা হল- পেপারের অ্যাবস্ট্রাক্ট। ভেঙে বললে, বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যেসব গবেষণা পত্র(reserch paper) লেখা হয়, সেগুলোর প্রথমে একটা প্যারা থাকে। যার নাম অ্যাবস্ট্রাক্ট। তো কী থাকে এই অ্যাবস্ট্রাক্ট-এ? সোজা কথায় পেপারটার সার-সংক্ষেপ। পুরো পেপার লেখার পর এর সার-সংক্ষেপ হিসেবে প্রথম প্যারাটি লেখা হয়। এতে ঐ পেপারের বিষয়বস্তু, পটভূমি, ক্ষেত্র ইত্যাদি ব্যাপার নিয়ে একটা ধারণা দেওয়া থাকে।
বিস্তারিত»নির্বাণ ও বিজ্ঞান
বৌদ্ধ ধর্মমতে জীবনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সকল বন্ধন থেকে মুক্তি। এটাকে নির্বাণ বলা হয়। আক্ষরিক অর্থে নির্বাণ শব্দটির অর্থ নিভে যাওয়া। তা হলে নির্বাণ কি জীবন বিমুখ কোন দর্শন? সক্রিয় সামাজিক জীবন ত্যাগ করে সন্যাস গ্রহণ করা? সন্যাসই যদি মোক্ষ হয় তা হলে পার্থিব জীবনের অর্থ কি? ভোগবাদ বনাম ভাববাদ- এর মূল দ্বন্দটি কোথায়? প্রথমেই স্বীকার করে নেই, বিষয়টি খুবই গভীর এবং আমি এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ নই।
বিস্তারিত»রাজাকার
স্বপ্নে এক মুক্তিযোদ্ধার সাথে বর্তমানের এক তরুণের দেখা। প্রথমজনই কথা শুরু করলেন।
-রাজাকার কারা?
-একাত্তরে যারা রাজাকার দলের সদস্য ছিল তারা।
-রাজাকাররা কি ঘৃণ্য?
-অবশ্যই, কারণ তাদের কোন আদর্শ ছিল না; দশজনের কথা ভাবার আগে তারা নিজেদের কথা ভেবেছে; নিজের স্বার্থ আদায়ের ক্ষেত্রে তারা হিংস্রতার নিম্নতর স্তরে পর্যন্ত গিয়েছে; সম্পদ লুট করেছে; সাধারণ মানুষ হত্যা এমন কি ধর্ষণ করতেও বাঁধেনি তাদের।
সৃষ্টিকর্তার সাথে কিছুক্ষণ!!!
স্বপ্ন ছিল সৃষ্টিকর্তার সাথে দেখা করবো!!!
কল্পনায় দেখা হলো… …
“তুমি আমার সাথে দেখা করতে চাও?
জিজ্ঞাসা করলেন তিনি।
-যদি আপনার সময় হয়
তিনি হাসলেন।
-“আমার সময় অনন্ত তো তুমি কী জানতে চাও?
-মানুষের কোন দিকটা আপনাকে অবাক করে?
-“এই যে তারা শৈশব নিয়ে বিরক্ত হয়ে পড়ে
খৃব তাড়াতাড়ি বড় হতে চায়
অতঃপর..
আমাদের কি IDENTITY CRISIS চলছে ?
আমরা একটা ভয়াবহ ক্রান্তি কাল অতিক্রম করছি। আমি কে, এই প্রজন্মের কাছে একটা বড় প্রশ্ন বোধক চিহ্ন ? আমাদের সময়টা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কাল বলে, আমরা গরীব, হতোছিন্ন পোশাকে, হাড় জির-জিরে উদাম শরীর নিয়েও পৃথিবীর কাছে বলতে লজ্জা পেতাম না ” আমরা বাংলাদেশী “, ঠিক তেমনি কাওকে কখনো বলতে দ্বিধা করিনি , “আমি ফৌজিয়ান বা আমি…… একজন এক্স ক্যাডেট”। অধুনা কিছু পোস্ট দেখে শুধু আঁতকে নয় শিউরে উঠি।
বিস্তারিত»রোড টু জার্মানী ২
এই শতাব্দীর শুরুর দিকেও উচ্চশিক্ষার দেশ বলতে আমরা গুটিকতক (ইউ.এস.এ, জাপান কিংবা অস্ট্রেলিয়া) দেশকে চিনতাম। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতার কল্যাণে দুনিয়া যেমন ছোট হতে লাগলো, তেমনি উচ্চশিক্ষার দেশের সংখ্যাও বাড়তে লাগলো। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে লাগলো সুযোগ সন্ধানী, ধান্দাবাজ মিডিয়ার সংখ্যা।
উচ্চ শিক্ষার দেশ হিসেবে এখন কানাডা, ইউ.কে, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, জার্মানির কথা কে না জানে। তার সাথে মিডিয়ার কল্যাণে যুক্ত হয়েছে ইউরোপের দেশ রাশিয়া,জর্জিয়া,লাটভিয়া,সাইপ্রাস,পোল্যান্ড এমনকি এশিয়ার দেশ ইন্ডিয়া,
বিস্তারিত»আজব দুনিয়ার কিছু ভুয়া “গজব” এর কাহিনী!
এক সপ্তাহের মাথায় আবার লিখতে বসলাম। পড়াশোনার চাপ মনে হয় কম, এইজন্য এখন ব্লগর ব্লগর করতে মজা লাগে মনে হয়! যাই হোক বেশী কথা বাড়াবো না; আমার অন্যান্য ব্লগ দেখে ধারণা করতে পারবেন আমার কাজ বাইরের পত্র-পত্রিকা বা নেট থেকে আর্টিকেল চুরি (!) করে এখানে লেখা… আমার তো আবার “ক্রিয়েটিভিটি” একটু কম কিনা! :-B
আজকে লিখব ‘শেষ বিচারের দিন’ নিয়ে। না ভাইয়া এ্যান্ড আপুরা,
বিস্তারিত»ভিক্ষা নাই, মাফ করেন
দেশ হিসাবে আমেরিকা খুব একটা খারাপ না। বিদ্যূত এর সমস্যা নেই, যানজট এর বালাই নেই, আবহাওয়াও খুব একটা খারাপ নয়। ছোট থাকতে সাদা-কালোর যেই পার্থক্যের কথা শুনতাম এখানে এসে ওই ভুলও মোটামুটি ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু …………. সব খানেই একটা কিন্তু থেকে যায়। যেমন-
# ঘটনা ১.
আমি একটা সুপার স্টোর এ কাজ করি যেখানে ৭০% ভাগ কর্মচারী বাঙ্গালী সুতরাং বাকিরা বাংলা না বুঝলেও কথা বললে বুঝতে পারে যে এটা বাংলা।
বিস্তারিত»দিন শেষের আলো
অবশেষে ফিরে এলাম।
গত চার মাস ধরে সিলেট শহর থেকে দূরে বটেশ্বরের কোলে আছি।
জানে পানি নাই, সব রস শুকায় গেছে,…………।
(অবশ্য এইটা বোধহয় আমার জন্য প্রযোজ্য নয়, রস না থাকলে কি আর ব্লগ লিখতে বসি?)
যা হোক, কোর্স শেষ। এখন ঘরের ছেলে ভালয় ভালয় ঘরে(অথবা ইউনিটে) ফিরলেই বাঁচি।
এখানে একটা ডিস্ক্লেইমার দিয়ে রাখি, এই লেখাটা পুরোটাই একটা মনোলোগ,
বিস্তারিত»গুড়াকাব্য রিলোডেড: ইহা একটি পুরুষবিদ্বেষী পোস্টের জবাব
[তাইফুর ভাইয়ের কমেন্টের সূত্র ধরেই লিখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বড় হয়ে যাওয়ায় পোস্ট আকারেই দিয়ে দিলাম। এটি তীব্র সাম্প্রদায়িক, নারীবিদ্বেষী এবং সংকীর্ণ পুরুষতান্ত্রিক একটি পোস্টের জবাবের জবাব। কাব্যগুলোয় আপাত দৃষ্টিতে নারীদের পক্ষ অবলম্বন করলেও কবি আড়ালে বলেছেন অন্য কথা যা সেই প্রাক্তন পোস্টকেই সাপোর্ট করে । যার নমুনা প্রতিটি কাব্যের অর্থের ভিতরেই লুক্কায়িত….এবং যাহা অতীব সত্য :grr: :grr: ]
এক.
বিকেল বেলা চটপটি
পড়ে থাকে কটকটি
[অর্থ: প্রেমিকার সঙ্গে ডেট করে আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি ………………..]
আসল অর্থ: প্রেমিকার সাথে ডেট করাকে কবি লুজ মোশনের সাথে তুলনা করেছেন।
বিস্তারিত»জ্যোতিষ শাস্ত্র (বাংলাদেশ) ১০১-পর্ব এক
জ্যোতিষ শাস্ত্র হল কিছু পদ্ধতি, প্রথা এবং বিশ্বাসের সমষ্টি যাতে মহাকাশে জ্যোতিষ্কসমূহের আপেক্ষিক অবস্থান এবং তৎসংশ্লিষ্ট তথ্যাদির মাধ্যমে মানব জীবন, মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং মানবীয় ও বহির্জাগতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে ভবিষ্যত বাণী করা হয়।
-সূত্রঃ উইকিপিডিয়া
আপনারা এই লেখার শিরোনাম ভাল করে খেয়াল করে থাকলে নিশ্চয়ই দেখেছেন বন্ধনীর মধ্যে বাংলাদেশ শব্দটি লেখা আছে। এর মানে হচ্ছে আমাদের এই কোর্সটি গতানুগতিক জ্যোতিষ শাস্ত্র থেকে কিছুটা…আসলে মিথ্যে বলে কি লাভ,
বিস্তারিত»“একটা চিঠি” ……(বাবা-মায়ের লেখা, যা পোস্ট করা হয়নি)……….
প্রিয় সন্তান,
…………
আমি যখন বার্ধক্য উপনীত হবো…।আমি আশা করবো.. “তুমি আমাকে বুঝবে এবং আমার সাথে ধৈর্যশীল হবে”
ধরো আমি যদি হঠাৎ থালা ভেঙ্গে ফেলি,অথবা টেবিলে স্যুপ ফেলে নষ্ট করি…..
কারণ আমি আমার দৃষ্টিশক্তি হরিয়ে ফেলছি….। আশা করি তুমি আমার প্রতি চিৎকার করবে না।
বয়স্ক মানুষ খুব স্পর্শকাতর….……
তুমি যখন চিৎকার করে কথা বলো তখন তারা নিজের কাছে খুব ছোট হয়ে যায় ,
কোন আশ্রয় নেই বলেই … ..
ছুটি দেখতে দেখতে একেবারে শেষপ্রান্তে এসে গেল। ব্লগ লেখাই হলো না। এর মাঝে মনে পড়ে গেল গত সপ্তাহের কথা। অন্যরকম দিনগুলোর স্মৃতিময়তায় লেখা এই স্মৃতিকথা…
দ্বিতীয় পর্বের সবচেয়ে বড় এক্সারসাইজ ছিল লৌহকপাট। আর এখন তৃতীয় পর্বের প্রথম বড় এক্সারসাইজ রণগতি। এটার কষ্ট একটু বেশী যে হাঁটতে হয় অনেকটুকু পথ।
“দেখতে দেখতে লৌহকপাট থেকে রণগতি। আজ লেখার এই সময়টা চমকপ্রদ। সেবার পুরো একটা নোটবুক লিখেছিলাম ট্রেঞ্চ এ বসে।
বিস্তারিত»