রাজাকারনামা………………………২

বর্তমান সরকার তাদের মেয়াদের প্রথম সংসদীয় অধিবেশনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য একটি অধ্যাদেশ অনুমোদিত হয়। এর ফলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার একটি ইতিবাচক মানসিকতা এই সরকারের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। কূটনীতি পারায় নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়। অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত এবং বেসরকারী সংগঠন ও এজেন্সি গুলো নানাভাবে সরকারকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর বিপরীত ধারার কুটনীতিও পাখা মেলতে শুরু করে। বিশেষতঃ সাউদি আরব ও পাকিস্তান বন্ধু বলয়ে নতুন করে কূটনৈতিক তাতপরতা শুরু হয়ে যায়।

বিস্তারিত»

রাজাকারনামা………………………১(বর্ধিত)

আমি এর আগে রাজাকারনামাতে জেনেভা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করেছিলাম। কতিপয় বন্ধু ও পাঠকের আগ্রহের কারণে রাজাকারনামা…………………..১ এর বর্ধির্তাংশ লিখলাম। এখানে শুধুমাত্র রাজাকার ও অন্যান্য যুদ্ধপরাধীদের বিচারের জণ্য আন্তর্জাতিক আইনের বিশ্লেষণ করলাম।

১/

জেনেভা কনভেনশন মূলতঃ ৪ টি কনভেনশনের সম্মিলিত রূপ। প্রথম ২ টি কনভেনশন অস্ত্রত্যাগ এবং যুদ্ধাহত সৈন্যদের রক্ষার জন্য। ৩য়টি হল যুদ্ধাবন্ধীদের সঙ্গে আচরণ সংক্রান্ত কনভেনশন। ৪র্থটি হল বেসামরিক জনসাধারণকে রক্ষার জন্য।

বিস্তারিত»

রাজাকারনামা……………#১

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং নুরেমবার্গ ট্রায়াল/ জেনেভা কনভেনশন

আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর হতে যতবার যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা শোনা যাছছে ততবার শুনতে হচ্ছে নুরেমবার্গ ট্রায়ালের কথা। নুরেমবার্গ ট্রায়ালের অনুকরণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সঙ্গত নয়।কেননা নুরেমবার্গ ট্রায়াল ছিল একটি special tribunal act (IMT, NMT). এছারাও তখন যুদ্ধাপরাধ সাম্পর্কিত কোনো আন্তর্জাতিক আইন ছিলোনা। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পুর্বেই ১৯৪৯ সালে জেনেভা কনভেনশন আন্তর্জাতিকভাবে গৃহিত হয়।

বিস্তারিত»

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও মুভি: জাজমেন্ট অ্যাট নুরেমবার্গ

judgement_at_nuremberg
১। আমি কম্পিউটার সিটির রায়ানস থেকেই ডিভিডি বেশি কিনি। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কল্যানে কিছু ফাও আয় হয়। কিছু বাড়তি অর্থ পকেটে আসে আর আমি ছুটে যাই রায়ানস-এ। নতুন ছবির চেয়ে আমি বেশি খুঁজি পুরোনো ছবিগুলো। একদিন যেয়ে দেখি অনেক পুরোনো একটা ছবি, জাজমেন্ট অ্যাট নুরেমবার্গ। কিনতে এক সেকেন্ডও ব্যয় হয়নি আমার।
মনে আছে একসময় বিটিভিতে সাটারডে নাইট মুভিতে অনেক ভাল ভাল ছবি দেখাতো।

বিস্তারিত»

ভ্রমোলগ ১: ক্লান্ত ঢাকাত্যাগ এবং ক্রমশ সবুজায়ন

ভ্রমণে বেরোলেই অপরিচিত মুখগুলোকে কেন আমার পরিচিত মনে হয়? এমন না যে এটা আজকেই ঘটছে। আমি আগেও খেয়াল করেছি, সহযাত্রীদের, অপেক্ষমাণ মানুষের মুখ আমার কাছে আপন মনে হয় খুব। অথচ সেই মুখটাকেই এই স্টেশন, প্ল্যাটফর্মের বাইরে দেখলে আমি ফিরেও তাকাতাম না! ঘরের বাইরে বেরিয়ে আমি কি কিছুটা বিপন্ন হয়ে পড়ি? এজন্যে অচেনাকেও আপন মনে হয়? অথবা আমি একটু সাহসী রোমাঞ্চপ্রিয় হয়ে উঠি, তাই অপরিচিতকেই ভাল লাগে!

বিস্তারিত»

ডাউনলোড লিংকঃ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস

পাঠকরা হয়ত জেনে থাকবেন, কিছুদিন আগে মুক্তিযুদ্ধোর ইতিহাসকে খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য একটা উদ্দোগ নেয়া হয়। খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে যথেষ্ট রেফারেন্স সহ বইটি লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী পত্রিকা “ছুটির দিনে” এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।

আগ্রহী পাঠকরা এই লিংক থেকে বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন এখানে “হাই কোয়ালিটি” এবং “লো কোয়ালিটি” বলে দুটি অপশন আছে,

বিস্তারিত»

১৯৭১ এর দুটি ভিডিও

কিছুক্ষন আগে আমার শাবিপ্রবি এর এক বন্ধু সুশান্ত ইউটিউবের দুইটা লিঙ্ক পাঠাইলো। আমার বন্ধুর মতে আমেরিকা প্রবাসী জনৈক মাশুকুর এবিসি ও এনবিসি টিভির আর্কাইভ থেকে এই ভিডিওগুলো সংগ্রহ করেছেন। ভিডিও গুলো ইঊটিউবে গত ২০শে মার্চ পোস্ট করা হয়েছে। অনেকেই দেখে থাকতে পারেন। যারা দেখেন নি তাদের জন্য।

বিস্তারিত»

স্বাধীনতা ঘোষণার আগের সেই নারকীয় রাত

[ডিসক্লেমারঃ এটি আমার লেখা নয়। পেয়েছি বিডিনিউজ২৪ এ। আমি লিঙ্ক দিব ভেবেছিলাম কিন্তু মনে হল এই লেখাটি থাকলে আমাদের সিসিবি সমৃদ্ধ হবে তাই পুরো লেখাটি তুলে দিলাম। লেখক এবং অনুবাদক এর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক]

অ্যান্থনি মাসক্যারেনহাস

রাত আটটার দিকে একটা রিকশা দ্রুতগতিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে থামলো। রিকশাঅলাটি তখন ক্লান্তিতে হাঁপাচ্ছে। তড়িঘড়ি করে লোকটা জানালো ঝাড়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে রিকশা চালিয়ে এসেছে সে।

বিস্তারিত»

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দশ মিনিট

আজ আমাদের এখানে ( এখানে অর্থে নতুন দিল্লীর জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে আমি এবং আরো জনা দশেক আছি, বাংলাদেশ থেকে) একটা সভা ছিলো সন্ধ্যায়,
আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় আমাদের অংশগ্রহণ ও করণীয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে।আমার সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও চিরাচরিত পলায়নপ্রবণতার কারণে শুরু থেকেই একটা পালাই পালাই ভাব নিয়ে সেই সভায় যোগ দেই তৌহিদ ভাইয়ের রুমে।গিয়েই পরিচিত হলাম একজন প্রৌঢ় ভদ্রলোকের সংগে, যিনি আপাতত তৌহিদ ভাইয়ের অতিথি।

বিস্তারিত»

সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড

সানা ভাই এর “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এবং প্রিয় গান” লেখাটা পড়তে যেয়ে মনে হল সিসিবির সদস্যদের বাংলাদেশের এমন আরেকজন প্রকৃত বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক। (পাশাপাশি আমার ইনিংসেরও গোড়াপত্তন আর কি :gulli: )

ইনি আলেন গিনেসবার্গ । একাত্তরে বাংলাদেশের উপর নিপীড়ন দেখে তিনি এই কবিতাটি লিখেন।

বিস্তারিত»

মুক্তিযুদ্ধের বিস্মৃত প্রায় এক চ্যাপ্টারঃ শিলিগুড়ি কনফারেন্স ও একটি ভাষণ

ইতিহাস বড় অদ্ভুত । তার খাতায় খুব বড় করে লেখা থাকে কোন ঘটনার ফলাফল কিন্তু কখন কখন আস্তে করে ঝাপসা হয়ে আসে সেই ফলাফলের পিছনে ভূমিকা রাখা কোন গূরুত্বপূর্ণ আরেকটি ছোট ঘটনা । আমরা আস্তে আস্তে ভুলে যাই সেই ছোট ঘটনা কে । আর তাই ইতিহাসের পাতায় অবহেলায় আরো ঝাপসা হয়ে আসে তা ।সেই রকম আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ঝাপসা হয়ে আসা একটি ঘটনা হল শিলিগুড়ি কনফারেন্স ।

বিস্তারিত»

১৯৭১ সাল -আমার দেখা প্রথম মুক্তিযোদ্ধা

সিসিবিতে এসে দেখলাম আজ মাত্র একটা পোস্ট। ভাবলাম আগামি কাল পোলাপান মন্তব্য করবে কিসে। তাই সামুতে প্রকাশিত আমার একটা গল্প আজ দিয়ে দিলাম এখানে। গল্প হলেও এটা একটা সত্যা ঘটনা। ২/১ মাস এদিক ওদিক হতে পারে কারন ৩৭ বছর আগের ঘটনা সম্পূর্ন স্মৃতি থেকে লেখা।

প্রায় ৩৭ বছর আগের ঘটনা। আমার বয়স তখন চার বছরের একটু বেশি।

বিস্তারিত»

কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এবং প্রিয় গান

জর্জ হ্যারিসনের “বাংলাদেশ” অনেকেরই প্রিয় গান। ১৯৭১ সালে আমাদের দুঃসময়ে মূলতঃ ওস্তাদ রবিশংকরের উদ্যোগে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে লড়াকু বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে জনমত গঠনে “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” একটা বড় ভূমিকা রেখেছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকার ভীষণভাবে সক্রিয় থাকলেও মিডিয়া ও জনমত ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পক্ষে।

ওই কনসার্টের অর্থ ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের উদ্বাস্তু জনতার সহায়তায় ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে।

বিস্তারিত»

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আলোচনার জন্য বিশেষ ফোরাম সাইট

১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংক্রান্ত কৌশলগত প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন মহলে কিছু মতভিন্নতা এবং বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়গুলোর প্রতিটির বিভিন্ন দিক নিয়ে সুবিচারকামী সচেতন মানুষদের পরস্পরের সাথে সুনির্দিষ্ট “বিষয়ভিত্তিক” আলোচনা করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে। ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যেও সেটি জরুরী। সে সুযোগ তৈরীর লক্ষ্যে আমাদের সাম্প্রতিকতম উদ্যোগ হিসেবে যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত “মুক্তাঙ্গনের বিশেষ ফোরাম” সাইটটি তৈরী করা হয়েছে। ঠিকানা:

বিস্তারিত»

“যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হোক, রায় যা হয় আমরা মেনে নেবো”

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেশে ইতিমধ্যে একটা প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের ভূমিধ্বস বিজয়ের পেছনেও কাজ করেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি। তারা সেটা করবে বলে এখনও ওয়াদা করে যাচ্ছে। আমরা তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস স্থাপন করতে চাই।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মতোই গুটিকয় মানুষ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে আজ গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে জামাত এবং এর সহযোগী বলে পরিচিত চিহ্নিত পক্ষটিও আজ তেমন জোরালোভাবে বিচারের বিরোধীতা করতে পারছে না।

বিস্তারিত»