‘বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশন’। এই নামে একটি কমিশন গঠিত হয়েছিল বিজয় দিবসের ঠিক দুদিন পরেই, ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের পরপরই রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীদের অনেকের লাশ পাওয়া যায়। এর পরপরই ১৮ ডিসেম্বর সে সময়ের কয়েকজন তরুণ মিলে গঠন করেন ‘বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশন’।
এই কমিশন গঠনের বিষয়টি এখন প্রায় অজানা। এ নিয়ে তেমন আলোচনাও নেই। সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই বেঁচে নেই।
মৌসুমী ভৌমিকের গলায় “যশোর রোড”
এটাকে টেস্ট পোস্ট বলতে পারো। আমাদের আর্কাইভ থেকে কখনো কোনো গান তোমাদের শোনাতে পারবো কিনা সে চেষ্টা করছি। দেখা যাক।
গানটি মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে। অ্যালেন গিনসবার্গের বিখ্যাত কবিতা যশোর রোড গেয়েছেন মৌসুমী ভৌমিক। আমার খুবই প্রিয় গান। প্রতিক্রিয়া পেলে আর তোমাদের ভালো লাগলে ভবিষ্যতে আরো দেবো।
Jessore Road : Mousumi Bhowmik
বিস্তারিত»“বাংলাদেশ: আশায় নতুন জীবনের বসতি” প্রসঙ্গে
১৯৭০ সালে সমগ্র পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হল। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করল। তারপরও পশ্চিম পাকিস্তানীরা ক্ষমতা হস্তান্তর করল না। দেশের উপর দিয়ে এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেল, শোষকেরা কোন প্রতিক্রিয়া দেখালো না। মার্চের শুরু থেকেই জাতীয় পরিষদ অধিবেশনের নামে টালবাহানা শুরু করল। অবশেষে ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিব বজ্রকণ্ঠে মুক্তির শপথ নিলেন। তার সাথে আপামর জনতা কণ্ঠ মেলাল।
বিস্তারিত»কাটেইন গণহত্যা: একটি সিনেমা, ইতিহাস খুঁজে দেখা এবং বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
একটা সিনেমা দেখে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি। একটা পোলিশ ছবি, পরিচালক আন্দ্রে ওয়াজদা (Andrzej Wajda)। ছবিটার নাম কাটেইন (Katyń)। ২০০৭ সালের ছবি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল পোল্যান্ড থেকে। জার্মাানি পোল্যান্ড আক্রমন করার পর। পোল্যান্ডের একদিক দখল করে নেয় জার্মানি, অন্যদিক সোভিয়েত ইউনিয়ন। বলা হয় গোপন চুক্তি করেই দেশ দুটি পোলান্ড দখল করে নেয়। ছবির শুরু এখান থেকে।
বিনা যুদ্ধে পোল্যান্ড ছেড়ে দেয়নি পোলিশরা।
আবার যুদ্ধ হলে রাজাকার হবো
শেষ পর্যন্ত সিদ্বান্তটা নিয়েই ফেললাম। লাবলু ভাই হয়তো শুনেই আমাকে ঘৃনা করা শুরু করবেন। বলবেন, ‘ছেলেটাকে এতো পছন্দ করতাম ও কিনা শেষ পর্যন্ত এমন একটা কাজ করলো?’ রাগ করে হয়তো কথা বলা বন্ধ করে দেবেন আমার সাথে। দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু তাতে আমার কিছু যাবে আসবে না। আমি আমার সিদ্বান্তে অটল থাকবো।
ফয়েজ ভাই শুনে হয়তো বলবেন, আমার বৃত্ত ভাঙ্গার গানটা তবে বৃথা গেলো।
বিস্তারিত»একটু শুনবেন, প্লিজ…
আপনার এলাকার সবচে’ যোগ্য ও গুনী লোককে ভোট দিন। সে যে দলেরই হোক
জ্বি জ্বি!! আমি জানি, আপনি বুঝতে পেরেছেন আমি কোন দলের কথা বলছি। আর যাদের মাথা একটু মোটা আছে, তাদের জন্যই বোল্ড করা। আরে ভাই চামচ নিয়ে কমোডের দিকে যাচ্ছেন কেন?? না না! আমি ওসব খাইনা। যুদ্ধাপরাধীদের পরিবর্তে নেড়ি কুত্তাকে ভোট দিবেন? তা কী করে হয়? একটু ভাবুন প্লিজ!!
যুদ্ধ তো আমরা করি নাই ভাই।
বিস্তারিত»ছবি ব্লগ – জল্লাদখানা বধ্যভূমি, মিরপুর
১৯৭১ সালে গণহত্যার মহোৎসবে মেতে ওঠা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনি, তাদের দোসর বিহারীরা এবং কুখ্যাত এ দেশীয় দোসর রাজাকারদের নৃশংসতার ছাপ ছড়িয়ে আছে আমাদের সারাদেশ জুড়েই। সেইসময়কার মিরপুর বিহারী অধ্যুষিত এবং কিছুটা নির্জন এলাকা হওয়ার সুবাদে এখানে ব্যাপক হারে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে সেই সময়ের জল্লাদরা। মিরপুরেরই একগাদা বধ্যভূমির একটি এই জল্লাদখানা বধ্যভূমি। ৭১ এ ওয়াসার পরিত্যক্ত একটি পাম্প হাউসে এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় যার দুটি কূপের একটিতে খন্ডিত মস্তক এবং অন্যটিতে বাকি দেহাংশ ফেলা হত।
বিস্তারিত»শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা
কাইয়ুম ভাইয়ের (ফৌজিয়ান) কাছ থেকে একটা দারুণ বই পেলাম। ১৯৭২ সালে প্রথম বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার বইটি প্রকাশ করেছিল। বই না বলে স্মারকও বলা যায়। কাইয়ুম ভাই নিলক্ষেত থেকে সংগ্রহ করেছেন। বইয়ের কয়েক পাতা উল্টিয়ে মনে হল, মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা পুরোদমেই পুনর্গঠন কাজ শুরু করেছিলাম। কি কারণে যেন সব উলপটপালট হয়ে গেল। যে কয়জন বুদ্ধিজীবী বেঁচে ছিলেন তাদের প্রত্যয়ও লক্ষ্য করার মত। কেন সবকিছু উলটপালট হল,
বিস্তারিত»বৃত্ত ভাঙ্গার গান গাই
(একান্ত নিজের ভাবনা, তথ্যগত ভুল থাকলে কেউ ধরিয়ে দিলে ঠিক করে নিব)
আমার ব্লগে সুশান্ত একটা কাজের কাজ করেছে। “হ্যাটস অফ” টু সুশান্ত। আর এক বুড়ো খোকা বলেছেন, তিনি সহজে হাল ছেড়ে দেবেন না। খুব আশা পাবার মত একটা খবর।
গত বেশ কয়েকমাস ধরে ভাবছি আমাদের মুল সমস্যাটা আসলে কোথায়। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটা চলছে কিভাবে?
বিস্তারিত»শপথ
ডিসেম্বর মাস, আমাদের বিজয়ের মাস, স্বাধীনতা অর্জনের মাস। তাই বিজয় কিংবা স্বাধীনতা নিয়ে কিছু লিখতে খুব ইচ্ছা করছিল। কিন্তু মাথার মধ্যে কিছুই গোছাতে পারলাম না। ২০০১ সালে বি এম এ তে থাকাকালীন ম্যাগাজিনে একটা কবিতা দিয়েছিলাম। ওটা ছাপাও হয়েছিল। আসলে কবিতা বললেও ভুল হবে। বস্তুত এটা একটা ছড়া। এখন হঠাৎ মনে পড়ে গেল। এখানে সবার সাথে সেটা শেয়ার করতে ইচ্ছা করছে। সামান্য পরিবর্তন করে ওটাই এখানে তুলে দিলামঃ
শপথ
বহুদিন পর হঠাৎ যে আজ
মনে হলো এক করুন কথা,
কাপুরুষের ডায়েরী
৭ মার্চ,১৯৭১
আজ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে এত মানুষ হয়েছে, ওফফ সে এক অসাধারণ দৃশ্য। পশ্চিম পাকিস্তানিরা আর মনে হয় আমাদের সাথে পেরে উঠবে না। আমাদের দাবী মেনে নিতেই হবে। এত গণজাগরণ ঠেকিয়ে রাখবে কিভাবে। হল থেকে বন্ধুরা সবাই মিলেই গিয়েছিলাম। আজ অন্যরকম আবহাওয়া ছিল। মিছিল তো প্রায়ই করি কিন্তু আজ কেমন যেন উৎসব উৎসব ভাব ছিল। শামীম ভাই অবশ্য বলেছিলেন আজ নাকি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিবেন।
এই লিঙ্কটা একটু দেখুন প্লিজ
আমার অনেক কিছু লেখার ছিল আজ, একটা গল্প লেখব বলে থিম ও ঠিক করেছিলাম কিন্তু কিছুই লেখতে পারলাম না। আমি আর কি লিখব। এই লিঙ্কটা একটু পরে আসুন সবাই প্রথম আলোতে আনিসুল হক এর কলাম।
গল্পগুলো রূপকথা নয়
আমার লেখা গুলা নাহয় পরেই লেখব আপাতত রূপকথার মত গল্পগুলোই শুনি। আমাদের প্রজন্মের এইসব কথা জানা বড় বেশি দরকার বারবার শুধু ডিসেম্বরেই নয়।
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে পাক বাহিনীর হামলার বিবরণ
লেখকঃ অধ্যাপক গোলাম জিলানী নজরে মোরশেদ
সূত্রঃ ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে পাক বাহিনীর হামলার বিবরণ; ‘বাংলাদেশে গণহত্যা’, বাংলার বাণী – বিশেষ সংখ্যা; ১৯৭২
স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের আর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মত ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজেও কাজ চলছে পূর্ণোদ্যমে, ছাত্রদের পদভারে কলেজ আজ সরগরম। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যা বর্বর পাক বাহিনী তাচ্ছিল্যভরে নষ্ট করে দিয়েছিল, তা এক এক করে জোগাড় করা হচ্ছে। কলেজের শ্রী বৃদ্ধির জন্য নিরলস চেষ্টা চলছে।
বিস্তারিত»সাড়ে তিন
১.
কৃষ্ণকান্দা গ্রামের উত্তর প্রান্তে আগুন লেগেছে। দখিন সমীরণে সে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। অগ্নিতে ঘৃত সংযোগ হয়েছে। অথচ এ গ্রামেরই কতিপয় বালক তার খুব কাছেই ডোবা সেচে মাছ ধরছে। তাদের এ বিষয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা মাছ ধরছে বড় খাল সংলগ্ন সড়কটার পাশের ডোবায়। এলাকার সবচেয়ে বড় সড়ক এটাই, হাট হয়ে গঞ্জে গিয়ে মিশেছে। হাটের কিছু আগে মধ্য বিরতি হিসেবে রেল লাইনটাও বয়ে গিয়েছে এই সড়কের উপর দিয়েই।
ফিরে দেখা
গলায় ঝুলে থাকা গামছাটাকে কষে মাথায় বেঁধে ক্ষেতের আলের উপর বসে পড়েন আজিজ মিয়া। হাত বাড়িয়ে মাটিতে পড়ে থাকা হুক্কাটাকে তুলে সুড়ুক সুড়ুক করে টান দেন তিনি। এক গাল ধোঁয়া ছেড়ে ক্ষেতে হাল ধরে থাকা ছেলে রহমানের দিকে তাকিয়ে হাঁক দেন।
“চোখ কান খুইলা রাখিস রে রহমান, ওরা যে কোন সময় আয়া পড়তে পারে।”
ছেলেটার দিকে তাকিয়ে চোখ মুখ কোমল হয়ে আসে তার।
বিস্তারিত»