মুক্তিযুদ্ধের বিস্মৃত প্রায় এক চ্যাপ্টারঃ শিলিগুড়ি কনফারেন্স ও একটি ভাষণ

ইতিহাস বড় অদ্ভুত । তার খাতায় খুব বড় করে লেখা থাকে কোন ঘটনার ফলাফল কিন্তু কখন কখন আস্তে করে ঝাপসা হয়ে আসে সেই ফলাফলের পিছনে ভূমিকা রাখা কোন গূরুত্বপূর্ণ আরেকটি ছোট ঘটনা । আমরা আস্তে আস্তে ভুলে যাই সেই ছোট ঘটনা কে । আর তাই ইতিহাসের পাতায় অবহেলায় আরো ঝাপসা হয়ে আসে তা ।সেই রকম আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ঝাপসা হয়ে আসা একটি ঘটনা হল শিলিগুড়ি কনফারেন্স ।

আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার সময় অনেক কিছুই লেখি । লেখি আমাদের গণহত্যার কথা, আমাদের যোদ্ধাদের কথা, সেই যুদ্ধে দেশি-বিদেশি অনেক রকম প্রভাবের কথা কিন্তু সেই ভাবে লেখা হয় না একটি সম্মেলনের কথা, সেই সম্মেলনে ছোটখাট এক নেতার দূরদর্শী এক ভাষণের কথা যা হয়ত তার পূর্বসূরী নেতার মত সেই অর্থে জ্বালাময়ী নয় কিন্তু বিভ্রান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ বাকিদের জন্য সেই ভাষণ ছিল বাতিঘরের মতই দিকনির্দেশক।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে আওয়ামে লীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের কাছ থেকে দাবি উঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কে পাকিস্তানি কারাগার থেকে যে কোন মূল্যে মুক্ত করে আনার , যে কোন মূল্যে । এমনকি এই দাবি শেষ পর্যন্ত – বঙ্গবন্ধু কে চাই না স্বাধীনতা চাই এমন হঠকারী বির্তকে রূপ নেয় । এছাড়া এই সময় পর্যাপ্ত ভারী অস্ত্র এর অভাবে বড় কোন অভিযান চালাতে না পারার কারনে মুক্তিবাহিনীতে একরকম হতাশা দেখা দেয় । এই দুই অযাচিত ঘটনা মুজিবনগর সরকার এর ভিতর ও বাইরে অস্থিরতার জন্ম দেয়।
এইসময় মুজিবনগর সরকার এই আত্মঘাতী বির্তক নিরসনের জন্য ভারত সরকারের পরামর্শে তৎকালীন ৭০’এর নির্বাচনে নির্বাচিত সকল পূর্ব পাকিস্তানি এমপি এবং এমএনএ দের এক সম্মেলনের আহ্বান করে। সম্মেলনের আয়োজনের দ্বায়িত্ব পড়ে কুমিল্লার কাজী জহিরুল কায়উম এর উপর এবং ভারতের পক্ষ থেকে সমন্বয়কারী হিসেবে দ্বায়িত্ব পান ডিপি ধর(ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ রাজনৈ্তিক সচিব) । এই ব্যক্তিদ্বয় সম্মেলনের স্থান ঠিক করেন শিলিগুড়ি।
এইসময় দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিবাহিনির কাছে নির্দেশ দেওয়া হয় যে কোন মূল্যে এমপি এবং এমএনএ দের কাছে এই সম্মেলনের সংবাদ পৌছে দিতে এবং তাদের নিরাপদে ভারতে যাতায়তের ব্যবস্থা করতে। এমন কি এই নির্দেশও দেওয়া হয় যে কেউ যেতে অনিচ্ছুক হলে দরকার হলে তাকে জোর করে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে।
এই সম্মেলনের শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে চাই এই স্লোগানের দাপটে নজরুল ইসলাম কিংবা ওসমানীর মত ব্যক্তিত্ব বক্তৃতা দেওয়ার সাহস করতে পারেন নি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ মন্ব্ঞে উঠে সহজ ভাষায় যেই যুক্তি উপস্থাপন করেন তা ছিল আমাদের সেই কুয়াশাচ্ছন্ন সময়ে দারুন এক পথানির্দেশক। শিলিগুড়ি সম্মেলনের সেই ছোটখাট মানুষ টা যেই বক্তব্য দিয়েছিলেন তাই আমাদের যুদ্ধের ইতিহাসের বাকি পথের শেষ লক্ষ ঠিক করে দেয়। আসুন আজ আমরা দেখি কেমন ছিল সেই ভাষণ টা-

(শিলিগুড়ী সম্মেলনে তাজউদ্দীন আহমেদের ভাষণ)
“আমরা স্বাধীনতা চাই। স্বাধীনতা পেলেই বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মাঝে পাব। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যদি খোদা না করুন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয় পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে, তাইলে বঙ্গবন্ধু শহীদ হয়েও স্বাধীন বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে অমর ও চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন। তিনি একটি নতুন জাতির জনক হিসেবে ইতিহাসে স্বীকৃত হবেন। ব্যক্তি মুজিব, ব্যক্তি নজরুল, তাজউদ্দীন, কামরুজ্জামান কেউ হয়ত বেঁচে থাকবেন না। একদিন না একদিন আমাদের সকলকেই মরতে হবে। বঙ্গবন্ধুকেও মরতে হবে। আমরা চিরদিন কেও বেঁচে থাকব না।
আল্লাহর পিয়ারা দোস্ত, আমাদের নবী(সঃ) ও চিরদিন বেঁচে থাকেন নি। কিন্তু তিনি তাঁর প্রচারিত ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সারা দুনিয়ায় আজ পরম শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। তেমনি, আমরা যদি বাঙ্গালী কে একটি জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, আমরা যদি বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক আরেকটি রাষ্ট্রের মানচিত্র স্থাপন করতে পারি, তাইলে সেই স্বাধীন জাতি এবং নতুন রাষ্ট্রের মানচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান প্রভাত সূর্যের মত উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।
আমরা যখন বাংলাদেশ ছেড়ে যার যার পথে ভারত চলে আসি, তখন কিন্তু জানতম না বঙ্গবন্ধু জীবিত আছেন, না শহীদ হয়েছেন। ভারতে এসে দেখা না হওয়া পর্যন্ত আমিও জানতাম না সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী কিংবা হেনা সাহেব(কামরুজ্জামান) জীবিত আছেন কিনা। আমি নিজেও বাঁচতে পারব এ কথাটি একবারও ভাবতে পারি নি। এখানে আসার পর যতক্ষন পর্যন্ত পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ঘোষনা না করেছে যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাদের কাছে বন্দী আছেন, ততক্ষন পর্যন্ত আমি মনে করতে পারি নি তিনি জীবিত আছেন। পাকিস্তানি জল্লাদ বাহিনীর কামান, বন্দুক,ট্যাঙ্ক, মেশিনগানের গোলাগুলির মধ্যে বঙ্গবন্ধু আর বেঁচে নেই একথা ভেবে এবং সম্ভবত মেনে নিয়েই তো আমরা নিজ নিজ প্রাণ নিয়ে চলে এসেছি।
বঙ্গবন্ধু মুজিবের ছায়া হয়ে তার পাশে আজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে থেকেছি। তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন দেশের জন্য জীবন দিতে। তিনি নিজেও বারবার বাংলার পথে প্রান্তরে বলেছেন, বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য জীবন দিতে তিনি কুন্ঠিত নন। আজ যদি বঙ্গবন্ধু মুজিবের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পাই, তাহলে সেই স্বাধীন বাংলাদেশের মধ্যেই আমরা পাব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে। আমি নিশ্চিত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কিছুতেই পাকিস্তানিদের কাছে তার নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপোষ করবেন না, আত্মসমর্পন করবেন না এবং করতে পারেন না। এটাই আমার প্রথম ও শেষ বিশ্বাস।
বাংলাদেশ যদি আজ এত রক্তের বিনিময়েও স্বাধীন না হয়, তাহলে বাংলাদেশ চিরদিনের জন্য পাকিস্তানি দখলদারদের দাস ও গোলাম হয়ে থাকবে। পূর্ব পাকিস্তানীর মর্যাদাও বাঙ্গালী কোনদিন আর পাকিস্তানীদের কাছে পাবে না। প্রভুভক্ত প্রাণীর মত আমরা যতই আনুগত্যের লেজ নাড়ি না কেন, পাকিস্তানীরা পূর্ব পাকিস্তানীদের আর বিশ্বাস করবে না, বিশ্বাস করার কোন প্রশ্নই উঠে না। আর এই অধিকৃ্ত পূর্ব পাকিস্তানে যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানের প্রেসেডিন্ট হয়েও আসেন, তবু তিনি হবেন পাকিস্তানের গোলামীর জিঞ্জির পরান এক গোলাম মুজিব।
বাংলাদেশের জনগন কোনদিন সেই গোলাম শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলে গ্রহন করবে না, মেনে নিবে না। আমার স্থির বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর পাকিস্তানীদের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। বাঙ্গালী জাতির গলায় গোলামীর জিঞ্জির পরিয়ে দেবার পরিবর্তে তিনি নিজে বরং ফাঁসীর রজ্জু গলায় তুলে নেবেব হাসিমুখে। এটাই আমার বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এটাই আমার ঈমান। এ মূহর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছাড়া, আমাদের অস্তিত টিকিয়ে রাখার আর কোন বিকল্প নেই। বাঙ্গালীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য স্বাধী্নতা চাই। স্বাধী্নতা ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আর কোন অস্তিত নেই, আর পরিচয় নেই। স্বাধীন বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। পরাধীন বাংলায় বঙ্গবন্ধু ফিরে আসবেন না। গোলামের পরিচয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান অধিকৃ্ত পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসবেন না কোন দিন। জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করব। পরাধীন দেশের মাটিতে আমার লাশও যাতে ফিরে না যায় সে জন্য জীবিতদের কাছে আর্জি রেখে যাই। আমার শেষকথা, যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমরা বাংলার মাটিকে দখলদার মুক্ত করব। বাংলার মুক্ত মাটিতে মুক্ত মানুষ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আমারা ফিরিয়ে আনব। মুজিব স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশেতে ফিরে আসবেন এবং তাকে আমরা জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনব ইনশাল্লাহ। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রাণ রক্ষার জন্য বিশ্ব মানবতার কাছে আমরা আকুল আবেদন জানাচ্ছি”।

প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের এই আবেগময়ী ভাষণের পর জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে শিলিগুড়ি কনফারেন্স গর্জে উঠেছিল। এভাবেই নিষ্পত্তি হয় আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের একটি বিভ্রান্তিমূলক ও আত্মঘাতী ষড়যন্ত্রের।

(ভাষণ সংগ্রহ- একাত্তরের রনাঙ্গান অকথিত কিছু কথা, লেখক-নজরুল ইসলাম)

৪৪ টি মন্তব্য : “মুক্তিযুদ্ধের বিস্মৃত প্রায় এক চ্যাপ্টারঃ শিলিগুড়ি কনফারেন্স ও একটি ভাষণ”

  1. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    রাশেদ,
    শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ :hatsoff:
    আমি আসলেই এই দিকনির্দেশী সম্মেলনের ব্যাপারে কিছু জানতাম না...
    একই সাথে সম্ভব হইলে ঐ হঠকারী বিতর্কের পিছনে কাদের হাত ছিল-সেইটা শেয়ার করলেও ভালো লাগবে...


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  2. জিহাদ (৯৯-০৫)

    আগের বার মনে হয় ধন্যবাদ জানানো হয়নাই। এইবার দিয়া গেলাম।

    তাজউদ্দীন আহমেদ আমার খুবই প্রিয় ব্যক্তিত্ব। বড় হয়ে মুক্তিযুদ্ধে মানুষটার অবদান সম্পর্কে যত জানসি তত বেশি শ্রদ্ধায় নত হইসি। নির্মোহ, নির্লোভী এবং প্রচারবিমুখ এই মানুষটাকে আমি অসম্ভব পছন্দ করি। আমার মাঝে মাঝেই মনে হয় এই মানুষগুলা যদি তাদের স্বাভাবিক জীবন কালটুকু আমাদের সাথে থাকতো তাইলে হয়তোবা বাংলাদেশ এতদিনে আরো বহু বছর আগায় যাইতো...


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  3. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    সর্ব জনাব কাজী নজরুল আর তাজউদ্দিন না থাকলে বিরাট বিপদে পড়ে যাইতাম আমরা, মানে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ......।।

    :salute:


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  4. তাইফুর (৯২-৯৮)

    এইধরণের মূল্যবান কিন্তু অনূক্ত ব্যাপারগুলো সর্বসাধারণকে জানানোর জন্য কিছু কিছু পদক্ষেপ নেয়া শুরু করা জরুরী ...
    রাশেদ কে ধণ্যবাদ।


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  5. তৌফিক (৯৬-০২)

    বিরাট কাজ রাশেদ। জানতাম এ ঘটনাগুলা। আমাদের জাতীয় চরিত্রের একটা দিক বেরিয়ে আসে এ ঘটনায়। অন্ধ আনুগত্য এবং ব্যক্তিকে সমষ্টির উপর স্থান দেয়ার প্রবণতা থেকে আমরা যে কবে বেরিয়ে আসবো!

    কয়েকদিন ধরে চিন্তা করছি রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের ব্যাপারে। অগণিত সমস্যা চিহ্নিত করা যায়, যেগুলো সমাধান করার ক্ষমতা হয়তো এখন আমাদের নেই। নিজের মাঝেই উত্তর পেয়ে গেলাম, দেশের সার্বিক উন্নয়নে আগে জনশক্তির উন্নয়ন করতে হবে এবং জনগণকে সচেতন করতে হবে। তা করতে হলে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বেশিরভাগ বাঙালি যেদিন শিক্ষিত হবে, সেদিন অন্য সমস্যাগুলো এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে বলে আমার মনে হয়। অফটপিক হয়ে গেল, ভাবনাটা মাথায় ঘুরছিল, শেয়ার করে ফেললাম।

    তোমার পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে।

    জবাব দিন
  6. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    তাজউদ্দীন আহমেদকে শ্রদ্ধাভরে কেয়ামত পর্যন্ত :salute: :salute: :salute:

    বঙ্গবন্ধু মুজিবের ছায়া হয়ে তার পাশে আজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে থেকেছি। তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন দেশের জন্য জীবন দিতে। তিনি নিজেও বারবার বাংলার পথে প্রান্তরে বলেছেন, বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য তিনি জীবন তিনি কুন্ঠিত নন।

    রাশেদ, শেষ লাইনটা এডিট করে দিও...
    আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ... :clap:

    আহারে!! ব্যাটা যদি বাপের মতন সিকিভাগও হত... :bash:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  7. তানভীর (৯৪-০০)

    কত অজানা রে! 🙁
    রাশেদ, অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। এটা নিয়ে একদম কিছুই জানতাম না! এই ব্লগ নিয়মিত পড়ি বলে আমার নিজেরই গর্ব হচ্ছে।

    তাজউদ্দীন আহমেদকে :salute: :salute:

    জবাব দিন
  8. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ লেখাটার জন্য রাশেদকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
    তাজউদ্দীন কে জানতে আগ্রহীরা তার ডায়রি এবং তানভীর মোকাম্মেল এর উনাকে নিয়ে ডকুমেন্টারিটা দেখে নিতে পারেন। উনার সম্পর্কে আরো কিছু আছে 'মূলধারা '৭১' বইটাতে, মাসুম ভাই সা.ইন এ রেগুলার দিচ্ছিলেন বইটা বেশ কিছুদিন ধরে।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।