আগুন যখন অশ্রু

‘টিয়ারস অব ফায়ার’ (tears of fire) প্রামান্যচিত্রটার কথা আমি প্রথম জানি হারুন হাবীবের ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ’ বই থেকে।

গত বইমেলায় খুঁজে খুঁজে ৭১’র যুদ্ধাপরাধ নিয়ে অনেকগুলি বই কিনেছিলাম। সব পড়া হয়নি। কিছু আধপড়া ফেলে রেখেছি, কিছু একদমই ধরিনি। কাল হঠাৎ শেষরাতে বিছানায় শোবার পরও যখন ঘুম আসছিলো না তখন উঠে বাতি জ্বালালাম। সেলফ থেকে একটা বই বের করে ভাবলাম দেখি পড়তে পড়তে ঘুম আসে কিনা।

বিস্তারিত»

সর্বকালের সেরা ১০০ চলচ্চিত্রকার

মহিবের ব্লগের মন্তব্যে বলেছিলাম, “দে শ্যুট পিকচার্স” আমার প্রিয় মুভি সাইটগুলোর একটা। এবার কারণ দর্শানোর পালা। কেন এত পছন্দ করি সাইটটা? এখানে তো ভাল কোন মুভি রিভিউ নেই, মুভি নিয়ে গভীর কোন আলোচনাও নেই, বরং পরিচিতিমূলক লেখা বেশী। কথা ঠিক, কিন্তু তারপরও এটা আমার ফেভারিট। কারণ হল একটা তালিকা- সর্বকালের সেরা ১০০ চলচ্চিত্রকারের (মূলত পরিচালক) তালিকা।

ইন্টারনেটে মুভি সংশ্লিষ্ট অনেক তালিকা আছে, সর্বকালের সেরা ১০০ অমুক,

বিস্তারিত»

দে শ্যুট পিকচার্স। ০১

একেবারে ছোটবেলায় রুবেলের সিনেমা দেখতে বেশ ভালো লাগতো। কোন সিনেমার ‘শ্রেষ্ঠাংশে’ রুবেল থাকা মানে মুহুর্মুহু মারপিট।
আর ভালো লাগতো চম্পাকে। চম্পার হলুদ রং’এর একটা জামা ছিল, যেটা হাঁটু এবং কোমরের মাঝামাঝি গিয়ে শেষ হয়েছিলো। এই জামার নীচে ছি্দ্র ছি্দ্র করা এক ধরণের পোষাক।
ছোটবেলার সিনেমা মানে রোজিনা। ছোটবেলার সিনেমা মানে অঞ্জু ঘোষ, সোনিয়া ‘প্রমুখ চিত্রনায়িকারা’, যাদের উপরের পোষাক একটু নড়বড়ে পজিশনে গেলেই বুকের মধ্যে তালির আওয়াজ হতো।

বিস্তারিত»

মুভি: হিচককের রহস্য জগতে স্বাগতম

ami_masumblog_1186677478_1-20060124-hitchcock1
বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাস লিখতে হলে স্যার আলফ্রেড জোসেফ হিচককের নামটি চলে আসবে সবার আগে। খুব বেশি পুরস্কার তার ভাগ্যে জোটেনি, সমালোচকরাও শুরুতে তার প্রতি সদয় ছিলেন না। কিন্তু হিচকক এখন সবারই প্রিয় একজন পরিচালক।
রহস্য তাঁর তৈরি চলচ্চিত্রগুলোর মূল সুর। বলা যায় রহস্য সিনেমা জগতের সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিচালক তিনি। বহু পরিচালক এখনো তাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করছেন। রোমান পোলানস্কির মতো পরিচালকও ফ্রান্টিক নামের একটি চলচ্চিত্র তৈরি করে হিচকককে অনুসরণের চেষ্টা করেছিলেন।

বিস্তারিত»

দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – শেষ পর্ব

আব্বাস কিয়ারোস্তামির সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন Bert Cardullo:
১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব | ৪র্থ পর্ব

সিনেমার ভবিষ্যৎ কি একই সাথে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের উন্নয়নের উপর নির্ভর করে না?

আমার মনে হয় না। মাঝেমাঝে তো মনে হয়, আমার দেশে যখন সামাজিক পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ ছিল তখনই শিল্প সবচেয়ে বেশী এগিয়েছে।

বিস্তারিত»

দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ৪

আব্বাস কিয়ারোস্তামির সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন Bert Cardullo:
১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব

কবিতা ও চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি পার্থক্য হচ্ছে: মানুষ মনে করে এক বা দুইবার দেখেই যেকোন সিনেমা বোঝা সম্ভব, কিন্তু কবিতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অন্যরকম। আমরা সাধারণত একই কবিতা অসংখ্য বার পড়ি। মানুষ যেহেতু একই সিনেমা বারবার দেখতে অভ্যস্ত না, সেহেতু কাব্যিক চলচ্চিত্র দিয়ে দর্শকদের মন জয় করা কি কোনদিন সম্ভব হবে?

বিস্তারিত»

দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ৩

আব্বাস কিয়ারোস্তামির সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন Bert Cardullo:
১ম পর্ব | ২য় পর্ব

যারা আগে কখনও অভিনয় করেনি তাদের দিয়ে এত স্বাভাবিক অভিনয় কিভাবে করান? আর আপনার সিনেমাগুলোর জন্য চিত্রনাট্য কিভাবে লেখেন?

আগেই বলেছি, আমার সিনেমার পুরো চিত্রনাট্য আগে থেকে প্রস্তুত করা থাকে না। প্রথমে একটি সাধারণ ধারণা এবং একটি চরিত্র মাথায় থাকে। সেই চরিত্রটি বাস্তবে খুঁজে পাওয়ার আগে চিত্রনাট্য নিয়ে খুব বেশী এগোই না।

বিস্তারিত»

মুভি ব্লগ: তিন ভাষার তিন ছবি

আগে একটা গান শুনি। মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যামসমান
১.
হঠাৎ কেন মরণের কথা। এই বয়সে মৃত্যু ভাবনা সহজে আসার কতা না। ‌মরিবার সাধও হয় নাই। তারপরেও ভাবলাম বিয়য়টি নিয়ে। একটা ছবি দেখে। জাপানের ছবি, ডিপারচারস (Departures)। এবার ছবিটা সেরা বিদেশি ভাষার ছবি হিসেবে অস্কার পেয়েছে।
200px-okuribito_2008
আজকালকার জাপানি ছবি দেখা হয় না। কুরোসিওর বেশ ছবি দেখেছিলাম। সেগুলো ঠিক কালের বিচারে এখনকার বা তখনকার ছবি বলা যায় না।

বিস্তারিত»

দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ২

এবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরতে চাই। শিল্পীর স্বাধীনতার জন্য যত ধরণের সৌভাগ্য দরকার তার অনেকগুলোই যে কারণে অসম্ভব হয়ে পড়ে। ইরানে চলচ্চিত্র নির্মাণের সাথে সেই সেন্সরশিপের সম্পর্কটা কেমন?

গত দশ বছর ধরে সরকার আমার কোন সিনেমাই দেখাতে দিচ্ছে না। আমার মনে হয়, তারা আমার সিনেমা বোঝেই না। কি সেন্সর করতে হবে আর কি করতে হবে না এটা না বোঝার কারণে তারা সবকিছুই আটকে দেয়,

বিস্তারিত»

দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ১

অনুভূমিকা

বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে সক্রিয় চলচ্চিত্র আন্দোলন বোধহয় ইরানী নিউ ওয়েভ বা ইরানী নবতরঙ্গ। এই মহান আন্দোলনের রূপকার হলেন আব্বাস কিয়ারোস্তামি। আমরা জাপান সম্পর্কে জেনেছি আকিরা কুরোসাওয়ার মাধ্যমে, ভারতকে চিনেছি সত্যজিৎ রায়ের মাধ্যমে আর ইরানকে বুঝেছি আব্বাস কিয়ারোস্তামির মাধ্যমে। ব্রাইট লাইটস ফিল্ম জার্নালে কিয়ারোস্তামির একটা সাক্ষাৎকার পেয়ে অনুবাদ শুরু করে দিলাম। এর একটা বাংলা অনুবাদ হয়ে ইতিমধ্যে বই হিসেবে প্রকাশিতও হয়ে গেছে। তারপরও আমি আবার অনুবাদ করলাম।

বিস্তারিত»

লাইফ অফ দ্য মাইন্ড

স্পয়লার ওয়ার্নিং: সিনেমাটা না দেখে এটা পড়া ঠিক হবে না। অবশ্য নিৎশের শিল্প তত্ত্ব পর্যন্ত সবাই পড়তে পারেন। বাকিটাতে পুরো কাহিনীই বলে দেয়া আছে।

হাতে বন্দুক নিয়ে উন্মাদের মত ছুটে চলেছে চার্লি, তার সাথে সাথে ছুটছে আগুন। এই চার্লির মাধ্যমেই বার্টন ফিংকের মনে নরকের জন্ম দিয়েছেন কোয়েন ব্রাদার্স। এখানে নরক মানে বাইবেলের নরক না, শিল্পীর নরক- যে নরকে প্রবেশ না করলে স্বর্গে পৌঁছানো যায় না।

বিস্তারিত»

অবচেতন সম্রাজ্য

কোথাও টু শব্দটি নেই। হঠাৎ ভারী শব্দের সাথে আলোকরশ্মির মতো কিছু একটার আবির্ভাব ঘটে। তারপর শুরু হয় একটানা যান্ত্রিক শব্দ। এভাবেই স্ক্রিনে আসে সিনেমার নাম: পুরো স্ক্রিন জুড়ে ক্যাপিটাল অক্ষরে লেখা INLAND EMPIRE. এর মধ্যে দিয়েই ডেভিড লিঞ্চ আমাদেরকে এক বিস্ময়কর surrealist (পরাবাস্তব) জগতে নিয়ে যান। দর্শক মাত্রই সিনেমার মধ্যে ঢুকে যেতে বাধ্য। রেডিও ট্রান্সমিটার থেকে ভেসে আসে: Axxon N. The longest running radio play in history.

বিস্তারিত»

৬০ বছরের সেরা ছবি, ১০ ডিডিভিতে

অস্কার পেলেই যে ঐটাই বছরের সেরা সিনেমা সেইটা ভাবার কোনো কারণ নাই। তবে অন্যতম সেরা সেটা মনে হয় বলা যায়। কিছু পুরস্কার পাওয়া ছবি দেখলে কপাল কুচকাইয়া যায়। কিছু আসলেই অসাধারণ।
ঢাকায় সব ছবি পাওয়াও যায় না। তবে অনেকগুলাই পাওয়া যায়। চোখে পড়লেই কিনি, সেরা পুরস্কার পাওয়া ছবিটি। আমার কাজ ডিভিডির দোকানগুলোতে ঢু মারা। আমি নতুন ছবির চেয়ে পুরান ছবি বেশী খুঁজি। পেয়েও যাই কোনো এক দুর্লভ ছবি।

বিস্তারিত»

Rann অথবা India 24/7

রাম গোপাল ভার্মা আমার সবচেয়ে প্রিয় পরিচালক। কেনো? ওই ব্যাখ্যা আমি লিখে বুঝাতে পারবো না। সামনা সামনি কারো সাথে দেখা হলে ওইটা নিয়ে কথা বলা যাবে। কারন রামুর সিনেমার পিছনের থিওর‌্যাটিক্যাল ব্যাখ্যা আমার জানা নাই। শুধুই ভালো লাগে। সিনেমার বিষয় বৈচিত্র্য ছাড়াও আমার সিনেমার পরিচালনা, কাস্টিং (কতজন তারকার জন্ম হয়েছে রামুর সিনেমাতে আমি জানি না কিন্তু অনেক অভিনেতার জন্ম হয়েছে রামুর সিনেমাতে) সব কিছুই ভালো লাগে।

বিস্তারিত»

জিসাস ফাকিং ক্রাইস্ট

বার্ন আফটার রিডিং দেখার পর আমার প্রিয় জনরগুলোর নাম মনে করার চেষ্টা করলাম। কারণ এটা পুরোপুরিই জনর মুভি। যে সিনেমাগুলো জনরের প্রতি অনেক বিশ্বস্ত থাকে সেগুলোকেই জনর মুভি বলা যায়। কোয়েন ব্রাদার্সের নতুন সিনেমা বার্ন আফটার রিডিং “ব্ল্যাক কমেডি”-র প্রতি প্রচণ্ড বিশ্বস্ত ছিল। এ ধরণের সিনেমা দেখার পর মাথায় কেবল জনর ঘুরতে থাকে। যেমন দ্য গ্রেট “ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ” দেখার পর একমাস আমি কেবল ব্ল্যাক কমেডি নিয়েই ঘাটাঘাটি করেছি।

বিস্তারিত»