১। আমি কম্পিউটার সিটির রায়ানস থেকেই ডিভিডি বেশি কিনি। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কল্যানে কিছু ফাও আয় হয়। কিছু বাড়তি অর্থ পকেটে আসে আর আমি ছুটে যাই রায়ানস-এ। নতুন ছবির চেয়ে আমি বেশি খুঁজি পুরোনো ছবিগুলো। একদিন যেয়ে দেখি অনেক পুরোনো একটা ছবি, জাজমেন্ট অ্যাট নুরেমবার্গ। কিনতে এক সেকেন্ডও ব্যয় হয়নি আমার।
মনে আছে একসময় বিটিভিতে সাটারডে নাইট মুভিতে অনেক ভাল ভাল ছবি দেখাতো।
ক্যাডেট কলেজ উইথ বাংলালিঙ্ক(ভিডিও)
কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লে উপলক্ষ্যে কলেজে অনেকগুলো ভিডিও বানিয়েছিলাম আমদের ক্লাসমেটরা মিলে!এর মাঝে একটা ছিলো বাংলালিঙ্কের এড!কাজটা সবার তখন ভালো লেগেছিল!আশা করি এক্স-ক্যাডেটদেরও লাগবে!ইউটিউবে আপলোড করার জন্য শরীফ এবং সালমানকে থ্যাঙ্কস!আর ভিডিওটাতে যে পিচ্ছিটা অভিনয় করেছে,ক্যাডেট মামুন,ক্লাস এইট!চমৎকার অভিন্য করেছে!অবশ্য কাদানোর জন্য ওকে অনেক পাঙ্গাতে হয়েছিলো!
ক্যাডেট কলেজ নিয়ে এই ভিডিওটা ক্যাডেটরা অবশ্যই দেখবেন!
ক্যাডেট কলেজ উইথ বাংলালিংক ভিডিও
আরেকটা ভিডিও,ম্যাথ ক্লাসে ডান্স!
বিস্তারিত»হিন্দী সিনেমা নিয়া গপসপ: পছন্দের কিছু নামও দিলাম
পাঠক, দর্শক ও শ্রোতা হিসেবে আমি খুবই মধ্যমমানের। প্রচুর আজে বাজে বই পড়েছি, প্রচুর ফালতু সিনেমা দেখেছি, প্রচুর নিম্নমানের গানও শুনেছি। আর এভাবেই জেনেছি কোনটা ভাল সিনেমা, কোনটা ভাল বই আর কোনটা ভাল গান।
প্রচুর হিন্দি সিনেমাও দেখেছি। দেশে তখন প্রথম ভিসিআর আসলো। আমার মামার বাসায় একবার সিনেমা দেখার ব্যাপক আয়োজন। আমরা তখন ছোট। আমাদের জন্য ডন আর বড়দের জন্য ববি। আমার হিন্দি ছবি দেখা হচ্ছে ডন।
সন্দেহ… সংশয়… Doubt !!
প্রেক্ষাপটঃ ব্রংস,আমেরিকা ১৯৬৪। চিন্তার স্বাধীনতা ও সামাজিক মুক্তির বিষয়গুলো তখন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। পরিচালক জন প্যাট্রিক শ্যানলী তার পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী মঞ্চনাটক থেকে এই সিনেমার চিত্রনাট্য এডাপ্ট করেছেন। মূল থিমটা পুরোনো। একদিকে আছে প্রাচীন নিয়ম কানুন, পরম্পরা আর বিশ্বাসকে আকঁড়ে ধরে রাখা কট্টরপন্থী (গুরুকুলের অমিতাভ) আর অন্যদিকে আছে নতুন আচার আচরন,বিশ্বাস আর মুল্যবোধকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত উদারমনা আধুনিক ব্যাক্তিত্ব। (গানের মাস্টার ছ্যাঁকু শাহরুখ) Doubt সিনেমার কাহিনী্তে একজন নান তার এক সহযোগী পুরোহিতের সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েন।
বিস্তারিত»মুভি: The Boy in the Striped Pajamas
সেভিং প্রাইভেট রায়ান মুক্তি পাওয়ার পর স্টিভেন স্পিলবার্গের একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম। ছবিটার শুরু হয় যুদ্ধ দিয়ে। সরাসরি কাহিনীর মধ্যে না ঢুকে প্রথম ১০ মিনিটের বেশি খালি যুদ্ধ। স্পিলবার্গ বলেছিলেন, যুদ্ধ আসলে কোনো রোমান্টিক বিষয় না। এর মধ্যে সৌন্দর্যের কিছু নাই। তাই এর ভয়াবহতা বোঝাতেই কিছুণ খালি যুদ্ধই দেখানো হয়েছে।
যুদ্ধ আসলে কাউকেই ছাড়ে না। নারী বা শিশুদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই যুদ্ধে। এর শিকার সবাই।
সত্যজিতের উত্তরসূরি ঋতুপর্ণ ঘোষ (একটি সাক্ষাৎকার)
বাংলা সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরই যার নাম উচ্চারিত হওয়া উচিত তিনি হলেন দ্য গ্রেট সত্যজিৎ রায়। আমার কাছে সত্যজিৎ যেন রবীন্দ্রনাথের চেয়েও বড়। কারণ খুব স্বাভাবিক, আমি এখনও রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত পৌঁছুতে পারিনি। চেষ্টাও করিনি অবশ্য, তার বদলে সত্যজিৎকে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত যাওয়ার শর্টকাট রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেছি। রাস্তাটা চমৎকার, কারণ এপার-ওপার দুই বাংলা মিলিয়ে রবীন্দ্রনাথকে সত্যজিতের চেয়ে ভাল আর কেউ বুঝেনি।
তো এই গ্রেট সত্যজিৎ রায়ের একটা সাক্ষাৎকার অনুবাদ করব করব করেও করতে পারছিলাম না।
বিস্তারিত»তাহান……… গ্রেনেডওয়ালা এক বালক।
সন্তোষ শিভান এর মতে বাংলায় ‘তাহান’ এর অর্থ Tolerance অথবা ‘সহ্য’। (যদিও আমি জীবনেও এই বাংলা শব্দ শুনিনি) সন্তোষ শিভান যুদ্ধ বিধ্বস্ত কাশ্মীরের এক বালকের অভিজ্ঞতার একটি মানবিক গল্প বলেছেন ‘তাহান’ সিনেমাতে।
বিস্তারিত»সেরা রোমান্টিক মুভি
রোমান্টিক মুভি। আজকের দিনে এর চেয়ে ভাল টাইমপাস আর কি হতে পারে। (বান্ধবীদের সময় দেওয়ার পর)।
তাই এই আড্ডা রোমান্টিক মুভি নিয়ে। এর কোনো সম্পূর্ণ তালিকা করা যাবে না। আমি একটা তালিকা দিলাম। আপনারাও দেন পছন্দের রোমান্টিক মুভি নিয়ে। তারপর বেছে নেবো নামটি। এবং তারপর দেখবো যেগুলো দেখিনি।
১. রোমান হলিডে-আমার ধারণা আজি হতে শতবর্ষ পরেও এটি থাকবে সেরা রোমান্টিক ছবি। গ্রেগরি পেক ও অড্রে হেপবার্ন।
ভিকি ক্রিস্টিনা আর বার্সেলোনা
ভিকি ক্রিস্টিনা আর বার্সেলোনা একটা হালকা, মাস ফুরানোর আগেই ভুলে যাওয়ার মতো কিন্তু মজার সিনেমা। ইদানিং কালের কমেডি সিনেমা গুলোর তুলনায় যথেষ্ট মজার।
সিনেমার টাইটেল এর ভিতরেই আছে তিন চরিত্র। ভিকি একজন সেরিব্রাল সচেতন তরুনী, (ব্রিটিশ রেবেকা হল আমেরিকান উচ্চারনে দারুন করেছে) ক্যাটালান সংস্কৃতির উপর পড়াশুনা করছে। বিত্তশালী ফিয়াঁসেকে নিউ ইয়র্কে ফেলে বন্ধুর সাথে বার্সেলোনা এসেছে গ্রীস্মের ছুটি কাটাতে। ভিকির বন্ধু উদ্দাম, খেয়ালী ক্রিস্টিনা (স্কারলেট জোহান্সন),
বিস্তারিত»বাফটা ২০০৯
যা আশা করা হয়েছিল, ব্রিটিশ সিনেমা স্লামডগ মিলিওনেয়ার জিতেছে ৭টি পুরস্কার। বলাবাহুল্য ব্রিটিশ সিনেমার জয় জয়কার। মানতে পারলাম না বেশীরভাগ। টেকনিক্যাল সব পুরস্কার জেতা উচিত ছিল কিউরিয়াস কেস অফ বেঞ্জামিন বাটন এর। আমি প্রধান ক্যাটাগরী গুলো নিয়ে লিখলাম।
Best film
The Curious Case of Benjamin Button
Frost/Nixon
Milk
The Reader
Slumdog Millionaire
আমার কাছে সেরা সিনেমা মনে হয়েছে দি রিডার।
(মনপুরা) আগে যদি জানতাম রে বন্ধু…মন খারাপ করা গান…
মমতাজের গান খুব একটা সিরিয়াসলি শুনতাম না কখনও। কিন্তু ‘মনপুরা’ ছবির এই গানটা কেমন জানি মন খারাপ করে দেয়। গানটা শুরু হবার আগেই ব্যাকগ্রাউণ্ড মিউজিকটা অসাধারণ। আমি সাধারণ মনের ও মানের সংগীত স্রোতা। গানের কথা ও সুর আমাকে সত্যি নাড়া দিয়েছে। জানিনা আর কারও মনে নাড়া দেবে কিনা।
‘আগে যদি জানতাম রে বন্ধু, তুমি হইবা পর
ছাড়িতাম না কি বাড়ি আমার, ছাড়িতাম না ঘর
উজানে ভাসাইলাম নাও,
আমার দেখা সেরা ১০ মুভি
তালিকাটা করেছিলাম প্রায় বছর খানেক আগে। আমার প্রিয় ছবি। তবে এখানে স্থান দিয়েছি ইংরেজী ভাষার মুভিকে। বলা যায় হলিউড মুভি। প্রায় বছর খানেক পর লিস্টটা নিয়ে ভাবছি। বুঝতে পারছি না, ক্রামার ভার্সেস ক্রামার রাখবো কিনা। দি রিডার কি রাখবো। কিংবা হোটেল রোয়ান্ডা বা সিন্ডলার্স লিস্টটাও রাখতে ইচ্ছা করছে। মনে হচ্ছে ব্রাড পিটের বাবেল-এর কথা। গড ফাদার-টু আমার বেশি পছন্দ। খুব টানছে কিলিং ফিল্ডস। এমনকি সিংগিং ইন দ্য রেইনও আমার অনেক পছন্দের ছবি।
বিস্তারিত»দি রিডার: মন খারাপ করা মুভি
মনটা খারাপ হইছে। কোনো কোনো ছবি আছে তারে বলে ফিল গুড মুভি। সাম্প্রতিক উদাহরণ স্ল্যামডগ মিলিওনিয়ার। আর কিছু ছবি আছে ফিল স্যাড মুভি। আজ সেইরকম একটা ছবি দেখলাম। দি রিডার। মনটা অসম্ভব খারাপ হয়েছে। মনটা বিষন্ন হয়ে আছে ছবিটা দেখার পর।
কেন উইনস্লেট একজন মধ্যবয়সী নারী। জার্মানিতে ট্রাম কন্ডাক্টার। ১৬ বছরের মাইকেল তার প্রেমে পড়ে। শারিরীক প্রেম। তবে হান্নার (কেট) পছন্দের বিষয় বই। শারিরীর প্রেমের পর মাইকেলের কাজ হান্নাকে বই পড়ে শোনানো।
ফ্রস্ট/নিক্সন, ইয়াজউদ্দিন/?
১.
ফ্রস্ট/নিক্সন। ছবিটার নাম শোনার পর থেকেই দেখার আগ্রহ ছিল। অস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারের তালিকা বা নমিনেশন দেখে আগ্রহ বেড়ে যায় অনেক। তাই ঢাকায় ডিভিডি দেখেই কিনতে সময় লাগেনি একদম। প্রিন্টও ভাল। বলা যায় এক নিঃশ্বাসে মুভিটা দেখেছি।
২.
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির কারণে। ওয়াইট হাউজ থেকে বের হয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় জীবন যাপন করছেন তিনি। ডেভিড ফ্রস্ট একজন সাংবাদিক, বলা যায় টক শো হোস্ট।
৮১তম অস্কারের মনোনয়ন
অবশেষে ৮১তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। তথৈবচ মনোনয়ন। সবাই যা ধারণা করছিল সেরকমই। কোন চমক নেই। জনপ্রিয় ও আলোচিত সিনেমাগুলোকেই কমার্শিয়াল একাডেমি পুরস্কৃত করে। স্বাধীন ও লো বাজেটের সিনেমা সেখানে কোন পাত্তাই পায় না। এই প্রথম অস্কারের দিকে নজর রাখছি। বাফটা অ্যাওয়ার্ডে অনেক চমক ছিল। এটাতে কোন চমকই নেই। যা ভেবেছিলাম তা-ই হয়েছে, যা চেয়েছিলাম তার কিছুই হয়নি। দুঃখের সাথে তাই মনোনীত মহান (!?) সিনেমাগুলোর নাম দিয়ে দিচ্ছি।
বিস্তারিত»