সুকান্ত ভট্টাচার্যের কাব্যপ্রতিভার রহস্য এখনও কেউ ভেদ করতে পারে নি। সুকান্ত একই সাথে আমাদের মাঝে বিস্ময় ও বিষাদ এর অনুভূতি জাগিয়ে গেছেন। তার অসাধারণ কাব্য সুষমা জাগিয়েছে বিস্ময়, আর তার অকালমৃত্যু আমাদেরকে চিরদিনের জন্য করে গেছে দুঃখী। অনেক সমালোচকের মতে রাজনৈতিক চেতনা নিয়ে বেশি ভাবতে গিয়েই কবি ও কাব্য সমালোচকরা সুকান্তর প্রকৃত প্রতিভার প্রতিটি পাঁপড়ি মেলে দেখতে পারেন নি। সুকান্ত মাত্র ২১ বছর বয়সে মারা গেছেন।
বিস্তারিত»শেষ হয়ে গেল টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসব
টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল যে এত সমৃদ্ধ আগে ভাবতেও পারিনি। স্বয়ং আম্রিকার কোন চলচ্চিত্র উৎসবও এত গমগম করে না। অস্কার আর গোল্ডেন গ্লোব দিয়ে তারা চলচ্চিত্র উৎসবকে ছেয়ে ফেলেছে। সেখানে উৎসব মানেই পুরস্কার। পুরস্কার ছাড়া যেন উৎসব হয় না, কিংবা উৎসব থাকলেই যেন সেখানে পুরস্কারের সমারোহ থাকতে হবে।
মহাবিশ্বের ইতিহাস নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে গিয়ে টরন্টোর ভাল ফিচার করতে পারছি না।
বিস্তারিত»ইঙ্গমার বারিমানের সাক্ষাৎকার: প্লেবয়
প্রকাশ: জুন, ১৯৬৭; প্লেবয় ম্যাগাজিন
চলুন বারিমানের “দ্য সাইলেন্স” মুক্তি পাওয়ার সেই উত্তাল মাসগুলোতে ফিরে যাই। স্টকহোমের প্রতিটি সিনেমা হলে উৎসুক দর্শকদের ভীড়, তার দেখাদেখি আরও ডজনখানেক দেশে সাইলেন্স নিয়ে একরকম চাপা উত্তেজনা, একেক জনের হলে আসার কারণ একেক রকম- কেউ এসেছে এই সুয়েডীয় চলচ্চিত্রকারের বিশ্বনন্দিত ট্রিলজির (আগের দুটি হল “থ্রু আ গ্লাস ডার্কলি” ও “উইন্টার লাইট”) শেষ পর্ব দেখতে,
বিস্তারিত»অলিভার স্টোন-এর ‘প্লাটুন’ (১৯৮৬)
ফ্রঁসোয়া ত্রুফো বলেছিলেন, যুদ্ধবিরোধী সিনেমা কখনোই বানানো সম্ভব না, কারণ যুদ্ধ নিয়ে করা সব সিনেমাতেই বীরত্ব ও অ্যাকশন দেখানোর মাধ্যমে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয় যে যুদ্ধকে বেশ মজার মনে হয়। ত্রুফোর এই কথার চেয়ে বড় সত্য আর নেই। অনেক সিনেমায় যুদ্ধবিরোধী আন্ডারটোন থাকলেও নগ্ন বীরত্ব গাঁথা-টাই মুখ্য হয়ে উঠে। যুদ্ধের জটিল কলাকৌশল, স্নাইপারদের কারিশমা দেখতে তাই আমার কখনোই ভাল লাগে না। অপরদিকে যুদ্ধবিরোধী সিনেমা আমার প্রিয় জঁনরাগুলোর একটি।
বিস্তারিত»পথের পাঁচালীর পঞ্চাশ বছর-২
প্রথম পর্ব
[আগের পর্ব শেষ করেছিলাম ইন্টেলেকচুয়াল মন্তাজ দিয়ে।এটা নিয়ে কিছু কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি।মন্তাজ ব্যাপারটি রাশিয়ান চলচ্চিত্রকার আইজেনস্টাইনের আবিষ্কার। মন্তাজ শব্দটার সাথে যেহেতু ইন্টেলেকচুয়াল শব্দটি যোগ হয়েছে কাজেই এটা অন্তত বোঝা যায়, বুদ্ধিবৃত্তিক দৃশ্য তৈরি জাতীয় কিছু একটা। হ্যা, আসলেই তাই। ইন্টেলেকচুয়াল মন্তাজ সম্পূর্ণ ভিন্নরকম দুটি দৃশ্য পরপর একটি তৃতীয় অর্থকরী দৃশ্য তৈরি করে, যার মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক একটি সিকোয়েন্স দাঁড়িয়ে যায ।
সত্যজিৎ রায়ের সাক্ষাৎকার: সিনিঅ্যাস্ট
সিনিঅ্যাস্ট সাময়িকীর সাথে সত্যজিৎ রায়ের সাক্ষাৎকার, ১৯৮১
সিনিঅ্যাস্ট: “পথের পাঁচালী” আপনাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছে। এটা কি বাংলা আবিষ্কারে আপনাকে সাহায্য করেছে?
সত্যজিৎ রায়: পথের পাঁচালী নির্মাণের সময়ই আমি গ্রামীণ জীবন আবিষ্কার করেছি। এতে কোন সন্দেহ নেই। আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা সবই শহরে, তাই গ্রাম সম্পর্কে সম্যক ধারণা এর আগে ছিল না। গ্রামে গ্রামে ঘুরে লোকেশন শিকার এবং খুঁজে পাওয়ার পর সেখানে কিছুদিন থাকা,
বিস্তারিত»হায়াও মিয়াজাকির বিশ্ব
প্রিয় এনিমেশন পরিচালক হায়াও মিয়াজাকির সিনেমা যত দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। জাপানী এনিমেশনকে এনিমে বলা হয়। তাই আমিও এখানে এনিমে ব্যবহার করছি। আসলে শুধু এনিমে সেক্টরে না, সবকিছু মিলেই জাপানে মিয়াজাকির চেয়ে মেধাবী কোন চলচ্চিত্র পরিচালক এখন নেই। ইসাও তাকাহাতার দুটো সিনেমা খুবই ভাল লেগেছে। কিছু দিক দিয়ে তাকাহাতা মিয়াজাকির সমমানের হলেও তার ওপর মিয়াজাকির প্রভাব সুস্পষ্ট। আমি এখন পর্যন্ত মোট পাঁচটা সিনেমা দেখলাম,
বিস্তারিত»সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ
মাইক নিকোলসের সাম্প্রতিক সিনেমা “চার্লি উইলসন্স ওয়ার” (২০০৭) দেখে মনে হচ্ছে, বর্তমান বিশ্ব-রাজনীতি, ইসলামী মৌলবাদের উত্থান এবং পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বুঝতে হলে “সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ” গবেষণার বিকল্প নেই। আমাদের মত ইতিহাসের কেবল আগ্রহী পাঠকদের অবশ্য গভীর গবেষণার সুযোগ কম। আপাতত জেনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। তাই মাইক্রোসফট এনকার্টা বিশ্বকোষের সাহায্য নিয়ে সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের ইতিহাস অনুলিখন শুরু করছি। এনকার্টা বেছে নিলাম কারণ,
–
সাউন্ড অভ সাইলেন্স
“দ্য গ্র্যাজুয়েট” মাইক নিকোলসের সেরা সিনেমা কি-না বলতে পারব না, তবে আমি তার যতগুলো সিনেমা দেখেছি তার মধ্যে এটা সেরা। সেরা বললে কম বলা হবে, এটার সাথে তার অন্য সিনেমাগুলোর তুলনাই চলে না। সিডনি লুমেটের সাথে এক দিক দিয়ে তার মিল আছে। লুমেট জীবনের প্রথম সিনেমা দিয়েই বাজিমাত করেছিলেন, তার “১২ অ্যাংগ্রি মেন” যারা দেখেছে তারা বিষয়টা ভাল বুঝতে পারবে। নিকোলসও প্রথম সিনেমায় ভেল্কি দেখিয়েছিল- “হু’জ অ্যাফ্রেইড অভ ভার্জিনিয়া উলফ”।
বিস্তারিত»রাজনীতি, সংঘাত ও আর কর্পোরেট ক্রাইম নিয়ে পছন্দের কিছু ছবি
সিনেমা আমি দেখি সব ধরণের। তবে ঘরানা হিসেবে পছন্দ পলিটিক্যাল বা কর্পোরেট ক্রাইম জাতীয় সিনেমা । সত্য ঘটনা অবলম্বনে হলে ভাল হয়। আবার অনেক সময় এমন হয় কাহিনীটা হয়তো বানানো কিন্তু স্থান বা ঘটনাটি হয়তো এরকমই। তালিকা আমার পছন্দের ক্রমানুসারে করা হয়নি। যখন যেটার কথা মনে হয়েছে সেভাবেই তৈরি।
১। মিসিং-১৯৮২ সালের ছবি। পরিচালক গ্রীক পরিচালক গোস্তা গারবাস। জ্যাক লেমন আর সিসি স্পাসেক।
বিস্তারিত»একেকটি সত্য ঘটনা নিয়ে একাধিক পছন্দের ছবি
সত্য ঘটনা অবলম্বনে অনেক ছবি হয়। আবার একই ঘটনা নিয়ে একাধিক ছবিও আছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার ঘটনার আগে বা পরের কাহিনী নিয়েও ছবি হয়। এরকম অনেক বিখ্যাত ছবি আছে। এ ধরণের ছবিই আমাকে বেশি টানে। সত্য ঘটনা, পলিটিক্যাল বা কর্পোরেট ক্রাইম, সংঘাত-এসব বিষয়ের ছবিগুলোই আমার বেশি পছন্দ। এরকম কয়েকটা ছবি নিয়ে এই পোস্ট।
১। রোয়ান্ডার গণহত্যা-২০০৪: ২০০৪ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে রোয়ান্ডায় হুটুদের হাতে মারা যায় ৮ থেকে ১০ লাখ টুটসি।
বিস্তারিত»সেরা বড়দের ছবি
স্কুলে পড়ি, তখন আমাদের ভাইবোনদের ববি আর কুরবানি দেখতে দেওয়া হয়নি। এগুলো বড়দের ছবি। ববিতে ডিম্পল আর কুরবানিতে জিনাত আমান বিকিনি পড়েছিল, ব্যস তাতেই এগুলো বড়দের ছবি হয়ে যায়।
আমার দেখা প্রথম বড়দের ছবি ব্লু লেগুন। রীতিমত আয়োজন করে দেখা। বয়সে বড় খালাতো ভাইয়ের বন্ধুরা সবাই মিলে দেখেছিল, আমিও কেমনে যেন ঢুকে যাই সে দলে। আমাদের সময়ে বড়দের বড়দের বড়দের ছবি দেখানো হতো বেগম বাজারে,
পথের পাঁচালীর পঞ্চাশ বছর-১
[ভাগ্য হয়েছিল কলকাতা আর বাংলাদেশের লেখা মিলিযে সত্যজিতের উপর একটি প্রকাশনা সম্পাদনা করার, ২০০৫ এ। তখনকার আমার একটি লেখা হুবহু তুলে দেয়ার চেষ্টা করছি।এটা প্রথম কিস্তি। যারা পথের পাঁচালী দেখেছেন আর দৃশ্যগুলো মনে আছে, আশা করি লেখাটি তাদের ভালো লাগবে। আর যারা দেখেননি তারা দয়া করে দেখে ফেলুন :dreamy: ]
১৯৫৫ সালের ২৬ আগস্ট। বিভূতিভূষণের কালজয়ী উপন্যাস `পথের পাঁচালী’র মুক্তি ঘটে নব রূপে,
বিস্তারিত»চলচ্চিত্রের সীমাবদ্ধতা
লেখক – আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
১
সাহিত্য সঙ্গীত চিত্রকলার মতো শিল্পগুলোর প্রধান নিরাপত্তা এখানে যে, এগুলোকে সময়ের ক্ষুধার্ত থাবা থেকে বাঁচিয়ে রাখার সহজ উপায় আছে। এ-সব শিল্পের মধ্যে মানুষের জীবিত হৃদয়, যৌবনের মত নিটোল রঙিন শরীরে ও শারীরিক সজীবতায় শতাব্দীর সজড় বার্ধক্য অমান্য করে বাঁচে। সাহিত্যকে জীবিত অক্ষরে, সঙ্গীতকে সাংকেতিক চিহ্নে, চিত্রকে আঁক-আঁচরের অমর ঘরে দীর্ঘায়ু দেয়া সম্ভব।
কিন্তু চলচ্চিত্র দীর্ঘায়ুবঞ্চিত,
বিস্তারিত»হলুদ বরণ স্মৃতি
সিনেমা দেখলে বোঝা যায়, সিরিয়াল কিলার আর সিরিয়াল কিলিং বিষয় দুটো আসলে ভিন্ন। সিরিয়াল কিলার নিয়ে করা সিনেমা মানে রমরমে উত্তেজনা, অযাচিত কাটাছেঁড়া আর অকারণেই হৃদয় ভাঙা। কিন্তু সিরিয়াল কিলিং নিয়ে করা সিনেমা মানে সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক চেতনা, সহিংসতার লুকোচুরি আর ভগ্ন হৃদয়ের শৈল্পিক উপস্থাপন। সিরিয়াল কিলিং বিষয়ক সিনেমার সংজ্ঞা না দিয়ে এতদিন কেবল “দ্য সায়লেন্স অভ দ্য ল্যাম্বস” (১৯৯১) নামটা বলে দিলেই হতো।
বিস্তারিত»