আরগো, ইরান হোস্টেজ ক্রাইসিস ও কিছু অসঙ্গতি

Argo দেখলাম। যদিও একটু দেরি হয়ে গেল। বিভিন্ন কারনে মুভিটা দেখা হচ্ছিল না। অবশেষে সময় করে দেখে ফেললাম। আমি অভিনেতা বেন এফ্লেক এর তেমন একটা ভক্ত না, কিন্তু ডিরেক্টর বেন এফ্লেকের বিশাল ভক্ত। অসাধারণ একজন  ট্যালেন্ট। মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে Good Will Huntingএর জন্য ম্যাট ডেমনের সাথে বেস্ট স্ক্রিন প্লে ক্যাটাগরিতে অস্কার পেয়েছিলেন সেই ১৯৯৭ সালে। আর্গো র জন্য এবার বেস্ট ডিরেক্টর এওয়ার্ড পেলেন গোল্ডেন গ্লোব এ।

বিস্তারিত»

দি গ্রেট গ্যাটসবি: একটি উপন্যাস,একটি চলচ্চিত্র

The Great Gatsby. মুভিটা আমার কাছে খুব স্পেশাল। অনেকগুলো  কারন আছে এর পিছনে।এই সেমিস্টারে  ইংলিশ ক্লাসে The Great Gatsby নভেল টা টেক্সট ছিল।যত সুন্দর বই ই হোক না কেন ,পাঠ্যবই হয়ে গেলে কোনো জিনিসই ভালো লাগে না! কিন্তু কোনো এক অদ্ভুত কারনে খুব আগ্রহের সাথে এই বইটা পড়ি এবং তার চেয়ে দ্বিগুন উত্সাহে এর জন্য  পেপার লেখা শুরু করি। উপন্যাস টি  লিখেছেন স্কট ফিটজেরাল্ড। প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে।

বিস্তারিত»

ফানি ও আলেকজান্ডার (১৯৮২)

সুইডেনের সবচেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ইংমার বারিমানের অন্যতম সেরা সিনেমা “ফানি ও আলেকজান্ডার” নিয়ে রজার ইবার্টের রিভিউয়ের বঙ্গানুবাদ। চলচ্চিত্র উইকিতেও লেখাটা আছে।

*****

ইংমার বারিমান চেয়েছিলেন ‘ফানি ও আলেকজান্ডার’ (Fanny och Alexander, ১৯৮২) হোক তার শেষ সিনেমা, তাই এতে শেষ দীপশিখার মত অনেক উদ্দীপনার সমারোহ। এতে তিনি একইসাথে হতে চেয়েছেন তরুণ, মধ্যবয়স্ক আর বৃদ্ধ, পুরুষ আর নারী,

বিস্তারিত»

আব্বস কিয়রোস্তামি: নতুন পৃথিবীর চলচ্চিত্রকার

এই লেখাটি সেন্সেস অফ সিনেমায় Mehrnaz Saeed-Vafa এর লেখার ভাবানুবাদ, তবে কিছু কথা নিজে অতিরিক্ত যোগ করেছি। কোনটা আমার আর কোনটা মেহ্‌রনাজ সাইদের সেটা উল্লেখ করার হ্যাপায় আর গেলাম না (শোনা যায় স্বয়ং এরিস্টটলও সেই হ্যাপায় যেতেন না :D)। লেখাটি প্রথমত “চলচ্চিত্র উইকি”-র জন্য। উইকির পাতায় কিয়রোস্তামির ফিল্মোগ্রাফি ও সংশ্লিষ্ট অনেক লিংক পাওয়া যাবে।

*****

আব্বস কিয়রোস্তামি (ইংরেজি: Abbas Kiarostami,

বিস্তারিত»

সুপারম্যান: ম্যান অফ স্টিল

ম্যান অফ স্টিল !

দেখে আসলাম  … প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে ওয়েট করছিলাম মুভিটার জন্য। তাই, একদম ফার্স্ট শো তেই দৌড় দিয়েছিলাম। এখন প্রশ্ন হলো , মুভিটা কেমন লাগলো? আমি সত্যি ই কনফিউজড … প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী ! সব টুকু কি পূরণ হলো?
ট্রেইলার দেখে আন্দাজ করেছিলাম যে মুভিটা “ব্যাটম্যান বিগেইনস” টাইপ হতে পারে। হ্যা, অনেকটা সেই আদলেই তৈরী করা হয়েছে । অবশ্যই দুটোর মাঝে  অবভিয়াস কোনো মিল পাবেন না দেখতে বসলে।  

বিস্তারিত»

অনেক দিন ধরে মনে মনে একটি site খুঁজছি

সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ! অনেক দিন ধরে মনে মনে একটি site খুঁজছি; অনেকটা songfacts.com এর মত। তবে, যেটা হবে শুধু বাংলা গানের উপর। যেখানে লালন, রবীন্দ্রনাথ, শচীন, পল্লিগীতি, আধুনিক সকল বাংলা গানের ছোট ছোট মজার তথ্য থেকে বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ ধর্মী তথ্য/লেখা থাকবে। এই যেমন ধরুন গত বছরের শেষের দিকে হটাৎ করেই একদিন আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছিল ”আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে …”

বিস্তারিত»

মিউজক নিউজ!! আপনিই পারেন জন মেয়ারের মিউজিক ভিডিও বানাতে।

 

 

 

 

 

 

 

৭বার গ্র্যামি এওয়ার্ড বিজয়ী সেরা পপ রক ভোকাল জন মেয়ার চান আপনি তার জন্য মিউজিক ভিডিওটা বানান।

অনেকটা এমনি কথা চলছে জেনেরো টিভির পর্দায় আর জন মেয়ারের ওয়েব সাইটে। বিশ্বব্যাপী যে কেউ এই মিউজিক ভিডিও বানানো প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পারবেন।

বিস্তারিত»

দ্য থার্টি নাইন স্টেপস (১৯৩৫)

হিচকক অধিকাংশ সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রে বানিয়েছেন দেখে আমরা ভুলেই যাই যে তিনি আসলে ব্রিটিশ এবং ইংল্যান্ড বানানো সিনেমাগুলোও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেমন দ্য থার্টি-নাইন স্টেপস এ হিচককীয় সিনেমার প্রধান সব বৈশিষ্ট্যই পূর্ণরূপ পেয়ে গিয়েছিল। হিচককীয় থ্রিলারের মূল বৈশিষ্ট্য- গতি, পরম সুন্দরী ব্লন্ড নায়িকা, নির্দোষ নায়কের গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে যাওয়া। এই তিনটি বৈশিষ্ট্যই ৩৯ স্টেপসে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। মিথ্যা অভিযোগ মাথায় নিয়ে নায়কের পালিয়ে বেরানো পরবর্তীতে হিচককের অনেক সিনেমায় এসেছে- স্ট্রেঞ্জারস অন আ ট্রেইন,

বিস্তারিত»

১৮৯৬: লা সোতা স্টেশনে বত্রিশ সহস্রাব্দের স্বপ্ন পূরণ

ভিডিও গেম এখনও শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছুতে পারেনি মেনে নিলে সিনেমাই পৃথিবীর আধুনিকতম শিল্প। পাঠ্যপুস্তকে যা আছে তা থেকে মনে হয় এর ইতিহাসটা ১০০ বছর বা খুব বেশি হলে ১৫০ বছরের। কিন্তু আমি এক প্রাগৈতিহাসিক অনুপ্রেরণায় বা কিছু হারানো স্বপ্নের তাগিদে ইতিহাসটাকে কয়েক সহস্রাব্দ পিছিয়ে দেব, যদি ৩২ সহস্রাব্দকে আপনাদের মাত্র কয়েক সহস্রাব্দ মনে হয়। এই নিয়মে সিনেমার ইতিহাসটা শুরু হবে তুষার যুগের এক মানব গোষ্ঠীকে দিয়ে যারা ফ্রান্সের শোভে (Chauvet) গুহার আশপাশে বসবাস করতো আজ থেকে অন্ততপক্ষে ৩২,০০০ বছর পূর্বে।

বিস্তারিত»

পোতাশ্রয়ের নির্বাক কমেডি

একটিবার চার্লি চ্যাপলিনদের যুগে ফিরে যাওয়া যাক। সেটা নিঃসন্দেহে নির্বাক কমেডির স্বর্ণযুগ। মুখের কথা ছাড়া কেবল অঙ্গভঙ্গি আর চলচ্ছবির মাধ্যমে যখন চলচ্চিত্রকাররা সমাজকে বিদ্রুপ করতেন আর মানুষের অন্তরকে ভালবাসতেন। ২০১১ সালের একটি সিনেমায় ঠিক তেমন বিদ্রুপ আর ভালোবাসার ছবি দেখতে পেলাম। সিনেমার নাম ল্য আভ্র্ (Le Havre), পরিচালনা করেছেন ফিনল্যান্ডের ওটার চলচ্চিত্রকার আকি কাউরিসম্যাকি। আকি-র নাম যদি আগে কেউ শুনে না থাকেন,

বিস্তারিত»

অর(Or)

প্রথমেই বলে নিচ্ছি মুভি নিয়ে তেমন একটা লেখিনি, মাঝে মাঝে দুই চাইর লাইন,বলার মত কিছু না। কিন্তু এই ছবিটা দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না একটা রিভিউ লেখার।
ছবিটির নাম অর। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছে একটি মেয়ে। মেয়েটির নামেই সিনেমার শিরোনাম। ছবিটি একটি ইজরাইলি ছবি।
সিনেমা একটা পরিবারকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে,খুব স্বাভাবিক,সহজ ও বাস্তব কাহিনী। অন্য ভাষার চলচিত্র হলেও আপনার বুঝতে সমস্যা হবে না এক ফোটাও।

বিস্তারিত»

ঐ উড়াল বলাকায়- ((প্রভাতী পর্ব))

দুই ঘাড়ের উপর বসে মোনকার-নাকীর এমন জোরে ঝাঁকাঝাঁকি শুরু করল যে রিজভীর ঘুম ভেঙে গেল। রাত তিনটার সময় ঘুম ঘুম চোখ মেলে- মশারির ফুটো দিয়ে ঘরের অন্ধকার দেখল সে কিছুক্ষণ। বারান্দায় আলো জ্বলছিল। আর এদিকে বিছানার পাশের জানালা দিয়ে বাইরের ফ্লাড-লাইটের আলোকে কিছুটা হলেও ঢেকে দিয়েছে আড়াই তলার সমান উঁচু যুবতী জামরুল গাছ।

প্রসাব করতে বাইরে যাওয়াটা কি ঠিক হবে এখন! সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময় লাগছে।

বিস্তারিত»

এই ডিসেম্বরে ছুটির ঝুলি

ত-য়ে তুষারপাত, ঘ-য়ে ঘরে বসে থাক
আমার সব অনুমান ভুল প্রমাণ করে শেষমেষ বরাবরের মতো একটি হোয়াইট ক্রিসমাস হলো এবছরও। ক্রিসমাসের দিন আকাশ ভেঙ্গে সাদা পেঁজা পেঁজা তুলোর মতো তুষারপাত শুরু হলো সারা নগর জুড়ে। দিনভর তুষারপাতে শহরটা চোখের সামনে নিমেষে শ্বেতশুভ্র রহস্যপুরী হয়ে গেলো। এদেশের মানুষজন ক্রিসমাসে তুষারপাতে দারুণ খুশি হয়। জানালা দিয়ে কিছুক্ষন পরপর উঁকি দিয়ে সেই তুষারপাত দেখে আমিও দারুন খুশি!

বিস্তারিত»

এ্যানাগ্লিফ

এই বছরের এপ্রিল মাস থেকে রাজধানীতে অবস্থান করছি। ৪ জন মিলে আছি আমার কলেজের-ই এক বন্ধুর বাসায়; ৪ ক্যাডেট বন্ধু, আর কেউ নয়। সুতরাং বলাই বাহুল্য, সময়টা দারুণ যাচ্ছে 🙂

আমাদের প্রতিদিনের একটা কমন কাজ হল অফিস থেকে ফিরে রাতে ডিনারের পর একসাথে রাত জেগে টিভি দেখা। এটা প্রতিটি পরিবারেরই একটা খুব সাধারণ দৃশ্য, কিন্তু ব্যাপারটা আদতে অত স্বাভাবিক নয়। ব্লগের নন-ক্যাডেট ভিজিটর-দের বোঝার সুবিধার্থে বলছি : ক্যাডেট কলেজে একসাথে থার্সডে নাইটে মুভি দেখার ব্যাপারটা অনেক স্পেশাল ছিল।

বিস্তারিত»

এলোমেলো মুভি ব্লগ-২

এবার চার দেশের চারটি মুভি। মুভিগুলো একটু কম পরিচিত, প্রথমটি বাদে বাকিগুলো সম্পর্কে কিছু না জেনেই দেখা শুরু করেছিলাম। আগের বারের মত এবারো বলে নিচ্ছি, মুভিগুলো নিয়ে হালকা আলাপ নিয়েই এই পোস্ট, কোন রিভিউ নয় স্রেফ দর্শক প্রতিক্রিয়া তবে হালকা স্পয়লার যুক্ত।

রণ (Rann)

অনেকদিন আগে সিসিবিতে এহসান ভাইয়ের এই ব্লগে রণ মুভিটার প্রিভিউ পড়েছিলাম। সেটা পড়ে দেখার জন্য আগ্রহ তৈরী হয়েছিল কিন্তু দেখা হয়ে ওঠেনি।

বিস্তারিত»