বার্ন আফটার রিডিং দেখার পর আমার প্রিয় জনরগুলোর নাম মনে করার চেষ্টা করলাম। কারণ এটা পুরোপুরিই জনর মুভি। যে সিনেমাগুলো জনরের প্রতি অনেক বিশ্বস্ত থাকে সেগুলোকেই জনর মুভি বলা যায়। কোয়েন ব্রাদার্সের নতুন সিনেমা বার্ন আফটার রিডিং “ব্ল্যাক কমেডি”-র প্রতি প্রচণ্ড বিশ্বস্ত ছিল। এ ধরণের সিনেমা দেখার পর মাথায় কেবল জনর ঘুরতে থাকে। যেমন দ্য গ্রেট “ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ” দেখার পর একমাস আমি কেবল ব্ল্যাক কমেডি নিয়েই ঘাটাঘাটি করেছি। এখনও সময় পেলে ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ দেখি আর ব্ল্যাক কমেডির গুণগান করি। ব্ল্যাক কমেডির প্রতি বেশী আকৃষ্ট হলেও আমার মুভি দেখা খুব বেশী জনরকেন্দ্রিক না। ভাল হলে প্রায় সব জনরের সিনেমাই দেখি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে প্রিয় জনরগুলোর ড়্যাংকিং করলে খারাপ হয় না:
– ব্ল্যাক কমেডি
– সায়েন্স ফিকশন
– বিল্ডুংস্রোমান (“অপু ত্রয়ী”, “ওয়ান্স আপোন আ টাইম ইন অ্যামেরিকা” বা “ফোর হান্ড্রেড ব্লোস” এর মত)
– সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার
– ক্রাইম থ্রিলার
– স্ক্রুবল কমেডি
– রোমান্টিক কমেডি
জিসাস ফাকিং ক্রাইস্ট,
জনর স্টাডি করার জন্য তো লিখতে বসিনি। বসেছি বার্ন আফটার রিডিং এর কথা বলতে। ফালতু প্যাচাল বাদ দিয়ে তা-ই লিখি না কেন…
সিনেমার প্রথম দৃশ্য দেখে মনে হয়, সামনে ঘোর অমানিশা আছে। অসবোর্ন কক্স (জন ম্যালকোভিচ) নামের এক সিআইএ এজেন্টকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে। কক্স-কে দেখলে মনে হয়, সার্থক স্পাই হিসেবে নিজেকে জাহির করার জন্য যত প্রকার দৈহিক ও বাক্যিক গুণ অর্জন করা দরকার তার সবই সে অর্জন করেছে। বয়সও বেশী। তার মানে সিআইএ তে তার গুরুত্ব নেহায়েৎ কম না। এমন এক স্পাইকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে, কেন দেয়া হচ্ছে?-
You have a drinking problem.
প্রত্যুত্তরে কক্স বলছে,
I have a drinking problem? Fuck you, Peck, you’re a Mormon. Compared to you we ALL have a drinking problem!
এই শুরু হয়ে গেলে। f ওয়ার্ড আর নিকষ কালো কমেডি- দুয়ের যাত্রা শুরু একসাথেই।
কিন্তু কোয়েন ব্রাদার্সের আগের কাজগুলোর সাথে যারা পরিচিত নন তারা এখনও আশা করতে থাকবেন অনেক কিছু। ভাববেন, সিআইএ নিয়ে দুর্দান্ত কোন স্পাই থ্রিলার শুরু হবে একটু পড়েই। তাদের এ ধারণা আরও পাকপোক্ত হতে থাকবে। প্রথম আধা ঘণ্টা বা চল্লিশ মিনিট দেখে সে আকাঙ্ক্ষা আরও বাড়বে বৈ কমবে না। কারণ:
একে একে হলিউডের বাঘা বাঘা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আবির্ভূত হতে থাকবে। আসবে টিল্ডা সুইন্টন (অসবোর্ন কক্সের বউ “কেটি”)। আর তারপর একে একে আবির্ভাব ঘটবে ফ্রান্সিস ম্যাকডর্মেন্ড (লিন্ডা লিৎস্কি, জিমের কেরানী), ব্র্যাড পিট (চ্যাড, জিমের কেরানী), জর্জ ক্লুনি (হ্যারি ফাফার, কেটির গোপন প্রেমিক)। দর্শকমাত্রই এই বলে নিজেকে বুঝ দেবেন যে, “এতগুলো রাঘব বোয়াল নিয়ে কোথাকার কোন দুই ডিরেক্টর নিশ্চয়ই রং তামাশা করবে না!” তার উপর প্যারালাল চার ঘটনার অবশ্যম্ভাবী মিলনের আশায় মুখিয়ে থাকবেন সবাই:
১। অবসর নেয়ার পর কক্স একটা স্মৃতিকথা লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভাব দেখে মনে হয়, এই স্মৃতিকথা নিয়ে বিশাল কোন ঘাপলা হবে।
২। কক্সের বউ কেটি রাজস্ব কর্মকর্তা হ্যারির সাথে লীলাখেলায় মত্ত। গোপনে ডিভোর্সের কাগজপত্র রেডি করছে আর ষড়যন্ত্র কষছে কক্সের সব সহায়-সম্পত্তি কেড়ে নেয়ার। কিন্তু জানে না কিভাবে করতে হবে। তাই চুরি করেছে কক্সের স্মৃতিকথার সিডিটা। সেই সিডি গিয়ে পড়েছে জিমের কেরানী চ্যাড ও লিন্ডার হাতে। হায় হায় এখন কি হবে? সিআইএ-র বিশাল কোন কিছু ফাঁস হতে চলল কি?
৩। হ্যারিকে কে যেন ফলো করে। আর কেটির সাথে প্রেম থাকা সত্ত্বেও সে আবার প্রেম খুঁজে বেড়ায়। রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া যে কোন প্রেম উপভোগে তার কোন আপত্তি নিয়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সে লিন্ডার মতই সবসময় ভুল জায়গায় সন্ধান করে।
৪। লিন্ডা প্রেম চায়, আকর্ষনীয় হতে চায়। Liposuction, Rhinoplasty, Facial tuck আর Breast augmentation-ই তার স্বপ্নপূরণের চাবিকাঠি। লিন্ডাকে সাপোর্ট দিয়ে চলেছে একই জিমের আরেক কেরানী চ্যাড। চ্যাড চরিত্রে ব্র্যাড পিটের অনবদ্য অভিনয় আরও ভাবিয়ে তুলবে দর্শককে।
কিন্তু ডাক্তারের সাথে লিন্ডার কথাপকথন দেখে সবাই ব্ল্যাক কমেডির স্বাদটা প্রথমবারের মত পেতে শুরু করবেন। এর সাথে মিশে থাকবে স্ক্রুবল কমেডির নির্যাস: সবাই কথা বলবে খুব দ্রুত, কথার মধ্যে চতুর সব মারপ্যাঁচ থাকবে, কিন্তু একটু বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে- এই চতুর বাক্যওয়ালা চতুর সদৃশ চরিত্রগুলো আসলে পাগল। আমরা লিন্ডার কথা থেকেই শুরু করি না কেন? তার শরীরের গোশত কমাতে হবে। পশ্চাদ্দেশের মাংস কমানোটা আবশ্যিক। ডাক্তার যখন বলে সেখানে জেনেটিক বিষয়-টিষয় আসে তখন তার অকপট প্রত্যুত্তর:
The Litzkes have always been big. My mother had an ass that could pull a bus.
তারপর আবারও বলতে থাকে তার প্রেম সন্ধানের কথা। তার স্বপ্নপূরণ হতে হলে তো ফিগারের সাথে চেহারাও লাগবে:
And what about the face, you know, the window to the soul.
এক আপাত উর্ধ্বতন সিআইএ কর্মকর্তার অবসরপরবর্তী স্মৃতিকথার ডিস্ক এক প্রেমসন্ধানী ও এক পাগলের (চ্যাড) হাতে এসেছে: লিন্ডা ও চ্যাড। এটা নিয়ে কি করবে তারা? দেখার মত বিষয়। তারা বের করে ফেলে ডিস্ক মালিকের নাম। চ্যাডের দৃঢ় বিশ্বাস ডিস্কের খোঁজ দেয়ার পর তারা বিশাল অংকের অর্থ পাবে কক্সের কাছ থেকে। ফোনে সে কক্সকে কেবলই বলে চলে:
I’m just a Good Samaritan, a traveler on the road…
আর বলতে পারে না। কক্সের কথা,
Who the fuck are you. You have no fucking idea what you are doing.. Listen you two clowns…
চারমুখী বডি অপারেশনের চিন্তায় উৎকণ্ঠিত আর উত্তেজিত লিন্ডা বলে উঠে,
You warn us? You warn us? Let me tell you something Mr. Intelligence, we warn you, we will call you back with our demands.
এই মিস্টার ইন্টেলিজেন্স থেকেই আমাদের অন্যরকম চিন্তা শুরু। এই মিস্টার ইন্টেলিজেন্সরা কারা? সিআইএ নামধারী এই মিস্টারেরা কি করে? আমরা শুনে থাকি, সব দেশেই নাকি তারা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় প্রাণপাতের কাজ করে? তাই নাকি? অ্যানার্কির সূচনা এখান থেকেই। অনেক ভাল ভাল ব্ল্যাক কমেডির একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে অ্যনার্কি- তথা প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র-সরকার আর প্রশাসনকে ব্যাঙ্গ করা, তাদের মাহাত্ম্যকে হেসে উড়িয়ে দেয়া। তাদের প্রতিষ্ঠিত নীতি-নৈতিকতাকে অস্বীকার করা। এর সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ। অ্যানার্কিক ব্ল্যাক কমেডির বর্ণনা শুরু করার আগে স্ট্রেঞ্জলাভের সাথে বার্ন আফটার রিডিং এর একটা মিল বলে নেই। এটাকে আসলে মিল বলা ঠিক হবে না। বলা উচিত, বার্ন আফটার রিডিং এ কোয়েন ব্রাদার্স স্ট্যানলি কুবরিকের প্রতি একটা হোমেজের ব্যবস্থা করেছেন:
– স্ট্যানলি কুবরিকের ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভে রাশিয়ায় আক্রমণের জন্য প্রস্তুত বিমানের কোড রিসিভিং মেশিনের নাম্বার ছিল CRM 114
– বার্ন আফটার রিডিং এ হ্যারি ফাফারের বাড়ির নাম্বার থাকে 114
রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাজ কি? তাদের আসল কাজ হল-
* তারা যে প্রশাসনের অধীনে কাজ করে সে প্রশাসনের সকল কুকর্ম-অপকর্ম ঢাকার ব্যবস্থা করা
অ্যামেরিকার সিআইএ এই কাজ করে। বাংলাদেশের কথা আসলে অবশ্যই উঠে আসবে এনএসআই এর কথা। কিংবা আর্মির DGFI এর কথা বলা যায়। আমার তো মনে হয় DGFI মিলিটারি ও মিলিটারি-বান্ধবদের অপকর্ম ঢাকা ছাড়া আর কোন কাজই করে না। এ প্রমাণ তারা বারবার রেখেছে।
অনেক ব্ল্যাক কমেডি সিনেমার বিষয় থাকে এই প্রশাসনিক ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। তারা এটাকে কেবল ব্যঙ্গ করে, আর কিছু না। তারা কোন কাউন্টার থিউরি দেয় না। তারা নিছক শিল্পী, শিল্পীর মনে যা আসে তা-ই শৈল্পিকভাবে সেখানে ফুটে উঠে। বার্ন আফটার রিডিং এও এই অ্যানার্কিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়।
সিনেমার ব্ল্যাক কমেডিক সেন্সের সবচেয়ে ভাল বহিঃপ্রকাশ ঘটে সিআইএ-র এক অফিসারের সাথে তার সুপারভাইজারের কথোপকথনের মাধ্যমে। দুইবারের কথোপকথনকে মোটামুটি ৫ ভাগে ভাগ করা যায়:
১। একজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে:
অফিসার – Yes, sir, and we’ll interface with the FBI on this, uh, dead body?
সুপারভাইজার – No! No. God, no. We don’t want those idiots bumbling around in this. Burn the body. Get rid of it. And… uh… keep an eye on everyone, see what they do. Report back to me, when… uh… I don’t know…when it makes sense.
২। একজনকে ভেনিজুয়েলায় পাঠানো নিয়ে:
অ – He’s in a detention room at Washington Dallas.
সু – Why?
অ – He was trying to board a flight to Venezuela. We had his name on a hotlist, CBP pulled him. Don’t know why he was trying to go to Venezuela.
সু – You don’t know?
অ – No, sir.
সু – We have no extradition with Venezuela.
অ – Oh. So what should we do with him?
সু – For fuck’s sake, put him on the next flight to Venezuela!
অ – Yes sir. Okay.
৩। আরেকটি মৃত্যু:
সু – Okay. So the “?” is dead.
অ – Yes, sir.
সু – The body is…
অ – That’s gone, sir.
সু – Okay.
৪। একটি অনিশ্চিত মৃত্যু:
অ – was attacking the “?” guy. It was in broad daylight, on the street. Our man did not know what to do. Felt he had to step in.
সু – Yes?
অ – He, uh… He shot the “?”. He shot “?”.
সু – Good! Great! Is he dead?
অ – No sir. He’s in a coma. They don’t think he’s gonna make it, they’re pretty sure that he has no brain function.
সু – Okay. Okay. If he wakes up we’ll worry about it then.
৫। কিছু অর্থ খরচ নিয়ে:
সু – Jesus, what a clusterfuck. So that’s it then. No one else really knows anything. Okay.
অ – We picked her up. We have her.
সু – We have her?! To do what with?
অ – She, she, she says she’ll play ball if we pay for some I know this sounds odd…
সু – How much?
অ – All together…
সু – Pay it.
অ – Yes sir. Okay.
এই ডায়লগগুলো নিয়ে আসলে বলার কিছু নেই। এই দুটি চরিত্র খুব কম সময়ের জন্য ছিল। কিন্তু মুখের এক্সপ্রেশন দিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটে কোয়েন ব্রাদার্স যা দেখিয়েছে তা এককথায় অনবদ্য। ব্ল্যাক কমেডির এই অ্যানার্কিক দিকটা বুঝতে হলেও অফিসার আর সুপারভাইজারের ডায়লগ দেখার বিকল্প নেই।
তবে আমি একটু সরলীকরণ করে ফেলছি। আসলে ব্ল্যাক কমেডির শুধু অ্যানার্কিক দিকটাই এখানে গুরুত্ব পায়নি। আরেকটি বড় দিক ছিল অস্তিত্ববাদী দিক। আমরা জানি, উনবিংশ শতকে কিয়ের্কেগরের হাত ধরে অস্তিত্ববাদ তথা সর্বোচ্চ মানবতাবাদ বিকশিত হয়। বিংশ শতকের সাহিত্য ও শিল্প অস্তিত্ববাদ দ্বারা প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত। সিনেমায় এটার অনুপ্রবেশ অনেক আগেই ঘটেছিল। কোয়েন ব্রাদার্সও তাদের “নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন” এর মাধ্যমে সেই অস্তিত্ববাদের ডোমেইনে পা রেখেছেন। বার্ন আফটার রিডিং এর চিত্রনাট্য নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেনের সাথেই লেখা হয়েছিল। দুই ভাই একসাথে বসে একদিন নো কান্ট্রি আর অন্যদিন বার্ন আফটারের চিত্রনাট্য লেখার কাজ করতেন। স্বভাবতই কিছু অস্তিত্ববাদী চিন্তা ঢুকে গেছে বার্ন আফটার রিডিং এ। তারা অস্তিত্ববাদের যে থিমটা নিয়ে কাজ করেছেন সেটা হল: “সমাজের অংশ হিসেবে মানুষকে দেখা বা মানুষের উপর বর্তমান সমাজের প্রভাব ফুটিয়ে তোলা।”
অস্তিত্ববাদ কিন্তু সাবজেক্টিভ-কে গুরুত্ব দেয়। সাবজেক্টিভ বলতে মানুষের অনন্য অনুভূতিকেই বোঝাতে পারি। আর অবজেক্টিভ স্বভাবতই সমাজের বিভিন্ন রাশির মাধ্যমে মানুষের প্রকৃতি ব্যাখ্যার চেষ্টা করে। মানুষের উপর সমাজের এই অবজেক্টিভ প্রভাবের যে ভয়াবহতা সেটাই কোয়েন ব্রাদার্সের সিনেমায় উঠে আসতে শুরু করেছে। নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেনে সেটা এক নৈসর্গ্যিক রূপ নিয়ে এসেছিল। অনেকে বলেন, নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেনের ভারিক্কি ও ধীর বলয় থেকে আবারও কোয়েন ব্রাদার্সের চিরাচরিত কমেডি বলয়ে ফিরে আসার জন্য বার্ন আফটার রিডিং করা হয়েছে। কিন্তু অন্য অনেকের মত আমারও সেটা মনে হয় না। আমার মনে হয়েছে নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেনের অস্তিত্ববাদী থিমটা এখানেও ছিল। বার্ন আফটার রিডিং এর চরিত্রগুলো সম্পর্কে একজন ক্রিটিকের উদ্ধৃতি তুলে দেয়ার লোভ সামলাতে পারছি না,
Its not a question of human nature that should be read off the character’s behavior, but rather the behavior should be read as psychologically conditioned and motivated by an impersonal social structure, an abstract form of domination, that necessarily excludes them (and everyone else).
সমাজ প্রকৃত মানব সত্তাকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং তার উপর মনস্তাত্ত্বিক এবং অবজেক্টিভ এক বোঝা চাপিয়ে দেয়। এই বোঝা বয়ে বেড়ানো মানুষগুলোকে আমরা বার্ন আফটার রিডিং-এ দেখতে পাই। নিজেদের অজান্তে সমাজের একটা অংশ হিসেবে আমরা যারা বেঁচে আছি, তাদের পক্ষে তাই চরিত্রগুলোকে পছন্দ করা অসম্ভব হয়ে উঠে। এই সিনেমার কোন চরিত্রই ভাল লাগার মত না। কিন্তু চরিত্রগুলোর হাবভাব, কাজকর্ম আর মুখভঙ্গিতে সমাজের বিকৃত প্রভাবের যে ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে সেটা বিস্ময়কর। এই পর্যায়ে তাই চরিত্রগুলো সম্পর্ক কিছু বলার লোভ সামলাতে পারছি না:
চ্যাড ফেল্ডহাইমার (ব্র্যাড পিট): একজন আপাদমস্তক ইডিয়ট। কোয়েন ব্রাদার্সের মতে এই সিনেমাটা ইডিয়সি নিয়ে। এই ইডিয়সি কিন্তু রূপকথা না, সমাজের সৃষ্টি। ইডিয়সি সে সৃষ্টি করেছে ইডিয়টদের চিহ্নিত করার জন্য। এখানে “টুয়েলভ মাংকিস” এর ব্র্যাড পিটকে আবার দেখলাম। চ্যাডকে যখন হ্যারি “fucking spook” বলে তখনই এই চ্যাড “কোথাকার কোন্” হয়ে উঠে। তার দেখি কোন পরিচয়ই নেই। পৃথিবী থেকে এমন একজন মুছে যাওয়ার মত যে পৃথিবীতে কখনও ছিলই না।
হ্যারি ফাফার (জর্জ ক্লুনি): আরেক ইডিয়ট। কোয়েন ব্রাদার্স পিট ও ক্লুনিকে এই সিনেমায় “dueling idiots” নামে আখ্যায়িত করেছে। উল্লেখ্য ক্লুনির এই অভিনয়ের মাধ্যমে কোয়েনদের “ইডিয়ট ট্রাইলজি” শেষ হলে। “ও ব্রাদার হোয়ার আর্ট দো”, “ইন্টলারেবল ক্রুয়েলটি” এবং “বার্ন আফটার রিডিং” এর মাধ্যমে তাদের সেই ট্রাইলজি শেষ হল। তিনটাতেই ক্লুনি ইডিয়টের চরিত্রে অভিনয় করেছে। তবে প্রতিটাতেই তার ইডিয়সি ছিল অনন্য। এখানে যেমন তাকে স্ত্রীর মন পাবার জন্য বিশেষ “ডিল্ডো চেয়ার” বানাতে দেখা যায়। সিনেমার প্রথম থেকেই দেখা যায়, হ্যারি বেজমেন্টে গোপন কি যেন বানাচ্ছে। শেষে গিয়ে লিন্ডাকে দেখায় সেই নির্মাণশৈলী, একটা স্বয়ংক্রিয় ডিল্ডো চেয়ার। দেখার পর লিন্ডার এক্সপ্রেশন জীবনে ভোলার মত না।
লিন্ডা লিৎস্কি (ফ্রান্সিস ম্যাকডর্মেন্ড): আত্মপরিচয় সংকটে ভুগে। কারণ তার মতে, মানুষকে প্রেমের মাধ্যমে বাঁচতে হবে। নইলে তার পরিচয়ের কোন অর্থ নেই। এজন্যই ইন্টারনেটের ডেটিং সাইটগুলোতে তার ঘুরাঘুরি আর “window to the soul” তথা চেহারা আর বডি ঠিক করার চেষ্টা। সমাজকে ব্যঙ্গ করা: দেখ তোমার একটা অংশ কিভাবে সমগ্র তোমাকে আলিঙ্গন করার ব্যর্থ চেষ্টায় মত্ত। কারণ সত্যি বলতেই সে ভুল জায়গায় জীবনের অর্থ খুঁজছিল, হ্যারির মতই। তারা আবার জানতোই না যে তারা খুঁজছে, নিছক ইডিয়ট। ইডিয়সির জন্য লিন্ডার সিরিয়াসনেসও লক্ষ্য করার মত। তার বিখ্যাত ডায়লগ,
I’ve gotten about as far as this body can take me.
দেহ বয়ে চলার নামই কি জীবন?
অসবোর্ন কক্স (জন ম্যালকোভিচ): মদ্যপানের বানানো অভিযোগে তার চাকরি থেকে অব্যাহতির মাধ্যমেই সবকিছুর সূচনা ঘটে। কিন্তু তাকে আমরা তেমন একটা আসক্ত দেখি না। দেখি, সমাজের প্রয়োজনেই সে একদা মদ খেয়েছিল, এবং মাঝেমধ্যে সে কারণেই খায়। তার মধ্যেই মিসঅ্যানথ্রপিক তথা মানব-বিদ্বেষী ভাবটা ফুটে উঠে। এখানে এসে সমাজ-বিদ্বেষ মানব-বিদ্বেষের রূপ নেয়, অ্যানার্কি হয়ে যায় মিসঅ্যানথ্রপি।
কেটি কক্স (টিল্ড সুইন্টন): স্ক্রুবল কমেডির সামান্য উপাদান এই কেটির মাধ্যমেই এসেছে। সেই চিরাচরিত বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক- পৃথিবীর সবচেয়ে কমন সমস্যা, যেটা সবচেয়ে বেশী দেখা যায়। স্ক্রুবল কমেডি ঠিক এই জায়গাটাতেই স্থান করে নিয়েছে। হয়তবা, এই বিশাল ক্রাইসিসকে কোনভাবেই মোকাবেলা করতে না পেরে একসময় হলিউড কমেডির দিকে মোড় নিয়েছিল। বিষয়টাকে বাকচাতুর্যময় হালকা কমেডিতে নিয়ে গিয়েছিল। আর কোয়েন ব্রাদার্স সেটাকে মিলিয়েছেন ব্ল্যাক কমেডির সাথে। এক্ষেত্রে অবশ্য তাদের “ফারগো”-র তুলনা নেই।
টেড ট্রেফন (রিচার্ড জেনকিন্স): লিন্ডাকে ভালবেসে অস্তিত্বের সংজ্ঞা ভুলে যায় টেড। আসলে কোয়েন ব্রাদার্স এখানে পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে অস্তিত্বের overlaping টাকেই ব্যাঙ্গ করেছেন। কারণ এটাই সবচেয়ে নির্মম ব্ল্যাক কমেডি। অবশ্যই এক্ষেত্রে তিনি এমন চরিত্র নিয়ে কথা বলেছেন যাদের অস্তিত্বের “overlaping really doesn’t work”. আর এ কারণেই তারা ইডিয়ট। আর এ কারণেই সিনেমাটা ইডিয়সি নিয়ে।
সিআইএ সুপারভাইজার (জে কে সাইমন্স): জুনোতে বাবা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এখানেও মাত্র ৫ মিনিটে অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তার প্রতিটা কথা ছিল অন্তর্ভেদী। আর অন্তর্ভেদী কথাগুলোর সাথে এক্সপ্রেশনের ওঠানামা লক্ষ্য করার মত। তিনি কখনও ঝামেলায় জড়াতে চান না। তার কাজ সিআইএ ও মার্কিন প্রশাসনকে out of trouble রাখা। সেই কাজটাই বিরক্তি নিয়ে করে যাচ্ছেন।
সুপারভাইজারের কথা দিয়েই শেষ করব। তার আগে সিনেমায় ব্যাঙ্গ করার আরেকটা প্রধান উপাদান নিয়ে কিছু বলা দরকার। সেটা হল মার্কিন-রুশ স্নায়ুযুদ্ধ। সিনেমাটা এমন সময়কে নির্দেশ করছে যখন স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। আর এখনই কি-না চ্যাড-লিন্ডা মিলে মার্কিন ইন্টেলিজেন্সের কি না কি ফাইল নিয়ে হাজির হয়েছে রুশ দূতাবাসে। রূশ দূতাবাস যেমন বুঝতে পারছে না এদের নিয়ে কি করা দরকার, তেমনি সিআইএ-র সুপারভাইজার বুঝতে পারছে না তাদের নিয়ে কি করার দরকার। এটা ছিল স্নায়ুযুদ্ধের প্রতি এক জান্তব বিদ্রুপ। এতসব বিরক্তিকর এবং হাস্যকর জিনিস দেখে কেবল একটা শব্দই বলার থাকে: “fuck”। এজন্যই ৬০ বারেরও বেশী এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। সুপারভাইজার ছিলেন আরেকটু অ্যাডভান্সড। রাষ্ট্রযন্ত্রের এক শীর্ষ কুশলীর মুখ দিয়েই কোয়েন ব্রাদার্স বের করে এনেছেন চূড়ান্ত অ্যানার্কিক বাক্যটি: “জিসাস ফাকিং ক্রাইস্ট”। সিনেমাটা দেখার পর বারবার এই কথাটাই বলতে ইচ্ছা করে। তাই শিরোনামে এইটা দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। কিচ্ছু করার নাই…
(অফিসার আর সুপারভাইজারের শেষ কথাগুলো দিয়েই না হয় আমার fucking un-review টা শেষ হোক):
সু: Jesus fucking Christ.
অ: Yeah.
সু: What did we learn, Palmer.
অ: I don’t know, sir.
সু: I don’t fucking know either. I guess we learned not to do it again.
অ: Yes, sir.
সু: I’m fucked if I know what we did.
অ: Yes, sir, it’s… Hard to say.
সু: Jesus fucking Christ.
😕 বড়ই জটিল কাহিনী 😕
😛
fucking un-review টা সিনেমাটার মতই দারুন হইসে। সংলাপগুলো জুড়ে দেয়ায় জটিল মজা হইসে। পাঁচ তারা।
😛 কক্সের বউ কেটির গোপন প্রেমিক।
:shy: বিশাল ভুল। ঠিক করছি।
এই ছবিটা আমার বাসায় পড়ে আছে অনেকদিন। দেখা হয় নাই। ভাল রিভিউ করেছ। আজকেই দেখে ফেলবো ছবিটা। 😀
হুম, দেখার পর মন্তব্য কইরেন।
মুভির ফাকিং রিভিউটা পইড়া মাথাটা আউলাইয়া গ্যাছে!! 😮 😮 😮
যাই মাথায় পানি ঢাইল্যা আসি। মুহাম্মদই B-) B-) B-) বস।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আমিও একদিন *কিং করবো থুক্কু রিভিউ করব :shy:
কি করবি? জোকিং ?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
=)) =)) :khekz: :khekz:
তুই হাসছ ক্যান রে সাজিদ? x-(
না মানে আমিতো জোক শুইনা হাসছি..... 😛
:frontroll:
লাবলু ভাই, আপনার মাথা আউলায়া দেয়ার ফল্টে বলার আগেই ফ্রন্টরোল দিলাম।
পোষ্টের শিরোনামটা ভালো লাগল না। দেখলাম, আরো কিছু মজার ডায়লগ ছিল যেগুলোও শিরোনামে আসতে পারত।
-তবে আমার ভালোলাগা না-লাগা আসলে খুব একটা বড় কিছু না। কারণ, আমি সিনেমা আসলেই কম দেখি>কম বুঝি :((
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আসলে আমার অনুভূতিটা ছিল এরকম:
"জিসাস ফাকিং ক্রাইস্ট"- এই শিরোনামটা দিতে না পারলে আমি রিভিউটাই লিখতাম না। আমার মাথায় প্রথমেই এসেছিল শিরোনামটা, মুভি দেখার পরপরই। আর এই শিরোনামকে সার্থক করে তুলতেই লিখেছি। শিরোনামের জন্যই লেখাটা। মুভির সাথে এটাই সবচেয়ে ভাল যায় বলে মনে হয়েছে। কোন বিকল্প ভাবতেও পারিনি।
তারপর ও শিরোনাম টা মানতে পারলাম না। বার্ন আফটার রিডিং দিলেও লেখার মান একটুকু কমতো না বরং বাড়তো। আমার নিজস্ব মতামত এটা।
মোস্তফা ভাই, আমি আসলে অধিকাংশ সময় চেষ্টা করি মুভির নাম শিরোনামে না দিয়ে ভেতরে দিতে। শিরোনামটা আমার মত করে দিতে পছন্দ করি। অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে একান্তই না পেলে মুভির নাম দিয়ে শিরোনাম দিয়ে দেই। কিন্তু এক্ষেত্রে খুঁজে না পাওয়ার কোন কারণই ছিল না।
এই ছবিটা আমার কাছ থেকে নিছিলি না?
কমপক্ষে ২ মাস আগে দিছিলাম আর এতোদিন পরে দেখার সময় হইলো তোর!
লেখাটা মজা হইছে।
আর একটা প্যালেস্টাইনী ছবি দিছিলাম, 'প্যারাডাইজ নাউ'। ঐটা কেমন লাগছে জানাইলি না! এখনো দেখা না হইয়া থাকলে দেইখা ফেল। ঠকবি না, হেভভি ছবি ওইটাও।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আসলেই দেরি হয়ে গেছে। এর মধ্যে অনেক সিনেমা দেখছি। ভবিষ্যতে সেগুলা নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে।
"প্যারাডাইস নাউ" দেখছি। অসাধারণ লাগছে। দেখার পর টাশকি খায়া তাকায়া ছিলাম। অনবদ্য সিনেমা। এই সিনেমা নিয়া খানিকটা স্টাডিও করছি। বিশেষ করে সিনেমার প্রতি ইসরায়েলীদের মনোভাবটা বোঝার চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছা আছে।
সত্যি বলতে:
গত দুই মাসে যত মুভি দেখছি তার মধ্যে সেরা দুইটাকে বেছে নিতে বললে আমি কোন দুইটা নিমু সেটা বলি:
১। দ্য বাইসাইকেল থিফ (অনেক দেরীতে বস মুভিটা দেখলাম)
২। প্যারাডাইস নাউ
দ্য বাইসাইকেল থিফ - চাইনিজ মুভিটা না? অনেক জোস।
না আপু, চাইনিজ না। এটা ইতালিয়ান। ১৯৪৮ সালে করা ভিত্তোরিও দে সিকার সিনেমা। আপনি বোধহয় অন্য কোন একটার সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন।
মুভি রিভিউ নিয়ে কথা নাই। শিরোনামটা নিয়ে আছে। মুভিতে পশ্চিমাদের শাপ শাপান্ত আর গালি গালাজ দেখানো হয়, আমাদের কালচারে তা নাই। সিসিবির একজন খ্রিস্টান সদস্য থাকলে তার কি রকম লাগতো, তাই চিন্তা করছি।
তৌফিক ভাই, গালিগালাজ আর f ওয়ার্ড ছাড়া এই মুভির রিভিউ করা উচিত হবে বলে আমার মনে হয়নি। তা সে যে কালচারই হোক। মুভিটা দেখার পর এ ধরণের গালিগালাজ নিয়ে কোন সন্দেহ থাকবে বলে আমার মনে হয় না।
আমি কোন ধর্মকে হেয় করার জন্য শিরোনাম দেইনি। এটা আম্রিকার বেশ কমন ইনফরমাল ভাষা, স্ল্যাং ওয়ার্ড আর কি। যারা এটা বলে গালি দেয় তাদেরকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে ঠিকই দেখবেন, তারা নিজেরাই ধর্মে বিশ্বাস করে। এটা অনুভূতি প্রকাশের জন্য নিবেদিত একটা বাক্য মাত্র।
আপনি বেরনার্দো বেরতোলুচ্চির সিনেমা দেখলে দেখবেন "ফাকিং গড" বাক্যটা হরহামেশাই ব্যবহৃত হয়। এটা কিন্তু কোন ধর্মকে আঘাত দেয়ার জন্য না। সেরকম হলে সিনেমাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা হয়ে বেড়াছেড়া লেগে যেত। সেরকম কিছুই হয়নি। টারান্টিনোর কথাও তো এ প্রসঙ্গে বলা যায়।
আমি ঠিক এই কথাগুলোই বলতে চাইছিলাম। ওইটা ওদের কালচার, আমাদের কালচারে এই জিনিস নাই। আর চিন্তা করে দেখ, জিসাসের জায়গায় আমাদের নবীর নাম হলে কি রকম বেড়াছেড়া লাগত। আমি যে জিনিসগুলো নিজের জন্য চাই না, তা অন্য কারো জন্যও চাই না। খ্রিস্টান কোন সদস্য আছেন কিনা জানি না, তবে থাকলে তার মন আনন্দে ভরপুর হয়ে যেত এ কথা জোর দিয়ে বলা যায় না। আমি শুধু বলতে চাইছি যে, লিখছো যেহেতু বাঙালিদের জন্য, বাঙালিদের মতো করে লেখো। ওদের কালচার ওদের কাছে, আমাদেরটা আমাদের কাছে।
আমি মনে করি: যার যার কালচার তার তার দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখতে হবে। আপনি মার্কিন কালচারকে বাঙালি কালচারের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন, যেটা আমি দেখছি না।
আমি বাঙালিদের জন্যই লিখেছি, কিন্তু আমার লেখার যে বিষয়বস্তু সেটা বাঙালি কালচারের সাথে কম্প্রোমাইজ করে লেখা সম্ভব না। এক কালচারকে আরেক কালচারের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরার ইচ্ছা নাই।
এই লেখাটা কোয়েন ব্রাদার্সের সিনেমা দেখে যারা মুগ্ধ হন তাদের জন্যই সবচেয়ে বেশী কাজে দেবে বলে মনে হয়েছে। তাদের জন্যই লিখেছি। যাদের কোয়েন ব্রাদার্স ভাল লাগে না তারা কিন্তু এ থেকে তেমন কোন অর্থ বের করতে পারবেন না। আর কোয়েনদের ভক্তরা এই ইনফরমাল ভাষাকে স্বাগত জানাবে বলেই মনে হয়।
আমি আমার অবস্থান পরিবর্তন করছি না। কোয়েন ব্রাদার্স এমন পরিচালক যাদেরকে বাউন্ডারি দিয়ে বেঁধে ফেলা অন্যায়। তাদের সিনেমা সবার জন্য (অবশ্যই MPAA রেটিং মেনে)। কিন্তু সেই সিনেমা তাদের সিনেমার প্রকৃত শৈলী থেকেই দেখতে হবে। অন্যভাবে না।
শিরোনামে না দিলেও ভেতরে আমাকে এই বাক্যটি ব্যবহার করতেই হতো। আমি আবারও বলছি, f ওয়ার্ড এবং "জিসাস ফাকিং ক্রাইস্ট" শব্দের ব্যবহার এখানে আবশ্যিক। শিরোনামে দেয়া আর ভেতরে দেয়ার মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে? যারা "জিসাস ফাকিং ক্রাইস্ট" বাক্যটি মেনে নিতে পারবেন না তাদের জন্য সিনেমা বা রিভিউটা না। তাই আমার শিরোনামটাই এক্ষেত্রে ডিসক্লেমার বা সতর্কীকরণ হিসেবে কাজ করেছে।
পরিষ্কার করার জন্য ধন্যবাদ। আমার জন্য যে রিভিউটা না তা বুঝতে পারি নাই, ডিসক্লেইমারটা পরিষ্কার করে দিলে আমার জন্য সুবিধা হতো। পড়তাম না, এবং আপত্তিও জানাইতাম না।
আবারও ঐ কথা বলি: আমার শিরোনামটাই ছিল ডিসক্লেমার। কোয়েন ব্রাদার্স বা ঐ ঘরানার সিনেমায় আগ্রহী যারা কেবল তারাই এ রিভিউ মনোযোগ দিয়ে পড়বেন- এটাই ছিল আমার প্রত্যাশা। কিন্তু ডিসক্লেমারে সেসব লেখার কোন প্রয়োজন বোধ করিনি। সরি, উল্লেখ করা উচিত ছিল।
নেক্সট টাইম মনে থাকবে।
শিরোনাম পছন্দ হইনি।
আমার মনে হয়েছে এটা ইচ্ছাকৃত এবং উদ্দেশ্যমুলক। দুঃখিত মুহাম্মদ।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
মনে হতে পারে। কিন্তু আমি জানতে চাচ্ছি, আমার "ইচ্ছা" এবং "উদ্দেশ্য" কি ছিল বলে আপনার মনে হয়েছে।
ভালো হয়েছে, ছবি এতটা দেখি না, সম্ভবত বুঝিনা বলে, ধৈর্য্যও কম। তোমার রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। আশা করি পরীক্ষা টরীক্ষা নিয়ে খুব ব্যাস্ত আছ। ভালো করবে এই আশা রাখি। তোমার টাইটেলে অফেন্ডিং কিছু খুঁজে পাচ্ছিনা। শাপ-শাপান্ত হয়েই থাকে, ইউটিউবে ricky gervais এর মঞ্চ উপস্থাপনাগুলো দেখে ফেলো। ওর অনুষ্ঠানে নাইটশিপ পাওয়া স্যার এবং লর্ডরাও উপস্থিত থাকে। এটা নিয়ে এত মাথা ঘামিও না। কেউ দ্বিমত করলে বা কোন অভিযোগ নিয়ে আসলে তুমি নির্লিপ্তভাবেই নিজের পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে পারবে এই আশাই তোমার কাছ থেকে করি।
ধন্যবাদ। আমি আছি...
মুহাম্মদ,
সিনেমা বুঝি কম।
তাই ভালো কমেন্ট দেয়ার যোগ্যতা আমার নাই।
তবে তুই সবসময় অন্যরকম... খুব ভালো লিখিস। নিঃসন্দেহে এইটাও ভাল হইছে।
তোর সাথে একটু যোগাযোগ করতে চাই দোস্ত...
মেসেঞ্জারে তোকে পাবো ?
mahmud1906@yahoo.com
হ্যা মেসেঞ্জারে মাঝেমধ্যে পাবি। তবে রেগুলার না। আমি তোকে অ্যাড করতাছি।
মুহাম্মদ,
তোমার টাইটেলের মানেটা আমার কাছে ঠিক পরিস্কার নয়। একটু কনফিউজড আর ইংরেজীও কম বুঝি 🙁 । টাইটেলের বাংলা করলে খুব খুশী হতাম।
বাংলা ব্লগে বাংলা জানতে চেয়ে নিশ্চয়ই ভুল করি নাই! 🙂
জাহিদ ভাই, আমার টাইটেলটা এমন যেটার কোন বাংলা হয় না। আপনি লক্ষ করে থাকবেন আমি এখানে সিনেমার কোন ডায়লগের বাংলা করিনি। সিনেমার বঙ্গানুবাদ হয় না।
এবার টাইটেল বোঝার সহজতম উপায়টা আপনাকে বলি:
- প্রথমে সিনেমাটা দেখুন
- তারপর আমার রিভিউটা পড়ুন
- তারপর প্রয়োজন বোধ করলে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত আরও কিছু রিভিউ পড়ুন
এছাড়া আর কোন উপায় নাই। সিনেমার প্রতি আপনার আগ্রহ না থাকলে এই রিভিউ আপনার এড়িয়ে যাওয়াই উচিত ছিল। আমি তো বলেছিই, এখানে কোন ইঙ্গিত নেই। প্যাঁচানোর কিছু নেই। পুরোটাই সিনেমার সাথে সম্পর্কিত। সিসিবি-তে আগেও দেখেছি সিনেমার রিভিউগুলো কেবল তারাই আগ্রহ ভরে পড়েন যারা সিনেমা বিষয়ে আগ্রহী। তাই সেই পাঠকদের উদ্দেশ্যেই লিখেছিলাম। অন্য কিছু মিন করিনি।
ওহ... ভরসা পেলাম! যে জিনিষ আমি বুঝি নাই, তার আসলে অনুবাদই হয় না! 🙂
বাংলাদেশের অনেক অশিক্ষিত, ছোটলোক (শিক্ষিত মানুষের কাছে) গালি-গালাজ করে। আমরা খুব খারাপ ভাবে দেখি। এখানে (উন্নত বিশ্বে!) সাধারণ মানুষেরা, এইটাকে বুলি বানায়ে ফেলেছে। তারা চিন্তাও করেনা কি বলছে। ইংরেজীতে বলে আমাদের কাছেও খুব ডিসেন্ট মনে হয়। চিন্তা করে দেখি একটা দৃশ্য, আমি বাংলাদেশের একটা কর্পোরেট অফিসে ঢুকে দেখছি একজন আরেকজনকে বলছে, 'অই তোর ...'। সবাই কিভাবে নিবে। কিন্তু একই জিনিষ ইংরেজীতে বললে তারা হচ্ছে 'damn smart'.
না বুঝে অন্ধ-অনুকরণের উপরে মজার একটা গল্প আছে...
:boss: :boss: :boss:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
জাহিদ ভাইয়ের এরকম উস্কানীমূলক এবং অবান্তর মন্তব্যে আপনার উচ্ছসিত সমর্থন দেখে মনে কষ্ট পেলাম। আমি কিন্তু অবান্তর মন্তব্য করিনি- জাহিদ ভাই টাইটেল বুঝতে চেয়েছিলেন আমি টাইটেল বোঝার জন্য সিনেমাটা দেখে রিভিউ পড়তে বলেছি। আমার "বার্ন আফটার রিডিং" সিনেমার রিভিউ এ এমন প্রতিক্রিয়া আশা করিনি। আমার রিভিউ লেখার ইতিহাসে একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা।
আমি কেবল "চলচ্চিত্র" নামক একটা শিল্প মাধ্যমের প্রতি বিশ্বস্ততা বজায় রেখে রিভিউ লিখেছি। যে সিনেমার যেমন রিভিউ লেখা উচিত তেমনই লিখার চেষ্টা করি।
মুভিটা পশ্চিমা ভাষায়, এর পার্স্পেক্টিভ পশ্চিমা, কন্টেক্সট থেকে শুরু করে প্রতিটি জিনিস পশ্চিমা, তাহলে এর রিভিউ শুধু মাত্র বাংলায় লেখা হচ্ছে দেখে আমাদের কালচারের সাথে মিল রেখে লিখতে হবে এমন কি কোন বাধা ধরা নিয়ম আছে?
আমাদের কালচারের কথা মাথায় রাখতে গেলেতো বেশিরভাগ পশ্চিমা মুভি দেখাই যাবেনা নানাবিধ স্ল্যাং, ভায়োলেন্স কিংবা রগরগে দৃশ্যের কারণে।
মুভিটি দেখিনি। কিন্তু মুহাম্মদের উদ্ধৃতি করা সংলাপ দেখে কোন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের মুখে শিরোনামের 'জিসাস ফাকিং ক্রাইস্ট' এটা প্রায়ই উচ্চারিত কোন বাক্য মনে হয়েছে। আর মুহাম্মদ তার আলোচনার এক্সিস লাইন এটির উপর ভিত্তি করে চালিয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এতে আপত্তিকর কিছুই দেখছিনা। যে ডায়লগ মুভিতে ব্যবহৃত হলে খৃস্টান ধর্মাবলম্বী কেউ আঘাত পাচ্ছেননা (অন্ততঃ জানা যাচ্ছেনা কেউ আঘাত পেয়েছেন কিনা) সেটি রিভিউর শিরোনামে এলে কেউ আঘাত পেয়ে যাবেন তা কিন্তু মনে হয়না। আমরা কেন জানি এটি খুব মোটা দাগে দেখছি, যা আমার কাছে মনে হয়েছে, খামোখা ই।
আমরা অনেকেই শুধু টাইটেল দেখেই আলোচনায় নেমে গিয়েছি হয়তো, মুভিটি দেখার পর এই মুভির রিভিউ হিসেবে এই নামকরণ যথার্থ হয়েছে কিনা সেই আলোচনা/বিতর্ক শুরু হলে স্বস্তি পেতাম এবং আমার মনে হচ্ছে সেটিই এই পোস্টের কন্টেক্সটে লজিক্যাল হত।
ধন্যবাদ।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ুম ভাই, আপনার কথাগুলা ভাল লাগল।
মুভি নিয়ে ঠিক এরকম আলোচনাই হওয়া উচিত। :thumbup:
বুঝতে পেরেছি, আপনি আমার কমেন্টটাকে নেতিবাচক অর্থে নিয়েছেন। আমার অবস্থান পরিষ্কার করি: মন্তব্যটা নেতিবাচক ছিল না।
আপনি যদি আসলেই টাইটেলের অর্থ বুঝতে চান তাহলে আবারও বলি: উপরের তিনটা পয়েন্ট লক্ষ্য করুন।
আমার তো মনে হয়েছিল আপনি আসলেই টাইটেলের অর্থ বুঝতে চেয়েছেন। এখন দেখছি টাইটেলের অর্থ জানার কোন ইচ্ছা আপনার নেই। আপনি নিছক খোচানোর জন্যই টাইটেলের অর্থ জানতে চেয়েছেন। সেটা sarcasm ছিল।
মডারেশন নোটঃ সিসিবির নীতিমালার পরিপন্থী, এমন মন্তব্য করায় জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪) এর মন্তব্যটি মুছে ফেলা হল।
জুবায়ের ভাই আপনার মন্তব্য ভাল লাগল না। আপনার নিজস্ব বিশ্বাস, মত থাকতেই পারে, এবং আপনার অবশ্যই অধিকার রয়েছে সেই বিশ্বাস ও মতের পক্ষে কথা বলার, কিন্তু তা করতে গিয়ে অন্যের মত ও বিশ্বাসকে গালি আপনি দিতে পারেন না, তা যতই ঠাট্টার ছলে হোক না কেন। এই ক্ষেত্রে যতই ফ্রিডম ওফ স্পিচ বা অন্য কিছুর কথা বলেন না কেন, তা গ্রহনযোগ্য নয়। সিসিবির রেড বুকেও ৪ নম্বর পয়েন্টে তা স্পষ্ট করে বলা আছে.....
বেয়াদবি হলে ক্ষমা করবেন, কিন্তু আপনার মন্তব্য আমার কাছে অফেন্সিভ লেগেছে এবং এই জন্য ব্লগ মডারেটরদের এর প্রতি দ্রিস্টি আকর্ষন করছি।
well, সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছি, দুঃখিত। but can not help wondering why should someone be offended if i call a paedophile something, specially when that paedophile is totally unrelated to that person????
আমি বুঝতে পারছি না, মুহাম্মদের লেখার বিষয়বস্তুকে গুরুত্ব না দিয়ে শিরোনামটাকে কেন প্রধান ইস্যু করে তুলছি? আর এই শিরোনামটা কেন এসেছে সেটাও সে বারবার ব্যাখ্যা করেছে। তারপরও এ নিয়ে অর্থহীন তর্কটা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। মনে হচ্ছে যেন তর্ক করার জন্যই তর্ক করছি।
এই চলচ্চিত্রটা নিয়ে মুহাম্মদের রিভিউটা আসলেই অসাধারণ। একটা ছবি দেখে তার ওপর পড়াশুনা করে তারপর এইরকম একটা লেখা- আমি নিশ্চিত বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশ হলে তার জন্যও সে সম্মান পেত। আমিতো ওর বিশ্লেষনী ক্ষমতা ও দক্ষতায় রীতিমতো মুগ্ধ।
ব্লগে মুহাম্মদের লেখা পড়ে বুঝি, গতানুগতিক ধারার বিপরীতে পড়াশুনা ও লেখালেখি করাটা ওর মজ্জাগত হয়ে ওঠেছে। আর এ কারণেই হয়তো ওর লেখা নিয়ে বিতর্কটা বেশি হয়। কারণ আমরা অধিকাংশই স্রোতে চলি। নিজের দীর্ঘদিনের অভ্যাস, সংস্কার, সংস্কৃতি আক্রান্ত হলে আতংকিত হয়ে পরি। কিন্তু সমাজ-সভ্যতার ইতিহাস পড়লে-জানলে আমরা দেখবো প্রচলিত ধারার সঙ্গে সংঘাতের মধ্য দিয়ে না গেলে সভ্যতা এগোয় না। আর আমাদের সিসিবিও এইরকম নানামতের মধ্য দিয়ে ম্যাচিয়ুরড এবং বিকশিত হচ্ছে।
কোনো বিষয় পছন্দ না হলে আমি সেটা যুক্তি দিয়ে অবশ্যই প্রকাশ করতে পারি। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে নিজেকে যেন অন্যের কাছে হালকা না করে ফেলি সেটাও লক্ষ্য রাখা দরকার। আমি কোনো বিষয় না বুঝলে-জানলে, কোনো বিষয় আমার পছন্দ না হলে সেটা এড়িয়েও যেতে পারি। কিন্তু আমি কাউকে বাধ্য করতে পারি না তুমি এটা এভাবে না, এভাবে লিখো।
আর আমাদের সংস্কৃতি কি? এটা বদ্ধ-মজা পুকুর না। সংস্কৃতি গেল গেল করে আমরা সমাজের অগ্রসর মানুষেরা যদি রব তুলি তাহলে সাধারণ মানুষের কি হাল হবে?
আমরা সবাই শিক্ষিত-সচেতন। নানা বিষয়ে পড়াশুনা করি। দেশ-বিদেশের প্রচুর অভিজ্ঞতা আমরা অর্জন করছি। তাহলে আমরা কেন আরো সহনশীল, উদার হতে পারি না? কেন আমরা অন্যের মতকে সম্মান করতে পারি না?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
অনেক ধন্যবাদ লাবলু ভাই। উৎসাহ পেলাম।
আমিও উৎসাহ দিতে চাইছিলাম, কিন্তু সাহস হয় নায়।
আমি ছোট মানুষ তো, তাই সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকি। 😛
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
অল্প কথায় শেষ করি
@ সানাউল্লাহ ভাই
আপনি আমাকে বলুন প্রথম আলোয় খুনের ছবি কেন ছাপা হয় না? সামাজিক দায়বদ্ধতা? নাকি প্রথম আলো মনে করে এ ছবি ছাপানোটাই নৃশংসতা? নাকি প্রথম আলোর অনেক পাঠক এটা সহ্য করতে পারবে না বলে ছাপায় না?
বাস্তবতা হচ্ছে, প্রথম আলো ছবি ছাপায় না। কারন অনেক আছে ছাপানো বা না ছাপানোর, কিন্তু ছাপায় না। অন্য অনেকেই ছাপায়, কাটতি বাড়ে, প্রথম আলোর এই কাটতি হয়ত দরকার নেই। একই কারনে মতিউর রহমান গিয়ে বসে থাকেন বায়তুল মোকাররমে।
আমাদের হয়ত এত বড় কোন প্ল্যাটফর্ম নেই, তবে সিসিবি আমাদের অনেকখানি, এটা তো সত্যি।
ছবি কিংবা ভিতরে যাই থাক, "প্রাপ্ত বয়স্ক ছবি" ট্যাগ লাগানো হলেই অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ভিড়। ঠিক বলেছি মনে হয়।
@মুহাম্মদ,
তুমি যদি বল, "ফয়েজ ভাই এই রকম ডিবেট হবে আমি বুঝতে পারি নাই", তাহলে আমি কিছু বলব না। কিন্তু তুমি তা বলবে না। কারন তুমি জানতে এই হেডিং থাকলে অনেক ডিবেট হবে। অনেক হাউকাউ হবে। এবং তুমি এটা চাচ্ছ।
এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছ, তোমার ইচ্ছা আর উদ্দেশ্য কি ছিল বলে আমি বুঝাতে চেয়েছি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমার এরকম কোন উদ্দেশ্য বা ইচ্ছা ছিল না। আমি জাহিদ ভাইয়ের জন্য পোস্ট লিখিনি। আমি জানিই জাহিদ ভাই এই সিনেমা দেখবেন না। সব সিনেমা তো সবার দেখার জন্য না। আমি বুঝতে পারছিলাম এরকম কিছু কথাবার্তা আসবে, কিন্তু সেটা এক বাক্যে বলে দিলেই সবাই বুঝতে পারবেন আশা করেছিলাম।
আমার লেখাটা ব্ল্যাক কমেডির ভক্তদের জন্যই। আর এই লেখার শিরোনাম এটা না দিয়ে অন্যকিছু দিলেই পাঠকের সাথে প্রতারণা করা হতো বলে আমার মনে হইছে। কারণ আমার মনের ভাব প্রকাশটাই এখানে মুখ্য। সত্যি বলতে, আমার রিভিউ পড়ে অনেকে সিনেমাটা দেখতে আগ্রহী হবে এমন কোন স্বপ্নও আমার নাই। আমি কেবল আমার মনের ভাব সর্বোচ্চ শ্লীলতা এবং বিশ্বস্ততার সাথে প্রকাশ করেছি। বার্ন আফটার রিডিং এমন রিভিউই দাবী করে।
ফয়েজ : একটা সংবাদপত্রের অনেক সামাজিক দায়বদ্ধতা, সীমাবদ্ধতা থাকে। এর পাঠক একটা শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত। কিন্তু ব্লগ ভিন্ন জায়গা। এখানে যে কেউ লিখেন। যে কোনো বিষয়ে। পাঠকও অনেক ম্যাচিউরড বলে মনে করি। ব্লগে যেসব জোক করি বা মজা করি, সেটা কি সংবাদপত্রে সম্ভব? দুটি ভিন্ন মিডিয়া। পাঠক ভিন্ন। মেজাজ ভিন্ন। এভাবে তুলনা করা কি ঠিক? সংবাদপত্রের সীমাবদ্ধতা ব্লগে নিয়ে আসলে আমরা এখানে কেন আসবো? তাহলে তো সংবাদপত্রই পড়বো, নাকি!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাই তাইলে আমি কি? আমার তো তাইলে ভয়ে সারাদিন টেবিলের তলায় থাকা উচিত।
মুহাম্মদ, তুমি এভাবে কেন বলছ?
দেখ, তোমার উদ্দেশ্য হচ্ছে মুভির একটা ভালো প্রিভিউ, তাই না। প্রিভিউটা যত মানুষের কাছে পৌছায়, যত খানি গ্রহনযোগ্য করা যায় ততই তোমার পোষ্টটা স্বার্থক হবে। তোমাকে সেটাকে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করতে চাইলে এক রকম, আর করতে না চাইলে অন্যরকম। এটা তোমার স্বাধীনতা।
আমার মনে হয়েছে, তোমার হেডিং ব্লগারদের মুভির মুল ভাব থেকে দূরে নিয়ে যাবে, অন্য ব্যাপারে হাউ-কাউ হবে।
কেন তোমার এটা মনে হয়নি? আর ভয়ের কথা আসছে কেন? কোন ভয়?
আমার এত ভারী কথা বলতে ইচ্ছা করছে না মুহাম্মদ, তুমি আমার খুব পছন্দের একজন, তাই কমেন্ট করেছি এবং কন্টিনিউ করেছি, অন্য কেউ হলে হয়ত আজকে ঢুক্তামাই না এখানে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাইয়া আমার মনে হয় মুহাম্মদ কমেন্টটা করেছে কামরুল ভাইয়ের কমেন্টের এই লাইনের প্রেক্ষিতে।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আমি মুহাম্মদের কাছে সরি বলছি এই কারনে যে, আমার একটা ছোট্ট অনুযোগ থেকে এমন হাউকাউ লেগে গেলো। এইজন্য সাধারণত আমি অনেকের অনেক বক্তব্য/মন্তব্যের প্রতিউত্তর করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি। কিন্তু এইটা যে ক্যামনে হয়া গেলো :no: । আর আমি সিনেমা কম দেখি+কম বুঝি। কাজেই, আমার এখানে মন্তব্যই করা ঠিক হয় নাই, বুঝতে পারছি। তাই আমি আবার সরি।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বস আমার আপত্তি আপনার মন্তব্য থেকে কোনভাবেই আসে নাই, নিশ্চিন্ত থাকেন। আমি একটা লেখা পড়ার পর মন্তব্য করতে ইচ্ছা হলে প্রথমে মন্তব্য করি, তারপর অন্য মন্তব্য পড়ি। আপনার এবং অন্যদের অনুযোগ পড়ে একটু আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে আমিই শুধু একলা নই, অন্যরাও আছেন। আমি নিজে অফেন্ডেড হইনি বিন্দুমাত্র, কিন্তু অন্য কেউ কষ্ট পাক এটা চাইনি। তাই বলেছি। আপনি আপনার মতামত দিয়েছেন তাতে তো দোষ কিছু হয় নাই, ব্লগে বৈঠকী আলোচনা হয় সব পোস্টে। যারা পোস্টকে বিশেষায়িত করতে চান, তার শুরুতে নোটিফিকেশন জুড়ে দেন একটা। সিসিবিতে এই রীতিই চলে মনে হয়।
সমস্যা নাই মাহমুদ ভাই। সিনেমার রিভিউয়েও যে কেউ মন্তব্য করতে পারেন বলে আমার মনে হয়। তার সিনেমায় খুব বেশী আগ্রহ থাকতে হবে এমন কোন কথা নাই। তবে সে আলোচনাটা বস্তুনিষ্ঠ হলে ভাল হয় আর কি। আপনি কেবলই একটা আপত্তি ব্যক্ত করেছিলেন। আমি সেটার জবাব দিয়েছি। সেই ব্যাপারটা সেখানেই চুকে গেছে।
মাহমুদ তোমার নিজের ঘারে টানার মত কিছু হয়নি। আমার নিজেরই শিরোনামটি ভাল লাগেনি, এবং তাই জানিয়েছিলাম। তুমি মন্তব্য না করলেও আমার মতামত আমি দিতাম। কিন্তু আমাদের ব্যাপারটা ওখানেই শেষ।
আমি আজকাল বিতর্কিত পোস্টে মন্তব্য করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি। আসলে কোনো মত দিলে তা যৌক্তিক প্রমান করার একটা বাধ্যবাধকতা তৈরী হয় এবং ফলো আপ করতে হয় যা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যেইটা এই মুহুর্তে আমার নাই। তাও এখন আমি মন্তব্য করবো আর এইটার উত্তর/ প্রতিউত্তরে কমেন্ট গুলোর জবাব দিবো না। কারন কারো কোনো কথাতেই আমার মত বদলাবে না। কিন্তু কাউকে কোনো আঘাত করার উদ্দেশ্য আমার নাই।
মুভিটা পশ্চিমা ভাষায় একটি ব্ল্যাক কমেডি, এর পার্স্পেক্টিভ পশ্চিমা, এর রিভিউ শুধু মাত্র বাংলায় লেখা হয়েছে। এখানে আমাদের কালচারের সাথে মিল রেখে লিখার কি আছে। ব্ল্যাক কমেডি নিয়ে লিখলে একটু গালাগালি, ভায়োলেন্স এর গল্প, সংলাপ থাকবেই। আর সিসিবিতে পশ্চিমা/ ইংরেজী সিনেমা নিয়ে লেখা যাবে না কোথায় নিয়ম আছে। আমাদের কালচারের সিনেমা কোন গুলা? শুধু ৬০ দশকের বাংলা ছবিগুলো নাকি ছাগল কেনো পাঁঠা থেকে শুরু করে মনপুরা মার্কা সব ছবি। এইসব সিনেমার অনেক কিছুই আমাদের সবার কালচারের সাথে মিলে না। তাই কালচার প্রসংগ এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
সিনেমায় ‘জিসাস ফাকিং ক্রাইস্ট’ বারবার বলা হয়েছে। আজকাল 'ওহ মাই গড' আমি আমার আশে পাশের ইংরেজী সমাজে তেমন একটা শুনি না। তার বদলে জিইইইইসাস কিংবা জিইইইইইইইসাস ক্রাইস্ট কিংবা জিসাস ফাকিং ক্রাইস্ট শুনছি। এইটাতে আমার আশে পাশের কোনো খ্রীস্টান অফেন্ডেড ফীল করে না। এখন কথা হলো বাঙ্গালী খ্রীস্টান (কিংবা কোনো খ্রিস্টান ক্যাডেট) অফেন্ডেড ফিল করে কিনা। আমার মতে করে না কিংবা করা উচিত না যদি না এতে কোনো প্যাঁচানো স্বার্থ থাকে। আমার ধর্মের কোনো নবী নিয়ে বললে হাউ কাউ লাগতো। কারন কোথাও কোনো সমাজেই আমাদের নবীর নাম কোনো গালির সাথে সাধারন বুলি হিসাবে ব্যাবহার হচ্ছে না যেমন ‘জিসাস ফাকিং ক্রাইস্ট’ পশ্চিমা সমাজে প্রায়ই উচ্চারিত কোন বাক্য।
নামকরন যেকোনো লেখা, নাটোক, সিনেমার গুরুত্তপূর্ণ বিষয়। নামকরনে এমন একটা চুম্বক আকর্ষন থাকা উচিত যাতে পাঠকের আগ্রহ তৈরী হয়। এরপরও বিভাগে চলচ্চিত্র উল্লেখ করা আছে। তারপর ব্ল্যাক কমেডির উপর ভূমিকা আছে। দারুন একটা সিনেমার রিভিউ কিন্তু আমরা অনেকেই শুধু টাইটেল দেখেই আলোচনায় নেমে গিয়েছি।
আজকাল ব্লগে আওয়ামী লীগ/ বিএনপি মার্কা পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। মুহম্মদ কিছু লেখলেই এন্টি মুহম্মদ গ্রুপ খুঁত খোজা শুরু করে আর মুহম্মদ অনুসারী গ্রুপও বিপক্ষ গ্রুপের শাপ শাপান্ত করতে লেগে যাচ্ছে। (মুহম্মদের ব্লগ তাই ওর নামটাই ব্যাবহার করলাম) আমার ধারনা অনেকেই(সবাই না কিন্তু) শুধু এই রচনার উপর ভিত্তি করেই নামকরনের সমালোচনা করছে না। অতীতের কোনো ঘটনাই এখানে তাদের মন্তব্য করতে প্ররোচিত করছে যা আমার কাছে দুঃখজনক মনে হচ্ছে। অত্যন্ত ন্যক্কারজনক এই ব্যাপার গুলো নগ্ন চোখেই ধরা পড়ছে। এই লেখাটা শওকত ভাই কিংবা কামরুল লিখলে হয়তো এতটা সমালোচনা হতো না।
আমি মুহম্মদ এর অন্ধ ভক্ত না। ব্যাতিক্রমী লেখা বলেই আমার ওর সব লেখা কিংবা মন্তব্যকেই বাহ বাহ বলা শুরু করি না কারন আমি নিজেই একজন সনাতনী চিন্তাধারার মোটামুটি ধর্মভীরু মানুষ। কিন্তু মুহম্মদের অনেক পোস্ট আমার প্রিয় পোস্ট। ব্লগের এই উস্কানীমূলক খোঁচাইন্না পরিবেশ আমার ভাল লাগে না। আমার খুব পছন্দের ব্লগারও (অনেককেই চোখে দেখি নাই শুধু ব্লগ পরেই ওদের পছন্দ করি) এই কাদা ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে; আমি কষ্ট পাচ্ছি। 🙁
আর বেছে নেবার একটা অপশন তো আছেই। তাই সযতনে কারো কারো ব্লগ এড়িয়ে গেলেই হয় তেমনি প্রতিটা ব্লগ সবার জন্য লিখা হয় না; বারবার এইটা মনে করিয়ে দেবার ও কারন নাই। ঔদ্ধত্য সিসিবিতে বড়ই বেমানান কারন আমরা ক্যাডেট। সিনিয়রদের আমরা দেখতে না পারলেও সবার সামনে অন্তত সম্মান করি।
অফটপিকঃ জটিল একটা খেলা দেখলাম। এল ক্লাসিকো। বার্সা এই খেলা চেলসির লগে খেললে দুনিয়ার যেকোনো মাঠেই জিতবো। মেসি আজকে যা খেলসে; কি আর বলবো। আমার মতে এই মৌসুমের সেরা খেলোয়ার হলো ইনিয়েস্তা আর আরশাভিন। কিন্তু মেসি এই খেলা চ্যাম্পিওন্স লীগের সেমি ফাইনাল আর ফাইনালে খেললে ফিফা বেস্ট প্লেয়ার মেসিই হবে।
এহসান ভাই, আমার কোন মন্তব্য-মন্তব্যের উত্তরে যদি আপনার/সিসিবির সবার মনে হয়ে থাকে আমি মেরুকরণে যাচ্ছি, তাহলে আমি একান্তভাবে দুঃখিত। মুহাম্মদ আমার জুনিয়ার, ছোট ভাইয়ের মত। তার বিরুদ্ধে দল পাকানোর কথা আমার চিন্তাতেও আসে না - আমি এ কথা আপনাকে আশ্বস্ত করার জন্য বা কৈফিয়ত দেয়ার জন্য বলতে পারি। কিন্তু আমার কোন কাজে যদি এরকম ইম্প্রেশন পেয়ে থাকেন তাহলে আমি সবার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী এবং দায়ভারটা আমি নিজেই নিচ্ছি, মুহাম্মদের কাছে তো বটেই। পোস্টটা পড়ে আমার যা মনে হয়েছিল আমি তাই বলেছিলাম। মুহাম্মদের কাছে অনুরোধ থাকবে আমার মন্তব্যগুলো মুছে দেয়ার জন্য, যদি তার আপত্তি না থাকে।
মুহাম্মদ এই ব্লগে অনেক বৈচিত্র্যময় লেখা লেখে, অনেক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে লেখে। ব্লগকে যা অবশ্যই সমৃদ্ধ করে। খুব আন্তরিকভাবেই কথাগুলো বললাম। একজন জুনিয়ার/সিনিয়ার/বন্ধু ক্যাডেট হিসাবে অনুরোধ থাকবে আমার কথাগুলো যেন কেউ ভুল না বোঝেন। এহসান ভাইকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে এই ব্যাপারটি দেখিয়ে দেয়ার জন্য।
মুহাম্মদঃ আমি সৎভাবেই আমার প্রতিক্রিয়াটা দিয়েছিলাম। যদি কষ্ট পেয়ে থাকো, তাহলে বড়ভাই হিসাবে ক্ষমা করে দিও।
তৌফিক ভাই, আমি মোটেই মাইন্ড করি নাই। শিরোনাম নিয়ে আপনি কেবল আপত্তিটা জানিয়েছেন। এতে অসুবিধার কিছু দেখিনি। কিন্তু সেটা নিয়ে বেশী আলোচনা করতে ইচ্ছা করছিল না, এই যা।
অসুবিধা নাই, মন্তব্য থাকুক। তেমন কিছু তো হয় নাই।
এহসান ভাই, আপনার বিশ্লেষণ খুবই পছন্দ হইছে। :thumbup:
এহসান ভাইয়ের কথাগুলোই আমার একেবারে মনের কথা। অনেক ধন্যবাদ , এহসান ভাই।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
@ এহসান
এই মন্তব্যের সমালোচনা করলাম না কারন তুমি সেখানে পরিষ্কার করেছো "সবাই না" বলে। তাই নিজেকে তার বাহিরে রাখলাম।
কিন্তু এই মন্তব্যে নিজেকে অফেন্ডেড মনে হচ্ছে। আমার মনে হয়না তুমি এমন কোন প্রমান দেখাতে পারবে যে এখানে "এন্টি মুহম্মদ গ্রুপ" সৃষ্টি হয়েছে। শিরোনাম ভাল লাগেনি শুধু এই কথাটিই জানিয়েছিলাম, তার জন্য গ্রুপিং এর মত দোষারোপ মেনে নিতে পারবো না।
@ মুহাম্মদ
তোমার এহসান এর বিশ্লেষন ভাল লেগেছে জেনেছি, কিন্তু এই আপত্তিকর মন্তব্যের কোন প্রতিবাদ শুনিনি এখনো।
তোমার লেখাগুলো ভিন্ন আমেজ দেয় বলেই পড়ি। আরো রিভিউ তোমার কাছে প্রত্যাশা করি। ছবিটা আগে দেখলাম, তারপর তোমার রিভিউ পরলাম। শিরোনামের ব্যাপারে আমার মতামত আগেরটিই থাকছে। নামটি ভিন্ন হলেও তোমার রিভিউটা স্বার্থক হতো। কিন্তু তুমি রিভিউ লেখেছো, তাই তোমার নিজের পছন্দের অধিকার রয়েছে, এই ব্যাপারে কোন কথা নেই। ব্যাক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরোধী আমি থাকবো সবসময়।
চমতকার বিশ্লেষন।
নিজে মুভি মূর্খ কিন্তু তোমার লেখা পড়ে দেখার উতসাহ পাচ্ছি তাই সাধুবাদ।
অফটপিক এ একটা প্রশ্ন। তোমার নামটা আমার ভালো লাগে না। এটা কী পরিবর্তনের কোনো সুযোগ আছে ?
নাম নিয়ে কেউ যে এতোটা হেনস্তা হতে পারে আমার একেবারেই ধারনা ছিলোনা।
সহমত।
আমার নামটা আসলেই প্রচণ্ড অড। অন্য ব্লগগুলোতে আমি ছদ্মনামে লিখি। কিন্তু সেই নাম সিসিবি-তে ব্যবহার করিনি। কারণ প্রথম থেকেই ক্যাডেট নামে লিখে যাচ্ছিলাম। পরিবর্তন করা বোধহয় সম্ভব হবে না। অসুবিধা নাই, নাম দিয়ে আর কি-ই বা আসে যায়। নাম একটা থাকলেই হল।
😀
মুহাম্মদ তো খুবই কমন নাম। আমার নামও মুহাম্মদ, মুহাম্মদ ফয়েজুর রহমান, ইউনুস সাবের নামও মুহাম্মদ, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস,
জয় হো, জয় হো
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আরো আছে, আজিজ মুহাম্মদ ভাই, হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ।
জয় হো, জয় হো 😉
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
সব মুহাম্মদরা দেখি এক একটা 😕 !! আমি কাউরে কিছু কই নাই!! :grr:
আমি অবশ্য মোহাম্মদ 😀
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:thumbup:
এই মুভিটা আমি বড় পর্দায় দেখসি (অস্ট্রেলিয়ায়)। যারা তখ্নও দেখেনি আমার রিভিউ ছিল এই মুভিটা হচ্ছে - "WTF funny." মানে কাহিনী এতই bizzare যে হাসা উচিত না কাঁদা উচিত না বুঝে হেসে ফেলা টাইপের।
WTF funny - ভাল বলছেন। ব্ল্যাক কমেডিগুলা অধিকাংশই এমন হয়।
ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ দেখছেন? না দেখলে দেইখা ফেলেন। অবশ্য অনেক আগের, ১৯৬৪ সালে মুক্তি পাইছিল। দেখলে ডিভিডি কিনে দেখতে হবে। WTF funny-র পাশাপাশি চিন্তা করারও অনেক কিছু পাবেন।
কালকে রাতেই মুভিটা দেখলাম। এককথায় চমৎকার ফানি একটা অভিজ্ঞতা। পিট, ক্লুনি, ম্যালকোভিচ, ম্যাকডারমট পুরা 'ফাটায়ালাইছে'। আসলে সবার অভিনয়ের ছাপিয়ে যেটা চোখে পড়ে সেটা হলো চরম উইটি ডায়ালগ, আর স্ক্রিনপ্লে। সাথে মিউজিক দিয়ে একটা সাসপেন্স বানানোর চেষ্টা কিন্তু আসলে কিছু নাই। ইডিয়টিক মজা পেলাম।
আমি ক্লুনি, ম্যালকোভিচ বা ম্যাকডারমটের এই ধাঁচের অভিনয় আগে দেখেছি, কিন্তু অবাক করলো পিট। এই লোক যে এমন 'বলদামি' মার্কা রোল করলো, সেজন্যে তাকে সাধুবাদ। আর তাকে সিলেক্ট করার জন্যে কোয়েন ভাইদেরকে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছা করতেছে। 🙂
থ্যাঙ্কস মুহাম্মদ।
ব্র্যাড পিটের একটা সিনেমা বাদে আর কোনটার সাথেই এই অভিনয়ের তুলনা চলে না। কারণ আমরা জানি, ব্র্যাড পিট সবসময় "বস হিরো" চরিত্রে অভিনয় করে। কিন্তু "Twelve Monkeys" ছবিতে ব্র্যাড পিট অনেকটা এরকম একটা চরিত্রেই অভিনয় করেছিল: সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে পাগল। এজন্যই বোধহয় ব্র্যাড পিটকে নিছিলেন তারা। এইটা নিয়া একটা মজার কাহিনী পড়লাম:
চিত্রনাট্য পড়ে ব্র্যাড পিট মনে করছিল, "ভাই আমি এতই গান্ধা যে এই চরিত্রের জন্য আপনাগো আমারে suitable মনে হইল। আমি তো মনে হয় এত ইডিয়ট হইতে পারুম না।" কিন্তু কোয়েন ব্রাদার্স কইছে, "You will do just fine. (ইডিয়ট হিসেবে)" সাংবাদিকদের এইটা বলে ব্র্যাড পিট আবার বেশ মজা পাইছে।
এই সিনেমার কাস্টিং অসাধারণ ছিল। জর্জ ক্লুনি তো তাদের বান্ধা অভিনেতা। তবে ইডিয়ট ট্রাইলজি শেষ হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন বোধহয় তারা একসাথে হবে না। ক্লুনি বলছে, সে কোয়েন ব্রাদার্সের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছে যা তার ভবিষ্যৎ ডিরেক্টর জীবনে সাহায্য করবে। ক্লুনি সফল ডিরেক্টর হতে চায়।
বন্ধু, আমার যতটুকু মনে হয় আমি তোমার মনোভাবটা বুঝতে পারছি,
এই রিভিউ লেখার সময় শিরোনামটা যে শুধু রিভিউটার সার্থকতা বাড়ানোর জন্যই দেয়া এটা লেখা পরে আমার অনেক আগেই বোধগম্য হয়েছে (কি ভস রে 😛 )
তুমি মাইন্ড খাইও না 😀
তুমি একটা পিস :salute:
একদম খাঁটি কথা।
থ্যাঙ্কিউ
ওয়েলকাম :hug:
সিনেমার রিভিউ নিয়ে এত হাউকাউ কেন হইল বুঝলাম না! এমনিতেই কম বুঝি । আমার যে মুহাম্মদের সব লেখা যে ভাল লাগে এমন ভাবারো কোন কারণ নাই । আমি তো ট্যাগ না পড়ে ভাবছিলাম ধর্ম ভিত্তিক লেখা । পরে দেখি রিভিউ । মুভি টা যে আমার খুব ভাল লাগসে তা না । মনে বিশেষ দাগ কাটেনাই । যতক্ষন দেখসি মজা পাইসি, মুভি শেষ মজাও শেষ । তবে মুহাম্মদ তোর রিভিউ টা আমি আসলেই ইনজয় করসি । জব ওয়েল ডান । সবশেষে বলি কাউকে গালি দিলে অন্যকে না নিজেকেই অসম্মান করা হয়, আর শিরোনাম দেখে যারা বিভ্রান্ত হয়েছেন তারা পুরো ব্লগ পড়লে মনে হচ্ছিল মজাটা বুঝতে পারবেন । কিন্তু তা হয়নি !
এই রকম একটা গ্যাঞ্জাম মার্কা পোস্টে আবার খোঁচা মারা ঠিক হচ্ছে কিনা জানি না, তবে এতদিন পরে এই মাত্র আমি মুভিটা দেখা শেষ করলাম। মুভি দেখার পরে আবার পোস্টটা পড়ে বুঝলাম, কি দুর্দান্ত রিভিও হয়েছিল এটা, হ্যাটস অফ। আর একোটা কথা স্বীকার করে যাই, পোস্ট টা যখন পড়েছিলাম তখন পোস্টের নাম নিয়ে আমার আপত্তি ছিল, কিন্তু এখন বুঝতে পারছি এর থেকে ভাল কোন নাম মনে হয় দেয়া যেত না।
অফটপিকঃ মুহম্মদ পোলাটারে অনেকদিন পরে আজকে কমেন্টাইতে দেখলাম, আমি তো ভাবছিলাম এখানের ঠিকানা ভুলেই গেছে 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷