বন্ধুর পরিচয়ঃ ৯৬-০২ ব্যাচের ক্যাডেট

ক্যাডেট কলেজের প্রথম দিনের কথা খুব ১ টা মনে পড়েনা। সৃতি কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে। যেদিন প্রথম যাব কলেজে সেইদিন ছিল জুনের ৪ তারিখ, সাল ১৯৯৬। আজ থেকে ঠিক ১৬ বছর আগে জুনের ৩ তারিখ ১৯৯৬ সাল, এই দিনে রংপুরের আশে পাশে আমার এক মামার বাসায় উঠেছিলাম একটি অজানা ভবিষ্যতের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য। বৃষ্টিতে ভিজে রিক্সায় করে কলেজের সামনে নেমেছিলাম। বৃষ্টির কারনে আমার সাদা জামার হাতায় দাগ পরে গিয়েছিল এটা মনে আছে।

বিস্তারিত»

আমার লেখাটা একটু পড়বেন কি?

যাবার কয়েকদিন আগে, প্রিন্সিপাল বাংলোর ল্যাম্ব রোস্টের গন্ধে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে, ২ দিন পরে কলেজ থেকে চলে যাবো। চেতনা ফিরলো যখন রানা ভাই এসে একটা হাঁক ছাড়লেন, ভাই কাপড় জমা দেন, কাপড়। হায়রে ক্যাডেট লাইফ। আমার এক ফ্রেন্ডকে প্রায়ই বলতে শুনতাম,”যৌবনের তেজ আর জোরে চাপা ছোটো বাথরুম দুইটাই ক্ষণস্থায়ী। ” সে যদিও হিন্দিতে বলতো আমি একটু অনুবাদ করে দিলাম আর কি! আরে, আর কি লিখতে গিয়ে মনে পড়লো আমাদের আর্কিমিডিস স্যারের কথা মানে ভূগোলের মকবুল স্যারের কথা।

বিস্তারিত»

স্বপ্নচূড়া-২

প্রথম পর্ব

গত দুই দিনে অনুপমার সাথে একটা কথা বলারও সুযোগ হয়ে উঠেনি দিলীপের।প্রথম কাজ যেটা করতে হয়েছে সেটা মাকে মামার বাড়ি রেখে আসতে হয়েছে।স্থানীয় যারা বন্ধু আছে,তাদের সাথে কথা বলে সব ঠিক করতে হয়েছে।সব করতে হয়েছে গোপনে এবং সময় নিয়ে।কয়েকজনকে পুরো ব্যাপারটা বুঝানোও খুব সহজ হয়ে উঠছিল না।এসব করতে করতে অনুপমার সাথে কথা বলার সুযোগই হয়ে উঠেনি।শুধু স্যারের সাথে দেখা করতে যেয়ে একবার চোখে চোখ হয়েছিল একবার,কিছুক্ষণের জন্য।রাতে রওনা দেবার আগে যেভাবেই হোক দেখা করতে হবে।সন্ধ্যার পরে নাট মন্দিরের সামনে দেখা হবার কথা।

বিস্তারিত»

স্বপ্নচূড়া-১

চায়ে চুমুক দিতেই ভুলটা ধরা পড়ে।সিগারেট আনা হয় নি।বালিশের পাশে যে দু’টা সিগারেট রাখা ছিল,সেগুলো সেখানেই গড়াগড়ি খাচ্ছে অথবা কে জানে এতক্ষণে মনসুর অথবা প্রকাশের ঠোঁটে শোভা পেয়ে রক্তে নিকোটিন ছড়াতে ছড়াতে নিজেকে ভষ্ম করে দিয়েছে কিনা!চায়ের সাথে সিগারেটের অনুপস্থিতি ব্যাপারটাকে অনেকটা তরকারীতে লবণ না দেওয়ার মতই মনে হয় দিলীপের।আর সেটা যদি হয় দুধ চা,চিনি বেশী, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।পুরোপুরি অত্যাচার বলেই মনে হয় তখন।এক কাঠি সিগারেট যে কিনে নিবে সেই যোও নেই।কি আর করা?উদাস মনে চায়ের কাপে চুমুক দেয় দিলীপ।

বিস্তারিত»

আমি আমগাছ বলছি

 

আমি কেমন জানি একটু অন্যরকম, অন্যদের মতো না। আবেগ একটু বেশি মনে হয়। হ্যাঁ, আমি একটি আমগাছ। বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়া কালের সাক্ষীও বলতে পারেন। অজস্র স্মৃতি আছে আমার কিন্তু ঐ প্রেমিক যুগলের স্মৃতি যেন একটু বেশি ভাবায় আমাকে। শহরতলির এক প্রত্যন্ত এলাকার বিনোদন পার্কে স্থায়ী নিবাস আমার। প্রতিদিন কতো জুটি এসে কতো মান অভিমান আর ভালোবাসার নাটক মঞ্চস্থ করেছে আমার ছায়াতলে।

বিস্তারিত»

অশনী সংকেত

সামীউর, স্টার্ট ফ্রন্টরোল। আরো একবার দিনটা শুরু হলো ফ্রন্ট্ররোল দিয়ে। সকালের পিটিতে যাওয়ার ফল ইন। যথারীতি ঘুম থেকে উঠতে দেরী এবং হাউজ ফল ইনে লেট। ক্লাস নাইন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটা দিনই আমার শুরু হয়েছে রুমের দরজার কাছ থেকে ফ্রন্টরোল দিয়ে। এভাবে গড়াতে গড়াতেই নোটিশ বোর্ডের সামনে পৌঁছে যেতাম, পা থাকলেও হেঁটে আসার সুযোগ খুব একটা হয়নি। তাই সবাই যখন শ্বেতশুভ্র পোষাকে রাজহংসের মত গলা উঁচিয়ে পিটিতে যাচ্ছে,

বিস্তারিত»

একটি ছারপোকার আত্মকাহিনী

এই ছারপোকা কলোনির সবচেয়ে দুঃখী মেয়ে আমি। অথচ একসময় কি সুখময় ছিল আমার জীবন!ছোটবেলা থেকেই আমি একটু দস্যি টাইপের ছিলাম। দিনরাত সঙ্গী সাথিদের নিয়ে বাঁদরামি করে বেড়াতাম আমি। আমাদের কলোনির পাশে যে মনুষ্য দৈত্যের বাস সে ছিল নিতান্ত নিরীহ ও অলস প্রকৃতির। সে আমাদের তেমন একটা ঘাটাতো না। রাতের বেলায় দলবেঁধে রক্ত খেতে বেড়াতাম আমরা। কখনো পায়ের আঙ্গুল, কখনো পায়ের পাতা সব জায়গা চষে বেড়াতাম আমরা।

বিস্তারিত»

প্লীজ আলটিফাই ইওরসেলফ!

‘ধূম’ ছবির সিলেট শাখার মহানায়ক কিছুদিন আগে ইংরেজী ভাষার উপর ক্যাপসুল কোর্স করে এসেছেন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী থেকে। ক্যপসুল কোর্সের বদৌলতে কতগুলো অলস সময় যে আমরা ফ্লোরে গড়িয়েছি হাসতে হাসতে তার সঠিক সংখ্যাটা কারও জানা নেই।হাসির ফাঁকে একটু দম নিতাম আর বলে বলে উঠতাম, “এতদিন কোথায় ছিলে?” নায়কের জানার পরিধি তখন ভূগোলের গন্ডি পেড়িয়ে আমেরিকান ইংরেজীর দিকে ধাবিত হতে লাগল চরম গতিতে এবং স্ববেগে।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের সাথে বলা মহানায়কের সেই আমেরিকান ইংরেজীর কিছুটা তুলে দেওয়া হল।

বিস্তারিত»

একটি অবাস্তব স্বপ্নের বাস্তবগাথা

অদেখা স্বপ্নজগতে ঘুরবার স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি। স্বপ্ন নতুন করে দেখা শিখিয়েছিলি তুই। জীবন নিয়ে সন্দিহান আমি কার্ড খেলাকেই সঙ্গী করে চালিয়ে নিচ্ছিলাম জীবন। তারপর একদিন হঠাৎ তোর ফোন। নারী প্রজাতির সাথে কথা বলায় পারদর্শিতার অভাব আমাকে সেদিন তোতলা বানিয়ে দিয়েছিল কয়েক মুহূর্তের জন্য। এরপরের কাহিনী যেন স্বপ্নের মতো। দেখলাম তোকে সিঁড়ি দিয়ে নামছিস। ইন্দ্রপুরীর পরীর রাজ্য থেকে যেন একটা পরী দিকভ্রান্ত হয়ে এসে পড়ল আমার রাজ্যে।

বিস্তারিত»

আমি,ফেসবুক ও আমার ফেক আইডি

তখন ২০০৮ সাল। ইন্টার পরীক্ষা শেষ হইল কয়েকদিন আগে। সুকান্তের সেই বিখ্যাত ১৮ বছরে পদার্পণ করার পর থেকেই যত আজাইরা চিন্তা ভাবনা ঘুরে মনের মধ্যে।আর পড়ালেখা শিকেয় তুলে সব আজাইরা কাজ কাম বাস্তবায়ন করার ইন্ধন যোগাতে সেই সময় এগিয়ে এল ফেসবুক। কোন এক কুদিনে খুলে ফেললাম একটা ফেসবুক একাউন্ট। আগে ইয়াহু মেসেঞ্জারে টুকটাক চ্যাটিং করতাম। “হাই, হ্যালো? এ এস এল প্লিজ?মেল? ওকে, থ্যাঙ্ক ইউ,বাই” টাইপ।

বিস্তারিত»

একটি ফলস বার্থডের ইতিহাস

তখন আমরা ক্লাস এইটে পড়ি।বাইরে থেকে দেখতে সবাইকে নিরীহ মনে হলেও আসলে একেকটা ছিলো ভয়াবহ বিচ্ছু। তৌফিক যেমন প্রতিদিন তার প্লেটের সবজি পাশের সিটের সিদ্দিক ভাইয়ের প্লেটে রেখে নিতান্ত ভালো মানুষের মত দাড়িয়ে থাকতো,কিশোর তেমনি ভাইয়াদের টিজ করে ধরা খেয়ে এমন ভাব করে চোখ বড় বড় করে তাকাতো, “আমি?!!!! এ কিভাবে সম্ভব?!!”

সেরকমই এক সময়ে আমি আর তন্ময় ছিলাম টেবিলমেট। তন্ময় ছিল ভয়াবহ টাইপের চালু পিস।(এখনো আছে) ।

বিস্তারিত»

দিন যায় কথা থাকে…

প্রসঙ্গক্রমে কিছু কাল্পনিক ঘটনার অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে।কারও কারও বাস্তব জীবনের সাথে মিলে গেলেও যেতে পারে।তবে সে ক্ষেত্রে লেখক দায়ী থাকবে না 😉

সবই আছে,সবাই আছে।কাঁধের উপর পাঁচ দাগ আছে।আছে পিছনে হাত বা পকেটে হাত দিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেটে যাবার রাজকীয় ক্ষমতা।এত সব ক্ষমতা আর পাঁচ দাগের ভারে ডান কাঁধটা কবে যেন একটু বাঁকা হয়ে গেছে খেয়াল করার সুযোগই হয়নি।ক্লাস ইলেভেন কলেজের ক্যাডার।মন যা চায় মোটামুটি সবই হাতের নাগালে পাওয়া যায়।খাকী পোশাক গায়ে জড়াবার প্রথম দিন থেকে এই দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা।এখন সবই হাতের নাগালে।এতসব কিছুর মাঝেও বুকের মধ্যে কোথায় যেন একটা শূন্যতা কাজ করে।কিছু যেন একটা মিসিং।শুধু আমার একার না মোটামুটি সবারই এক অবস্থা।

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন ***০৩-০৯***

দেখতে দেখতে গেলো ৯ টি বছর । ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল কলেজে পদার্পণ । এখনো মনে আছে আমার গাইড ইফতেখার ভাই আমাকে নিয়ে কতো ব্যস্ত আমাকে কলেজের নিয়ম কানুন শিখাতে । নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচয় হল । কখনো ভাবিনি এই বন্ধুগুলো হবে জীবনের সবচেয়ে নিকট বন্ধু । শুধু একটাই আফসোস যে আমার কলেজের জিসান বেঁচে নেই । গত বছরের এই দিনেও সে বেঁচে ছিল ।

বিস্তারিত»

সুন্দরের সান্নিধ্যে সিক্ত

ব্যাগে গুজে দেয়া ব্রেড আর
রাতে পাতে মাছ দুই পিস
মন ভালো হলে শ্রেয়া ঘোষ
খারাপের দিন ভায়োলিন

দীঘির পানিতে আলো খেলে
তোর চোখ দিয়ে দেখলাম
তোর স্নেহ থেকে শিখলাম
ভালোবাসা চেয়ে নিতে নেই
ভালোবাসা বেসে পেতে হয়

শুভ হোক তোর জন্মদিন

(আজ বিশ্ব পাই দিবস। মহান বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের জন্মদিন। এই দিনে আমার বন্ধু নাজমুলও জন্মেছিল।

বিস্তারিত»

একটি হ্যাকিং আর ধরা খাওয়ার গল্প

রাত ১টা, ইয়াহু মেসেঞ্জারে চ্যাট করছিলাম, হঠাত টেং টেং করে মোবাইলে মেইল আসল। আমার মোবাইলে জিমেইলের ইমেইল সিঙ্ক করা আছে তাই সাথে সাথেই মেইল নোটিফিকেশনস পাই আমি। ভাবলাম কি হাবিজাবি মেইল হবে, খুলে দেখি বিশাল রসের মেইল যাতে লেখা আছে,

The password for your Google account – a****y.shuvro@gmail.com – was recently changed.
If you made this change, you don’t need to do anything more.

বিস্তারিত»