প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, আমাদের সিলেট ক্যাডেট কলেজের ৪র্থ ব্যাচের (৭৯ -৮৫) ক্বাফী ভাই (বর্তমান সভাপতি, ওকাস) আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তর এর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনি বাংলাদেশে ক্রীয়াশীল সকল বামদল সমূহের সমর্থিত একক প্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী কাফী ভাইকে আসলে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। তারপরও যে কথাটুকু না বললেই নয় সেটি হল- আমরা যারা বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই,
ডাচ রাজপুত্রদের তো দুঃখীই হতে হয়! (এই লেখাটা আকাশ’দা’র জন্য )
প্রাচীন গ্রিসের ইতিহাসে বাতাসে ফোলানো বল নিয়ে খেলাধুলার বিবরণ থাকলেও ফুটবলের জন্মভূমি ধরা হয় চীনকে। তবে খেলাটির বিকাশ, বিস্তৃতি, বিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক যে রূপটি আমরা দেখছি সেটা ইংরেজদের কল্যাণে। ক্রমে তাতে যোগ হয়েছে লাতিন নির্যাস, ছন্দের মোহনীয়তা। ইংলিশ ফুটবলের গতি আর লাতিন ছন্দের আড়ালে যেটা প্রায়ই হারিয়ে যায়, তা হলো টোটাল ফুটবল’। রাইনাস মিশেলের উদ্ভাবনী ভাবনা বাস্তবে রূপ নিয়েছিল ইয়োহান ক্রুইফ নামের এক দুঃখী রাজপুত্রের পায়ে।
বিস্তারিত»আমার প্রিয় বন্ধুটি
সে খুব ভালো বন্ধু ছিলো আমার। বন্ধুত্বের শুরু থেকেই তার প্রতি আমার ছিলো সীমাহীন আবদার।আর সে দিনেরপর দিন ক্লান্তিহীনভাবে আমার আবদারগুলো মিটিয়ে চলত।তার কন্ঠের গান শুনে, মন খারাপ থাকলেও মন ভালো হয়ে যেত আমার।আমি খুব কবিতা ভালোবাসতাম।আমি কোনকবিতা পড়তে চাইলে সে কোত্থেকে যেন সে খুজে এনে দিত কবিতাটি।সে বোধহয়পণ করেছিল আমার কোন চাওয়া অপূর্ণ থাকতে দিবে না সে।যেন আমার আকাঙ্ক্ষা মেটানোর জন্যই তার জন্ম।তার সাধ্য হয়ত অনেক কম।কিন্তু তার সাধ্যের সবটুকু সে উজাড় করে দিয়েছে শুধুই আমার জন্য।অথচ এই আমি!কী ভীষণ স্বার্থপর!নিজের বন্ধুর সুবিধা-অসুবিধার কথা কখনো ভাবিইনি আমি।যে আমাকে দিতে দিতে আজক্লান্ত,নিঃস্ব ওরিক্ত।বিনিময়ে আমি তাকে অত্যাচারই করে গেছি সারাজীবন।
বিস্তারিত»আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী । পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ হয়েছিলেন আমাদের ৫৭ জন সেনা অফিসার। তাদের মধ্যে আমাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিনিওর ভাইয়ারাও ছিলেন। তাদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করছিল ক্যাডেট কলেজ ব্লগ। আজ ৩ বছর পেরোতেই কি আমরা ঝিমিয়ে গেলাম? আমাদের অনুভূতি গুলো ভোতা হয়ে যাচ্ছে বোধ হয়। আমরা কি আজ তেমনি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করতে পারি না আজ? মতামত চাই। অতিথিদের কেও আমন্ত্রন জানাচ্ছি মতামত দেবার জন্য।
বিস্তারিত»নস্টালজিয়া পার্ট ২
আজকে আবার লিখা শুরু করলাম ।অনেকেই বলল যে আগের লিখায় নাকি ফিনিশিং ভালো হয় নাই । চেষ্টা করবো এই লিখায় জিনিসটা ঠিক করতে ।
যাই হোক আজকে আলোচনা করবো ক্যাডেট কলেজে ব্যাবহৃত কিছু শব্দ নিয়া । প্রথম শব্দটা হইলো বাক্স । স্বাভাবিক মানুষ বাক্স বলতে যা বুঝে তাহা হলো চতু্রভুজ আকৃতির একটা জিনিস জার মধ্যে জিনিস পত্র রাখা হয় । অথবা কলম পেন্সিল রাখার জিনিস ।
বিস্তারিত»নস্টালজিয়া
আমি আশিক ,পোলাডা অতো ভালা না , তয় খুব খারাপ ও আবার না । যাই হোক ,ক্যাডেট কলেজে যখন ফার্স্ট ঢুকলাম , মোটামুটি ভালো একটা পোলা আছিলাম ,প্রথম যেদিন কলেজে ঢুকলাম এক ভাইয়া জোকস কইরা কয় আচ্ছা মনে করো আমার নাম দুলা তুমি আমারে কি ডাকবা মনে মনে কইলাম হালা, তোমার বইনরে আমি বিয়া করলে আমারে তুমি যা ডাকবা তাই ডাকুম । সামনা সামনি তো আর তাই কয়া যায় না তাই মুখে একটা ভদ্রতার হাসি আইনা কইলাম “ভাইয়া দুলা”
বিস্তারিত»রকস্টার
অনেক দিন পর একটু আয়েশ করে সিনেমা দেখলাম। আসলে অনেক দিন সিনেমাই দেখা হচ্ছে না। গত দুই বছরে দুইটা সিনেমা দেখেছি একটা হলো জিন্দেগী না মিলে দোবারা আর কয়েকদিন আগে দেখলাম রকষ্টার, আর হাতের কাছে রাখসি ওই ইরানী ছবিটা যেটা এইবার অস্কার নমিনেশন পেয়েছে। কয়েকদিন ধরেই ভাবছি ‘রকষ্টার’ নিয়ে একটা রিভিউ লেখবো। কারণ অনেকেই সিনেমাটা দেখে ফেলেছে তাই সবার মতামত জানতে পারবো। সিনেমটা দেখার পর পরই কামরুল আর মামুন ভাই এর সাথে কালেরকন্ঠ অফিসে দেখা হয়েছিলো।
বিস্তারিত»বোকা বাঙ্গালী বলছি-১
আমি বোকা বাঙ্গালীদের দলে। মৌসুমী বিপ্লবীদের দলে আছি কিনা জানি না। আমিও বোকা বাঙ্গালীদের মতই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি।কত কমেন্ট পড়ল সেটা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছি বলে মনে হয় না। ব্লগ লেখার মত পড়াশুনা, জ্ঞান কোনোটাই নাই তাই ব্লগ লিখি না (বলতে পারেন লিখতে পারি না)। কিন্তু সব ব্লগ পড়ার চেষ্টা করেছি। আপনাদের মত আমিও আপ্লুত হয়েছি এই ভেবে যে, আমরা সচেতন হচ্ছি। যদিও খুব বেশি লেখালেখি বা জন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এটি আমি বলতে পারবো না যতটা সৃষ্টি হয়েছিল আবু গারাইব কারাগারের নির্যাতন কিংবা দেশীয় এডাল্ট ক্লিপ বের হবার পর।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন ভাইয়া……
ক্লাস সেভেন’এ প্রথম সাত দিনের মধ্যেই একটা পরীক্ষা হতো।সম্ভবত ওইটাকে সার্ভে টেস্ট বলতো।ওই পরীক্ষায় কোনমতে সব সাবজেক্টে পাস করাই ছিলো অনেক বড় ব্যপার।আমাদের সার্ভে টেস্টের পর একাডেমী ব্লকের টয়লেটে ক্লাস এইটের আরেফিন ভাই আমাকে ডেকে বলতেসে তোমার রেজাল্ট কি।আমি তো খুশিমনে বললাম ভাইয়া সব সাবজেক্টে পাস করছি 😀 ।আরেফিন ভাই অবাক হয়ে আমার দিকে তাকায় বললো তুমি কামরুল ভাইয়ের ভাই না? আমি বললাম জী ভাইয়া।
বিস্তারিত»শেষ প্রান্তে
বছর তিনেক আগে কোনো একটা কোরিয়ান মুভি থেকে alzheimer’s symptom সম্পর্কে জেনেছিলাম। যথারীতি অন্যান্য সিনেমার মত সিনেমাটিক রোগ ই মনে হইছিল।পরে অবশ্য অল্প বিস্তর পত্রিকা আর অন্য সিনেমা দেখে জানলাম আসলেই এই রোগের অস্তিত্ব আছে আর এরকম রোগির সংখ্যা ও নেহাত কম নয়।
অফিস এ প্রথম দিন এক কলিগ এর সাথে পরিচয় হল যার বয়স চুরাশি।উনি আমাকে নাম,ধাম,কই থাকি ইত্যাদি সাত সতের জিজ্ঞেস করলেন…
বিস্তারিত»অন্যরকম অনুভূতি – ২
কমান্ডিং অফিসার । লিডিং ফ্রম দ্যা ফ্রন্ট । প্রথম জাম্পটা স্যারই দিলেন ।
কি অদ্ভুত !!! এই সৈনিকটা নাকি এভাবেই স্যালুট পজিশনে জাম্প করে । স্যালুট ধরে রাখে যতক্ষন এয়ারক্র্যআফট দেখা যায়
সবাই চলে যাচ্ছে । আর আমি রয়ে যাচ্ছি
সবশেষে জাম্প করলো ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম ।
বিস্তারিত»অন্যরকম অনুভূতি – ১
গত ২৭ নভেম্বর থেকে ঢাকাতেই আছি । ১৬ ডিসেম্বরের প্যারেড করবো । আমাকে দেখতে পারেন ১ম ফ্ল্যআগ কন্টিনজেন্ট কমান্ড করবো আমি 😉 ( সুযোগে নিজের এ্যাড করে দিলাম )। যাই হোক,যে কারনে লিখতে বসা, এই প্যারেড উপলক্ষে প্যারাট্রুপারদের জাম্প হবে । প্যারাট্রুপাররা ৭০০০ ফিট থেকে প্যারাসুট না খুলে জাম্প করে পরে ৪০০০ ফিট উচ্চতায় নেমে হাতে টেনে প্যারাসুট খোলে । কাজটা কঠিন আর সাহসিকতার এটা জানতাম কিন্তু আসলে যে উপরের অবস্থাটা কি এটা গত পরশু বুঝলাম ।
বিস্তারিত»মন শুধু মন ছুঁয়েছে
ভিতরটা লাল,নীল আর হলুদ এই তিন রঙের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে। আসলে এই তিন আলোর মিশ্রণে তৈরি নতুন একটা আলোয় আলোকিত,আবছা ভাবে। ভিন্ন আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের এই ভিন্নতা মনে হয় চোখের ক্লান্তি ডেকে আনার ব্যাপারে বেশ পারদর্শী। সে কারণেই বুঝি কোনার টেবিলে বসা ছেলেটি রীতিমত হাই তুলেই চলেছে। অথচ পাঁচ মিনিট আগেই যখন এখানে এসে বসল বেশ তরতাজাই দেখাচ্ছিল। এরই মধ্যে ছেলেটার মধ্যে টাংগাইল- ময়মনসিংহের লোকাল বাসের একটা ভাব চলে এসেছে।
বিস্তারিত»sdjhgf
অপারেশন ফার্মগেট
১৬ই ডিসেম্বর,১৯৭১
ঢাকার রেসকোর্স ময়দান। সময়টা প্রায় বিকাল ৪টার কাছাকাছি। জেনারেল অরোরা, মাঝে জেনারেল নিয়াজী এবং তার পাশে মুক্তিবাহিনীর একজন তরুণ অফিসার দৃপ্ত পদক্ষেপে সামনের দিকে হেটে চলেছেন আত্নসমর্পনের জন্য নির্ধারিত স্থানের দিকে।কাঁধে ঝোলানো চায়নীজ অটোমেটিক রাইফেলটি যেন বোঝাতে চাইছে এখনো যে কোন অপ্রিয় এবং আকষ্মিক ঘটনার জন্য প্রস্তুত তিনি। তরুনের নাম মেজর হায়দার। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যিনি ছিলেন কুমিল্লা সেনানিবাসের কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের একজন অফিসার।
বিস্তারিত»