[পাঁচ] আমার ছোটটির বয়স তখন তিন কি চার। বাবার সাথে সবকিছুতে তার উত্সাহ। সবচাইতে কৌতুহলপূর্ণ জায়গা রান্নাঘর। একদিন সকালবেলা এবং উইকএন্ড। ওদের ডিমের প্রতি খুব একটা আসক্তি নাই। তাই আসক্তি জাগাবার জন্য আহ্বান করলাম, ”কে আমার সাথে ডিম ভাজা করবে?” বড়টির কোন উত্তর পাওয়া গেলো না। ছোটটি গুটি গুটি পায়ে ঢুকলো। আমি তখন একটি ডিম ওমলেট করবো বলে ভেঙে বাটিতে রাখছি। সে গভীরভাবে ডিম ভাঙার পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করলো।
বিস্তারিত»আমার বাবা-বেলা – ১
[শূণ্য] আমি যখন প্রথম বাবা হই, তখন থেকে ছ’মাস পরে আমার মেয়ে তার প্রথম ধ্বনী উচ্চারণ করে – ’বা বা বা বা উঁ উঁ উঁ’ যার অর্থ করলে দাড়ায় আমার এখন ক্ষিদে লেগেছে। কিংবা আমার ডাইপারটা এক্ষুণি বদলে দাও। কিংবা সবকিছু বাদ দাও, এখন আমি ঘুমোব। এটি কমবেশী সব বাবা মা ই জানেন। বাকী গুলো বাবা-মা বিশেষে বিস্তারিত এবং ইউনিক!
[এক] আরো ছ’মাস পর যখন সে তার চারদেয়ালের ঘরের ভিতরকার জগত্াআবিষ্কার করলো তখন আরো কিছু কথা সে বলা শুরু করলো।
বিস্তারিত»ঘরের মায়ায় টানে মোরে,বাহিরেও যে ছাড়ে না রে…
ক্যামেরা স্থির,স্লো মোশনের শট চলছে,রিপিট হয়ে এটা দিয়ে তৃতীয় বারের মত,ব্যাকগ্রাউন্ডের মিউজিক টা উত্তেজনা চরমে উঠাতে বদ্ধপরিকর।টিভি সেটের সামনে বসে থাকা মা,মেয়ের কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে,উপরের এবং নীচের পাটির দাঁতের মাঝখানে জায়গা করে নিয়েছে ডান হাতের অনামিকা।এখানেই কি শেষ?দুই মোটর সাইকেল এর মুখোমুখি এই সংঘর্ষই কি কেড়ে নিবে নায়কের জীবন?এটা হিন্দী সিরিয়ালের কোন এক স্ক্রীনশট,তবে আমার সামনে যেই ঘটনাটা ঘটতে যাচ্ছে সেটা মোটেই কোন স্ক্রীণ শট না,
বিস্তারিত»১০ টাকা,১টি ফোন নাম্বার এবং অন্যান্য
পরদিন পরীক্ষা। এই চিন্তায় কিনা জানি না,রাত ১২ টায় যখন ফেসবুক ব্রাউজ করছিলাম দেখলাম-পরীক্ষার হলে অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াও যাবতীয় অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে হবে এবং তাও সত্যায়িত করে। মাথায় যথারীতি আকাশ ভেঙ্গে পড়ল এবং নিজে পরীক্ষার নোটিশ না দেখলেও সমস্ত দোষ প্রথমেই আর্মির প্রতিষ্ঠান (BUP) কে দিলাম তারপর মার সাথে রাগারাগি করে বাসা থেকে বের হলাম যদি কাগজ গুলার ফটোকপি করা যায়। বাসা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেয়ে (জানি যে সব বন্ধ) ক্ষীণ আশা টা দূর হোলে বাসায় ফিরলাম।
বিস্তারিত»টুশকি…মোস্ট জুনিয়র!
সায়েদ ভাই এর টুশকি সিসিবিতে একটা ক্যাটাগরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন উনাকে হারিকেন, মোমবাতি, হ্যাজাকবাতি কিছু দিয়েই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু আমাদের সবারই ছয় বছরের ক্যাডেট জীবন টুশকিতে টুশকিময়। তাই কিছু টুশকি…মোস্ট জুনিয়র!
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ নিজ দায়িত্বে পড়িবেন!
১। এক স্যার এর টিজ নেম ছিল “ট্যাপা”। স্যার এই নাম শুনলে খুব ক্ষেপে যেতেন। তো এক দিন এই নাম শোনার পরঃ “ওই…
বিস্তারিত»কেন?
এই বছর কলেজ ছেড়েছি। বুকের ভেতরে ঘা টা এখনো দগদগে,আনকোরা নতুন। একটু খোঁচা লাগলেই যন্ত্রনা হয়। কিছু দেখলেই কলেজের সাথে তুলনা করি। খালি মনে হয় কলেজ কত ভাল ছিল। ডাইনিং হলে কত চিল্লাইছি ‘বাদল ভাই গ্লাসে ময়লা ক্যান?’ এখন নিজের রান্না নিজে করতে হয়! কিছুদিন আগে কলেজে গেলাম,আমি একা না,আমার সাথে আরো ৩২ জন ছিল! রিইউিনয়ন টাইপ অবস্থা। সবার মুখে এক কথা,চল বুয়েটে পরীক্ষা না দিয়ে ক্যাডেট কলেজ ইনটেক পরীক্ষা দেই!
বিস্তারিত»আশার এক্রসটিক
[এক্রসটিকঃ এই ধরনের কবিতা বাংলায় প্রথম লিখেন কবি মাইকেল মধুসুদন দত্ত।প্রথম বার লিখেছিলেন তার এক বন্ধুর নাম নিয়ে।নামটা ছিল খুব সম্ভবত গৌর মোহন দাশ।সে যাই হোক-এই কবিতা পড়ার নিয়ম হল- প্রতিটি লাইনের প্রথম অক্ষর একে একে পড়ে যাওয়া।তারপর বাকি কবিতা পড়া।আরেকটা কথা-এই ধরনের কবিতায় প্রথম অক্ষরের বানান ভুল করা যেতে পারে!(কারন টা পড়লেই বুঝবেন)। ধন্যবাদ।]
আকাশে জমা মেঘ গুলো কাঁদে,
মিশে যায় দিগন্তে।
অসহায় ভালবাসা
এক মুঠো ভালোবাসা এনে ছড়িয়ে
দিলাম তোমার গায়ে।
তুমি অবাক চেয়ে রইলে
নিরবাক মুরতি হয়ে।যেন বলে
বোঝাবেনা তোমার কোনো অনুভুতি
বুঝলেনা আমার ভালবাসা কতখানি
প্রাচীন আর উদ্দাম।সে জোয়ারে
ভেসে যাবে তুমি-জানিনা সেই ভয়ে
কি তুমি নীরব ছিলে সেদিন।
বুঝিনি কেন তোমার মুখখানি মলিন
হয়েছিল-আধারের শাদা ঘাসের মতো।
আমি তোমায় বুঝতে পারিনি-কতো
রাত বসে তোমায় নিয়ে স্বপ্ন বিলাস
নিরঘুম একঘেয়ে জীবন।আমার আকাশ
ভেসে যায় তোমার উত্তাপে।সে তাপে
আমার প্রেম জোয়ারের নদী হতে
বাশপ ওঠে।তোমার আকাশে মেঘ জমে।
বাদুড়
শতবর্ষী বটের পাতার অন্ধকারে ঝুলে থাকা বাদুড়ের মত-
নিরিবিলি দিনের আলোয় ফন্দি আঁটে ওরা বিশ্রামের ছলে।
অতঃপর আধুনিক রাত্রিতে জমে উঠে প্রাসাদ আরোহণের কল্প,
ক্রীড়াচ্ছলে ছুঁড়ে মারা ভাংতি পয়সায় জনপ্রিয়তার বিকি-কিনি।
নিঃস্বের দীর্ঘঃশ্বাসের আড়ালে পাচার হয় অগণিত কচকচে মুদ্রা-তোড়,
দিনরাত্রির আলো-আধারে এখানে বদলায় না কিছু, সে বহু যুগ।
বিশ্বাসঘাতক মগজের দ্বৈত আনুগত্যে বেঁচে থাকে গোপন পশ্চিমা প্রভু,
বিকল শোষণের যন্ত্রগুলো তড়িৎ দক্ষতায় সেরে তোলে ওদের হাত।
আর কতো মিথ্যে বোঝাবো নিজেকে
বেশ বোঝা যায়, আশা নেই আর কোন,
নতজানু রক্ত নিয়েছে মেনে এই অর্থহীন জীবন,
তবুও যদি কিছুটা থাকে অস্তিত্বের সম্মান।
জীবন বিক্রিতে হয়েছে উপার্জন অনেক,
তবে খরচের সুযোগ নেই, সঞ্চয় ছাড়া,
এভাবে আর কতো সমঝোতা, কাপুরুষ ধৈর্য্যধারণ?
কি লাভ? আর, কি হবে?
নিজেকে এভাবে প্রাপ্তিহীন পরাজিত রেখে,
এই নির্মম রাজত্বে দাসত্বই কি অমোঘ পরিনতি!
আমিতো চেয়েছিলাম শোবার ঘরের সহজ নিরাপত্তা,
বিস্তারিত»মিঠু-মন্টির ছড়ার বাকী অন্তরা
ক–এ কলা খ–এ খাই
এতো বেশী খেতে নাই।
গ–এ গরু ঘ–এ ঘাস
কত ঘাস খেতে চাস।
‘ঙ’ বলে, “কোলা ব্যাঙ,
সারাদিন ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ!”
ক – খ – গ – ঘ – ঙ॥
চ–এ চাচা ছ–এ ছাই
দাঁত মাজো। ছাই চাই?
জ–এ জাম ঝ–এ ঝড়
ঝড় এলো জাম পড়।
‘ঞ’–বলে, “মিঞা ভাই,
বিয়ে খাব।
ঘুম ভাঙ্গার পর
অভ্যেসটা ঠিক এমন হলো-
গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ইদানীং আর অবাক হই না,
মধ্যরাতে একলা হাঁটি,
বিন্দু বিন্দু শিশিরগুলো-
জমতে থাকে নগ্ন পায়ে।
চেনাজানা পথ অচেনা হলে-
কাছে কিংবা দুরে কোথাও
হারানো দিনের বিলাপধ্বনি!
সরু লম্বা কান্ডগুলো,
বিষন্নতার স্তম্ভ যেনো।
দুর আকাশে দু’চোখ মেলি,
কেমন যেনো অন্যরকম!
আকাশ ভরা কান্নাগুলো-
কুয়াশা হয়ে নেমে আসে।
বার্থডে উইশ
রাত ১২ টা বাজার মাত্র ১৫ মিনিট বাকি। মাত্র ১৫ মিনিট পরেই সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটি শুরু হবে। ২রা জুলাই, প্রিয়তির জন্মদিন।কিন্তু প্রিয়তির মনটা খুব অস্থির হয়ে আছে। ঘনঘন মোবাইলে টাইম দেখছে সে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। আচ্ছা, এবার সবার আগে প্রত্যয় উইশ করতে পারবে তো? ওর খুব ইচ্ছা জন্মদিনের প্রথম উইশটা ওর সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাই করুক। এর জন্য ফেসবুকে বার্থডে রিমুভ করে রেখেছে সে।জিনিসটা হয়ত অনেকের কাছে ছেলেমানুষি মনে হবে,কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে অনেক সময় এইসব তুচ্ছ জিনিসও অনেক বেশি আকাঙ্খিত হয়ে যায়।
বিস্তারিত»হে বীর, তোমায় সালাম
সময়টা ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। আইয়ুব ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেই বা কি, অনেকেই বাড়ি ফিরে যায় নি। অনেকেই বলতে অনেক সাহসী ক্যাডেট। দেশমাতৃকার এই চরম দুর্দিনে বাড়ি গিয়ে আরামে ঘুমাবে কি করে? চারঘাটের ছেলে আব্দুল মান্নাফও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কোথায় কবে অপারেশন হবে তার সবকিছুই বলতে গেলে মান্নাফ জানে।
বিস্তারিত»বাস্প উপাখ্যান
তুমি দেখনি-
ফুটন্ত জলের বাষ্পীভবন।
সে-ই ভাল,
আমাকে কি আর-
আলাদা লাগত তখন?
মহাজাগতিক যানে-
তুমি আজ নক্ষত্ররাজ্যে।
আর আমার-
চৌকির চার পা প্লাবিত।
হ্যা-
এখানে আজ মহাপ্লাবন।
ভাসছে স্বপ্ন, সুখ, কামনা-
ঘোলা, নোংরা পানির ঘূর্ণিতে।
অবসর নেই, তবুও-
অবসরে কাটে জীবন,
ক্ষুধামন্দায় আকাশের স্মৃতি।
সহস্র বছর-
রোদ ওঠেনি।