বিপন্ন মানবতা এবং একটি সাহায্যের আবেদন

আরো একবার মানবিক বিপর্যয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা,আমাদের বাংলাদেশটা। যেসব সেলাই দিদিমনিরা দিনরাত কষ্ট করে আমাদের জন্য কাপড় বুনেন,যেইসব পোষাক শ্রমিকের ঘামে ভেজা নিঃশ্বাসে ভর করে দেশ অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের লাশ আজকে আরেকবার তাজরীনের গন্ডি পেড়িয়ে অধরচন্দ্র স্কুলমাঠে সারি বেঁধে শুয়ে আছে। আর ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার ভিতরে আটকা পড়ে আছে আরো শতাধিক।

উদ্ধার কাজ চলছে এখনো। উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি আছে সেচ্ছাসেবক উদ্ধারকর্মীরা।

বিস্তারিত»

জাপানী মামার সনেট

আহা কি সুন্দর দেখো, পূর্ণিমার রাতি
আকাশেতে উড়িতেছে একপাল হাতি।
শরীরেতে নেই কোনো উড়িবার পাখা
পদগুলো নীচে থেকে মেলে দেয় শাখা॥
পদের শাখার দ্বারা জুড়িয়া আঘাত্‍
হাতি গুলো উড়ে যায় মেলে দিয়ে হাত॥

গগনে দেখিয়া হাতি তেলাপোকা ভাবে,
আমি কি পারিব কভু এভাবে উড়িতে?
হাতিদের আছে মুখে শুঁড় একখানা,
দুইখানা শুঁড় মোর, সাথে আছে ডানা॥
যেই ভাবা সেই কাজ,

বিস্তারিত»

পবিত্রতা

অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ

দেখে কে বলবে। এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে? রাজপুরীর মত ঝলমলে আলোয় ভরে আছে গোটা শহর। চারিদিকে মানুষের চিৎকার, চেঁচামেচি, আনন্দোৎসব। সবার মুখেই একটা খুশি খুশি ভাব। নাহ! সবাই এই কথাটা ঠিক না। কোথাও না কোথাও অন্তত একজন তো থাকবেই যে খুশি নয়। অখুশি বলবনা, কিন্তু হয়ত সে  বিষন্ন। একা একা চারিদিকে হাটছে আর নিজের প্রতিবিম্ব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

বিস্তারিত»

“তেলাপোকা কেন উল্টে মরে ”

অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ

 

চিঠিটা খুলে বার বার দেখি

আরও একবার-

লেখাগুলোর উপর হাত বুলোই,

নিস্প্রান এই লেখাগুলো এত সজীব কেন?

কি মায়ায় এরা আমাকে ডাকে-
বারেবার;  জানিনা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে
কখনও বা উপদেশ,  আবার হঠাৎ হঠাৎ –
খুচরো কিছু ভালোবাসার আবেশ।

খাটের পাশে রাখা  গিটারটা তুলে নেই
“টুং টাং” কিছু অচেনা সুর –

বিস্তারিত»

বইমেলায় মোস্তফা মামুনের নতুন বই………

আমাদের ব্যাচের ব্লগার বন্ধু ফরিদ অবশ্য ইতোমধ্যে ফেসবুকের প্রতিটি পাতায় পাতায় এঁটে দিয়েছে। আমি ওর টাই কপি করলাম। কি আর করা?

ক্যাডেট কলেজ নিয়ে ক্যাডেট নম্বর ৫৯৫, কলেজ ক্যাপ্টেন, ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার ইত্যাদি সাড়া জাগানো বই এর লেখক মোস্তফা মামুন (সি ক ক) ভাই এর এবারের বই মেলায় এসেছে নিচের বইগুলো-

১। লাল শার্ট – অন্বেষা প্রকাশন
২।

বিস্তারিত»

শ্লোগান মশাল

নিঃশেষ না হলেও স্বপ্নগুলো দিন-দিন সংকুচিত আর বিবর্ণ হয়েছে অনেক।শরীর ও আচরন থেকে পিছু হটে তারুন্য এখন বাস করে বুকের খুউব গভীরে; সচরাচর তাকে ঘাটাই না। কিন্ত শাহবাগের গগন-বিদারী শ্লোগান সেখান পর্যন্ত পৌছে গেছে।

বিশ বছর আগে পিজি হাসপাতালের কেবিনে পৃথিবির সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির শিয়রে বসে নির্বোধ আশাবাদী হয়ে যখন তার সুস্থতার স্বপ্ন দেখতাম, তখন আমি টিন-এজার।ডাক্তারদের নিরাশা সত্য হয়েছিল; মা চলে গিয়েছিলেন।ফ্যাকালটিতে যাবার পথে কিংবা কোন কাজে শাহাবাগ ক্রস করার সময় বাস কর্মীদের ‘শাহবাগ’ ‘শাহবাগ’চিৎকার আমার সেই শোক-কে জাগ্রত করেছে বারবার……।

বিস্তারিত»

অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)

অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ–

না! হলনা।
এবারও হলনা।
ছুটতে ছুটতে এবারও  তার কাছে পৌছেছিলাম-
কিন্তু কি লাভ ?
তাকে তো পাওয়া হলনা।
তাকে দেখলাম, অনুভব করলাম
এমনকি মাড়িয়ে এলাম – তার ছায়াও
কিন্তু সে এবারও হেসে গেল বিদ্রুপের হাসি।
বিদ্রুপ ! উপহাস !
এগুলোই কি কেবল বরাদ্দ আমার জন্যে ?
হয়ত হ্যাঁ ।
ভাগ্যবিধাতা হয়ত আমায় দেখে শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন…

বিস্তারিত»

খেলাঘর

খেলাঘর
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ
(………………………………………… this is dedicated to all cadets of 53rd batch of fcc)

আমি কোন বিতর্ক করতে আসিনি,
আসিনি কোন উপদেশ দিতে
শুধু একটি গল্প বলতে এসেছি,
শুধু একটি গল্প।
নাহ! এ কোন ইতিহাস নয়,
রূপকথা? তাও নয়,
শুধুই গল্প, শুধুই কল্পনা –
“একটা ঘর ছিল, খেলাঘর,
খেলার জন্য কিছু পুতুল, সুতো আরও কত কি!
পুতুলগুলো যেন ঠিক লজ্জাবতীর পাতা,
একে অন্যকে আড়াল করে ফেলত পরম মায়ায়
যেন কেউ ছুঁতে না পারে।

বিস্তারিত»

স্বপ্নের দোষ

লেখার স্থান, কাল,পাত্র সবই কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে মিলে গেলেও যেতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে লেখক দায়ী নয়।

কিছু একটা মাথার মধ্যে জটলা পেকে আছে হাযম সাহেবের, আস্বাভাবিক ভাবে ঘুম ভেঙ্গে গছে।বাইরে আলো ফুটতে শুরু করেছে কেবল।অনেক দিন ধরেই এই ভোর হওয়া দেখছেন, একটা সময় খুব ভাল লাগত। এখন আর ভাল লাগে না। ভাল লাগাটা চলে গেছে ’৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে। এর আগে পাকিস্তানের সূর্যোদয় দেখতেন তিনি,

বিস্তারিত»

ডায়রি

ডায়রি
১৫ডিসেম্বার ২০১২
সবাই বলে –আমি না’কি ঠিক আমার বাবার মত।সেই নাক,সেই চোখ,সেই চেহারা।আমি আবার এত কিছু বুঝি না।জমজ ভাইবোনদের ভেতরই আমি মিল পাই না,আর তো বাপ-ছেলে!কিন্তু বাবার সাথে আমার মিল আছে।স্বভাবের মিল,অভ্যাসের মিল; তাও আবার যে-সে অভ্যাস ন্য।ডায়রি লেখার অভ্যাসের মিল।বাবা প্রচুর ডায়রি লিখতেন যেই অভ্যাস পৈতৃক সূত্রে আমার পাওয়া।বাবা সেগুলো রেখেও গেছেন আমার জন্য,কিন্তু সেগুলো পড়া বারন আমার।বাবা না’কি ফুফুকে বলে গিয়েছিলেন ২০ বছর হবার আগে যেন কোনভাবেই সেইগুলো আমাকে পড়তে দেওয়া না হয়।না আমার বাবা কোথাও ঘুরতে যান নি,আমাদের ছেড়ে পালিয়েও যাননি।উনি আর নেই।ঢাকা ভার্সিটির টিচার ছিলেন,

বিস্তারিত»

কর্ণেল জামিল-আড়াল হয়ে যাওয়া এক নাম

১৯৭৫ এর আগস্টের রাত,ঘড়ির কাটা ১৫ তারিখের আগমণ জানিয়ে গেছে তাও বেশীক্ষণ হয়নি। এর মধ্যেই স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায়টির সূচণা করতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সাঁজোয়া বহর নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ীর দিকে মুভ করে সেনাবাহিনীর জুনিয়র কিছু অফিসারের নেতৃত্বাধীন একটি সৈন্যদল। হত্যা করে শেখ মুজিব সহ পরিবারের অন্যদের। এই ইতিহাস আমরা মোটামুটি সবাই জানি।সেই রাতে অনেক রথী মহারথীদের রহস্যময় এবং ভীতু আচরণের বাইরে একজনকে দেখা যায় বীরত্ব এবং সাহসীকতা উপরন্তু কর্তব্যনিষ্ঠার এক জ্বলন্ত উদাহরণ স্থাপণ করতে।

বিস্তারিত»

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসঃ কেবলই কি ভ্রম?

বাংলাদেশের স্বাধীনতার একচল্লিশ বছর হয়ে গেল! আনন্দের ব্যাপার, গর্বের ব্যাপার, আমরা স্বাধীন জাতি। কেউ কেউ অবশ্য বলেন “স্বাদহীন” জাতি। কেননা রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত হলেও আমরা এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারিনি বিশ্বের বুকে! কেননা আমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করি, নিজেদের ইতিহাস বিকৃত করি এবং তারপর বলি “অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে হবেনা! ভবিষ্যতের কথা ভেবে এগিয়ে যেতে হবে।” আর ভুলে যাই যে অতীত আমাদের শিক্ষা দেয় ভবিষ্যৎ এর জন্য।

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরি

সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…

বিস্তারিত»

আমার বাবা-বেলা – ৩

[নয়] কানাডার প্রবাসী জীবন অনেক টানাপোড়েন। বেশ কিছুদিন চাকরীর টাকায় দিন আনা দিন খাওয়া চললো। অবশেষে আমেরিকায় একটি চাকরী জুটলো। কানাডার বেতনের তুলনায় অনেক বেশী। গিন্নীর মনটা ভারী। কিন্তু বাচ্চাগুলো কিছু বুঝে উঠতে পারছে না কি ঘটতে চললো। যথারীতি চাকরীতে যোগদিলাম। র‌্যালী – নর্থ ক্যারোলিনা। টরন্টো থেকে প্রায় সাড়ে আটশো মাইল। আমাকে প্রতিটি উইকএন্ডের রাতে ওদের ফোনে গল্প বলে ঘুম পাড়াতে হতো। মানে ওরা হোম ফোনটা স্পীকার ফোনে দিতো আর আমি গল্প বলে যেতাম।

বিস্তারিত»

তবুও…

ইদানিং কি সব কিছু ভুলে যাচ্ছি? তাই হবে হয়তো। এটা যে আমার নিজের বাসা সেটা বুঝতেই বেশ সময় লেগে গেল। আমাকে অফিসে যেতে হবে, দেরি হয়ে যাচ্ছে। ইশশ… কোন টাইটা পরব বুঝতে পারছিনা। আমার কালার কম্বিনেশন এর ধারনা খুবই খারাপ। শার্ট এর সাথে টাই এর ম্যাচিং করতে পারিনা। ওই তো নিতু ডাকছে “খেতে এসো, দেরি হয়ে যাবে তো!” আমি আর দেরি করলামনা। টেবিলে চলে গেলাম।

বিস্তারিত»