ক্যামেরা স্থির,স্লো মোশনের শট চলছে,রিপিট হয়ে এটা দিয়ে তৃতীয় বারের মত,ব্যাকগ্রাউন্ডের মিউজিক টা উত্তেজনা চরমে উঠাতে বদ্ধপরিকর।টিভি সেটের সামনে বসে থাকা মা,মেয়ের কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে,উপরের এবং নীচের পাটির দাঁতের মাঝখানে জায়গা করে নিয়েছে ডান হাতের অনামিকা।এখানেই কি শেষ?দুই মোটর সাইকেল এর মুখোমুখি এই সংঘর্ষই কি কেড়ে নিবে নায়কের জীবন?এটা হিন্দী সিরিয়ালের কোন এক স্ক্রীনশট,তবে আমার সামনে যেই ঘটনাটা ঘটতে যাচ্ছে সেটা মোটেই কোন স্ক্রীণ শট না, আর এখানকার দর্শকরাও এত মায়া এবং অপেক্ষা নিয়ে অনামিকাতে কামড় বসিয়ে নায়কের ভূ-পাতিত হওয়ার দৃশ্য খেয়াল করবে না,উলটো বাঁকা হাসি দেওয়ার চান্স বেশী।
গার্লস স্কুলের মোড় বলে কথা! যেখানে ছোট্ট এই শহরের সেরা সুন্দরীরা বিদ্যালাভের আশায় যাতায়াত করে।টিয়া রঙের ইউনিফর্ম পড়া এই সুন্দরীদের সামনে ভূ-পাতিত হওয়া মানে প্রেস্টিজের দফাটা একদম রফা হয়ে যাওয়া।এমন এক দয়া-মায়া হীন বিন্দুবাসিনী গার্লস স্কুলের চৌ-রাস্তায় বন্ধু জহিরুল স্ব-গাম্ভীর্য বজায় রেখে অপরদিক থেকে আসা আরেকটি মোটর সাইকেলের সাথে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দিল।“ছুটি” গল্পের মাখন লাল যেমন “গাম্ভীর্য গৌরব এবং তত্ত্বজ্ঞান-সমেত ভূমিসাৎ হইয়া গেল” অনেকটা সেরকমভাবে বন্ধুবরও পিচ ঢালা রাস্তার ছোঁয়া অনুভব করল শরীরের বিভিন্ন জায়গায়।পিছনের মোটর সাইকেলে বসে পুরো ঘটনার সাক্ষী হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না সেই সময়টাতে।তবে খুশীর খবর এটাই যে,সেই সময়টাতে টিয়া রঙের ইউনিফর্ম পরিহিত মেয়েদের আনাগোনা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়নি।
পৃথিবীতে কিছু মানুষের জন্ম হয় জীবনটা যে আসলেই একটা চলন্ত সিনেমা সেটা বোঝানোর জন্য। তাদের জীবনের প্রতিটা ধাপে ফিল্মী একটা ব্যাপার থাকবে যেটা দেখে মানুষ বুঝে নিবে যে পৃথিবীটা আসলে একটা বিশাল নাট্যমঞ্চ ছাড়া কিছু না।বন্ধু জহিরুলও তেমনই একজন।ওর সাথে “ফিল্মী” টাইটেলটা কালো প্যান্ট-সাদা শার্টের মতই ম্যাচ করে।সব কিছুতেই একটু আলাদা থাকা চাই।না হলে চলে না।দেয়াল থেকে লাফ দিয়ে নামার সময় মুখে একটা সিগারেট থাকা চাই।মাটিতে পড়েই হাতটা ঝেড়ে যেন একটা টান দেয়া যায়।“ভাই” লোক বলে কথা!
এখন যেই সময়টাতে আমরা সেই ছয় মাস আগের বাইক দুর্ঘটনার কথা মনে করে নির্মল আনন্দে ভেসে যাচ্ছি সেই সময়ে ছাদের অন্য কোনায় কাল চাদর মুড়ি দিয়ে বাম পা টা ছড়িয়ে দিয়ে গান শুনছে জহিরুল,কিছুদিন যাবত একটা ব্যাথা আছে পায়ে।দৃষ্টিটা উদাস থাকবে নিশ্চয়ই,মাঝে মাঝে সেখান থেকে আমাদের সাথে আলোচনায় অংশ নিবে,মুখে একটা মিটি মিটি হাসি থাকবে।সদ্য লালনের আখড়া ঘুরে আসা লোক,গানের ভিতরে না ঢুকলে কেমন হয়?গান চলতে থাকে চায়নীজ হ্যান্ডসেটটা তে, “আমি যারে ভালবাসি,তারে আবার বাসি না…”আস্তে আস্তে আমরাও ঢুকে যাই সেই গানের ভিতর।গানের দুটি লাইনে কানটা আটকে যায় সবসময় ‘ঘরের মায়ায় টানে মোরে,বাহিরেও যে ছাড়ে না রে’।জহিরুলের দিকে তাকাই,দৃষ্টিটা বেশী উদাস লাগে।ছেলেটা ইদানীং গান খুব বেশী শুনে।
ডিসেম্বরের শীতের সেই রাত গুলো ভরে থাকে এমনি হাসি,গল্প,গান আর নাম না জানা কিছু অনুভূতিতে।হারিয়ে যাওয়া আবার সেই হারিয়ে যাওয়ার মাঝেই নিজেকে খুঁজে পাওয়া।কলেজ পাড়ার মামার দোকানের প্রসাদ সেই হারিয়ে যাওয়াতে নতুন এক মাত্রা যোগ করে। ছাদের উপর জেগে থাকে অন্য এক জগৎ আর সেই জগতের মানুষদের আপন কোলাহল।কুয়াশার চাদর ভারী হয়ে থাকায় দূর আকাশের চাঁদের আলো তার পারফরমেন্সের পুরোটা না দেখাতে পারলেও একটা ‘অশরীরী’ ভাব নিয়ে আসতে পারে সেই জগৎটাতে। জ্বলন্ত কাঠখড়ির আলোয় চোখে পড়ে কারো ব্যস্ত হাতের সুনিপুন কারুকার্য,কেউ বা কথার চ্যানেল খুলে বসেছে।ক্ষণে ক্ষণে সেই চ্যানেল পরিবর্তন হচ্ছে।রাজনীতি থেকে শুরু করে এলাকায় নবাগতা সুন্দরীর আগমণ,সবই থাকছে সেই আলোচনায়। জ্বলন্ত কাঠখড়ি হাতে করে সিগারেট জ্বালানোর সুখটা সেই সময়টাতেই উপলব্ধি করি। মাঝে মাঝে সেই জগৎ থেকে ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে যেতাম আমি আর জহিরুল।উদ্যানের পাশের রাস্তায় চমৎকার ভাপা পিঠা বানায়।কনকনে শীতে কাঁপতে কাঁপতে গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার একটা স্বর্গীয় সুখ আছে।যাদের রাস্তায় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নাই তারা একটা সুখের দেখা পায় না,নিজের অজান্তেই।
জীবনটা তখন মিশে থাকত আরেক স্বর্গীয় ভালবাসায়,শর্মীর ভালবাসায়।সুযোগ পেলেই রিকশায় চড়ে রাতের শহরের আলো-খেলা দেখতে বের হতাম আমরা।হাতে হাত ধরে রচনা করতাম আরেকটি নতুন অধ্যায়ের,যেটি হবে আমাদের এই ছোট্ট শহরের মতই সুন্দর,আপন।যেখানে নাগরিক কোলাহল থাকলেও দিন শেষে “আপন” ভাবার মত শান্তির ব্যাপারটা থাকে। এভাবেই সুর পেতে থাকে কুয়াশা ভেজা দিন-রাতের কথাগুলি। গানে সুর দিতে দিতে উত্তরের বাতাস ততদিনে ক্লান্ত হয়ে গেছে,এবার দক্ষিণের পালা।দায়িত্ব পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনী বার্তা শোনা যেতে থাকে একটু একটু করে। ‘স্বপ্ন স্বপ্ন’ দিনের শুরু হতে থাকে।
সুন্দরীর স্বপ্নে মধ্যবিত্ত আর কর্মক্লান্ত যুবকের ঠাঁই নেই।থাকলেও সেটা ওই হাতে হাত ধরে স্বপ্ন দেখা পর্যন্তই।নিশুতি রাতে মহাকাশে জ্বলতে থাকা রাত জাগা তারাটিকে সাক্ষী রেখে ছেলে-মেয়ের নাম ঠিক করার মত বিলাসীতার সুযোগ নেই সে স্বপ্নের। প্রকৃতির এই নিষ্ঠুর নিয়মে সাড়া দিয়ে সেদিন দেবী বিসর্জনের করুণ সুর বেজে উঠেছিল হৃদয় মন্দিরে।চিরচেনা শহরটা হঠাৎ করেই নিয়নের আলোয় ‘আলোঝলমল’ করতে থাকে।বড্ড বেশী অচেনা লাগে শহরটাকে,অভিমান হতে থাকে ‘আপন’ শহরটার উপর।দূর গাঁয়ের কেউ এসে সীতা হরণ করে নিয়ে যায় সেদিনের সেই নিয়ন জ্বলা রাতে। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম অকর্মা নায়ক চরিত্র মনে হয় হৈমন্তী’র স্বামীকে।সেদিন নিজেকে তেমনি কিছু একটা মনে হচ্ছিল।যাই হোক সেই সুযোগে সেই দিনগুলোতে কলেজ পাড়ার মামার দোকানের ব্যবসা যে অনেকটা উন্নতির মুখ দেখছিল সেটা তো বলাই যায়।একজনের কিছু না পাওয়া যদি আরেকজনের মুখে হাসি ফোটাতে পারে তাতেই বা ক্ষতি কি?
দিন শেষে এক ঝাঁক অতিথি পাখি উড়ে যায় মাথার উপর দিয়ে।সন্ধ্যার আকাশে উড়ে যাওয়া পাখিদের দিকে তাকিয়ে বুঝি,ফিরে যেতে হবে।সময় বেশী বাকি নেই।প্রস্তুতি নিতে থাকি আরেকবার ফিরে যাবার। বড় হতে হতে অনেক বাস্তবতা এসে সামনে দাঁড়ায়।ছোট বেলার রঙ্গীন জীবনের ছবিটাতে আস্তে আস্তে সাদা-কালোর প্রভাব বাড়তে থাকে।অনেক না পাওয়া এবং ব্যার্থতাকে আড়াল করার জন্যই নিজের মনের সাথে ছলনা করে সেগুলোকে ‘অভিজ্ঞতা’ বলে চালিয়ে নিতে হয়।না হলে জীবন চলে না,থেমে থাকে।আর জীবনের তো থেমে থাকার নিয়ম নেই।
পৃথিবীতে কয়েকটা কষ্টদায়ক জিনিসের মধ্যে ‘বিদায়’ অন্যতম।কিন্তু এটা কিছু মানুষের সঙ্গী হয়ে যায়,সেই কিছু মানুষের মধ্যে আমিও পড়ি।আবারও বিদায়ের পালা। গত সব বারের থেকে এবারের বিদায়টা একটু আলাদা।এবার বিদায়ের সাথে সাথে অনেক কিছু জলাঞ্জলী দিয়ে যেতে হচ্ছে।আর এসব কথা ভয়ঙ্কর বন্ধুরা না বুঝলে কে বুঝবে?আর আমাদের ফিল্মী জহিরুলের লেকচারটা এখন পর্যন্ত পাইনি এই বিষয়টাতে,তবে এখন যে কিছু একটা থাকবে সেটা তো বুঝতেই পারছিলাম।তার বাঁ পায়ের ব্যাথাটা বেড়েছে,আজকে ওর গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা থাকলেও আমার জন্য সেটা ক্যান্সেল করা হয়েছে।
কোণায় ডেকে নিয়ে আমার কাঁধের উপর হাতটা রেখে আস্তে আস্তে বলা শুরু করল তার নিজস্ব ফিল্মী কায়দায়।খুবই ছোট কথাও যে মনের গভীরে গাঢ় আঁচড় কাটতে পারে তা ঐ ছোট কথাগুলি না শুনলে বোঝা যায় না।সেই ছোট কথা গুলিতে আর কিছু না থাকলেও তার ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকে অপরিসীম ভালবাসা।আর সেই ভালবাসাটাই বোধ করি আচড় কাঁটার কোদালটা চালায়।সেই সব ‘আঁচড় কাটা’ ভালবাসা আর ফেলে আসা কিছু স্মৃতিকে সঙ্গী করে সু-উচ্চ শূন্যতায় অন্ধকার আকাশ দেখতে দেখতে ছুটে চলি গন্তব্যে।সেদিনের আকাশ ছোঁয়া উঁচুতে কোন স্বপ্ন দেখা হয় নি।অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে হয় স্বপ্ন দেখা যায় না।
প্রিয় শহরের উপর কতদিনই আর অভিমান করে থাক যায়?তাইতো ফিরে এলাম প্রাণের শহরে মাত্র সাড়ে তিন মাসের মাথায়।এখন ছুটে চলেছি সাবালিয়ার রোডটা ধরে যেটা কিছু পরে গিয়ে হাইওয়ে তে মিলিত হবে,আমাদের গন্তব্য অবশ্য পথিমধ্যেই।মোটর সাইকেলের ঘাড় লক করে নামতে নামতে আনমনেই পকেটের দিকে মন যায়,সিগারেট আছে কিনা।জহিরুলের কাছে যে সিগারেট থাকবে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হবার সুযোগ নেই।
আকাশে ছোট ছোট মেঘেরা জড়ো হতে থাকে,দু-একটা বৃষ্টির ফোঁটা মনে হয় তাদের আগমনী বার্তা জানান দিয়ে যাচ্ছে, দূরের ধানক্ষেত পেড়িয়ে আসা বাতাসটাও একটু গম্ভীরভাবে বয়ে যাচ্ছে ।রাস্তা পার হই,ভুলো মনটার জন্য মায়া হতে থাকে।জহিরুল তো এখন আর সিগারেট খেতে পারে না,ভুলেই গিয়েছিলাম।ঝাপসা দৃষ্টে এগিয়ে যাই তন্ময়ের পিছন পিছন।গন্তব্য জহিরুল।
গতবার চলে যাবার কিছুদিন পরেই জহিরুলের ক্যান্সার ধরা পড়ে,পায়ের ব্যাথাটা বোন ক্যান্সারে রুপ নিয়ে ফেলেছিল ততদিনে। কেমো চলতে থাকে,আশা দেখাতে থাকেন ডাক্তারেরা।কিন্তু এর মাঝেই কোন এক মধ্য রাতে কাউকে কিছু না বলেই জীবনের পার্ট গুটিয়ে ফেলে জহিরুল।ঘরের মায়ায় না থাকার সিদ্ধান্ত সে নিয়ে ফেলেছে ততক্ষণে,বাহিরের ডাককে উপেক্ষা করা সম্ভব না। এই তো মাত্র কিছুদিন আগে,যখন দিন গুনছিলাম যাওয়ার পরই দেখতে যাব ওকে।সেই সুযোগ আর দিল কই সে?তার তো সব ফিল্মী কায়দায় হতে হবে।জীবনের পার্টটাও ফিল্মী কায়দায় শেষ করতে হবে।না হলে কিভাবে হয়।স্বাভাবিক মৃত্যু হলে তো সে আর সবার থেকে আলাদা থাকতে পারল না।
নিঃশব্দে দু জন মানুষ জহিরুলের সামনে যেয়ে দাড়াই।দেখা যায় না ওকে।নতুন গজানো কিছু ঘাস চোখে পড়ে।ফ্ল্যাশ ব্যাক হতে থাকে কত স্মৃতি,কত গান। হাসি হাসি চেহারাটা খুঁজে বেড়াতে থাকি চারপাশে,কিন্তু সেই হাসিমুখটি মনের জানালা ভেঙ্গে বাস্তবে উঁকি দিতে পারে না।কানের ভিতর বাজতে থাকে দুটি গানের লাইন “ঘরের মায়ায় টানে মোরে,বাহিরেও যে ছাড়ে না রে”,মনের পর্দায় ভেসে উঠে সেই উদাস চাহনিটা,যেখানে জেগে থাকত একটা অসীম শূন্যতা। ঘরের এবং বাইরের মায়ার যে টানাপোড়েন চলছিল ওর মনে সেখান থেকেই কি এই শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল? কোন একদিন দেখা হলে জেনে নিতে হবে মনে করে।
একটা যন্ত্রণা হতে থাকে,কিন্তু যন্ত্রণাটা ঠিক কোথায় হচ্ছে বুঝতে পারি না। তিনটি মানুষ চুপ করে থাকি।কেউ কারো সাথে কথা বলি না,চলে যাওয়া বন্ধুকে দেখতে গেলে বুঝি এমনটাই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়,এটাই বুঝি নিয়ম!ঝুম একটা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।কোথাও একটা বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি অনেক আগেই, এখন শুধু চোখ বেয়ে নেমে আসার পালা,আটকাতে পারছি না কোনভাবেই…
:boss: :boss: :boss: মনে হচ্ছে নিজের সামনে জীবন্ত ছবিগুলি। ভাল লিখেছিস।
Prisoner of Own Mind
🙂
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
দিন দিন আরো ভালো হচ্ছে আপনার লেখা ভাই..খুব খারাপ লাগলো পড়ে। :boss: :boss:
লেখার সময় আমার মনটাও ভীষণ খারাপ ছিল
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
লেখাটা ছুঁয়ে গেলো। তোমার বন্ধু ভাল থাকুক। লেখার ধরণটা পরিণত মনে হয়েছে।
ভাল থেকো।
ধন্যবাদ ভাই,আপনিও ভাল থাকবেন 🙂
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
অনেক সুন্দর লিখেছিস , কিছু অমুল্য অনুভুতি 🙂
ধন্যবাদ আপা 🙂
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি