‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নামের এক শব্দবন্ধের সঙ্গে আমাদের তারুণ্যের বেড়ে ওঠার অনেক স্মৃতি জড়িত। মনে পড়ে, তখন হঠাত করেই পত্র-পত্রিকা, মিডিয়া, বিজ্ঞাপন কিংবা জনমুখে ‘ডিজিটাল’ শব্দের ব্যবহার বেড়ে গেলো। সে সময়ে মানুষের মস্তিষ্কে তা এমন অভিঘাত তুলেছিলো যে শহর কিংবা মফস্বলে বিভিন্ন দোকানপাটের নামের সঙ্গে দেদার্চে ডিজিটাল শব্দটি যুক্ত হওয়া শুরু করলো। ‘মায়ের দোয়া ফুচকা’ হয়ে গেলো ‘ডিজিটাল ফুচকা শপ’, ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি’ হয়ে গেলো ‘ডিজিটাল বিরিয়ানি হাউজ’ এমন অজস্র উদাহরণ রয়েছে। এমনকি ‘এখানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মুসলমানি করানো হয়’ এমন পোস্টারও চোখে পড়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। অনুভব করি, ডিজিটাল শব্দটির এই দারুণ অভিঘাত নেহায়েত ফেলে দেয়ার মতো নয়। যে কোন কিছুর সঙ্গে ডিজিটাল যুক্ত হলে মানুষ একে একটু অন্যভাবে দেখতো। মনে পড়ে, ওই সময়ে কলেজে বাংলা উপস্থিত বক্তৃতায় ভাগ্যে পড়েছিলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নিয়ে কিছু বলার। তারুণ্যের প্রথম পর্বে এই বিষয় নিয়ে তখন ঠিক কী বলেছিলাম এত বছর পর তা আর স্মরণে নেই। এরপর পেরিয়েছে বহুদিন। কর্মজীবনে নতুন ভাবে অনুভব করতে শিখেছি প্রযুক্তির ব্যবহারকে। হাতে কলমে শিখে চলেছি প্রযুক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহার। ‘অ্যাডভোকেসি’তে কাজ করি, যার পাশেই রয়েছে ‘টেকনোলজির’র এক টিম। যারা প্রযুক্তি নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা করেছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে নৃবিজ্ঞানে সাইবর্গ অ্যানথ্রোপোলজির বিকাশ ঘটেছে বিগত শতাব্দীর নব্বই দশকের শেষ ভাগে। নৃবিজ্ঞানের অপেক্ষাকৃত নতুন এ ডিসিপ্লিন নিয়ে আগ্রহ কাজ করে তাই টেকনোলজির সহকর্মীদের সঙ্গে বিবিধ বিষয় নিয়ে আলাপচারিতার সুযোগ ঘটে। প্রযুক্তির সহায়তায় আসলে অনেক কিছুই যে করা সম্ভব, এ নিয়ে আলাপ হয়। হঠাত করে মার্চের শেষের দিকে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মোডালিটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিষ্ঠান ও কর্মী উভয়ই নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হয় যার জন্য কোন রকম পূর্ব-প্রস্তুতি ছিলো না। তুমুল ব্যস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য শুধুমাত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মোডালিটি সামাল দেয়া ছিলো অত্যন্ত কঠিন চ্যালেঞ্জ। আজ ঠিক ছয়মাস পরে এসে যখন এই লেখা লিখছি তখন অনেক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। অফিস খুলছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
‘অফিস’ নামক একটা স্পেসে স্বশরীরে উপস্থিত না থেকেও যে অনেক ধরণের কাজ করা সম্ভব করোনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো। এই কয়েক মাসে করোনা ভীষণভাবে উপলদ্ধি করতে শেখালো প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ হয়ে ওঠা করোনা পরবর্তী বিশ্বে ভীষণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। করোনাকালীন সময়ে জুম, গুগল মিট, হ্যাং আউট, স্কাইপের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবিনার, শিক্ষাদান ও আলোচনা কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠানকে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও অনলাইনে পাঠদান দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু, বাংলাদেশের মতো একটা দেশের বিবিধ আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় কোন রকম পূর্বপ্রস্তুতি, দক্ষতা কিংবা আনুষঙ্গিক সহায়তা ছাড়া অনলাইনে পাঠদান করা ছিলো অত্যন্ত দূরহ কাজ। প্রথমত, একটা সুবিশাল জনগোষ্ঠীকে এখনও প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসা সম্ভবপর হয়নি। অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলে প্রযুক্তিগত সহায়তা, নেটওয়ার্কজনিত ঝামেলা, বিদ্যুৎ বিভ্রাটসহ বিভিন্ন সমস্যা তো রয়েছেই। ফলে, সমাজের এক বিশাল জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তি সহায়তা নিশ্চিত করতে না পারায় পিছিয়ে পড়তে এক প্রকার বাধ্যই করা হলো যেন। তৈরি হলো নতুন এক ধরণের ‘টেকনোবৈষম্য’। গত মে মাসে ‘শিক্ষার ওপর করোনার প্রভাব’ শীর্ষক এক গবেষণায় যুক্ত থাকার সুবাদে পেশাগত খাতিরে আলাপচারিতা করতে হয়েছে শহর, গ্রাম ও মফস্বলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষক এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে। অধিকাংশই বলেছেন, প্রযুক্তিগত সহায়তা না থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই ক্লাসে অংশ নিতে পারছে না। আবার, অনলাইনে ক্লাস নিতে গেলে যে বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন তাও অনেকের নেই। নেই কোন সঠিক অরিয়েন্টেশন ও গাইডলাইন। যাদের স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য নেই তারা অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারছে না। অন্যদিকে, সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে সরকারের যে অনলাইন শিক্ষাদান কার্যক্রম তাও ফলপ্রসূ হচ্ছে না বিবিধ কারণে। প্রথমত, অনেক শিক্ষার্থীই মনে করছে ক্লাসগুলো যথেষ্ট মজার না। এর সঙ্গে ভাষার ব্যারিয়ারতো আছেই। দ্বিতীয়ত, টেলিভিশন এক ধরণের ওয়ান ওয়ে কমিউনিকেশন মাধ্যম যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার সুযোগ থাকে না। আবার, গ্রামীণ বাস্তবতায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, টেলিভিশনের দুষ্প্রাপ্যতা তো রয়েছেই। ফলে, টেকনোবৈষম্য বেড়েই চলেছে।
ইনফর্মাল সেক্টরে কাজ করা নারী এবং ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটিরশিল্প (এসএমই) নারী উদ্যোক্তাদের ওপর করোনার প্রভাব শীর্ষক ব্র্যাকের এক গবেষণা বলছে, যাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান ভালো তাঁদের ব্যবসার ক্ষতির পরিমাণ কম। আর যাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান কম কিংবা সে সুবিধাও নেই তারা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই গবেষণায় যুক্ত থাকার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যেতে পারে। প্রথমত, সরকারের কাছে কোন ডিজিটাল ডাটাবেইজ নেই যার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার, যৌনকর্মী, নারী শ্রমিক, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কিংবা উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছানো যায়। প্রশ্ন জাগে, সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রণোদনা ও আর্থিক সহায়তার কথা বলা হলেও ডাটাবেইজ ছাড়া তা কিভাবে সঠিক জায়গায় পৌঁছানো হয়েছে। অন্যদিকে, গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য সরকারের দুটো অর্গানাইজেশনের সঙ্গে বারবার মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভবপর হয় নি। সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তার মেইলের উত্তর এসেছে প্রায় এক মাস পরে যখন গবেষণা কাজ প্রায় শেষ। আরেকজন সরকারি কর্মকর্তা বলছেন, তারা মেইল চেক করেন না। সময় পান না। যেখানে মেইলের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ সম্পন্ন হয় সেখানে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন উত্তর অপ্রত্যাশিত। এই লেখা যখন লিখছি তখন গুগলের ২২তম জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। অথচ, কথিত ডিজিটাল বাংলাদেশে এই গুগলেরই সকল ফিচারের সঠিক ব্যবহার সবার জানা নেই। দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই নেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক মেইল আইডি। জাতীয় তথ্যবাতায়নসহ অন্য অনেক সরকারি ওয়েবসাইটে ঢুকলে চোখে পড়ে অপর্যাপ্ত ও তথ্য বিশৃঙ্খলার দৃশ্য। গত বছর একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ‘ন্যাশলনাল পালস সার্ভে’র রিপোর্টে উঠে এসেছে, ‘পর্যাপ্ত তথ্য প্রাপ্তির অভাবই সরকারি বিবিধ সেবা পাওয়ার অন্যতম প্রধান অন্তরায়’। অধিকাংশ মানুষই জানে না সরকারি বিবিধ সেবা পেতে ঠিক কী করতে হয়, কোথায় যেতে হয়।
করোনার সময়ে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এক নাগাড়ে বন্ধ ছিলো অনেকদিন। সাধারণ মানুষ যারা এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল তাদের ভোগান্তির সীমা ছিলো না। অথচ, প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যেতো। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান-ই তা করেছে। সম্প্রতি পেশাগত কারণে অনলাইনে ট্রেইনিং পরিচালনা করতে গিয়ে দারুণ কিছু অভিজ্ঞতা হলো। প্রতি সেশনেই বিভিন্ন জেলা থেকে গড়ে ত্রিশ থেকে চল্লিশজন পরিচালনাকারী অংশ নিয়েছেন। এ বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও অনুভব করেছি কিছু টেকনিকাল ঝামেলা এড়াতে পারলে এ ধরণের অনলাইন ট্রেইনিং কার্যক্রম এক অর্থে বেশ চমকপ্রদই। অংশগ্রহণকারীরাও ছিলেন স্বপ্রতিভ। গত বছর আরেকটা ট্রেইনিং পরিচালনা করার জন্য একটানা নয় দিন ফরিদপুর, বরিশাল, বগুড়া ও ময়মনসিংহ ছুটতে হয়েছিল। সে এক দারুণ কষ্টকর অভিজ্ঞতা। দু’টোর তুলনা করে দেখলাম, কিছু বিষয় লক্ষ্য রেখে যদি অনলাইনেই ট্রেইনিং পরিচালনা করা যায় সেক্ষেত্রে অর্থ, সময়, লজিস্টিক ও যাতায়াতের ঝামেলা থেকে মুক্তি সম্ভব। অবশ্য, সমালোচনা হতে পারে অনলাইনে ট্রেইনিং/শিক্ষাদান আসলে কতোটা সফল। সফলতা ও নিস্ফলতার বিষয়টি আপেক্ষিক। পুরোটাই নির্ভর করে অংশগ্রহণকারী ও যিনি শেখাচ্ছেন তাঁর ওপর। উভয় পক্ষই যদি সচেতন ও মনোযোগি হয়, তবে তা নিশ্চয়ই সম্ভব। এক্ষেত্রে যেহেতু অপর পক্ষকে পুরোপুরি মনিটর করার সুযোগ থাকে না তাই সামান্য ঝুঁকিও থেকে যায়। তবে, সেগুলো বৃহৎ কোন চ্যালেঞ্জ নয়। সঠিক গাইডলাইন ও অরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে এর সমাধান আছে। করোনাকালে নেটিজেনদের শেয়ার করা অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে দেখা যায়, অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা নিজের ব্যক্তিগত বিবিধ কাজ করে থাকে অথবা নেটফ্লিক্সে মুভি দেখে। গবেষণা বলছে, করোনাকালীন সময়ে প্রায় ১৯.৩৫% শিক্ষার্থীরা ফেসবুক ও ভিডিওগেমে আসক্তি হয়ে পড়েছে। আবার করোনার ওই দুঃসময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে ইনফোডেমিক বা তথ্যের মহামারি হতেও দেখা গেছে যা জনমনে বিভ্রান্তি ও ভীতির সঞ্চার করেছে। ঠিক এখানেই প্রযুক্তি নিয়ে সঠিক অরিয়েন্টেশ এবং আইডোলজি ও টেকনোলজির সমন্বয়হীনতা চোখে পড়েছে। কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামান যেমন বলেন; ‘টেকনোলজি অ্যাডাপ্ট করা যতো সহজ আইডোলজি ধারণ করা ততোটা সহজ নয়’।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের গঠিত বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন প্রশংসার দাবি রাখে সেই সঙ্গে সমালোচনার মাধ্যমে পলিসিগ্যাপগুলোকেও অনুধাবন করা জরুরি। শুধু উদ্যোগ নিয়ে টাকা বরাদ্দ করলেই হবে না, সে টাকার সঠিক ব্যবহারও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অনলাইন মিটিং-এ খাতা, কলম, খাবার খরচের ভুতুড়ে বিল করে জনগণের টাকা হাতিয়ে নিলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের যে মূল্য লক্ষ্য তা শুধু বিচ্যুতই নয়, কক্ষচ্যুতও হবে। মনে রাখা জরুরি, করোনা পরবর্তী বিশ্বে টিকে রাখার জন্য অবশ্যই প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ হতে হবে সেই সঙ্গে উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে প্রযুক্তিকেও। প্রযুক্তির সহায়তায় দূর করতে হবে যোগাযোগের সার্বিক সংকট ও পর্যাপ্ত তথ্য প্রাপ্তির অভাবকে। অন্যদিকে, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া জরুরি। সামগ্রিক ভাবে মানুষের উন্নয়নকে অনুভব করতে হলে তাকাতে হবে প্রযুক্তির লেন্স দিয়ে, তবেই হয়তো দেখা যাবে, ‘কতোদূর এগোলো মানুষ’।
(লেখাটি দৈনিক বণিকবার্তার সম্পাদকীয়তে ছাপা হয় অক্টোবর ০৭, ২০২০ তারিখে। সিসিবির পাঠকদের জন্য রইলো আবার।)
করোনা পৃথিবীকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিলো। আর বাংলাদেশকে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে একেবারে শেষ করে দিলো। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট তিনগুন পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু কাগজ কলমে, কাজে শূণ্য।
চমৎকার আলোচনা, ভালো লেগেছে।
সরকারী দপ্তরগুলোকে আরও দ্রুত প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম করে তুলতে হবে এবং এ ব্যাপারে ব্যর্থতাকে জবাবদিধি'র আওতায় আনতে হবে।