প্রতি রাতে চেয়ে দেখি ঘুরে-ফিরে,
ফেলনা সব খেলনা খুঁজে, যুদ্ধের আয়োজন চলে।
গাছের পাতায় হাওয়ার মাতম শেষ হলে- কাকেদের ঘরে শান্তি আসে।
তাদের ঘুম না ভাঙ্গিয়ে চুপিচুপি হেঁটে যায় কেউ,
চোখ মেলে ঊর্ধ্বাকাশে।
বেচাকেনার হাট বসে সাইনবোর্ড ছাড়া;
কে কেনে আর কে বেচে, বুঝে ওঠার আগেই মিলিয়ে যায় হাট।
পড়ে থাকে জঞ্জাল, মানুষের ঘাম।
রাস্তা বয়ে চলে সংবাদের গাড়ি,
আমরা ভার্সিটিতে ওঠার আগেই সমবয়েসী নীলাঞ্জনারা বড় হয়ে যেতে লাগল দ্রুত। আমাদের চেয়ে বড় বড় বিদেশফেরত ভাইদের হাতে মেহেদীরাঙা হাত তুলে দিয়ে সোনিয়া, টুম্পারা যখন মিন মিন করে কবুল বলছে, তখন চায়ের দোকানে বসে আমরা পান্থদার কাছে মিতুলের ঝাড়ি খাওয়া দেখছি। কৈশোরের পনের আনা সময় যে বালিকার কথা ভেবে কাটিয়ে দেয়া হয় তাকে সময়মত বলে ফেলার সাহস অর্জন করতে না পারায়, বাবার পরিবর্তে মামা হয়ে যাওয়ার করুণ ট্র্যাজেডি স্বচক্ষে দেখার সেই চিরায়ত বৃত্ত থেকে বের হতে পারে নাই আমার বাবা,
বিস্তারিত»আনন্দ হলের সামনে বাস থেকে নামতেই আবার রিংটোন বেজে ওঠে ফাগুনের। রিতা ফোন দিয়েছে। এই নিয়ে গত বিশ মিনিটে পঞ্চম ফোন।
– আরে এসে গেছি তো। এইত হলের সামনে। তুমি পার্কে থাকো। আমি আসছি।
– গিফট গুলো এনেছ তো?
– হ্যা রে বাবা। বললাম তো এনেছি।
ফোনটা কেটে যায়।
রিতার সাথে সম্পর্ক দুই সপ্তাহের।মাস ছয়েক আগে কাজলের সাথে ব্রেক আপ হবার পর প্রায় দুই মাস ফাগুন সিঙ্গেল ছিল।
(১৯৩৩ সালে স্বনামধন্য পত্রিকা আটলান্টিক মান্থলিতে ‘Three Days to See’ শিরোনামে মহীয়সী হেলেন কেলার-এর লেখা একটি মর্মস্পর্শী নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। লেখাটি আজো আলোড়িত করে অনুভূতিশীল যে-কোনো পাঠককে।)
১.
একদিন যে মারা যাব এটা সবাই জানি। কিন্তু, আমরা ধরেই নিই সেই দিনটি আসতে এখনো অনেক দেরি। যৌবনে মৃত্যুকে তাই এক অসম্ভব ব্যাপার বলে মনে হয়। জীবনের ব্যাপারে আমরা যেমন ঝিমোতে থাকি, ইন্দ্রিয়গুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও তেমনিভাবে ঝিমোই।
১.
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত গণিতবিদ জি এইচ হার্ডি বিরক্তমুখে তার অফিসে বসে আছেন। কিছুক্ষণ আগে একটি চিঠি এসেছে তাঁর হাতে। শ্রীনিবাস রামানুজন নামে এক ভারতীয় তাঁর মতামত জানতে চেয়ে ১২০ টি গাণিতিক উপপাদ্য পাঠিয়েছে। যার সবগুলোই নাকি সে ‘আবিষ্কার’করেছে! হার্ডি প্রায়ই এরকম উদ্ভট চিঠি পেয়ে থাকেন। এটাও সেরকমই হবে হয়তো। চরম বিতৃষ্ণার সাথে তিনি চিঠিটাতে একনজর চোখ বুলালেন।
বেশিরভাগ উপপাদ্যেরই মাথামুন্ডু স্পষ্ট নয়।
বিস্তারিত»১
স্রষ্টা জিজ্ঞাসা করেছিল
“কোন শেষ ইচ্ছা?”
চিন্তায় পড়ে গেলাম,
কোনটা ছেড়ে কোনটা?
সকালের পিটি ফাঁকি নাকি
নাকি এক্সট্রা পরোটা
নাকি চার পিরিয়ড টানা ঘুমিয়ে
মিল্কব্রেকের তাল বরাটা।
যেটা দিয়ে ছুঁড়ো ছুড়ি করতাম-
এপাশ থেকে ওপাশ, এ টেবিল থেকে ও টেবিল।
নাকি আফটারনুন প্রেপের ঘুম নেব
নাকি শুক্রবারের অপশনাল
নাকি জুম্মার পরে ব্লক ক্রিকেটে
মশারীর সূক্ষ্মজাল।
Most people can get along better without a vote than without a roof over their heads. Or without their heads. – Diana Johnstone
Destabilisation is Washington’s tool and game in a time when America’s long-lost economic-capitalist hegemony is fading at an ever accelerating pace. – Paul Street
১৪৫৩ সাল। ২১ বছর বয়সী তুর্কি সুলতান মেহমেত (দ্বিতীয়) বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করেন।
বিস্তারিত»রাত বারোটা-
সবে তো রাত শুরু
জেগে উঠছে কিছু আজব প্রাণীর দল।
ক্লাশ টুয়েলভের সবচেয়ে সুবোধ বালকটা
মাত্র রুমের দরজা খুলে বের হল।
ডিউটি মাস্টার চলে গেছে-
হাউস বেয়ারাও ব্যস্ত সুখের নিদ্রায়,
মোবাইলের চার্জও শেষ।
এইত সময়-
ছক কষার।
হাতে অনেক কাজ বাকি-
টিভি রুমটা খুলতে হবে,
চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচ আছে-
অমুকের মনটা আজ ভাল নেই,তাই-
সে ব্যস্ত টেংকিতে ওঠার রাস্তা বানাতে,
নোটঃ ফেসবুকে প্রকাশিত। মুঠোফোনের বাংলায় অভ্যস্ত নই বলে বানান ভুল আছে। ঠিক করতে পারছি না। দুঃক্ষিত।
বছর পাচ ছয়েক আগে মামা কোরবানী ঈদের পর একটা খাসী কিনে আনলেন। পরের বছর ঈদে কোরবানী করবেন বলে। খাসী উনি পালন করা শুরু করলেন এমন ভাবে যেন খাসী নয় উনার আরেকটা সন্তান বড় করছেন। মামী নাম দিয়ে দিলেন পুটু। আমি বাড়িতে গিয়ে দেখলাম পুটু শুধু সাদা ভাত খায় না,
বিস্তারিত»“১৯৭১ সালে আমাদের কলেজে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। এইখানে তারা বিভিন্ন বন্দীদের আটক করে রাখত। অনেক মেয়েদের উপর নির্যাতন চালানো হতো। এমন একজন মেয়ের নাম ছিল পুষ্পা। সে একদিন পালাতে গিয়েছিল কিন্তু পাকিস্তানিরা তাকে দেখে ফেলে। সে দৌড়াতে দৌড়াতে পানির ট্যাংকির উপরে উঠে। মিলিটারিরা তার পিছে ধাওয়া করে। ট্যাংকির উপরে উঠার পরে সে আর পালানোর রাস্তা না দেখে ট্যাংকি থেকে লাফ দেয়। মিলিটারিরা নীচে এসে দেখে রক্ত আছে,
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজে ক্লাস সেভেনে সাধারণত কেউ এক্সট্রা ড্রিল খায় না। তবুও আমাদের মঈনুল আর সাজেদ যখন এক্সকারশনে গিয়ে কোকের বোতল ঝাঁকিয়ে কোক ছিটানোর অপরাধে ক্লাস সেভেনেই ইডি’র স্বাদ গ্রহণ করল, আমাদের কেউ কেউ ওদের দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাঁকাত আর ভাবত আহারে, ছেলে দুইটার কত কষ্ট হল। কেউ কেউ ভাবত, ক্লাস সেভেনেই ইডি?!! এরা নষ্ট হয়ে গেছে। এরাই একসময় ব্যাচের মান সম্মান ডুবাবে। কলেজের ডিসিপ্লিন নষ্ট করবে।
বিস্তারিত»স্বপ্নে কেন উকি দিলে অনেক ভোরের বেলা ?
নির্জনতা ভাঙ্গেনি ত’ – হয়নি শুরু মেলা |
কোথায় তুমি জানি না ত’ , জানি আছ যোজন দূরে ;
হয়ত তুমি বন্দী আজো আধার পাতালপুরে |
মোর হিয়াতে ব্যাথা যত শুষে নিলে তুমি,
অবাক আলোর শান্ত ভোরে বিদায় নিলে চুমি |
স্বপ্ন এখন টুটে গ্যাছে,
বিস্তারিত»বৃষ্টিতে ভেজায় আমার কখনোই রোমান্টিকতার কোন আবেগ ছিল না। কিংবা আনমনে বৃষ্টি দেখতে দেখতে উদাস হয়ে যাওয়ার সুযোগও খুব কম পেয়েছি। যা পেয়েছি তা হল স্টাফের বাশির আওয়াজ। বৃষ্টিভেজা কোন একদিনে একটা ফুটবল নিয়ে পনের বিশ জন কাদা মাখামাখি করতে করতে স্টাফের বাশির আওয়াজ নয়ত সদ্য নামা মুষল ধারে বৃষ্টিতে ভিজতে নামা মাত্রই ওই দূর থেকে নোট খাতা হাতে সাইকেল নিয়ে তেড়ে আসা স্টাফের হুংকার।
বিস্তারিত»ক্লাশ সেভেনের বাচ্চা তখন।কলেজই ঠিক মত বুঝতে পারলাম না। দুপুরে ক্লাশ লিডার জিজ্ঞাসা করল শবে বরাতে রোজা রাখব কি না!!! ক্যাডেট কলেজে রোজা!!! ক্যামনে কি??
বুকে দম নিয়ে মুন্না ভাই কে জিজ্ঞাসা করতে যাব যে ওইদিনের শিডিউল কি তার আগেই মুন্না ভাই নিজে থেকে বলল,
– মজা আছে বুজছ!! রোজা রাখলে সারাদিন ঘুমাবা।
আমার চোখ দুটা বড় বড় হয়ে গেল। কন্ঠে অনেক বিস্ময়।।
ক্যাডেট লাইফের খুব প্রিয় একজন বন্ধুকে নিয়ে লিখলাম । জানি না কেমন হয়েছে। তবে এত বড় লেখার প্রচেষ্টা এটাই প্রথম। আশা করি ভুল ত্রুটী গুলো শুধ্রে দিবেন।
১
আমি খাকী।খাকী বলতে শুধু খাকী রং বুঝবেন না।খাকী শার্ট ও প্যান্ট। লোকে আমাকে আদর করে ছোট্ট নাম খাকী বলে ডাকে। লোক বললে ভুল হবে।যাদের সাথে আমার আনাগোনা তারা অন্য এক জাতি।ক্যাডেট জাতি।আমার জন্ম কোন হাইফাই টেইলার শপে নয়।ছোট্ট একটা ঘরে অনেক সহোদর ভাইয়ের সাথে অনেকটা তাড়াহুড়া মুডে আমাকে বানাতে দেখেছি।