CSE না EEE?

কিছুদিন আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হল। রেজাল্টও হয়ে গেল। হয়ত সামনে আরও কিছু ভর্তি পরীক্ষা আসবে। এসবের একবারে শেষে ভর্তি হওয়ার সময় যেই ব্যাপারটা সামনে আসে সেটা হল- “কোন সাবজেক্ট পড়ব?” বা একাধিক জায়গাতে সুযোগ হলে “কোথায় পড়ব?” আর যারা মোটামুটি একদম প্রথম সারির তাদের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নটা শেষ পর্যন্ত দাঁড়ায়- “CSE না EEE?” এখানে অবশ্য মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বলছি না। তাদের এসব সাবজেক্ট ঠিক করার কোন ঝামেলা নাই। আমি নিজে কম্প্যুটার সায়েন্সের ছাত্র ছিলাম। সেজন্য আমি কাদের কম্প্যুটার সায়েন্স পড়া উচিত সেদিকেই মনোনিবেশ করতে চাচ্ছি।

আমরা আমাদের চারপাশে আজকাল শুধু প্রযুক্তির খেলা দেখছি। আর এসব প্রযুক্তির মধ্যে সবচেয়ে মনোযোগ আকর্ষণকারী বস্তুটি সম্ভবত কম্প্যুটার। এটা দিয়ে কত কী যে হচ্ছে তার ইয়ত্তা নাই। এখন আবার কম্প্যুটারের ধরণও পালটে গেছে। আমাদের বাসায় প্রায় এক যুগ আগে প্রথম যে কম্প্যুটারটা কেনা হয়েছিল, আজকাল সেই দামে বা আরও কম দামে তার চেয়ে বেশি ক্ষমতার মোবাইল ফোনই কেনা যাবে। এগুলোকে বলা হচ্ছে স্মার্ট-ফোন। আসলে নামে ফোন হলেও এগুলো এক একটা কম্প্যুটারই। আর এমন নানা ধরণের যন্ত্র আজকাল বাজারে আসছে, সামনেও আসবে। সেগুলোর মধ্যে এত বৈচিত্র্য যে কোথায় কম্প্যুটার থাকবে না সেটাই দেখার বিষয়।

আমরা দেখলাম, এই নতুন ধরণের নানা আকারের ও বৈশিষ্ট্যের বৈচিত্র্যময় যন্ত্রগুলোকে এখন আর কম্প্যুটার বলা হচ্ছে না, বলা হচ্ছে “স্মার্ট” ডিভাইস। স্মার্ট ফোন, স্মার্ট হাতঘড়ি, স্মার্ট গাড়ি থেকে শুরু করে আস্ত শহর পর্যন্ত স্মার্ট হয়ে যাচ্ছে। তা এই স্মার্ট দুনিয়ায় কম্প্যুটার সায়েন্সের কাজ কেমন হবে? তার আগে একটা কথা বলে নিই। সেটা হলে কম্প্যুটার সায়েন্সের কাজ কী? কী করবে কম্প্যুটার সায়েন্স পড়ে? কাজটা হল- “স্মার্ট বানানো”। কেউ যেন আবার কম্প্যুটার সায়েন্সকে ফ্যাশন ডিজাইনিং মনে করবেন না তাই বলে। আমাদের দেশে স্মার্ট শব্দটা ব্যবহার করা হয় খুব কেতাদুরস্ত পোশাক পরা, ভাব-সাব নিয়ে চলা ছেলেদের ক্ষেত্রে। কখনও কখনও মেয়েদের ক্ষেত্রেও। আসলে কিন্তু স্মার্ট শব্দটার মানে “যার ঘটে কিছু বুদ্ধি আছে”। ডিকশনারি দেখে নিতে পারেন এক ফাঁকে। তো যেটা বলছিলাম- আমাদের মানে কম্প্যুটার সায়েন্টিস্টদের কাজ হল স্মার্ট বানানো। কাদেরকে? ঐ যন্ত্রগুলোকে যাদের আমরা স্মার্ট বলি।

আসলে কিন্তু এগুলো নিতান্তই বোকা যন্ত্র। কতখানি বোকা সেটা কম্প্যুটার নিয়ে না পড়লে ঠিক বোঝা যাবে না। এদের বোকামি নিয়ে অনেক কৌতুক আছে। যেমন একটা হল- আপনি যদি কম্প্যুটারকে একটা বন্ধ ঘড়ি আর একটা ৫ মিনিট স্লো ঘড়ির মধ্যে কোনটা ব্যবহার করবেন জিজ্ঞাসা করেন, সে বলবে বন্ধ ঘড়িটাই ব্যবহার করতে। কারণ, এই ঘড়িটা দিনে দুইবার হলেও সঠিক সময় দিবে। কিন্তু অন্য ঘড়িটা কখনই ঠিক সময় দেবে না। চাইলে এর মধ্যে আরও অনেক শর্ত আবিষ্কার করা যায়। যেমন- ঘড়িটা কাঁটাওয়ালা অ্যানালগ ঘড়ি হতে হবে ডিজিটাল হওয়া যাবে না ইত্যাদি। কিন্তু বোকা বলি আর যাই বলি না কেন, একটা ক্ষমতা এদের আছে, একবার কোন একটা ব্যাপার ঠিকঠাক মত বুঝিয়ে দিতে পারলে, তারা সেটা এমন অবিশ্বাস্য গতিতে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে করে যেতে থাকে যে সেটা মানুষের দ্বারা সম্ভব না। তবে গোলটা হল ঐ “ঠিকঠাক” এর মধ্যে। বোকা যন্ত্রকে কিছু ঠিকঠাক মত বোঝানো খুবই কঠিন এবং ধৈর্যের একটা কাজ। আর এটাই হল কম্প্যুটার বিজ্ঞানীদের কাজ। যারা বিষয় নির্বাচনের ঝামেলার মধ্যে আছ, তারা চিন্তা করে দেখ এই কাজটা তোমাদের ভাল লাগবে কিনা।

বোকা যন্ত্রকে একের পর এক ঠিক ঠিক নির্দেশনা দিয়ে কোন কাজ করার উপযোগী করার এই ব্যাপারটাকে বলা হয় “প্রোগ্রামিং”। প্রোগ্রামিং এর সাথে আগের পড়ে আসা বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক বোধহয় গণিতের। কারো যদি অঙ্ক করতে ভাল লাগে, আশা করা যায় তার প্রোগ্রামিং ও ভাল লাগবে। তবে এই ভাল লাগাটা কিন্তু সাজেশান থেকে বারবার প্র্যাকটিস(পড়ুন মুখস্থ) করে পরীক্ষায় কমন আসা প্রশ্নের উত্তর উগলে দিয়ে এ+ পাওয়া ম্যাথ এর ব্যাপারে হলে হবে না। বরং ব্যাপারটা অনেকটা এরকম- একদম আনকোরা নতুন অঙ্ক, যেটা নিয়ে চিন্তা করে ধাপে ধাপে সমাধান করতে হবে। কখনও হচ্ছে, কখনও হচ্ছে না। না হলেও হাল না ছেড়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছ। এরপর একসময় যখন সমস্যাটার সমাধান হয়, সেটা ভিতরে একটা অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যায়। সেই আনন্দকে যারা পছন্দ কর, তাদের জন্যই প্রোগ্রামিং মজার হবে আশা করি। এজন্য যাদের গণিত অলিম্পিয়াড জাতীয় প্রতিযোগিতায় আগ্রহ ছিল, তারা বিশেষভাবে CSE-এর কথা চিন্তা করে দেখতে পার।

সমস্যা সমাধানের প্রতি আগ্রহের সাথে সাথে কম্প্যুটার সায়েন্সের জন্য আরও যেটা দরকার বলব, সেটা হল কাজের ব্যাপারে পারফেকশনিস্ট হওয়ার। মানুষ বা অন্যান্য বুদ্ধিমান(গরু এবং গাধাকেও এর মধ্যে ধরতে হবে) প্রাণীদের সাথে যোগাযোগ করা বা নির্দেশ দেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে একেবারে বিস্তারিত বলি না। কারণ এদের কম-বেশি “আক্কেল” আছে। আর কথায় আছে- “আক্কেলওয়ালাদের জন্য ইশারাই যথেষ্ঠ”। আক্কেল কম হলে ইন্সট্রাকশান আরেকটু বেশি দিতে হবে এই আর কী। কিন্তু কম্প্যুটারের মত একেবারে খাঁটি বেক্কল যন্ত্রকে সব-কিছুই একেবারে খুঁটিনাটি সহ বুঝিয়ে দিতে হয়। যদি কখনও না হয়, তাহলে বুঝতে হবে সেই কাজটা অন্য কোন প্রোগ্রামার বা কম্প্যুটার বিজ্ঞানী আগেই করে রেখেছেন। এই ক্ষেত্রে সবকিছু একবারে নিখুঁত পারফেক্ট করার মানসিকতাটা খুব জরুরী। যদিও সবকিছু শেষ পর্যন্ত পারফেক্ট হবে না হয়ত। কিন্তু প্রথম থেকে চেষ্টাটা থাকলে পরে ঝামেলা কম হবে। সাথে সাথে লেগে থাকার ব্যাপারটাও থাকে। তবে লেগে থাকার ব্যাপারটা মনে হয় সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, শুধু কম্প্যুটার সায়েন্সের ক্ষেত্রে না।

সব শেষে যেই গুণটার কথা বলব- সেটা হল ইনোভেটিভ চিন্তা-ভাবনা। নতুন নতুন আইডিয়া বের করা আর সেটার বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করা। জানি এটাও শুধু কম্প্যুটার সায়েন্সের ক্ষেত্রে না, সব ক্ষেত্রেই সত্যি। তবে কম্প্যুটার সায়েন্স বা আর বড়ভাবে চিন্তা করলে আইটি এর ক্ষেত্রে বলতে হয়, এখানে নতুন আইডিয়া আনার এবং সেটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সুযোগ অন্য যে কোন ক্ষেত্রের চেয়ে বেশি। এখনও সব সময় নতুন নতুন আইডিয়া আসছেই। এবং এমন একটা আইডিয়া বদলে দিতে পারে আমাদের জীবন। একার না, সাথে আরও অনেক মানুষের জীবন। আমরা আজকাল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ ফেসবুকে ব্যয় করি। কাজে হোক বা অকাজে। এটা আইডিয়ার একটা উদাহরণ মাত্র। কম্প্যুটার সায়েন্স বা আইটি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে কোন আইডিয়া নিয়ে কাজ করা মনে হয় এতটা সহজ না।

মোটকথা কেউ যদি কম্প্যুটার সায়েন্স বা CSE-তে পড়তে চায়, তাহলে তার এটা মনে রাখতে হবে যে, তাকে মাথা খাটাতে হবে। এজন্য আমি এই বিষয়টাকে ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেয়ে সায়েন্স বলতেই বেশি পছন্দ করি। তবে আমাদের এই দেশে শুধু মাথার উপর কিছু চলে না। সাথে সাথে কখনও কখনও নির্ভেজাল কায়িক শ্রমেরও (মুখস্থ, ঠোঁটস্থ করার) প্রয়োজন পড়তে পারে। শিরোনাম দিয়েছিলাম “CSE না EEE?” স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে আমি আমার সাবজেক্টের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টা করব। কিন্তু সত্যি কথাটা হল- আমি নিজের সাবজেক্ট নিয়ে যতটা জানি, খুব স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য সাবজেক্টগুলো নিয়ে তেমন জানি না। আমি এখানে আমার সাবজেক্টকে সবচেয়ে ভাল প্রমাণ করতে চাইনি। চেয়েছি কাদের জন্য সাবজেক্টটা ভাল হবে সেটা নিয়ে লিখতে। এখানে যা যা লিখেছি, সেটা অন্যান্য সাবজেক্টের জন্য যে প্রযোজ্য হবে না এমন কোন কথা নাই। এভাবে সবাই নিজের সাবজেক্টের কথা যদি বলে, তাহলে যারা এখন “কোন সাবজেক্ট নিব” এই টেনশনে আছে, তাদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। আর যারা সাবজেক্ট নেয়া না নেয়া নিয়ে চিন্তা করছ তাদের বলি- “CSE ভাল না EEE?” বা “কোন সাবজেক্টটা সবচেয়ে ভাল?” এভাবে না ভেবে বরং ভাব কোন সাবজেক্টটা তোমার জন্য ভাল হবে। সেটা তুমিই ভাল বুঝতে পারবে।

আমাদের দেশে পড়াশোনার ব্যাপারে কিছু ভূত আছে। বেশির ভাগ সময় বাব-মার মাথায় প্রথমে চাপে সায়েন্সের ভূত, তারপর ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানোর ভূত। আরেকটা ভূত আছে- ক্যারিয়ারের ভূত। এসব ভূতের পাল্লায় পড়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা গুটিকয়েক সাবজেক্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। যোগ্যতা অনুযায়ী মেধার বন্টন হয় না। অথচ ভাল করলে যেকোন সাবজেক্ট থেকেই ক্যারিয়ার গড়া যায়। যে কিনা খুব ভাল একজন অর্থনীতিবিদ, পদার্থবিদ বা সমাজবিজ্ঞানী হতে পারত, দেশের জন্য বয়ে আনতে পারত বড় কোন সম্মান, সে বড় বেতনে ন’টা-ছ’টা অফিস করে জীবন পার করে দেয় কিংবা পাড়ি জমায় বিদেশে। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসা উচিত।

৯,৯০৮ বার দেখা হয়েছে

১৯ টি মন্তব্য : “CSE না EEE?”

  1. খুব ভালো লেখা... কিন্তু কিছু কথা না বলে পারছিনা...
    কম্পিউটার সায়েন্স যেরকম মজার সাব্জেক্ট, প্রফেশনালি কাজ করার সময় এই মজার সাথে আরো অনেক কিছু চলে আসে যেইটা অনেকের কাছে মজা না লাগলেও মেনে নিতে হবে। শুধুমাত্র মজার মজার প্রবলেম সলভিং করেই জীবন চলে যাবে ব্যাপারটা এরকম না, বরং অনেক সময় ক্লায়েন্টের সাথে বিরক্তিকর আলোচনা, কাজের মাঝখানে পুরা প্রজেক্টের রিকোয়ারমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যাওয়া, ডকুমেন্টেশন করা, ডিপ্লয়মেন্ট এনভায়র্নমেন্ট সেটাপ করা, বাজে বাজে ট্রাবলশুটিং করা, অন্যের করা বাজে কোড ঠিক করার মত কাজও করতে হয়। শুধু আমাদের দেশেই না, বাইরের দেশের ক্লায়েন্টরাও কম্পিউটারের ব্যাপারে একটু কম বোঝে। তাদের অনেক অন্যায় আবদার হাসি মুখে মেনে নিতে হয়, কিছু ক্ষেত্রে তাদের সুবিধার জন্যে এমন জিনিস বানাতে হয় যা হয়ত যে ডেভলাপ করছে তার কাছে ভালো মনে হচ্ছে না। এরকম অনেক চ্যালেঞ্জ আছে কর্মক্ষেত্রে। আমরা সর্বোচ্চ তাদেরকে কি করলে ভালো হবে সেটা জানাতে পারি, কিন্তু শেষমেশ সিদ্ধান্তটা ক্লায়েন্টের উপরেই নির্ভর করে। তবে এই অবস্থা এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং আস্তে আস্তে আরো ভাল হচ্ছে।

    আরো একটা ব্যাপার হচ্ছে, পড়াশুনা শেষ করলেই যে অনেক বেশি বেতনে চাকরি হয়ে যাবে, সেটা সবার ক্ষেত্রে সম্ভব না। তবে হ্যা, চাকরি হবে এবং কিছুদিনের মধ্যেই বেতনও ভালো হবে যদি ভাল কাজ দেখানো যায়। যদি ইউনিভার্সিটির লেকচারার হওয়ার ইচ্ছা না থাকে তাহলে সিজিপিএ তেমন ব্যাপার না, ভালো কাজ জানলেই হবে।

    এরকম সমস্যা যে অন্য কোন ফিল্ডে হবেনা সেটা নয়, কিন্তু তাও বলে রাখা দরকার মনে করলাম।

    জবাব দিন
    • গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

      আমি আসলে চেয়েছিলাম কম্প্যুটার সায়েন্স (ইঞ্জিনিয়ারিং না :D) নিয়ে পড়তে গেলে কী কী ব্যক্তিগত skill-এর দরকার হয় সেদিকটাই দেখাতে। তবে প্রফেশনাল লেভেলের কিছু ধারণাও সাবজেক্ট বেছে নিতে কাজে লাগতে পারে। আর চাকরি মনে হয় সব সাবজেক্টের ক্ষেত্রেই একটা না একটা হয়ে যাবে। একটু আগে আর পরে।

      জবাব দিন
  2. জীবনে যে কি পড়তে চাইছি আর কি হইতে চাইছি কখনো ওভাবে ভাবিই নাই!
    ইঞ্জিনিয়ারিং এ CSE/CIT নিছিলাম ২৪ ঘন্টাই যেন কম্পিউটার নিয়া/গানবাজনা, মুভি, গেমস নিয়া থাকতে পারি সেটা ভাইবা। 🙂

    আমি লাকি মানুষ! চামেচুমে উৎরাইতে চাইছি সবসময়। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহপাক সহায় হয়েছেন।

    জবাব দিন
    • গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

      রিজওয়ান, আমার মনে হয় তুমি বুয়েটের CSE আর EEE এই দুই সাবজেক্টে পড়ে বা পড়ত দুইজন ভাইয়ার সাথে আলাদা আলাদা ভাবে বাবা-মা সহ সরাসরি আলাপ করতে পার। পরিচিত থাকলে ভাল। নাহলে ক্যাডেটদের মধ্যে অনেককেই পাবে আশা করি। বিস্তারিত আলাপ। সাবজেক্ট দুটো কী ধরণের, ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে, কী ধরণের জব হতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি। সাথে তোমার পছন্দের ব্যাপারটাও আলোচনা করার সময় বল। এরপর সিদ্ধান্ত নাও। আশা করি, তোমার বাবা-মাও তোমার মতে অমত করবেন না। অনেক অনেক শুভ কামনা তোমাদের জন্য।

      জবাব দিন
  3. শরিফ (০৩-০৯)
    “CSE ভাল না EEE?” বা “কোন সাবজেক্টটা সবচেয়ে ভাল?” এভাবে না ভেবে বরং ভাব কোন সাবজেক্টটা তোমার জন্য ভাল হবে। সেটা তুমিই ভাল বুঝতে পারবে

    খুব সুন্দর একটা কথা বলছেন গুলশান ভাই । :clap: :clap: :boss: :boss:

    জবাব দিন
  4. খুবই কাজের পোষ্ট। আমি যখন সাবজেক্ট সিলেকশন করি তখন এগুলো আমার জানা ছিলনা। সবার মতো অনেকটা হুজুগে পড়ে সাবজেক্ট সিলেকশন করেছিলাম। তুমি কম্পিউটার সায়েন্টিষ্ট (অথবা/এবং এঞ্জিনিয়ার) দের কাজ অনেক লোয়ার লেভেল এ আলোচনা করেছ। এই সাবজেক্টে পড়ে তাদের কোথায় কি ধরনের কাজ করার সুযোগ হতে পারে এটা নিয়েও আরো ডিটেইলস আলোচনা করতে পার। আর একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি এই সাবজেক্টের বিশেষ কিছু এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিস আছে এগুলো নিয়েও এদের জানাতে পারো।

    জবাব দিন
  5. নাফিজ (০৩-০৯)

    খুবই প্রাসঙ্গিক লেখা...আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

    তবে আরো কিছু ব্যাপার মনে হয় যোগ করা যেত...ফাহাদ ভাই যেমনটা বললেন আরকি।প্রোগ্রামিং তো cse এর ভিত্তি কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু আমার ধারণা বেশিরভাগ ছেলেপেলেরই মূল যে সমস্যাটা হয় তা হচ্ছে তারা তাদের destination টাই আন্দাজ করতে পারেনা। অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইলে eee এর চেয়ে মেক্যানিকাল পড়া ভালো... কিন্তু এই ছোটখাট ব্যাপারগুলোই অনেকে এখনো জানে না। কাজেই নতুন ছেলেদের ধারণা দেয়ার সময় তাদের প্রফেশনাল লাইফ এবং বাংলাদেশের আসল চিত্রটা (যেটা আপনাদের চেয়ে ভালো কেউ দিতে পারবেনা ) দেয়া প্রয়োজন। at least they should have a guess where they might end up.

    ভালো লাগলো লেখাটা- এরকম আরো দুই একটা পোস্ট পড়ুক আশা করি :thumbup: :thumbup:


    আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।

    জবাব দিন
  6. অয়ন মোহাইমেন (২০০৩-২০০৯)

    খুবই কাজের লেখা। দু'বছর আগে যখন কোন সাবজেক্ট নিব তা জানার জন্য মানুষের কাছে তা নিয়ে জানতে চাইতাম তখন এক বন্ধু বলেছিলো "তুই যেটা নিবি আমিও ওইটাই নিবো নাইলে ভার্সিটির প্রথমদিন আমি কার সাথে কথা বলুম?" তখন ঠিক আপনার এ উত্তরটিই অন্য এক ফরম্যাটে দিয়েছিলাম

    CSE ভাল না EEE?” বা “কোন সাবজেক্টটা সবচেয়ে ভাল?” এভাবে না ভেবে বরং ভাব কোন সাবজেক্টটা তোমার জন্য ভাল হবে। সেটা তুমিই ভাল বুঝতে পারবে

    এ অবস্থা এখনো বিরাজমান। পোস্টটা দরকার ছিল, নিজ-নিজ কর্মক্ষেত্র নিয়ে সিনিয়ারেরা এরকম আরো পোস্ট দিলে আমাদের মত নাদানদের আসলেই অনেক সুবিধা হয়।

    জবাব দিন
  7. EEE থেকেই CSE এর উৎপত্তি। EEE তে আপনি ইলেক্ট্রনিক্স, ইলেক্ট্রিক্যাল, প্রোগ্রামিং এবং কম্পিউটারের উপর ধারনা পাবেন। আপনার ক্যারিয়ার যেকোনো একদিকে নিতে পারবেন। CSE এর কথা বলতে গেলে আপনি প্রোগ্রামিং এবং কম্পিউটার হার্ডওয়ার সম্পরকে ধারনা পাবেন।
    ক্যারিয়ারের কথা বলতে গেলে আমাদের দেশে CSE থেকে EEE এর জব মার্কেট বেসি জঞ্জমাট।

    আমার ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি। দুটই ভাল তবে EEE একটু বেশি। যদি আপনি চালাকি করতে পারেন। উধারন সরূপ আপনি EEE করার পর আপনার জব যদি প্রোগ্রামিং বা কম্পিউটার লাইনে হয় আপনি CSE তে MS করে নিতে পারেন। আপনি CSE ব্যাকগ্রাউন্ডের হলে ইলেক্ট্রনিক্স সম্মন্দে অনেক কিছুই আপনার কাছে অন্ধকারে থেকে যাবে।

    সহজ কথায় EEE এর অনেক রাস্তা আছে কিন্তু CSE এর সামনে মাত্র একটি রাস্তা। অসুবিধা হল EEE অনেক পুরাতন সাব্জেক্ট। বুড়া হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে CSE নতুন বা আধুনিক।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।