সুমন ভাইয়ের অচিনপুর পোস্টটা দেখে কলেজে লেখা একটা কবিতা (কোবতে বলা better) মনে পরে গেল। হঠাৎ খায়েশ হইসে একটা পোস্ট দেই, :shy: কিন্তু বহু দিন ধরে লিখি না, লেখাও তাই অভিমান করে আমাকে ছেড়ে ভাগসে। তাই কলেজে লেখা ওই কোবতেটাই দিলাম। এটা সেই আমলে লেখা, যখন ওয়াল ম্যাগাজিনের জন্য তাড়া খেতে খেতে কাগজ কলম নিয়ে সবাই কবি হয়ে যেত। আগে একটা ব্লগে দিয়েছিলাম, সেই ব্লগ আর নাই,
বিস্তারিত»ডাইনিং হলের দুই টুকরা……
ক্লাস সেভেন থেকে টুএল্ভ পর্যন্ত ছয় বছরের হাজারটা স্ম্রিতির মধ্যে বিশাল ১টা অংশ জুড়ে আছে ডাইনিং হল। মনে পড়ে ক্লাস সেভেনে ডাইনিং হলটাকে দোযখ মনে হত। কারন জুনিওরদের ফল্ট ধরার পারফেক্ট জায়গা ছিল এটা সিনিওর দের জন্য। কাপা কাপা হাটু নিয়ে ভেতরে ঢুকতাম। বের হয়ে সস্তির ১টা নিঃশবাস ফেলতাম। ধীরে ধীরে এই ডাইনিং হলটাই খুব মজার ১টা জায়গা হয়ে উঠেছিল ক্লাস ইলেভেনে উঠে। আজ ডাইনিং হলের দুটো কাহিনি বলব যেগুলো আমি আমার হোল লাইফ এ কোনদিন ভুল্বনা।
বিস্তারিত»কলেজে প্রথম ঘড়ি পড়ার দিন…
কলেজে সিনিয়রিটি প্রকাশের অনেক গুলা মাধ্যম ছিল। তার মধ্যে ১টা ছিল ঘড়ি পরা। জ়ুনিয়র থাকতে দেখতাম, সিনিয়র রা ঘড়ি পরতেন। আর আমরা মনে মনে ভাবতাম কবে সিনিয়র হব আর ঘড়ি পরব। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এল। আমরা ঘড়ি পরার পারমিশন পেতাম প্রি-টেস্ট শুরুর দিন থেকে। ঘড়ি পরে এক্সাম দিতে গেলাম। কি ভাব এক একটার!! সিনিওর হইয়া গেসি। ঘড়ি পরি। ইংলিশ এক্সাম ছিল সেদিন। কে আর আমল দেয় ইংলিশ এক্সাম।
বিস্তারিত»আমার লাস্ট স্পোর্টস ডে
ডিসেম্বর ২০০৪। সেদিন ছিল আমাদের লাস্ট স্পোর্টস ডে। সিপি হবার আগে আমার কোনো ধারনাই ছিলনা যে একটা সাধারন স্পোর্টস ডের এতো কাজকর্ম থাকতে পারে। ছোটোখাটো সবকিছুর খোঁজখবর রাখতে গিয়ে হালুয়া টাইট হয়ে যাছ্ছিল আমার।
আমাদের চিফ গেস্ট ছিলেন ইশতিয়াক আঙ্কেল, আমার আব্বুর কোর্সমেট। ওনার মেয়ে জুহি আপু আবার আমার খুব ভাল ফ্রেন্ড। ওনারা আসার পর জুহি আপুর কাছে যেতেই উনি বললেন,
বিস্তারিত»মোস্ট বেয়াদব জুনিয়র- পার্ট থ্রী
ক্লাস নাইন এর ঘটনা। তখন কলেজে নতুন ক্লাস ইলেভেন এসেছেন। কে কত বেশি ভয়ঙ্কর সিনিয়র তা প্রমান করার জন্য প্রতিদিনই তারা নিত্যনতুন উপায় বের করছেন। এ ব্যাপারে আবার সদাচার হাউস সবচেয়ে এগিয়ে ছিল!
একদিন রেস্ট টাইমে থার্ড ব্লক, ফার্স্ট ডর্মের সেই প্রিয় বিছানায় ঘুমানোর আয়োজন করছি। সবেমাত্র চোখটা লেগে এসেছে কি পলেন কোথ্থেকে দৌড়ে এসে বলে, “অর্চি ওঠ, ক্লাস ইলেভেন ডাকে তোকে।” আমি তো অবাক!
বিস্তারিত»Most বেয়াদব জুনিয়র- পার্ট টু
আমাদের Alternate ব্যাচ এর তখন অনেক দাপট চলছে। SSC-র সময় সিনিয়র আপারা ওই ব্যাচকে সাধারনত ঘাটাঘাটি করতেন না। তার উপর ৪তলা পুরোপুরি SSC candidatesদের দখলে হওয়ায় ওনারা তার যথাযোগ্য ব্যবহার শুরু করলেন। আমরা কয়েকজন ছিলাম ওনাদের প্রিয় পাত্রি। rest time, free time থেকে শুরু করে lights off এর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন কায়দায় ওনারা আমাদের torture করার উপায় আবিস্কার করতে থাকলেন।
একদিন games time এ আমরা বাস্কেটবল খেলছি।
বিস্তারিত»Most বেয়াদব জুনিয়র!
আমাদের কলেজ়ে ১টা common term ছিল- ‘Most বেয়াদব জুনিয়র’। প্রত্যেক ক্লাসেরই কিছু ক্যাডেট এর ভাগ্যে somehow এই tag নাজিল হত। ক্লাস সেভেনে আসতে না আসতেই কিভাবে কিভাবে জানি ১দিন আমারও ভাগ্যে এই খেতাব জুটে গেল।
2nd টার্মের ঘটনা। একদিন আমরা form এ বসে গানের কলি খেলছিলাম। B form এর শেষ ৪টা ডেস্কে বসতাম আমি, পলেন, জিনিয়া আর সোনিয়া। তখনকার ১টা famous গান ছিল ‘o maria o maria…’
বিস্তারিত»আজকে রেজাল্ট ছিলো
আজকে এস.এস.সির রেজাল্ট দিয়েছে। প্রতিবছর এইদিনটাতে আমি অতি উদ্বিগ্ন মুখ নিয়ে টিভির সামনে বসে থাকি, বেশির ভাগ সময়ই আমার আত্মীয় স্বজন কেউ থাকে না পরীক্ষার্থীর মাঝে, থাকে এমজিসিসির কয়েকজন বাচ্চা পুলাপাইন।
এবার এমজিসিসির সবাই জিপিএ ফাইভ, সব্বাই।
চোখে পানি চলে আসলো। একদম ঝরঝর করে পানি চলে আসলো।
টিভিতে দেখা গেলো কয়েকটা মেয়ে ইয়েল দিচ্ছে, চেনা মুখ পেলাম না কোন, কি আশ্চর্য! বেশি দিন তো হয়নি কলেজ ছেড়ে আসছি!
তেসরা জুন
আজ থেকে অনেক বছর আগে একটা মেয়ে চুপচাপ প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢুকেই কেঁদে দিয়েছিলো, পেছন ফিরে বাবা-মাকে শেষ বারের মত দেখতে দেখতে,
তার কয়েক বছর পরে কোন এক রাতে দারুণ বিষ্টি হচ্ছিল, সে রাতে মেয়েটা তার ডায়রীর পাতায় একা একাই শুভেচ্ছা জানিয়েছিল চারপাশের খুব প্রিয় কিছু মানুষকে,
তার পর আরও অনেক সেই রকম রাত গিয়েছে,
তারপর একদিন প্রিন্সিপাল রুমের সামনের করিডোরে গম্ভীর মুখে মেয়েটা দাঁড়িয়ে ছিল আর কয়েক জনার মাথায় মাথা ঠেকিয়ে,
বিস্তারিত»ঘুম
জয়পুরহাট ক্যাডেট কলেজের কাহিনী, আমার এক ছোট বোনের। তাদের কলেজে খুব মজা, ক্লাস টেন সিনিয়র মোস্ট ক্লাস এখন পর্যন্ত, তাই ওই ব্যাচ থেকেই প্রিফেক্ট হয়। এক বছর করে করে প্রিফেক্ট শীপ, ক্লাস টুয়েলভ এ উঠে ফাইনাল টা দিবে।
এই বছর আমার বোনটা ডাইনিং হল প্রিফেক্ট। এক ফেয়ারওয়েল ডিনারে স্যার বক্তৃতা দিচ্ছে, সে হঠাৎ খেয়াল করলো বক্তৃতার কিছু কিছু অংশ যেন উড়ে উড়ে যাচ্ছে।
বিস্তারিত»চোথা মারা পোস্ট
নিরানব্বই সালের ৩রা জুন, আমার অদ্ভুত একটা ফিলিং এর জন্ম হলো, সারা কলেজ ঘুরাঘুরি করে আসার পর প্যারেড গ্রাউন্ডে ওস্তাদজীরা (আমরা স্টাফদের ওস্তাদজী বলতাম) আমাদের ফল ইন করে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। আম্মু আব্বু একটু দূর থেকে হাসিহাসি মুখ করে খাকি ড্রেস পরা নিজের মেয়েকে দেখছে, লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে, বিশাল গর্বের ব্যাপার। আমি তখনো বুঝিনাই এখুনি আমাকে আলাদা করে দেবে। হঠাৎ দেখি বলে উলটা ঘোর,
বিস্তারিত»দুই লাইন
আমার কেমিস্ট্রি ভিতী কলেজ বিখ্যাত। এক কেমিস্ট্রি পরীক্ষার আগে অনেক রাত পর্যন্ত পড়ে ঘুমিয়েছি, ভোরে তাসনীম ডাক দিল, স্যাম উঠ, দেখ সকালটা কত সুন্দর।
আমি নাকি বলছি, কার্বন ঢেলে দে পানি হয়ে যাবে।
বিস্তারিত»সিমেট্রিক
ক্লাস ইলেভেনর প্রথম পরীক্ষা। ক্লাসে মোটামুটি সবাই ফেল করসে। ভিপি ম্যাডাম ছয় জেপিকে ডেকে পাঠালেন। অনেক্ষন চেচামেচি করে ঝাড়ি দেয়ার পর কি যেন একটা সন্দেহ হলো উনার।
-তোমাদের কি অবস্থা? তোমরা পাশ তো?
এ ওর মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো।
-কি?? (আবার চিৎকার)
তিনজন তিনজন করে সমান দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেলো জেপিরা, প্রতি হাউস থেকে একজন করে পাশ,
বিস্তারিত»খাতা পর্ব
খাতা নিয়ে কিছু কথা…আর কিছু মনে পড়ছে না, অন্যান্য কলেজ গুলো এটাকে টেনে নিয়ে যাবে আশা করি।
সাধারণ জ্ঞান একটা পরীক্ষা হত, ফর্ম ক্লাসে। নম্বর যোগ হত না। সুতরাং এইখানে ক্যাডেটদের অপিরিসীম জ্ঞানের সুবিশাল ভান্ডারের খোজ পাওয়ার পরম সৌভাগ্য লাভ করতেন শিক্ষকেরা।
*পৃথিবীর দ্রুততম মানবী কে?
বিস্তারিত»ট্রেন্ড
গার্লস ক্যাডেট কলেজে পানিশমেন্ট বয়েজদের চেয়ে তুলনায় অনেক কম। স্যার ম্যাডামরা মনে হয় মনে করতেন একটু মাইর খাইলেই মেয়েরা কেন্দে দিবে…আমাদের ফ্রন্টরোল ট্রন্টরোল কিচ্ছু নাই, ছিলো যা তা হলো ডিপি, ইডি… যেইটা বয়েজদের কাছে ডালভাত। তবে আমাদের একটা ডিপি খাওয়া মানে একদম মার্কামারা হয়ে যাওয়া, (এবং ক্যাডেটদের কাছে হিরোইন 😀 হয়ে যাওয়া)।
এহেন বোরিং অবস্থায় আমরা নিজেরাই কিছু জিনিসপাতি খুজে নিতাম আনন্দের জন্য।
বিস্তারিত»