দিন দিন আমাদের এই ঢাকা শহরটা বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। অযোগ্যতার সীমাটার শেষ যে কোথায় তা কে জানে। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকা…ঘন্টায় ঘন্টায় লোড শেডিং, দিনে সূর্য্যের প্রখর তাপ আর রাতের অন্ধকারে মশার কামড় এই নিয়েইতো ঢাকা বাসীদের দিনকাল। শত শত প্রাইভেট কারের ইঞ্জিনের তাপ যেন সূর্য্যি মামার শক্তিকে বহুগুন বাড়িয়ে দিচ্ছে। যত্র তত্র গাড়ি পার্কিং করে বিশাল বিশাল রাস্তা গুলোকে কঙ্কালে মত সরু বানিয়ে রাখা হচ্ছে। যে যেখানে পারছে প্রয়োজন মত রাস্তা খুড়ছে কিন্তু রাস্তাটা বন্ধ করাটা যেন পাবলিকের কাজ। এসব ব্যাপারে কারও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রশাসন আজীবনই নিরব। কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে দেশের বিদ্যুত ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে রাখা হয়েছে। নাগরিক হিসেবে একজন মানুষের যে কিছু অধিকার আছে দেশের ক’জনইবা তা জানে। প্রত্যকেই মনে করছে এই তো বেশ আছি। হয়তো চাইতেও ভুলে গেছে জনগন। দেশে কি কোন অধিকার সচেতন মানুষের জন্ম হয়নি? কবে হবে, কেউ কি তা জানে? আর কত দিন চলবে এভাবে? আসলে সবই আমাদের সয়ে গেছে। এসব দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। দশ মিনিটার রাস্তার জন্যে এক ঘন্টা হাতে নিয়ে বেরুনোটা এখন খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। আচ্ছা মানুষ এইসব নিয়ে কেন আন্দোলন করে না? দল মত নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে কেন এইসব বিষয়ে আমরা সচেতন হইনা? আসলে নিজের সামান্য একটু স্বার্থের জন্য আমারা দেশের বড় বড় স্বার্থকে বিসর্জন দিতে একটুও দ্বিধান্বিত হইনা। যে যেখানে পারছে লুটপাট করছে। নিজের সামান্য একটু স্বার্থকে ভুলে গেলে আমারা সমস্টিগত ভাবে যে ভালো কিছু পেতে পারি এটা আমরা বিশ্বাস করিনা। এভাবে আমরা যে বড় বড় অনেক কিছু হারাচ্ছি সেটা আমাদের চোখের সামনে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার মত কেউ নেই। আর এইফাকে কিছু কিছু বুদ্ধিমান নাগরিক আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। সারা বিশ্বে কোন ধর্মীয় উপলক্ষ্যের আগে দেখেছি সব কিছুর দাম কমে, ব্যবসায়ীরা sale দেয়। আর আমাদের এই সোনার দেশে কোন কারণ ছাড়াই হুরহুর করে দাম বাড়ে সব জিনিসের। কখনও কখনও এক দিনের ব্যবধানে দাম দ্বিগুনও পর্যন্ত হয়ে যায়। অথচ প্রশাসন নিরব, কারোই যেন কিছু করার নেই। ঈদ মনেহয় শুধুই ব্যবসায়ীদের। হায়রে জনগন… । আসলে আমরা বাংলাদেশী, আর তাই বোধহয় আমারা এমন। হুমম…সব দোষই হল মাটির। আমরাই কিন্তু বিদেশে গিয়ে সবচেয়ে ভালো, ডিসিপ্লিনড নাগরিক !! … জয় হো বাংলাদেশ, জয় হো বাংলাদেশী।
৪০ টি মন্তব্য : “বাসের অযোগ্য ঢাকা শহর…, অযোগ্যতার সীমানা কতদূর?”
মন্তব্য করুন
১ম :tuski:
আমি প্রথম বারের মত ১ম হইলাম। আর এইটা আপনারও প্রথম লেখা...
কি মজা!! :clap: :clap:
ভাইয়ার সাথে একমত। আমার মনে হয় আমাদের সিস্টেমই প্রব্ল্বেম আছে।
বললামনা ভাই, সবই কিন্তু মাটির দোষ...
মাহমুদ ভাই, খবর কি? চিনতে পারছেন !!!!
বস আপ্নে কি ঢাকায় ?
আমিন, কেমন আছ ভাই?
আমি আপাতত সিলেটে, তিন মাসের খতরনাক টাইপের একটা কোর্সে আসছি। তোমরা সবাই কেমন আছো? কে কোথায় আছো?
আমি আছি এইতো। বুয়েট পার হয়ে এখন বাংলালিংকে আছি। পোলাপান আছে ছড়ায়ে ছিটায়ে দেশে বিদেশে। 😀 😀 😀
যারা আইন করে তারাই ভাঙ্গে।ভাল আইন আছে প্রয়োগ নাই।
ডান্ডা মারলে ঠিকই সব ঠান্ডা হবে। :chup: :duel:
নাগরিক অধিলার সচেতনতার যেই কথাটা বলেছেন ভালো লেগেছে। আমিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমার অনুধাবন বাংলাদেশের মানুষের জন্য যদি আমি একটা কিছু চাই সেটা হবে "মানুষের নাগরিক অধিকার সচেতনতা।" আমি মনে করি দেশে পর্যাপ্ত মিডিয়া ক্যাম্পেইন হওয়া উচিত কি কি মানুষের অধিকার সেটা মানুষকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ব্যাপারটা আমি বলবো ক্রুদ্ধ করার মত। ঢাকা থেকে এটা বোঝা সম্ভব নয় মফস্বলগুলোর যে কি হাল। মোটেও গর্বিত বোধ করিনা যখন কি না ভাবি আমি এমন একটা দেশের নাগরিক যে দেশের সরকার নাগরিকদের জন্য এমনকি পর্যাপ্ত বিদ্যুৎও উৎপাদন করতে পারে না।
শান্ত দেহ স্নিগ্ধ তনু নিদ্রারসে ভরা, মাথায় ছোট বহরে বড় বাঙ্গালী সন্তান
অথবা
সাড়ে ১৪ কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ করনি
নাগরিক হবার জন্য আমাদের বাঙ্গালী থেকে মানুষ হইতে হবে।
বেঠিক ভাবে রবি ঠাকুরের কবিতাটি উদ্ধৃত করা হয়েছে। সংশোধনের জন্য ‘দূরন্ত আশা’ কবিতার সংশ্লিষ্ট স্তবকটি পেশ করলাম। ‘ভদ্র মোরা, শান্ত বড়ো/ পোষমানা এ প্রাণ/ বোতাম-আঁটা জামার নিচে/ শান্তিতে শয়ান।/ দেখা হলেই মিষ্ট অতি/ মুখের ভাব শিষ্ট অতি,/ অলস দেহ ক্লিষ্টগতি -/ গৃহের প্রতি টান।/ তৈলঢালা স্নিগদ্ধ তনু/ নিদ্রারসে ভরা,/ ছোটো বহরে বড়ো/বাঙালি সন্তান।
এর পরে আরেকটি স্তবকেঃ ‘মাথায়...দাস্যসুখে হাস্যমুখ/বিনিত জোড়কর,/প্রভূর পদে সোহাগমদে/ দদুল কলেবর।/
বেঠিক ভাবে রবি ঠাকুরের কবিতাটি উদ্ধৃত করা হয়েছে। সংশোধনের জন্য ‘দূরন্ত আশা’ কবিতার সংশ্লিষ্ট স্তবকটি পেশ করলাম। ‘ভদ্র মোরা, শান্ত বড়ো/ পোষমানা এ প্রাণ/ বোতাম-আঁটা জামার নিচে/ শান্তিতে শয়ান।/ দেখা হলেই মিষ্ট অতি/ মুখের ভাব শিষ্ট অতি,/ অলস দেহ ক্লিষ্টগতি -/ গৃহের প্রতি টান।/ তৈলঢালা স্নিগদ্ধ তনু/ নিদ্রারসে ভরা,/ মাথায় ছোটো বহরে বড়ো/বাঙালি সন্তান।
এর পরে আরেকটি স্তবকেঃ ‘দাস্যসুখে হাস্যমুখ/বিনিত জোড়কর,/প্রভূর পদে সোহাগমদে/ দদুল কলেবর।/
ও আরও একটা ব্যাপার ট্রাফিক জ্যাম। আমি নিজে গুলশান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছি আড়াই ঘন্টা ধরে। একদিনে দুই জাগায় দুই অ্যাপোইন্টমেন্ট রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। তবে, অন্যান্য অনেক দিকে বাংলাদেশ কিন্তু ভালো করছে। আমআর কাছে মনে হয়েছে বেকারত্বের হার কিছু কমেছে। কাজ বেড়েছে এমনটা বলব না। তবে, বেড়েছে মানুষের কাজ করার স্পৃহা।
ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে আমার মত বিরক্ত মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে।প্রিয় বাংলাদেশ যদি আমি ছেড়ে যাই তার অন্যতম প্রধান কারণ হবে এই ট্রাফিক জ্যাম।ধানমন্ডি থেকে এন এস ইউ যেতে গত চার বছর গড়ে প্রতিদিন দুঘন্টা করে সময় জামে নষ্ট হয়েছে-আর জামের কারণে এনার্জি নষ্ট হবার কথা না-ই বা বললাম।
মাস্ফ্যু ,সেই কম মানুষগুলোর একজন আমি ।কারণ আমি গুলশান মহাখালী থেকে যাত্রাবাড়ি ভ্রমন করি দিনে দুই বার .......
ভাই কি যাত্রাবাি তথাকেন? আমিও থাকি যাত্রাবাড়ি। আপনার যন্ত্রনা কিছুটা হলেও বুঝতে পারি।
যাত্রায় কি দেখায় রে? :-/
ঐগুলা তগো ছুডমানুষের দেখার বয়েস হয়নাই,যা ফিডার খা x-(
আমরা সবাই প্রতিদিন বাসা থেকে বের হবার সময় আশা করি আজ অন্ততঃ জ্যামটা কম হোক...রাস্তায় বের হবার পর সরকার, দেশ আর দেশের সিষ্টেমকে গালি দেই...বাসায় ফেরত গিয়ে ভাবি 'যাক আজকের মতন বেঁচে গেলাম'...পরদিন আবার...
কিন্তু এভাবে তো দিন বদল হবে না...
অফ টপিকঃ দোস্ত, অনেক দিন পর '৯৫ এর নতুন কেউ লেখা দিল...স্বাগতম :hug:
সাথেই থাকিস... :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমি এখন আর দেই না , সিস্টেমের কী দোষ বলেন। দোষ তো আমগো। একটু পয়সা হইলেই শরীরে তেল হয়। হাটা রিকসা তো বাদ পাবলিক পরিবহনে চড়তে মঞ্চায় না, গাড়ি কিনি নবাবের মত সস্তা সিএনজি র দামে সস্তায় ভ্রমণ করি....... প্রতিদিন দুই দুই চার ঘন্টা বাসে দাঁড়ায়ে ঝুলতে ঝুলতে যাই আর বড়লোকগুলারে গাইল দেই কিন্তু জানি সুযোগ পাইলে আমিও ওদের দলে চলে যেতে পারি.......
আমিন- একদম সত্য কথা বলছ। আমি নিজেও এই সিস্টেমের বাইরে না, আমার চিন্তাভাবনাও অনেকটা এরকম।
ছাত্রজীবনে অনেক হাঁটাহাটি করতে পারতাম, আর এখন হাঁটতে ইচ্ছাই করে না...
তুই তাইলে বিএমএর ফার্স্ট টার্ম? ডাবল আপ বেলাডি
মাথা ঠিক আছে তো তুহিন???
আপাতত যেখানে আছি সেখানে জ্যাম নাই (কোন রাস্তায় সিগন্যাল লাইট পর্যন্ত নাই 😀 ), লোডশেডিং নাই, মশা নাই, গাড়ীর হর্ণ নাই, মানুষ কম কম, পানি জমে সয়লাব হয় না, বাতাস বিশুদ্ধ...........এই অবস্থা ছেড়ে ঢাকায় যেতে হলে ইদানিং আর পা চলতে চায় না, মন টানে না। ভাবছি এভাবেই স্থায়ী হয়ে যাব কিনা :dreamy: :dreamy: ।
Life is Mad.
আপনি আছেন কই?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
জান্নাতুল ফেরদৌসে!
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
সহমত।
মাহমুদ ভাই 😀
কেমন আছেন? চিনতে পারসেন? 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
হুমম... কেমন আছো তুমি?
ভালো। আপনি ভালো আছেন? :grr: :grr: :grr:
আমি ভালো আছি মাহমুদ ভাই।
আপনাদের সবার কথা খুব মনে পড়ে । ইফতেখার ভাই তো ইউ এস এ তে। সাইফ ভাই এখন কোথায় আছেন?
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
রাঙ্গামাটি, ডাক্তারী পাশ করে ফৌজে ঢুকছে। এখন মজা বুঝতেছে।
আমার মনে হয় ঢাকা শহরের সব প্রাইভেট কারগুলো উঠিয়ে দিলে সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে। উন্নত বিশ্বের শহরগুলোতে শহরের বাইরে সেন্ট্রাল পার্কিং এলাকা থাকে বলে জানি। প্রাইভেট কারগুলো উঠিয়ে দিয়ে উন্নত মানের বাস সার্ভিস চালু করার আইডিয়াটা খারাপ না। আমরা যদি দ্রুত কোন ব্যাবস্থা না নিই তবে এই শহরে আগামী ৫ বছর পর আর মানুষ থাকতে পারবে না।
আপনার লেখাটা খুবই সময় উপযোগী।
ধণ্যবাদ।
আপাতত তো কোন সমাধান দেখিনা । মাহমুদ কেমন আছ?
আমি ভালো, আপনি কেমন আছেন? আপাতত আমি আর আপনাদের ব্যাচের আমাদের হাউসের মুনতাসির ভাই একসাথে সিলেটে একটা জটিল কোর্সে আছি।
মাহমুদ ভাই, স্বাগতম। ভালো আছেন? 🙂
মির্জাপুর ট্যাগ দেন। ব্লগে কলেজে কলেজে প্রতিযোগিতা চলে কাদের পোস্ট বেশি। ঝিনাইদহরে পেছনে ছিল অনেক, হঠাৎ কইরা টান দিছে। আমাদের কভার দিতে হবে। 🙂
সাম্প্রদায়িকতার ব্যান চাই :grr:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আচ্ছা, কোন কলেজ সবচেয়ে এগিয়ে আছে এপর্যন্ত?
হাউস পেজ (মেইনপেজ) এ বামদিকে 'বিভাগসমূহ' তে দেখিস,
আপাতত
* কুমিল্লা (৩৫৩)
* ঝিনাইদহ (৩৩৫)
* পাবনা (২৬)
* ফৌজদারহাট (১৮১)
* বরিশাল (৪০৯)
* মির্জাপুর (৩২৪)
* ময়মনসিংহ (৬৭)
* রংপুর (২১০)
* রাজশাহী (১২০)
* সিলেট (৩১৬)