মৃত্যু খুব সাধারণ ঘটনাঃ
একটা বইয়ের পাতা ওল্টানোর মতোই নিত্যদিনের ঘড়ির কাঁটায় ঘাপটি মেরে বসে আছে।
যেভাবে তুমি চুল আঁচড়াও বা ঘুম ভেঙে দু’হাত আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে এলোমেলো ছড়িয়ে দাও সূর্যরশ্মির মতোন, সেভাবেই মৃত্যু হেঁটে এসে কলিংবেল বাজিয়ে দেয়। সেও আমাদের মতো আধুনিক হয়ে গেছে। যেমন, সময় খুব আধুনিক আজকাল, নিয়মিত কোয়ার্টজের অণুতে মিশে থাকে, ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সময় তেমন ভুল করে না, তবে মৃত্যু মাঝে মাঝে ভুল হিসেবে কাছাকাছি চলে আসে খুব- যেমন চড়ুইটা সেদিন হুট করে জানালা গলে আমাদের ঘরে এসেছিলো। তুমি আঙুলের নখ কাটছিলে দাঁতে আর আমি তোমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিচ্ছিলাম কপট রাগে, আর চড়ুইটা আমাদের মাঝে অনেক না-বলা কথা হয়ে অযুত মুহূর্ত ঝুলে রইলো।
তারপর?
-তারপর ফুরুৎ
তারপর?
-তারপর ফুরুৎ
কে ফুরুৎ, মৃত্যু না চড়ুই?
-ওমা তুমি বুঝো নাই কে ফুরুৎ? খেয়াল কোথায় থাকে তোমার আজকাল? চোখের নিচে গাঢ় হ্রদের কালো পানির দাগ আর কপালে মরূদ্যানের ভাঁজ কেন! কেন শিথিল হয়ে আসে তোমার হাতের মুঠো? কেন দাঁত কাটার মতো তুচ্ছ মুহূর্তে চড়ুই বা মৃত্যু এলো আর চলে গেলো? তারপর সব ফুরুৎ।
একটু আগে আমি ভুল বলেছি। সময় ঠিক আধুনিক হতে পারেনি। সময় এখনও চিরপুরাতন মৃত্যুর কাছে হেরে যায় রোজ। প্রতি পদক্ষেপে সে আমাদের থেকে আরো একটু করে ছিনতাই হয়ে যায় মৃত্যুর কাছে।
***
৫.৩.১০
?
?
কোনটা খুব সাধারণ? সময় না মৃত্যু? নাকি দুটোই! বিভ্রান্ত ভীষণ...............
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সময় হয়তো অনেক অপূরণীয় মৃত্যুকে সাধারণ করে তোলে।
আবার এটাও হতে পারে- যে মৃত্যুকে এখন অসাধারণ মনে হচ্ছে, সেটাও সময়ের সাথে সাথে সাধারণ হয়ে ওঠে। অথবা উল্টোটাও ঘটে অনেক সময়।
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো, লাবলু ভাই। :hatsoff:
বুঝলাম না , ভাই।
হুমম
:-/ :-/ 😕 😕
🙂
আন্দালিব, অনেকদিন পর তোমার লেখা দেখে যারপরনাই উৎসাহী হয়ে পড়তে বসলাম, আসলেই কি সাধারণ একটি ঘটনা! তুচ্ছও কিনা? মনটাই খারাপ হয়ে গেল ... মৃত্যু কখনই কাম্য নয় কিন্তু এর থেকে চরম সত্য তো আর কিছু নাই ...
আশা করি ভালো আছ এবং সবসময় ভালো থেকো
আফতাব ভাই, আমার ব্লগে স্বাগতম! 🙂
মৃত্যু মন খারাপ না করে আমাদের ঘরের কাঁথা বালিশ হয়ে উঠুক। তাহলে হয়তো তার সাথে যুঝতে আমাদের সুবিধাই হবে!
আমি ভাল আছি বেশ। আপনার জন্যে শুভেচ্ছা! :hatsoff:
চরম এই সত্যটি আমরা সবাই জানি কিন্তু সবসময়ই ভুলে যায়।
হুমম, ভুলে যাতে না যাই এজন্যে আজকে মনে করলাম একবার। 🙂
কেমন আছিস?
😕
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
🙁
লেখাটা ২বার পড়ার পরও মূলভাব ঠিক ধরতে পারলাম না। :(( :((
আমি দুঃখিত যে এই লেখাটির পেছনে তোমার আমার যৌথশ্রম কমিউনিকেটিভ হতে পারলো না। তবু পড়েছো, এজন্যে তোমাকে ধন্যবাদ! 🙂
পড়তে অদ্ভুত সুন্দর লাগলো
অনেক ধন্যবাদ মেলিতা। সুন্দর ভাবলেই আসলে সুন্দর লাগে- এটা পাঠকের কৃতিত্ব। ভালো থেকো! 🙂
আন্দালিব ভাই কেমন আসেন ? আমকে চিনসেন? আপনার লেখা পড়ে খুব ভাল কলেজ থেকেই লাগত।অনেকদিন পর আবার আপনার লেখা পড়ে খুব ভাল লাগতেসে... 🙂
আশিক, চিনতে পেরেছি! অনেকদিন বাদে তোমার সাথে অসাক্ষাতে দেখা হয়ে গেলো আজ! বাহ।
তোমাকে ধন্যবাদ, পড়ার জন্যে। কলেজের পরে অনেকদিন আমি কিছুই লিখি নাই। ব্লগ জিনিসটা না তৈরি হলে লেখালেখিও হতো না! এই মাধ্যমটার কাছে আমি তাই অনেকবেশিই ঋণী।
তুমিও লিখতে শুরু করো। 🙂
পুরাই আধ্যাত্মিক পোস্ট, কিন্ত.........
মৃত্যু সাধারণ, শুধুমাত্র তখনই,(মনে হয়) যখন আমরা তাকে দেখি অন্যের মাঝে/উপরে, বা যখন বারবার ঘটতে দেখছি 🙁 🙁
কিন্তু নিজের ক্ষেত্রে তা তো মনে হয় সর্বদাই অসাধারণ। :no: :no: :no:
এ অধমের গোস্তাকি মাফ করবেন ভাই।
নাহ। এটা পুরোপুরি "নন-আধ্যাত্মিক" (এরকম কোন শব্দ নেই মনে হয়!) পোস্ট। আমি আসলে আধ্যাত্মিক ব্যাপারগুলো বুঝি না, কারণ জাগতিক ব্যাপারের অনেক কলকব্জাই এখনও আমার আয়ত্ত হয় নাই। সেগুলোর রহস্য বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ হবে বলে মনে হয়। ক্ষমতা কোথায় আধ্যাত্মবাদ বুঝতে যাওয়ার??
মৃত্যুকে নিজের দিক থেকে দেখা হোক আর অন্যের উপর পড়তে দেখা হোক- যে কোনোভাবেই এটা আসলে একটা সাধারণ ব্যাপার। পৃথিবী যেমন সেকেন্ডে ৩০কিমি বেগে বনবন করে ঘুরছে, তেমনি সকল জীবিত প্রাণিই মারা যাচ্ছে। আমাদের কল্পনা আর আবেগের জোরে আমরা মৃত্যু ব্যাপারটিকে মহিমান্বিত করি, তাই না?
আর দেখবা সময় চলে গেলে একান্ত আপনজনের, প্রিয়জনের মৃত্যুর কষ্টের তীব্রতাও অনেক কমে আসে। এই কমে আসার হার (মানতে না চাইলেও) এক্সপোনেনশিয়াল কার্ভের মতোই দ্রুত! এটাই বাস্তবতা। মৃত্যু শেষপর্যন্ত জিতবে জেনেও জীবনের ধর্ম তাকে যতোটা পারা যায় উপেক্ষা করা, নানাভাবে তার আঘাতের তীব্রতা কমানোর চেষ্টা করা।
ভাই পোস্টটার উপরের অংশটুকু মিলাতে পারছিনা.........
দাঁত দিয়ে নখ কাটা - এ কি মানুষের উদাসীনতা? উড়ে যাওয়া চড়ুই এর প্রতি?? (ধরি, চড়ুই তার প্রাণ) তাকিয়ে থাকা আমি কি তার পাশে থাকা কোন মানুষ যে তাকে খেয়াল করছে সর্বদা?? :-/ :-/ 😕 😕
এটা একটা রূপক ধরতে পারো। দাঁত দিয়ে নখ কাটার সময় আমরা যেমন অন্যমনস্ক থাকি, সেটা হয়তো মৃত্যুর ব্যাপারে আমাদের উদাসীনতার মতোই।
চড়ুই "প্রাণপাখি" হতে পারে। সদা-অস্থির, পলায়নপর।
তাকিয়ে থাকা আমি আর যে মারা গেলো এই দু'জন এখানে সাধারণ দুজন মানুষ। এর বেশিও হতে পারে তোমার কল্পনায়!
তোমার ফীডব্যাক আমাকেও নতুন করে ভাবাচ্ছে। আমি যেটা ভেবে পুরো লেখাটা লিখেছি, তার বাইরেও নতুন দৃশ্য পাচ্ছি। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ! 😀
ভাই আপনার ভাবনা টা তো দিলেন না???
:-/ :-/
আরো কমেন্টের ইচ্ছা ছিলো, পরে হবে............
আমার ভাবনা তোমার সাথে সম্মত হয়ে অনেকটাই দিয়ে দিয়েছি। তুমি যেভাবে রূপকগুলো পড়ছো, সেটা আমার সাথে মিলে যায়- তাই আমার ভালো লাগছে যে ব্যাপারগুলো তুমি এভাবে দেখো বলে।
হ্যাঁ, কথা চলুক...
:thumbup:
:hatsoff:
লেখাটা কিন্তু আমার কাছে কবিতা বলে মনে হলো।
তোমার মনে হলে, এটি কবিতা-ই। আমি এই লেখাটার কোন নাম দেই নাই কারণ এটা একটা নিরীক্ষামাত্র। কবিতা বা গল্পের ফরম্যাটে লিখতে ইচ্ছা করে না আজকাল।
তবে লেখাটার মাঝে কাব্যগুণ আছে প্রবলভাবেই। সেদিক দিয়ে তুমি ঠিক। 🙂
আমার কাছে তো নিজের সাথে কথোপকথনের মতো লাগলো । অল্প কথায় অনেক গভীর কথা লিখছিস, সেজন্য ভাল লাগাটাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে । আসলে আমরা যদি ফল ইন করে মরতে পারতাম তাহলে হয়তো এত ভয়-শংকা থাকতোনা । মৃত্যু যখন আসে আমরা খুবই একা থাকি আর মরনের পরে কি হবে সেটার খোঁজ আমরা জানিনা । অজানা যেকোন কিছুই খুবই আতংকজনক । তাই মৃত্যুকে মানুষ হিসেবে আমি তো অসাধারন ভাববই । তবে সময় নিয়ে যে কথাটা বললি খুব মনে ধরছে । মৃত্যুর কাছে সময়ের ছিনতাই হয়ে যাওয়া - খুব ভালো বলেছিস । অনেকদিন পরে লিখলি । এবার মানুষ নিয়ে কিছু লিখ । মানুষ আর তারপাশের সমাজ আর সময় নিয়ে লিখ । পড়ে দেখি তুই কি ভাবছিস ।
ফল-ইন করে মরার চিন্তাটা খারাপ না। তবে দেখা যেতো সেখানেও কয়েকজন সিক রিপোর্ট, কয়েকজন পেছনের দিক থেকে দলছুট হওয়ার তালে আছে!
আমার তো মনে হয় আমরা সবসময়েই একা। মৃত্যুর সময় সেটা প্রকটভাবে বুঝতে পারি। অন্যসময় জাগতিক উদ্দীপনা (Stimulation) আমাদের সেটা বুঝতে দেয় না।
মানুষ নিয়ে তেমন কিছু ভাবনা তৈরি হলে অবশ্যই লিখবো আদনান ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! :boss:
ভাল বলছিস 😀
রূপকার্থে কি বুঝিয়েছেন তা আমি বুঝি নাই সেভাবে। কিন্তু লেখাটা পড়ে অদ্ভুত ভালো লেগেছে। দাঁত দিয়ে নখ কাটাকে কেন যেন মানুষের জীবনের সকল অর্থহীন কাজের রূপক মনে হল। আর চড়ুই পাখিকে মনে হল মানুষের অস্থির মনের মেটাফোর। অস্থির মনে অর্থহীন কাজের ফাঁকে নিজের স্থির মনের সাথে দ্বন্দকে "আমি তোমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিচ্ছিলাম কপট রাগে" এই রূপক দিয়ে বোঝানো হয়েছে বলে মনে হল। এর মাঝে মৃত্যুর নিরব আসাকে খুব সাধারন মনে হয় বৈকি।
রূপক নিয়ে এতো দ্বিধা কেন?
রূপকের মজাই তো এখানে যে তুমি যা মনে করবে, সেটাই সত্যি। অবশ্য সেই সত্যিটা আপেক্ষিক সত্যি। যেমন আমি যা ভেবে লিখেছি সেটা আমার কাছে সত্য- তবু সবকিছুর বিচারে সেটাও আপেক্ষিক। যদি সরাসরি বাস্তব উপমা দিয়ে কিছু বুঝাতাম, তাহলে সেখানে পাঠকের কল্পনা করার কোন উপায় থাকতো না। কিন্তু এখানে ঘটনা বা বিষয়গুলো এক একটা রূপকের আশ্রয়ে উল্লেখ করা, সেই রূপকগুলোর ভিজুয়ালাইজেশন এক একজন পাঠকের মাথায় এক একভাবে ঘটবে। তাই তার ইন্টারপ্রিটেশনও ভিন্ন হবেই। 🙂
টিভির সমস্যাটা আমার কাছে এখানেই মনে হয়, আমাদের নিজের কল্পনায় যা হয়ত দেখতাম তাকে নিজের মত করে রূপ দিয়ে দেয়...
হ্যাঁ। এজন্যেই টিভি বেশি দেখলে মানুষের কল্পনাশক্তি কমে যায়। শিশুদের বেশি টিভি দেখা এই কারণে ভালো নয়।
লেখার ব্যাপারেও, আমার ভাবনাটা যদি বলেই ফেলি, তাহলে বাংলা পাঠ্য বইয়ের মতো সারমর্ম হয়ে যাবে। সেই গৎবাঁধা লেখার কোন মানে হয় না! আর আমার যা বলার, তা তো লেখার মাধ্যমে বলেই ফেলেছি।
লিখে ফেলার পরে লেখাটি পুরোপুরিভাবেই পাঠকের। পাঠকের চিন্তায়, কল্পনায় সেটা এক একটা অনন্য রূপ পাবে। নতুনভাবে মূল্যায়ন হবে। ব্লগের সুবিধাটা হলো, পাঠক এখানে সরাসরি লেখার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছেন। এজন্যেই এটাকে বেশি ভালো লাগে। 🙂
অন্যরকম লাগল লেখাটা।
"চোখের নিচে গাঢ় হ্রদের কালো পানির দাগ আর কপালে মরূদ্যানের ভাঁজ কেন!" - কেন জানি এই কথাটা আমার মনে ধরে গেল!
এ ধরনের এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যেও। 🙂
অনেক ধন্যবাদ তানভীর ভাই। চেষ্টা করবো এরকম এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যাওয়ার! :hatsoff:
আন্দালিব,
তোমার অনেক লেখাই আমার মাথার উপর দিয়ে যায়। এটা নিঃসন্দেহে পাঠকের ব্যর্থতা। তবে এ'লেখাটা এককথায় অসাধারন। গদ্য-কবিতার ধাঁচে লিখেছো। এটাকে মেটাফিজিক্যাল বলা যায় বলেই মনে হচ্ছে। জন ডান এবং এমিলি ডিকিনসন-এর কবিতার সাথে কেমন ভাবে যেন মিলে যায়। মত্যুর পারসোনিফিকেশন খুব চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছো। একান্তই আমার মতামত। তোমার সাথে নাও মিলতে পারে। হিংসে হয়, ভাল লেখক কিংবা পাঠক, কোনটাই হতে পারলাম না। আবারো বলছি, অসাধারন লিখেছো। হয়তো তুমি নিজেও জান না কতটা ভাল লিখেছো।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
:clap: :boss: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আহমদ ভাই, অনেক ধন্যবাদ! মন্তব্যটা পড়ে খুশিও হচ্ছি আবার একটু লজ্জাও পাচ্ছি।
ব্লগে লেখা শুরু করার পর থেকে "মাথার উপর দিয়ে যায়" টার্মটা এতো বেশিবার শুনেছি, যে এখন একরকম অভ্যাস হয়ে গেছে। এটা বারবার শুনেও কি তাহলে আমার বিকার নেই, বদল নেই?
আছে।
আমি যে কারো কমেন্টে এই কথাটি পাওয়ার পর থেকে ভাবলাম লেখার সময়ে একটু সহজ করে লিখে দেখি। সমস্যায় পড়লাম, দেখলাম যে সেভাবে লিখতে গেলে লেখার বিষয়ের চেয়ে মাথায় বেশি ঘুরতে থাকে পাঠক। মনে হয় ফেরিওয়ালা হয়ে গেছি, অথবা বিজ্ঞাপন-নির্মাতা। সত্যি! পাঠকের 'ক্ষুধা' চিন্তা করে পাতার পর পাতা লিখলেও হয়তো কোনদিন একফোঁটা তৃপ্তিও পাবো না!
তারপরে ভাবলাম, যেহেতু লেখাগুলো আমার চিন্তার প্রতিফলন, সেহেতু এই ফ্রিকোয়েন্সি কারো না কারো ঠিকই ম্যাচ করবে। আমি তারপর থেকে সেই পাঠকের অপেক্ষায় থাকি। অনেক সময় চমকেই গেছি হুট করে কেউ আমার চিন্তাসীমার বাইরের কল্পনা বর্ণনা করেছে আমারই লেখা পড়ে। এবং আমি বিস্মিত হয়েছি যে মানুষের কল্পনাশক্তির ক্ষমতা কতো তীব্র।
এখনও আমি চাই এমন পাঠকের সংখ্যা বাড়ুক। আমি নিজে যেমন অনেক লেখার সাথে তাল মিলাতে পারি না, তেমনি অনেকেই আমার লেখার সাথে তাল মিলাতে পারেন না। এটা পুরোপুরি আমার ব্যর্থতা ও ক্ষতি, কারণ আমি সেই পাঠকের মনে ছায়া ফেলতে পারলাম না!
আপনার মন্তব্যের উপর বেশি কিছু বলতে পারছি না কারণ জন ডান আর এমিলি ডিকিনসনের লেখা একেবারেই পড়া হয়নি আমার। ইংরেজি কবিতার সাথে আমার পরিচয় টেড হিউজ আর সিলভিয়া প্লাথ (সেটাও ঘটনাচক্রে)! 🙁
একবার কোন একজনের কাছে একটা মজার কথা শুনেছিলাম। খুব সম্ভবতঃ আমার কোন শিক্ষকের কাছে শোনা, এবং বিষয়টা (আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়েঃ
... রবীঠাকরের কোন একটা কবিতা পড়ে কেউ একজন তাকে শুধালেন, "গুরুদেব, কি লিখলেন, কিছুই তো বুঝলাম না।" গুরুদেবের জবাব, "তোমায় বুঝতে কে বলেছে? আমি তো পড়ার জন্য লিখেছি।" ...
ভাল থেকো আন্দালিব। পাবলিক ডিমান্ড নিয়ে চিন্তা করবে সস্তা মাপের লেখক। তুমি তোমার মতন করেই লিখে যাও। সমালোচনা থাকবেই। তা সে তোমার মনের মত হোক, বা উল্টোটাই হোক। সমালোচনা নিয়ে ভেবো, তবে তার দ্বারা তাড়িত হয়ো না।
অফ টপিকঃ সরি ভাই! শেষের দিকে এসে আমার কথাগুলো সম্ভবতঃ উপদেশের মত হয়ে গেছে। তুমি চাইলে আমার মন্তব্যের বিরক্তিকর অংশ মুছে দিতে পার।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আরেকটা অফ টপিকঃ আমি ৫ তারা দিয়েছি। সম্ভবতঃ তোমার পোষ্টে এবারেই প্রথম বারের মত।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
প্রিয়জনের মরন যেমন সহজ ঠিক তেমনিই কঠিন ।
ভুলে যেতে চাইলেও কভু যায়না ভোলা ।