ছোরাটির কিছু কথা

এক।
এবং সে ছোরা,
খালের ঘোলাজলের
কোলাহলে
পড়ে থাকা সে
একদা-রক্তাক্ত
ক্লান্ত হতাশ ছোরা –
রাগে নিশপিশ বাঁট নিয়ে
একদা-উদ্ধত
একবুক যৌবন নিয়ে
মিছেমিছিই
দেখে স্বপ্ন
আর গুনগুন করে গান :
আ হা,
তেমন হাতে
ফিরে গেলে ফের
যকৃৎ কণ্ঠনালী চিরে চিরে
ফোটাতো কত
বর্ণিল বাগান!

দুই।

বিস্তারিত»

ফেইসবুক স্ট্যাটাসঃ প্রসংগ ৬০৩ (১৯৮৮-’৯৪), সিসিআর

ফেইসবুক স্ট্যাটাসঃ প্রসংগ ৬০৩ (১৯৮৮-’৯৪), সিসিআর

কেন যেন হঠাৎ করেই নীচের লাইনগুলো লিখতে ইচ্ছা হল। ইদানিং ইমোশোন চেপে রাখা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। ৬৪২-এর ফেইসবুক স্ট্যাটাস অনুযায়ী আসলেই বোধহয় আমাদের ঘণ্টা বাজার সময় শুরু হয়ে গেছে।

গত কয়েকদিন খুব কষ্ট করে নেট ব্যবহার করতে হয়েছে। ছিলাম দিনাজপুরে, থ্রী-জি কাজ করেনা সেখানে। গরুর গাড়ির গতিতে ৬০৩-এর ব্যপারে প্রতিটা খবর নিচ্ছিলাম। মনের অবস্থা কেমন ছিল,

বিস্তারিত»

মেঘদূতম্‌

মেঘের নাম দিলেম মাদকতা,
বৃষ্টিকে উচ্ছ্বাস –
হা তোমার বালিকাবেলা
কাদামাটি
হ্যাঁ বালকের দিনগুলো
উদ্ভাস।

মেঘের ভেতর থেকে
পত্র আসে,প্রণয়ের গুপ্তকথা।
উচ্ছ্বাস তোর বাড়িতে
কে কে থাকে,
বজ্রের ক’জন সখা

আয় তবে সহচরী
এক্ষণে আচরি
প্রেম,
খাম খুলে পড়ো
বিরহী যক্ষ
কি লিখে পাঠালেম

কালার কালো
অক্ষর পড়ে
স্তনশীর্ষ জাগে,

বিস্তারিত»

কথা-রূপকথা

সবাই রাজা হতে চায়, রাজপুত্তুর হতে চায়,
আমিও চেয়েছিলাম।
কিন্তু শেষমেষ কি হল?
হয়ে গেলাম সেনাপতি।
লোহার বর্ম পরে, তরবারি উচিয়ে আমি ঘুরে বেড়াই,
ছায়ার মত লেগে থাকি রাজার সাথে, রানির সাথে,
রাজকন্যার সাথে।
আমি যে সেনাপতি।

আমার চারপাশে কত রাজা-রাজড়ার ভিড়,
ঘোড়া ছুটিয়ে হাতি নাচিয়ে ওরা আসে।
কারও চাই রাজ্য,
কারও বা – রাজকন্যে
কেউ আবার দুটোর আশায় বুক বাঁধে।

বিস্তারিত»

চলে গেলেন আবদুর রহমান ভূঁইয়া…

আমার মেঝমামা জনাব আবদুর রহমান ভূঁইয়া আজ ল্যাব এইড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। তিনি দীর্ঘ সময় ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকতা করেছেন ও কিছু সময় পাবনা ক্যাডেট কলেজেও ছিলেন। এর আগে তিনি আমার মামীকে হারান (ক্যান্সার), দু-মাস পরে তাঁর ছোট ছেলে মুইনকে হারান, কয়েক বছর পরে বড় ছেলে ইনামকে (লেঃ কমান্ডার ইনাম-উস-সালাম, বাংলাদেশ নেভি) হারান (ক্যান্সার)। কমপ্লিট ফ্যামিলিকে হারান তিনি। আজ তিনি চলে গেলেন।

বিস্তারিত»

রাধাকথন-১০

মহারাজ,
পাথরে
আছড়ে পড়ার চেয়ে
লাট খাওয়া
ঘুড়ি হবো আজ

প্রাসাদের প্রাকার বেয়ে
সরীসৃপ হয়ে
আসে
আত্মাহুতির ভাপ,
জলসাঘর হতে
সরোদ –
বাগেশ্রীর
সুরাময় আলাপ

সুতো কেটে গেছে।
প্রণয়ের দ্রুতলয়
ফুরোল ব’লে,
ওস্তাদজী এবার
ঝালায় চলো
ত্রিতালের
সম্মোহনী বোলে

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন ক্যাডেট কলেজ ইনটেক ২০০৭

আজ তেইশে মার্চ ,
ক্যাডেট কলেজ ইনটেক ২০০৭ থেকে ১৩ এর ক্যাডেটদের সবার দ্বিতীয় জন্মদিন আজ ।
দেখতে দেখতে সাত সাতটা বসন্ত পেরিয়ে গেলো ।
কিন্তু আজো স্মৃতির পাতায় স্পষ্ট ভাসে দিনটি ,
দিনের প্রতিটি মুহূর্ত আজো হুবহু বলে দিতে পারবো ।

আজ কয়েকটি ঘটনা খুব মনে পড়ছে ।
সত্যি ঘটনা , প্রাইভেছি রক্ষার্থে ছদ্মনাম ব্যবহার করে ঘটনাগুলো শেয়ার করছি…।।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি নামের এ প্রদেশে

রাজা নেই কোনো
তবু ঘনঘন
সান্ত্রী আসে,
অগণণ।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নিয়ে দুয়ারে দাঁড়ালে
মেঘের সঘন স্বনন,
প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে ছাতা –
যা নয় তা’
বলে গাল পাড়ে
খানাখন্দ,রিকশার পলিথিন

বন্দী তবু হাতকড়ায়
নির্বিকার,
নিপীড়ন-পিয়াসী;
বৃষ্টির দাসত্বে
হাসিমুখে লীন….
_________________________________________
ফেসবুকে সাবিহা জিতুর বৃষ্টিজনিত স্ট্যাটাস পড়ে।

বিস্তারিত»

পাঙ্গা

ক্লাস সেভেনে কলেজে যাবার পর দিন সার্জেন্ট লিয়াকত স্টাফের সাথে সবাই কলেজ পরিদর্শনে বের হলাম। খুব স্বাভাবিকভাবেই সবার সম্মিলিত কথাবার্তায় জোরে শব্দ হচ্ছিল। লিয়াকত স্টাফ হঠাত চেঁচিয়ে উঠলেন, “এইপ! ক্যাডেট কোন কথা বলবে না… একখনি পাঙ্গা শুরু হইয়া যাবে”। পাঙ্গা নামক হাস্যকর নতুন শব্দটির কোন অর্থ কেউ বুঝতে পারল না। একজন আরেকজনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলাম। তবে এটা বুঝলাম, নিশ্চয়ই সেটা ভাল কিছু হবে না।

বিস্তারিত»

রাধাকথন-৯

আমার গায়ে যত দুঃখ সয়
বন্ধুয়ারে করো তোমার
মনে যাহা লয়

পোড়াচোখের
কাজলঘেঁষা জল
কবে’ হয়ে গেছে
মাছব্যাপারীর
আঁশটে নোট,কালা!

পাষাণ বন্ধু রে
প্রহরগুলো তোর
যমুনায়
নেমে গেছে
পায়পায়,
গলায় দড়ি দি’ছে
রঙ্গিলা কলস হায়

এখন শুধু
মাসী গুণে
কনডম দ্যায়,
গোণে ক’জন এলো গেলো।

বিস্তারিত»

ডেসপিকেবল মি!

এই দুনিয়ায় যত জাতি আছে, তন্মধ্যে ক্যাডেট জাতি সর্বাপেক্ষা নিষ্পাপ (হাসেন কেন? ঠিকই তো বললাম)। তবে, সব কিছুরই কিন্ত আছে। কিন্ত থাকবে না কেন বলুন, চাঁদ ও সূর্যের গায়ে যদি কলঙ্ক থাকতে পারে, তবে ক্যাডেটের চরিত্রে দুই-একটা কিন্ত থাকলে কোন সমস্যা নেই। যা বলছিলাম, এই নিষ্পাপ একঘেয়ে জীবনে অফুরন্ত আনন্দ নিয়ে আসে কিছু নিয়ম বহির্ভূত কর্ম। বলা নিষ্প্রয়োজন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো কারোর না কারোর বিরক্তির কারণ হত।

বিস্তারিত»

একটি মাথামুণ্ডুবিহীন স্বপ্নভঙ্গের গল্প


এইমাত্র ক্লাস শুরু হল। যিনি ক্লাস নেবেন, তাঁর চোখে ভারী ফ্রেমের চশমা। দেখতেই বোঝা যায়, বাবা-মার আদরের পড়ুয়া ছেলে। উসকো-খুসকো চুল, চুলের যত্ন নেয়ার সময়ই বা কোথায়। ক্লাসে ঢোকার পর নিজের পরিচয় দিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কোচিংয়ে ক্লাস নেবেন, বুয়েটে যে পড়েন তা সহজেই অনুমেয়। ডিপার্টমেন্টের নাম বলার পর ক্লাসের ভেতর একটা সম্মিলিত চাপা চিতকারের শব্দ শোনা গেল। ভাবী প্রকৌশলীদের চোখ উজ্জ্বল থেকে উজ্জলতর হয়ে উঠল।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট জীবনে সাফল্যের মূলমন্ত্র (বর্তমান ক্যাডেটদের জন্য অবশ্যপাঠ্য)

কলেজে ছয় বছর পার করার পরও অনেক ক্যাডেটের অর্জনের খাতাটা থাকে শূন্য। কলেজ থেকে পাসআউটের সময় বুকে থাকে অনেক কিছু না পাওয়ার বেদনা। কলেজের অনার বোর্ডে নিজের নামটি  চিরস্মরণীয় না করতে পারার ক্ষোভ নিয়ে পার করতে হয় বাকি জীবন। এ থেকে পরিত্রান পেতে হলে ক্যাডেট জীবনের শুরু থেকেই সুচিন্তিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাই নিজের ছয় বছরের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি থেকেই বর্তমান ক্যাডেটদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ দিচ্ছি।

বিস্তারিত»

ইডি সমাচার

ইডি খাওয়া ক্যাডেটদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অংশ। তবে কারো কারো জন্য তা হয়ে ওঠে অতি-প্রাত্যহিক। ক্যাডেটদেরকে নিয়মিত ইডি লাগানোর মত কষ্টসাধ্য কাজটি সাধারণত স্টাফরাই করে থাকেন (ক্ষেত্রবিশেষে অতি-কর্তব্যপরায়ণ শিক্ষক ও ক্বচিৎ অ্যাডজুটেন্ট-প্রিন্সিপ্যাল)। ইডি লাগানোও যে একটি শিল্প হতে পারে মাঝে মাঝে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী স্টাফ ও স্যারেরা তা দেখিয়ে দেন। এবারে থাকছে চমকপ্রদ কিছু ইডির বৃত্তান্ত। (* চিহ্ন সংবলিত ইডিগুলো বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের যোগ্যতা রাখে।)

এক্ষেত্রে হাউস মাস্টার অফিস থেকে ইডির নোটিস সময়মত হাওয়া করা এবং আমাকে তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়ায় তাশরীফ মাহমুদ (ফকক,

বিস্তারিত»

একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন

বি.দ্র. এই পোস্টের লেখক “সত্য কোন দিন চাপা থাকে না” টাইপের ফালতু তত্ত্বে বিশ্বাসী। অতএব কাহিনীটি একটি সত্য ঘটনা থেকে প্রণোদিত। যতটুকু প্রকাশ করলে শুধু স্যারদের উপর দোষ চাপানো যায় ততটুকুই দেয়া হল। নামগুলো কাল্পনিক। কারোর সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ী নয়।

সন্ধ্যা ৭টা। ইভনিং প্রেপ চলছে। এখন আবার থার্ড টার্মের টার্ম-এন্ড পরীক্ষা। আমি পড়ি ক্লাস এইটে। আগের দুই টার্মে মাশাল্লাহ(!) রেজাল্ট করায় সায়েন্স পাওয়ার জন্য একটু সিরিয়াসলি পড়ছিলাম।

বিস্তারিত»