বাংলাদেশে এমন কোনো গ্রাম নাই যে গ্রামে পঞ্চাশ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করেন এমন একটা অন্তত পরিবার নাই । বাংলাদেশে এমন কোনো গ্রাম নাই যে গ্রামে পঁচিশ বছর ধরে নিরন্তর রাজনৈতিক মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিএনপি করেন এমন একটা পরিবার আছে । এর পেছনে কারণ এই দুই রাজনৈতিক দলের জন্ম ও এর বিকাশের ইতিহাসে উচ্চারিত । সেই প্রতিটি গ্রামের শেকড়ে প্রোথিত দল আওয়ামী লীগ ১৯৯১ এবং ২০০১ এর নির্বাচনে কেন হারলো এবং একবার অতি শোচনীয় ভাবে হারলো ? একজন মানুষ যদি একটু গভীর ভাবে বিষয়টা নিয়ে ভাবে এর উত্তরের জন্য কাউকে তার কোনো প্রশ্ন করতে হবে না । জনবিচ্ছিন্নতা । আর একটা প্রাসঙ্গিক সত্য এই উত্তরের পাশাপাশি দৃশ্যমান হয়ে উঠবে যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হচ্ছে ‘আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি’ । সেই শক্তিকে পরাজিত করা বিএনপি কিন্তু এর ফসল নিজ ঘরে তুলতে পারেনি অদূরদর্শিতার কারণে ।
কথায় বলে প্রেমে এবং যুদ্ধে কোনো নীতি নাই । আমি বলি তাহলে রাজনীতিতে কোনো নীতি নাই তারও একশো বছর আগে থেকে আর নির্বাচনে কোনো নীতি নাই হাজার বছর আগে থেকে । সুতরাং এই দেশজুড়ে তৃণমূল মানুষের মাঝে শিকড়ে প্রোথিত আওয়ামী লীগকে হারাবার জন্য যে কোনো ফন্দি ফিকির বিএনপি করতেই পারে । তবে সাময়িক অর্জনের পাশাপাশি কিছু নীতিগত ভুল সিদ্ধান্ত যে তাকে দীর্ঘমেয়াদী বড় রকমের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিতে পারে তা বিএনপি বুঝে উঠতে পারেনি । তাদের বোঝা উচিত ছিলো যে, আওয়ামী বিরোধী হওয়া বা আওয়ামী লীগে জুত করে চেয়ার বা নির্বাচনের টিকিট না পাওয়া যে বড় অংশ তাদের মাঝে যোগ দিয়েছে তারা মোহিত হবার মতোন কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ বিএনপি তৈরী করতে পারেনি । পাশাপাশি প্রবীন ও বিচক্ষণ আওয়ামী নেতারা নির্বাচনে জেতা বা নিজ নিজ অবস্থান সংহত করবার কুট কৌশল প্রয়োগে যতটা সচেষ্ট হয়েছেন গত এক দশক ধরে তার কিয়দংশও নিজ দলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক পরিশুদ্ধি বা সমৃদ্ধির জন্য করেন নি । এর পাশাপাশি কিছু বাম দল, যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকেই আওয়ামী লীগের বৈমাত্রীয় আচরণে এবং ততপরবর্তীতে বাকশালীয় প্রচেষ্টায় বিরূপ ছিল, তারা বিএনপির মঞ্চকে কাজে লাগাতে সক্রিয় থাকতে শুরু করেছিল । এরকম দড়ি টানাটানি আর চেয়ার দখলের রাজনীতির প্রেক্ষাপটকে কাজে লাগিয়ে আর শিক্ষার আলো ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথে ধীর গতিতে হাঁটতে থাকা সাধারণ এবং বিশেষত অস্বচ্ছল মানুষগুলোর সম্ভাবনার সূত্রগুলোকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রের প্রতিটি কোষে ফাংগাস-ব্যাকটেরিয়ার মতোন বিকাশ ঘটিয়েছে মৌলবাদী দল । সিঁদ কেটেছে তারা নাজুক রাজনৈতিক মতাদর্শ আর ঠুনকো অঙ্গিকারের রাজনৈতিক শক্তির ।
দেশপ্রেম, জনমানুষের জন্য সেবার লক্ষ্যে ত্যাগ – এসব ধারণাকে প্রাগৈতিহাসিক পরিচিতির ফ্রেমে ঝুলিয়ে রাজনীতিকে নব্য বানিজ্যিক হাতিয়ার হিসাবে নির্মাণ ও বিস্তৃতিতে সক্রিয় ছিলো রাজনৈতিক অঙ্গণের প্রায় শতভাগ মানুষ । যা কিছু বোকা সোকা মানুষ দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসার বিকার নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলো গত তিন দশকে তাদের কারো ভাগ্যে কোনো শিকে ছিঁড়া তো দূরের কথা, অস্ত্বিত্ব নিয়ে টিকে থাকাও সম্ভব হয়নি । বিপরীতে তৈরী হয়েছে পক্ষ-বিপক্ষ উভয়ের পিঠা ভাগের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখবার অনন্য এক অলিখিত চুক্তির বিধান । ক্ষমতায় থাকলে ভাগটি বড় নাহয় ছোটো ভাগেই সন্তুষ্ট থাকা । কিন্তু যে বাঘ একবার মাংসের স্বাদ পায় তাকে ঘাস-পাতা-মাছে মানাবে কে ?
প্রবাদ আছে অর্থ, ক্ষমতা আর পদ সবাই হজম করতে পারে না । আর আমাদের দেশের হাভাতে নেতারা (!) বলিহারি- যাদের চোখ সর্বদা অন্যের পাতে নিবদ্ধ ! তাই ক্রমান্বয়ে গত স্বৈর শাসনের অবসানের পর থেকে রাজনীতির সংস্পর্শে এলেই মানুষ অর্জন করেছে অন্ধত্ব-বধিরত্ব । ধরে ছুঁয়ে নিজেকে ছাড়া আর কাউকে তারা জগতে দেখতেই পান না যেখানে, সেখানে সেই আর কেউ মানে সাধারণেরা কে খেলো, কে না খেতে পেয়ে মরলো, কে গান পাউডার-পেট্রল-ককটেল বোমায় আর কে আগুনে পুড়ে নাকি আগন্তুক গুলির আঘাতে মরলো তা তারা টের পাবেন কি করে ! তারা আজকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন এবং মানেন যে, জনগণের স্বার্থে রাষ্ট্রের যুগ গত হয়েছে বহুকাল আগে । এখন হলো রাষ্ট্রের স্বার্থে জনগনের যুগ ।
এই যে আওয়ামী লীগ চাইছে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসবে । তার জন্য ধরে নিলাম এঁকেছে সহস্র নীল নকশা । তা কি ক্ষমতায় এসে জনগনের সেবা করবার জন্য ! নিজ স্বার্থ হাসিলে মাঝে মাঝে একঘেয়েমী লাগলে পরে ক্বচিত কদাচিত এক সুযোগে জনতার প্রাপ্তি কিছু ঘটে যেতে পারে কিন্তু জনতা তার সেবা পাবে অমন কোনো এজেন্ডা তার নেই । বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায় কৌশলে কি অপকৌশলে নিজ সতীত্বকে বিপন্ন করে হলেও । কেন ? জনগনের সেবা করবার জন্য ! দু দলের কারো এজেন্ডায় জনগণের স্বার্থ যদি আদৌ তালিকার তলানীতেও পড়ে থাকতো তবে এভাবে একটা মানুষও লাশ হতো না । ওরা জানে জনতার কাজ ওদের ভোট দেয়া, প্রেমময় চুম্বনে তাদের জুতো পরিষ্কার ও চকচকে রাখা । সামন্তবাদী রাজা-বাদশাহের আমলেও শাসকের চেয়ারে বসে এতোটা নির্দ্বিধায় ও নির্বিবাদে জনতাকে কেউ এমন আবর্জনার মতন ভেবেছিলো কিনা জানিনা ।
তাহলে এই জনতার চোখে ঠুলি পরিয়ে এক কে অন্যের অনিষ্টে এমন অনায়াসে কি করে ব্যবহার করে যাচ্ছে রাজনীতিবিদেরা দিনের পর দিন ! সেই মন্ত্রটি আর কিছুই নয় মোসাহেবীর মন্ত্র, সুবিধাভোগে ভাগীদার বানাবার মন্ত্র । এসব টোপে অর্থনৈতিক পরাধীন মানুষকে মিথ্যে অঙ্গীকারের মোড়ক দেখিয়ে অনায়াসে কেনা বেচা করছে – ক্ষমতার ভেতর ও বাইরের সব রাজনৈতিক শক্তি । আজকে যখন কোনো রাজনৈতিক দল তার নিজ সংগঠনের ভেতর কোনো সুস্থ্য গণতান্ত্রিক চর্চা করে না তখন বাইরে সে করবে কোথা থেকে । সেই প্রতিষ্ঠানকে গলা টিপে হত্যা করেছে সে বহুকাল আগে । আজ তাই বোধ বুদ্ধি বিবেচনা সম্পন্ন মানুষ মাত্রই তাদের দু চোখের বিষ । তাদের হয় বশ করো, নয় কেনো, নয় মেরে ফেলে দাও । হাবিল কাবিলের যুগে ফিরে গেছি যেনো আমরা !
ইংরেজ শোষকেরা যে মন্র দিয়ে করে গিয়েছিলো রাজত্ব, সেই ডিভাইড এন্ড রুলের মন্রে আজো শাসিত হচ্ছি আমরা । নানান লেবাসে পক্ষ আর বিপক্ষের মোড়ক পরিয়ে আনবরত দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে আমাদেরই এক জনকে অন্য জনের বিরুদ্ধে । আজকে এখনও সেই লজ্জাজনক বিভাজনের ঠুলিতে আঁটকে দেয়া হচ্ছে আমাদের দৃষ্টি ও বোধকে । তার বিপরীতে সত্যিকারের দেশপ্রেমকে নিষিদ্ধ করে রেখেছে যেনো সকল রাজা-উজীরেরা ।
এই অরাজক অবস্থায় সামাজিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বহু দিক থেকে । অর্থনৈতিক অচলাবস্থা কর্মসংস্থানকে সংকটে ঠেলে দিয়ে আর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই অহেতুক রাজনৈতিক সহিংসতার পেছনে ছুটিয়ে মাঠ ফাঁকা করে দেয়া হচ্ছে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি আর নানাবিধ অপরাধ সংগঠকদের । আমাদের মন মানসিকতাকে অপরাধ সহনীয় করে তুলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধের দেয়াল সরিয়ে দেবার এবং সাধারণ মানুষের মাঝে সহজ স্বাভাবিক ভাবে সব অপকর্ম মেনে নেবার মানসিক বিকলাঙ্গতা তৈরী করবার জোর চেষ্টা করছে রাষ্ট্রযন্ত্র ।
আন্তর্জাতিক ভাবে মোসাহেবি যখন একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে তখন এদেশের রাজনীতিবিদেরা আরো তিন কাঠি সরেস বলে নিজেকে প্রমানিত করবার চেষ্টায় ব্রতী । তা যদি আপন স্বার্থ পরিপন্থী হয় তবে হয়তো ভিন্ন কথা । না হয় দেশ বেচে দিতে প্রতিযোগিতায় এক বিন্দু পিছপা নয় । কেউ যদি তা তাকে কিছু ফায়দা দিতে পারে তাহলেই হলো ।
কিন্তু এবার সেখানেও ত্রিশঙ্কু অবস্থা । ভারত চাইছে এক জনকে । চীন চাইছে উভয়ের অংশগ্রহণে তার সাথে বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে আসুক কেউ । আমেরিকা চাইছে না কাউকেই । এখন জাতীয় হোক আর আন্তর্জাতিক হোক – এদের চাওয়া না চাওয়ার দোলাচলে আমরা সাধারণ মানুষেরা কতকাল বিষম খাবো আর হেঁচকি ওঠাবো !
মাঝে যা ও একটা সম্ভাবনা জাগছিলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের সুত্রে সরকার ও রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালিত হয়ে বারং বার এমন সংকট সৃষ্টি আর দুর্ভোগ প্রাপ্তির সমাপ্তি ঘটবার । সেটাও আর হলো কই ? প্রবক্তা উদ্যোক্তারা সবাই তো যার যার সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী অন্যের পকেটে ঢুকে পড়েছেন আপন স্বার্থের সৌভাগ্য সদাই করে ।
আমরা আম জনতা তবে আজ সদাই করবো কি ? ট্রাকভর্তি পথে পড়ে থেকে পঁচা সবজী-মাছ নাকি কিছু ধারালো দা-কাস্তে-কুড়াল-শাবল-খুন্তি ! আর শান দেবো নিজের মুষ্ঠি ও মগজে !
০৩ ডিসেম্বর ২০১৩
নূর হোসেনের দেশ – বাংলাদেশ
[ কোয়াড্রোলজির তৃতীয় পর্ব ]
ভাইয়া,
আপনার এই সিরিজটা খুব ভালো লাগছে। এটা কি এখানেই শেষ, না আরো পর্ব আছে?
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম ।
কোয়াড্রোলজির চতুর্থ পর্বটি আছে বাকী ।
ভাইয়া,
অপেক্ষায় থাকলাম।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
নানান ব্যস্ততায় সিসিবিতে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম ঝাড়া দু'হপ্তা। এর মধ্যে এ সিরিজ গড়িয়ে শেষ হবার পথে। কোন মানে হয়?
প্রথম দু'পর্ব না পড়ে এটাই ধরলাম। পিছিয়ে গিয়ে পড়ে নেবো তাদের।
খুব ভালো লাগলো লুৎফুল ভাই। পরিষ্কার কথাবার্তা। কথা হচ্ছে আমরা (বা তাঁরা, যাদের বেশি করে শোনা প্রয়োজন) শুনতে যাই কি না। শুনে ফেললেও বুঝতে চাই কি না।
তোমার মন্তব্যের জবাবটা দিলাম কোথায় আর গেলো কোথায়!
(নীচে আলাদা কমেন্ট হিসেবে চলে গেছে)
সেলফোনে এমন বিভ্রাট যেনো লেগেই থাকে।
🙂 🙂 🙂 🙂
আপনার পুষ্পিত পদ্যর সাথেই আমাদের বেশী সখ্যতা সিসিবিতে, ভাইয়া। কবিদের কবিতায় আমি নিজে কলম ছোঁয়াতে না পারলেও বিদগ্ধ কবিরা কে কি ভাবছেন সেটি আমি মনোযোগের সাথে পড়ি সুযোগ পেলেই। আপনার গদ্য প্রসংগে বলতে গেলে আমি বলবো, আপনার গদ্য একাধারে গতিময় এবং গীতিময়ও বটে!
নীল মসলিনের মুগ্ধতা এখনো চোখের পাতায়!
কিভাবে যে বলো তোমরা ! বিশেষ করে তোমার এসব কথায় তো সব্যসাচী প্রথিতযশা লেখককেও বলে ফেলবো। "পেছনে গিয়ে দাঁড়ান"।
গদ্য আসছে আরো। নতুন নয়। পুরোনোই।
নূপুর,যাদের শোনার বা বোঝার প্রয়োজন তাদের আর পাবো কই! তবু বলা এইজন্য যে প্রজারা অন্তপ্রাণ হয়ে চাইলে রাজাও পাল্টে যায়, রাজকার্যের রীতিও পাল্টায়। সেই তথ্যটা কানে লানে ঢোলের মতোন বাজিয়ে দেয়া দরকার। সবাইকেই স্মরণ করিয়ে দেয়া দরকার যে, যারা আমাদের নির্দয় ভাবে মাড়িয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। তাদেরকে সএএই শক্তিটা ধারে কি অনুদানে আমরাই যুগিয়ে দিয়েছি।
জানা প্যাঁচাল কিন্তু না বলে চুপ থাকতে পারি না। বুদ্ধি কম বলেই সম্ভবত। বেশী হলে মানিয়ে নেয়া কিংবা এর থেকে ফায়দার সর তুলে খেয়ে নিতে সিদ্ধহস্ত হয়ে যেতে পারতাম আরো আগেই। (সম্পাদিত)
আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনীতি বোঝেন, কিন্তু যাদের জন্যে রাজনীতি সেই মানুষদের বোঝেন না।
বুঝলে প্রথমেই তারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করতেন যে কী কারণে বঙ্গবন্ধুর মত একজন গণ মানুষের নেতা মাত্র সাড়ে তিন বছরে এত অজনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন হবার আগে যারা বঙ্গবন্ধুর একটি ইশারায় নিজের জীবন বিপন্ন করে তুলতেও পিছপা হতেন না, তাঁরা কেন বঙ্গবন্ধুর উপর থেকে আস্তা হারিয়ে ফেলেছিল।
আওয়ামীলীগ যখন এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজে পাবে তখন এই দলটি সত্যি সত্যি জনগণের দলে পরিণত হবে
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
সাইদুল ভাই, কথা হলো খুঁজবে কিনা !
এ দেশের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করেছে মুক্তিযুদ্ধের বাণিজ্যিকীকরণ আর ইতিহাস বিকৃ্তকরণ।
এসব তো আর এমনি এমনি হয়নি। ধান্দাবাজরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ঘটিয়েছে এসব