প্রতিকৃতি ও কান্না বারণ

কান্না বারণ

 

কান্নার শব্দে সাড়া মেলে না
চকিতে চোখ মুছে নেয় সে
গায়ের ধুলো ঝেড়ে ফেলে
দু’হাত পকেটে ঢুকিয়ে
মাথা একটু নিচু করে
শিস্ দিতে দিতে আগায়
একটু থামে চারিদিকে তাকায়
যাবতীয় দুঃখ গ্লানি হতাশা
পেরুবার সীমিত দরোজা
ক্রোধ কিংবা সফলতা
পুরুষ হবার পথে যাত্রা শুরু।

০৫   এপ্রিল  ২০২৪

 

বিস্তারিত»

দুইটা লিরিক

[ফেসবুক মেমরি থেকে পেলাম। গত দশকের গোড়ার দিকের লেখা। গান হবে এরকম চিন্তা ছিল। হয়নি। ঘনিষ্ঠ এই ব্লগে আনকাট ভার্সনটা টুকে রাখা থাক।]

#
শ্যাওলা জমেছিল বুঝি
তোমার মনের পুকুরে,
ভিজতে ইচ্ছে করেছিল
তাই অন্য শ্রাবণ দুপুরে।

দেয়াল পাশের বাতায়নে
কাঁদতে যখন অঝোরে
ভাবনা জমাট বাঁধা ছিল
অন্য কারো আদরে।

খেয়াল খুশীর ইচ্ছে মত
আমায় কেন জড়ালে?

বিস্তারিত»

জীবন থেইকা মাধুর্য উইড়া গেছে

বৃহঃস্পতিবার আসলে আগে একটা ফিল পাইতাম। এই ফিল প্রথম আসে স্কুল-কলেজে থাকতে। যেইখানে পড়তাম ওইখানে শুক্কুরবার সকালে পিটি-প্যারেড করতে নামা লাগতো না। আর বৃহঃস্পতিবার রাতে আমাগো ভালো-মন্দ খাইতে দিত। ওইটারে আমরা বলতাম— স্পেশাল ডায়েট। জেলখানার কয়েদিদের যেমন বিশেষ দিবস আসলে এইরকম খাবার খাইতে দেয়। আর বৃহঃস্পতিবার রাতে মুভি শো হইতো৷ দল বাইন্ধা আমরা বিদেশি সিনেমা দেখতাম৷ যদিও ইলেভেন-টুয়েলভে সিনেমা না দেইখা, মোবাইলে তৎকালীন প্রেমিকার লগে কথা কইতাম বা পছন্দের জুনিয়র ডাইকা গান শুনতাম,

বিস্তারিত»

দু’টি চতুর্দশপদী কবিতা

প্রশ্নমালা

কবি! কেমনে লিখো হে এমন কবিতা?
লিখিতে কবে থেকে? ছাত্র থাকার কালে?
উনপঞ্চাশ বায়ু পঞ্চাশ পার হলে?
নয়! খুলে বলো তবে, রহস্য ছবিতা।
বলো কে সে মায়াবী আড়ালে আবডালে
কোন কাশবনের সেলফি তোলা ষোড়শী
গেঁথেছে তোমায় উছলতার বড়শী!
হয় কি মাতামাতি গোপন মহলে?
হতে পারে নাকি কভু গোধূলিতে ভোর
স্বপনে তোমায় দেখি, হবে নাকি মোর?

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক কবিতা


ভালোবাসা মেঘ হয়ে গ্যাছে বহু আগে,
এখন শীতকাল,
মেঘমুক্ত আকাশের দিকে
তাকিয়ে তবুও বৃষ্টির অপেক্ষা।
বৃষ্টি হবার কোন সম্ভাবনা নেই।
চরাচরে তীব্র রোদ।
ভালোবেসে যারা রোদ্দুর হতে চেয়েছিলাম,
এই শীতে তারা অডিনের সঙ্গে ডিনার করবো ভালহালায়।
সুদিন কবে আসবে, অডিন?
আর্তনাদ চেপে বীরের মতো মরে যাবো।
কোথাও কী আছে আর্তনাদহীন মৃত্যু, মৃত্যুহীন ব্যথা,

বিস্তারিত»

জ ল পা ই ব নে র দি ন লি পি

১.
তাবুতে থাকলে “ক্যাম্পে”র কথা মনে পড়ে, নিঃশব্দে আওড়াই-

“এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাইহরিণীর ডাক শুনি—
কাহারে সে ডাকে!”

আমাদের ক্যাম্প এক জলপাই বনে, নরসিংদীর এক বর্ধিষ্ণু গ্রামে। অদূরেই ভৈরব, আড়িয়াল খাঁ নদ, ব্রহ্মপুত্রের চর, মেঘনার শুরু। চারদিকে ধান ক্ষেত, যেখানে ”ধান কাটা হয়ে গেছে”। এর মধ্যে আমাদের ক্যাম্প,

বিস্তারিত»

শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৭

আমি সচরাচর আমার এক্সিস্টিং কোন ছাত্র/ছাত্রীর কাছ থেকে কোন প্রকারের গিফট/টোকেন রিসিভ করি না। তবে কালেক্টিভলি ছাত্র/ছাত্রীরা যদি ডিপার্টমেন্টের সব শিক্ষকের জন্য (বিশেষ করে তাদের বিদায় অনুষ্ঠানে) স্মৃতিস্মারক হিসেবে কোন কিছু দেয়, তখন তো সেটা নিতেই হয়। অবশ্য এর বাইরেও কখনো কখনো নিতে হয়েছে; যেমন, কেউ হয়তো বিদেশ সফর থেকে ফিরেছে, এবং ডিপার্টমেন্টের সকল শিক্ষকের জন্য কিছু টোকেন নিয়ে এসেছে; আমার কাছে তখন মনে হয়েছে সেটা ফিরিয়ে দেয়া অসামাজিক এবং অসম্মানজনক।

বিস্তারিত»

টরেটক্কা টরোন্টো – আগমন (পর্ব-২)

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দেখে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির এক গবেষণা প্রকল্পের ‘গবেষণা প্রকৌশলী’র পদে অ্যাপ্লাই করি। গবেষণার বিষয়বস্তু হচ্ছে ‘ই-লার্নিং’ এবং লক্ষ্য হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির শিক্ষা পদ্ধতিতে বাস্তব সম্মতভাবে কিভাবে ই-লার্নিং-কে সম্পৃক্ত করা যায় সেই বিষয়ে অনুসন্ধান ও সুপারিশমালা প্রণয়ন। গবেষণা প্রকৌশলীর পদে আসলে একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে খোঁজা হচ্ছিল যার কাজ হবে সুপারিশমালার ‘প্রুফ অব কনসেপ্ট’ তৈরি করা –

বিস্তারিত»

শহরের এক পৌনঃপুনিক দিন

মধ্য আগস্ট-শ্রাবণ শেষের দিনে, শহর জুড়ে সুতীব্র শোকের ছায়ার মাঝে, তৃতীয় বারের মতো উদাসীন-অসাবধানতায় হারিয়ে যায় ফোন। যেহেতু, জীবন নিয়ে আর কোন নীল-নকশা নেই, যা কিছু যায় (ব্যক্তি কিংবা যন্ত্র) তার জন্য কোথাও কোন ক্রন্দন থাকে না। তবুও জিডি করতে যাই হাতিরঝিল থানায়। দেখি, কর্তব্যরত অফিসার রঙ্গ-রসে ব্যস্ত হয়তো শ্যালিকা, বন্ধু, আত্মীয় কিংবা পরিচিতার সঙ্গে। ভাষায় বুঝি একই ডেমোগ্রাফিতে আমাদের বেড়ে ওঠা। আলাপ হয়। খাতির যত্ন করেন (অবশ্য যেটুকু পেলেই তাকে খাতিরের মত মনে হয়)।

বিস্তারিত»

বিক্ষিপ্ত চিন্তামালাঃ পর্ব-১ (দিনলিপির খসড়া)

আপডেটঃ শুক্রবার, ১৩ আগস্ট ২০২১

কপিরাইটঃ আহমদ মাহবুব-উল-আলম

খসড়া হিসেবেই এই লেখাঃ বিভিন্ন সময়ের আমার একান্ত কিছু চিন্তা।

পরিবার ও কর্মজীবনঃ Being something is important; not that all the time we need to be the best or extraordinary, but being nothing actually gives nothing. The moral is that being moderate keeps life stable unless someone is really and rarely out of the box.

বিস্তারিত»

এলোমেলো ভাবনা (জুন ২০২১)

শেষ বারের মত লিখেছিলাম চার বছর আগে। চার বছর এ জীবন টা অনেক বদলে গেছে, নিজেও বদলে গেছি অনেকটা । এটা ভয়ের বিষয়, নিজেকে মাঝে মাঝে চিনতে পারিনা। ফেচবুক যখন পুরাতন বছর এর আমিকে সামনে টেনে নিয়ে আসে, সেই অর্বাচীন যুবক কে দেখে বিব্রত হই। আগে যেটা ভাল লাগতো, এখন সেটা ভাল লাগে না, ভাল লাগার বিষয়গুলো খুব ক্ষণস্থায়ী হয়ে যাচ্ছে আজকাল। জানিনা এটা বয়সের প্রভাব কিনা।

বিস্তারিত»

আমার জীবনে নারীঃ পর্ব-২

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

জীবনের চক্র বড়ই অদ্ভুত। আজ, ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২০, আমাদের মেয়েটার জন্মদিন; আট বছর পূর্ণ করে নবম বর্ষে পা রাখলো সে। ২০১২-তে এদিনে দুপুর তিনটা-সাড়ে-তিনটার দিকে তার জন্ম। আর আজই আমাদের পুরো পরিবারের একটা জেনারেশনের সর্বশেষ ব্যাক্তিটি ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমন করলেন, ভোর তিনটা-সাড়ে-তিনটার দিকে; তিনি আমার জন্মদাত্রী মায়ের জন্মদাত্রী, আমার ভালবাসার নানু। মন খারাপ লাগছে কিনা, কিংবা কষ্ট পাচ্ছি কিনা,

বিস্তারিত»

তাল পিঠা

দমকা হাওয়ায় নিভে গেল বিজলী বাতি। এ তল্লাটে এমনটি ঘটে না সচরাচর। পাশের বাড়ির এক ঝাপটা বাতাস নাসারন্ধ্র পথে ডুব দিলো অনেক গভীরে। বজ্রপাতের আলো আঁধারের মাঝে ঝপঝপ বৃষ্টি। হারিকেনের টিমটিমে আলোয় কাঁসার থালা হাতে বুবু। কলা পাতার উপরে লাল চাপড়া আর বড়ার সুবাস আসছে। মা পিঠা বানিয়েছে। জিভে জল চলে এলো! হঠাৎ টরটর করে ওঠে ফ্যানটা। পটরপটর করে থিতু হবার চেষ্টায় টিউবলাইট। আরেকটু দেরী করে এলে ক্ষতি ছিল না বিজলী!

বিস্তারিত»

ক্যাডেট রম্যের দ্বিতীয় সংস্করণ ও ই-বুক প্রকাশ

‘ক্যাডেট রম্য’ নামে আমার একটা বই আছে। ২০১৬ সালের বইমেলায় বইপত্র প্রকাশন থেকে বইটি প্রকাশ পেয়েছিলো। মাত্র আটদিন বইটি মার্কেটে ছিলো। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মেলার পর বিভিন্ন কারণে বইটার হার্ড কপি আর প্রকাশ করা হয় নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ বইটির খোঁজ করেছেন। ‘ক্যাডেট রম্য’ নামে প্রথম আলোর অধুনালুপ্ত ফান সাপ্লিমেন্ট রস+আলো এবং দৈনিক ইত্তেফাকের ফান সাপ্লিমেন্ট ঠাট্টায় ২০১১-২০১৪ সময়কালে লিখেছি। ফলে, ‘ক্যাডেট রম্য’-এর এক ধরণের পাঠক শ্রেণী গড়ে উঠেছিলো।

বিস্তারিত»

টরেটক্কা টরোন্টো – আগমন (পর্ব-১)

১লা জুলাই, ২০০৬ – ‘কানাডা দিবস’-এর শেষ বেলায় আমরা টরোন্টোর পিয়ারসন্স এয়ারপোর্টে এসে পোঁছাই। টরোন্টো শহরে এই আমাদের প্রথম আসা – তাও আবার একেবারে তল্পিতল্পাসহ। পোর্টারের সাহায্য নিয়ে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পেরিয়ে যখন অ্যারাইভাল লাউঞ্জে এলাম, বাইরে তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। দীর্ঘ আকাশ পথ পাড়ি দেয়ার ধকলে কিছুটা হলেও ক্লান্ত আমরা। লাউঞ্জের কাঁচের দেয়ালের বাইরে বর্ষণসিক্ত টরোন্টো শহরের প্রাণ চাঞ্চল্যপূর্ণ জীবনের চিত্র চোখে পড়তেই অনেকটা চাঙ্গা বোধ করলাম।

বিস্তারিত»