পাকিস্তানে আজ থেকে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে গেলো এক ঘন্টা। গ্রীষ্মকালে দিবাভাগের পরিমান বাড়িয়ে দেবার এটা এক প্রয়াস, একে বলে “ডে-লাইট সেভিং টাইম” বা Summer time। এর আগেও ২ বার এখানে এমনটি করা হয়ছেঃ প্রথমে ২০০২-এ পারভেজ মোশাররফের আমলে, এরপর গত বছর মোশাররফের পতনের পর।
উন্নত বিশ্বে এ-কাজটির ব্যপক প্রচলন আছে। ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা এগিয়ে দেবার অর্থ হলো, দিন শুরু হবে একঘন্টা আগে থেকে, অর্থাৎ সূর্যোদয়ের তুলনায় মানুষ আগের চেয়ে ১ ঘন্টা আগেই দৈনন্দিন কাজ শুরু করবে অথচ সুর্যতো তার আগের সময়েই অস্ত যাবে, ফলে মানুষের কাজের (working-hour) ডিউরেশন হবে বেশি।
এভাবে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়াতে রাতের পরিমান যাচ্ছে কমে, এতে করে মানুষ রাত্রিকালে অত্যাবশ্যকীয় যেই বিদ্যুৎ তার ব্যবহার করবে কম, ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি (load shedding) হবে কম।
এসব বিবেচনায় বিভিন্ন দেশে গ্রীষ্মকালে এই ডে-লাইট সেভিং পদ্ধতি অনুসরন করা হয়।
সাদামাটা পরিচিতির পর এবার আমরা এর বিভিন্নদিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ করি।
সংজ্ঞাঃ Daylight saving time (DST) হলো ঘড়ির কাঁটাকে এগিয়ে দেবার প্রথা যাতে করে বিকালে দিবালোক বেশি এবং সকালে কম পাওয়া যায়। The clock moves ahead (thus, losing one hour) when DST starts, typically in the spring, and falls back one hour (thus, gaining one hour) when DST ends in the fall.
ইতিহাসঃ অনেকে বলে থাকেন বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন এর উদ্ভাবক, আসলে ফ্রান্সের জনগনকে খুব সকালে ঘুম থেকে জাগিয়ে কাজে লাগাবার একটা উদ্দেশ্য তাঁর ছিল, তাঁর উদ্ভাবিত “Early to bed and early to rise, makes a man healthy, wealthy and wise” পদ্যটি সেসময় (১৭৮৪ খ্রিঃ) ভোর সকালে রাস্তায় রাস্তায় গেয়ে ফেরা হতো, গীর্জার ঘন্টা বাজিয়ে। সকালের মূল্যবান সময়টুকু আলস্যে নষ্ট না করার এই আহবান-ব্রত তিনি নিয়েছিলেন। ব্যস, এতটুকুই।
এরপর ১৮৯৫ সালে নিউজিল্যান্ডের কীটতত্ববিদ George Vernon Hudson লিখিতভাবে DSTর প্রস্তাবনা করেন।
লাভ-ক্ষতিঃ দিনের বেলায় স্রষ্টার অফুরন্ত আলো, রাতের আঁধারে মানব-সৃষ্ট কৃত্রিম আলো। এই কৃত্রিম সীমাবদ্ধ আলোকে সাধ্যের ভেতর ব্যবহার করার প্রচেষ্টা হলো ডে-লাইট সেভিং। অর্থাৎ আমাদের চারপাশের শক্তিকে রক্ষা (energy saving) করার প্রক্রিয়া।
তাছাড়া বিকেলবেলা কিছুটা দিবালোক বৃদ্ধি করা গেলে office hour শেষে পরিবারের সাথে শপিং, বিনোদন সহ বিভিন্নভাবে সময়দান সম্ভব হয়। খেলাধূলা সহ নানাবিধ দৈনন্দিন কার্যাবলীর ফুরসত মেলে।
এর দু’একটা ক্ষতির মাঝে আছেঃ সান্ধ্য বিনোদন (যেমনঃ টিভি দেখা) ব্যহত হওয়া, ছাত্রদের রাত্রিকালীন পড়াশুনার সময় সংকোচন, রাতে দ্রুত শুয়ে পড়ার তাড়া ইত্যাদি।
অন্যান্য লাভঃ রাত্রিকালীন ট্রাফিক দুর্ঘটনা, অপরাধ ইত্যাদির পরিমান কমে যায়।
এ-বছর বিশ্বের মোট ৭৭টি দেশে DST শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। বাংলাদেশেও যদি তাই হতো, তবে সেটা বাংলাদেশের বিদ্যুত খাতের জন্য বেশ উপকারে আসবে বলে মনে করি।
আমরা আশা করবো বাংলাদেশ সরকার অতি দ্রুত এ-ধরনের একটি গঠনমূলক পদক্ষেপ নেবেন। এতে করে, অবশ্যই, আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর দিবাভাগের কাজের সুফল আমরা পাবো, সেই সাথে রাতের বেলা বিদ্যুতের চাহিদাটাও পূরন করা সম্ভব হবে।
সম্পুর্ন একমত। সুন্দর লেখা আলম ...
ভাল কথা আলম ভাই :thumbup:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কয়েকদিন আগে daily star এর পড়লাম...বিডিতে আলরেডী DST এর ব্যপারে আলোচনা শুরু হইছে...
আমাদের USA এ তেও DST এর প্রচলন আছে...বাট নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে...DST এর সময়কাল আতিবাহিত হবার পর যখন সময়টা ১ ঘন্টা এগিয়ে দেয়া হয়, তখন ওভারঅল heart attack এর পরিমাণ একটু বেরে যায়...খুব স্মভবত সকালে ঘুম এর পরিমাণ ১ ঘন্টা কমে যাবার জন্য...so its not all good my friend!!!
আমিও গত সপ্তাহে 'নয়াদিগন্তে' পড়সিলাম, বাংলাদেশে নাকি এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। আসলে বাংলাদেশের জন্য এর যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে।
মূল লেখাতে এর ক্ষতিকারক দিকগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে।
আর ঘুমের পরিমান কমবে কেন? ১ ঘন্টা আগে শুয়ে পড়লেই হলো। যেমনটা বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন চেয়েছিলেন!
শাহেদ দোস্ত, কবে আইলি? দেখলাম না...
যাই হোক, আমার মনে হয় জিনিসটা বাংলাদেশের জন্য ভালই হবে।
মিউজিক কি করিস এখনো? নাকি ... ... ...
ছাড়িসনা; প্লিজ! হাম্বল রিকুয়েষ্ট।
কিন্তু ভাইয়া বাঙলাদেশের কত শতাঙশ মানুষ সেটা বুঝবে তা বলতে পারেন???
R@fee
পাকিস্তানের মানুষ ক্যাম্নে বুঝলো, যে দেশে শিক্ষার হার এতো কম?
আসলে মানুষের বুঝাটা জরুরি না, সরকার সেটা করবে, মানুষ অটোমেটিক লাভটা পেয়ে যাবে।
আমার মতে এর অনেক প্রয়োজন।
ডে লাইট সেভিং ... আমি ভাবছিলাম বুঝি দিনের আলো বোতলে ভইরা রাইখা রাতে ব্যবহার করার কুন টেকনলজি ... :-B
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
"সিরিয়াস কমেন্টের ভাত নাই" স্লোগানের দিন কি শেষ নাকি ?? অনেক দিন পর ব্লগে আইসা 'মোখলেছ' বন্তে চাই না ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
মামা, আমি আছি আপ্নের্লগে... স্রিয়াস্কমেন্টের্বেল্নাই ... :-B :-B :-B
:khekz: :khekz:
তাইলে ওইটার নাম দেওয়া যায়ঃ white bottle effect. 😉
:pira:
ইশ এইরাম টেকনলজি যদি আইতো! খুব ভাল হইত। 😕
আইডিয়াটা দেশের জন্য ভাল।
কিন্ত আমাদের সেনাবাহিনীর কি হবে? আমরা ভোর ৬ টার পি টি ধরতে ৫:৩০ এ উঠি। এখন তাহলে ৪:৩০ এ উঠতে হবে। নাকি ভুল বললাম?
:bash: :bash: :bash:
আদনান, শব্দটা "এইরাম" না "ইরাম" হবে!
এখন ঘুমান (suppose) ১২টায়, তখন ঘুমাবেন (এখনকার হিসাবে) ১১ টায়। সো? নো চিন্তা।
কোনো কিছু আপ্লাই না করে কিভাবে বলা যাবে যে এটা ভাল, ওটা খারাপ? DST-এর ব্যাপারটা আমার মনে হয় কার্যকর করে দেখা উচিত বাংলাদেশে এর প্রভাব কেমন, ভাল নাকি খারাপ!!
অবশ্যই। তবে এ-পর্যন্ত যারা যারা এটা প্রয়োগ করসে, কারোরই লাভ ছাড়া লস্ হয় নাই।
সমস্যা হলো যে, সিসিবি'র ভাবী লিডাররাও এটা বুঝলোনা, খালেদা-হাসিনারা বুঝবে কেমন করে!
ভাই, সবাই সম্ভবতঃ বুঝে গেছে। আগামী ১৫ই জুন থেকে কার্যকর হবে।
এই তোমার কি হইছে ?
অনেকদিন কিছু লেখ না। ভাল আছ তো।
😀 😀 😀
১৫ তারিখ তো হয়ে গেলো !!
চালু হইলো কি?
কিছু জানিনা যে এখনো ভাই...
শুনে যতটুকু বুঝলাম, এইটার খারাপ দিক থাকার কিছুই তো নাই
১৬ জুন থেকে হবে।
১৬ জুন তো চলে গেল। 🙁
১৯শে জুন থেকে হবে। সব ফাইনাল।আজ রাত ১১টায় ঘড়ির কাঁটা ১ ঘন্টা এগিয়ে দিতে হবে। :just: নতুন অভিজ্ঞতা হবে :awesome: :awesome: :awesome: :awesome: