এ ট্রিপ টু রিমেমবার- [১] [২] [৩]
নেপাল থেকে ফিরার সময় তানভীররে বলতেছিলাম আমি আমার ধারা বজায় রেখে কয়েকটা ফটোব্লগ দিয়া দিমু নে আর তুই তো অনেকদিন লেখোস না, তাই তুই একটা ভ্রমন ব্লগ দিয়া দিস।
ফিরার পরেই আমি আমার কথা রেখেছিলাম। তানভীর ও লেখা দিলো। কিন্তু জিনিয়াসের মাথা থেকে আরেক জিনিয়াস আইডিয়া বের হলো। আসলে ফাকিবাজির ধান্দা আর কি। কি সেটা? একেক পর্ব একেক জন লিখবে। আমি বল্লাম তুই আর আমি ছাড়া আর কেউ তো সিসিবি তে লেখার নাই। যদিও ট্যুরের ৭ জনের ৬ জনই সিসিবি এর মেম্বার।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে (আমি তো পিরাই গেসিলাম) ২য় পর্ব লিখে ফেললো টুম্পা। কি আজিব কথা।
ভাবলাম ঠিক আছে ৩য় পর্ব তথা সবচেয়ে ভালো দিনের কথাটা আমিই লিখবো। কিন্তু নাহ সেই কপাম আর হইলো না । হঠাত করে ওইদিন আরমান জানালো ৩য় পর্ব ও লিখতেছে। এবং সেও যথারীতি কঠিন লিখলো। এবং আমার বারোটা বাজালো।
কারন?? কারন হলো বাকি আছে লাস্ট এর দিন এর লেখা। যেকোনো ট্যুর এ লাস্ট এর দিন বলার মতো কিছু করা হয় না। ১ম থেকে কিছু শপিং বাকি রাখা হয় যেগুলা লাস্ট দিন করা হয়। মোটামুটি মজার সব আগেই হয়ে যায়।
তার উপর প্রতিদিন অফিসে আসার সাথে সাথেই কমিঊনিকেটরে তানভীর এর নক “ঐ লাস্ট পর্ব কই?”।
নাহ ভূমিকা অনেক বড় হইয়া যাইতেছে। আসল লেখায় আসি।
১৭ই ডিসেম্বরে কাঠমুন্ডূতে ফিরার পর হোটেল এ রুম দেখা গেলো ২টা এক ফ্লোর এ, আরেকটা উপরের ফ্লোর এ। আমার আর ইমরানের কপালে পড়লো উপরের তলা। ফ্রেশ হয়ে বের হলাম আশে পাশে একটু ঘুরে আসার জন্য। সাথে সাথে ডিনারও করতে হবে। থামেল এলাকাটা আসলে ট্যুরিস্টদের জন্য। তাই মোটামুটি সব ক্লাব, বার, হোটেল এই এলাকাতে। আমরা হাটতে হাটতে দেখলাম। তারপর রাত এ কোথায় খাবো এনিয়ে অনেক ঘুরাঘুরির পর একটা বড় সড় ফুড কোর্ট পাওয়া গেলো। সেখানে বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া হলো।
ওখানে বসেই ঠিক হলো পরদিন ভোর বেলা যাওয়া হবে নাগোরকোট, যেখান থেকে হিমালয় তথা এভারেস্ট দেখা হবে। সব ই ঠিক আছে কিন্তু যেতে হবে ভোর ৪ টায়। ওখানে গিয়ে সানরাইজ দেখা হবে। কি মুস্কিল। এই ভ্রমনে এসে সব জায়গায় সানরাইজ দেখতে দেখতে ঘুমের বারোটা তো বেজে গেলো। আমি আর ইমরান যাবো কি না পরে যাবো কিনা জানাবো বলে বের হয়ে গেলাম রাতের কাঠমুন্ডু দেখতে। বাকিরা হোটেলে গিয়ে রেস্ট নিবে সকাল এ (আসলে ভোর রাতে)। আমরা রওয়ানা হতেই এসে জয়েন করলো সাজ্জাদ। সেও আমাদের সাথে ঘুরতে যাবে। নেপালের এক অদ্ভুত কাহিনি পেলাম। আর কোনো ট্যুরিস্ট শহরে দেখি নাই রাত ১১টায় সব কিছু বন্ধ হয়ে যেতে। সব ক্লাব, বার, নাইট ক্লাব, রেস্টুরেন্ট সব।
আমরা ভেবেছিলাম হয়তো অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে থাকবো। কিন্তু হলো না। হোটেলে ফিরতে হলো। ঠিক করলাম ভোর এ যাবো। কিন্তু ইমরান যাবে না। ও ঘুমাবে। ঠিক আছে কি আর করা।
ভোর ৪টায় আরমান যখন ডাক দিলো ওরে বাবারে। কি ঠান্ডা। (ওইদিনের তাপমাত্রা ছিলো ৪ ডিগ্রী)। আমিও একবার ভাবলাম ঘুমাই। পরে শুধুমাত্র এই চিন্তায় গিয়ে গাড়িতে বসলাম যে, হিমালয় এর এতো কাছে এসে না দেখে গেলে একটা আফসোস থেকে যাবে। কি আছে জীবনে। মোটামুটি ফ্রিজের (মোসাদ্দেক ভাই এর টা না) অনুভূতি নিয়ে রওয়ানা হলাম হিমালয়ের কাছাকাছি নাগোরকোটের দিকে। কাঠমুন্ডু থেকে ৯০ মিনিটের মতো লাগে যেতে।
ওখানে যখন গেলাম তখনো সূর্য তখনো ঘুমায়। ওরে ঠান্ডা বাতাস। মনে পড়ে গেলো কলেজের শীতের পিটির কথা। ফলিনে গিয়ে সব মুরগির বাচ্চার মতো এক জায়গায়। নাগোরকোটে গিয়েও অনেকটা একি অবস্তা। এক টাওয়ার ছিলো অনেক উচু। খুব উতসাহ নিয়ে উঠে মনে হলো পানিশমেন্ট খেতে আসলাম। আরো ঠান্ডা বাতাস। ৫ মিনিটে সব নীচে।
সেখান থেকে দেখলাম এডমন্ড হিলারী এর এভারেস্ট রেঞ্জ (ছোট বেলা থেকে এভারেস্ট এর সাথে এই নামটাই মনে আসে)। যদিও ওইদিন কুয়াশার জন্য ভালো দেখা গেলো না। আর আন্দালিবের মতো ভালো ক্যামেরা না থাকায় ছবিও ভালো তোলা গেলো না।
তারপর আবার সেই ভ্রমন করে রাজধানীতে ফিরে জটিল এক ব্রেকফাস্ট করলাম।
ব্রেকফাস্ট করে বাকি রা চলে গেলো শপিং করতে, আমি গিয়ে রুমে দিলাম এক ঘুম।
(চলবে)
🙂
এর মধ্যে কোনটা টুম্পা? :khekz:
আমি একটা বেপার বুঝতেছিনা, আমার ছবি প্রতি টা ব্লগ এ খুবই কম. যাইহোক, তোদের লেখার হাত দেখে আমি মুগ্ধ । :pira:
শানে....তুই হোটেলে পিড়া পিড়া ঘুমাইলে নাগরকোটে তোর ছবি আসবে কোত্থেকে? অবশ্য ফটোশপে এডিট করা যাইত। 😛
তোর লেখার হাতও টেস্ট কইরা দেখা যাবে! 😀
=))
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ইমরান,
তুমি দেখি বিরাট ডজার হয়ে গেছো; কলেজে ত এমন ছিলে না! x-(
নেক্সট পর্ব তুমিই লিখবে, নাইলে খবর আছে কইলাম।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই,
আমি মোটেও ডজার হইনাই . আমি সবাই কে সুযোগ দিলাম।
তানভির,
আগের পর্ব গুলাতেও আমার ছবি খুব ই কম . আমার হাতের লেখা ভালো. কত সুন্দর দেখ.
ক্ষিধা লাগছে। দ্রুত ভাংতে মঞ্চায় :dreamy: :dreamy: :dreamy: :dreamy:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
🙂
আবারো সেই ভুয়া ভ্রমণকাহিনী... :((
রবিন ভি, লেখা পড়ে আর ছবি দেখে তো মনে হল না আপনার কপাম খারাপ... 😛
শেষ দিনও তো অনেক মজা করছেন মনে হল...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
সহমত :thumbup:
ব্রেকফাস্ট প্লেট দেখে আবার খিদা লাগছে।
রবিন, ছবিগুলা খুব খারাপ হয় নাই। কাজেই, আন্দালিবের মতো ক্যামেরা নাই দেখে আফসুস কইরো না।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:dreamy: :dreamy: :dreamy:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
খাবারে ছবিটা ভাল লাগল অনেক। 😀
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
মানুষেরা কি খাবারেরও ছবি তুলে? এভাবে তো পেট খারাপ করবে।
ম্যাশ পটেটো'র জন্য কিছু নিয়া আসলা না ক্যান ;;;
যাক ছবিব্লগের পাশাপাশি কিছু লিখাও পাওয়া গেলো। ;))
:thumbup: ঘুম থেকে উঠবি কখন 😛
দোস্তো......তুই তো দেখি নাস্তার টেবিলেই শেষ করে দিলি...ভাল ভাল...যাই বল, এই নাস্তায় আমি জীবনে প্রথম GRILLED BANANA খাইছি...আহা কি টেস্ট...!!! ওয়াক থু...... x-( x-(