আকাশ প্রীতি আমার বেশ পুরানো একটা রোগ। হাসবেন না কিন্তু; হতে পারি নেহায়েত এক চাওয়ালা- কিন্তু নীলাকাশের প্রেমে পড়তে তো দোষ নেই। আপনারাই তো বলেন, প্রেম নাকি অন্ধ 😡 । মাঝে মাঝে তাই কাজ ফেলে ব্যালকনীতে দাঁড়িয়ে আকাশের (এইটা কইলকাইত্যার আকাশদা না, উপরের দিকে তাকান, হ্যাঁ এই আকাশলীনা 😀 ) সাথে ডেটিং করি। ভালোই লাগে রাতের আকাশ ভরা তারা; মোহাচ্ছন্নের মতো গোধূলীর আকাশে ধোঁয়াশাটাও তৃষ্ণার্তের মতো উপভোগ করি। মাঝে মাঝে অবশ্য ওকে লুকিয়ে একটু দুষ্টুমি করবার শখ জাগে হুটোপুটি করে বেড়ানো নক্ষত্রগুলোর সাথে। কিন্তু আমার এই বিশাল সাইজের ফ্রেন্ডটার জ্বালায় সেটি হবার জো নেই। অন্য কোথাও নজর দিলেই কেঁদে ভাসিয়ে দেয় বিশ্ব চরাচর।
যখন খুব ছোট ছিলাম, শুয়ে শুয়ে মামার দেয়া টিপ নেবার জন্য বায়না ধরতাম মায়ের কাছে। মায়ের আদরে চাঁদমামার সেই টিপ কখন যে আমার কপালে আঁকা হয়ে যে টেরই পেতাম না। আরেকটু বড় হবার পর শখ হলো মামা বাড়ির লোকজনের সাথে একটু সখ্যতা বাড়াবো। কিন্তু নানা কারণে আর সে সুযোগ হয়ে উঠেনি। তারপর চলে এলাম প্রবাসে। নানা কাজের ভীড়েও ইচ্ছেটা বোধহয় সময়ের সাথে মাটিচাঁপা পড়েনি।
সামারে ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রোনোমিকাল ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত আকাশ-দর্শন উৎসবে হাজিরা দিলাম কয়েকবার। টেলিস্কোপের চোখে চোখ রেখে ঘুরে ফিরে দেখে নিলাম পুরানো প্রেমিকাকে; আর তার বুকে উড়ে বেড়ানো পুঁচকে দস্যুগুলোকে। যদিও বেশিক্ষণ দেখবার সু্যোগ মেলেনি, কিন্তু আগ্রহটা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
এরপর সু্যোগ পেলেই ইন্দ্রজালে ঘাটাঘাটি করেছি অনেক; যদি কমদামে একটা ভালো টেলিস্কোপ পেয়ে যাই। কয়েকটা দোকানেও উঁকিঝুঁকি দিয়েছি। তবে দামগুলো একটু বেশি হওয়ায় (মোটামুটি মানের টেলিস্কোপগুলো $১০০ এর নিচে চোখে পড়েনি, আর সত্যি বলতে ওগুলো মনেও ধরেনি) শখটা পূরণ করে আর শক খাবার ঝুঁকি নেইনি; =(( হতদরিদ্র চাওয়ালা বলে কথা। হঠাৎ করেই গতকাল খোমাখাতায় বন্ধু আমিনের(ম.ক.ক, ০১-০৭) জরুরী তলব। হাজির হতেই বলে, “দোস্ত টেলিস্কোপ কিনমু।” আমি বললাম, “বামন হয়া তুমি চাঁন্দের দিকে হাত বাড়ায়ো না, হে মূর্খ মানব।” খানিকক্ষণ গালিগালাজ দিয়ে বললো, “আমি মইয়ের সন্ধান পাইছি। ঐটায় চড়লে গাছের উপরে উইঠা আকাশ ছোয়া যাবে। আশেপাশে তো আর কোন গাছ দেখতেছি না, তাই তোরেই মানে আর কী :duel: !!!” খটকা লাগলো, ব্যাটার বোধহয় মাথায় গন্ডগোল দেখা দিয়েছে।
যা হোক কাজের কথায় আসি, আমিনের কথার সারমর্ম হলো, আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটির নেতৃত্বে মাত্র ২০ মার্কিন ডলারে টেলিস্কোপ বাজারজাত হচ্ছে। আসলে বাজারজাত বলাটা ঠিক হবে না; এটা মূলত মহাকাশপ্রেমীদের জন্য নিম্নমূল্যে উন্নতমানের টেলিস্কোপ পৌঁছে দেবার একটা প্রয়াস। তারা এর নামাঙ্করণ করেছে গ্যালিলিওস্কোপ; ৪০০ বছর আগে চোখের তারায় আকাশ জিতে নেয়া বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর নামে। প্রকৃতপক্ষে এটা মূলতঃ আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ইউনিয়নের একটা প্রজেক্ট যা আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ হিসেবে ২০০৯ সনকে আরো তাৎপর্যবহুল এবং সফল করে তুলবে। এপ্রসঙ্গে মুহাম্মদ ভাইয়ের “বাংলার গ্যালিলিও ‘রাধাগোবিন্দ চন্দ্র’” থেকে একটা অনুচ্ছেদ উপস্থাপন করছিঃ
ইউনেস্কো ২০০৯ সালকে “আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ” ঘোষণা করেছে। ২০০৭ সালের ২০শে ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬২তম সাধারণ সভায় এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সালকে বিশেষভাবে বেছে নেয়ার কারণ হচ্ছে, ৪০০ বছর আগে ১৬০৯ সালেই গ্যালিলিও দুরবিন বানিয়ে আকাশ দেখা শুরু করেছিলেন। এই বর্ষ পালনের উদ্দেশ্য, মানুষ যেন মহাবিশ্বে তাদের অবস্থান পুনরায় আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়। এবারের আবিষ্কার হবে সজ্ঞানে, কল্পনার বশে নয়। এটা ইউনেস্কোর একটি বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ। বৃহত্তর উদ্যোগটি হল, বিজ্ঞানের সাথে সংস্কৃতির মিথষ্ক্রিয়া বাড়ানো এবং সংস্কৃতিতে বিজ্ঞানের অবদান তুলে ধরা।
এবারে আসা যাক গ্যালিলিওস্কোপের কথায়। মূলতঃ এটা প্রথম সারির কতিপয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী, অপটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞান প্রশিক্ষকদের নিয়ে গঠিত একটি টিমের পরিশ্রমের ফসল। তাদের মূল লক্ষ্য ছিলো, স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের টেলিস্কোপ বিশ্ববাসীর হাতে পৌছে দেয়া। তাদের ভাষাতেই বলি; এটা শুধু একটা সাধারণ টেলিস্কোপ নয়, বরং গণিত, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির জ্ঞানধারা পুরো বিশ্বময় ছড়িয়ে দেবার এক অনন্য চেষ্টা। পুরো যন্ত্রটা জোড়া লাগিয়ে দাঁড় করাতে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয়; কোন অতিরিক্ত সরঞ্জামেরও প্রয়োজন নেই। কেবল মাত্র একটা ম্যানুয়েলের সাহায্যে যে কেউ জোড়া লাগাতে পারবে। ম্যানুয়েল টেলিস্কোপের বাক্সেই থাকবে, চাইলে ইন্টারনেট থেকেও ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ৫০ মিমি ব্যাসের একটা অ্যাক্রোমেটিক লেন্স যার ফোকাল দৈর্ঘ্য ৫০০ মিমি, ২০ মিমি ফোকাল দৈর্ঘ্যের একখানা আইপীস (২৫x বিবর্ধক ক্ষমতাসম্পন্ন), ১.২৫ ইঞ্চি ব্যারেল- মোটামুটি এই হলো গ্যালিলিওস্কোপ। খানিকটা সাদামাটা হলেও দেখতে শুনতে খুব একটা খারাপ না; অবশ্য কোন ট্রাইপড এর সাথে আসবে না। ওটা পকেটের পয়সা খরচ করে আলাদা কিনতে হবে। ট্রাইপডটা বাদ দিয়ে টেলিস্কোপ কিটের দাম পড়বে ২০ মার্কিন ডলার। কিন্তু খাজনার থেকে বাজনাটা একটু বেশি, মানে পরিবহনের জন্য খরচটা দামের চেয়ে বেশি হয়ে যায়। যুক্ত্রারাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ পৌঁছুতে আপনাকে খরচ করতে হবে আরো প্রায় ৩৩ মার্কিন ডলার। তাহলে কত দাঁড়ালো, সব মিলিয়ে ৫৩ ডলারের মতো। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৬০০ টাকার মতো পড়বে। আর কেনার জন্য পেই-পাল অথবা ভিসা কিংবা মাস্টার কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
এক নজরে পুরো গ্যালিলিওস্কোপঃ
অবজেক্টিভ ডায়ামিটার: ৫০ মি.মি. (২ ইঞ্চি)
অবজেক্টিভ ফোকাল লেংথ: ৫০০ মি.মি. (f/১০)
আইপীস ফোকাল লেংথ: ২০ মি.মি.
বিবর্ধক: ২৫x (বারলো ব্যবহার করলে ৫০x পর্যন্ত )
দর্শনক্ষেত্র: ১.৫০° (বারলো ব্যবহার করলে ০.৭৫° পর্যন্ত)
আইপীস আই রিলীফ: ১৬ মি.মি. (বারলো ব্যবহার করলে ২২ মি.মি. পর্যন্ত)
আইপীস ব্যারেল ডায়ামিটার: ১.২৫ ইঞ্চি (৩১.৭৫ মি.মি.)
ব্যাপারটা অনেকটা সাইনপুকুরের অ্যাডের মতো; স্বপ্ন হলো সত্যি। প্রকৃতপক্ষে এর থেকে সস্তায় ২৫x বিবর্ধন ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপ পাওয়া সম্ভব না; আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা এবং ঘোরাঘুরি তাই বলে। শিক্ষার্থী, অনভিজ্ঞ কিংবা শৌখিনদের জন্য এটা দারুন এক সু্যোগ। হয়তো আইপীসে চোখ আটকে তৃষ্ণা উজাড় করে আমরা গ্যালিলিও, কোপার্নিকাস কিংবা রাধাগোবিন্দ্র হতে পারবো না; কিন্তু মহাকাশের প্রতি ভালোবাসাটা আরেকটু গাঢ় করে নিতে শিখে নেবো। দূরাকাশের কালপুরুষ, শনির বলয়, কিংবা চাঁদের বুড়ির সাথে খানিকক্ষণ গল্প তো করতে পারবো, মন্দ কী!!!
কী? ছোবেন নাকী আকাশটাকে?
(বি.দ্র.- বেশ কিছু ইংরেজি শব্দের বাংলা এমুহূর্তে মনে না পড়ায় ব্যবহার করতে পারিনি। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবার অনুরোধ রইলো।
মুহাম্মদ ভাইয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ক্ষমা প্রার্থনা। ভাইয়া, বিনা অনুমতিতে আপনার লেখা থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছি। 😀 )
🙂
আসলেই ? 😮
😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
২য়
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আপনাদের দুইজনের জন্য'ই :teacup: :teacup: 🙂
আমার চায়ের ব্যবসাটা মনে হয় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। 😛
আপু, অয়োময় আর জাভিয়ের এর জন্য একটা গ্যালিলিওস্কোপ কিন্যা দেন। 😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
তোরে না দেইখ্যাই তো আমি বানায় দিলাম। 🙁
কিন্যা কি দিবো? ঘরে মামা'র টা থাকতে 😛
ধন্যবাদ ভাবী। 🙂
চা ভাল ছিল। চায়ের পাতা সিলেট থেকে আনছেন নাকি?
আবার জিগস !!! B-)
চমৎকার! তথ্যটা আমাদেরকে জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ রকিব। আসলেই দাম অনেক কম পড়ছে! একটা কিনে ফেলবো কিনা চিন্তা করছি! :dreamy: আগে তো এদেশে আসুক!
থাক! আর কিছু বললাম না! আমাদের চা-ওয়ালা দেখি খুব খ্রাপ হয়ে যাচ্ছে! 😛
ভাইয়া এইটা দেশে আসবে না, এইটা সীমিত সময়ের জন্য অফার। অনলাইনে কিনে নিতে পারেন। ফেডেক্সের মাধ্যমে শিপিং হবে।
আপনাগোর মতো তো আর রুমকীর আম্মুরে পাই না, তাই আর কি করার আকাশের(এইটা কইলাম আকাশদা না) দিকে তাকায়া হা হুতাশ করি।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:khekz: :khekz: :khekz:
x-( x-(
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
না মানে আপনারে সেফ সাইডে রাখলাম আর কী :no: :no:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আকাশের লগে পেরেম পিরিতি না??বুঝিছি তোরে লংআপ করানোর টাইম হইছে B-) B-)
বস আপনি কত্তদিন পর!!!! :hug: :hug:
আছেন কেমন? শুনলাম কাইয়ূম ভাই নাকি আপনারে খুজতাছে, কি জানি আপ করাইবো কইতেছিলো। :gulti:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
পুলাডা দেখতে দেখতে বড় হইয়া গেল 😕
B-) এইবার তাইলে তিন প্রহরের বিল দেখাইতে নিয়া চলেন।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
৫ দিলাম
দারুণ যত্ন করে লিখছিস....অনেক কিছু শিখলাম...
কিন্যা ফেলেন একটা। বেশি না মাত্র ৩৬০০ টাকা।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
একটা কিনতে হইবো দেখছি 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কিনে ফেলেন ভাইয়া। :teacup: :teacup:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কি পোস্ট দিলি এইটা! আমার তো মাথা খারাপ হয়া গেল! ~x(
এই জিনিস এখন দেশ থিকা কেমনে কিনন যায় 🙁
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ট্রাইপডের দাম কত পড়বে? ফেডেক্সের এই চার্জ কি বাংলাদেশের যে কোন স্থানের জন্য একই পড়বে?
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
যতদূর জানি ফেডেক্সের এই চার্জ (ইউ এস $৩৩.৬৮) বাংলাদেশের সবখানের জন্য। ট্রাইপডের দাম বাংলাদেশে কত সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই ভাইয়া। ভালো হয় যদি কোন ফটোগ্রাফারের সাথে কথা বলতে পারেন। আমিও খোঁজ নেবার চেষ্টা করছি; জানাবো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
matha kharap kore dila vai ...... apatoto godhuli kothoner kotha mone koraye dissi na ........
😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ইদানীং আকাশ ভাইরে কলকাতার কইলে চোখ গরম কইরা এমুন ভাবে তাকায় যে অন্তরাত্মা শুকায় যায়।রকিব রে,আমি চাইনা আমাগো বিরিক্ষ সমাজের জনসংখ্যা কইমা যাউক।খুব খিয়াল কইরা বাজান!
আকাশদা বড্ড ভালো মানুষ গো দাদা। আর শুনেছি বৌদি নাকি গাছপালা খুব পছন্দ করেন। তাই বৃক্ষ নিধনের গন্ধ পেলেই উনি আকাশদাকে এয়স্যা করে বকে দিবেন। 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সেইরকম একটা খবর দিলা রকিব। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ-কে সফল করার পেছনে এটা বিশাল ভূমিকা রাখবে।
এসব খবর শুনলেই মাঝেমাঝে আমেরিকায় যেতে ইচ্ছা করে। সেটা তো আর হবে না! এখন বোধহয় দুরবিনটা কেনাও হবে না। বৈদেশ গেলে আশা পূরণ হওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল আর কি!
আমি মোহাম্মদ আবদুল জব্বারের "তারা পরিচিতি" বই অনুসরণ করে মাঝেমাঝে খালি চোখেই আকাশ দেখি। এর মাধ্যমে আসল রহস্য কিছুই বোঝা যায় না, উজ্জ্বল তারাগুলো চেনা যায় কেবল। শহরে অবশ্য তারা দেখা যায় খুব কম। গ্রামের বাড়িতে গেলে একবারে অনেক কিছু দেখে নেই। ভার্সিটিতে আমি আর আরেকজন মাঝেমাঝে হলের ছাদে গিয়ে এভাবে আকাশ দেখি। ছাদে চিৎ হয়ে শুয়ে মুখের উপর তারা পরিচিতি বইয়ের মানচিত্রগুলো মেলে ধরলেই অনেক কিছু বোঝা যায়।
তবে দুরবিন দিয়ে শনির বলয়, চাঁদের খাঁজ, বা বৃহস্পতির উপগ্রহ দেখার সৌভাগ্য এখনও হয় নাই। হাতে কিছু টাকা আসলে প্রথম টার্গেটই হল একটা দুরবিন কেনা।
আর আমার লেখা থেকে উদ্ধৃতি দিছো দেখে তো আমিই খুব খুশি। ক্ষমা আবার কি! 😀
আকাশ দেখা চালায়া যাও। আর দুরবিনটা কেনার পর কোনদিন কি দেখলা এবং দেখে কেমন লাগলো এইসব নিয়া এক্কেবারে নিয়শিত পোস্ট চাই। প্রথম দিন গ্যালিলিওস্কোপে আকাশ দেখার অভিজ্ঞতা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনার কমেন্ট পেয়ে আসলেই ভালো লাগছে। ভাইয়া দূরবীন কেনার জন্য আম্রিকা যাওয়া লাগবে না তো, দেশে বসেই কেনা সম্ভব। 😀
হাতে পেয়ে দেখি কি দেখা যায়। ২৫x এ অবশ্য খারাপ হবার কথা না।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
প্রায় দ্বিগুন টাকা দিয়ে মনে হয় দেশে কিনা হবে না। এইজন্যই বলছিলাম আর কি! 😀
নাহ, খারাপ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। যা দেখবা তা-ই লিখবা...
দারুন !!!!! :clap: :clap: :clap:
কষ্ট করছস :clap: :clap:
আপনি এট্টু কষ্ট কইরা কিইন্যা ফেলেন। তারপর চান তারা দেখতে পারবেন। ;;)
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
চমৎকার হয়েছে...।
আকাশ প্রীতি ভাল লাগলো।
:clap: :clap:
ধন্যবাদ ভাইয়া। কিনছেন নাকী?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
রকিব জলদি একখান গ্যালিলিওস্কোপ কিনা পাঠা তো...
পাশের বাড়ির মাইয়া দেখুম... 😡
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
পাশের বাড়ির মাইয়া? 😮
তোরতো কওয়ার কথা পাশের বাগানের পাতাবাহার দেখুম :grr:
কী যে জমানা আইলোরে :duel:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আপনার জন্য দেখুম তো... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ভাইয়ের লাইগা মাইয়া ভইনে ঠিক কইরা দিবো। তুই নাক গলাচ্ছিস ক্যান? 😡
:no: :no: :no: জুনাদা, কি আর কমু; পোষ্টে তো আর এই সদুদ্দেশ্য জানাতে পারিনি। :shy:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কিনে ফেলবো নাকি?
কিনে ফেলেন ভাইয়া। এর থেকে সস্তা হবে না, মানেও ভালো। আর কিছু না হোক, আপনার রুম থেকে উঁকি দিয়ে রুবাবা আন্টিরে তো দেখতে পারবেন।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
রকিব ভাই আজকেই আপনার পাঠানো টেলিস্কোপ খানা পাইলাম আনন্দে উহা মামাতো ভাইকে দিয়া দিলাম :((
খুব কষ্ট কইরা লিখসেন :clap:
পড়ে দারুণ লাগলো এবং জানলে খুশি হবেন যে আমার ভুগোলে মার্ক্স খুব ভালো ছিল B-)
তোরে তো বলাই হয় নাই আমারো ভূগোলে মার্ক ভালো ছিলো। খালি মানচিত্র আঁকতে দিলেই এট্টু প্রবলেম ছিল। 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আরে আমিও তো ্মান চিত্র একদ্মই আকতে পারতামনা 😀
অফার কয়দিন থাকবে?
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আমি এখনই অর্ডার দিচ্ছি। ধন্যবাদ রকিব তোমার সব তথ্যের জন্য।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু। 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এক্সেস কার্গোতে ট্রাইপড বেশ সস্তায় পাওয়া যায়। যদি কম্পিট্যাবল হয় ওখান থেকে কিনতে পারস।
ইউনিভার্সিটিতে অনেক প্রজেক্ট করস, একটা স্মার্ট দূরবীন বানানোর প্রজেক্ট হাতে নে। প্রজেক্টের আইডিয়াটা এই রকম অনেকটা, ওয়েব ক্যাম বা সস্তা কোন ক্যামেরা লাগাবি টেলিস্কোপের সাথে। লাইভ ভিডিও ফিড যাবে কম্পিউওটারে। ওই ভিডিও ফিড এনালাইজ করে বিভিন্ন কিছু করতে পারস। যেমন- তারা ট্র্যাক করা, তারা গুনা বা এরকম কিছু। করতে চাইলে আওয়াজ দিস, যতোটুকু সাধ্যে কুলায় হেল্প করার চেষ্টা করব। 🙂
তৌফিক ভাইয়ের মাথায় তো দেখি আইডিয়ায় ভরা। এইটা আমারও পছন্দ হইছে। দেখি রকিব কি বলে! আপনের সহায়থায় রকিব প্রজেক্টের কাজ শুরু করলে আমি দেশে থেকেও কিছু সফ্ট সাহায্য করতে পারি।... তাত্ত্বিক আর আকাশের মানচিত্র বিষয়ক সাহায্য।
🙂 :thumbup: :thumbup:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
৫.০০
ভাইয়া, আছেন কেমন?? অনেকদিন পর আসলেন মনে হচ্ছে।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি রকিব। এইতো আসি মাঝে মাঝে। তোমাদের টানে।
ভাইয়া, ভাবুন তো কেমন অদ্ভূত। জীবনে কখনো চোখের দেখা দেখা হয়নি; অথচ কী এক তীব্র সম্পর্কের সুতোয় গেঁথে আছি আমি, আপনি, আমরা সবাই। :hug: :hug: :hug:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
নাহ, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। একটা কিনেই ফেলব...
রকিব, আকাশে মোট ৮৮ টা তারামণ্ডল আছে না, ঐগুলার সব বাংলা নাম এই পৃষ্ঠায় গেলে পাবা। আমি প্রত্যেকটা তারামণ্ডলের আলাদা আলাদা নিবন্ধ লেখা শুরু করছিলাম, কিন্তু বেশিদূর আগানো হয় নাই। বাংলা নামগুলা খুব সুন্দর, ব্যবহার করতে পার।
দারুন একখানা পেজ দিয়েছেন ভাইয়া। বাংলা নামগুলো আসলেই সুন্দর।
ভাইয়া, স্টেল্যারিয়াম সফটওয়্যারটা ব্যবহার করেছেন? অল্পকদিন যাবৎ নাড়াচাড়া করছি , তবে এখনো খুব একটা অভ্যস্ত হতে পারিনি।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
হ্যা স্টেলারিয়াম মাঝখানে বেশ কিছুদিন ইউজ করছিলাম। তখন অবশ্য তারা খুব একটা চিনতাম না। তাই ইফেক্টিভলি করা হয় নাই। এমনিতেই নাড়াচাড়া করছিলাম আর কি! সফ্টওয়ারটা খুবই ভাল।
তারামণ্ডলগুলোর আলাদা আলাদা ছবিও তো এখানে দেখা যায়, তারপর রাতের দৃশ্য, দিনের দৃশ্য, প্রত্যেকটা তারার উপর মাউস নিলে বিস্তারিত দেখা যায়। আবার সার্চও তো দেয়া যায়। খুব ভাল সফটওয়্যার।
আরেকটা খুব ভাল সফটওয়্যার হচ্ছে মাইক্রোসফটের ওয়ার্ল্ডওয়াইল্ড টেলিস্কোপ। এখানে সিম্যুলেশন না, তারামণ্ডলের সরাসরি ছবি দেখা যায়, হাবল দুরবিনের তোলা ছবিগুলো ওরা দেখায়। তবে এটার জন্য নেট কানেকশন লাগে। আগে দেখছ? না দেখলে ট্রাই করে দেখতে পারো।
ওয়ার্ল্ডওয়াইড টেলিস্কোপ হবে... 😛
এটা আগে দেখি না, বাসায় গিয়ে ডাউনলোড দিবো। 😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
দিহান আপু কোথায় জানো নাকি রকিব?? 😕 😕
রকিবও দেখি হাওয়া হয়ে গেল!! 🙁 🙁 🙁
দিলাম একটা অর্ডার। 😀
রকিব, কম্প্যাটিবল ট্রাইপড কোনটা? এই জিনিস হাতে নিয়া তারা দেখতে বললে পরিবার-পরিজনের মাইর খাইতে হবে। ট্রাইপডের ডিটেইলস জানাও প্লিজ।
আপু, হাতে নিয়ে দেখলে কিন্তু মন্দ হবে না। 😛 😛
যতদূর জানি যেকোন ট্রাইপড(মিনি, টেবিল অথবা পকেট ব্যতীত) ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটা ব্যক্তিগত অভিমত হলো, ভালো হয় যদি একটু ভারী ট্রাইপড ব্যবহার করেন, তাতে উলটাপালটা মুভমেন্ট কম হবে। আপনার টেলিস্কোপের ওজন ১.২ কেজি অথবা ২.৬ পাউন্ড; লাইটওয়েটগুলোও চলবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি একটু ভারী (তাই বলে ৮-১০ কেজি না কিন্তু) ট্রাইপড খুজছি যাতে বেশি নড়াচড়া না করে।
আমাকে দুইদিন সময় দিন আপু, আমি অনলাইনে খুঁজে আপনাকে জানাচ্ছি কোথায় খানিকটা সস্তায় ভালো জিনিস পাবেন।
অফটপিকঃ মিডটার্ম ছিলো বলে উত্ত্র দিতে দেরি হয়ে গেলো 🙁
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ব্যাপার নাহ।
ধন্যবাদ, তোমার খবরের অপেক্ষায় রইলাম। এটারতো দেখি বিরাট লম্বা লাইন।আমি আরো দুইহাজার জনের পেছনে আছি 🙁
ওদের ওয়েবসাইটে বলা আছে,
দিহান আপুর খোঁজ চেয়ে একটা মন্তব্য করেছিলাম। উত্তর দাওনি বলে মাইন্ড করলাম।
ভাইয়া, আপুকে আমিও খুঁজে পাচ্ছি না। 🙁 কালকে সকালে উনাকে কল দিবো। প্লীজ মাইন্ড করবেন না। আসলে উত্তর ছিলো না বলে, খোঁজ না নিয়ে মন্তব্য করিনি। 😕 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
অনেক ধন্যবাদ। মাইন্ড প্রত্যাহার করলাম। 😀
তবে খোঁজ নিয়ে না জানালে কিন্তু আবার মাইন্ড করব!! মনে থাকে যেন!!
আপু অসুস্থ্য :(( :((
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বলো কী? কী হয়েছে? সিরিয়াস কিছু??!!! 🙁 🙁 😕 😕 😕
আগ্রহী ক্রেতাদের জন্য আরেকটু আপডেটঃ
মাত্র ২০ ডলারে বৃহস্পতি ছাড়িয়ে যাওয়া যাবে, ‘গ্যালিলিওস্কোপ’ দিয়ে এমন ঘোষণা শুনে কেউ কেউ প্রথমে চোখ কপালে তুলেছিলেন। টম কোন্স সে রকমই একজন। তিনি একজন অভিজ্ঞ আকাশদর্শীও। ভারী ভারী প্রফেশনাল টেলিস্কোপ নিয়েই তার প্রাত্যহিক কাজ-কারবার। ব্যক্তিগত ওয়েব ব্লগিংয়ে টম কোন্স লিখেছেন, ‘গ্যালিলিওস্কোপ নিয়ে প্রথম দিকে আমি যথেষ্ট সন্দিহান ছিলাম। মাত্র ২০ ডলারের একটি টেলিস্কোপ দিয়ে এর নির্মাতারা কিই বা আর দেখাবেন। যা হোক, স্নারক হিসেবে সংগ্রহ করা টেলিস্কোপটিতে যখন আমি চোখ লাগালাম, অবাক হলাম এর কার্যক্ষমতা দেখে। মাত্র ২০ ডলারে দেখতে পেলাম আমাদের এই সৌরজগতের গুরুত্বপূর্ণ সব গ্রহকে। এর সমীহ জাগানো লেন্স, সরল কাঠামো আর স্বচ্ছ ও নিখুঁত ব্যবস্থাপনা আমাকে মুগ্ধ করল। নির্মাতারা সত্যি সত্যি মনীষী গ্যালিলিওকে সেলিব্রেট করছেন এটা দিয়ে। জয় হোক গ্যালিলিওস্কোপের।’
তথ্যসূত্রঃ ২০ ডলারে টেলিস্কোপ- ইমন শিকদার
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
একটা দরকার 🙁
আইচ্ছ্যা দাঁড়ান, দেখতেছি ;;) ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
মন খ্রাপ করিসনা। আমারটা আসলে তোর এক্টু দেখতে দিমুনে ;;; 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তোমার লেখা পড়ে আরেকটু হলে কিনেই ফেলছিলাম । কিন্তু কি মনে করে ভাবলাম একবার ছোটভাইর সাথে কথা বলি। কথা বলে ভাল হল শুনি যে বড় ভাই অলরেডী ওর জন্য আর খালাত ভাইর জন্য ২ পিস পাঠিয়ে দিয়েছে।
দারুণ একটা পোস্ট হইছে এইটা।
দুর্দান্ত।
সাবাশ রকিব। :clap: :clap:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাই রকিব,
তোমার কোন কন্টাক্ট আড্রেস বা নাম্বার আমাকে একটু দিবা? ...... তোমার সাথে গ্যালিলিওস্কোপের ব্যাপারে কথা বলতে চাই।
দুর্দান্ত লেখা হইসে দোস্ত....... :gulli2: :gulli2:
::salute::
দোস্ত তুই আসলি কবে? 😀 😀
এই লেখাটার উৎস তুই। 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
দোস্ত আমি সিসিবির নীরব পাঠক প্রায় আড়াই বছর ধরে .....এতদিন পর এই পোস্টে কমেন্ট করে সরব হইলাম..... 😀
উৎস আমি কিন্তু পুরা ব্যাপারটা এত সুন্দর করে সবার সামনে উপস্থাপন করার পুরা কৃতিত্ব তোর..... :clap: :clap: