সেরা চলচ্চিত্র: ২০০৮

নতুন বছরেরও তিন দিন পেরিয়ে গেল। আমার জন্য ২০০৮ সালটি ছিল মুভি বছর। সিনেমা দেখা শুরুই করেছি গত বছর। কিন্তু সে বছরেরই অনেক সিনেমা দেখা হয়নি। যা দেখেছি তার অধিকাংশই পুরনো। ভবিষ্যতে যেন হারিয়ে না যায়, তাই ২০০৮ এর সেরা সিনেমাগুলোর নাম লিখে রাখার চেষ্টা করলাম। নিজে নিজে কোন ড়্যাংকিং বানানো অসম্ভব। কারণ অধিকাংশ ভাল সিনেমাই তো দেখা হয়নি। তাই আন্তর্জাল ঘেঁটে ভাল মানের সব ড়্যাংকিং জড়ো করলাম। সেগুলোই এখানে তুলে দিচ্ছি।

আমেরিকা তথা হলিউডের বছর তো প্রায় সবসময়ই ভাল যায়। কিন্তু এ বছর অবস্থা অপেক্ষাকৃত খারাপ ছিল। অস্কার কাকে দেবে এ নিয়েই ঝামেলা বাঁধতে পারে। সবাই বলছে, বছরের সেরা সিনেমা ডার্ক নাইট, কিন্তু সুপারহিরো সিনেমাকে সেরা ছবি বা সেরা পরিচালকের পুরস্কার দেয়া হবে না বোধহয়। তারপরও ডার্ক নাইটের সাথে প্রতিযোগিতা করার মত কিছু ভাল সিনেমা হয়েছে। অস্কারের পরেই সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার গোল্ডেন গ্লোব। এই পুরস্কারের মনোনয়ন ইতোমধ্যে দেয়া হয়ে গেছে। মনোনয়নগুলো দেখলেই অস্কার কে পাবে তা ধারণা করা যায়।

সেদিক দিয়ে গত বছর ফরাসি সিনেমার অবস্থা খুব ভাল ছিল। অনেকগুলো ভাল ভাল সিনেমা হয়েছে। উল্লেখ্য ২০০৬ থেকেই ফরাসিদের জয়জয়কার শুরু হয়েছে। ২০০৭ সালে “লা ভি এন রোজ” এর জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে Marion Cotillard এর অস্কার অর্জন উল্লেখযোগ্য। এবারও অনেকগুলো ফরাসি সিনেমা দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছে। বেশ খারাপ অবস্থা ইতালীয় সিনেমার। ভাল ইতালীয় সিনেমা চোখে পড়ল কেবল একটি (গোমোরা)।
আর কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করে দেয়া যাক… (প্রথম বন্ধনীর মধ্যে পরিচালকের নাম দেয়া আছে)

রটেন টম্যাটোস রেটিং

রটেন টম্যাটোস খ্যাতনামা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত রিভিউ জড়ো করে। কোন ক্রিটিক যদি সিনেমাকে খারাপ বলেন তাহলে তাকে রটেন, আর ভাল বললে ফ্রেশ ধরা হয়। এভাবেই রেটিং করা হয়। যেমন, কোন সিনেমার রেটিং যদি ৮৪% হয়, তাহলে বুঝতে হবে ১০০ জন ক্রিটিকের মধ্যে ৮৪ জনই সিনেমাটিকে ভাল বলেছেন, আর ১৬ জন খারাপ বলেছেন। রেটিং অনুযায়ী এখানে ড়্যাংকিং করা হল:

১. দ্য রেসলার – ৯৮% (ড্যারেন আরনফ্‌স্কি) [The Wrestler]
২. ৪ লুনি, ৩ সাপ্তামানি সি ২ জিলে – ৯৭% (Cristian Mungiu) [4 Months, 3 Weeks and 2 Days] – রোমানিয়া
৩. লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন – ৯৭% (Tomas Alfredson) [Låt den rätte komma in] – সুইডেন
৪. ক্লাস – ৯৭% (ইলমার রাগ) [Klass] – এস্তোনিয়া
৫. দ্য পুল – ৯৭% (ক্রিস স্মিথ) [The Pool]
৬. ওয়াল-ই – ৯৬% (অ্যান্ড্রু স্ট্যান্টন) [Wall-E]
৭. ওয়াল্‌ৎস উইথ বাশির – ৯৫% (আরি ফোলমান) [Waltz with Bashir] – ইসরায়েল/জার্মানি/ফ্রান্স
৮. মাই উইনিপেগ – ৯৫% (গাই ম্যাডিন) [My Winnipeg]
৯. দ্য ডার্ক নাইট – ৯৪% (ক্রিস্টোফার নোলান) [The Dark Knight]
১০. স্লামডগ মিলিয়নেয়ার – ৯৪% (ড্যানি বয়েল) [Slumdog Millionaire]
১১. হ্যাপি-গো-লাকি – ৯৪% (মাইক লেই) [Happy-Go-Lucky]
১২. ডি ফ্যালশার – ৯৪% (Stefan Ruzowitzky) [The Counterfeiters] – অস্ট্রিয়া/জার্মানি
১৩. আলেক্সান্দ্রা – ৯৪% (Aleksandr Sokurov) [Alexandra] – রাশিয়া
১৪. জার সিটি – ৯৪% (Baltasar Kormákur) [Jar City] – আইসল্যান্ড
১৫. আয়রন ম্যান – ৯৩% (জন ফ্যাভরো) [Iron Man]
১৬. মিল্ক – ৯৩% (গাস ভ্যান স্যান্ট) [Milk]
১৭. টেল নো ওয়ান – ৯৩% (Guillaume Canet) [Ne le dis à personne] – ফ্রান্স
১৮. মাই ফাদার মাই লর্ড – ৯৩% (David Volach) [My Father My Lord] – ইসরায়েল
১৯. দ্য ভিজিটর – ৯২% (টমাস ম্যাকার্থি) [The Visitor]
২০. ইউ২ ৩ডি – ৯২% (ক্যাথেরিন ওয়েন্স, মার্কি পেলিংটন) [U2 3D]
২১. সুক্কার বানাত – ৯২% (নাদিন লাবাকি) [Caramel] – লেবানন
২২. দ্য সিক্রেট অফ দ্য গ্রেইন – ৯২% (Abdellatif Kechiche) [La graine et le mulet] – ফ্রান্স
২৩. ফ্রস্ট/নিক্সন – ৯০% (রন হাওয়ার্ড) [Frost/Nixon]
২৪. আই হ্যাভ লাভ্‌ড ইউ সো লং – ৯০% (Philippe Claudel) [Il y a longtemps que je t’aime] – ফ্রান্স
২৫. ট্রান্সসাইবেরিয়ান – ৯০% (ব্র্যাড অ্যান্ডারসন) [Transsiberian]
২৬. দি এজ অফ হেভেন – ৯০% (ফাতিহ আকিন) [Auf der anderen Seite] – তুরস্ক/জার্মানি
২৭. স্টিল লাইফ – ৯০% (জিয়া জাংকে) [Sānxiá hǎorén] – চীন
২৮. অ্যালিসেস হাউজ – ৯০% (Chico Teixeira) [A Casa de Alice] – ব্রাজিল
২৯. আ ক্রিসমাস টেইল – ৮৯% (Arnaud Desplechin) [Un conte de Noël] – ফ্রান্স
৩০. বয় আ – ৮৯% (জন ক্রাউলি) [Boy A] – যুক্তরাজ্য
৩১. টুইয়া’স ম্যারেজ – ৮৯% (Wang Quan’an) [túyǎ de hūnshì] – চীন
৩২. হেলবয় ২: দ্য গোল্ডেন আর্মি – ৮৮% (গুইলার্মো দেল তোরো) [Hellboy II: The Golden Army]
৩৩. কুং ফু পান্ডা – ৮৮% (মার্ক অসবোর্ন, জন স্টিভেনসন) [Kung Fu Panda]
৩৪. হাঙ্গার – ৮৮% (স্টিভ ম্যাকুইন) [Hunger] – আয়ারল্যান্ড
৩৫. বিউফোর্ট – ৮৮% (জোসেফ সেদার) [Beaufort] – ইসরায়েল
৩৬. রেচেল গেটিং ম্যারিড – ৮৭% (জোনাথন ডেমি) [Rachel Getting Married]
৩৭. মঙ্গোল – ৮৭% (সের্গেই বদরভ) [Mongol] – কাজাখস্তান/মঙ্গোলিয়া/রাশিয়া/জার্মানি
৩৮. Roman De Gare – ৮৭% (Claude Lelouch) – ফ্রান্স
৩৯. জেসিভিডি – ৮৭% (Mabrouk El Mechri) [JCVD] – ফ্রান্স
৪০. জেলিফিশ – ৮৭% (Etgar Keret, Shira Geffen) [Jellyfish] – ফ্রান্স
৪১. ব্যালাস্ট – ৮৭% (ল্যান্স হ্যামার) [Ballast]
৪২. ফ্রোজেন রিভার – ৮৬% (কোর্টনি হান্ট) [Frozen River]
৪৩. রিপ্রাইজ – ৮৬% (Joachim Trier) [Reprise] – নরওয়ে
৪৪. টাইম্‌স অ্যান্ড উইন্ড্‌স – ৮৬% (রেহা এর্দিম) [Beş Vakit] – তুরস্ক
৪৫. ফরগেটিং সারাহ মার্শাল – ৮৫% (নিকোলাস স্টলার) [Forgetting Sarah Marshall]
৪৬. বোল্ট – ৮৫% (ক্রিস উইলিয়াম্‌স, বয়রন হাওয়ার্ড) [Bolt]
৪৭. ওয়েন্ডি অ্যান্ড লুসি – ৮৫% (কেলি রাইখার্ড) [Wendy and Lucy]
৪৮. গোস্ট টাউন – ৮৪% (ডেভিড কোপ) [Ghost Town]
৪৯. ইন সার্চ অফ আ মিডনাইট কিস – ৮৪% (অ্যালেক্স হোল্ডরিজ) [In Search of a Midnight Kiss]
৫০. দি ইয়ার মাই প্যারেন্ট্‌স ওয়েন্ট অন ভ্যাকেশন – ৮৪% (Cao Hamburger) [O Ano em que Meus Pais Saíram de Férias] – ব্রাজিল
৫১. দি উইটনেসেস – ৮৪% (André Téchiné) [The Witnesses] – ফ্রান্স
৫২. আ সিক্রেট – ৮৪% (Claude Miller) [Un Secret] – ফ্রান্স
৫৩. ট্রপিক থান্ডার – ৮৩% (বেন স্টিলার) [Tropic Thunder]
৫৪. ইডেন লেইক – ৮২% (জেম্‌স ওয়াটকিন্স) [Eden Lake] – যুক্তরাজ্য
৫৫. ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সিলোনা – ৮২% (উডি অ্যালেন) [Vicky Cristina Barcelona]
৫৬. টিথ – ৮২% (মিচেল লিচেনস্টিন) [Teeth]
৫৭. দ্য ব্যাডার মাইনহফ কমপ্লেক্স – ৮২% (উলি এডেল) [Der Baader Meinhof Komplex] – জার্মানি
৫৮. ইন ব্রুজ – ৮১% (মার্টিন ম্যাকডনা) [In Bruges] – আয়ারল্যান্ড
৫৯. টাইমক্রাইম্‌স – ৮১% (Nacho Vigalondo) [Los Cronocrímenes] – স্পেন

মেটাক্রিটিক রেটিং (মেটাস্কোর)

মেটাক্রিটিকেও বিভিন্ন রিভিউ সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু রটেন টম্যাটোস এর মত এখানে ভাল বললে ফ্রেশ আর খারাপ বললে রটেন ধরা হয় না। বরং প্রত্যেক ক্রিটিক যে রেটিং দিয়েছেন তার শতকরা পরিমাণটি নেয়া হয়। যদি কেউ রেটিং না দেন তবে তার রিভিউ পড়ে রেটিং বুঝে নেয়া হয়। তারপর সবগুলো রেটিং এর গড় করা হয়। অনেকটা আইএমডিবি-র মত। পার্থক্য কেবল, আইএমডিবি দর্শকদের আর মেটাক্রিটিক ক্রিটিকদের। ব্র্যাকেটে মেটাস্কোর দেয়া আছে।

১. ৪ লুনি, ৩ সাপ্তামানি সি ২ জিলে (৯৭)
২. ক্লাস (৯৩)
৩. ওয়াল-ই (৯৩)
৪. ম্যান অন ওয়্যার (৮৯) [প্রামাণ্য চিত্র]
৫. ওয়াল্‌ৎস উইথ বাশির (৮৮)
৬. স্লামডগ মিলিয়নেয়ার (৮৬)
৭. দ্য ফ্লাইট অফ দ্য রেড বেলুন (৮৬) [Hsiao-hsien Hou পরিচালিত]
৮. দি এজ অফ হেভেন (৮৫)
৯. আলেক্সান্দ্রা (৮৫)
১০. আ ক্রিসমাস টেইল (৮৪)
১১. মাই উইনিপেগ (৮৪)
১২. আপ দি ইয়াংৎসি (৮৪) [Up the Yangtze – প্রামাণ্য চিত্র]
১৩. মিল্ক (৮৪)
১৪. মমা’স ম্যান (৮৪)
১৫. ব্যালাস্ট (৮৪)
১৬. হ্যাপি-গো-লাকি (৮৪)
১৭. চপ শপ (৮৩)
১৮. প্যারানয়েড পার্ক (৮৩) [গাস ভ্যান স্যান্ট পরিচালিত]
১৯. ট্রাবল দ্য ওয়াটার (৮৩)
২০. ইউ২ ৩ডি (৮৩)

আইএমডিবি রেটিং

আইএমডিবি তথা “ইন্টারন্যাশনাল মুভি ডেটাবেজ” এর রেটিং করে দর্শকরা। দেখার পর আইএমডিবির দর্শক সদস্যরা ১০ এর মধ্যে রেটিং দেয়। সব রেটিং এর গড় করার মাধ্যমে সিনেমার রেটিং তৈরী করা হয়।

৯.০ – দ্য ডার্ক নাইট
৮.৮ – দ্য রেসলার
৮.৭ – স্লামডগ মিলিয়নেয়ার, আ ওয়েন্‌সডে, জেরুসালেম, প্রেস্টো
৮.৬ – দ্য কিউরিয়াস কেইস অফ বেঞ্জামিন বাটন, ওয়াল-ই, Dasvidaniya
৮.৫ম্যাক্স ম্যানাস
৮.৪ – গ্র্যান্ড টরিনো, মিল্ক
৮.৩ – লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন, রক অন!!, মুম্বাই মেরি জান
৮.২ – ফ্রস্ট/নিক্সন, ওয়াল্‌স উইথ বাশির, গাকে নো উয়ে নো পোনিয়ো, ডাউট
৮.১ – ইন ব্রুজ, হাঙ্গার, লফ্ট
৮.০ – আয়রন ম্যান, দ্য রিডার
৭.৯ – রিভলিউশনারি রোড, টেইকেন, দ্য বয় ইন দ্য স্ট্রাইপ্‌ড পাজামাস, আমির, জানে তু ইয়া জানে না, সিনেক্‌ডশ নিউ ইয়র্ক, Chugyeogja, টু লাভার্‌স, Entre les murs, রোল মডেল্‌স, ফেলন, দি আর্জেন্টাইন (স্টিভেন সোডারবার্গ)
৭.৮ – কুং ফু পান্ডা, Kirschblüten – Hanami, অ্যাডভেঞ্চার্‌স অফ পাওয়ার
৭.৭ – ডিফায়েন্স, জেসিভিডি, বোল্ট, রিলিজুলাস, ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সিলোনা, আই হ্যাভ লাভ্‌ড ইউ সো লং, মার্লিন, Issiz adam, Hai jiao qi hao, Divo Il, Joheunnom nabbeunnom isanghannom, কিথ
৭.৬ – রেচেল গেটিং ম্যারিড, A.R.O.G, Üç maymun, L’ Instinct de mort, জ্যাক অ্যান্ড মিরি মেইক আ পর্নো, হোয়াট জাস্ট হ্যাপেন্‌ড (ব্যারি লেভিনসন)
৭.৫ – ফরগেটিং সারাহ মার্শাল, বার্ন আফটার রিডিং, কুং ফু পান্ডা, হেলবয় ২: দ্য গোল্ডেন আর্মি, ফ্রোজেন রিভার, বডি অফ লাইস (রিডলি স্কট), দ্য ব্ল্যাক বেলুন, রকএনরোলা (গাই রিচি), Passchendaele, ভকাইরি (ব্রায়ান সিংগার), সেভেন পাউন্ড্‌স, পাইনঅ্যাপ্‌ল এক্সপ্রেস (ডেভিড গর্ডন গ্রিন), Meu Nome Não É Johnny, ডাই ওয়েলি, ক্লোভারফিল্ড

গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন

অস্কারের পরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র পুরস্কার গোল্ডেন গ্লোব। এই পুরস্কারের মনোনয়ন ইতোমধ্যে দিয়ে দেয়া হয়েছে। মনোনয়নগুলো এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে:

সেরা নাট্য চলচ্চিত্র

১. দ্য কিউরিয়াস কেইস অফ বেঞ্জামিন বাটন (ডেভিড ফিঞ্চার) [The Curious Case of Benjamin Button]
২. ফ্রস্ট/নিক্সন (রন হাওয়ার্ড)
৩. দ্য রিডার (স্টিফেন ড্যালড্রাই) [The Reader]
৪. রিভলিউশনারি রোড (স্যাম মেন্ডেস) [Revolutionary Road]
৫. স্লামডগ মিলিয়নেয়ার (ড্যানি বয়েল)

সেরা কমেডি বা মিউজিক্যাল চলচ্চিত্র

১. বার্ন আফটার রিডিং (কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়) [Burn After Reading]
২. হ্যাপি-গো-লাকি (মাইক লেই)
৩. ইন ব্রুজ (মার্টিন ম্যাকডনা)
৪. মামা মিয়া! (ফাইলিডা লয়েড) [Mamma Mia!]
৫. ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সিলোনা (উডি অ্যালেন)

যুক্তরাষ্ট্রের “ন্যাশনাল বোর্ড অফ রিভিউ” পুরস্কার

সেরা দশ সিনেমা

১. বার্ন আফটার রিডিং (কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়)
২. চ্যাঞ্জেলিং (ক্লিন্ট ইস্টউড) [Changeling]
৩. দ্য কিউরিয়াস কেইস অফ বেঞ্জামিন বাটন (ডেভিড ফিঞ্চার)
৪. দ্য ডার্ক নাইট (ক্রিস্টোফার নোলান)
৫. ডিফায়েন্স (এডওয়ার্ড জুইক) [Defiance]
৬. ফ্রস্ট/নিক্সন (রন হাওয়ার্ড)
৭. গ্র্যান টরিনো (ক্লিন্ট ইস্টউড) [Gran Torino]
৮. মিল্ক (গাস ভ্যান স্যান্ট)
৯. ওয়াল-ই (অ্যান্ড্রু স্ট্যান্টন)
১০. দ্য রেসলার (ড্যারেন আরনফ্‌স্কি)

সেরা বিদেশী চলচ্চিত্র

১. দি এজ অফ হেভেন (ফাতিহ আকিন) – তুরস্ক/জার্মানি
২. লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন (Tomas Alfredson) – সুইডেন
৩. Roman De Gare (Claude Lelouch) – ফ্রান্স
৪. আ সিক্রেট (Claude Miller) [Un Secret] – ফ্রান্স
৫. ওয়াল্‌ৎস উইথ বাশির (আরি ফোলমান) – ইসরায়েল/জার্মানি/ফ্রান্স

সেরা দশ স্বাধীন সিনেমা

১. ফ্রোজেন রিভার (কোর্টনি হান্ট)
২. ইন ব্রুজ (মার্চিন ম্যাকডনা)
৩. ইন সার্চ অফ আ মিডনাইট কিস (অ্যালেক্স গোল্ডরিজ)
৪. হ্যালাম ফো – ডেভিড ম্যাকেন্‌জি
৫. রেচেল গেটিং ম্যারিড (জোনাথন ডেমি)
৬. স্নো এঞ্জেল্‌স (ডেভিড গর্ডন গ্রিন)
৭. সন অফ র‌্যাম্বো – গার্থ জেনিংস
৮. ওয়েন্ডি অ্যান্ড লুসি (কেলি রাইখার্ড)
৯. ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সিলোনা (উডি অ্যালেন)
১০. দ্য ভিজিটর (টমাস ম্যাকার্থি)

“টপ টেন রিভিউস” এর সেরা দশ

১. দ্য ডার্ক নাইট
২. ওয়াল-ই
৩. ম্যান অন ওয়্যার (প্রামাণ্য চিত্র)
৪. মিল্ক
৫. স্লামডগ মিলিয়নেয়ার
৬. দ্য কাউন্টারফিটার্‌স
৭. দ্য রেসলার
৮. আয়রন ম্যান
৯. ডেয়ার জ্যাকারি: আ লেটার টু আ সন অ্যাবাউট হিজ ফাদার (প্রামাণ্য চিত্র)
১০. শাইন আ লাইট (প্রামাণ্য চিত্র – মার্টিন স্করসেজি)

রজার ইবার্টের দৃষ্টিতে সেরা ২০ সিনেমা

রজার ইবার্ট আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী সমালোচকদের একজন। চলচ্চিত্র সমালোচনার জন্য তিনি পুলিৎজার পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। তার দৃষ্টিতে সেরা সিনেমাগুলো হচ্ছে:

১. ব্যালাস্ট
২. দ্য ব্যান্ড্‌স ভিজিট (ইসরায়েলী সিনেমা)
৩. চে (স্টিভেন সোডারবার্গ)
৪. চপ শপ (রামিন বাহ্‌রানি)
৫. দ্য ডার্ক নাইট
৬. ডাউট
৭. দ্য ফল
৮. ফ্রস্ট/নিক্সন
৯. ফ্রোজেন রিভার
১০. হ্যাপি-গো-লাকি
১১. আয়রন ম্যান
১২. মিল্ক
১৩. রেচেল গেটিং ম্যারিড
১৪. দ্য রিডার
১৫. রিভলিউশনারি রোড
১৬. শটগান স্টোরিস (জেফ নিকোল্‌স)
১৭. স্লামডগ মিলিয়নেয়ার (ড্যানি বয়েল)
১৮. সিনেক্‌ডশ, নিউ ইয়র্ক (চার্লি কফম্যান)
১৯. ডব্লিউ. (অলিভার স্টোন)
২০. ওয়াল-ই

“অ্যামেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট” এর সেরা দশ

১. দ্য কিউরিয়াস কেইস অফ বেঞ্জামিন বাটন
২. দ্য ডার্ক নাইট
৩. ফ্রস্ট/নিক্সন
৪. ফ্রোজেন রিভার
৫. গ্র্যান টরিনো
৬. আয়রন ম্যান
৭. মিল্ক
৮. ওয়াল-ই
৯. ওয়েন্ডি অ্যান্ড লুসি
১০. দ্য রেসলার

“কান চলচ্চিত্র উৎসব”-এ পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাসমূহ

পাম দোর – Entre les murs (Laurent Cantet)
Grand Prix – Gomorra (Matteo Garrone)
Prix de la mise en scène – Üç Maymun (Nuri Bilge Ceylan)
Prix du Jury – Il Divo (Paolo Sorrentino)
সেরা চিত্রনাট্য – Luc & Jean-Pierre Dardenne (Le Silence de Lorna সিনেমার জন্য)
সেরা অভিনেত্রী – Sandra Corveloni (Linha de Passe সিনেমাতে)
সেরা অভিনেতা – বেনিসিও দেল তোরো (Che – স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত)
Prix du 61ème anniversaire (বিশেষ পুরস্কার) – Catherine Deneuve (Un conte de Noël এর জন্য), এবং ক্লিন্ট ইস্টউড (চ্যাঞ্জেলিং এর জন্য)
সেরা চিত্রগ্রহণ – স্টিভ ম্যাকুইন (হাঙ্গার এর জন্য)

উদ্বোধনী সিনেমা – ব্লাইন্ডনেস (ফের্নান্দু মেইরেল্লিশ)
সমাপনী সিনেমা – হোয়াট জাস্ট হ্যাপেন্‌ড (ব্যারি লেভিনসন)

“ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব” এ পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা

গোল্ডেন লায়ন – দ্য রেসলার (ড্যারেন আরনফ্‌স্কি)
সিলভার লায়ন – Bumažnyj Soldat (Aleksey German Jr.)

“বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব” এর পুরস্কার

গোল্ডেন বেয়ার – Tropa de Elite (José Padilha) – ব্রাজিল
সিলভার বেয়ার – দেয়ার উইল বি ব্লাড (পল টমাস অ্যান্ডারসন)

“লস এঞ্জেলেস টাইম্‌স” এর সেরা দশ

১. স্লামডগ মিলিয়নেয়ার (ড্যানি বয়েল)
২. আ ক্রিসমাস টেইল, দ্য ক্লাস
৩. ফ্রস্ট/নিক্সন
৪. ফ্রোজেন রিভার, ব্যালাস্ট
৫. গোমোরা, হ্যাপি-গো-লাকি
৬. রেচেল গেটিং ম্যারিড
৭. সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত প্রামাণ্য চিত্রসমূহ (ম্যান অন ওয়্যার, রোমান পোলান্‌স্কি, স্ট্র্যান্ডেড, ট্রাবল দ্য ওয়াটার ইত্যাদি)
৮. টেল নো ওয়ান
৯. ওয়াল-ই
১০. ওয়াল্‌ৎস উইথ বাশির

বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশী অর্থ উপার্জন করেছে যে সিনেমাগুলো

বিশ্বব্যাপী সবচয়ে বেশী উপার্জনকারী সিনেমার তালিকা আছে এখানে। সবগুলো মার্কিন ডলারে।

১. দ্য ডার্ক নাইট – ৯৯৬,৯১০,৮৮৭
২. ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য কিংডম অফ দ্য ক্রিস্টাল স্কাল – ৭৮৬,৫৫৮,৭৫৯
৩. কুং ফু পান্ডা – ৬৩১,৮৬৯,৬২১
৪. হ্যানকক – ৬২৪,৩৮৬,৭৪৬
৫. আয়রন ম্যান – ৫৮১,৯৩১,৬৩০
৬. মামা মিয়া! – ৫৭২,০৮২,৬৩২
৭. কোয়ান্টাম অফ সোলেস – ৫৩৭,১৩৩,৪৫১
৮. ওয়াল-ই – ৫০২,৭২৩,৬৩৬
৯. মাদাগাস্কার: এস্কেইপ টু আফ্রিকা – ৪৬০,২১৫,১৮০
১০. দ্য ক্রনিক্‌ল্‌স অফ নার্নিয়া: প্রিন্স কাস্পিয়ান – ৪১৯,৬৪৬,১০৯

৪০ টি মন্তব্য : “সেরা চলচ্চিত্র: ২০০৮”

  1. হার্ডড্রাইভ আর রাইট করা ডিভিডিতে প্রায় শ'তিনেক ছবি পইড়া রইছে। নামাই কিন্তু দেখি না। ২০০৭ হইলেও মনে হয় অধিকাংশ ছবি আমার দেখা থাকত। ২০০৮ -এ আইসা আর ছবি দেখতে ইচ্ছা করে না। এক সিটিং-এ দুইটা ছবি দেখা ছিল ডাল ভাত। এখন একটা ছবিই দুই তিন সিটিং-এ দেখি। রিডলি স্কটের "বডি অভ লাইজ" ছবিটা তালিকায় কেন ছিল না, বুঝলাম না।

    জবাব দিন
  2. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    মুহাম্মদ ভাই এত কিছু কেম্নে পারেন 🙁 🙁 🙁
    আপনি ভাই :boss: :boss: :boss: :boss: :boss:


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
  3. ট্রান্সসাইবেরিয়ানের এতো বেশী রেটিং দেখে অবাক হলাম, অত্যন্ত দূর্বল গল্প। তবে জেস নামে যে মেয়েটি অভিনয় করেছে তার অভিনয় আমার অনেকদিন মনে থাকবে।

    জবাব দিন
      • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

        ইন ব্রুজ আমারও খুব ভাল লাগছে। এইটার রেটিং আরেকটু বেশী আশা করছিলাম। কিন্তু এইখানে দেখ রটেন টম্যাটোস আর আইএমডিবি দুইটাই সমান। সমালোচকরা দিসে ৮১% আর দর্শকরা ৮.১। রেটিং এটাও খারাপ না। তবে আরেকটু বেশী হতে পারতো। আমার মনে হয় ব্ল্যাক কমেডি আরেকটু গাঢ়ভাবে দেখাইতে পারলেই ৯০% এ উঠে যেত।

        জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      ট্রান্সসাইবেরিয়ান এখনও দেখি নাই। তবে রেটিং বোধহয় সবসময় শক্তিশালী গল্পের উপর নির্ভর করে না। ব্লু ভেলভেট, ব্লেড রানার, দ্য শাইনিং এই তিনটা সিনেমাকেই যথাক্রমে থ্রিলার, কল্পবিজ্ঞান ও হরর জেনারে অন্যতম সেরা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অথচ এই তিনটার গল্পই কিন্তু বেশ অর্ডিনারি, দুর্বলও বলা যায়। ক্রিটিকদের রেটিং তাই মনে হয় কাহিনীর চেয়ে সিনেমার ভাষা ও পরিচালক কি বলতে চাচ্ছেন ও সিনেমার মাধ্যমে সেটা বলতে পেরেছেন কি-না তার উপর বেশী নির্ভর করে।
      দর্শকদের ব্যাপারটা অবশ্য সেরকম না। আমাদের সিনেমা ভালো লাগার প্রথম শর্ত থাকে, চমৎকার গল্প। সে কারণেই বোধহয় ট্রান্সসাইবেরিয়ান অতো ভাল লাগবে না। এটাকে নব্য-নয়ারের খুব ভাল উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হইছে। কিন্তু আমরা তো নব্য-নয়ার জিনিসটা ঠিকমতো বুঝিই না। 😀

      জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      অবশেষে ট্রান্সসাইবেরিয়ান দেইখা ফেললাম। আমার কাছে কিন্তু ভাল লাগছে। অনেকদিন হিচককের সিনেমা দেখি না। এইটা দেখার পর হিচককের সিনেমাগুলার কথাই মনে পড়ল। আসলেই হিচককিয়ান থ্রিলারের মত স্বাদ পাইছি। হিচককের থ্রিলারেও কিন্তু গল্পের দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কিন্তু হিচকক এমনভাবে সিনেমা বানাইতো যে এই দুর্বলতাগুলাই পুরো সিনেমা জুড়ে থ্রিল জোগাতে সাহায্য করতো। আর সিনেমার শেষটা হত স্বস্তিদায়ক। অর্থাৎ পুরো সিনেমা জুড়ে দর্শককে নাচানোর পর শেষটায় এসে ধপ করে বসিয়ে দেয়া। এখানেও তা দেখছি। অবশ্য লাভ নাই, ট্রান্সসাইবেরিয়ানের ডিরেক্টর হিচককের ধারেকাছেও যাইতে পারব না। 😀

      জবাব দিন
      • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

        আমি মোটেও নাচি নাই। তবে সিনেমাটা উপোভোগ করছি এইটা সত্যি। তার পুরাটাই জেসির অভিনয়ের কারণে।

        Kill off all my demons, Roy, and my angels might die, too.

        In Russia, we have expression. "With lies, you may go ahead in the world, but you may never go back." Do you understand this, Jessie?

        এই দুইটা আস্লেই সিরম ডায়লগ।

        জবাব দিন
        • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

          কস্কি?
          আমার তো নাচতে নাচতে অবস্থা শেষ। অনেকগুলা অংশ তো পুরা লটকায়া রাখছিল। যেমন:
          - ট্রেনের এক দুইজন প্যাসেঞ্জার অদৃশ্য হইলে নাহয় কথা ছিল, দেখা গেল পুরা ট্রেনই উধাও। এমনই উধাও যে জেসি ডাইনিং কারে যাইতে গিয়া মরতে বসল। দরজা খুলে কিছু বোঝার আগেই পড়ে যেতে নিছিলো। আগেই ওভারহেড শট থেকে দেখানো হইছে যে ট্রেন অনেক লম্বা। এতো ছোট হইল ক্যাম্নে, কারণই বা কি?
          - জেসির জীবনে এইটা ছিল সবচেয়ে বীভৎস ও প্রলয়ংকরী দুঃস্বপ্ন। দুঃস্বপ্ন বললাম কারণ বাস্তবটারেই দুঃস্বপ্নের মতো দেখা গেছে। যেখানে যায় সেখানেই বেচারী ধরা। রিসেন্টলি কোন সিনেমায় একজন মানুষরে এতো বিপদে পড়তে দেখি নাই। আমার কাছে থ্রিলার মানেই কিন্তু, হিরো চরিত্রটিকে জোড় করে বিপদে ফেলা এবং এমনভাবে তাকে সে বিপদ থেকে উদ্ধার করা যাতে একটু পরে আবার বিপদে ফেলা যায়। এখানে সে কাজটা খুব সুন্দরভাবে করছে।
          - আমি সিনেমার খুব কম জিনিসই প্রেডিক্ট করতে পারছি। হিচককের সিনেমা হইলে অন্তত একটা জিনিস প্রেডিক্ট করা যেত, যে শেষে স্বস্তি আসবে। এটা সেরকম জানা না থাকায় শেষের যে স্বস্তি আসবে সেটাও বিশ্বাস হচ্ছিল না। ক্যাম্নে কি হবে এটা নিয়া খুবই চিন্তিত ছিলাম।

          ডায়লগ কিছু আসলেই সেইরকম:
          কার্লোস: Life is a journey, not a destination.
          ইলিয়া: But then we were people living in the darkness. Now we are a people dying in the light. Which is better? When it was U.S.S.R., man lived to age 65 years. Now it is 58 years. I know this fact very well. I am 58. In Russia now we say there are only two kinds of people those who leave in private jet, those who leave in coffin.

          জেসি চরিত্রটার অভিনয় ভাল লাগছে। তবে বেন কিংসলি (ইলিয়া) এইভাবে দাও মারা শুরু না করলে নাচতে পারতাম না।

          জবাব দিন
          • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
            In Russia now we say there are only two kinds of people those who leave in private jet, those who leave in coffin.

            হয় হয়। এইটাও সিরম।

            যাউজ্ঞা ট্রেনের ছোট হবার ব্যাপারটায় এবং জেসির প্রায় পড়ে যাওয়ার ঘটনায় একটু কম ধাক্কা খাইছি।

            কারনটা হলো, পিসিতে সিনেমাটার ট্রেইলর ছিল। সেটা দেখে মারাত্মক পছন্দ হইছিল। সেই ট্রেইলরে এই পড়ে যাওয়ার দৃশ্যটা খুব হাইলাইট করে দেখানো হয়েছিল। 😀

            জবাব দিন
            • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

              তাও মানুম না 😀
              এই সিনেমার একটা জিনিস ছিল এই যে: কোন দুর্ঘটনা ঘটার সাথে সাথে কারণ বোঝা যায় না, কারণ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যেতে হয়। পরে একসময় সেটা বুঝিয়ে দেয়া হয়। থ্রিলার সিনেমা এরকমই হয়। এইখানে থ্রিলারের সেই ভাষা খুব ভালোভাবে ফুটে উঠছে। তাই ট্রেনের দৃশ্যটা দেখা কিন্তু আসল কথা না, আসল কথা হল এইটা ক্যাম্নে হইল এবং কেন হইল সেটা চিন্তা করা। এরকম ক্যাম্নে আর কেন প্রশ্ন সিনেমার অর্ধেকের পর থেকে বাকি পুরোটা সময় জুড়েই আছিল। ট্রেনেরটা একটা উদাহরণ মাত্র।

              জবাব দিন
  4. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    চরম চরম
    মুহাম্মদ :boss: :thumbup: :thumbup:
    বেশিরভাগই দেখিনাই 🙁
    ধুর লাইফের সব কম্প্লেক্সিটি গুলা যে কবে ভ্যানিশ হবে, আবার ভার্সিটি লাইফের মতো একসাথে গাদা গাদা ছবি দেখতে পারবো 🙁


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  5. সামিয়া (৯৯-০৫)

    এমুন কঠিন নাম, আমার দাঁত সব ভেঙ্গে গেল। পুরা লিস্ট পরে দেখি একমাত্র কুংফু পান্ডা দেখসি 😛
    @ ফৌজিয়ান ভাই, আপনার স্টিকার তো পুরা বাজিমাৎ করে দিল, আপনাকে :hatsoff: :salute: :hatsoff:
    একটা গান শুনাই :guitar:

    জবাব দিন
  6. ধানমন্ডি রাইফেলস স্কোয়ারের 'মুভি প্লাসে' বা ৩২নাম্বারের মেট্র শপিং মলের ৬ তলায় sign নামে একটা দোকান আছে। বাংলাদেশে সিনেমার সবচেয়ে ভালো কালেকশন এই দুই দোকানে তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই। তালিকার বেশির ভাগ ছবি এদের কাছে পাওয়া যাবে বলে আমার ধারনা।

    লিস্টের জন্য ধন্যবাদ মুহাম্মদ। :thumbup: অনেক ছবি দেখা হয়নি। আমি অবশ্য রেটিং দেখে সিনেমা দেখি না। শুধু ডিরেক্টর আর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাম দেখি।

    পছন্দের অনেক নির্মাতার ছবি আছে তালিকায় সেগুলি আগে দেখার চেষ্টা করবো। মাত্র গতকাল সাইফ চলে গেলো কুয়েতে। ওকে ৮০টার মতো ছবি কিনে দিয়েছি। তার অনেকগুলি আমি কপি করে রেখেছি। তালিকায় এর অনেকগুলির নামও আছে দেখছি। সেগুলিও দেখতে হবে। 😀

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      গুপ্তধনের সন্ধান দিলেন। ভার্সিটি খুললেই সাইনে আসতেছি।
      আমিও অবশ্য ডিরেক্টরের নাম, উইকিপিডিয়া নিবন্ধের ভূমিকা এবং ধরণ বিবেচনা করে সিনেমা দেখি। ইদানিং যে ডিরেক্টরকে ভাল লাগছে তার সব ভাল সিনেমাগুলো জোগাড় করার চেষ্টা করছি। নতুন মোবাইল কেনার পর চারটা মুভি ডাউনলোড করলাম:
      - দ্য শাইনিং (স্ট্যানলি কুবরিক)
      - অ্যামেরিকান বিউটি (স্যাম মেন্ডেস)
      - রিভলিউশনারি রোড (স্যাম মেন্ডেস)
      - ব্রোকব্যাক মাউন্টেইন (অ্যাং লি)
      এখন আরও তিনটা সিনেমা ডাউনলোড হচ্ছে:
      - ক্রোচিং টাইগার হিডেন ড্রাগন (অ্যাং লি)
      - সাম লাইক ইট হট (বিলি ওয়াইল্ডার)
      - ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সিলোনা (উডি অ্যালেন)

      যে মুভিগুলা কপি করছেন সেগুলার নেক্সট কিন্তু আমি। 🙂

      জবাব দিন
  7. আশিক (১৯৯৬-২০০২)

    অনেক ছবিই দেখা হয় নাই......তবে হেলবয়-২ বা ফরগেটিং সারাহ মার্শাল টাইপ ছবি কিভাবে কোন লিস্টিতে ঢুকে এইটা খুবই রহস্যময়...... 😮

    আয়রনম্যান, ওয়ালি, কুংফু পান্ডা এগুলি ভাল লাগছে...... :thumbup:

    ইন ব্রুজ জমায়ে রাকছি......স্লামডগ মিলিওনিয়ারটা দেখার ইচ্ছা আছে খুব...... :-B

    ডার্কনাইট কিছু পাক না পাক, হীথ লেজারের কিছু একটা পাওয়া উচিত...... :awesome:

    জবাব দিন
    • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

      হেলবয়-২ বা ফরগেটিং সারাহ মার্শাল আসলেই ভুয়া। তবে আমি খেয়াল করে দেখেছি হেলবয় টাইপ ফালতু সিনেমা ক্যান জানি অনেক বেশী রেটিং পায়। অদ্ভুত। আর ফরগেটিং সারাহ মার্শালের কথা নাই বা বললাম।

      ডার্ক নাইট আমার খুবি পছন্দ হয়েছে। হিথ লেজারের অসাধারণ অভিনয় ছাড়াও এই সিনেমার স্প্রিপ্ট অসাধারণ।

      জবাব দিন
      • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

        ## হেলবয় ২ - রটেন টম্যাটোস
        উপরে রটেন টম্যাটোস এ হেলবয়ের পৃষ্ঠার লিংকটা দিলাম। কেন এইটার রেটিং ৮৮% তার সব কৈফিয়ত কিন্তু এই পৃষ্ঠাতেই দেয়া আছে। আমি কিছু কোট করি:

        একজন সিনেমাটা খারাপ বলার কারণ হিসেবে দেখিয়েছে: The makeup and costumes are great, but for something so otherwise creative, the story is obvious and predictable.
        তার এই কথার সাথে আমি একমত। কিন্তু তাকে বুঝতে হবে যে সকল সুপারহিরো সিনেমার কাহিনীই প্রেডিক্টেব্‌ল। আর কাহিনীর ক্ষেত্রে অধিকাংশ পরিচালকই সৃজনশীলতার পরিচয় দেন না। কারণ সুপারহিরো কমিকের কাহিনী পরিবর্তন করার সাহস অনেকেরই নেই।

        ভাল বলার কৈফিয়ত হিসেবে একজন বলেছেন: Over-analyzing this playful mash-up of pop culture kitsch and high fantasy would be a mistake.
        আরেকজন: The film shows a certain wit and a refined eclecticism: a director who in a few seconds combines Mozart'�s Clarinet Concerto, a quotation from Tennyson�s In Memoriam and two monsters singing Beautiful Freak deserves watching.
        আরেকজন: Playful, offbeat and with a decidedly droll sense of humour, Hellboy II�s a richly rewarding superhero film with moments of gleeful comedy that films like Get Smart can but dream of.

        এবার আমার কথা বলি: আমি সুপারহিরো কমিকের ভক্ত ছিলাম না। এ ধরণের সুপারহিরো সিনেমা দেখতে আমার ভাল লাগে না। সূক্ষ্ণ কমেডিগুলা বুঝতে না পারা এবং ছোটবেলায় সুপারহিরো কমিক পড়ে অভ্যস্ত না হওয়াই এর কারণ। তাই এক্ষেত্রে রটেন টম্যাটোসের রেটিং দেখে লাভ নাই, কারণ জনর এবং স্টাইল-ই আমার পছন্দ হচ্ছে না।

        জবাব দিন
      • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

        ফরগেটিং সারাহ মার্শালের ব্যাপারটা বলি।
        রটেন টম্যাটোসে এই সিনেমার মোট ৩৩ টা রিভিউ সংগ্রহ করা হইছে। এখন ৩৩ জনের মধ্যে ২৯ জনই ভালো বলছে। ৪ জন খারাপ বলছে। তাই রেটিং হইছে ৮৮%। এখন এই ৮৮% রেটিং কেও কিন্তু ভালো বলা যায় না, কারণ রিভিউ-ই করছে মাত্র ৩৩ জন। হলিউডের সিনেমার জন্য ৩৩টা রিভিউ অনেক কম।
        অন্যদিকে দ্যাখেন হেলবয় ২ এর রিভিউ করেছেন ১৯৬ জন।
        একটা থাম্ব রুল হচ্ছে: ৬০ এর কম রিভিউ থাকলে সেটার রেটিং যতই হোক খুব বেশী ভালো বলা যায় না। এটা অবশ্যই রিসেন্ট সিনেমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু আগের সিনেমার মোট রিভিউয়ের সংখ্যা ৬০ এর কম হলেও সিনেমাটা ভালো হতে পারে।

        তাই যদি দ্যাখেন, সিনেমা আপনার খুবই খ্রাপ লাগছে কিন্তু রটেন টম্যাটোস রেটিং অনেক বেশী তাহলে আগে দেখে নিন সিনেমার মোট কয়টা রিভিউ সংগ্রহ করা হইছে। যদি দেখেন রিভিউও অনেক বেশী (যেমন হেলবয়), তাহলে ক্রিটিকদের রিভিউয়ের চুম্বক অংশগুলো পড়ে দেখতে পারেন। সেটা পড়লে যে সিনেমাটা ভাল লাগবে তা-না, কিন্তু রেটিং কেন এরকম হলো তার একটা হিসাব পাওয়া যাবে।

        জবাব দিন
  8. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    রেটিং ব্যাপারটা আরেকটু পরিষ্কার করি:

    রটেন টম্যাটোস এর রেটিং কিন্তু সবাই দেয় না। এক ক্রিটিক বলে ভালো লাগছে আরেকজন বলে ভালো লাগে নাই। রেটিং দেখে বোঝা যায় কত জনের ভালো লাগছে আর কতজনের ভালো লাগে নাই। যেমন, ৮০% রেটিং মানে ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জনের ভালো লাগছে আর ২০ জনের ভালো লাগে নাই। ৮০-র উপরে রেটিং যে সিনেমাগুলার সেগুলো অবশ্যই ভালো, মেকিং আর কাহিনী মিলিয়ে। কিন্তু ভালো বলেই যে সবার ভালো লাগবে এমন কিন্তু না। ৯০% মানেও কিন্তু ১০ জনের খারাপ লাগছে। যেমন ডার্ক নাইটের রেটিং ৯৪%, তার মানে ৬% এর কিন্তু এইটাও খারাপ লাগছে।
    আইএমডিবি তো দর্শকদের হাতে।

    আর এই রেটিংগুলো কিন্তু ইউনিভার্সাল কিছু না। সিনেমার পরিচালকরা এসব রেটিংকে বেল দেয় না। রেটিং করা হয় দর্শকদের সুবিধার জন্যই। পৃথিবীতে প্রতি দিন এতো এতো সিনেমা মুক্তি পায়, কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবেন? রেটিং এর সাইটগুলো করা হয়েছে কেবলই আপনার পছন্দকে সহজ করে দেয়ার জন্য। It's nothing serious.

    জবাব দিন
  9. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    নতুন আরেকটি তালিকা যোগ করা হল। রটেন টম্যাটোস এর রেটিং এর ঠিক পরেই মেটাক্রিটিক এর রেটিং যোগ করা হয়েছে। ২০০৮ সালে সবচেয়ে বেশী মেটাস্কোর পাওয়া ২০ টা সিনেমার তালিকা আছে সেখানে।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।