ঘটনার প্রথম প্রহরেই আমরা দ্রুত কিছু বিষয়ে অগ্রিম ইঙ্গিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম (এখানে)। এবার এ বিষয়গুলো নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য এবং কিছু আনুমানিক বিশ্লেষণকে ভিত্তি করে দ্রুত লিখছি:
১. সাম্প্রতিক সময়ে এমন কী ঘটেছে যা এ ধরণের সশস্ত্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে?
সাম্প্রতিক সময়ের দুটো ঘটনায় এর কিছু উত্তর মিলতে পারে।
(ক) উপমহাদেশে আন্তঃদেশীয় জঙ্গিবাদের উত্থান ইস্যুকে সামনে রেখে সার্ক টাস্ক ফোর্সের উদ্যোগ এবং তাতে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার এবং সক্রিয় উদ্যোগ। এ নিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের মধ্যে কিছু আলাপ-আলোচনার খবর ইতোমধ্যেই পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বদল করার মাধ্যমে উদ্যোগটিকে অচল করা এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের কারণ হতে পারে।
(খ) আওয়ামী লীগ সরকার জাতির বহুদিনকার দাবি ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুটিকে সামনে নিয়ে এসেছে। এটি ছিল তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। কেবল প্রতিশ্রুতিতেই তা থেমে থাকেনি। ইতোমধ্যে সংসদে এ সংক্রান্ত পদক্ষেপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব পাশ হয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও তা নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে সরকারের উদ্যোগে। সুতরাং এটা এখন স্পষ্ট যে, সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই সব উদ্যোগে দেশের ভেতরের একটি শ্রেণীর শঙ্কিত বোধ করার কথা। তাদের পক্ষে পুরো উদ্যোগকে বিপথগামী বা (চরম জাতীয় সংকট তৈরির মাধ্যমে) নস্যাৎ করার পরিকল্পনা করা অসম্ভব নয়। যুদ্ধাপরাধী শুধু দেশের ভেতরেই নেই, দেশের বাইরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯৫ জন কর্মকর্তার মধ্যেও রয়েছে। সুতরাং এ ঘটনায় বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি মদদ থাকাও বিচিত্র নয়।
২. কী অর্জন করতে চেয়েছিল সশস্ত্র আক্রমণকারীরা?
এতে এখন আর কোন সন্দেহ নেই যে, এমন মাপের হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সরকারকে পুরোপুরি অস্থিতিশীল করে দেয়া এবং দেশের মধ্যে চরম রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করা। এর ব্যাপ্তির সাথে কেবল ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১-এর বুদ্ধিজীবী হত্যা কিংবা ১৯৭৫-এর ঘটনাবলিরই তুলনা করা যায়। কিন্তু কেন? প্রথম দৃষ্টিতে মনে হয়েছে দাবি আদায়, কিন্তু এখন আমরা নিঃসন্দেহ যে সেটি ছিল cover বা front, যা নীড়সন্ধানীর মন্তব্যেও উঠে এসেছে। এর উত্তর খুঁজতে হবে হত্যাকাণ্ড এবং অরাজকতার সংখ্যার মধ্যে নয়। খুঁজতে হবে হত্যাকাণ্ডের ও অরাজকতার ধরণ এবং ঘটনাপ্রবাহের চরিত্রের মধ্যে।
৩. হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং অরাজকতার বিশেষ ধরণ
কয়েক ধরণের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ঘটনার সময়ে। নিরস্ত্র অফিসারদের ঢালাওভাবে হত্যা, পরিবারের বেসামরিক অনেক সদস্যকে নির্যাতন ও ধর্ষণ, লুটপাট, মৃতদেহের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন ও বিকৃতকরণ। এগুলোর মধ্যে দুটো ধারা রয়েছে। একটি হলো পূর্বপরিকল্পিত, আরেকটি হঠাৎ সুযোগের বশে সংঘটিত। প্রথমটির ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ করেছি হত্যাকারীরা যেন অত্যন্ত পরিকল্পতিভাবে পৈশাচিক নৃশংসতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছে। মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে অল্প অল্প করে নালায় ভাসানো, বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃতদেহ থেকে চোখ ও অন্যান্য অঙ্গ উপড়ে ফেলা, পরিবারের নারী ও শিশুদের আগুনে পুড়িয়ে মারা, ধর্ষণের সাথে সাথে (এমনকী গর্ভবতী নারীরও) হাত-পা ভেঙে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়া ইত্যাদি। এর সাথে পুঞ্জীভুত বিদ্বেষ বা স্যাডিজম-এর কোনো সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। যতদূর বুঝি, এর সাথে psychological warfare-এর মিল রয়েছে, যেখানে হত্যা বা নির্যাতনটাই প্রধান উদ্দেশ্য নয়। এখানে প্রধান উদ্দেশ্যই হলো নৃশংসতার মাধ্যমে মানুষের (এ ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর এবং তাদের সহকর্মী, পরিবার, বন্ধুদের) মানবতাবোধ এবং আবেগকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দেয়া এবং নিয়ন্ত্রণের অতীত উস্কানি সৃষ্টি করা। এ ধরণের মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির কৌশলের সাথে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ক্যাডারদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ধরণের মিল রয়েছে।
৪. কারা দায়ী?
ঘটনার ব্যাপ্তি ও বিস্তৃতি দেখে মনে হয় এতে অনেক ধরণের শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ ও অংশগ্রহণ রয়েছে। অনুমাননির্ভর একটি সম্ভাব্য তালিকা হতে পারে এরকম :
(ক) বিডিআর এর জওয়ানদের ভেতরকার দুটি দল। প্রথম দলটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বহুদিন ধরে বিডিআর-এর ভেতর পর্যায়ক্রমে গড়ে তোলা হয়েছে এর রিক্রুটমেন্ট ব্যবস্থাকে manipulate করার মাধ্যমে। এতে থাকার সম্ভাবনা কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পুরোনো ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের। দ্বিতীয় দলটি বিডিআর-এর সাধারণ জওয়ান যাঁরা বিভিন্ন বঞ্চনা এবং বৈষম্যের কারণে ক্ষুব্ধ। এ ক্ষেত্রে প্রথম দলটি দ্বিতীয় দলটির বঞ্চনাপ্রসূত আবেগকে আরো উসকে দিয়ে একে ব্যবহার করেছে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য।
(খ) ঠাণ্ডা মাথায় উপরের ৩-এর আওতায় লিপিবদ্ধ করা অপরাধগুলো দল ‘ক’-এর পক্ষে বাস্তবায়ন করা একটু কঠিন। এর জন্য দরকার এ ধরণের নৃশংসতার দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আরেকটি দল। যতদূর অনুমান, এই দলটি সম্ভবত বহিরাগত এবং উন্নত সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ইতিপূর্বে এই ধরণের ক্র্যাক অ্যাসল্ট গ্রুপ ব্যবহৃত হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম) এবং রাজনৈতিক শো ডাউনের সময় (যেমন: চট্টগ্রামে গোলাম আযমের প্রথম জনসভায়)। এটি জামাতের ‘সিরাজুস সালেহীন’ ধরণের একটি দল, যার সদস্যরা সাধারণত প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্থান বা পাকিস্তান থেকে। বিভিন্ন খবরে এখন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে — ঘটনার আগের দিনই দফায় দফায় মিছিলের সাথে মিশে গিয়ে এমন একটি দলই সম্ভবত ‘ছাই রংয়ের পিকআপ’-এ করে বাক্সভর্তি অস্ত্র নিয়ে পিলখানা সদর দফতরে ঢুকে পড়েছিল। পিলখানায় এই দলটির host হলো উপরের দল ‘ক’। খুবই সম্ভাবনা রয়েছে যে, হত্যাকাণ্ড ঘটানোর অব্যবহিত পরই এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আক্রমণ-দলটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে, দল ‘ক’-এর হাতে সমঝোতা আলোচনা চালিয়ে যাবার দায়িত্ব দিয়ে। নীড় সন্ধানীর বিশ্লেষণেও সে ইঙ্গিত রয়েছে।
(গ) এত বড়ো মাপের মিশনের পেছনে সামরিক বাহিনীর ভেতর থেকেও উচ্চপদস্থ কারো সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আবেগের বশে উড়িয়ে দেয়া উচিত হবে না। কারণ, পুরো ঘটনায় গোয়েন্দা বিফলতার বিষয়টি এখনো খুব অস্পষ্ট। এমন মাপের একটি ঘটনা দানা বেঁধে উঠবে আর সামরিক গোয়েন্দারা তার কোনো অগ্রিম আভাস পাবেন না, এমনটা মেনে নেয়া যায় না। এ বিষয়ে সরকারের তদন্তে আশা করছি কিছু উত্তর মিলবে। তাছাড়া, পুরো এলাকা যখন সেনাবাহিনী ঘিরে ফেললো ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই, কিছু কিছু অংশ সম্ভবত তখনো ঘেরাওয়ের বাইরে ছিল। তা নাহলে মূল অপরাধীদের বেশির ভাগই পালিয়ে গেল কীভাবে? এ ধরণের বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর এখনো কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। সামরিক ঘেরাও-এর টেকনিক্যাল দিকগুলো তদারকির দায়িত্ব তো রাজনৈতিক সরকারের নয়। তাদের প্রায় কারোরই সে ধরণের সামরিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা নেই! রাজনৈতিক সরকার তো সামরিক ঘেরাওকে অনুমোদন দিয়েই রেখেছিল, কিন্তু সেটা এমন দায়সারা/ত্রুটিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হলো কেন ও কীভাবে? বিষয়টি তদন্ত করে দেখা দরকার।
(ঘ) সরকারী এবং বিরোধী দলে সেনাবাহিনীর প্রতি ক্ষোভ লালন করা এক শ্রেণীর রাজনীতিকের পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ মদদ থাকতে পারে এর পেছনে।
৫. তদন্তের কিছু সূত্র
(ক) এর উত্তর উপরের ২ নম্বরে কিছুটা পাওয়া যেতে পারে। শুধু অরাজকতা সৃষ্টি বা সরকার পতনের লক্ষ্যেই এ হত্যাকাণ্ড, এমন নয়। এই পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ থাকার কথা, যার আওতায় বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে অন্য কোনো শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। সেই শক্তিটি সামরিক হতে পারে, সামরিক সমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক শক্তি হতে পারে, কিংবা শুধু রাজনৈতিক মতাদর্শিক কোনো শক্তিও হতে পারে। এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের হোতাদের বিচারমুক্তি (indemnity) দানের ক্ষমতা রাখেন বা তা দানের ক্ষমতা পাবেন, তেমনই কেউ হয়তো আশ্বাস দিয়ে থাকবেন। এমন কেউ (ব্যক্তি বা গোষ্ঠী) ছিলেন যিনি/যাঁরা পর্দার অন্তরালে অপেক্ষা করছিলেন। খুঁজে বের করতে হবে who was that person waiting in the wings. এ বিষয়ে সাদাকালো-ও লিখেছেন।
(খ) বিগত কয়েক বছরে সেনাবাহিনী, বিডিআর, আনসার এবং পুলিশ বাহিনীতে বহুবার জামাত-শিবিরের চিহ্নিত ক্যাডারদের সুপরিকল্পিতভাবে নিয়োগ দানের অনেক খবরই আমরা পেয়েছি। এখন পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে বের করতে হবে গত সাত বছরে নিয়োগকৃতদের পূর্ণ তালিকা এবং তা থেকে চিহ্নিত রাজনৈতিক ক্যাডারদের নাম। গত কয়েক বছরে তাদের প্রত্যেকের গতিবিধি তলিয়ে দেখতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফাইলে এই সব তথ্যই থাকার কথা। আরও খুঁজে বের করতে সেসব নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের নাম এবং তাঁরা ঠিক কী ভূমিকা পালন করেছেন এসব নিয়োগে। এঁদের প্রত্যেককেই (যেমন: প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর) পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় এসেছে।
(গ) খবরে প্রকাশ, ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনার দিন এবং তার আগের দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এবং পিলখানায় লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণকৃত লিফলেটগুলো কোথায় ছাপা হয়েছে এবং কারা তা ছাপাতে দিয়েছে, সেটা খুব সহজেই বোধহয় বের করা সম্ভব।
(ঘ) খবরে জানা যায়, ঘটনার দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একটি মিছিল সংগঠিত করার চেষ্টা করে কিছু সন্দেহভাজন কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্ররা তাদের উদ্দেশ্য বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ে এবং তাদের কেউ কেউ কর্তৃপক্ষের কাছে তখনই বিষয়টি অবগত করে। পরে এরকমই একটি মিছিল পিলখানা এলাকায় স্লোগান দিয়ে ঘুরতে থাকে। বিদ্রোহী সেনারা মিছিলটিকে হায়দার হুসেনের ‘বিখ্যাত’ বিডিআর সঙ্গীতটিও বাজিয়ে শোনায় সে সময়! এই মিছিলটির হোতা কারা সেটা খুঁজে বের করতে হবে। সেদিনকার টিভি ফুটেজে মিছিলের অনেকের ছবিই থাকার কথা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যাওয়ার কথা এই মিছিলটি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল নাকি সুপরিকল্পিত মদদ পুষ্ট ছিল।
(ঙ) ২৫ তারিখের ঠিক আগে এবং পরে দেশের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে কোন অস্বাভাবিক লেন দেন হয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখতে হবে। এটি হতে পারে কোন এক সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠির পক্ষ থেকে হঠাত করে অস্বাভাবিক পরিমাণের শেয়ারের ক্রয় বা বিক্রয়। এতে ইঙ্গিত মিলবে বিডিআর ঘটনাটি যে ঘটবে তা কারা আগে থেকেই জানতেন এবং তা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হবার পরিকল্পনা করেছিলেন। এখানে প্রাসঙ্গিক হতে পারে ৯/১১ এর পূর্বাপর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টক এক্সচেঞ্জের অস্বাভাবিক কর্মতৎপরতা তদন্তের বিষয়টি যা থেকে অনেক সূত্রই বেরিয়ে এসেছিল।
(চ) ঘটনার জন্য দায়ী মূল ব্যক্তিরা স্বাভাবিকভাবেই এখন দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন। কারণ, তাদের পরিকল্পনা মত ঘটনা এগোয়নি, অন্তত এখনো তাই মনে হচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করার আরেকটি আপাত সহজ উপায় আছে। তারা হয়তো এখন জোর চেষ্টা করবেন এ ঘটনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট তৃতীয় শক্তির দিকে জাতির নজর ফেরানোর (ঠিক যেমনটি করা হয়েছিল ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর) অবান্তর গুজব ছড়িয়ে। অথবা, আরেকটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর/সংকটের দিকে সবার মনযোগ তড়িঘড়ি করে সরানোর চেষ্টা করবেন, এমনকি কৃত্রিমভাবে তা তৈরী করে হলেও। এ থেকেও এদের অনেককেই চিনে নেয়া সম্ভব হবে বলে আমার ধারণা।
(ছ) গত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ এর এপ্রিল মাসে চট্টগ্রামে দশ ট্রাক (মতান্তরে ট্রলার) অত্যাধুনিক অস্ত্রের একটি চালান ধরা পড়ে (এখানে এবং এখানে দেখুন)। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বরাতে – এর মধ্যে ছিল প্রায় ১০,০০০ হাতিয়ার যার মধ্যে ছিল একে-৪৭ রাইফেল, প্রায় ৫০০০ গ্রেনেড এবং আনুমানিক ৩০০,০০০ রাউন্ড এ্যামুনিশন। এ যাবতকালের আটককৃত সর্ববৃহৎ অস্ত্রের চালান সম্ভবত এটাই। ঘটনার জন্য পরবর্তীতে কেবলমাত্র গুটিকয় ট্রলার মাঝি, কুলি এবং ট্রাক ড্রাইভারকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে ঘটনার জন্য মূল সন্দেহভাজন জোট সরকারের নেতৃস্থানীয় কয়েকজন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের তদন্ত হয়নি। অন্তত আমার জানা নেই। কিংবা হলেও সেই তদন্তকে ধামাচাপা দেয়া হয়েছিল। মনে পড়ে কথিত যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নামটা তখন উঠে এসেছিল, যাঁর নিজস্ব শিপিং ব্যবসার সাথে এই অস্ত্র চালানের কিছু লিন্কও খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল তখন। সাধারণ জ্ঞান থেকে যতদূর বুঝি, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল করতে, কিংবা এলাকায় চাঁদাবাজীর জন্য এধরণের অস্ত্রের চালান দরকার হয়না। এর পেছনে আরও সুগভীর কোন পরিকল্পনা থাকারই বরং সম্ভাবনা বেশী। এই তদন্তটি আবার শুরু করতে হবে এবং এর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ (জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ এর ছেলে) মাত্র কিছুদিন আগে এই চালানটির তদন্ত বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, ‘ব্যাপারটা আমি শিঘ্রই তদন্ত শুরু করবো, তা করতে যদি দরকার হয় আকাশে যাবো, না হয় পাতালে যাবো’। প্রশ্ন হল, পূনঃ তদন্তের কথা তুলে সোহেল তাজ কি নিজের অজান্তেই অস্ত্র চালানকারী গোষ্ঠীটিকে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের শংকায় ফেলে দিলেন?
সবশেষে, একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই। গত কয়েক দিন সেনা বাহিনীর এই অভূতপূর্ব সংযমের ব্যপারটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। চরম ব্যক্তিগত সংকটের মুখেও তাদের পেশাদারী দায়িত্ববোধ দেখে মুগ্ধ হয়েছি। এই দেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হলে তাদের সহপাঠিরা পুরো এলাকা ঘিরে আন্দোলন করে, ভাঙচুর করে, যুদ্ধাবস্থা তৈরী করে। অথচ, নিজেদের ভাই, বন্ধু, স্ত্রীদের হত্যা এবং নির্যাতনের সম্ভাবনা দেখেও সেনাবাহিনী যেভাবে রাজনৈতিক সরকারের নির্দেশ এক চুলও অমান্য না করে দায়িত্বে অনড় ছিলেন, তা যতই ভেবেছি ততই অবাক হয়েছি। এটি আস্বস্তকারী এবং প্রশংসার দাবীদার, সন্দেহ নেই। তবে এখন আরেকটি বিষয় মনে হচ্ছে আমার। ঘটনার শুরুর প্রহরগুলোতেই সম্ভবত সশস্ত্র বাহিনীর উঁচু পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ আঁচ পেয়ে গিয়েছিলেন আসল ষড়যন্ত্রকারী কারা এবং তাদের উদ্দেশ্য কি। সেটা বুঝতে পেরেই হয়তো তারা সচেতনভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা দিয়ে তাদের ক্রীড়নক হতে চাননি। এর অর্থ, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এমন কিছু ততক্ষণে জেনে গিয়েছিলেন, যা বাকীরা জানতেন না। এর অর্থ, ঘটনার তদন্ত এবং দায়ীদের খুঁজে বের করে ষড়যন্ত্রের মূল খুঁজে বের করায় সশস্ত্র বাহিনী এবং আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন হয়তো অনেকটাই এগিয়ে আছে। এর ফলে ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা এবং desperation খুব স্পষ্ট। সামরিক বাহিনীকে পিলখানায় আশানুরূপভাবে আক্রমণ করে বসতে না দেখে পর দিন অনেকটা ডেসপারেটভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা (কোন নতুন উস্কানী ছাড়াই) সারা দেশের অন্যান্য ক্যাম্পগুলোতে যেভাবে বিদ্রোহ ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল, এতে তাই প্রতীয়মান হয়।
চমৎকার বিশ্লেষণ রায়হান ভাই।
পিলখানার পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড আমাদের হতবিহ্বল করেছে, মানবতার প্রতি আমাদের বিশ্বাসের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে। এই গণহত্যা ব্যাখ্যা তো দূরের কথা, বর্ণনা করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শহীদদের পরিবার-পরিজনদের অবস্থা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। আমরা জানি, প্রিয়জনকে কবর দিয়ে আর প্রিয়জনের মরদেহের জন্য অপেক্ষা করে তারা নিজেদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছেন। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, তারা নিজেদের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারছেন না, ভাবতেও পারছেন না, তারা সেই পৃথিবীর মানুষ যে পৃথিবীতে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। তাই তাদেরকে শক্ত হতে বলার সাহস আমার নেই। শুধু সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই: দেশ এবং দেশের মানুষের যেকোন প্রয়োজনে আছি। আমি মনে করি, বাংলাদেশের প্রত্যেকেই এভাবে চিন্তা করছে। করবে না কেন? বাংলাদেশ তো মানুষেরই দেশ।
তবে শুধু "প্রয়োজনে আছি" বললে দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। দেশপ্রেম আমাদের অন্তরে থাকে। সেটা প্রকাশ করার সুযোগ পাইনা বলে, আমাদের দেশপ্রেম নেই সেটা বলা যাবে না। কিন্তু যখন প্রকাশ করার সুযোগ আসে তখন নিশ্চুপ থাকাটা অবশ্যই দেশপ্রেমের বরখেলাপ। আর যখন দেশ আমার কাছে ন্যায্য কিছু দাবী করে তখন তাকে ফিরিয়ে দেয়া দেশদ্রোহীতার সামিল। বর্তমানে যে কেবল সুযোগ এসেছে তাই না, বর্তমানে দেশ আমাদের কাছে কিছু ন্যায্য দাবী নিয়ে এসেছে। দেশকে ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ হবে দেশপ্রেম বিসর্জন দেয়া।
দেশ আমাদের কাছে কি চাচ্ছে? আমার মনে হচ্ছে দেশ আমাদের কাছে কেবল দুটি দাবী নিয়ে এসেছে:
১. হত্যাকাণ্ড পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে শতভাগ সতর্কতা এবং কোন উটকো গুজবে কান না দেয়া।
২. পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত-পরিচ্ছন্ন বিচার-দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে একতাবদ্ধ হওয়া।
এই দুই দাবী পূরণের জন্যই প্রথমে প্রয়োজন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিবিঢ়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা। আমি মনে করি, রায়হান রশিদ ভাইয়ের এই লেখা সে ধরণের পর্যবেক্ষণকে আরও শাণিত করবে।
শোক এখনও আমাদের সবাইকে ছেয়ে আছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোমবাতি ও ফুল হাতে আমাদের সেই শোকের প্রকাশই শুধু ঘটবে না, সেই সাথে পিলখানার পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের প্রতি আমাদের ঘৃণা, মানবতার প্রতি আমাদের ভালবাসা এবং সার্বিকভাবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের পূর্ণ সচেতনতা প্রকাশিত হবে।
খাঁটি কথা।
পুরো একমত।
তবে, রায়হান ভাইয়ের পর্যালোচনার পাশাপাশি আজকের ইত্তেফাকে প্রকাশিত "প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আর্মি অফিসারদের প্রশ্নগুলোও" থাকা দরকার। তা না হলে পর্যালোচনাটা চিরাচরিত আওয়ামী/বিএনপি বা মুক্তিযোদ্ধা/যুদ্ধাপরাধী কায়দায় বিভক্ত হয়ে খন্ডিত সমাধানে নিয়ে যেতে পারে যা প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করবে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
@ মাহমুদ, লিন্কটি খুঁজছি। একটু দিয়ে দিতে পারো এখানে?
লিঙ্কটা http://www.ittefaq.com/content/2009/03/02/news0959.htm
তিন আর চার নম্বর প্যারা দেখুন।
মাথা কাজ করছে না আমার......
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
প্রথম আলো রিপোর্ট
প্রাসংগিক মনে হওয়ায় এখানে দিলাম। রায়হান ভাইকে ধন্যবাদ তার চিন্তাভাবনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বিডিনউজটুয়েন্টিফোরে শেখ হাসিনার বক্তব্যের বরাত দিয়ে একটা খবর এসেছে। লিংকটা দিচ্ছি: 'এই হত্যাযজ্ঞ পুরোপুরি পরিকল্পিত' - হাসিনা
এখানে তিনি ২৫ তারিখে পিলখানায় বিডিআর জওয়ানদের সমর্থনে সাধারণ জনতার যে মিছিল হয়েছিল তার জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করেছেন। অবশ্য "সাধারণ ক্ষমা" বিষয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের কারণে তিনি এমনিতেই উত্তেজিত ভাষায় কথা বলেছেন। এটাও চিরাচরিত রাজনৈতিক বক্তব্য কি-না বলা যাচ্ছে না। তবে তিনি বলেছেন:
"কারা সেই মিছিল করলো আমার কাছে খবর আছে। বিরোধী দল অস্বীকার করতে পারবে না যে এটা তাদের মিছিল নয়। তাদের হাজারীবাগ ও মতিঝিলের কর্র্মী-সমর্থকরা ছিলো। তারা বিডিআরকে সাবাশ দিয়েছে।"
হাসিনা+খালেদা কাউরে বিশ্বাস করিনা।
কাজেই, তাদের কথায় কানও দেবার প্রয়োজন মনে করি না। নিজেদের স্বার্থের জন্য তারা কি না পারে......?
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দৃষ্টিভঙ্গী। আমাদের এখন চালের থেকে সাবধানে খুদগুলো বেছে আলাদা করতে হবে।
ভাইরে, রীতিমত আতকে উঠার মত কথা। আমাদের আগের ব্যাচের সিসিআর এর আজমী ভাই যে তথ্য দিচ্ছেন......প্লিজ নিচের লিঙ্কটা দেখেন...
http://www.facebook.com/group.php?gid=53852083996&ref=mf&nectar_impid=809961d82a3d21bb5a8ed556ecc2f995&nectar_navimpid=95affd725337cbb98453b9a194c7fb74
ইত্তেফাকে লিখা আর্মি অফিসারদের প্রশ্নগুলোর সাথে মিলে যায়।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
পড়লাম মাহমুদ ভাই। এটা কি তাদের অযোগ্যতা নাকি সহযোগিতা- এটাই দেখার বিষয়। উভয়ক্ষেত্রেই তাদের জন্য কোন ক্ষমা নাই।
তৌফিক,
এটা ভাবা আমার কাছে কঠিনই মনে হচ্ছে।আজমী ভাইয়ের পেইজ এ ভালো করে পড়ে দেখো ইভেন্টগুলোর ক্রনোলোজি।
আমি অফ গেলাম এখান থেকে। মাথা কাজ করছে না......
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমার ইন জেনারেল বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি কোন শ্রদ্ধাবোধ নাই। এরা যখন কোনকিছু মাখায়া ফেলে তখন আমার মনে হয়, এদের থেকে এই রকমই তো পারফর্ম্যান্স পাওয়া যাবে।
মনে আসছে না, কোথায় যেন পড়েছিলাম, সম্ভবত বিদেশি পত্রিকার রিপোর্টে, বাংলাদেশের আর্মড ফোর্সেসে নাকি জংগিরা যোগদান করছে। কিছু মাদ্রাসা নাকি কোচিং সেন্টারের মতো জংগিদের তৈরী করে দিত।
এটা আমিও পড়েছি।
শেখ হাসিনার ছেলে+উপদেষ্টা (এভাবেই তাকে মিডিয়াতে লিখে) সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন হার্ভার্ড ইন্টারনেশনাল রিভিউ তে। আমার এক ক্লাসমেট আমাকে দেখিয়েছিল মাস খানেক আগে।(তার আগেও শুনেছিলাম কারো কাছ থেকে, পাত্তা দেই নাই)।
সেখানে দাবি করা হয়েছে যে আর্মিতে নাকি ৩০% থেকে ৩৫% মাদ্রাসার ছাত্ররা যাচ্ছে। আর বাংলাদেশে বিগত সরকারের সময় বোরখার বিক্রি ৫০০% বেড়েছে। তবে কোনটারই কোন সূত্র ছিলো না। কাজেই, পাত্তা দেই নাই আবারো।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আলোচনার সুবিধার্থে তুলে দিচ্ছি।
শিক্ষানবিসের করা সজীব ওয়াজেদের লেখাটির বঙ্গানুবাদ পাওয়া যাবে এখানে:
http://www.sachalayatan.com/shikkhanobish/20155
মন্তব্যে আরিফ জেবতিক নামের এক ব্লগার লিখেছেন:
রায়হান ভাই,
সচলের লিঙ্কটা পড়লাম। পুরোটাই। জ়ে আ' র কমেন্টটা উদ্ধৃত করে আপনি যদি আজমী ভাইকে কিছু বোঝাতে চান তাহলে আমার খুবই আপত্তি আছে (আশা করি আমি ভুল বুঝতেছি)।
আর আমার মনে হলো, জ়ে আ র এই কমেন্টের থেকে অন্য অনেকগুলো কমেন্ট বেশী প্রাসঙ্গিক ছিল।
যাই হোক, আমি অপেক্ষায় আছি, আরো তথ্য+তদন্তের ফলের।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
@ মাহমুদ
আ জে এর মন্তব্যটা উদ্ধৃত করেছি সেটা মূল লেখার সাথে সম্পর্কযুক্ত তার একটি ব্যক্তিগত উদাহরণ হিসেবে। তবে তোমার কথা ঠিক, সেখানকার অন্য কিছু মতামতেও বৃহত্তর চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
মূল লেখায় আর্মিতে ৩৫% ভাগ মাদ্রাসা (!) রিক্রুটের বিষয়টি আমার কাছেও অসমর্থিত তথ্য মনে হয়েছে। আমারও দ্বন্দ্ব আছে সংখ্যাটির সাথে। তবে জোট সরকারের আমলে পুলিশ বাহিনী, বিচার বিভাগ, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, আমলাতন্ত্র এবং সরকারের প্রতিটি বিভাগে ব্যাপক হারে দলীয় নিয়োগের যে সব খবর ইতোমধ্যেই প্রকাশিত, সেসব উড়িয়ে দেয়াটা মনে হয় ঠিক হবেনা। সরকারের প্রতিটি বিভাগেই যখন এমনটি ঘটেছে, hypothetically হলেও এটা ধরে নিতে হবে যে সশস্ত্র বাহিনীর মত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে এতো crucial একটি প্রতিষ্ঠান তার বাইরে থাকবার কথা না। কিছু দলীয় প্রভাবিত রিক্রুটমেন্ট সেখানেও ঘটার কথা, বাস্তবতা এবং সাধারণ জ্ঞান তারই ইঙ্গিত দেয়। তবে সেটা ঠিক কি extent এ ঘটেছে, তা বিচার সাপেক্ষ। আমাদের তা অত্যন্ত নিস্পৃহভাবে তলিয়ে দেখতে হবে। এখনই তার সময়। আর রিক্রুটকৃতরা যে সবাই মাদ্রাসা ছাত্র হবেন, তেমন তো কোন কথা নেই। দলীয় অনুসারী সবাই কি কেবল মাদ্রাসায় থাকেন? আজকের খবরেও দেখলাম পিলখানা ঘটনার জন্য হিজবুত তাহিরী'র ৬ জন সন্দেহভাজন গ্রেফতার হয়েছেন, যারা নাকি লিফলেট বিলির সাথে যুক্ত ছিল, তাদের দু'জন নাকি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের prestigious আইন বিভাগের ছাত্র!!
এখানে একটি সাবধানবাণী উচ্চারণ করে রাখা ভাল - দলীয়করণের এই প্রক্রিয়াকে reverse করতে গিয়ে বর্তমান সরকারও যেন উল্টো দলীয়করণের পথে পা না বাড়ায়, সে বিষয়েও আমাদেরই সজাগ হতে হবে এখন থেকেই।
কিছুটা পরিষ্কার করতে পেরেছি আশা করি।
রায়হান ভাই,
দলীয় সরকারের পেটোয়াবাহিনী হিসেবে পুলিশের এইসব গ্রেফতার নাটক ত আগেও দেখছিলাম (যখন গুনধর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর জর্জ়মিয়ারে পিটানি দিয়ে স্বীকার করাইছিলো যে সেই ২১শে আগষ্টের বোমাবাজ!)।
তাই, মনের মধ্যে খালি কু ডেকেই চলে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্মির প্রশ্নগুলো আমার মাথা থেকে যাচ্ছেই না।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
sorry to write in english
but, with respect, i dont agree on your point regarding recruiting in army.
please clarify
একমত
বলতে ভুলে গেছিলাম, আজমী ভাই নিজেও সামরিক বাহিনীর অফিসার।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
পড়লাম। কিছু বলার নেই। তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি।
আজমী'র উত্থাপিত থিওরী প্রসঙ্গে:
http://shadakalo.blogspot.com/2009/03/accountability-and-distorted-truths.html
ঘটনার টাইমলাইন জানার জন্য এই তিনটি'টি পোস্ট পড়া যেতে পারে:
১)http://shadakalo.blogspot.com/2009/03/bdr-massacre-timelines.html
২) http://unheardvoice.net/blog/2009/02/26/the-day-after-2/
৩) http://unheardvoice.net/blog/2009/02/25/bdr-mutiny/
এমুহুর্তে গুজব উঠবে অনেক। আগামী কয়েকদিনে এর চেয়েও সব ভয়ংকর গুজব এবং থিওরী বাতাসে ভেসে বেড়াবে, ছড়িয়ে দেয়া হবে। আমরা যদি সেগুলোর সবগুলোতে কান দিই, তাহলে তাতে লাভ কার? ক্ষতি কার? আমি মনে করি সিসিবি'র পাঠকরা অত্যন্ত যোগ্য এবং যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তা ধারণ করে।
খুবই সত্য কথা। পুরো একমত।
অপরাধী যেই হোক, যেকোন দল-মত নির্বিশেষে, তাদের সম্পুর্ণ ধ্বংস চাই।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমি এর মধ্যেই একাধিক থিউরি শুনসি যেগুলা পরিষ্কারভাবেই উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত। আমার ধারনা এইগুলা ছড়ায়ে এই যুগে পার পাওয়া যাবেনা। এই মুহূ্র্তে পাবলিক অনেক sophisticated consumer of information। যেকোনো ফ্যাক্ট যাচাই করা তেমন কঠিন কোনো ব্যাপার না, আমাদের হাইকোর্ট দেখানোর দিন শেষ।
মি. রশিদ,
২৫ তারিখের ঘটনার পরই আপনাদের এই ব্লগটি পড়ছি। আপনাদের লেখার সঙ্গে পরিচিত হোয়া আমার কাছে একটি দ্বার উন্মোচনের মতো। আপনার লেখাটি বিশেষ ভাললাগার কারন আপনার চমতকার বিশ্লেষন। আপনাকে ধন্যবাদ দেয়ার পাশে আরেকটি ব্যাপার যোগ করতেই এই মন্তব্য লেখা।-
যাদের নাম সন্দেহের তালিকায় এসেছে তাদের কয়েকদিনের ব্যাংক হিসেব তদন্ত এর একটি সূত্র হতে পারে।
এই ব্লগের সবাইকে শুভেচ্ছা।
-মান্না
ধন্যবাদ, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। ছুটে গিয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে তাদের মোবাইল ফোনের যোগাযোগ রেকর্ড থেকেও অনেক কিছু বেরিয়ে আসতে পারে। শুনতে পাচ্ছি পিলখানা থেকে ইনকামিং এবং আউটগোয়িং সব টেলিফোন আলাপের নাকি রেকর্ড রয়েছে। this could be a gold mine of information.
আশা করছি এই তথ্যগুলো ধ্বংস করার আগেই আর্মির হাতে আসবে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
অসাধারণ লেগেছে...........।
:salute: :salute:
Life is Mad.
রায়হান ভাই,আপনার চমতকার বিশ্লেষণধর্মি এই লেখার জন্য ধন্যবাদ।তবে ক্ষুদ্র জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,আমাদের দেশে সব কিছুই তলিয়ে যায়।তদন্তের জন্য এবং ভবিষ্যতে কাজে লাগবে এই প্রয়োজনে আপনার উত্থাপিত সব গুলো বিষয় ই খতিয়ে দেখা অত্যন্ত জরুরি।তবে এর পাশাপাশি খুব দ্রুততার সাথে ঘটনার রহস্যের দ্বার উন্মোচনের জন্য নিচের কয়টা ব্যাপার খতিয়ে দেখটা অত্যন্ত জরুরি তাইলে সব বেরইয়ে আসবে।এই ধরনের বড় ঘটনায় অনেক বেশি কিছু করতে যেয়ে অনেক বেশি তথ্য নিতে গিয়ে আমরা গুলিয়ে ফেলি।তাই তাতক্ষনিক ভাবে যেটা জরুরি তা হলো
১।লিফ্লেট এর উতস খুজে বের করা
২।ভিডিও ফুটেজ দেখে মুখে কাপর বাধা জোয়ান্দের শ্লোগান্মুখর ফেইসগুলো বিডী আর এর নামীয় তালিকার ছবি সহ সাথে মিলিয়ে দেখা এদের কেউ আদৌ বিডি আর এর জোয়ান কিনা,অনেক টিভি চ্যানেলে ভিডিও ফুটেজে আসা ভিতরে টহলরত গাড়িগুলার খোজ করা
৩।গেটের সামনে মিছিল্কারিদের খুজে জিজ্ঞাসাবাদ
৪।তারপর রেড ক্রিসেন্ট এর যে এম্বুলেন্স ঢুকেছিল তা আদৌ রেড ক্রিসেন্টের কিনা?
৫।রাতের বেলা ব্ল্যাক আওউটের কারণ
৬।ছাদের উপর সশস্ত্র প্রহরারত জোয়ান্দের খুজে বের করা কারন ছদের উপর থাক্র কারনে তারা সবকিছু দেখতে পেরেছে
৭।গেটে কর্তব্যরত জওয়ান্দের আলাদা করা,কারন সবগুলা গেইট এর ই কম্বেশি ভিডিও ফুটেজ আছে
৮।আর একটি গুরুতপূর্ণ ব্যাপার হলো চারপাশে এত সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি এবং র্যাব এর উপস্থিতির পরো এত বেশি সংখ্যক লোক একসাথে কিভাবে পালিয়ে গেলো,
৯।প্রথমে শুধু পুলিশকে কেন ঢুক্তে দেয়া হলো,র্যাবকে কেন দেয়া হয় নি,দুটোই ত স্বরাষ্ট্র এর অধিনে
১০।কয়েক্টা এম্বুলেন্সে করে ঢেকে লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল,কিন্তু টিভি চ্যানলেগুলা বলতে পারছিল না তাতে কি আদৌ লাশ যাচ্ছে কিনা,ভিডীও ফূটেজ থেকে অই এম্বলেন্সকে ট্র্যাক করা খুব কঠিন হবে না।
১১।অই একি দিনে ঢাকাতে কর্তব্যরত পুলিশ রা অন্য স্থানে কি কি এবনরমাল মুভমেন্ট যেমন মিছিল,কোথাও রোড ব্লক ফেলা,এই ব্যাপআরগুলা তদন্ত করা,ডিএ ডি তৌহিদের কল লিস্ট দেখলেই হবে না তার সেটের আইডেণ্টিফিকেশন নম্বর দিয়ে অন্য কোণ কোন সিম ব্যবহার করেছে সেদিন,সমস্ত জোয়ান্দের মোবাইল নম্বরগুলা নেয়া এবং কল লিস্ট বের করা আর বিশেষ করে স্লোগান্মুখর দের মোবাইল,ছাদে কর্তব্যরতদের মোবাইল এবং ভিতরে অস্ত্র হাতে প্রহরার্সব কয়টা গেটে প্রহরারত দের মোবাইল ট্র্যাক করা,
১২।আরেক্টা ব্যাপার খুব জরুরি সেটা হলো গত দুই এক বছরে বিভিন্ন শৃওঙ্খলা ভঙ্গের কারনে শাস্তি হয়েছে এবং চাকুরি গিয়েছে এমন বিডি আর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের কেউ অই দিন অইখানে ঢূকেছিল কিনা...............।
আমি বিডিআর ৩ নম্বর গেইট এর পাশে থাকি তো ২৬ তারিখ আমি সকালে বের হলে আর বাসায় আস্তে পারিনাই।
আম্মা নিষেধ করে দিসিল।।
আমি ২৫ তারিখ ১০টার সময় ও এই ব্যাপারে কোনো কিছু জানতাম না যদি না তখন আমাদের গলি দিয়ে ৩জন বিডি আর ড্রেস চেঞ্জ করতে না আস্তো
তো পরের দিন আম্মু আমাকে বাসায় আস্তে নিষেধ করলো এবং জানালো যে এলাকা বাসীদের ৩ ঘন্টার মাঝে এলাকা ছেড়ে দিতে
এ ঘোষণা কীন্তু বিডিআর এর
তখন ওনেকেই এলাকা ছেরে পালাচ্ছিল
সেই সাথে কী আমাদের দেশ রক্ষী বিডিআর ভাইরাও পালাচ্ছিল???
নাকি এই ৩ ঘন্টা তাদের জন্যই???
১৩।কথিত যে সিভিল গাড়ি ঢূকেছে তার কোন ভিডীও ফুটেজ় কারও কাছে আছে কিনা খোজা এবঅনামার মনে হয় ভিতরে প্রহরারতদের,ফটকে প্প্রহরারতদের জিজ্ঞেস করলেই তা বেরিয়ে আসবে
রায়হান ভাই,স্যরি,আমি ভাল মত খেয়াল না করে আপনাকে ছোট ভাই,রায়হান আবির ভেবেছিলাম,তাই আমি প্রথম মন্তব্যে তুই বলে সম্বোধন করেছি,ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ।
এডূ,মডূ,প্লিজ অইখানে রায়হান ভাই।লিখে দাও
নো প্রবলেম 🙂
কলেজের ভাষায় বলা উচিত 'আমরা আমরাই তো'!
পয়েন্টগুলো জরুরী। ধন্যবাদ।
এই ক'দিনে প্রথম সবসময় হাসিখুশি হয়ে থাকা আমাদের ব্লগটাতে (দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন এ ব্লগে শুধুই শোকের মাতম) এসে একটু যেন মুচকি হাসলাম।
খুব ভালো লাগলো।
সাইফ ভাই এর লেখা পড়ে।
ভাই জানিনা আই কথা গুলা আমরা জাদের জন্য লিখছি তাদের কাছেযাবে কিনা না গেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা জায়না?????
সায়েদ ভাই এর গ্রুপ মেইল এ পাঠানো একটি
লেখায় পড়লাম জার সাথে আপনার পয়েন্ট গুলার উত্তর দেয়া আছে
http://www.facebook.com/note.php?note_id=71590360658&id=1176901949&ref=nf
একটু আগে ইত্তেফাকের লিঙ্ক এ গিয়ে পড়লাম সেনা কুঞ্জে আর্মীদের দাবী(তাদের দাবি গুলো খুব ভালো লেগেছে)
গতকাল সংসদ এ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন উনি সেনাকুঞ্জে জা শুনেছেন আজ বিরোধী দলের লোকেরাও নাকি সেই কথাই বলছে।
মানে পুরা ব্যাপারটা এখন একটা রাজনতীক ব্যাপার টেনে আনছেন গতকাল ১ মিনিট নীরবতা পালনের পর থেকেই তারা এটা নিয়ে ঝগড়া শুরু করলেন
জানিনা কী হবে সরকার এর কাছে না রেখে এর দ্বায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে দেয়া উচিত বলে মনে করছি
একমত না। এর দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট তদন্ত কমিটির হাতেই থাকা উচিত। সেই তদন্ত কমিটিতে আর্মির উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব থাকাটাই যথেষ্ট। এটা জাতীয় ইস্যু, ভুলে গেলে চলবে না।
সাহারা খাতুনের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠিত হয়েছিল সেটা বাতিল করে তো নতুন কমিটি গঠন করাই হচ্ছে। এই কমিটিতে আর্মি অফিসারদের দাবীর প্রতিফলন ঘটুক, এটাই চাই।
নাজমুল, স্বীকার করি আর না করি সামরিক বাহিনী নিয়ে প্রচুর রাজনীতি হয়েছে। দেশের মতো বিভক্তি আছে ওখানেও। গতকাল সেনাকুঞ্জে শেখ হাসিনা সেভাবে মুখোমুখি হয়েছেন তার অনেক সমালোচনা সত্ত্বেও এর প্রশংসা করি। একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এভাবে সামনাসামনি হওয়ার সাহস রাখেন। তোমার অডিও শুনেই এই মন্তব্য করছি।
এর আগে কি সেনা কর্মকর্তারা বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগ সন্দেহে চাকরি হারানোর কথা সাহস করে কোনোদিন খালেদা জিয়াকে বলতে পেরেছিলেন? প্রশ্ন জাগে। তখন পদোন্নতি, নিয়োগ কি বিবেচনায় হতো? নিজেকে প্রশ্ন করো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সানাউল্লাহ ভাই তখন বোধহয় এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শুধু উপস্থীত ই ছিলেন কীন্তু উনি কিন্তু প্রশ্ন গুলোর উত্তর
দেননি
ভাইয়া, দারুণ বিশ্লেষণধর্মী লেখা।
সুন্দর বিশ্লেষণ।
কিছু কিছু লেখা পড়লে মনে হয় সারা দুনিয়ার সবাইকে পড়াই। এইটা সেই ধরনের একটা লেখা।
এই লেখাটা ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। রায়হান রশিদ ভাই অাপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Assa, Bangladeshe jei kaaj police er korar kotha silo, sei kaaj Army die korano hoe, jei kaaj Army die korar kotha, seita police die korano hosse.... what the hell is this ?!!! This is a completely military mutiny, and it is the Army's call to take the control of the captured mutineers, tribunal... but, Police is doing this taks.... and Army is not being allowed to handle this so far.... how funny......
ami TV te clip deksilam j, jokhon Army BDR er vitore dhuklo... tokhon, *** SAHARA KHATUN media k explain korse j, "Army asole dhuke nai... army dhukse permission nie..." what kind of statement from a responsible office holder... ok fine... my next point is, keno take koifiot dite hosse Army dhukar bepare... tar mane ki, BDR bidrohi joanra jeno mind na kore sei voe ? as she gave words to them ? Anyway.... very hard to tolerate that, ai akta mohila atoo boro akta ghotonar sakkhi alamat sob nosto kore dite sahajjo korlo ? just because of her inefficiency(?) or conspiracy ?
....... ..I do believe that, bangladesh people will take care of these ... SAHARA KHATUN AND NANOK.... I cant express my anger by limit......
রায়হান ভাই এর লেখাটা পড়লাম, খুবই তথ্যবহুল, খুবই এনালিটিকাল; কিন্তু ঘটনা কালীন দৃশ্যমান কিছু লক্ষণ বিহীন। যেটা আবার পরের english লেখাটায় পাওয়া যাচ্ছে।
একদিকে পুরোনো কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জোড়া দেয়া, অন্যদিকে একদম চোখের সামনে নিষ্ঠুর বাস্তব।
আমরা কি আসলেই পারব সত্য সন্ধান করতে? আসলেই কি পারব আসল শত্রুদের খুজে বের করতে? পারব কি যার যার ব্যক্তিগত পছন্দের দল বা ব্যক্তির পাশ থেকে সরে দেশের পাশে দাড়াতে? আমার এখন সত্যিই আশঙ্কা হচ্ছে।
ভালো কথা, রায়হান ভাই এর কথার সাথে প্রতিফলন দেখতে পেলাম এইখানে http://bdnews24.com/details.php?id=77546&cid=2
আমাদের গোয়েন্দাদের আগে আগেই দেখি ওরা সব জানে !!! তদন্ত বন্ধ করে দিলেই হয়!!!!
প্লিজ, রায়হান ভাই, বেয়াদপি করলে মাফ করে দিয়েন।
'ওরা আগে আগেই কেন সব জানে' সেটাও চিন্তা করা দরকার।
যাহোক, সাকাচৌ আবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দিয়েছেন।
খুব ভাল বিশ্লষন। বিশ্বাস করতে চাই।
রায়হান, আমার অনেক প্রশ্ন তুমি তুলে ধরেছ। আমি এসব বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম। গত ৭ বছরে সৈনিক বা জওয়ান পর্যায়ে কারা নিয়োগ পেয়েছে, তা এখন ভালো করে তলিয়ে দেখার সময় এসেছে। জঙ্গিরা কি এসব জায়গায়ও ঢুকে পড়েছে?
আমি তোমার লেখাটা ওফা গ্রুপ মেইল ও আমাদের ২১তম ব্যাচের গ্রুপ মেইলে দিতে চাই।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ধন্যবাদ সানাউল্লাহ ভাই।
এই সংকট দেশপ্রেমী প্রতিটি বাঙ্গালীর সম্মিলিত মেধা, বিবেক এবং সুবিবেচনা ছাড়া উত্তরণ সম্ভব নয়। যদি তা না করতে পারি, অতীতের প্রতিবারের মত এবারও ষড়যন্ত্রকারীদেরই জয় হবে, আর মৃত্যুর ওপার থেকে শহীদদের সম্মিলিত দীর্ঘশ্বাস এই জাতিকে যুগের পর যুগ তাড়া করে ফিরবে। আমরা জীবিতরাও কেউ রেহাই পাবো না তা থেকে।
ঢাকা এখন গুজবের শহর। মতলবী ষড়যন্ত্রকারীরা সর্বশক্তিতে ইন্টারনেটেও বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। জাতি আজ তার কঠিনতম পরীক্ষার সম্মূখীন।
ইন্টারনেটকেও মনিটরিং এর আওতায় আনা যায় না?
আমার ধারনা, এখান থেকেও কিছু প্যাটার্ন পাওয়া যেতে পারে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সত্যিই তাই।
আমাদের সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে এ বিষয়ে।
জাতীয় সংকটের মুহূর্তে ক্যাডেট কলেজ ব্লগ নিশ্চয়ই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
URGENT REQUEST
আটককৃত লিফলেটগুলোর একটা কপি কি কোন সূত্র থেকে পাওয়া যেতে পারে? প্লীজ, কারো কোন সূত্র থাকলে জানানোর অনুরোধ করছি। আমার ইমেইল: rayhan[dot]rashid[at]gmail[dot]com
একদম মনের কথাতা বলেছো ভাইয়া।
রায়হান ভাই আর সাথে যারা মন্তব্য করেছে উপরে সবাইকে ধন্যবাদ।
মুহাম্মদের করা তালিকাটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কিছু সূত্র সেখানে লুকিয়ে আছে কিনা সেটাও পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।
নিখোঁজ অফিসারদের নাম
১. কর্নেল গুলজার উদ্দীন আহমেদ - RAB এর ইন্টেলিজেন্স উইং এর প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর
২. লেঃকঃ মঞ্জুর এলাহী
৩. মেজর কাজী আশরাফ হোসেন
৪. মেজর আহমেদ আজিজুল হাকিম পলাশ
৫. মেজর আবু সৈয়দ গাজ্জালী দস্তগীর
৬. ক্যাপ্টেন তানভির হায়দার নূর
দেখতে পাচ্ছি, কর্নেল গুলজার এর মৃতদেহ পাওয়া যায়নি এখনো। জঙ্গী দমনে তাঁর অগ্রনী ভূমিকা ছিল বলে জানি। হত্যাকারীরা কিছু কিছু টার্গেট করা জিম্মি অফিসারকে জীবিতাবস্থায় অপহরণ করেও নিয়ে যেতে পারে পালিয়ে যাবার সময় - এই সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেয়া উচিত হবেনা। টার্গেট এর ভিত্তি হতে পারে সেই অফিসারের পূর্ববর্তী কার্যক্রম। অফিসারদের কাছ থেকে সে সব বিষয়ে ইন্টেলিজেন্স আদায় করাও এর লক্ষ্য হতে পারে। আজকের খবরে দেখলাম, বিডিআর সদর দফতর থেকে নাকি অনেক জরুরী ফাইল এবং দলিল খোয়া গেছে। এ থেকে মনে হয় ইন্টেলিজেন্স এর গুরুত্ব রয়েছে ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে।
এভাবে ধরে নিয়ে এগোলে দায়ী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে কিছু সাহায্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে যেটা জরুরী তা হল এই ৬জন (কিংবা তাঁদের মধ্যে দু'একজন) নিখোঁজ অফিসারের সেনাবাহিনী/RAB এর সার্ভিস রেকর্ডে কোন common pattern রয়েছে কিনা সেটা একটু খতিয়ে দেখা।
এর মধ্যে একজনকে সনাক্ত করা হয়েছে: মেজর কাজী আশরাফ হোসেন
আরও তিনজনের মরদেহ DMCH এ আছে। শেষে বোধহয় তিন চারজনের মত নিখোঁজ থাকবে।
i also smelt the same thimg. nice analysis :boss: :boss:
সবাই কি জানেন যে বাংলাদেশ আর্মিতে গোলাম আযম এর ছেলে কাইফি আযমি একজন সিনিয়র ব্রিগেডিয়ার। আর্মির মধ্যে যে জামাত এর একটা গোষ্টী ছিল তারাও তো এখানে জড়িত থাকতে পারে।
নিচের লিঙ্কটাতে গেলেই দেখা যাবে যে গোলাম আযম এর ছেলেকে পাকিস্তানের ISI agent বলা হয়। আমার মনে হয় এখানে আর্মি এর গ্রুপ কিছুনা কিছু জানতাই।
http://bidrohy.com/golam.html
যেকোন প্রকার মতাদর্শিক বা দলীয় দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বিশ্লেষণ করা হলে তা আংশিক + পক্ষপাতমূলক হবার সম্ভাবনা ষোলআনা।
এতদিন পর্যন্ত সব কিছুতে আমরা
বা
খুঁজেছি বলেই আসল শত্রু অধরা রয়ে গেছে। উদাহরণ, গার্মেন্টসএ আক্রমণ যেখানে অনেকেই বলেছে বহিরাগত (যারা গার্মেন্টস কর্মী নয়) সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিল, কিন্তু তারা আজো অধরা রয়ে গেছে (যদিও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ভাষায় তারা সদাই উপস্থিত)।
বিশেষ কিছু ক্যাটাগরী অনুসরণ বাদ দিয়ে প্রকৃতদোষীকে খুঁজতে হবে। তা না হলে যেই লাউ সেই কদু।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
@ মাহমুদ
তোমার কথায় যুক্তি আছে। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে এই মাপের রাজনৈতিকভাবে high impact পরিস্থিতির পেছনে রাজনৈতিক মতাদর্শগত উদ্দেশ্যই প্রধান হয়। একে মনে হয় apolitically বিশ্লেষণ/বিবেচনা করার কোন সুযোগ নেই। আর মতাদর্শিক বিভাজনের এই সমীকরণ বাংলাদেশের জন্ম থেকেই অমিমাংসিত রয়ে গেছে। এবং '৭১, '৭৫ এর প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিও হাত গুটিয়ে বসে ছিল না গত ৩৮ বছর। গ্যাংস্টাররা অভ্যুত্থান ঘটায় না। তার মানে এই নয় যে মতাদর্শিক ষড়যন্ত্রকারীরা প্রয়োজনে গ্যাংস্টার-গডফাদার-বিজনেস ম্যাগনেটদের সাহায্য নেয় না স্বার্থ হাসিলের জন্য। কিন্তু এক্ষেত্রে মতাদর্শিকরাই মূল, আর বাকীরা গৌণ, সেটা না বুঝলে আমাদের বিপথগামী হবার সম্ভাবনা। কারণ, এটা যেন ভুলে না যাই - দেশ ও জাতির আসল শত্রু কোন না কোন মতাদর্শিক শিবিরেরই আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে টিকে আছে সক্রিয় অবস্থায়। ২৫ তারিখ ঘটনার প্রথম প্রহরে এই আশংকাই প্রকাশ করেছিলাম। এখন গত দু'দিনের বিভিন্ন মহলের প্রচারণার স্টাইল দেখে মনে হচ্ছে সে আশংকা অমূলক ছিলনা। আমরা কি চোখের সামনে জ্বলজ্বল করা প্যাটার্ণগুলোও আমলে নিতে অক্ষম? জাতি যদি ততোটাই অন্ধ হয়ে থাকে, then this nation does not deserve any justice . . .
রায়হান ভাই,
আপনার লিঙ্কটা পড়লাম।
সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সেনা কর্মকর্তাদের আলোচনার কিছুটা শুনতে পেলাম একটু আগে। আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেশ ভালো ভাবেই তাদের প্রাথমিক ক্ষোভ সামলেছেন।তবে সেনা কর্মকর্তাদের প্রশ্নগুলো মনে হয় স্বতস্ফুর্তই ছিলো। মনেপ্রাণ চাইছি ওই অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হোক।
কিন্তু আপনি যে চাক্ষুষমান প্যাটার্ণগুলোর কথা বলছেন, সেগুলো আমি স্পষ্ট করে ধরতে পারছি না। হতে পারে আমিও একটা বিশেষ ধারার মধ্যে- আমেরিকার নের্তৃত্বে বিশ্বব্যাপি সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের প্রেক্ষিতে- বিষয়টা দেখার চেষ্টা করছি। সেক্ষেত্রে আমার সিদ্ধান্ত হয়ত আপনার সাথে মিলবে না। আমার এই ধারায় চিন্তার একটা বৈশিষ্ট্য হল, এখানে শাসকগোষ্ঠিকে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি + বাই-ডিফল্ট দেশপ্রেমিক ধরে না নেওয়া।
এই কারনেই, কারো প্রতিই আমার আস্থা নাই।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
তোমার এই বক্তব্যের সাথে আমি কিছুটা একমত। অবশ্য 'আস্থা' শব্দটার পরিবর্তে আমি হয়তো 'অন্ধ আস্থা' ব্যবহার করতাম। আমার মনে হয় পরিস্থিতির বিচারে এটি একটি প্রয়োজনীয় দৃষ্টিভঙ্গী। কাউকেই সন্দেহ তালিকার বাইরে রাখা ঠিক না। তবে নিজের মনের ভেতর এই সতর্ক scepticism-টাও যেন একটু সতর্কভাবে প্রযুক্ত হয়, সে ব্যাপারেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। কারণ, 'অন্ধ অনাস্থা' জিনিসটাও খুব একটা helpful হবেনা মনে হয় এই মুহুর্তে। তাতে নিজেদের মধ্যে অবিশ্বাস, সন্দেহবাতিক, হানাহানিই আরও বাড়বে এই মুহুর্তে যখন সবচেয়ে জরুরী হল ঐক্য এবং সংহতি। বিষয়টা একটু ভেবে দেখো।
একমত, বস।
তবে আমি নৈরাশ্যবাদী নই। কিন্তু জাতীয়তাবাদের মাঝে আমি আসলেই কোন আশা দেখি না (ধর্মীয় উগ্রবাদের সাথে জাতীয়তাবাদের পার্থক্য করা মুসকিল হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ)। এ বিষয়ে সময় পাইলে একটু জানাবেন।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
জাতীয়তাবাদ নিয়ে এই দু'টো ইন্টারেস্টিং লেখা দু'টো ভিন্ন আঙ্গিক তুলে ধরেছে:
১) Is Nationalism a Boon or a Curse? - Amartya Sen। রেজি করতে না চাইলে, এখানকার পৃষ্ঠা ১৩ তেও আছে আর্টিকলটা। ডাউনলোড করে নিয়ে পড়তে হবে।
২) Nationalism A Bridge to Nowhere - KHAN YASIR
পরিস্থিতি একটু শান্ত হলে এটা নিয়ে একটা পোস্ট লিখতে পারো, বাংলাদেশের পটভূমি মাথায় রেখে। কি বলো?
রায়হান ভাই,
সূত্রগুলো দেওয়ার জন্য আপনারে ধন্যবাদ।
আরে......... 😮 আপ্নে দেখি এক্কেবারে কলেজের সিনিয়দের মতোই আছেন, বস। খালি জুনিয়রদের উপরে কাজ চাপায়ে দেওয়া। x-(
(ইয়ে, আমিও মুহাম্মদের ঘাড়ে কিছু চাপায়ে দিলাম একটু আগেই 😛 )।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মতৎরতা নিয়ে অবিশ্রুত'র এই বিশ্লেষণটি সবাইকে পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি:
http://www.nirmaaan.com/blog/abishchruto/3374
ধন্যবাদ।
রায়হান ভাই,
লিঙ্কটা পড়লাম।
গতানুগতিক বিশ্লেষণ, আন্ততঃ গত কয়েক বছরের সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে।
এটা ত মনে হচ্ছে cause-effect সম্পর্ককে উলটে ফেলা হচ্ছে! দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস সংঘটিত হয়ে সন্ত্রাস দমনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে না, বরং সন্ত্রাস দমনের ঘোষনা দেবার পর সন্ত্রাস দেখা দিচ্ছে। হামলাগুলোর সময়ের সাথে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারের সময়কাল ভালো ভাবে লক্ষ্য করলেই এটা বোঝা যায়।-
প্রত্যেকটা ঘটনা ঘটার আগে থেকেই প্রচারিত হয়েছে যে সেইসব আক্রান্ত জায়গাগুলো/প্রতিষ্ঠানগুলো সন্ত্রাসের ঝুকিতে। আর যেখানেই ঝুকি, সেখানেই হামলা, ক্যাম্নে? আর সব গুলো ঘটনাতেই দেখা যায়, ইন্টেলিজেনস ফেইলিওর, ক্যাম্নে? আর, হামলা হওয়ার সাথে সাথেই কোন তথ্য না থাকা সত্বেও টার্গেটেড দেশের/গোষ্ঠির দিকে দোষ ঠেলে দেওয়া যেখানে তারা নিজেরাই জানেনা আসলে কে দায়ী (নাকি না জানার ভান করে?)
একটা প্যাটার্ন ত একেবারে স্পষ্ট। "সন্ত্রাসী হামলা রোধ" করার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন নয়, বরং এই টাস্কফোর্স গঠনকে "অনিবার্যতা"কে গ্রহনযোগ্য করার জন্যই সন্ত্রাসী হামলাগুলো ঘটছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
@ মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
তোমার এই মন্তব্যটা মাত্র চোখে পড়লো।
তুমি বলেছো:
তোমার cause-effect তত্ত্বের মোদ্দা কথা সম্ভবত এই যে টাস্ক ফোর্সের ঘোষণা দিয়ে সেটাকে জাস্টিফাই করার জন্যই এই সন্ত্রাসী ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে!! এই self-fulfilling থিওরীটিতে কয়েকটি ফাঁক রয়েছে বলে মনে হয়:
১। প্রেক্ষাপট ভারত: সন্ত্রাসী ঘটনাগুলো কারা ঘটাচ্ছে বলে তুমি দাবী করছো? তোমার সুক্ষ ইঙ্গিত - সরকার নিজেই (যদি ঠিক বুঝে থাকি)। মুম্বাই তাজ হামলায় কি পাকিস্তানী জঙ্গীদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হয়নি এখনো? নাকি সেটাও তুমি ভারত সরকারের কৃতকর্ম বলে মনে করো? [প্রসঙ্গতঃ, জীবিত ধরা পড়া এক জঙ্গী আজমল আমির কাসাব এর ভাষ্যে পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈয়বা গ্রুপটির সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট]।
২। প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ: ২১ আগস্ট, দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা, বা জেএমবির উত্থানের পরও বাংলাদেশে কি নতুন কোন যুক্তির দরকার হয় টাস্ক ফোর্সের মত এমন একটা উদ্যোগ নিতে? জোট সরকারের আমলের এই সব সন্ত্রাসী ঘটনার পেছনে কোন 'টাস্ক ফোর্সের ঘোষণা' ছিল কি যে সেটাকে জাস্টিফাই করতে হঠাত এত সন্ত্রাসী তৎপরতা বেড়ে গিয়েছিল তখন? তাছাড়া, নিরন্কুশ সংসদীয় ক্ষমতার অধিকারী বর্তমান সরকারের কি কারও কাছে কৈফিয়ত দেয়ার প্রয়োজন আছে এমন ফোর্স গঠন করার জন্য? যেখানে RAB এর কর্নেল গুলজারের মত সাহসী অফিসাররা কোন ধরণের টাস্ক ফোর্সের ঘোষণা ছাড়াই দেশ ব্যাপী জঙ্গী শিকারে নেমে পড়েছিলেন? তোমাকে মনে করিয়ে দিই, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ওয়াদার একটি ছিল এই "জঙ্গী বিরোধী টাস্ক ফোর্স" গঠন [ম্যানিফেস্টো: ২৩(ই)]। এই ম্যানিফেস্টো নিয়ে নির্বাচন করেই দলটি নিরন্কুশ সংসদীয় ক্ষমতার অধিকারী এখন। অর্থাৎ, এই ওয়াদার পেছনে জন সমর্থন আছে বলে ধরে নেয়া যায়। সুতরাং, ঠিক কাকে রাজী করানোর জন্য পিলখানার মত সন্ত্রাসী একটি ঘটনা ঘটাতে হবে বলো তো?
৩। প্রেক্ষাপট পাকিস্তান: সন্ত্রাসবাদবিরোধী আন্তর্জাতিক যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানতম মিত্র দেশ পাকিস্তানের ভেতরের জঙ্গী গ্রুপগুলোর সাথে এতগুলো সন্ত্রাসী ঘটনার (এমনকি অনেকটা নিত্য নৈমিত্তিক!) সরাসরি লিন্কের প্রমাণের পরও কি নতুন কোন জাস্টিফিকেশনের দরকার হয়? কাকে বোঝাবার জন্য?
৪। তোমার এই কনসপিরেসী থিওরীর সবচেয়ে বড় ফাঁকটি হল: ৯/১১, মাদ্রিদ, ইন্দোনেশিয়া এবং ৭/৭ পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় এ ধরণের টাস্ক ফোর্স গঠনের জন্য নতুন কোন জাস্টিফিকেশনের আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কি? আমার তো মনে হয়না। নাকি তুমি এখনো বিশ্বাস কর জঙ্গীরা "মিডিয়ার সৃষ্টি"!
সবশেষে, তুমি বলেছো হামলার ঘটনাগুলোর তারিখ এবং ঘোষণার তারিখগুলো পর্যালোচনা করলে বিষয়টি (তোমার এই কনসপিরেসি থিওরী) নাকি স্পষ্ট হয়ে যায়। তোমার ভাষায়:
অনুগ্রহ করে এই তারিখগুলো সূত্রসহ তুলে ধরবে কি যাতে আমরাও সে বিশ্লেষণে ব্রতী হতে পারি?