সমালোচনা-টা বাংলা সাহিত্যের একটা হৃষ্টপুষ্ট শাখা হয়ে উঠতে পারলো না, এই নিয়ে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বেজায় দু:খ করেছেন নানা জায়গায়। আমিও ভেবে চিন্তে দেখলাম, কান কথায় শুনেছি- শনিবারের চিঠি বলে একটা ব্যাপার ছিলো বহু আগে, যেটায় নাকি গায়ে বিছুটি লাগানো সমালোচনা হোত। কিন্তু ইদানীংকালে আমরা সেরকম আর দেখি কই!
এখনকার সমালোচনাগুলান তেমন আকর্ষক হয় না। ব্লগের কথা অবশ্য আলাদা। এইখানে সমালোচনার পারদ মরুভুমির টেম্পারেচারের মতন ওঠানামা করে।
মূল ঘটনা শুরুর আগে খলর মামা সম্পর্কে কিছু না বললেই নয়। মামাকে আমরা মেছো মামা বলেই ডাকতাম। মাছ সম্পর্কিত কোন ব্যাপার ছিল যা ইন-ডিটেইল না বলাটাই ভদ্রোচিত বোধ করছি। মামা ততদিনে কংশ-মামা :gulli2: হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছেন। আমারাও মামাকে ক্লাসে,মাঠে- ঘাটে আমাদের স্টাইলে অভিবাদন জানাতাম। :duel: আমরা বাংলা বর্ণমালা প্র্যাক্টিস করতাম এভাবে —
ক-লর
খ-লর
গ-লর
ঘ-লর
ঐদিন মিল্ক ব্রেক এর পর মামার ক্লাস ছিল।
এই লেখাটি একটি অনুবাদ মাত্র। এটি একটি পাকিস্তানি নাগরিকের ব্লগ হতে প্রাপ্ত।
১৩ই মে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তান সরকারকে ১৯৭১ সালের গনহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করে,পাকিস্তান সরকার এই দাবীকে নাকচ করে দেয়। এর জবাবে পাকিস্তান জানায় বাংলাদেশের উচিত অতীতকে ভুলে যাওয়া এবং পাকিস্তান কে ভুলে যেতে দেওয়া। এমন নয় যে এবারই প্রথম বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানকে সাধারণ ক্ষমা পার্থনার দাবি করল প্রত্যুত্তর ধৃষ্ট পাকিস্তান যৌক্তিক দাবীকে নাকচ করে দিল।
আমার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল স্টেডিয়ামে গিয়ে লাইভ ক্রিকেট খেলা দেখব :dreamy:
কলেজ থেকে ভ্যাকেশনে বাসায় এলে সাধারণত খেলা থাকত না, আর থাকলেও সময় সুযোগ বের করা কিছুটা কষ্টকর ছিল :bash:
ছয় বছরে ক্যাডেটের আইডি কার্ড দিয়ে কোন ফায়দা লুটতে পারি নাই, না সিএমএইচ, না ছাত্র ভাড়া, না অন্য কোন ডিসকাউন্ট :frontroll:
অথচ ক্লাস সেভেনে যখন আমাদের প্রথম আইডি কার্ড দেয়া হল তখন কার না মনে হয়েছিল এই কার্ড দিয়ে বিশ্ব জয় করা যাবে :just:
১১ অক্টোবর ২০০৮
বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের ১০-১২ জন বন্ধু মিলে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হলাম বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের ২য় ওয়ানডে ম্যাচ দেখার জন্য :-B
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল আর সেজন্যই সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ছিল সবার চোখে :gulti:
স্টেডিয়ামে দর্শকদের একটা বাড়তি চাপও ছিল চোখে পড়ার মতো কারণ এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ আমাদের :clap:
যেহেতু ঢাকায় ছিলাম সেহেতু ম্যাচটি দেখার লোভ সামলাতে পারি নাই :no:
অগ্রিম টিকিটের জন্য অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু কাজ হল না ।
সারা জীবন এই একটা জিনিস নিয়া ঝগড়া করতে হইলো। ক্যাডেট লাইফ সেরে আসছি বহুত বছর আগে , কিন্তু সেই খেতাব (in negative sense)ঘুচাতে পারি নাই কোনোদিন। এইচ এস সি-র পরে গেলাম কোচিং এ ভর্তি হতে, সেখানে গিয়ে আমি বল্লাম যে ‘অমুক’ ব্যাচে আমার ব্যাচমেটরা আছে আমি ঐ ব্যাচ ছাড়া কোথাও পড়বোনা। কারণ আমি আর কাউকেই চিনি না। ঐ লোক বলে কি, ‘বেশী ক্যাডেট এক সাথে হইলে বহু ঝামেলা,
আকাশে হলুদ একটা বিশাল চাদ, আমি হাটছিলাম নরম ঘাসের মাঠের ঠিক মাঝখানে। পায়ের নিচে শিশিরে ভেজা, নরম দুব্বা ঘাস। মাঠের একপাশে আকাশ আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছে একটা বিশাল পাহাড়। দূর থেকে যে পাহাড়ি হিমেল বাতাস ভেসে আসছে, তাতে হি হি করে কাপছি আমি। মাঠে আরেক পাশে একটা ছোট নদী, সেখানে ঝর ঝর শব্দে বয়ে যাচ্ছে স্ফটিক সচ্ছ পানি। নদীর পাশে কিছু বসার বেঞ্চ আর পাইন গাছের সারি।
ছাত্র ভাড়া দেয়ার অভ্যাস আমার কোন কালেই ছিল না :clap:
২০০১ সালের ঘটনা :-B
আমি ক্যাডেট কোচিং করছিলাম টাংগাইলে । আকস্মিক ছুটি পেয়ে ৩ দিনের জন্য বাসায় যেতে হল । ছুটি শেষে টাংগাইল ফেরার পথে এলেঙ্গা থেকে বাসে উঠলাম । মাঝামাঝি একটা সিট পেয়ে বেশ ভাল লাগল :guitar:
মাঝে মাঝে কিছু স্মার্ট কন্ট্রাক্টর আছেন যারা ছাত্র ভাড়া দিতে গেলে আইডি কার্ড চেয়ে বসেন ।
আজকে সকালে ঘুম ভাঙ্গে প্রচন্ড বজ্রপাতের শব্দে, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি প্রচন্ড বৃষ্টি সহ বজ্রপাত হচ্ছে। ঘড়িতে দেখি ৫ টা বাজছে। ৬ টার সময় পিটিতে যাবার কথা, পিটিতে যেতে হবে না এই স্বপ্নে বিভোর হয়ে পায়ের কাছ থেকে কাঁথাটা টেনে নিয়ে ভাল করে গায়ে জড়িয়ে আরো জমিয়ে ঘুমে ফিরে গেলাম। তবে সে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটালো কিছু মোবাইল কল… কোর্সের সিনিয়র মোস্ট হওয়ায় অন্যান্যরা জানতে চাচ্ছে পিটিতে যেতে হবে কিনা।
** মাহমুদ ফয়সালের ক্রমাগত দারুণ দারুণ চিঠি পড়ে এই লেখাটা শেয়ার করতে ইচ্ছা হলো । এই লেখা উৎসর্গ প্রেমিকা হারানো প্রেমিক পুরুষ এবং আমার মত ট্রাজিক ফ্যান্টাসিতে ভোগা সকল দুঃখবিলাসিদের ।
বাদল,
কেমন আছ জানতে চাই না, শুধু জানতে চাই , তুমি কি দেখতে পাও তোমার কথা ভেবে আমার বুকের ভেতর বয়ে চলা কষ্টের নীল স্রোতধারা। তোমার কথা ভেবে আমার দিন শুরু হয় আর শেষ হয় তোমার কথা ভেবে।
অনেক দিন ধরে এই দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম… ৯৫৪ তম পোস্ট মিস করার পর থেকেই মাথায় ছিল কবে সিসিবি’র সদস্য সংখ্যা ৯৫৪ হবে আর আমি একটা পোস্ট দিব। আলাদা করে মনে হয় বলার প্রয়োজন নে যে এটা আমার ক্যাডেট নম্বর। তবে পোস্টটা ফাকিবাজি করে না দেয়া ছাড়া উপায় নেই। কারন অলমোস্ট বিনা নোটিশে গত শুক্রবার আমার চিটাগং এ চলে আসতে হয়েছে একটা কোর্সে, বৃহঃস্পতি বার আমি নিশ্চিত ভাবে জানতে পারি যে আমি এই কোর্সে যাচ্ছি।
বেশ কঠিন সময় পার করছি ইদানীং। রাতে ঘুমাতে পারি না , যাও বা ঘুম আসে দেখি এক-দুই ঘন্টা পরেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। এরপর আর ঘুম আসে না। ঘুম আসার জন্য আমি ভেড়া গুনে শেষ করে ফেলি ১০হাজার কিংবা তার চেয়েও বেশি।
১৯৯১ সালের ৬ই জুন…পরিচিত ক্যলেন্ডারের পাতার তারিখ গুলার মাঝে এই দিনটাতে এসে একবার হলেও মনটা থমকে দাঁড়ায়।ওই একই দিনে পথ চলতে শুরু করেছিলাম যারা এক সাথে…তাদের সবাইকে জানাই অভিনন্দন।