(সতর্কীকরণঃ এ লেখাটি তীব্র ক্ষোভের মাথায় লেখা এবং এ কারণে এতে অসংলগ্নতা রয়েছে এবং বাক্যবিন্যাসে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে।সহৃদয় পাঠক নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন)
স্বল্প পুঁজি নিয়ে,প্রতিপক্ষের উইকেট ফেলতে ব্যর্থ হয়ে এবং প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানেরা ক্রীজে থাকার পরেও কিভাবে নিখুঁত লাইনে বোলিং এবং প্রাণান্তকর ফিল্ডিং দিয়ে ম্যাচ জিততে হয় তা আজ দেখালো সাউথ আফ্রিকা।২০ ওভারে সাউথ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ১২৮,বাংলাদেশের চাইতেও ৯ কম এবং আগে ব্যাট করে এ পর্যন্ত এই বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন।এই পুঁজি নিয়েই সাউথ আফ্রিকা এমন লড়াই করল যার কোন তুলনা নেই।শেষ ওভারে ক্রীজে ছিলেন জেকব ওরাম আর স্কট স্টাইরিসের মত মারকুটে ব্যাটসম্যান যারা টি২০ তে যে কোন প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্ক-এর পরেও সাউথ আফ্রিকার বোলার আর ফিল্ডাররা যেন পণ করেছিলেন যে একটি রানও হাত গলে বের হতে দেবেননা।১৯ বছর বয়েসি নতুন এক সাউথ আফ্রিকান বোলার পারনেল ১৮ ও ২০ তম ওভারে যে বল করল তা আমাদের মাশরাফির(অভিজ্ঞ??!!) সকাল বিকাল দুই বেলা আসন গেড়ে বসে দেখা উচিৎ।
যেখানে স্পীনাররা এত দুর্দান্ত বল করছিল সেখানে দুইজন স্পীনারকে আমাদের আশরাফুল পুরো বোলিং কোটা পূর্ণ করতে দেয়নি।এক ওভারে যদি ৩০ রানও দরকার হয় তাও আমরা আমাদের পেসারদের কাছ থেকে বের হয়ে যেতে দেখি আর নতুন ১৯ বছর বয়েসি সাউথ আফ্রিকান বোলারটা সাজানো ফিল্ডিং অনুযায়ী বল করে জেকব ওরাম আর স্কট স্টাইরিসের মত মারদাঙ্গা ব্যাটসম্যানকে প্রয়োজনীয় রান নেয়া থেকে ঠেকিয়ে দিল।নিউজিল্যান্ডের হাতে ৬ টি উইকেট অবশিষ্ট ছিল,সেই সাথে ক্রীজে ছিল তাদের সেরা ব্যাটসম্যানেরা কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি-ম্যাচ বের করতে দেয়নি প্রোটিয়াসেরা।আর সেই কাজে মূল হন্তারক ছিলেন ৪ ওভারে ১৪ রানে দুই উইকেট নেয়া আরেক নবীন স্পীনার ভ্যান ডার মারুই(এর সাথে আমাদের অভিজ্ঞ(!!) স্পীনারদের চাপ সামলানোর ক্ষমতার তুলনা করুন।
পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপক্ষে থাকার পরেও হার না মানার এই যে মনোভাব-মরার আগে মরবনা বলে পণ করা-এই জিনিসটা আমি আমাদের ক্রিকেট টীমের ভেতরে এক বিন্দু দেখতে পাইনি।এরা জেতার জন্য খেলেনি,খেলেছে হার ঠেকানোর নপুংশক মানসিকতা নিয়ে।আর সেই সাথে বড় বড় বুলি কপচানোর অসহ্য ভাঁড়ামির কথা না-ই বা বললাম।আসলে যার হয়-তায় নয়েই হয়,আর বাংলাদেশের মত যাদের হয়না তাদের নব্বুইতেও হয়না।আমি দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি যে স্কটল্যান্ড,হল্যান্ডের পাশাপাশি বাকী ইউরোপীয় দেশগুলো এবং নিদেনপক্ষে আমাদের বুল্বুলের অধীনে কোচিং করা চায়না যখন ক্রিকেটে আগ্রহী হবে-বাংলাদেশ তখন ফুটবলের র্যাঙ্কিং-এর মত সি ক্যাটাগরীতে চলে যাবে।আর যাওয়াটাই উচিৎ,সারভাইভাল অফ দি ফিটেস্ট-ই ত হবে, তাইনা?
সাউথ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দেখছিলাম আর বাংলাদেশের কথা বার বার মনে হচ্ছিল।যেখানে সেয়ানে সেয়ানে লড়াইয়ে সাউথ আফ্রিকা আমাদের চেয়ে কম পুঁজি নিয়েও এক বিন্দু ছাড় দেয়নি সেখানে ইলেক্ট্রিশিয়ান আর প্লাম্বারদের সমন্বয়ে গড়া দল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের “সোনার ছেলেরা” যেন হারার আগেই হেরে বসে ছিল।
অনেক হয়েছে।আমি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলাম যে টাইগাররা(নাকি স্ট্রীট ক্যাটেরা??)আগামী ম্যাচ না জেতা পর্যন্ত বাংলাদেশ সহ যে কোন ধরণের ক্রিকেটের সংস্পর্শ থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখব।যাঁরা আমার সাথে আছেন হাত তুলতে পারেন।৮
দুঃখিত স্কোর বলতে ভুলে গিয়েছিলামঃ
South Africa 128/7 (20/20 ov)
New Zealand 127/5 (20.0/20 ov)
South Africa won by 1 run
😡 😡 ঐ বদমায়েশদের (খারাপ গালিটা এখানে দিলাম না) উলটা করে ঝুলিয়ে পিটানো উচিৎ আর ওদের বিশেষ স্থান দিয়ে বাশ ঢুকানো উচিৎ। :bash:
খারাপ ভাষা ব্যবহারের জন্য :just: দুঃখিত।
আমি আছি, হাত তুললাম, সাথে আমাদের পুরা ক্রিকেট দলের সব গর্দভগুলিকে জুতাপেটা করার একটা ব্যবস্থা করা দরকার.....
আমিও হাত তুললাম ।
ক্রিকেট টিমের জন্য একটাই সমাধান-মাঠের এই মাথা থেকে :frontroll: :frontroll: :frontroll: শুরু ।
গন্তব্যস্থলঃ মাঠের অন্য মাথা ।
গাধার বাচ্চাদের গাছে উলটা করে ঝুলিয়ে পেটানো উচিত :thumbdown: ।বেশি তেল জমে গেছে পাছায়।টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত :frontroll: আর থামলেই লাথি। :chup: আর আশরাফুলের মোটা মাথার হোয়াট এ :goragori: গেমপ্লান ! আর এরা আইরিশদের :salute: চেয়ে ১০ গুন বেশি বেতন পায় 😮
আইরিশদের :boss: ক্রিকেটের পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য জব করতে হয়। :dreamy:
আমি ২ হাত তুললাম গাছের মগডালে দাঁড়িয়ে। :thumbup:
এ তুমি কি করলে মাসরুফ। যে প্রতিজ্ঞা করলে, নাতি-নাতনি না হোক ছেলে মেয়ে কোলে নিয়ে তোমাকে পরের ম্যাচ দেখতে হবে ...
:(( :(( :(( :((
মাস্ফু, তুমি বাংলাদেশের খেলা দেখা, না দেখাতে টিমের কি আসে যায়? এত চিল্লাও ক্যান? হার টা কে হারের মত দেখ, যেমন জিতাটা কে দেখতে হয় জিতার মত। খেলা নিয়ে এত আবেগের কি আছে?
পাকিস্থান কে যেবার বাংলাদেশ হারিয়েছিল, টিভিতে খুব পরিচিত এক মুখ বিশাল হাসি দিয়ে বলেছিল, "'৭১ এ এর পর এত আনন্দ আর পাই নি?" আমি অবাক হয়ে ভাবি, কিসের সংগে কিসের তুলনা, কোথায় মুক্তিযুদ্ধ আর কোথায় অতি সামান্য একটা খেলা, আর তার চেয়ে অতি সামান্য একটা ম্যাচ জেতা? একবার পাকিস্থানকে হারিয়ে একবার মুক্তিযুদ্ধ জিতলেন, এতবার যে পাকিস্থান আমাদের হারালো, এটার পাল্লা কোনদিকে?
আমাদের অতি আবেগ আমাদের সর্বনাশের কারন। বাংলাদেশ দলের মূল সমস্যাটা মানসিক, আর এটাও আবেগের কারনেই। খেলাকে খেলার জায়গায় রাখতে আমরা ভুলে গেছি।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশ হেরে যাওয়াতে খুশি হয়েছি, কারন আমার হিসাবে বাংলাদেশ ২য় রাউন্ডে গেলে একটা ম্যাচ জিতলেও জিতে যেতে পারত, আর তাহলে বংগবন্ধু ষ্টেডিয়াম নিয়ে আবার চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিত ক্রিকেটের মহান কর্তাব্যক্তিরা। এবং আমার ধারনা এতে ষ্টেডিয়াম যেখানেই যাক, ফুটবল এবং ক্রিকেট দুটোই ক্ষতিগ্রস্থ হত।
আমরা খেলায় জেতার আশা কেন করি? আমাদের ক্রিকেটের অবকাঠামো কতটুকু স্ট্রং? অবস্থা হয়ত আগের চেয়ে একটু ভালো, কিন্তু এর রেজাল্ট আসবে আরও বছর দুয়েক পরে।
সবাই শুধু রেজাল্ট চায়, এমনকি রিপোর্টার রাও। উৎপল শুভ্র আর রনিজৎ বিশ্বাস মজা করে হিউমার মিক্স ডিস ছাড়ে একের পর এক। কিন্তু ধারা বর্ননা ছাড়া পটেশিয়াল কি আছে তাদের লেখায়?
আমরা তখনি জেতা শুরু করবো যখন খেলা নিয়ে আমাদের বাড়াবাড়িটা কমবে। কারন তখন খেলোয়াররা চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবে, কারন তারা জানবে এটাতে হারলেই জাত গেল জাত গেল রব উঠবে না।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আবেগের আতিশয্য কমানোর চেষ্টা করছি ফয়েজ ভাই। অদ্ভুত কিন্তু সত্য ও সুন্দর একটা মন্তব্য :boss: :boss:
একমত বস ...... এই জন্যেই মাসরুফকে বললাম, বাচ্চাকাচ্চা কোলে নিয়ে খেলা দেখতে হবে ...... 😀 😀 😀
ফয়েজ ভাই আমি দুঃখিত অতি আবেগাক্রান্ত হবার জন্য।আপনার মন্তব্যটাও অসাধারণ।কিন্তু ভাইয়া,এই অবকাঠামো,অভিজ্ঞতা ইত্যাদির অজুহাত দিয়ে আর কত?কানাডা আয়ারল্যান্ডের সাথে তো নিয়মিতভাবে হেরে চলছে আমাদের ক্রিকেট টীম,সেই একই ভুল একবার দুবার নয় অন্তত ডজন খানেক বার করে চলেছে আমাদের খেলোয়াড়েরা।এই যেমন স্লগ ওভারে মাশরাফির ফুলটস দেবার অভ্যাস,আশরাফুলের বল খোঁচা মারার অভ্যাস,স্পীন সহায়ক পরিস্থিতিতে অনভিজ্ঞ পেসার দিয়ে বল করানো---এগুলো দেখতে দেখতে ভাইয়া আমি সত্যি সত্যি অধৈর্য হয়ে গিয়েছি।আপনার প্রতিটা কথা সত্য কিন্তু তার মানে এই না যে আমাদের ক্রিকেটাররা তাদের দায় এড়িয়ে যাবে কোনভাবে।এদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
আমরা খেলায় জেতার আশা কেন করি? আমাদের ক্রিকেটের অবকাঠামো কতটুকু স্ট্রং?
ভাইয়া,কানাডা আয়ারল্যান্ডের চেয়ে যে দুর্বল নয় সেটা বোধ হয় বাজী রেখে বলা যেতে পারে।আমার কথার উদ্দেশ্য আপনার যুক্তিখণ্ডন নয়,আমার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
মাস্ফু, তুমি বাংলাদেশের খেলা দেখা, না দেখাতে টিমের কি আসে যায়?খেলা নিয়ে এত আবেগের কি আছে?
ফয়েজ ভাই আমি দুঃখিত,এই কথাটার সাথে একেবারেই একমত হতে পারলামনা।খেলাতেই তো থাকবে আবেগের বহিঃপ্রকাশ-শুধু যাতে মাত্রা ছাড়িয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।আমি যদি রেগে গিয়ে এখন ফুটবলার এস্কোবারের মত আশরাফুলের হত্যাকাণ্ড বা বেদম প্রহারন ঘটিয়ে ফেলি তবে সেটা হবে মাত্রা ছাড়ানো।সত্যিকারের সংঘাতে না জড়িয়ে যাতে সেই আবেগটুকু খেলাধূলার মত মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করে নির্মল একটা রূপ দেয়া যায় এটা কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক খেলাধূলার সৃষ্টির অন্যতম কারণ। আর আমার ক্ষোভের ভেতরে একটা প্রতীকী রূপ রয়েছে-আমি জানি যে তুচ্ছ,নগন্য আমার খেলা দেখা না দেখায় বাংলাদেশ টিমের রথী-মহারথীদের কিচ্ছু যায় আসে না,হয়তো আমার মত হাজার বিশেক দর্শক সমস্বরে প্রতিবাদ করলে সেটাতে কিছু একটা হলেও হতে পারত-কিন্তু তাতে কিন্তু বাংলাদেশের একনিষ্ঠ সমর্থক আমার মত এই একজনের অনুভূতিটা মিথ্যে হয়ে যায়না।আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি মনে করি খেলাধূলায় আবেগ না থাকলে তা অন্যান্য দৈনন্দিন কাজের মতই পানসে হয়ে যেত-খেলার যে মর্যাদা দেয়া হয় তার ছিঁটে ফোটাও উপস্থিত থাকতনা।
ফয়েজ ভাই, আপনার সাথে একমত, তবে আয়ারল্যান্ডের মতো দলের সাথে মনে হয় আমাদের অবকাঠামোগত সমস্যা সহ অন্যান্য সমস্যা গুলো কোন অজুহাত হতে পারে না, আশরাফুল যেভাবে আউট হলো তা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য না, ও পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই এই কাজই করছে, এতটুকু মাত্র কমিটমেণ্ট তার নেই নিজেকে শুধরে নেবার... বাকি সবার জন্যই একই কথা প্রযোজ্য, আপনার প্রথম কথাই আসলে ঠিক, বাংলাদেশ দলের আসলে কিছুই আসে যায় না... they don't really care about anything as long as they are in the team & getting paid. তা না হলে ম্যাচের পর ম্যাচ খেলে যাচ্ছে, আর বারবার একই ভাবে আউট হচ্ছে, একই যায়গায় বোলিং করে যাচ্ছে, নিজেকে শুধরে নেবার, কিছু একটা করার জন্য ডিটারমিনেট হওয়া, এসবের কোন লক্ষনই নেই। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের শুধু দুবছরের জন্য অপেক্ষাই করে থাকতে হবে, কিন্তু সেই দুবছর আর শেষ হবে না... যেমন আমরা গত ১০ বছর থেকে এভাবে অপেক্ষায় আছি...
* আপনি যে কারনে খুশি, আমিও একই কারনে খুশি, ফুটবলের মাঠের দিকে আর হাত বাড়াবে না মনে হয়, উলটা ফতুল্লা ফুটবল্কে দিয়ে দেয়া দরকার।
ফুটবল :thumbup: :thumbup: ক্রিকেট :thumbdown: :thumbdown:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অনেক ব্যস্ত, কিন্তু তোমার আর মাস্ফু কমেন্ট দেখে লগ ইন করলাম।
আশরাফুল অনেক বার বাজে ভাবে আউট হবার পরও সে কেন বাংলাদেশ টিমের ক্যাপ্টেন আর রহিম টাকি মাছ ধরার মত মাছ ধরতে গিয়ে মিস করেও কেন উইকেট কিপার এইটা ভাবো। এটা হয়েছে কারন এরা জানে, টিমে এরা ইম্পোর্টেন্ট এবং তাদের ছাড়া বাংলাদেশ টিম হবে না।
এটা কেন হয়েছে, কারন বাংলাদেশে ভালো মানের প্লেয়ার নেই, ভালো মানের প্লেয়ার কেন নেই, কারন ক্রিকেট সর্বস্তরে খেলা হয় না। বয়স ভিত্তিক খেলে জাতীয় টিমে ঢুকে যায়, (ঈদানীং বাংলাদেশ এ দলের ক্যালেন্ডার হয়েছে শুনেছি) একটা ইংনিস ভালো খেললে দশ টা ইংনিসের জন্য পাকা টিমের জায়গা। এগুলো সব তো জানা কথা তাই না।
তুমি এবার আমাকে বল, এই দিকটায় বোর্ড কেন নজর দেয় না। আমাদের উৎপল শুভ্র আর বাকীরা এটা নিয়ে লেখে না কেন?
কারন সিম্পল, এগুলো লিখলে বা এগুলো নিয়ে কাজ করলে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই, পয়সাও তেমন মেলে না।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আপনার বক্তব্যের দাড়ি, কমাসহ প্রতিটি লাইনের সাথে একমত :boss: :boss: :boss:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ফয়েজ ভাই,
সাংবাদিকদের অপর্যাপ্ত ভূমিকার সাথে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হারের সরাসরি কোন সম্পর্ক ঠিক বুঝতে পারিনাই বস-কষ্ট কইরা একটু খুইলা বললে আমার জন্য ভাল হইত।ভাইয়া আপনার কথাগুলার সাথে আমার দ্বিমত নাই কিন্তু এইযে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো,বয়সভিত্তিক দলের বেঠিক গঠন এইসব দিয়ে আয়ারল্যান্ডের সাথের পারফর্ম্যান্সকে কিভাবে ডিফেন্ড করি বলেন দেখি?আশরাফুল,সাকিব,মাশরাফিদের সামর্থ নিয়ে তো আমার প্রশ্ন নাই আমার প্রশ্ন হচ্ছে দেশ,জাতি আর দলের প্রতি এদের কমিটমেন্ট নিয়ে।আপনি যেসব সীমাবদ্ধতার কথা বললেন এই সিমাবদ্ধতাগুলো নিয়েই কিন্তু বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া-ভারতের সাথে ভালমতই লড়াই করেছে এই আসরেই।তাহলে আয়ারল্যান্ডের মত সহযোগী সদস্যের সাথে কেন এই পারফরম্যান্স?এত বড় বড় কথাই বা কেন যে আমরা সেমিফাইনালে যাব বা আমরা টি-২০তে বিশ্বের ৪ নম্বর দল?
অবকাঠামো , অপর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা বা সামর্থের অভাব না-এদের এমন পার্ফম্যান্সের মূল কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে দেশের সম্মানের প্রতি একবিন্দু ভ্রুক্ষেপ না থাকা এবং দায়িত্বহীনতার নিদারুণ অভাব।আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি-এদেরকে আমাদের গরীব দেশ যে পরিমাণ সুযোগ সুবিধা দেয় তা রাস্তার একটা বেশ্যাকে দিলেও সম্ভবত এর চাইতে দায়িত্বপূর্ন ব্যবহার আমরা আশা করতে পারতাম।
বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আমার সব আবেগ-উল্লাস মাঠে মারা গেছে অনেক আগেই। সেই অর্থে এখন আর আমি ক্রিকেট পাগল নই। আগে যেমন খেলা শুরু হলেই টিভির সামনে মুখ থুবড়ে পড়তাম, কিংবা খেলা শুরু হবার কয়েকদিন আগে থেকেই দিন-ঘন্টা-সেকেন্ড গোনা শুরু করতাম, কবে খেলবে বাংলাদেশ , এখন আর এমন হয় না। সে দিন গেছে। ক্রিকেট নিয়ে আবেগীপনা আগের মতো নেই এখন।
কেউ ঠেকে শিখে , সত্যি বলছি, আমি হেরে শিখেছি। হেরে যাওয়া যেতেই পারে, হার-জিত যেহেতু থাকেই । হারতে আমারও আপত্তি নেই, কিন্তু তাই বলে এইভাবে! টেস্ট খেলুড়ে দেশ হয়ে আমরা হেরে গেলাম অভিজ্ঞতা, শক্তিমত্তা সবদিক দিয়েই আমাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা একটা দেশের কাছে! আয়ারল্যান্ডের দিকে একবার তাকিয়ে দেখেছেন কি ওখানে কারা খেলছে? একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান, কয়েকজন কৃ্ষক, এবং শুনেছি একজন ডাকপিয়্নও। কিন্তু তারপরও তারা জিতে যায়। কেন জানেন? কারণ তাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে, তারা জিততে চায়।
আর আমরা কি দারুণ বিলাসিতায় , কি নিশ্চিন্তে দিব্যি হেরে যাই ! হারের দুঃখ তাই আগের মতো সর্বগ্রাসী নয়, অথবা তড়িতাহতের মতো বেদনা দেয় না আজকাল। নইলে সেদিন যেভাবে রান আউট হয়ে ফিরে এলেন তামিম ইকবাল তাতে দুঃখ পাবার বদলে আমার হাসি আসবে কেন? অথবা যেভাবে স্লিপে ও'ব্রেইনের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন আশরাফুল তাতে আক্রোশে ফেটে না পরে কেনইবা আমি শুধু মাথা নিচু করে বসে থাকবো ? একবার গিয়ে জিজ্ঞেস করা উচিত ছিলোনা , কেন তিনি বারবার দেশের মানুষের সাথে এমন রসিকতা করছেন? নাহ! সত্যি বলছি আমার একদমই ইচ্ছে করেনি। তার বিরক্তিকর ভুলের পুনারাবৃত্তি দেখে শুধু ক্লান্ত বুকের ভিতর থেকে একটা আহত দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এসেছিলো একবার, আর কিছু না। হলফ করে বলছি, ব্যাটিং অলরাউন্ডার হয়েও নাইম কেন ৮ নাম্বারে ব্যাট করতে নামলেন সেটাও জানতে ইচ্ছে হয়নি কখনো। মুশফিক-রকিবুলের ব্যাট থেকে টানা ৭১ বল কোন চার-ছয় না হবার পরও গভীর কোন দুঃখ এসে ভীড় করেনি মনের মধ্যে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:boss: :boss: :boss:
ভাই একটা কথা,
ক্যাডেট কলেজ বা আর্মিতে যারা আছে তারা এটা মনে রাখে যে এই গরিব দেশের গরিব মানুষ গুলোর tax এর টাকা তাদের জন্য ব্যয় করা হয়, So তাদের একটা responsibility আছে এই দেশ এই দেশের মানুষের জন্য। but আমাদের cricketer দের দেখে মনে হয়না তাদের এই মানুষিকতা আছে,
শা... দের জন্য তাইলে এত টাকা ব্যয় না করে সেটা অন্য কোনো development sector এ ব্যয় করা আবশ্যক।
আমি শা...দের ইয়ে করি। x-( x-(
কেউ mind খাইলে মাপ দিয়েন
ওদের জন্য :frontroll: :frontroll: :gulli2: :gulli:
সম্পূর্ন এক মত।
আর মাস্ফু, লজ্জা করে না, এই টীম নিয়ে এতো কথা বলতে? তার উপর এই টীম কে নিয়ে একটি পোষ্ট দিতে। x-(
ক্রিকেট খেলাটাই আসলে ভূয়া :thumbdown: :thumbdown:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
ফয়েজ ভাই... :thumbup: :thumbup: :thumbup:
বাংলাদেশের ক্রিকেটের ধারাবাহিক উন্নতি তখনই হবে যখন বাজে ফর্মের জন্য ম্যাচ ফি কাটার প্রথা চালু হবে...
সিডন্স এর পোস্ট ম্যাচ ইন্টারভিউ আছে এইখানে
হতাশা ও রাগের শেষসীমায় পৌঁছে গেছি আমি। একই ভুল কেউ বারবার করতে থাকলে আসলে কিছুই করার থাকে না
আসলে সবকিছুকেই নিজেদের মতো করে দেখার একটা বড় প্রবণতা আমাদের ছেলেদের মধ্যে আছে। এবং তারা কথাও খুব একটা শোনে না। আমার মনে হয়, ওদেরকে কথা শুনতে বাধ্য করানোর সময় এসেছে। এটা অধিনায়ক থেকে শুরু করে সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে যদি পুরা দুনিয়ায় দশটা আশাবাদী মানুষ থাকে তবে তার একটা ছিলাম আমি। কিন্তু আমি নিজেও এখন আর বেশি কোন স্বপ্ন দেখতেসিনা। দেখার ইচ্ছাও নাই। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে ব্যাঘ্র শাবকগণ আর দুই চাইরটা অঘটন করে জয় পাবে বড় কোন দলের সাথে। শুনে খুশি হবো; কিন্তু ভুলেও স্বীকার করবোনা যে তারা ইদানীং মানুষ হচ্ছে।
আশরাফুলের মত একটা প্লেয়ার, যে কীনা এখন বাংলাদেশের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়ারদের একজন, দিনের পর দিন পাড়ার ব্যাটসম্যানদের চেয়েও জঘন্যতম উপায়ে আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরে আর চেহারায় যন্ত্রণা ফুটায়া তোলার অভিনয়ে বেশি মনযোগী হয়; সেই অভিনয়গুলার একটাও যদি সত্যিকারের অনুতাপ থেকে ফুটে উঠতো, আমার মনে হয়না তাহলে কেউ এমন অবিবেচকের মত দিনের পর দিন এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত কাজ করতে পারতো।
স্বীকার করি, বাংলাদেশের সব বড় জয়গুলোর পেছনে অধিকাংশ সময়েই তারই সিংহভাগ অবদান। কিন্তু এই অবদান কোন ভাবেই তাকে বাকি নিরানব্বইটা ম্যাচ যাচ্ছেতাই ভাবে খেলার পারমিশন দেয়না। আর কেউ যদি বলেন এতগুলা ম্যাচ খেলার পরেও, এত সুবিধা পাওয়ার পরেও ব্যর্থতাগুলা শুধু ক্রিকেটীয় অবকাঠামো, আর হাবিজাবি সীমাবদ্ধতার জন্যই শুধু হচ্ছে, সে কথা মানতে মোটেও রাজি নই। পুরা ২০০% দ্বিমত।
খেলাটা আমার কাছে অবশ্যই আবেগের বিষয়। দল ভাল খেললে ছেলেমানুষের মত খুশি হই। খারাপ খেললে সারাটা দিনই মাটি হয়ে যায়। কিন্তু কোনদিন বাড়াবাড়ি করিনাই এটা নিয়ে। দেশে এতো এতো সমস্যা। তার মধ্যেও ক্রিকেট টীম যখন ভালো খেলে, যখন দেখি অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদেহী প্লেয়ারগুলা বাংলাদেশের মত লিলিপুটদের সামনে হুট করে একদিন তাদের চেয়েও ছোট হয়ে যায়; মুখ নিচু করে মাঠ ছাড়ে সেটা দেখে নির্বিকার থাকি ক্যামনে। গর্ব করার মত আমাদের অনেক কিছুই আছে, কিন্তু এমন স্বতস্ফুর্ত সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র কয়টা আছে? ভিনদেশের মাটিতে খেলা শুরু হবার আগে যখন "আমার সোনার বাংলা" বাজে তখনো আমি আবেগাক্রান্ত হই, হয়তো আমি অন্যদের চেয়ে মনের দিক দিয়ে একটু বেশি দূর্বল মানুষ বলেই।
কিন্তু এতদিন ধরে দেখে আসার পর মনে হচ্ছে আমাদের খেলোয়াররা আর যাই হোক, অন্তত আমার মত দূর্বল মনের মানুষ না। তারা আপাদমস্তক প্রফেশনাল। খেলা নিয়ে আবেগ অনুভবের সময়ও তাদের নাই। খেলা তাদের কাছে কেবল মাত্র রুটি রোজগারের খুব ভাল একটা মাধ্যম। দেশ হারলেই কি, আর না হারলেই কি। এত আবেগী হলে চলে নাকি তাদের?!
দে আর ইমোশনলেস প্রফেশনাল টাইগারস্ । রিয়েলি দে আর!
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কে আমাদের একটু আশা দেখাবে। কার জন্য আমাদের আবেগটা একটু ব্যবহার করা যাবে?
আমি জানি তোর জন্য কে দেবে। কিন্তু কইলাম না 😛
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:)) :))
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:pira:
কিছু কওয়াই রিস্কি হইয়া যাইতেছে। জামাইডা আইসা আবার চিল্লাচিল্লি শুরু করব 🙁
x-( x-( জামাইডা মানে?জামাই ভাইকে কৈবো?
মাস্ফ্যু ভাই, আমিও হাত তুললাম।
তবে আমি আবার একটু বেহায়া ধরণের আছি। তাই স্বপ্ন দেখা ছাড়তে পারিনা। আমরা আবার জিতবো, আরো একটু পরিণত হয়ে। আরেকটা কথা, আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলে দু'একজন অভিজ্ঞ প্লেয়ার থাকলে ভালো হতো, যারা আছেন তারা সবাইই অল্পবয়স্ক নাদান বালক, এজন্যই হয়তো একজন আরেজনের কথা মানতে রাজি হয় না :-B :-B
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ক্যাডেট কলেজ বা আর্মিতে যারা আছে তারা এটা মনে রাখে যে এই গরিব দেশের গরিব মানুষ গুলোর tax এর টাকা তাদের জন্য ব্যয় করা হয়, So তাদের একটা responsibility আছে এই দেশ এই দেশের মানুষের জন্য। but আমাদের cricketer দের দেখে মনে হয়না তাদের এই মানুষিকতা আছে,
শা... দের জন্য তাইলে এত টাকা ব্যয় না করে সেটা অন্য কোনো development sector এ ব্যয় করা আবশ্যক।
আমি শা...দের ইয়ে করি। x-( x-(
কেউ mind খাইলে মাপ দিয়েন
কমেন্টগুলো এত সুন্দর যে আমার আর কিছু বলার নেই।অনেক ধন্যবাদ সবাইকে।
জিহাদ আর কামরুল ভাইয়ের কমেন্ট দুইটা এত অসাধারণ হয়েছে যে এর পর আমার আর কিছু বলার থাকেনা।