বর্তমান সরকার তাদের মেয়াদের প্রথম সংসদীয় অধিবেশনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য একটি অধ্যাদেশ অনুমোদিত হয়। এর ফলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার একটি ইতিবাচক মানসিকতা এই সরকারের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। কূটনীতি পারায় নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়। অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত এবং বেসরকারী সংগঠন ও এজেন্সি গুলো নানাভাবে সরকারকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর বিপরীত ধারার কুটনীতিও পাখা মেলতে শুরু করে। বিশেষতঃ সাউদি আরব ও পাকিস্তান বন্ধু বলয়ে নতুন করে কূটনৈতিক তাতপরতা শুরু হয়ে যায়।
বিস্তারিত»বেশ্যানগর
বেশ্যানগরে রাত দশটার পরে বিকটাকার ট্রাক প্রবেশ করে। বলা উচিত ঘোঁত ঘোঁত করতে করতে ঢোকে। দুর্দান্ত বেগে, সজোরে, এবং নির্ভুল লক্ষ্যে। তার আগে, বিকেল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে গড়িয়ে, ধীরে ধীরে পড়তে থাকে এই গ্রীষ্মে। দমফাটা গরমে ছয়টার কাঁটা ঘড়ি ছেড়ে পারলে বেরিয়ে আসতে চায়। সাড়ে ছয় পেরিয়েও গরম বাতাসের আঁকুপাকু শ্বাস থামে না। তারপরে কালশিটে পড়লে, রাস্তার বুকের ওপরে, কোমল শিথিল সিএনজি বা গাড়ি চলাচল করে।
বিস্তারিত»গল্পের বইয়ের বাকি গল্প
মীরপুর থেকে রামপুরাতে এসে আমি প্রথম প্রথম খুবই কষ্টে দিন কাটত, কোন বন্ধু নেই, পরিচিত কেউ নেই। তবে কিছুদিন যেতেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটল। দুটো সার্কেল গড়ে উঠল, একটা এলাকায় আর একটা স্কুলে। এখানে এসে নতুন জিনিষের সাথে পরিচয় হলো, সেটা হলো কমিকস। চাচা চৌধুরী, বিল্লু, পিঙ্কি, ফ্যান্টম, হি-ম্যান প্রভৃতি ইন্ডিয়ান কমিকস। এগুলো খুব একটা ভাল লাগে নি আমার,
বিস্তারিত»ত্রিভুজ প্রেমের হর্ষ বিষাদ (সম্পূর্ণ)
লেখাটি মূলতঃ একাডেমি ধারার অর্থাৎ অনেকটা তাথ্যিক। লেখাটিকে প্রবন্ধ বললে ভুল বলা হবে।
তামিলরা মূলতঃ ভারত হতে চা শ্রমিক হিসাবে শ্রীলঙ্কা গিয়েছিল। আর তাদের নিয়ে গিয়েছিল বৃটিশরা । সিনহলিজরা এখানে আদিবাসী এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠি। এছাড়া আছে কিছু শিবানুজ মানে শিব ভক্ত হিন্দু সম্প্রদায়। সিংহলী এবং শিবানুজদের বাস মূলভুমিতে। শ্রীলঙ্কার উত্তারাংশে বসবাস করে তামিল এবং সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়। ঐতিহাসিকভাবে তামিল এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সুসম্পর্ক নাই।
বিস্তারিত»বসাক স্যারের বই – “৭০০ বছরের ইংরেজি প্রেমের কবিতা”
এই বছর বই মেলা থেকে একটা কবিতা সংকলনের অনুবাদ কিনে ফেললাম। মূলত ২টা কারণে এই বই আমার সংগ্রহের সবচেয়ে দামী বইগুলোর একটি বলে বিবেচনা করছি। প্রথমত বইটার বিষয় বস্তু, যা এর নামের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পাচ্ছে; “৭০০ বছরের ইংরেজি প্রেমের কবিতা”। আর দ্বিতীয়ত বইটার অনুবাদক আমাদের অনেকেরই প্রিয় শিক্ষক সুরেশ রঞ্জন বসাক স্যার । ক্যাডেট কলেজ থেকে অবসর নিয়ে যিনি এখন সিলেটের একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
বিস্তারিত»দুঃখিত !
কারিগরি গোলযোগের কারণে গতকাল (মে ২৬, ০৯) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত সিসিবি অফলাইনে থাকায় আমরা দুঃখিত।
‘সাম্প্রতিক মন্তব্যে’র জন্যে আমরা যে প্লাগইন ব্যাবহার করি তাতে কিছুটা সমস্যা হওয়ায় এ জটিলতা তৈরী হয়েছিলো। তাই আপাতত সেই সুবিধাটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রেখে সিসিবি অনলাইনে নিয়ে আসা হলো। আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান করে ‘সাম্প্রতিক মন্তব্য’ সুবিধাটিও ফিরিয়ে আনা হবে।
সবাইকে সঙ্গে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
বিস্তারিত»‘৯৪ এর পোলাগুলা সব গেল কই
বিরাট চাপের মইধ্যে আছি। ক্লাস শুরু হইতে না হইতেই এক্সাম লাগায় দিছে। আইজ একটা মিড-টার্ম আছে। তয় পরীক্ষারে পাত্তা-পুত্তা ক্যাডেট লাইফ থেইক্কাই দেই না। পরীক্ষার খ্যাতা পুড়ি।
অনেক অনেক দিন আগের কথা, তখন চীন দেশে এক রাজা আছিল ১২০ বচ্ছর বয়সের, ২০টা বিয়া করছিল হেই ব্যাটায়, আর সিসিবির আছিল ,৯৪ ব্যাচ। হেন কাম নাই এরা করে নাই তখন, নিজেরাই নিজগো ব্লগের বাদশাহ কইয়া বইছিল।
বিস্তারিত»মেজাজটা ব্যাপক খারাপ
গতকাল থেকে লস এঞ্জেলস এ বাংলাদেশীরা গ্রীষ্মমেলা উদযাপন করছে। মেলায় নানা ধরণের বাংলাদেশী সামগ্রীর পসরা নিয়ে বসেছে ২০/২৫টা ষ্টল। ভেন্যু shatto recreation center এর মাঠ।
দারুন ব্যস্ততার মধ্যেও গতকাল বিকেলে চলে গেলাম মেলায়। এক বাংলাদেশী ভাই আছেন যিনি সব অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বাচ্চাদের জন্য চিত্রাংকন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। সেই ভাইয়ের অনুরোধে তাকে সাহায্য করার জন্য বিকেল ৫টার দিকে পৌঁছলাম মেলা প্রাঙ্গনে।
বিস্তারিত»এলোমেলো-৩: বান্দরবান
রাজশাহী থেকে ঘুরে আসছি মাত্র দুই দিন হল- এমন সময়ে জনি বলল, “চল, এই উইকএন্ডে বান্দরবান ঘুরে আসি”। আমার যদি অনেক টাকা থাকত তাহলে আমি সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াতাম। আফসোস্, এত টাকা তো আমার নাই! তারপরও আল্লাহ যা দিছেন তা দিয়ে আমার মত একলা মানুষের মোটামুটি দেশের এমাথা-ওমাথা ঘুরে আসা যায়। ফলাফল- জনির প্রস্তাবে আমি সাথে সাথে রাজী। অফিস থেকে বৃহস্পতিবার ছুটি নিতে হবে। বুধবার রাতে রওনা দিব,
বিস্তারিত»শূণ্যে ভাসায়া দিলাম তিন ভাগ জীবন
১.
সিটিব্যাংকের মামুন ভাই গত শুক্রবার তাঁর বাসায় সব ক্যাডেটদের নিয়ে এক পার্টি দিয়েছিলেন। একজন সাবেক ক্যাডেট ড. আতিউর রহমান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর হয়েছেন এটাই উপলক্ষ্য তিনিও ছিলেন। পরিচয় হল রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের একজনের সঙ্গে, তিনি দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরেছেন।
-কেন ফিরলেন? বললেন অদ্ভুত এক কথা। ‘সেই ক্লাস সেভেনে থাকতে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। তারপর আর ঘরে ফেরা হয়নি। আমি আসলে এখন ঘরে ফিরতে চাই।
গল্পের বইয়ের গল্প
অনেক দিন পর অন্যরকম একটা ছুটির দিন কাটালাম। তেমন কিছুই না, পুরো শনিবার রুমে শুয়ে শুয়ে শুধু গল্পের বই পড়া। শেষ কবে গল্পের বই পড়েছিলাম ভুলে গেছি। কমপক্ষে চার থেকে সাড়ে চার বছর হবে। ভাবতে গেলে অবাকই লাগে। কারন রীতিমত বইয়ের পোকা ছিলাম এক সময়ে। এতটাই যে বিএমএতে থাকতেও(৩য় টার্ম থেকে)নিয়মিত গল্পের বই পড়তাম। কিন্তু তারপর কম্পিউটার গেমস, ইন্টারনেট, টিভি এইসবের ভিড়ে গল্পের বই পড়ার অভ্যাস হারিয়ে যেতে থাকে।
বিস্তারিত»পাখির চোখে দেখা আমেরিকা, ২০০৪
[২০০৪ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একমাস ছিলাম। ওই সময়ের নির্বাচনটি প্রথম আলোর পক্ষ থেকে কাভার করতে গিয়েছিলাম। কোনো একটা দেশ, সমাজ বা মানুষকে জানা-বোঝার জন্য একমাস তেমন সময় নয়। তবে সাংবাদিকরা হলো “সকল কাজের কাজী”। আমরা মনে করি, আমি সব জানি, বুঝি। আমার বোঝার কিছু বাকি নাই। তাই আমার শেখারও কিছু নাই। (কতো বড়ো মাতব্বর!!)
ওটাই ছিল আমার প্রথম এবং শেষ আমেরিকা সফর।
বিস্তারিত»দ্বিতীয় জন্ম ও প্রথম মৃত্যু
ভাবনা গুলো ইদানিং খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। কখন কী ভাবি কী করি পর মুহূর্তে ভুলে যাই কিংবা কোন চিন্তা স্থিতধী হয়ে বসতে পারে না । আমার মাঝেকার আমিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কদাচিৎ। খুব সুন্দর গোছগাছ করে কিছু লিখব তেমন হয়ে উঠে না। তাই আমার উপস্থিতি জানান দিতে আমি আবোল তাবোল বকবক করি। দ্বিতীয় জন্ম বলতে আমি নিজের ক্যাডেট হয়ে জন্ম নেয়াটাকে বুঝি। খুব বেশি মনে পড়ে তাই ১৯৯৬ সালের ৪ঠা জুন দিনটিকে।
বিস্তারিত»মুখ ও মুখোশ……………
প্রথমে হাড়ির খবর দিয়ে শুরু করি, হাড়ির নয় নিজের ভাতের থালা দিয়েই শুরু করছি। আমার বাবা একজন প্রান্তিক ব্যবসায়ী। আমাদের দোকানের খরিদ মূল্য ১২লাখ এবং এবং মূলধন ১৫ লাখ টাকা মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়াল ২৭লাখ টাকা। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের সময় দৈনিক বিক্রয় হত গড়ে ১২০০ টাকা। ২০% লাভ ধরলে ২৪০ টাকা প্রতিদিন। মাস ২৫ দিন ধরে মোট আয় দাঁড়ায় ৬০০০ টাকা। ভাবা যায় ২৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে মাত্র ৬০০০ টাকা আয়।
বিস্তারিত»খেরোখাতা – মনের আলমারীতে সাজিয়ে রাখা ভালোলাগার পৃষ্টাগুলি (দ্বিতীয় কিস্তি)
১।
আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়েছিলেন জেসমিন আপা (নামটা বদলে দিলাম)।
জেসমিন আপারা ছিলেন সাত বোন দুই ভাই। একদম আমাদের লাগোয়া বাসা। জেসমিন আপা সবার ছোট, তাদের নয় ভাই-বোন এর মধ্যে। একটু ডানপিটে আর গেছো টাইপ ছিলেন উনি, আমাদের গলিতে অনবরত সাইকেল চালাতেন। বাবাই বলেছিলেন উনাকে, আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়ে দিতে।
আমাদের সাইকেলটা ছিল পুরোনো আমলের, ব্রান্ড যতদূর মনে পড়ে রয়েল বা র্যালে জাতীয় একটা নাম।
বিস্তারিত»